× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
ভালোবাসার টানে হলেন রোহিঙ্গা খাটলেন জেল
google_news print-icon

প্রেমের টানে বাঙালি তরুণীর ‘অভিশপ্ত’ রোহিঙ্গা জীবন   

প্রেমের-টানে-বাঙালি-তরুণীর-অভিশপ্ত-রোহিঙ্গা-জীবন-  
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত সিরাজ খাতুন। ছবি: নিউজবাংলা
মুক্তির পর সিরাজ বলেন, ‘পাসপোর্ট অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় বার বার বলছিলাম, আমি রোহিঙ্গা না, প্রতারণার শিকার হয়েছি। কিন্তু তারা বিশ্বাস করেনি। আমি ২০০৮ সালে বাংলাদেশে ভোটার হয়েছি। আমি বাংলাদেশি। আমি তার (স্বামী) বিচার চাই। রোহিঙ্গা তালিকা থেকে মুক্তি চাই।’

রোহিঙ্গা যুবককে ভালোবেসে ছেড়েছিলেন স্বজন, পরিবার। বাঙালি পরিচয় বদলে বেছে নেন রোহিঙ্গা জীবন। তবে যার জন্য ঘর ছাড়া সেই যুবকই এক সময় ছেড়ে যায় তরুণীকে। তত দিনে জন্ম নিয়েছে দুই সন্তান। দুই চোখে অন্ধকার দেখা তরুণী টিকে থাকার জন্য পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন মধ্যপ্রাচ্যে। তবে পাসপোর্ট করতে গিয়ে ‘মিথ্যা পরিচয়ের’ অভিযোগ ধরা পড়ে যেতে হয় কারাগারে।

সিনেমার কাহিনিকে হার মানানো এই তরুণীর নাম সিরাজ খাতুন। ২৫ দিন জেল খাটার পর মঙ্গলবার তিনি মুক্তি পেয়েছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে।

মানবাধিকার সংস্থার হস্তক্ষেপে জামিনে মুক্ত হয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি শোনান বিভীষিকাময় জীবনের গল্প।

স্থানীয় সংসদ সদস্যের জিম্মায় গত ১৬ জুন সিরাজ খাতুনকে জামিন দেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন। এর পর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

প্রেম যেভাবে পরিণত প্রতারণায়

রাঙ্গুনিয়ার উত্তর পদুয়া এলাকায় প্রায় এক যুগ আগে পরিচয় গোপন করে মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করতেন রোহিঙ্গা যুবক মো. সিদ্দিক। পাশাপাশি অন্যের ফসলি জমিতে চাষাবাদও করতেন। সিদ্দিকের সঙ্গে ওই এলাকার সিরাজ খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

২০১০ সালে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। এরপর সিরাজ জানতে পারেন, তার স্বামী রোহিঙ্গা। শুরু হয় পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে বেড়ানোর জীবন।

প্রেমের টানে বাঙালি তরুণীর ‘অভিশপ্ত’ রোহিঙ্গা জীবন

সিরাজ জানান, চট্টগ্রামের নানা জায়গায় ঘুরেও কোথাও থিতু হতে পারছিলেন না তারা। ২০১৭ সালে পটিয়ায় থাকার সময় ধরা পড়েন পুলিশের কাছে। পুলিশ তাদের পাঠিয়ে দেয় উখিয়ার পালংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সেখানে বিভিন্ন দাতা সংস্থার ত্রাণের আশায় সিরাজকে রোহিঙ্গা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেন সিদ্দিক। সিরাজের নতুন নাম তখন সালমা খাতুন।

ক্যাম্পে নতুন চেহারা পায় সিদ্দিকের, নিয়মিত সিরাজকে নির্যাতন করতেন তিনি। এরই মধ্যে জন্ম নেয় দুই সন্তান। ২০১৯ সালে সিদ্দীক স্ত্রী-সন্তানদের রেখে হঠাৎ উধাও হয়ে যান। অসহায় সিরাজ দুই সন্তানকে নিয়ে ফিরে যান রাঙ্গুনিয়ায় বাবার বাড়িতে।

মিথ্যা পরিচয়ের অভিযোগে কারাবাস

সিরাজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরিবার জানত না আমি রোহিঙ্গাকে বিয়ে করেছি। সব শুনে তারা হতভম্ব হয়ে পড়ে। মানসম্মান রক্ষায় আমাকে ওমান পাঠিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়।’

ওমান যাওয়ার জন্য ৩ জুন পাসপোর্ট বানাতে ডবলমুরিংয়ের মনসুরাবাদ কার্যালয়ে যান সিরাজ। তবে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা তাকে আটক করেন। সিরাজের ফিঙ্গার প্রিন্টে দেখা যায়, তিনি একজন রোহিঙ্গা, নাম সালমা খাতুন।

এরপর এক বছর বয়সী সন্তানসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সিরাজকে সহায়তায় এগিয়ে আসে চট্টগ্রামভিত্তিক বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন বিএইচআরএফ। আইনি সহায়তা দিয়ে আদালতে বিষয়টি তুলে ধরে জামিন আবেদন করা হয়। বিচারক বিষয়টি আমলে নিয়ে সিরাজকে জামিন দেন।

বিএইচআরএফ চট্টগ্রামের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম জিয়া হাবীব আহসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই দফা আবেদন করেও সিরাজ খাতুনের জামিন হয়নি। তবে তৃতীয়বার আদালতের কাছে সিরাজ খাতুনের অসহায়ত্ব সম্পূর্ণ তুলে ধরলে বিচারক তা বুঝতে পারেন। অবশেষে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন।’

মুক্তির পর সিরাজ বলেন, ‘পাসপোর্ট অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় বার বার বলছিলাম, আমি রোহিঙ্গা না, প্রতারণার শিকার হয়েছি। কিন্তু তারা বিশ্বাস করেনি। পরে আমার পরিবার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে বিষয়টি তুলে ধরে।

‘আমি ২০০৮ সালে বাংলাদেশে ভোটার হয়েছি। আমি বাংলাদেশি। আমি তার (স্বামী) বিচার চাই। রোহিঙ্গা তালিকা থেকে মুক্তি চাই।’

আরও পড়ুন:
ভাসানচর থেকে পালানোর সময় ১৪ রোহিঙ্গা আটক
রোহিঙ্গাদের জন্য ক্যাম্প করবেন শরণার্থী থেকে ফুটবলার নাদিয়া ‍
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৭০ ভরি স্বর্ণ জব্দ
মিয়ানমারে কেন ফিরতে চান না রোহিঙ্গারা
জাতিসংঘের প্রস্তাবে হতাশ বাংলাদেশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Declaration to ensure international standards in the Revised Labor Act to build a child free of child labor Labor and Employment Secretary

শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সংশোধিত শ্রম আইনে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার ঘোষণা: শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব

শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সংশোধিত শ্রম আইনে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার ঘোষণা: শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন করে আন্তর্জাতিক মান বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, সকল প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শিশুশ্রম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকার একটি হোটেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত শিশুশ্রম নিরসনে কার্যক্রম বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় সচিব একথা বলেন।

শ্রম সচিব বলেন, ঢাকা শহরে অনেক পথ শিশু আছে যারা বিভিন্ন নেশায় আকৃষ্ট হয়। আমাদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের স্কুলমূখী করানো। সরকার ১৯৯০ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। সরকার পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হয়। আমরা চাই শিশুরা স্কুলে যাবে কাজে নয়।

শ্রম সচিব মতবিনিময় সভায় বলেন, আজ সভায় উপস্থিত ৪৮ টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থকে শিশু শ্রম নিরসনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে। বিভিন্ন এনজিও , উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং সরকারের সমন্বিত উদ্দ্যোগ ও আন্ত:সমন্বয় পারে শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে।

শ্রম সচিব আরও বলেন, আমরা গত ১৯ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালন করেছি। আমরা শিশুশ্রম প্রতিরোধ বিষয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে তরুন সমাজকে সম্পৃক্ত করেছি। শিশুশ্রম প্রতিরোধে লিড মিনিস্ট্রি হিসেবে আমাদের মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৪৩ টি সেক্টরকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। এছাড়াও দিবসটিতে বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে শিশুশ্রম প্রতিরোধ করার জন্য।

শিশুশ্রম নিরসন বিষয়ে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মিজ জাহেদা পারভীন বলেন, সংবিধানে সামাজিক নিরাপত্তার বিধান রয়েছে। এই বিধান বাস্তবায়ন করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসমূহের সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করছে। শিশুশ্রম নিরসনে ইতিমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিশুশ্রম নিরসনে সরকার, আইএলও, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, শ্রমিক ও মালিক পক্ষসহ সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের শিশুশ্রম নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশেষ তাগিদ দেওয়া হবে। দারিদ্র্যই শিশুশ্রমের মূল কারণ। প্রতিটি শিশুর জন্মগত অধিকার হচ্ছে নিরাপদ শৈশব ও শিক্ষার সুযোগ পাওয়া। এই অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সৈয়দা মুনিরা সুলতানা বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা। আইএলও সরকার, শ্রমিক ও মালিক পক্ষ নিয়ে কাজ করে আসছে। বাংলাদেশ শিশুশ্রম বিষয়ক কনভেনশন-১৩৮ এবং কনভেনশন -১৮২ অনুস্বাক্ষর করেছে। আইএলও কর্তৃক ২০০৪ সাল থেকে ১২ জুন ''বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস'' পালন করা হয়। বাংলাদেশে শিশুশ্রম নিরসনে আইএলও এর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ বলেন, আমরা ২০১৮ সাল থেকে শিশুশ্রম নিয়া কাজ করছি। কর্মজীবী শিশুদের জন্য স্কুল চালু করা হয়েছে। আমরা চাই শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ। আমরা শিশুশ্রম বন্ধে কাজ করছি। শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে আমরা সামাজিক আন্দোলন করছি। আমরা চাই শিশুশ্রম শুন্যে নেমে আসুক। আমরা শিশুদের নিয়া বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। আমরা এতিম শিশুদের নিয়াও কাজ করছি।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা আখতার।

মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম, উপসচিব এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জার্মান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন, ইউনিসেফ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধি এবং অ্যাকশন এইড ও কারিতাসসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Changed to the inauguration of National Fisheries Week

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোষিত রাষ্ট্রীয় শোক উপলক্ষ্যে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় শোকের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

ফলে, আগামী ২২ জুলাই (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠেয় উদ্বোধন অনুষ্ঠান একদিন পিছিয়ে ২৩ জুলাই (বুধবার), সকাল ১১:০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-তে অনুষ্ঠিত হবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Aircraft crashed in Uttara A crowd of relatives admitted to the Burn Institute

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৭০, স্বজনদের ভিড়

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৭০, স্বজনদের ভিড়

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে সত্তরের অধিক আহত ভর্তি আছেন। ক্রমাগত অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী আসছে। হাসপাতালের সামনে ভিড় করেছেন দগ্ধদের স্বজনেরা। পাশাপাশি উৎসুক জনতার ভিড় রয়েছে চোখে পড়ার মতো।

এ ছাড়া, হাসপাতালে চলছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কার্যক্রম। বর্তমানে, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পজিটিভ ডোনার থাকলেও নেগেটিভ ব্লাডের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালে ক্রমাগত রোগী আসছেন। এজন্য অনেক রক্ত প্রয়োজন।

তানভীর হাসান সিক্ত নামের একজন স্বেচ্ছাসেবক বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্তদাতারা ছুটে আসছেন। পর্যাপ্ত ডোনার মজুত থাকায় আপাতত পজিটিভ রক্ত প্রয়োজন নেই। তবে, নেগেটিভ রক্ত সংকট। তাই, আমরা নেগেটিভ ব্লাড ডোনারদের রক্ত দিতে আহ্বান জানাই। এছাড়াও, অনেক ডোনার নাম্বার দিয়ে গেছেন বলে জানান তিনি।

ইনস্টিটিউটের ভর্তি তালিকায় এই ৭০ জনের মধ্যে কয়েকজনের নাম হাতে এসেছে। তারা হলেন—শামীম ইউসুফ (১৪), মাহিন (১৫), আবিদ (১৭), রফি বড়ুয়া (২১), সায়েম (১২), সায়েম ইউসুফ (১৪), মুনতাহা (১১), নাফি (১০), মেহেরিন (১২), আয়মান (১০), জায়েনা (১৩), ইমন (১৭), রোহান (১৪), আবিদ (৯), আশরাফ (৩৭), ইউশা (১১), পায়েল (১২), আলবেরা (১০), তাসমিয়া (১৫), মাহিয়া, অয়ন (১৪), ফয়াজ (১৪), মাসুমা (৩৮), মাহাতা (১৪), শামীম, জাকির (৫৫), নিলয় (১৪), সামিয়া।

সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রোগীদের ওয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে। সেখানেও অনেক ভিড়। ভিড়ের কারণে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

দগ্ধদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানও দগ্ধদের দেখতে হাসপাতালে আসেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের সামনে পুলিশ, র‍্যাব, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে, এই হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেছেন, এখন পর্যন্ত এখানে ৬০ জনের মতো ভর্তি করা হয়েছে, আরও ১০–১৫ জন ভর্তি করার মতো সক্ষমতা এখানে আছে। এরপর ঢাকা মেডিকেল প্রস্তুত আছে। এরপর যারা আসবেন, সেসব রোগীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হবে।

আইএসপিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত এবং ১৬৪ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Pilot killed in the plane crash in Uttara 1 injured ISPR

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাইলটসহ নিহত ১৯, আহত ১৬৪: আইএসপিআর

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাইলটসহ নিহত ১৯, আহত ১৬৪: আইএসপিআর

রাজধানীর উত্তরায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমানের দুর্ঘটনায় ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম মারা গেছেন। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

সোমবার (২১ জুলাই) বিকালে ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর শাহজাহান শিকদার এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট ও ৬টি অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে।

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর)। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতে।

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির বিমানটিকে ঘনবসতি থেকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।

আইএসপিআর বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে আজ সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলাস্থ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। দুর্ঘটনা মোকাবিলায় এবং বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ওই বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাবার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজের দোতালা একটি ভবনে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে।

এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় তৌকিরসহ ১৯ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হয়েছেন। আহত সকলকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারসহ অ্যাম্বুলেন্সের সহায়তায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং নিকটস্থ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্থানান্তর করা হচ্ছে।

অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে হতাহতদের সর্বাত্মক চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, বিমান বাহিনীপ্রধান সরকারি সফরে দেশের বাইরে থাকায়, সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন), বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।

সেনাবাহিনী প্রধান, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সামরিক বাহিনীর এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।

সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব এবং ফায়ার সার্ভিস দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি উত্তরণের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।

দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে ইতোমধ্যে বিমান বাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
I am ready for 24 hours to assist in the treatment of the injured in the plane crash in Uttara Jamaat Amir

উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সহযোগিতার জন্য ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত আছি: জামায়াত আমির

উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সহযোগিতার জন্য ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত আছি: জামায়াত আমির

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতদের সহযোগিতায় জামায়াতে ইসলামী ২৪ ঘণ্টা প্রস্তত আছে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সোমবার (২১ জুলাই) বিকালে জাতীয় বার্ণ ইন্সটিটিউটে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পরিদর্শনে গিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এখানে এসে আহত পেয়েছি ৫১ জনকে। এর মধ্যে সাত-আটজন বাদে বাকি সবার অবস্থা গুরুতর।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এখানকার কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করেছি- যা কিছু লাগে আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা দু পায়ে দাঁড়িয়ে প্রস্তুত আছি।

তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছেন আপাতত যা প্রয়োজন- তা পর্যাপ্ত আছে। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করবেন।

তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, আল্লাহ যেন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা সন্তানদের সুস্থ করে দেন। আহত ও নিহতদের অভিভাবকদের ধৈর্যধারণের জন্য দোয়া করেন জামায়াত আমির।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকটি পরিবারে যাওয়ার চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, চিকিৎসক ও অভিভাবকদের সহযোগিতা করার জন্য তাদের সঙ্গে আমরা গায়ে গায়ে লেগে থাকব। ছাত্রশিবিরও পাশে আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, চিকিৎসা অঙ্গনের দলের সমস্ত জনশক্তিকে সেখানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমাদের যা দরকার সবকিছুর জন্য আমরা প্রস্তুত। এর বিনিময়ে আল্লাহ যেন আহত ও পুড়ে যাওয়া আমাদের কলিজার সন্তানগুলোকে আমাদের বুকে আবার সুস্থ হালতে ফিরিয়ে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ প্রমুখ।

মন্তব্য

সারা দেশ
Today is a great tragedy day in our national life Dr Asif Nazrul

আজকে আমাদের জাতীয় জীবনে বিরাট বড় একটি ট্র্যাজেডির দিন: ড. আসিফ নজরুল

আজকে আমাদের জাতীয় জীবনে বিরাট বড় একটি ট্র্যাজেডির দিন: ড. আসিফ নজরুল

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা আজকে আমাদের জাতীয় জীবনে বিরাট বড় একটি ট্র্যাজেডির দিন।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আজ ওই দুর্ঘটনায় হতাহতদের দেখতে গিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, 'আজকে আমাদের জাতীয় জীবনে বিরাট বড় একটা ট্র্যাজেডির দিন। এত বড় ট্রাজিক ঘটনা, বিয়োগান্তক ঘটনা আমাদের জাতীয় জীবনে আর ঘটে নাই।'

উপদেষ্টা বলেন, 'আমাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, উনারা চিকিৎসার প্রয়োজনে যতরকম প্রস্তুতি দরকার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। তারপরও যদি প্রয়োজন হয় বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনবেন। বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আমাদের শিক্ষার্থীদের বিদেশ নেয়ার প্রয়োজন হলে তার ব্যবস্থা করা হবে। কোন কিছুতেই কোন ঘাটতি থাকবে না।'

ড. আসিফ নজরুল বলেন, কিন্তু আমরা যা আজ হারিয়েছি কোন কিছুর বিনিময়ে সেটা পূরণ করার মত নয়।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়। এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামসহ ১৯ জন নিহত ও ১৬৪ জন আহত হয়েছেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বিমানটি আজ সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয় (যা বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে)। দুর্ঘটনা মোকাবেলায় এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উক্ত বিমানের বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাবার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজ এর দোতালা একটি ভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, আহত সকলকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারসহ অ্যাম্বুলেন্স এর সহায়তায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং নিকটস্থ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্থানান্তর করা হচ্ছে।

আহতদের মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৮ জন, বার্ন ইনস্টিটিউটে ৭০ জন, ঢাকা সিএমএইচ এ ১৪ জন, উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারে ১১ জন, উত্তরা আধুনিক হসপিটালে ৬০ জন এবং উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে আইএসপিআর জানায়। এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গভীরভাবে মর্মাহত এবং হতাহতদের সর্বাত্মক চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতায় তৎপর রয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
The bodies of the casualties in Uttara will be handed over to the family quickly Chief Advisors Office

উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ দ্রুত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ দ্রুত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের লাশ দ্রুত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। তবে যেসব লাশের পরিচয় শনাক্ত করা যাবে না, সেক্ষেত্রে ডিএন পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে হস্তান্তর করা হবে।

সোমবার (২১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, মর্মান্তিক এই বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধান উপদেষ্টা।

এতে আরও বলা হয়, ‘রাজধানী উত্তরার দিয়াবড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পরিচয় শনাক্ত হওয়া নিহতদের লাশ দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে কর্তৃপক্ষ। তবে যাদের পরিচয় শনাক্ত করা যাবে না তাদের ক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’

আহতদের চিকিৎসা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে হাসপাতাল এলাকায় সাধারণ নাগরিকদের অযথা ভিড় না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে আজ সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়।

মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় হতাহতের স্মরণে আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার।

মন্তব্য

p
উপরে