× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
দপ্তরি জামিনে মুক্ত শিক্ষকের বিপক্ষে সাক্ষী
google_news print-icon

দপ্তরি জামিনে মুক্ত, শিক্ষকের বিপক্ষে সাক্ষী

দপ্তরি-জামিনে-মুক্ত-শিক্ষকের-বিপক্ষে-সাক্ষী
‘মামলার সাক্ষী ছোটন খান ও মঞ্জুর মণ্ডল দুজনই আমার বিরুদ্ধে চলে গেছে। আদালতে তারা সাক্ষ্য দেবে না বলে জানিয়েছে। ভয়ে স্থানীয় লোকজনও দপ্তরির পক্ষে।’

শিক্ষিকাকে মারধরের মামলায় দপ্তরি হয়েছেন চাকরিচ্যুত, খেটেছেন জেল। এরপরই এলাকার লোকজন দপ্তরির পক্ষ নিয়ে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেন। গ্রামের হাজারও লোক মানববন্ধন করে জানিয়েছেন তীব্র প্রতিবাদ।

এরপর সেই দপ্তরি জামিন পেয়েছেন। কিন্তু পরিষ্কার হয়নি ঘটনার নেপথ্যের কারণ। এ নিয়ে চলছে পুলিশের তদন্ত। তবে ঘুরেফিরে আলোচনায় আসছে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে দপ্তরির পারিবারিক বিরোধের বিষয়টি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুর কাশেম নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে যা ঘটেছে, তা পারিবারিক বিরোধের জের।

নিউজবাংলার সঙ্গে রোববার বিকেলে কথা হয় শিক্ষিকা নিলুফা খানমের। তিনি বলেন, ‘মামলার সাক্ষী ছোটন খান ও মঞ্জুর মণ্ডল দুজনই আমার বিরুদ্ধে চলে গেছে। আদালতে তারা সাক্ষ্য দেবে না বলে জানিয়েছে। ভয়ে স্থানীয় লোকজনও দপ্তরির পক্ষে।’

তিনি দাবি করেন, ‘আমাদের সঙ্গে দপ্তরির পরিবারের জমিসংক্রান্ত বিরোধ কখনোই ছিল না। এর আগে তাদের সঙ্গে ঝগড়াও হয়নি। আমাদের একটি গাছের ডাল ভেঙে তাদের একটি ঘরের চালায় পড়া নিয়ে একটু মনোমালিন্য ছিল। সেটির সুষ্ঠু সমাধানও হয়েছিল। ওই দিন আমাকে মারধরের ঘটনাটি স্কুলসংক্রান্ত। দপ্তরির চাকরি চলে যাওয়ায় স্থানীয়রা আবেগ দেখিয়ে আমার বিপক্ষে চলে গেছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষিকা নিলুফা খানম ও দপ্তরি রাকিবের বাবারা পাঁচ ভাই। তাদের দাদা মারা যাওয়ার পর জমি বণ্টন নিয়ে নিলুফার পরিবারের সঙ্গে রাকিবের পরিবারের বিরোধ শুরু। রাকিবরা বরাবরই বলে আসছেন, তাদের ঠকানো হয়েছে।

দপ্তরি জামিনে মুক্ত, শিক্ষকের বিপক্ষে সাক্ষী


ঈদের কিছুদিন আগে নিলুফাদের গাছের একটি ডাল ভেঙে পড়ে দপ্তরি রাকিবদের একটি খামারের ঘরে। এতে করে ঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ নিয়ে বিরোধ আরও চরমে পৌঁছে। এভাবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ঝগড়া আর মনোমালিন্য।

সবশেষ ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে রাকিবদের পরিবারকে শান্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষিকা। তবে রাকিবরা জানিয়েছেন, তারা ক্ষতিপূরণ পাননি। ওই শিক্ষিকার বাবার দোকান থেকে বাকিতে চার হাজার টাকার পণ্য নিয়েছিলেন। সেই টাকা আর ফেরত দেয়া হয়নি।

রাকিবের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই দিনের ঘটনাটি স্কুলসংক্রান্ত না। পারিবারিক বিরোধের জেরে দপ্তরিকে চাকরিচ্যুত করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেদিন তাদের বাড়িতে জমিসংক্রান্ত বিরোধে দুই পরিবারের কথা-কাটাকাটি হয়েছে। পারিবারিক বিরোধটি স্কুলের ঘটনা বলে শিক্ষিকা অপপ্রচার চালিয়েছেন। ফলে দপ্তরির চাকরি চলে গেছে।

মানবাধিকার জোট ময়মনসিংহ জেলার সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র আইনজীবী নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, সেদিনের ঘটনায় শিক্ষিকা আইনের আশ্রয় নিয়েছেন, এটা ঠিক আছে। তবে যদি পারিবারিক বিরোধে ঘটনাটি হয়ে থাকে, তাহলে পারিবারিকভাবেই মীমাংসা হওয়া উচিত ছিল। কারণ পারিবারিক বিরোধ স্কুলে আনা ঠিক না। পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার মাধ্যমে সত্য বেরিয়ে আসবে।

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই বহু মানুষ কষ্টে আছে। এর মধ্যে চাকরি চলে গেলে একটি পরিবার অসহায় হয়ে পড়ে। ফলে ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করা প্রয়োজন।

দপ্তরি জামিনে মুক্ত, শিক্ষকের বিপক্ষে সাক্ষী


এই আইনজীবী বলেন, শিক্ষিকার করা ফৌজদারি মামলাটি তদন্ত করে যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয়, তাহলে যে শাস্তি বিবাদীর হওয়ার কথা ছিল, ২১১ ধারায় বাদীকে সেই শাস্তি পেতে হবে। এ জন্য বিবাদীকে মামলা করতে হবে অথবা আদালত তাদের মামলা করতে নির্দেশ দিতে পারে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুর কাশেম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তদন্ত করে দেখেছি অনেক আগে থেকেই তাদের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। জমিসংক্রান্ত জের ছাড়াও ওই দপ্তরির পরিবারের একটি ঘরের চালে নিলুফাদের গাছের ডাল ভেঙে পড়ে যাওয়া নিয়েও তাদের বিরোধ ছিল।

ওই দিন মারামারির ঘটনাটি পূর্ববিরোধের একটি অংশ। সম্পূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদনটি চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে জমা দেয়া হবে।

ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শফিকুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, শিক্ষিকার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে মামলাসহ রাকিবকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে এটি যদি স্কুলসংক্রান্ত ঘটনা না হয় কিংবা পারিবারিক বিরোধের ঘটনা হয়, তাহলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। পরে তদন্ত সাপেক্ষে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিলুফা খানম মামলার নথিতে উল্লেখ করেছেন, গত বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকাল ১১টার সময় দপ্তরি রাকিবকে স্কুল পরিষ্কার করার জন্য ফোন করি। কিন্তু সে ফোন রিসিভ করেনি। এমতাবস্থায় লোক পাঠিয়ে ডেকে এনে স্কুল পরিষ্কার করতে বলা হয়। এতেই সে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ধরনের গালাগাল ও হুমকি দিতে থাকে। তখন তাকে কিছু না বলে আমি বাড়িতে চলে যাই।

কিন্তু দুপুর দুইটার সময় আমার বাবা হাফিজ উদ্দিন খান মসজিদ থেকে বাড়িতে আসতে থাকে। রাস্তায় পথ আটকিয়ে রাকিবের বড় ভাই নাদিমের নির্দেশে দপ্তরি রাকিব আমার বাবাকে গালাগাল করতে থাকে। আমি এসে তাকে গালাগাল করতে নিষেধ করায় আমাকে রাস্তায় টানাহেঁচড়া করে মাটিতে ফেলে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ সময় দুই ভাই মিলে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। রাকিব আমার গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। আমার চিৎকারে স্থানীয় রফিকুল ইসলামের ছেলে ছেটন খান ও বোচু মণ্ডলের ছেলে মঞ্জুর মণ্ডল উদ্ধার করে।

পরদিন শুক্রবার (২৮ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পাগলা থানার বারইহাটি বটতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। এর পরেই রাকিবকে চাকরিচ্যুত করা হয়। ওই দিন বিকেলে শিক্ষক নিলুফা খানম মামলা করার পর থেকে কারাগারে ছিলেন রাকিব।

তবে ১৮ দিন জেল খেটে গত ১৫ জুলাই আদালতের নির্দেশে কারাগার থেকে জানিনে মুক্তি পেয়েছেন। বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও দপ্তরির আইনজীবী নূরুল হক।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার ১৫৬ নম্বর বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম। একই স্কুলের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী রাকিব খান। তারা বারইহাটি গ্রামের বাসিন্দা এবং দুই পরিবারের বাসা ও বিদ্যালয় পাশাপাশি। তারা সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাইবোন।

আরও পড়ুন:
১১তম গ্রেডে বেতন চান প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে বরাদ্দের দাবি
২৫৮ শিক্ষক নিচ্ছে খাগড়াছড়ি প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ
প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইম স্কেলের রায় রোববার
বন্ধ হলো প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Bangladesh has declined due to the oppression of the Hasina government Banglafact

হাসিনা সরকারের দমনপীড়নের কারণেই শান্তিসূচকে বাংলাদেশের অবনতি ঘটেছে : বাংলাফ্যাক্ট

হাসিনা সরকারের দমনপীড়নের কারণেই শান্তিসূচকে বাংলাদেশের অবনতি ঘটেছে : বাংলাফ্যাক্ট

হাসিনা সরকারের দমনপীড়নের কারণেই শান্তিসূচকে বাংলাদেশের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে বলে বিশ্ব শান্তিসূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর ফ্যাক্টচেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।

বাংলাফ্যাক্ট জানায়, বিশ্ব শান্তিসূচক সংক্রান্ত মূল রিপোর্টের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় এক্সিকিউটিভ সামারি অংশে লেখা রয়েছে, হাসিনা সরকারের দমনপীড়নের কারণেই শান্তিসূচকে বাংলাদেশের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। বিশ্ব শান্তিসূচকে বাংলাদেশ ৩৩ ধাপ পিছিয়েছে, যার অন্যতম কারণ জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের চালানো হত্যাযজ্ঞ।

রিসার্চ টিম জানায়, অনেকে এই অবনতিকে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরছেন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম ও ফটোকার্ড দেখে অনেক পাঠক বিভ্রান্ত হচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে বিশ্ব শান্তিসূচক রিপোর্টটি এ বছর প্রকাশিত হলেও এই সূচক তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কাল বিবেচনা করে।

মূল রিপোর্টের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় এক্সিকিউটিভ সামারি অংশে বাংলাদেশের সূচকের এই অবনতির কারণ হিসেবে লেখা রয়েছে, হাসিনা সরকারের দমনপীড়নের কারণেই শান্তিসূচকে বাংলাদেশের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে।

বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।

মন্তব্য

সারা দেশ
Irans atomic enrichment will never stop Iravani

ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনোই বন্ধ হবে না: ইরাভানি

ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনোই বন্ধ হবে না: ইরাভানি

ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনোই বন্ধ হবে না বলে দাবি করেছেন জতিসংঘে দেশটির রাষ্ট্রদূত আমির-সাঈদ ইরাভানি। তিনি বলেন, পরমাণু অস্ত্রবিস্তাররোধ চুক্তির অধীনে শান্তিপূর্ণ জ্বালানির উদ্দেশ্যে তাদের এই প্রকল্প অনুমোদিত।

রবিবার (২৯ জুন) সিবিএস নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সমৃদ্ধকরণ আমাদের অধিকার, এটি একটি অখণ্ড অধিকার এবং আমরা এই অধিকার বাস্তবায়ন করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, ইরান আলোচনার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ আলোচনার নাম নয়, এটি আমাদের প্রতি একটি নীতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।

তবে ইরাভানি বলেন, “তেহরান আলোচনার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু এই আগ্রাসনের পর নতুন করে আলোচনা শুরুর মতো কোনো উপযুক্ত পরিবেশ নেই এবং প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক বা আলোচনার জন্য কোনো অনুরোধও নেই।”

জাতিসংঘে ইরানের এই দূত আরও দাবি করেন, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি কিংবা সংস্থার পরিদর্শকদের প্রতি তাদের সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হুমকি নেই।

যদিও কিছু ইরানি কর্মকর্তা এই পরিদর্শকদের অভিযুক্ত করেছেন ইসরায়েলের হামলাকে যৌক্তিকতা দিতে তারা সাহায্য করছে বলে। বর্তমানে আইএইএ পরিদর্শকরা ইরানে অবস্থান করছেন, তবে তারা দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না।

মন্তব্য

সারা দেশ
Road blockage 

হিমাগারে আলু সংরক্ষণে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ 

হিমাগারে আলু সংরক্ষণে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ 

জয়পুরহাটে কালাইয়ে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষে ঘণ্টাব্যাপী জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন কৃষকরা। জেলার ২১টি হিমাগারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩টি হিমাগার এ উপজেলায় অবস্থিত। এমনিতেই আলুর দাম না থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা। গতকাল রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালাই পৌরশহরে অবস্থিত আর.বি কোল্ড স্টোরেজের সামনে আলু চাষি ও আলু ব্যবসায়ীদের ব্যানারে মানববন্ধন শেষে সড়ক অবরোধ করে সড়কে বসে পড়েন কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা। এ সময় সড়কের দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরবর্তীতে থানার ওসি ও ইউএনও এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন তারা। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হিমাগারগুলোতে আলু বিক্রির মৌসুম পুরোদমে শুরু না হতেই ভাড়া বাড়ানো এবং বাজার অস্থিরতায় জেলার অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

কৃষক শাহাদুল ইসলাম ও আব্দুল রশিদ বলেন, এবার ৫০০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছি আর.বি কোল্ড স্টোরে। ভাড়া নেওয়া হচ্ছে প্রতি বস্তা ৪৩০ টাকা। অথচ মৌসুমের শুরুতে প্রশাসনের চাপে ৩৫০ টাকা নির্ধারিত হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী বগুড়ার হিমাগারগুলোতে প্রতি বস্তা আলু সংরক্ষণের ভাড়া প্রতি বস্তা ৩৫০-৩৬০ টাকা।

কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুণ চন্দ্র রায় দৈনিক বাংলাকে বলেন, হিমাগারগুলো যে ভাড়া বাড়িয়েছেন তা অযৌক্তিক। মৌসুমের শুরুতে হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিটিং করে গত বছরের ভাড়া পুনর্বহাল করার কথা বলা হয়েছিল এবং সবাই তা মেনেও নিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে হিমাগারগুলো অতিরিক্ত ভাড়া বেশি নেওয়া কাম্য নয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কালাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান দৈনিক বাংলাকে বলেন, এখন হিমাগার থেকে আলু বাহির করার মৌসুম চলছে। আমরা ইতোমধ্যে জানতে পারি আর. বি কোল্ড স্টোরেজে আলু সংরক্ষণের যে ভাড়া তা থেকে বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দুই দফা বসা হয়েছে। গতক শনিবার দুপুরে বগুড়া-জয়পুরহাট কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের মিটিংয়ের পরে তারা সিদ্ধান্ত জানাতে চেয়েছিলেন কিন্তু তারা জানাননি।

মন্তব্য

সারা দেশ
Cases in the capital violation of traffic laws are 1220 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে মামলা ১ হাজার ৯২০টি 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে মামলা ১ হাজার ৯২০টি 

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ৯২০টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়া অভিযানকালে ২৭৪টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

গতকাল রোববার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত শনিবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

সারা দেশ
Imams contribution to the development of ideological values ​​is huge
ধর্ম উপদেষ্টা

আদর্শিক মূল্যবোধের বিকাশে ইমামদের অবদান বিশাল

আদর্শিক মূল্যবোধের বিকাশে ইমামদের অবদান বিশাল

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ইমামরা সমাজের অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। নৈতিকতা ও আদর্শিক মূল্যবোধের বিকাশে তাদের অবদান বিশাল। জনগণের সঙ্গে তাদের সংযোগ সরাসরি। তারা সামাজিক শক্তির প্রতিভূ তাই তাদের সংগঠিত করা গেলে সমাজ পরিবর্তনের ধারাকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় হিফজুল কোরআন ও সিরাত প্রতিযোগিতা এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের জাতীয় সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খালিদ হোসেন বলেন, ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার (২০০১) পর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৬৩ হাজার ১৯৭ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মধ্যে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ ও অনুদান হিসেবে ৩৭ কোটি ৯২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ কোটি টাকা উদ্যোক্তাদের ঋণ এবং ২০ কোটি ৯১ লাখ টাকা অফেরতযোগ্য এককালীন অনুদান দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ সালে বিতরণ করা হয়েছে ৪ কোটি ১১ লাখ টাকা।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইসলামের অপব্যাখ্যাকে রুখে দেওয়া, সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা এবং সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা প্রতিষ্ঠার এখন গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমরা চাই এক শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ- যেখানে মসজিদ হবে জ্ঞানের কেন্দ্র, ইমাম হবেন নেতৃত্বের দিশারী। প্রতি বছর আমাদের প্রতিযোগিরা আন্তর্জাতিক হিফজ ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় যে সাফল্য অর্জন করছে তা গোটা জাতির জন্য গর্বের বিষয়। এটি প্রমাণ করে-আমাদের সন্তানদের মধ্যে কোরআনের আলো জ্বলছে। এখন দরকার এই আলোর ব্যবস্থাপনা।

আর সেই কাজেই ইমামদের প্রশিক্ষণ, উৎসাহ ও অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান।

এছাড়া অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, ড.খলিলুর রহমান মাদানী, ওলামায়ে কেরাম, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা ও প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাইতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।

সম্মেলনে হিফজুল কোরআন ও সিরাত প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী তিন গ্রুপের ৯ জন করে প্রতিযোগী এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে ৩ জন শ্রেষ্ঠ ইমাম, বিভাগীয় পর্যায়ে ২৪ জন, জেলা পর্যায়ে ১৯২ জন ইমাম এবং ৬৪ জন শ্রেষ্ঠ খামারি ইমামকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার ২ লাখ টাকা, দ্বিতীয় দেড় লাখ, তৃতীয় ১ লাখ টাকা এবং সিরাত প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার ৫০ হাজার, দ্বিতীয় ৪৫ হাজার এবং তৃতীয় ৪০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। এছাড়া শ্রেষ্ঠ ইমাম ও খামারি ইমামদের ক্ষেত্রেও যথা নিয়মে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

মন্তব্য

সারা দেশ
On the second day 22 thousand expelled 12 thousand students teachers
এইচএসসি পরীক্ষা

দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার, বহিষ্কার ৪২ শিক্ষার্থী-শিক্ষক

দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার, বহিষ্কার ৪২ শিক্ষার্থী-শিক্ষক

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে সারাদেশে অনুপস্থিত ছিলেন ২২ হাজার ৩৯১ (২২,৩৯১) জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার সময় নিয়মভঙ্গের দায়ে ৪১ শিক্ষার্থী ও ১ শিক্ষকসহ মোট ৪২ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার সকাল ১০টায় বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা বোর্ডগুলোর পাঠানো পরীক্ষাসংক্রান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।

রোববার সারাদেশে মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৫১ হাজার। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৮৭৫ (১,০৯৭,৮৭৫) জন। অর্থাৎ, অনুপস্থিতির হার প্রায় ২ শতাংশের কাছাকাছি। সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে ঢাকা বোর্ডে। সেখানে উপস্থিতির হার বেশ ভালো হলেও অনুপস্থিত ছিল ৩,৬৫৫ জন এবং বহিষ্কৃত হয়েছে ৮ জন।

কুমিল্লা বোর্ডে অনুপস্থিতির হার তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল—২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এ বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ৮৬ হাজার ৯৮৯ জন, যার মধ্যে ২,৬৮২ জন অনুপস্থিত ছিল এবং ২ জনকে বহিষ্কার করা হয়। দিনাজপুর, রাজশাহী, সিলেট ও কুমিল্লা বোর্ডেও অনুপস্থিতির সংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে চট্টগ্রাম ও যশোর বোর্ডে অনুপস্থিতির হার কিছুটা কম ছিল। এছাড়া ময়মনসিংহ বোর্ডে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৩ শিক্ষার্থীর সঙ্গে একজন শিক্ষককেও বহিষ্কার করা হয়েছে।

অন্যদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আরবি প্রথম পত্রের (সাধারণ ও বিজ্ঞান শাখা) পরীক্ষা হয়। এ বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮৩ হাজার ৭৮৩ জন। অংশগ্রহণ করেন ৭৯ হাজার ২৯২ জন এবং অনুপস্থিত ছিল ৪ হাজার ৪৯১ জন। এখানে সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত হয়েছেন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫২ জন শিক্ষার্থী। অনুপস্থিত ছিল ২ হাজার ২ জন, এবং বহিষ্কৃত হয়েছেন ৮ জন শিক্ষার্থী।

শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, দেশের বাইরে ঢাকা বোর্ডের অধীনে ৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ১২ লাখ ৫১ হাজার পরীক্ষার্থী। প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিল ১৯ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী। আর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় ৪৩ জনকে।

প্রসঙ্গত, এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট। এরপর ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

মন্তব্য

সারা দেশ
The decision to celebrate the new Bangladesh Day is canceled

‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল

‘শহীদ আবু সাঈদ দিবসের’ নাম পরিবর্তন
‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল

১৬ জুলাই ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবসের’ পরিবর্তে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া ৮ আগস্ট ঘোষিত ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালন করা হবে না। ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান’ দিবস উদযাপন করা হবে। রোববার উপদেষ্টা কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর তিন দিন পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।

এর আগে ২৫ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে বলা হয়েছিল, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া গণআন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের নিহত হওয়ার দিন ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে প্রচলিত কোটা প্রথার সংস্কারের দাবিতে গত বছরের জুলাইয়ে শুরু হওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ১৬ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথম নিহত হন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ।

৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা নিয়ে আপত্তি জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও আখতার হোসেন। এখন উপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্ত নিল, ৮ আগস্ট কোনো বিশেষ দিবস পালন করা হবে না। আর ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালন করা হবে।

মন্তব্য

p
উপরে