প্রথম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বরিশালের ৫০টির মধ্যে ৪১টিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। অন্য ৯টি ইউপিতে জয় পেয়েছেন জাতীয় পার্টির তিনজন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একজন এবং পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
জেলার ৯টি উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নে সোমবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোট চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। গণনা শেষে রাতে ঘোষণা করা হয় বেসরকারি ফল।
বেসরকারি ফলে ইউপি চেয়ারম্যান হলেন যারা-
বরিশাল সদর উপজেলা
কাশিপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কামাল হোসেন মোল্লা লিটন ৩ হাজার ৯৫৬, জাগুয়া ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হেদায়েত উল্লাহ খান ২ হাজার ৩৯৬, চরবাড়িয়া ইউনিয়নে নৌকার মাহতাব হোসেন সুরুজ ৬ হাজার ৮৯৯ এবং টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাদিরা রহমান চশমা প্রতীকে ৫ হাজার ৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
বাবুগঞ্জ উপজেলা
বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান খান আনারস প্রতীকে ৬ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন।
এ ছাড়া কেদারপুর ইউনিয়নে নৌকার নূরে আলম ৬ হাজার ৬৮৮, দেহেরগতিতে আওয়ামী লীগের মশিউর রহমান ৮ হাজার ৩৮৮ এবং মাধবপাশা ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির ছিদ্দিকুর রহমান লাঙল প্রতীকে ৭ হাজার ২৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
গৌরনদী উপজেলা
উপজেলার সাত ইউনিয়নের ছয়টিতেই আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছেন। তারা হলেন খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের নূর আলম সেরনিয়াবাত, বাটাজোরের আব্দুর রব হাওলাদার, বার্থীর আব্দুর রাজ্জাক, মহিলারার সৈকত গুহ পিকলু, চাঁদশীর নজরুল ইসলাম এবং নলচিড়ার গোলাম হাফিজ মৃধা।
আর সরিকল ইউনিয়নে ১৩ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক হোসেন মোল্লা।
বানারীপাড়া উপজেলা
এই উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও দুটিতে ভোটে জিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করা প্রার্থীরা হলেন উদয়কাঠি ইউনিয়নের রাহাদ আহম্মেদ ননী, বিশারকান্দির সাইফুল ইসলাম শান্ত, ইলুহারের শহিদুল ইসলাম, বানারীপাড়া সদরের আবদুল জলীল ঘরামী ও সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের সিদ্দিকুর রহমান।
এ ছাড়া চাখার ইউনিয়নে ৮ হাজার ৬৭৫ ভোট পেয়ে নৌকার মজিবুল হক টুকু ও বাইশারী ইউনিয়নে ৬ হাজার ২১৪ ভোট পেয়ে নৌকার শ্যামল চক্রবর্তী নির্বাচিত হয়েছেন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা
চরাদি ইউনিয়নে ৬ হাজার ২৭৮ ভোট পেয়ে নৌকার শফিকুল ইসলাম, দাড়িয়ালে ৫ হাজার ৪৩২ ভোট পেয়ে নৌকার শহিদুল ইসলাম হাওলাদার, ফরিদপুরে ৪ হাজার ৩৬৬ ভোট পেয়ে নৌকার শফিকুর রহমান এবং কবাই ইউনিয়নে ৫ হাজার ৩৯ ভোট পেয়ে নৌকার জহিরুল হক তালুকদার চেয়ারম্যান হয়েছেন।
এ ছাড়া নলুয়ায় নৌকার ফিরোজ আলম খান ৩ হাজার ৯২৬, কলসকাঠিতে নৌকার ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না ৬ হাজার ৩৫৪, গারুড়িয়ায় লাঙল প্রতীকের এসএম কাইয়ুম খান ৬ হাজার ৮৬৭, ভরপাশায় নৌকার আশ্রাফুজ্জামান খোকন ৮ হাজার ৯৬৬, রঙ্গশ্রীতে নৌকার বশিরউদ্দিন ৭ হাজার ৯৪৪ এবং পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নে নৌকার জাহিদুল হাসান ৯ হাজার ৬৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
উপজেলায় দুধল ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মোর্শেদ।
হিজলা উপজেলা
বড়জালিয়া ইউনিয়নে ১২ হাজার ৮৫৪ ভোট পেয়ে নৌকার এনায়েত হোসেন তালুকদার চেয়ারম্যান হয়েছেন।
এ ছাড়া গুয়াবাড়িয়ায় নৌকার শাহজাহান তালুকদার ৬ হাজার ৩৪৩ ভোট, হরিনাথপুরে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৌফিকুর রহমান ৫ হাজার ৪৯২ ভোট এবং মেমানিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসির উদ্দিন ৪ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা
মেহেন্দিগঞ্জ সদর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন। পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৯ ভোট। আর ভাষানচর ইউনিয়নে ৫ হাজার ৮০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার নজরুল ইসলাম চুন্নু।
মুলাদী উপজেলা
এই উপজেলার সদর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল আহসান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী লাভ করেছেন।
এ ছাড়া নাজিরপুর ইউনিয়নে নৌকার মোস্তাফিজুর রহমান ৮ হাজার ৫৩৩ ভোট, সফিপুরে নৌকার আবু মুসা ১৩ হাজার ৩৪৬, গাছুয়ায় নৌকার জসীম উদ্দিন ৫ হাজার ৭৮৫ ভোট, চরকালেখায় লাঙল প্রতীকে মিরাজুল ইসলাম ৪ হাজার ৬২৭ ভোট এবং কাজিরচর ইউনিয়নে ৯ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের মন্টু বিশ্বাস।
উজিরপুর উপজেলা
শোলক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হালিম সরদার বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছেন।
এ ছাড়া সাতলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী শাহীন হাওলাদার ১১ হাজার ৮৮৪ ভোট, জল্লায় নৌকা প্রতীকের বেবী রানী দাস ১০ হাজার ২২২, ওটরায় নৌকার এম এ খালেক ১২ হাজার ২১৯ এবং বড়াকোঠা ইউনিয়নে নৌকার সহিদুল ইসলাম ১৪ হাজার ৮৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
ভোটের এ ফল নিশ্চিত করেছেন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মান্নান, বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, গৌরনদীর মিজানুর রহমান তালুকদার, বানারীপাড়ার মো. মনিরুজ্জামান, বাকেরগঞ্জের সাইদুল ইসলাম, হিজলার দেলোয়ার হোসেন, মেহেন্দিগঞ্জের জহিরুল ইসলাম, মুলাদীর শওকত আলী এবং উজিরপুরের উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলীমদ্দিন।
আরও পড়ুন:নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত জেবল হক (৮০) কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে।
বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।
ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনো শুরু করা হয়নি।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।
সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।
এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।
এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করার প্রতিবাদ করায় ইয়াছিন (৩৮) ও সিপন( ৩২) নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপরজনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুড়াপাড়া টঙ্গীরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন মুড়াপাড়ার হাউলিপাড়া এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে এবং সিপন টঙ্গীরঘাট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় সোহরাব নামের এক যুবক মাদকাসক্ত অবস্থায় তাদের উদ্দেশে গালিগালাজ করলে ইয়াছিন প্রতিবাদ করেন। পরে তিনি খালাতো ভাই সিপনকে নিয়ে স্থানীয় অহিদুল্লার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। সেখানেই সোহরাব ক্ষিপ্ত হয়ে পিস্তল দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ইয়াছিনের মাথায় ও সিপনের পায়ে গুলি লাগে।
তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সিপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইয়াছিনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক সচরতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশ গ্রহণের সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে (২৫ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তৃতীয় তলায় মিনি কনফারেন্স হলরুমে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন,নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াসিন, গ্রাম আদালত নোয়াখালী ম্যানেজার আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুনসহ এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি বিচারাধীন মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। আদালতের নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মামলার বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুলকে শোকজ করেছেন বিচারক। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। ওই দিন মামলাটির (এসসি-১৬৬৯/২০১৮) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আদালতে আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী—সবাই উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিচারক মো. সালেহুজ্জামান মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, নথিতে মামলার এজাহারের কপি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল তার কাছ থেকে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজাহার দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবার নথি বিচারকের কাছে জমা দেন।
এরপর এজলাসেই বিচারক আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এজলাসে হাজির হন। একপর্যায় বিচারক ওই দুইজনকে শোকজ করে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিচারক এজলাসে ওঠার আগে আইনজীবী মামলার নথি নিয়েছিলেন। পরে ফেরত দেন। আমি নিজে নথিতে কোনো হেরফের করিনি। আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’
অন্যদিকে, আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল জানান, তিনি নথি নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বিচারক এজলাসে চলে আসায় তা যথাযথভাবে বেঞ্চ সহকারীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আসামির চালান কপি থেকে তথ্য নিয়েছেন। এজাহার সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।
যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। একজন আইনজীবী এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।’
আদালত ও আইনজীবী সমিতি সূত্র আরও জানায়, আদালতে থাকা মামলার মুল কপি থেকে মামলার এজাহারের কপি সরিয়ে নিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এজাহার কপি হারিয়ে গেলেও মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই মামলার এজাহারের ফটোকপি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরেও অনেক মাধ্যমে মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তবে, মুল নথিতে এজাহারের কপি না থাকাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় সূত্র।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মিজানুর রহমান রিপন (৪৮) নামের এক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর ও লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। মিজানুর রহমান রিপন ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।
গত রবিবার সন্ধার দিকে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান রিপন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমর সংবাদ পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। এঘটনায় ওই দিন রাতে ভূক্তভুগী নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
এযাহার সূত্রে জানাযায়, গত ৮ জুন উপজেলার তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকার তারাগুনিয়া ক্লিনিকে আখি খাতুন (২২) নামের এক প্রশুতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি সহ উপজেলার বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ প্রকাশ করে। তারি জের ধরে উপজেলা বাজারে থাকা সরকার নিষিদ্ধ ক্লিনিক বেবি নার্সিং হোম এর মালিক আহসান হাবিব কালুর ছোট ছেলে খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারে তাকে মারধর করে।
এবিষয়ে মিজানুর রহমান নামের ওই গণমাধ্যম কর্মী বলেন, গতকাল বিকেলে আমি উপজেলা বাজারে বাড়ির দৈনন্দিন বাজার করছিলাম এসময় খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারের বেবী ক্লিনিক মালিকের ছেলে আমার উপর হামলা চালায়। এসময় সে আমাকে বলে আমার হাসপাতালে যে ডাক্তার আসে সেই ডাক্তারের নামে তুরা নিউজ করেছিস বলে আমার উপর হামলা চালিয়ে বেদড়ক মারধর করে। এঘটনার পর আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
গণমাধ্যম কর্মীকে মারধরের বিষয়ে, দৌলতপুর উপজেলার একজন প্রবীন গণমাধ্যম কর্মী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটি কখনই কাম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ।
এঘটনায় দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল হুদা জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
অভিযুক্ত খালিদ হাসান আর্জু
মন্তব্য