× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
প্রচারে সহিংসতা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা
google_news print-icon

প্রচারে সহিংসতা, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা

প্রচারে-সহিংসতা-সুষ্ঠু-নির্বাচন-নিয়ে-শঙ্কা
নির্বাচনি প্রচারে সহিংসতায় সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা বরগুনায়। ছবি: নিউজবাংলা
দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রচার শুরুর পর বরগুনার বিভিন্ন ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত সহিংসতায় নিহত হয়েছেন একজন। আহত হয়েছেন শতাধিক নেতাকর্মী। এসব ঘটনায় আগ্নোয়াস্ত্রসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বরগুনার ছয়টি উপজেলার ২৯টি ইউনিয়নে ভোট হতে যাচ্ছে ২১ জুন। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটাররা বলছেন, নির্বাচনি প্রচারে ক্ষমতা ও আধিপত্য বিস্তার করে মাঠ দখলেই বেশি মরিয়া ছিলেন প্রার্থীরা।

দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রচার শুরুর পর বরগুনার বিভিন্ন ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত সহিংসতায় নিহত হয়েছেন একজন। আহত হয়েছেন শতাধিক নেতাকর্মী। এসব ঘটনায় আগ্নোয়াস্ত্রসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জেলা নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বরগুনার পাঁচ উপজেলায় ২৯টি ইউনিয়নের ২৬৫টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৯৬ হাজার ১২৬ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯৭১ জন ও পুরুষ ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ৪৭ হাজার ১৫৫ জন।

প্রচারে সহিংসতা ও আধিপত্য বিস্তার এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা করেছে জেলা পুলিশ।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ে পাঠানো ওই তালিকায় ২৯টি ইউনিয়নের ২৬৫ কেন্দ্রের ৮১টিকে ঝুঁকিপূর্ণ দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের ৩৪টি ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

স্থগিতের দ্বিতীয় দফায় ১১ জুন থেকে ইউপি নির্বাচনে প্রচারণা শুরুর পর সহিংসতায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পাঁচশর বেশি কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। এছাড়া নির্বাচনি প্রচারণায় প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মীদের কাছ থেকে আগ্নোয়াস্ত্র, ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠিসোটা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

প্রচারে সহিংসতা, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা

১২ জুন শনিবার বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের উত্তর করুনা গ্রামের খাল থেকে ইউসুফ আলী আকন নামে ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইউপি নির্বাচনকেন্দ্রিক বিরোধিতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

বরগুনার ২৯টি ইউনিয়নের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সদর উপজেলার আয়লা-পাতাকাটা ইউনিয়নে। সহিংসতায় আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়ি-ঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে মোটরসাইকেল।

১২ জুন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মজিবুল হক কিসলু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাররফ হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হন প্রায় ৩০ জন। দশটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় দুটি মোটরসাইকেলে। এ ঘটনায় উভয় প্রার্থীর পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ এনে একাধিক মামলাও হয়।

প্রচারে সহিংসতা, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা

বৃহস্পতিবার বরগুনার পাথরঘাটায় নির্বাচনি প্রচারে মোটরসাইকেলে চড়ে অস্ত্র উঁচিয়ে মহড়ার সময় আজিম হোসেন নামে একজনকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে পুলিশ। শর্তভঙ্গ করে নিবন্ধিত অস্ত্র নিয়ে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেয়ায় তাকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। প্রচার স্থগিতের আগেও ওই ইউনিয়নে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বরগুনা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নেও নৌকার প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন কবিরের সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার দফায় দফায় সংঘর্ষের হয়। আহত হন উভয় প্রার্থীর শতাধিক কর্মী-সমর্থক। সংঘর্ষে ব্যবহার হয় রামদা, টেঁটাসহ নানা ধরণের দেশীয় অস্ত্র। ভাঙচুর করা হয় মোটরসাইকেল।

শুক্রবার রাতে ইউনিয়নের কামড়াবাদ বাজারে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর প্রচার কার্যালয়ে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সমর্থকদের ৪৬ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় মামলা হয়। এছাড়া জেলা সদরের নলটোনা, ফুলঝুড়ি, বেতাগী উপজেলার সদর, সরিষামুড়ি, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী, পাথরঘাটার কাকচিড়া ও কাঠালতলীসহ বেশ কিছু ইউনিয়নে স্বতন্ত্র ও নৌকার সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ভোট স্থগিতের আগে দশ দিন নির্বাচনি প্রচার চলে। নির্বাচন স্থগিত পর্যন্ত প্রচারের সময়ও বিভিন্ন ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত দুইশ ব্যক্তি আহত হন। উদ্ধার হয় আগ্নোয়াস্ত্র ও ককটেল। এছাড়া সহিংসতায় জড়িয়ে যাওয়ায় বামন সদর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল সিকদারকে আটক করে মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়।

ইউপি নির্বাচনের প্রচারে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনায় শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ নিয়ে শঙ্কায় ভোটাররা। চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরাও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত।

সদরের কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ভোটার আবুল কালাম বলেন, ‘এইবার যেরকম মারামারি পিটাপিডি কোপাকুপি অইছে, ভোট দেতে কেন্দ্রে যামু কিনা সন্দেহ আছে।’

একইরকম বক্তব্য ২৯টি ইউনিয়নের প্রায় সব ভোটারদেরই।

বরগুনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বলেন, ‘বেশি ঝুঁকিপুর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে আমাদের স্পেশাল ফোর্স থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের কাছাকাছি ক্যাম্প স্থাপনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমরা মিটিং করে রেখেছি।’

বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, ‘ঝুঁকিপুর্ণ এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়ন থাকবে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত, স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।’

প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ১৮ মার্চ, যাচাই ১৯ মার্চ, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৪ মার্চ আর ভোটগ্রহণের তারিখ ছিল ১১ এপ্রিল।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় নির্বাচন কমিশন ১ এপ্রিল ৩৭১ ইউপি ১১ পৌরসভাসহ লক্ষীপুর-২ আসনে নির্বাচন স্থগিত করে।

২ জুন নির্বাচন কমিশন এসব ইউনিয়নে নতুন করে ২১ জুন ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করে।

প্রথম পর্যায়ের ইউপি নির্বাচনে বরগুনা জেলার ২৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক হাজার ৬১২ জন প্রার্থী হন। এদের মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪২ জন, আমতলির ৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫১ জন, বেতাগী ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, পাথরঘাটার ৩টি ইউনিয়নে ২৭ জন, বামনার ৪টি ইউনিয়নে ২১ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়াও সংরক্ষিত পদে ৩৪৬ এবং সাধারণ সদস্য পদে এক হাজার ৭৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।

আরও পড়ুন:
বরিশালের ৫০ ইউপিতে ভোট সোমবার: যাচ্ছে নির্বাচনি সামগ্রী
ইউপি নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, নিহত ২
বাউফলে নির্বাচন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯
গ্রামে সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ২
গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Chinmay the leader of the ISKCON arrested in three more cases

আরও ৪ মামলায় গ্রেপ্তার ইসকন নেতা চিন্ময়

আরও ৪ মামলায় গ্রেপ্তার ইসকন নেতা চিন্ময়

চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা পুলিশের কাজে বাধাসহ চার মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দীনের আদালতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রায়হানুল ওয়াজেদ বলেন, কোতোয়ালী থানার পুলিশের কাজে বাধা, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলাসহ চার মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা। আদালতে শুনানি হয় ও আসামি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কারাগার থেকে ভার্চুয়াল শুনানিতে যুক্ত ছিলেন। আদালত শুনানি শেষে চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন।

এদিকে চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর ভার্চুয়াল শুনানিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

গত ২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করার পর কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।

এসময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিচার্জ এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে এদিন বিকেলে রঙ্গম কমিউনিটি হল সংলগ্ন এলাকায় আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Jarridona canal in Kamlnagar

কমলনগরে ৮০ প্রভাবশালীদের দখলে জারিরদোনা খাল

উচ্ছেদের আদেশ হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেই প্রশাসনের
কমলনগরে ৮০ প্রভাবশালীদের দখলে জারিরদোনা খাল

ময়লা-আবর্জনা আর অবৈধ দখলের কারণে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ জারিরদোনা শাখা খালটি। এ জন্য যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব ও প্রশাসনের উদাসীনতাকে দুষছেন এলাকাবাসী।

উপজেলা সদর হাজিরহাট বাজার অংশে জারিরদোনা খাল দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ছোট-বড় বহু দোকানপাট ও বহুতল ভবন। কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই খালের পানি বাধাগ্রস্ত করে ইচ্ছামতো সরু পুল, কালভার্ট নির্মাণ করেছেন প্রভাবশালীরা। সেই সঙ্গে গড়ে তুলেছেন অবৈধ দোকানপাট। এ ছাড়া এলাকার কিছু প্রভাবশালী বাজারের আবর্জনা দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে খালটি ভর্তি করে ফেলেছেন। যাতে করে পরে সময় সুযোগ বুঝে ওই স্থান দখলে নেওয়া যায়।

এলাকাবাসী জানান, চরফলকন, চরলরেন্স, হাজিরহাট ও সাহেবেরহাট ইউনিয়নসহ উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কৃষিকাজ এ খালের পানি প্রবাহের ওপর নির্ভরশীল। পানির স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে যেমন পানি সংকটে কৃষিকাজ ব্যাহত হয়, তেমনি বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনজনিত সমস্যায় সয়াবিন, ধান, মরিচ, বাদাম ও সবজীসহ বিভিন্ন ফসল ও বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বর্তমান এ অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা চলছে। খালটি দখলের কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় জীবনযাত্রা চরম দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে মানুষের। বন্যার পানি না নামার কারণ হিসেবে খাল দখলকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

হাজিরহাট এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নূর সেলিম বলেন, জারিরদোনা শাখা খালটির সংযোগ সরাসরি মেঘনা নদীর সঙ্গে। আশির দশক পর্যন্ত এ খালটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হিসেবেই বিবেচিত ছিল। এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যেও এর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। ওই সময়ে কাঁচা রাস্তা দিয়ে বাস-ট্রাক যাতায়াত করা ছিল দুর্সাধ্য। এমনকি ৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এ অঞ্চলের সড়ক পথই ছিল না।

এদিকে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ৮০ দখলবাজের কবজা থেকে খালটি উদ্ধার করতে উচ্ছেদের আদেশ হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। তারা খাল উদ্ধারে গড়িমসি করে সময় পার করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

উপজেলা ভূমি অফিসের তথ্যমতে, পিএস জরিপে হাজিরহাট বাজার অংশে খালের প্রশস্ততা ছিল গড়ে প্রায় ৩২ ফুট। বর্তমান আরএস জরিপে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ২০ ফুটে। কিন্তু কিছু ইমারত (ভবন) এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে ওই সব অংশে খালের প্রশস্ততা বর্তমানে ২ থেকে ৩ ফুটের বেশি নেই।

হাজিরহাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল হাছান বলেন, ‘এলাকার বৃহত্তর স্বার্থে খালটি সংস্কার করে পানির প্রবাহ ঠিক রাখা একান্ত জরুরি। পুরো খাল দখল করে যারা ইমারত তৈরি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে খালটি দখলমুক্ত করা এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাত হুসাইন বলেন, ‘জারিরদোনা খাল দখলমুক্ত করতে ইতোমধ্যে আদেশ হয়েছে। আমরা দ্রুত কাজ শুরু করব।’

এ বিষয়ে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহাত-উজ জামান বলেন, খালটি সংস্কার ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Eid ul Azha 7 Day leave Press Secretary

ঈদুল আজহায় ১০ দিন ছুটি: প্রেস সচিব

ঈদুল আজহায় ১০ দিন ছুটি: প্রেস সচিব

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিন ছুটি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

মঙ্গলবার (৬ মে) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান।

পাশাপাশি ১৭ ও ২৪ মে দুটি শনিবার অফিস খোলা থাকবে বলে ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। তবে কবে থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে কবে শেষ হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

গত ঈদুল ফিতরে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি ছিল। ঈদে টানা পাঁচদিন ছুটি আগেই ঘোষণা করে সরকার। তার সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও এক দিন ছুটি বাড়ানো হয়। ওই ছুটি শুরুর দুদিন আগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ছুটি ছিল। মাঝে ২৭ মার্চ একদিন খোলা ছিল অফিস।

চলতি মে মাসে এরইমধ্যে টানা তিন দিন ছুটি উপভোগ করছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। দ্বিতীয় দফায় আরও একবার তিন দিনের ছুটি পেতে চলেছেন তারা। আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি। এরআগে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি আছে তাদের। অর্থাৎ এই মাসে দুদফায় তিন দিন করে ছুটি উপভোগ করবেন তারা।

মন্তব্য

সারা দেশ
Up Bangladesh political party is not a platform Junaid

‘আপ বাংলাদেশ’ রাজনৈতিক দল নয়, প্ল্যাটফরম : জুনায়েদ

‘আপ বাংলাদেশ’ রাজনৈতিক দল নয়, প্ল্যাটফরম : জুনায়েদ আলী আহসান জুনায়েদ

আগামী ৯ মে (শুক্রবার) আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ। যার সংক্ষিপ্ত রূপ ইউপিবি বা আপ বাংলাদেশ। তবে এটি রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম বলে জানিয়েছেন প্ল্যাটফরমের উদ্যোক্তা আলী আহসান জুনায়েদ।

গতকাল সোমবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানান তিনি।

তবে এর আগে জানা গিয়েছিল, রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা হচ্ছে আপ বাংলাদেশ।

ওই পোস্টে জুনায়েদ বলেন, আগামী ৯ মে (শুক্রবার) বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (ইউপিবি/আপ বাংলাদেশ)। এটি মূলত একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম, দল নয়।

জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করাই হবে এই প্ল্যাটফরমের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা বলে জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের মধ্যে আলী আহসান জুনায়েদ অন্যতম। গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা হওয়া নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ পদগুলোর মধ্যে একটি পদ পাওয়ার গুঞ্জন ছিল। পরে এক পোস্টে তিনি ওই দলে যাচ্ছেন না বলে জানান।

আজকের পোস্টে জুনায়েদ আরও বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে আমরা বাংলাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করে যোগ্য ও নৈতিক নেতৃত্বের বিকাশ, সুবিচার ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করতে চাই। ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের আলোকে সামাজিক চুক্তির পুনর্বহাল করে সাম্প্রদায়িক বন্ধন ও পারষ্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ সমাজ গড়ায় কাজ করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ, ধর্মবিদ্বেষ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে এই প্ল্যাটফরম কাজ করবে ইনশাআল্লাহ। আপনাদের সবার পরামর্শ, দোয়া ও সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। ৯ মে শহীদ মিনারে আপনাদের আমন্ত্রণ রইল।’

মন্তব্য

সারা দেশ
There will be more than five hundred in the country in the country NID DG

দেশে দ্বৈত এনআইডিধারী পাঁচ শতাধিক বহাল থাকবে প্রথমটি: এনআইডি ডিজি

দেশে দ্বৈত এনআইডিধারী পাঁচ শতাধিক বহাল থাকবে প্রথমটি: এনআইডি ডিজি

দেশে দ্বৈত এনআইডিধারীর সংখ্যা পাঁচ শতাধিক বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, দ্বৈত এনআইডি যাদের রয়েছে, তাদের ব্যাপারে পরিষ্কার সিদ্ধান্ত—প্রথমটি রেখে দ্বিতীয়টি বাদ যাবে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন এ এস এম হুমায়ুন কবীর।

তিনি বলেন, ‘মানুষের সেবা নিশ্চিত করা জন্য যৌক্তিক আবেদন কমিশন অতি দ্রুত অনুমোদন দিচ্ছে। কমিশন ও সচিবালয় আমরা সবাই মিলে মানুষকে দ্রুত সেবা দিতে চাই।’

ডিজি হুমায়ুন বলেন, ‘আমাদের এনআইডি অনুবিভাগে প্রচুর আবেদন আছে। এগুলো যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারি সে জন্য দায়িত্ব বণ্টন করে দিচ্ছি। ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যেও একটু ক্ষমতা পরিবর্তন করছি, যাতে সহজ হয়। আমাদের আঞ্চলিক পর্যায়ে ক্যাটাগরি করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। আমরা মনিটর করছি।’

তিনি আরও বলেন, দ্বৈত এনআইডি যাদের রয়েছে, তাদের ব্যাপারে পরিষ্কার সিদ্ধান্ত—প্রথমটি রেখে দ্বিতীয়টি বাদ যাবে। এ পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি দ্বৈত এনআইডি পাঁচ শতাধিক।

হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘প্রায় ১৩ কোটির বেশি তথ্য একটা একটা করে খোঁজা সম্ভব নয়। কেউ যদি তথ্য দেয় আর আমরা যদি দেখতে পাই তবে ব্যবস্থা নিই।’

এদিকে রোহিঙ্গাদের ডেটাবেজ সংরক্ষণ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অন্য একটি মন্ত্রণালয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে তাদের ডাটাবেজ যেখানেই থাকুক না কেন তার ব্যবহারের সুযোগ চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ বিষয়ে এনআইডি মহাপরিচালক হুমায়ুন বলেন, প্রথম সিদ্ধান্ত ছিল রোহিঙ্গাবিষয়ক ডেটাবেইসটা এপিআইয়ের মাধ্যমে ইসিকে দেওয়া। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য দপ্তর মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই তথ্য তাদের কাছে থাকবে। যদিও রোহিঙ্গাদের তথ্য সংরক্ষণের জন্য কোন মন্ত্রণালয়ে সার্ভার থাকবে, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সরকার বিকল্প কোনো সিদ্ধান্ত নিলে এনআইডি কর্তৃপক্ষ সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরও জানান, ‘রোহিঙ্গা এবং বিদেশিদের আমরা আমাদের ডেটাবেইসে প্রবেশ করতে দেব না।’

এদিকে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের ভোটের আওতায় আনতে অস্ট্রেলিয়াসহ আট দেশে ভোটার রেজিস্ট্রেশন কাজ শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ এই কার্যক্রম কানাডায় চালু হবে। এখন থেকে সুনির্দিষ্ট কারণ দর্শানো ব্যতীত এনআইডি সংশোধন আবেদন বাতিল করা যাবে না বলে জানিয়েছেন এনআইডির ডিজি।

মহাপরিচালক জানান, ৪০ দেশে এনআইডি সেবা চালুর বিষয়ে আগামী সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হতে যাচ্ছে।

এনআইডি সেবার দুর্ভোগ কমাতে নানা পদক্ষেপের কথা জানিয়ে ডিজি হুমায়ুন বলেন, দ্বৈত এনআইডিধারীদের প্রথমটি রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল ও রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার প্রবণতা ঠেকাতে আঙুলের ছাপ যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি রোহিঙ্গাদের আঙুলের ছাপ যাচাই করতে পারি তাহলেই হবে। কাজেই তাদের ভোটার তালিকায় ঢুকে যাওয়া সহজ হবে না। ভোটার হতে যিনি আসবেন, আমরা যত রকমভাবে সম্ভব চেক করে নেব।’

মন্তব্য

সারা দেশ
Khaleda Zia on the way to emotional leaders and staff

পথে পথে আবেগাপ্লুত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত খালেদা জিয়া

পথে পথে আবেগাপ্লুত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত খালেদা জিয়া

পথে পথে আবেগাপ্লুত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন দেশনেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

পথে পথে কেউ হাতে ফুল, কেউ ব্যানার-প্ল্যাকার্ড, কেউ বেগম খালেদা জিয়ার ছবিসংবলিত টি-শার্ট পরে, হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নেড়ে, শ্লোগানে শ্লোগানে প্রিয় নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।

‘খালেদা জিয়ার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘খালেদা, জিয়া’, ‘তারেক, রহমান’, ‘খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ পথে পথে নানা শ্লোগান দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা।

চিকিৎসা শেষে দীর্ঘ চারমাস পর যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে আজ ঢাকায় ফেরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে অবতরণ করে তাঁকে বহনকারী কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স)। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। পথে পথে আবেগাপ্লুত উচ্ছ্বসিত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি।

দলীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে যেভাবে নেতা-কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমেছেন, তা দলের প্রতি তাদের আস্থার প্রমাণ।’

বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কে কোথায় অবস্থান নিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাবেন, তা আগেই বলে দেওয়া হয়েছিল। তাদের সড়কে ভিড় না করে ফুটপাতে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। যাতে যানজট বা বিশৃঙ্খলা না হয়, সে জন্য পুরো পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। যদিও অগণিত মানুষকে সামাল দিতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। বহরের সামনে পিছনে এবং বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িকে ঘিরে মিছিল শ্লোগানে প্রকম্পিত করে রাখছে অগণিত নেতা-কর্মী।

বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে স্বাগত জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে এসেছেন তার দুই পুত্রবধূ-তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শার্মিলা রহমান।

সকাল থেকেই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়ক থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত জড়ো হন বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। তারা বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানায়।

মন্তব্য

সারা দেশ
The return of Khaleda Zia will ease the way of passing democracy
মির্জা ফখরুল

খালেদা জিয়ার ফিরে আসা গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে

খালেদা জিয়ার ফিরে আসা গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিনএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ফিরে আসা গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘকাল ফ্যাসিবাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ফ্যাসিবাদ বিদায় নেওয়ার পর কারাবন্দিত্ব থেকে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় ৪ মাস চিকিৎসা শেষে আজকে দেশে ফিরে আসছেন। এটা আমাদের জন্য, জাতির জন্য একটা আনন্দের দিন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র উত্তরণের এই সময়ে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি একটি উল্লেখযোগ্য দিক। তার ফিরে আসা আমাদের গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে। দেশকে সঠিক ও বৈষম্যহীন পথে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৫ জানুয়ারি থেকে তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে