× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
চাষাড়া বোমা হামলা বিচারের অপেক্ষায় ২০ বছর
google_news print-icon

চাষাড়া বোমা হামলা: বিচারের অপেক্ষায় ২০ বছর

চাষাড়া-বোমা-হামলা-বিচারের-অপেক্ষায়-২০-বছর
নিহত নজরুল ইসলামের মেয়ে সংগীতশিল্পী নুসরাত ইসলাম বৃষ্টি বলেন, ‘গত ২০ বছর বিচার পাইনি আর পাব কি না, তা জানি না। আমার বাবাসহ যারা মারা গেছেন, তারা আওয়ামী লীগ করেছে। বর্তমান সরকার আওয়ামী লীগের কিন্তু মামলার বিচার শেষ হচ্ছে না।’

২০ বছর পেরিয়ে গেলেও নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বোমা হামলার ঘটনার বিচার হয়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার আশায় আছে, প্রিয়জনের হত্যাকারী সাজা পাবে একদিন। আহত ব্যক্তিরা পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে আছেন।

২০০১ সালের ১৬ জুন নগরের চাষাড়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বোমা হামলা হয়। নিহত হন ২০ জন, আহত হন তৎকালীন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা লীগের শতাধিক নেতা-কর্মী।

এই দিনটি সেখানে পালিত হয় নারায়ণগঞ্জ বোমা হামলা ট্র্যাজেডি দিবস হিসেবে।

সেদিনের বোমা হামলায় দুই পা হারান রতন দাস। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘যারা নিহত হয়েছে, তারা বোঝে পরিবার নিয়ে কত কষ্টে আছে আর আমরা ভুক্তভোগী। বোমা হামলায় পা হারিয়েছি, ২০ জন মানুষ মারা গেল, কিন্তু এখন পর্যন্ত বিচার পেলাম না।’

নিহত নজরুল ইসলামের মেয়ে সংগীতশিল্পী নুসরাত ইসলাম বৃষ্টি বলেন, ‘গত ২০ বছর বিচার পাইনি আর পাব কি না, তা জানি না। আমার বাবাসহ যারা মারা গেছেন, তারা আওয়ামী লীগ করেছে। বর্তমান সরকার আওয়ামী লীগের কিন্তু মামলার বিচার শেষ হচ্ছে না।’

বোমা হামলা মামলার বাদী নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা বলেন, ‘মামলাটি অনেক বছর ধরে ঝুলে আছে। এর মধ্যে বিএনপি সরকারের সময় মামলার তদন্তে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়। কিন্তু আমরা সেটি মেনে নিইনি। পরে আদালতে নারাজি দিই।’

চাষাড়া বোমা হামলা: বিচারের অপেক্ষায় ২০ বছর

তিনি বলেন, বিস্ফোরক মামলায় ২০০৩ সালে ২৭ জনকে ও হত্যা মামলায় ২০১৪ সালে ২২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুটি মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। এরপর থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছিল। তবে করোনা মহামারির কারণে সাক্ষীরা আদালতে হাজির হতে পারছেন না।

বোমা হামলার পরদিনই বিএনপি নেতা-কর্মীদের আসামি করে হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি মামলা করেন অ্যাডভোকেট খোকন সাহা। চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন।

ওই বোমা হামলায় নিহত ব্যক্তিদের একজন ফুটপাতের পিঠা বিক্রেতা হালিমা বেগম। তার ছেলে কালাম এ ঘটনার পর শামীম ওসমান, তার দুই ভাইসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে উচ্চ আদালতে সেটি খারিজ হয়ে যায়।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৩ সালে বিস্ফোরক মামলায় ২৭ জনকে ও ২০১৪ সালে হত্যা মামলায় ২২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলায় গ্রেপ্তার হন চারদলীয় জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, ঢাকা সিটি করপোরেশনের কমিশনার আরিফুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল নেতা শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ ১০ জন।

আসামিদের মধ্যে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর বোমা হামলার মামলায় মুফতি হান্নানের মত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। কারাগারে রয়েছেন শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল ও আবদুস সালাম পিন্টু। ভারতে গ্রেপ্তার রয়েছেন দুই ভাই আনিসুল মোরছালিন ও মাহাবুবুল মুত্তাকিম।

মামলায় জামিনে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু ও ওবায়দুল হক। বাকি আসামিরা পলাতক। দুটি মামলায় ১০২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জন জনের সাক্ষ্য নেয়া শেষ হয়েছে।


চাষাড়া বোমা হামলা: বিচারের অপেক্ষায় ২০ বছর
বোমা হামলায় আহত রতন দাস

বোমা হামলার ঘটনার করা দুটি মামলা এখন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে বিচারাধীন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুর রহিম বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে মামলার আসামি ও সাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে না পারায় বিচারে দেরি হয়েছে। হত্যা মামলায় ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে এমপি শামীম ওসমানসহ ১৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডাক্তার ও ম্যাজিস্ট্রেট এখনও সাক্ষ্য দেননি। এ ছাড়া বিস্ফোরণ মামলায় ৮২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জন সাক্ষী দিয়েছেন।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুর রহিম আরও বলেন, ‘দুটি মামলায় যেসব সাক্ষী এখনও সাক্ষ্য দেননি তাদের দ্রুত আদালতে হাজির করে এ বছর মামলার বিচার শেষ হবে বলে আশা করছি।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Shaheed Tajuddin Ahmed Nursing College Students human bond

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ নার্সিং কলেজে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে শিক্ষার্থীরা আজ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, কলেজের শিক্ষক মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, মোঃ তাজুল ইসলাম এবং মোঃ মোখলেছুর রহমান নিয়মিতভাবে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণ করছেন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এসব কর্মকাণ্ডে কলেজে একটি অস্বাস্থ্যকর ও আতঙ্কিত পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যা শিক্ষার স্বাভাবিক ধারাকে ব্যাহত করছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও গত সাত কার্যদিবসেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং, কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রহসনমূলক ক্লাস রুটিন প্রণয়ন করে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

তারা দ্রুত অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের অপসারণ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

মানববন্ধনে কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তারা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের দাবির কথা জানান।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তারা সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ প্রতিষ্ঠার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছেন, কিন্তু কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। তাই এবার তারা প্রশাসনের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এ বিষয়ে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সোহেল রানা বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)-কে অবহিত করা হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
5 day National B Chess Competition begins in Magura

মাগুরায় ৫ দিনব্যাপী জাতীয় ‘বি’ দাবা প্রতিযোগিতা শুরু

মাগুরায় ৫ দিনব্যাপী জাতীয় ‘বি’ দাবা প্রতিযোগিতা শুরু

“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মাগুরায় ৫ দিনব্যাপী জাতীয় বি দাবা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের আয়োজনে এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থা, মাগুরা’র সহযোগিতা বৃহস্পতিবার জেলা ইনডোর স্টেডিয়ামে ৩৬ জুলাই, জাতীয় ‘বি’ দাবা প্রতিযোগিতা ২০২৫ (অঞ্চল-৩: খুলনা ও বরিশাল) আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়।

বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সদস্য আরিফুজ্জামান আরিফের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শামীম কবির, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব মো. ইলিয়াসুর রহমান, মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক ও ডা: জুলি চৌধুরী। এ সময় বিভিন্ন জেলা থেকে অংশ নিতে আসা দাবাড়ু, ক্রীড়া কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

এই প্রতিযোগিতা পাঁচ দিনব্যাপী ২১ থেকে আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। এতে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের মোট ১৮ জেলার ৫০ জন দাবাড়ু অংশগ্রহণ করবেন।

প্রতিযোগিতাটি ঘিরে মাগুরায় ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।

মন্তব্য

সারা দেশ
The PR system is a cycle to delay the election by judging and reform Shariful Alam

পিআর পদ্ধতি, বিচার ও সংস্কারের দোহায় দিয়ে নির্বাচনকে বিলম্ব করতে এক চক্র উঠে পড়ে লেগেছে: শরীফুল আলম

পিআর পদ্ধতি, বিচার ও সংস্কারের দোহায় দিয়ে নির্বাচনকে বিলম্ব করতে এক চক্র উঠে পড়ে লেগেছে: শরীফুল আলম

পিআর পদ্ধতি, বিচার ও সংস্কারের দোহায় দিয়ে নির্বাচনকে বিলম্ব করতে এক চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। তারা চাই না এদেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ দেশে যোগ্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করুক। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতেই দেশ থেকে স্বৈরাচারকে বিতারিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ভৈরব শহরের পৌর আ. আজিজ মাতৃ সদন চত্বরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম।

তিনি আরো বলেন, ৭১ কে বাদ দিয়ে শুধু ২৪ কে মূল্যায়ন করলে চলবে না। তিনি সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আহ্বায়ক নিয়াজ মোর্শেদ আঙ্গুর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী মো. শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক ভিপি মো. মুজিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম সুজন। আলোচনা সভা শেষে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে ভৈরব বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাপ্ত হয়।

মন্তব্য

সারা দেশ
Pottery is almost on the way to extinction with the touch of modernity in Magura

মাগুরায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় মৃৎশিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে

মাগুরায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় মৃৎশিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে

মাগুরা সহ সারাদেশে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগায় মৃৎশিল্প প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। রান্না বান্নাই আধুনিক জিনিসপত্র তৈরি হওয়াতে এখন আর সচরাচর দেখা যায় না মাটির কলস, হাড়ি, বাসন ইত্যাদি। ফলে পাল বংশের পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। সীমিত কিছু মাটির জিনিসপত্র তৈরি করে সংসার চালানো তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

একটা সময় পাল বংশ স্থাপত্য ও শিল্পকলার জন্য অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। আনুমানিক ৭৮১ থেকে ১১৮০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পাল বংশ বাংলায় প্রায় ৪০০ বছর রাজত্ব করেছে। পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোপাল। পরবর্তীতে ধর্মপাল ও দেবপাল এসে এই বংশের প্রসার ঘটান। দ্বাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পাল বংশের রাজত্বের অবসান ঘটে। পাল বংশের সেই রাজত্ব এখন আর না থাকলেও তাদের উত্তরশূরিরা এখনো অনেক জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাদের হাতের নিপুন কারু কাজের মাধ্যমে তারা বংশের নাম অক্ষুন্ন রেখেছেন।

মাগুরার বিভিন্ন এলাকায় পাল বংশের বসবাস থাকলেও অভাবের তাড়নায় তারা এ কাজ ছেড়ে অন্য পেশায় নিযুক্ত হচ্ছেন। সদর উপজেলার শ্রীকুন্ডি গ্রামে পাল বংশের হাতের তৈরি মৃৎশিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে। এক সময় এই গ্রামে ৩০-৪০ ঘর পাল বংশের লোকজন বাস করত। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে অনেকে গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি জমিয়েছে। একটা সময় এই গ্রামের পালদের হাতে তৈরি মাটির জিনিসপত্রের খুব কদর ছিল। তাদের বাপ-দাদার আমলের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে তারা এখনো এই কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি তাদের ছেলে মেয়ে ও ঘরের বউদেরকেউ এই কাজ শেখানো হয়। তারা মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলনা, হাড়ি, কলস, মাটির ব্যাংক, ফুলের টব, বাসন, ফুলদানি, দইয়ের হাড়ি, ল্যাট্রিন এর চারি ইত্যাদি জিনিসপত্র বানাতো। শুধু তাই নয় এগুলো তৈরি করার পর হাতে সুন্দর করে নকশা কেটে রোদে শুকিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে সেগুলিকে রং করে বাজারে বিক্রি করতো। নিজেদের জেলার চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এগুলো তারা বড় বড় শহরে বিক্রি করতো। আগে সবকিছুর দাম কম থাকায় তাদের সংসার ভালোভাবেই চলে যেত।

আগের দিনে দাদি নানীরা মাটির চুলায় মাটির হাঁড়িতে ভাত রান্না করত মাটির কলসে পানি রাখতো বাসনে ভাত খেত। কিন্তু বর্তমানে শহরের পাশাপাশি অনেক গ্রামেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাই এসব হাড়ি, কলস, বাসন এখন আর কেউ ব্যবহার করে না। এখন শুধুমাত্র মাটির চারি দইয়ের হাড়ি আর ব্যাংক তৈরি করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করছেন।

সবকিছুতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও ছোঁয়া লাগেনি মাটির জিনিসপত্র তৈরি করার ক্ষেত্রে। সেই মান্ধাতার আমলের মাটির চুল্লি, কাঠের জালানী ও মাটির ছাঁচ দিয়েই কাজ সারতে হয় তাদের।

বর্তমানে জ্বালানি এবং রঙের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই অভাবের তাড়নায় এ কাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজ করছে। বর্তমানে এই গ্রামে ১৪-১৫ ঘর পাল বাস করে।

মাগুরা শ্রীকুন্ডি গ্রামে সরেজমিনে গেলে সঞ্জয় কুমার পাল দৈনিক বাংলাকে জানান, আমাগের বাপ-দাদার আমলের ব্যবসা আমরা ছাড়তে পারবো না। সরকার যদি আমাগের একটু সাহায্য করতেন তাহলে আমরা এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতি পারতাম । আমরা এ ব্যাপারে সরকারের কাছ থেকে কোনদিন কোন অনুদান পায়নি।

সঞ্জয় কুমার পালের মত একই এলাকার দিলিপ পাল, সুভাষ পাল, নির্মলপাল, হিমপাল, নিমাই পাল, সোনাপাল এরকম আরো অনেকেই এই একই কথা বলেছেন।

একই এলাকার রানী পাল বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ এখন আমি মাটির জিনিসপত্র বানায়ে সংসার চালাই। কিন্ত খরি আর রঙের দাম অনেক বেশি সেই সাথে এগুলো বাজারে আনানিয়ার খরচও অনেক হওয়ায় আমাগের অনেক কষ্ট হয়ে যায়। তাই সংসার চালাতি কষ্ট হয়। টাকার জন্যি আমরা ঠিক মত ওষুধ কিনতি পারিনি।

সঠিক তদারকির অভাবে একদিন হয়তো পাল বংশের এই ঐতিহ্য ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যাবে। গ্রামবাসীরা এ ব্যাপারে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Watch Tower at Rangamati Childrens Park New Horizons of Tourism

রাঙামাটির শিশু পার্কে ওয়াচ টাওয়ার: পর্যটনের নতুন দিগন্ত

রাঙামাটির শিশু পার্কে ওয়াচ টাওয়ার: পর্যটনের নতুন দিগন্ত

রাঙামাটি শহরের শিশু পার্কে কাপ্তাই লেকের মাঝখানে নির্মিত আধুনিক ওয়াচ টাওয়ার ইতিমধ্যেই পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিচালিত এই শিশু পার্কে টাওয়ারটি ঘিরে এখন বাড়ছে পর্যটকের ভিড়। স্থানীয়রা এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুরা বলছেন, ওয়াচ টাওয়ার রাঙামাটির পর্যটনে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।

রাঙামাটির শিশু পার্কে ওয়াচ টাওয়ার: পর্যটনের নতুন দিগন্ত

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২০২৬ অর্থবছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় তিনতলা বিশিষ্ট ওয়াচ টাওয়ার ও ওয়াকওয়ে। এর দৈর্ঘ্যে ২৭৮ ফুট ও প্রস্থে ৮ ফুটের এই টাওয়ারে উঠে চোখ মেলে দেখা যায় এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদ ও আশপাশের পাহাড়ি সৌন্দর্য।

শিশু পার্কে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন বলেন, “সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পরিবার ও বাচ্চাদের নিয়ে শিশু পার্কে আসি। কিন্তু আজ ওয়াচ টাওয়ারে উঠে কাপ্তাই লেকের অপার সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হয়ে গেলাম। এটি রাঙামাটির পর্যটনের জন্য এক নতুন সংযোজন।”

রাঙামাটির শিশু পার্কে ওয়াচ টাওয়ার: পর্যটনের নতুন দিগন্ত

স্থানীয় পর্যটক রিয়া সেন বলেন, “আমি আগে অনেকবার কাপ্তাই লেকে ঘুরেছি, কিন্তু এত সুন্দর ভিউ একসাথে কখনো দেখিনি। এখানে দাঁড়িয়ে মনে হয় পুরো রাঙামাটিই চোখের সামনে।”

চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা শাহেদুল ইসলাম জানান, “ওয়াচ টাওয়ারে দাঁড়িয়ে কাপ্তাই লেকের দৃশ্য ক্যামেরায় বন্দি করেছি। এটি শুধু পর্যটকদের নয়, পুরো রাঙামাটির জন্যই এক নতুন সংযোজন।”

এদিকে, পাহাড়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিএইচটি ট্যুরিজম অ্যান্ড কালচার রিসার্চ সেন্টার-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, “ওয়াচ টাওয়ারটি শুধু রাঙামাটির নয়, পুরো পাহাড়ি অঞ্চলের পর্যটন খাতকে আরও এগিয়ে নেবে। এতে দেশি-বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ বাড়বে।”

রাজশাহী থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মোহনা আক্তার বলেন, “রাঙামাটির পাহাড়-নদী-লেকের সমন্বয় সবসময় আমাকে টানে। ওয়াচ টাওয়ারে উঠে মনে হলো আমি যেন আকাশের আরও কাছে চলে এসেছি।”

রাঙামাটির শিশু পার্কে ওয়াচ টাওয়ার: পর্যটনের নতুন দিগন্ত

এ প্রসঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা বলেন, “শিশু পার্কে ওয়াকওয়ে ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে। এখানে দাঁড়িয়ে পর্যটকেরা কাপ্তাই লেক ও পাহাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন, যা রাঙামাটির পর্যটন বিকাশে বড় ভূমিকা রাখবে।”

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, শিশু পার্কের ভেতরে লেকের মাঝখানে নির্মিত এই ওয়াচ টাওয়ার রাঙামাটিকে নতুনভাবে পরিচিত করবে দেশি-বিদেশি ভ্রমণপিপাসুদের কাছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Selling eggs at high prices in Bhuapur

ভূঞাপুরে বেশি দামে ডিম বিক্রি, ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ভূঞাপুরে বেশি দামে ডিম বিক্রি, ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে ডিম বিক্রির অপরাধে দুই ডিম ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা পৌর শহরের পুরাতন কাঁচা বাজারে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হোসেন।

অর্থদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাইফুল ইসলাম ও জাকির হোসেন। এ দুজনকেই ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হোসেন বলেন, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ডিম বিক্রি করায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Gobiprabi administration in a strict position against ragging

র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে গোবিপ্রবি প্রশাসন

র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে গোবিপ্রবি প্রশাসন

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে র‍্যাগিং একটি নিন্দনীয় প্রথা হিসেবে বিদ্যমান। নতুন শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে হয়রানি করার এ ধরনের কার্যক্রম শুধু পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করছে না, বরং অনেক সময় তা ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশজুড়ে বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের বিপর্যস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে র‍্যাগিং প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) প্রশাসন। শুধু নিয়মকানুন প্রণয়ন নয়, প্রয়োজনে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। র‍্যাগিংকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে কমিটি গঠন, সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও নিয়মিত টহলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব বলেন, “র‍্যাগিং বন্ধ করার জন্য আমাদের একটি কমিটি আছে। অতি দ্রুতই আমরা উক্ত কমিটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেবো। ইউজিসি থেকে মাদক এবং শৃঙ্খলাবিষয়ক একটি সেমিনার আয়োজনের নির্দেশনা আছে। আমরা উক্ত সেমিনারে র‍্যাগিংয়ের বিষয়টি সংযুক্ত করবো যেহেতু এটি আইনশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে।”

সহকারী প্রক্টর আরিফুল ইসলাম বলেন, “ক্লাস টাইমে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি নিয়মিত টহল দিচ্ছি এবং শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং ও মাদকের অপকারিতা সম্পর্কে কাউন্সেলিং করছি। যদি কোনও শিক্ষার্থী র‍্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত অবস্থায় ধরা পড়ে তাহলে আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবো। এই শাস্তির মধ্য দিয়ে যাতে অন্য শিক্ষার্থীরা সচেতন হয় আমরা সেই ব্যবস্থাও গ্রহণ করবো।”

তিনি আরও বলেন, “র‍্যাগিংয়ের ভুক্তভোগী কোনও শিক্ষার্থী যদি যথাযথ প্রমাণসহ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাহলে আমরা অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন কঠোর অবস্থান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন অনেকেই। অভিভাবকরাও আশা করছেন, এসব পদক্ষেপ র‍্যাগিংয়ের মতো নিন্দনীয় প্রথা বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য

p
উপরে