পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দেশব্যাপী গ্রামীণ রাস্তার দুই পাশে তালগাছের চারা রোপণের জন্য ২০১৭ সালে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্দেশনা অনুযায়ী ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগ নেয়।
চারা রোপণের জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ দেয়া না হলেও অর্থ খরচ হচ্ছে কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্প থেকে। এর আওতায় রংপুরের আট উপজেলার ছয়টিতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে তালগাছের চারা রোপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬৭টি।
এর মধ্যে মিঠাপুকুর উপজেলায় ৫১ হাজার, পীরগাছা উপজেলায় ২৩ হাজার, তারাগঞ্জ উপজেলায় ১ হাজার ৬৫০, গংগাচড়া উপজেলায় চার হাজার এবং পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৫ হাজার ৫০০টি তালগাছের চারা রোপণ করা হয়। রংপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার অফিস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তবে রংপুরে এতসংখ্যক তালের চারা রোপণ করার কথা বলা হলেও বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। অযত্ন-অবহেলায় এসব গাছ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, ‘পায়রাবন্দের বেগম রোকেয়ার স্মৃতিকেন্দ্রে যাওয়ার পথের সড়কে যে চারাগুলো লাগাইছিলাম, তা দুই-চারটা হয়তো আছে। সেগুলো দেখতে পাবেন। তবে যত্নের অভাবে বাকি গাছগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।’
পীরগঞ্জের চৈত্রকোল ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের অনন্তরামপুর নয়াপাড়া গ্রামের একটি সড়কে কিছু তালের চারা রোপণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো নাই। পাশের জমির মালিকরা তুলে ফেলছে। জমির ক্ষতি হয় এ জন্যই জমির মালিকরা গাছগুলো রাখেনি।’
বদরগঞ্জের গোপীনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তালগাছ তো আমার চোখে পড়ে না। কোন এলাকায় লাগানো হয়েছে, তা-ও জানি না। খোঁজ নিতে হবে।’
একই অবস্থা পীরগাছা, তারাগঞ্জ ও গংগাচড়া উপজেলাতেও। গাছের হিসাব খাতায় থাকলেও সড়কে বাস্তবে এর কোনো মিল নেই।
রংপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবু তাহের মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে তালগাছ লাগানোর। সে ক্ষেত্রে আমাদের বলা হয়েছে কৃষি বিভাগের পরামর্শে গাছ লাগাতে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমরা যেসব গাছ লাগিয়েছি, তা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চলতি অর্থবছরেও (২০২০-২১) তালগাছ ও বীজ রোপণ করেছি। অনেক জায়গায় রোপণ করা গাছগুলো নষ্ট হয়েছে এটা ঠিক। এগুলো রক্ষায় আমাদের অফিসার, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের আরও যত্নশীল হতে হবে। তাহলেই এগুলো রক্ষা পাবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু রংপুর জেলা নয়, বিভাগের বাকি আট জেলারও একই অবস্থা। গাছ বা বীজ রোপণ করেই দায়িত্ব শেষ হয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। ফলে অস্তিত্ব নেই এসব তালগাছের।
গাইবান্ধায় প্রতি ইউনিয়নে এক লাখ তালের চারা
গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিশ আলী জানান, ২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধা জেলার তিন পৌরসভা ও সাত উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে এক লাখ তালের চারা রোপণ করা হয়।
এর মধ্যে গাইবান্ধা পৌরসভা এলাকায় ৯ হাজার, গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় ৩ হাজার ও সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় ২ হাজার এবং বাকি ইউনিয়নগুলোতে ১ হাজার ১০০টি করে তালের চারা ও বীজ রোপণ করা হয়।
একেএম ইদ্রিশ আলী জানান, ওই বছরের পর আর নতুন করে গাছ বা বীজ রোপণ করা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু তালগাছ হচ্ছে। তবে সবগুলো টিকে নাই। সবগুলো টিকার আশাও করছি না। গরু-ছাগলে কিছু খেয়ে ফেলেছে। ফিফটি পারসেন্টও যদি টিকে যায়, তাতেই আলহামদুলিল্লাহ।’
সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউপি সদস্য নুরুন্নবী আকন্দ বলেন, ‘আমি নিজেও অনেক তালের আঁটি পুঁতেছিলাম। কিন্তু একটাও টেকে নাই। আমার জানামতে, ইউনিয়নের কোনো রাস্তায় এক সারিবদ্ধ কোনো তাল গাছ নাই। চোখেও পড়েনি কোনো দিন।’
এদিকে, কী পরিমাণ চারা গাছ দৃশ্যমান রয়েছে এর সঠিক তথ্য দিতে পারেননি জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা।
নীলফামারীতে ৭২ হাজার তালের চারা
নীলফামারী জেলায় গত দুই অর্থবছরে ৭২ হাজার ১১০টি তালের চারা রোপণ করা হয়।
এর মধ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৪ হাজার ১০টি এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৮ হাজার ১০০টি চারা রোপণ করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর এবং ইউনিয়ন পরিষদ এসব চারার রক্ষণাবেক্ষণ করছে।
তবে মাঠপর্যায়ে পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হতে বসেছে সেগুলো। কোথায় রোপণ করা হয়েছে, সেটিরও নিশ্চয়তা নেই। নেই চিহ্নিতকরণ ব্যবস্থাও।
জেলার সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম জানান, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় দুই অর্থবছরে ২৩ হাজার ৮৬০টি তালের বীজ বপন করা হয়েছে। এই অর্থবছরেও বীজ বপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এলিনা আকতার বলেন, ‘কোথাও কোথাও তালের বীজ নষ্ট হয়েছে। কোথাও ঠিক রয়েছে।’
উপজেলা প্রশাসন ছাড়াও পিআইও এবং ইউনিয়ন পরিষদ রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা এই তালবীজগুলো।
ঠাকুরগাঁওয়ে ফাঁকা পড়ে রয়েছে রাস্তার ধার
২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর ঠাকুরগাঁওয়ের ৭০ হাজার তালবীজ বপন অভিযান শুরু হয়।
সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নে লাগানো সেই ১৫ হাজার তালের বীজের কোনোটিই গাছ হয়নি, ফাঁকা পড়ে রয়েছে রাস্তার ধার।
আকচা ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চৌরঙ্গী বাজার যাওয়ার রাস্তায় ১৫ হাজার তালবীজ বপন করা হয়েছিল। কিন্তু পরে ইটভাটার মহেন্দ্র গাড়ি যাওয়ার কারণে গাছগুলো গজিয়ে উঠতে পারেনি। কয়েকটা গাছ গজালেও স্থানীয় কিছু মানুষ সেই চারাগুলো নষ্ট করে ফেলে।’
ঠাকুরগাঁওয়ের ত্রাণ ও পুনর্বাসন সহকারী কমিশনার শামছুজ্জামান আসিফ বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় মোট ৭০ হাজার তালবীজ বপন করার কথা ছিল ২০১৭ সালে। তখন এই বীজ বপন শুরু করে কৃষি বিভাগ। আকচা ইউনিয়নে ১৫ হাজার চারা বপন করলেও সেই জায়গায় কোনো গাছের দেখা মেলেনি। এখন আমরা জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করছি।’
বাকি উপজেলার বীজগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কোথাও তালগাছ এখনও চোখে পড়েনি। আমরা দেখব বিষয়টি।’
গরু-ছাগলে খেয়েছে লালমনিরহাটের তালগাছ
লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় ২২ হাজার ৫০০ তালের চারা লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে লালমনিরহাট সদরে পাঁচ হাজার, কালীগঞ্জে আড়াই হাজার, আদিতমারীতে পাঁচ হাজার, হাতীবান্ধায় পাঁচ হাজার এবং পাটগ্রামে পাঁচ হাজার।
স্থানীয় প্রশাসন এই গাছগুলো ভালো আছে দাবি করলেও বাস্তবে এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
সদর উপজেলার হারাটি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫০টি তালের চারা লাগাইছিলাম, কিন্তু তার একটাও নাই। গরু ছাগল খেয়ে শেষ করছে।’
কালীগঞ্জের তুষভাণ্ডার ইউপি চেয়ারম্যান নুর ইসলাম বলেন, ‘তালের বীজ লাগাইছিলাম, কিন্তু এখন পর্যন্ত গাছ হয় নাই। তবে তাল গাছের বীজ থেকে চারা গজাতে দুই থেকে চার বছর লাগে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না কী হবে।’
লালমনিরহাট সদরের ইউএনও উত্তম কুমার বলেন, ‘তালগাছের চারা ও বীজ উভয়ই লাগানো হয়েছে। কিন্তু বীজগুলো এখনও গজায়নি। চারাগুলো কি অবস্থায় আছে সেটি আমি ঠিক বলতে পারব না।’
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জাকির হোসেন বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনকে দিয়ে রোপণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। অনেক জায়গায় কিছু গাছ দৃশ্যমান আছে আবার কোথাও নেই। এগুলো কীভাবে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে আমরা পরামর্শ করব এবং নির্দেশনা দিব।’
রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পূর্তিতে বুধবার প্রাণ হারানো শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন হতাহত শ্রমিক, তাদের পরিবার, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও পুলিশ সদস্যরা।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ওই দুর্ঘটনায় পাঁচটি পোশাক কারখানার এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দুই সহস্রাধিক শ্রমিক।
ট্র্যাজেডির বার্ষিকীতে আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শ্রমিক ও সংগঠনগুলোর সদস্যরা।
সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার সকাল থেকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়।
একে একে নিহত শ্রমিকের পরিবার, আহত শ্রমিক, পুলিশ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ফুলের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে ওঠে বেদি। ওই সময় নিহত শ্রমিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পরে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ, র্যালি ও মানববন্ধন করা হয়।
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানো শ্রমিকদের অনেক স্বজন প্রিয়জনের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
সমাবেশে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পর এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।
একই সঙ্গে ভবনের মালিক সোহেল রানার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডেরও দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের চকরিয়ায় কক্সবাজারগামী একটি ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা স্টেশনে এ দুর্ঘটনার পর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল যোগাযোগ। খবর ইউএনবির
কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি ডুলাহাজারা স্টেশনে প্রবেশের সময় ইঞ্জিন ও দুইটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি জানিয়ে গোলাম রব্বানী বলেন, উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে
ঢাকার সাভারের রানা প্লাজা ধসের ভয়াবহ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। ৯ তলা ভবনের পুরোটাই ধসে পড়ে আহত হয়েছেন অনেক শ্রমিক। পঙ্গুত্ব নিয়ে বছরের পর বছর ধরে মানবেতর দিনযাপন করছেন তাদের অনেকে।
শারীরিক যন্ত্রণায় অসুস্থ হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছেন কেউ কেউ। যারা বেঁচে আছেন এখনও তাদের তাড়া করে দুঃসহ সেদিনের স্মৃতি। পুনর্বাসন আর ক্ষতিপূরণের আশায় বুক বেঁধে আছেন রানা প্লাজার সেই ক্ষতিগ্রস্তরা।
শ্রমিক ও তাদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর দাবি, ১১ বছর আগে সেদিন পরিকল্পিতভাবে শ্রমিকদের কারখানায় কাজ করতে বাধ্য করিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। ঘটনার এতদিন পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত হতাহতদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণে কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি মালিক কিংবা সরকারপক্ষ।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ওই দুর্ঘটনার ৫টি পোশাক কারখানার ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক মারা যান। আহত হয়ে পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রায় ২ সহস্রাধিক শ্রমিক।
কী ঘটেছিল সেদিন, সে কথা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন আহত শ্রমিক শিলা বেগম। তিনি বলেন, ২৩ এপ্রিল সকালে কারখানায় আসার পর মালিকপক্ষ ছুটি দিয়ে দেয়। আবার পরদিন ২৪ এপ্রিল বিকেলে শিপমেন্ট আছে জানিয়ে কারখানায় বাধ্যতামূলক আসার কথা জানিয়ে মাইকিং করে। না আসলে ওভারটাইমের টাকা কেটে নেয়ার কথা বলে মালিকপক্ষ।
তিনি বলেন, ২৪ এপ্রিল সকালে কারখানায় সব শ্রমিক আসার পর সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারটের চালু করা হয়। এরপরই হঠাৎ বিকট শব্দে পুরো কারখানা ধুলোয় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। ওই সময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। যখন জ্ঞান ফেরে তখন আমি বিশাল আকৃতির বীমের নিচে আটকে পড়ে আছি।
শিলা বেগম বলেন, উদ্ধারকারীরা এরপর আমাকে বাঁচাতে পারলেও গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি। অপারেশনের পর এত বছর ধরে নানা শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে কোন রকমে বেঁচে আছি। ওই সময় সরকার ও বিদেশি বায়ারদের সামান্য সহযোগিতা পেলেও তা চিকিৎসার পেছনেই শেষ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সরকার কিংবা মালিকপক্ষ দীর্ঘ ১১ বছর হয়ে গেলেও আমাদের কোনো খোঁজ রাখেনি। এ রকমভাবে বেঁচে থাকার চাইতে সেদিন মরে গেলেও অনেক শান্তি পেতাম। অন্তত এত কষ্ট বয়ে বেড়াতে হতো না। অর্থাভাবে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হতো না। আমরা দ্রুত আমাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন চাই।
মনির হোসেন নামে ষষ্ঠ তলায় কাজ করা আরেক শ্রমিক বলেন, ঘটনার দিন আমিসহ আরও সাতজন ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়েছিলাম। পাশেই আরও দুই-তিনজন আটকে পড়ে বাঁচার আকুতি করছিল। সেই দৃশ্য আমি কোনদিনও ভুলতে পারব না। ওই ঘটনায় আমার কোমড়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। শরীরের অনেক জায়গায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হই।
তিনি বলেb, রানা প্লাজা ভবন ধসের ১১ বছর পার হয়ে গেলেও আমি ক্ষতিপূরণ পাইনি। সাহায্য হিসেবে যে অর্থ পেয়েছিলাম তা চিকিৎসার পেছনেই খরচ হয়ে গেছে। শুধু ২৪ এপ্রিল আসলেই আমাদের খোঁজ করে সাংবাদিকরা। তা ছাড়া আর কেউ আমাদের খবরও নেয় না। আমরা দুঃসহ যন্ত্রণার জীবন নিয়ে বেঁচে থেকেও যেন মরে গেছি।
গুরুতর আহত ইয়ানুর আক্তার নামে এক শ্রমিক বলেন, আমার বয়স যখন ১৩ বছর তখন পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে বাধ্য হয়েই রানা প্লাজায় চাকরি নিয়েছিলাম। চতুর্থ তলার একটি কারখানায় হেলপার পদে কাজ করতাম। ছয় ভাই-বোন ও মা-বাবার মুখে হাসি ফোটাবো ভেবেছিলাম। কিন্তু সেদিনের ঘটনা আমার জীবন থেকে সব কেড়ে নিয়ে গেছে। ভবনের নিচে চাপা পড়ার কারণে আমার হাত ও পায়ে ছয়টি অপারেশন করতে হয়েছে। এরপর থেকে কাজ তো দূরের কথা স্বাভাবিক কাজও করতে পারি না। তারপরও পরিবারকে বাঁচাতে কাজ খুঁজে যাচ্ছি। যখন যা পাই তাই করি।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার ১১ বছর পার হয়ে গেল এখনও আমাদের পুনর্বাসনে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। প্রতিবছর এই দিনে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে আসি আমাদের দুঃখের কথাগুলো জানানোর জন্য। কিন্তু মিডিয়ায় সেগুলো প্রচার হলেও তা কেউ শোনে না বলে আমার মনে হয় না। আমাদের চোখের পানির মূল্য যেন কারও কাছে নেই। অভিশপ্ত এই জীবন নিয়ে বাঁচা আর সম্ভব হচ্ছে না। একে তো শারীরিক যন্ত্রণা। তার উপর মাঝে মধ্যেই সেই ভয়ানক স্মৃতি মনে হলে ঘুমের মধ্যে আঁতকে উঠি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, বাংলাদেশে এই যে, এত বড় ঘটনা ঘটল। বিশ্বের মধ্যে এত বড় ট্র্যাজেডি। এই ঘটনায় আইন অনুযায়ী গার্মেন্টস মালিকরা দায়ী থাকে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, গার্মেন্টস মালিকরা দায়ী থাকলেও তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে এবং তাদের ব্যাপারে কোনো আওয়াজ নেই। তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থাও নেই।
তিনি বলেন, শুধু ভবন মালিক রানা শাস্তি পাচ্ছে, রানা জেলে আছে। কিন্তু যারা যারা গার্মেন্টসের মালিক তারা সবাই বাইরে। তারা হয়তো তাদের ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করছে। অথচ ওই কারখানাতে ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করত। তারা হয়ত বড় ব্যবসা করছে। মালিকরা ব্যবসা করছে। শুধু এটাতে ভিকটিম হয়েছে যারা শ্রমিক তারা। চিকিৎসা, বিচারের ও পুনর্বাসনের দাবিতে তারা মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, ১১ বছরেও এর কোনো প্রতিকার হয়নি। উপরন্তু অনেক ঘটনা আছে, মামলা আছে সেসব মামলায় কিন্তু দ্রুত শাস্তি হয়, বিচার হয়। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করা হয়। কিন্তু এই রানা প্লাজার এত বড় ঘটনার পরেও আমরা দেখছি, বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি এবং এটার জন্য দায়ী ব্যক্তিরা শাস্তি পায়নি। আদৌ হবে কি না তার নিশ্চয়তা নেই।
গার্মেন্টস খাতে এর প্রভাব পড়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা গার্মেন্টস সেক্টরে প্রভাব পড়বে অবশ্যই। গার্মেন্টসের মালিকরা চাচ্ছে যে, গার্মেন্টসে যদি কাজ করতে এসে কোনো শ্রমিক মারা যায় তাহলে এর জন্য তার কোনো শাস্তি হবে না। বিচারের আওতায় আনা হবে না। এর আগেও তাজরিনসহ বিভিন্ন গার্মেন্টসে দুর্ঘটনা ঘটেছে। মানে মানুষের যে বিচার পাওয়ার যে অধিকার সেই জায়গাটা কিন্ত হারিয়েছে। শ্রমিকরা কর্মস্থলে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারছে না।
খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যারা যারা আমাদের প্রডাক্টটা ব্যবহার করে তারাও কিন্তু আওয়াজ তুলছে। এখনও চলছে যাতে কর্মপরিবেশ নিশ্চিত হয়। কিন্তু আওয়াজ ওঠার পরও আমরা দেখছি যে যথাযথ ব্যবস্থা কিন্তু নেয়া হচ্ছে না। যার কারণে এই ধরনের পরিস্থিতি হলে আমাদের দেশের গার্মেন্টসের এক্সপোর্টে কিন্তু এই প্রভাবটা পড়বে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে ব্যাংকক পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুপুর ১টা ০৮ মিনিটে (স্থানীয় সময়) পৌঁছালে থাই উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল তাকে স্বাগত জানান। খবর ইউএনবির
বিমানবন্দরে তাকে স্ট্যাটিক গার্ড অফ অনার এবং ১৯ বার গান স্যালুট দেয়া হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
কর্মকর্তারা জানান, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতেই এ সফর।
১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এ প্রথম বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সফর এটি।
২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সফরকালে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে লেটার অফ ইনটেন্টসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতা নথি সই হবে।
‘দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং সম্পর্ক সম্প্রসারণে পর্যটন খাতে সহযোগিতা ও শুল্ক সম্পর্কিত পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আরও ২টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চাইবে জানিয়ে হাছান মাহমুদ জানান, নৌ সংযোগের বিষয়েও আলোচনা হবে।
২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হবে। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে নথি সই শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
সফরকালে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাকলাওচাওহুয়া এবং ও রানি সুথিদা বজ্রসুধাবিমালাক্ষণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে এ বহুপক্ষীয় সফরে ২৫ এপ্রিল কমিশন ফর ইউএনএসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিয়ে সেখানে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই দিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়া আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
‘লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অষ্টম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ অ্যাজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে অঞ্চলব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ হবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের এ অধিবেশনে একত্রিত করবে।
আরও পড়ুন:অতি তীব্র দাবদাহ, সঙ্গে কড়া রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পাবনাসহ এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জীবন। অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে আম, লিচু ও ফসল।
তীব্র এ গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে পাবনা জেলা শহরের টার্মিনাল এলাকার দারুল আমান ট্রাস্টের ক্যাম্পাসে খোলা আকাশের নিচে বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ইসতিসকার নামাজ ও দোয়া করেছেন পাবনাবাসী।
নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পাবনা ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক ও মসজিদে আত তাকওয়ার পেশ ইমাম মাওলানা আবদুস শাকুর।
তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ প্রার্থনাও করা হয়।
নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বয়ানে আবদুস শাকুর বলেন, ‘পৃথিবীর মাটি যখন শুকিয়ে যায় বা অনাবৃষ্টি ও খরা দেখা দেয় এবং কূপ ও ঝরনা পানি কমে যায় অথবা নদী শুকিয়ে যায় তখন ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। খোলা মাঠে জামায়াতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এই নামাজে কোনো আজান বা ইকামত নেই।’
এদিকে তীব্র গরমের মধ্যে ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার পাবনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস বলছে এ তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন:গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য বুধবার তিন ঘণ্টা রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গ্যাস থাকবে না।
এদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করবে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, যেসব এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে সেগুলো হলো- শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী।
আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে জানিয়ে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
বাহিনীটি বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কমান্ডার আরাফাত ইসলাম, (এনডি), বিপিএম (সেবা), এনইউপি, পিসিজিএম, বিএন অদ্য ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি কমান্ডার খন্দকার আল মঈন (সি), বিপিএম (বার), পিএসসি, বিএনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
‘কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন চৌকস অফিসার। তিনি ১৯৯৫ সালে ৩৫তম বিএমএ লং কোর্সের সাথে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন নৌ বাহিনীতে ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন জাহাজের অধিনায়ক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম দেশ ও বিদেশে নৌবাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কমান্ডার আরাফাত ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রেষণে র্যাবে যোগ দেন। তিনি ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত র্যাব-১৩-এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মন্তব্য