১৮ জেলায় বজ্রপাতে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ ও চট্টগ্রামেই মারা গেছেন ১০ জন।
মৃতদের মধ্যে নারী, শিশু ও শ্রমিক রয়েছেন।
এর আগে বজ্রাঘাতে শনিবার ৭ জন ও শুক্রবার ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিউজবাংলার হিসাবে এ নিয়ে গেল তিন দিনে মৃত্যু হলো ৪৮ জনের।
সিরাজগঞ্জের চার উপজেলায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লাপাড়ার আগদিঘল, বেলকুচির চর সমেশপুর, সলঙ্গার আঙ্গারু এবং শাহজাদপুরের চর আঙ্গারু ও বাতিয়া গ্রামে রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন উল্লাপাড়া উপজেলার আগদিঘল গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্র ফরিদুল ইসলাম, বেলকুচির চর সমেশপুর গ্রামের লাইলি বেগম, সলঙ্গার আঙ্গারু গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও শাহজাদপুর উপজেলার চর আঙ্গারু গ্রামের কৃষক জুয়েল রানা ও বাতিয়া গ্রামের কৃষক আলহাজ পণ্ডিত।
উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল নিউজবাংলাকে জানান, ফরিদুল মাঠে ধান কাটা শেষে বাড়ি ফেরার সময় আগদিঘল গ্রামের কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
শাহজাদপুর উপজেলায় দুই কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি কায়েমপুর ইউপির চেয়ারম্যান হাসিবুল হক হাসান ও নরিনা ইউপির চেয়ারম্যান ফজলুল হক, বেলকুচিতে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি বেলকুচি থানার ওসি গোলাম মোস্তফা, সলঙ্গায় একজনের মৃত্যুর বিষয়টি সলঙ্গা থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী নিশ্চিত করেছেন।
বজ্রাঘাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামেও।
ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ছমুরহাট এলাকায় সকাল ৮টার দিকে বজ্রাঘাতে মারা গেছেন ভানুমিত দাশ ও লাকি রানী দাশ। এ সময় আহত হয়েছেন মালতী দাশ ও শোভা রানী দাশ।
তাদের বাড়ি কাঞ্চননগর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামে।
ছমুরহাট বাজার কমিটির সভাপতি মাওলানা আনিছুর রহমান জানান, ওই চারজন কৃষিশ্রমিক। সকালে ছমুরহাট বাজারের পাশে একটি জমিতে কাজ করছিলেন তারা। সে সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে তারা আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ভানুমিত ও লাকিকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ফটিকছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইলিয়াছ ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বজ্রপাতে দুই নারীর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এখন ঘটনাস্থলে আছি।’
জেলার বোয়ালখালীতে বেলা ১১টার দিকে বজ্রাঘাতে মারা গেছেন মো. জাহাঙ্গীর নামের এক দিনমজুর। উপজেলার জৈষ্ঠ্যপুরা পাহাড়ের গরজংগিয়া এলাকায় লেবু বাগানে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে আহত হন জাহাঙ্গীর। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে কাজ করার সময় বজ্রপাতে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটায় মৃত্যু হয় তার।
মৃত মোহাম্মদ জলিল আহাম্মদ উপজেলার বার আউলিয়ার হাফিজ জুট মিল এলাকার মৃত নুরুল আলমের ছেলে। তার বয়স ৪০ বছর।
হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বার আউলিয়ার একটি শিপইয়ার্ডে কাজ করার সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে তার ভাই ফয়েজ আহম্মেদ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে এলে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার মৃত্যু হয়।’
তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানান শীলব্রত বড়ুয়া।
এ ছাড়া মিরসরাইয়ে সাজ্জাদ হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আইয়ুব আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে বজ্রাঘাতে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন তার মা।
উপজেলার বৈলট এলাকায় রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
১৮ বছর বয়সী শাহীন হোসেন ঘিওর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি শিবালয়ের মহাদেবপুর ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজে পড়তেন।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, শাহীন ও তার মা ধানক্ষেতে কাজ করছিলেন। বৃষ্টি শুরু হলে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে শাহীনের মৃত্যু হয়। আহত হন তার মা।
এদিকে দৌলতপুরে বজ্রপাতে দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের চরভারাঙ্গা এলাকায় রোববার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃত গোলাম মোস্তফা চরকাঠুরী এলাকায় আব্দুল বাতেন মিয়ার ছেলে। তিনি মহিষের গাড়ি চালাতেন।
ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রমজান আলী বলেন, বাদাম আনতে বিকেলে চরভারাঙ্গা এলাকায় যান গোলাম মোস্তফা। এ সময় হঠাৎ বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নে বজ্রাঘাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও তিনজন।
চৌবাড়িয়া ও তালা উপজেলার খলিশখালী ইউনিয়নে হরিণখোলা গ্রামে রোববার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- হরিণখোলা গ্রামের আশুতোষ মন্ডলের ছেলে কিশোর মন্ডল ও চৌবাড়িয়া গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে রাবেয়া খাতুন। আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের আলমপুরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রাঘাতে এক শিশু ও এক কিশোরী মারা গেছে।
মৃতরা হলো ৬ বছর বয়সী আল আমিন ও ১৫ বছর বয়সী তামান্না আক্তার।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম জানান, সকালে উপজেলার আলমপুর গ্রামের আনু ফরাজি বাড়ির সোলেমানের মেয়ে তামান্না আক্তার ও বাহার উল্লার ছেলে আল আমিন বৃষ্টির সময় ঘর থেকে বের হয়। তখনই বজ্রপাত হলে তারা আহত হয়। স্বজনরা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দুটি তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পটুয়াখালীতে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
সদর ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় রোববার বিকেলে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া গ্রামের প্রয়াত মুনসুর আলী হাওলাদারের ছেলে মজিবর রহমান এবং মির্জাগঞ্জ উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের প্রয়াত সেরজন আলী হাওলাদারের ছেলে আবদুল জলিল হাওলাদার।
জলিল পেশায় একজন কৃষক এবং মজিবর শ্রমিক ছিলেন।
মির্জাগঞ্জ ও সদর থানা পুলিশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিকেল ৪টার দিকে মজিবর বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিল। এসময় রাস্তায় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিবুল্লাহ জানান, মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে জলিল নিজ বাড়ির পাশে কৃষি জমিতে বীজ রোপণ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার ভাদ্রা ও বেকড়া ইউনিয়নে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন ভাদ্রার গাংবিহালী গ্রামের বক্তার খানের ছেলে আলমাস খান এবং বেকড়ার বেকড়া মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত পলান মিয়ার ছেলে সোনা মিয়া।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুসলেম উদ্দিন বলেন, বিকেলে গাংবিহালী চকে ধানের খড় শুকাচ্ছিলেন আলমাস। এসময় বজ্রবৃষ্টি শুরু হলে তিনি বাড়ি ফিরে আসতে থাকেন। পথে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
বেকড়া মধ্যপাড়ার সোনা মিয়া রাতে নিজ বাড়ির উঠানে বজ্রপাতে মারা যান।
নাগরপুর থানার ওসি (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়ার ধুনটে আম কুড়ানোর সময় বজ্রপাতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরেক শিশু।
উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের নিত্তিপোতা গ্রামে রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ৮ বছর বয়সী আদিল হোসেনের বাবার নাম আব্দুল মোমিন। আহত হয়েছে সাত বছরের আরমান হোসেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধুবালা বলেন, আদিল ও আরমানের বাড়ি পাশাপাশি। ঝড়ের সময় আদিলের বাড়ির উঠানে দুজনই আম কুড়াচ্ছিল।
এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই আদিল মারা যায়। আহত হয় আরমান। আরমানকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুরের শিবচরে বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার চরজানাজাত ইউনিয়নের বালুরটেকে এলাকায় রোববার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ৫০ বছর বয়সী আয়েশা বেগম ওই এলাকার ছোরফান হাওলাদারের স্ত্রী।
শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন জানান, দুপুরে আয়েশা বেগম নিজ জমিতে বাদাম তুলতে যান। বিকেলের দিকে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
মেহেরপুরের মুজিবনগরে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
দারিয়াপুর ইউনিয়নে রোববার বিকেলে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃত ফরিদ নওদা ওই ইউনিয়নের পুরুন্দপুর গ্রামের প্রয়াত বক্স নওদার ছেলে।
মুজিবনগর থানার ওসি আবুল হাশেম নিউজবাংলাকে বলেন, বিকেলে নটগাড়ির মাঠে নিজ আবাদি জমির ফসল দেখতে যান ফরিদ। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। পরে পুলিশের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
নোয়াখালীর হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নে বজ্রপাতে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলা সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজচরা গ্রামে রোববার বিকেল ৫টায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃত আবদুল মান্নান মাইজচরা গ্রামের মৌলভী সৈয়দ আহমেদের ছেলে এবং স্থানীয় মাইজদী বাজারের পান ব্যবসায়ী।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরান হোসেন বলেন, রোববার বিকেলে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে মাঠ থেকে গরু আনতে যান খোকন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে আশপাশের লোকজন এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
পাবনার আটঘরিয়ায় বজ্রপাতে এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত যুথি খাতুন পাবনা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের পাইকেল গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে।
আটঘরিয়া থানার ওসি হাফিজুর বলেন, বিকেলে বাড়ির পাশের বাগানে আম কুড়াতে গেলে বজ্রপাতে যুথির মৃত্যু হয়। মেয়েটি কয়রাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ত।
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়।
তার নাম ছকিরন বেগম। তিনি বিনোদপুর ইউনিয়নের ঘুল্লিয়া গ্রামের সুরমাউন শেখের স্ত্রী।
ঘুল্লিয়া ঠাকুর পাড়ায় রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিকদার নিউজবাংলাকে বলেন, বিকেল থেকেই বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হচ্ছিল। এ সময় উঠানে কাজ করছিলেন ছকিরন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার।
মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি মৃত্যুর খবর শুনেছি। ঝড়বৃষ্টি থামলে পুলিশ পাঠাব।’
শরীয়তপুরে বজ্রপাতে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
জাজিরা উপজেলায় রোববার সন্ধ্যা ৭টায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত আতিকুর রহমান জাজিরা উপজেলার ছোট কৃষ্ণনগর গ্রামের মো. ফারুক মাদারের ছেলে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় বাড়ি ফিরছিল আতিকুর। বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
বরিশালের উজিরপুরে বজ্রাঘাতে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও এক শ্রমিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর মডেল থানার পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুমন হোসেন।
সাতলা ইউনিয়নের সাতলা গ্রামে রোববার বিকেলে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃত নান্টু বালী ওই এলাকার ইউনুস বালীর ছেলে। আহত সুমন একই এলাকার পল্টু খানের ছেলে।
এএসআই সুমন বলেন, বিকেলে ঝড় ও বৃষ্টির মধ্যে কচা নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু তুলছিলেন নান্টু ও সুমন। এ সময় বজ্রপাতে তারা দুজনেই গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নান্টুকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া বরিশালের মুলাদীতে বজ্রপাতে কৃষক হাচেন আলী সরদারের মৃত্যু হয়েছে। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলার রুইথনপুর গ্রামে রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃত কোরবান আলী একই গ্রামের মৃত ফকির আলীর ছেলে।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবীর জানান, বিকেলে বৃষ্টি শুরু হলে রুইথনপুর গ্রামের মাঠে যান কৃষক কোরবান। তার নিজ কচুক্ষেতে সার ছিটানোর সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মাঠের অন্য কৃষকরা তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নেয়।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বৃষ্টির মধ্যে মাঠে খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে কলেজছাত্রের মৃতু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও দুইজন।
শেখরননগর মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে রোববার বিকেল ৩টায় দিকে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আহত দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মৃত অপূর্ব বর্মন উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের শেখরনগর জেলে পাড়া গ্রামের স্বপন বর্মনের ছেলে এবং আলী আজগর অ্যান্ড আব্দুল্লাহ কলেজের এইচ এসসির পরীক্ষার্থী। আহতরা হলেন অপু বর্মন ও পরিচয় বর্মন।
শেখরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর মটুকপুর গ্রামে রোববার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃত আমিনুর রহমান ওই গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
গংগাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, জমিতে কাজ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় জিডি হয়েছে।
আরও পড়ুন:কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন
র্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।
মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।
পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।
কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।
ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”
স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শপথ গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী আয়োজিত ‘লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই মাসে নিহত শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ। তিনি উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, দুর্নীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকার করেন অংশগ্রহণকারীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, "জুলাই পুনর্জাগরণ কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি আমাদের চেতনার বাতিঘর। সেই শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আজকের এই সম্মিলিত শপথ হোক দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার একটি নতুন অঙ্গীকার। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারে।"
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম উর্মি, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।
বক্তারা জুলাইয়ের শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের এই সফল আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে এক নতুন মাত্রা দেয়। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি কালীগঞ্জের মানুষের মধ্যে দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।
ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।
টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।
তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।
চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝাড়ি বাজারের করতোয়া নদীসংলগ্ন এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।
দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক্টরসহ চালক রাজু ইসলাম ও শান্ত আহমেদকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আদালতের রায়ে রাজু ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা লঙ্ঘন করায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। তবে রাজু ইসলাম অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় ট্রাক্টর দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য