× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
১৩ জেলা ব্রজাঘাতে ২৩ মৃত্যু
google_news print-icon

১৮ জেলায় বজ্রাঘাতে ৩২ মৃত্যু

১৮-জেলায়-বজ্রাঘাতে-৩২-মৃত্যু
বজ্রাঘাতে সিরাজগঞ্জ ও চট্টগ্রামেই মৃত্যু ১০ জনের। মৃতদের মধ্যে নারী, শিশু ও শ্রমিক রয়েছেন। এর আগে বজ্রাঘাতে শনিবার ৭ জন ও শুক্রবার ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিউজবাংলার হিসাবে এ নিয়ে গেল তিন দিনে মৃত্যু হলো ৪৮ জনের।

১৮ জেলায় বজ্রপাতে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ ও চট্টগ্রামেই মারা গেছেন ১০ জন।

মৃতদের মধ্যে নারী, শিশু ও শ্রমিক রয়েছেন।

এর আগে বজ্রাঘাতে শনিবার ৭ জন ও শুক্রবার ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিউজবাংলার হিসাবে এ নিয়ে গেল তিন দিনে মৃত্যু হলো ৪৮ জনের।

সিরাজগঞ্জের চার উপজেলায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

উল্লাপাড়ার আগদিঘল, বেলকুচির চর সমেশপুর, সলঙ্গার আঙ্গারু এবং শাহজাদপুরের চর আঙ্গারু ও বাতিয়া গ্রামে রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন উল্লাপাড়া উপজেলার আগদিঘল গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্র ফরিদুল ইসলাম, বেলকুচির চর সমেশপুর গ্রামের লাইলি বেগম, সলঙ্গার আঙ্গারু গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও শাহজাদপুর উপজেলার চর আঙ্গারু গ্রামের কৃষক জুয়েল রানা ও বাতিয়া গ্রামের কৃষক আলহাজ পণ্ডিত।

উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল নিউজবাংলাকে জানান, ফরিদুল মাঠে ধান কাটা শেষে বাড়ি ফেরার সময় আগদিঘল গ্রামের কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।

শাহজাদপুর উপজেলায় দুই কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি কায়েমপুর ইউপির চেয়ারম্যান হাসিবুল হক হাসান ও নরিনা ইউপির চেয়ারম্যান ফজলুল হক, বেলকুচিতে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি বেলকুচি থানার ওসি গোলাম মোস্তফা, সলঙ্গায় একজনের মৃত্যুর বিষয়টি সলঙ্গা থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী নিশ্চিত করেছেন।

বজ্রাঘাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামেও।

ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ছমুরহাট এলাকায় সকাল ৮টার দিকে বজ্রাঘাতে মারা গেছেন ভানুমিত দাশ ও লাকি রানী দাশ। এ সময় আহত হয়েছেন মালতী দাশ ও শোভা রানী দাশ।

তাদের বাড়ি কাঞ্চননগর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামে।

ছমুরহাট বাজার কমিটির সভাপতি মাওলানা আনিছুর রহমান জানান, ওই চারজন কৃষিশ্রমিক। সকালে ছমুরহাট বাজারের পাশে একটি জমিতে কাজ করছিলেন তারা। সে সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে তারা আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ভানুমিত ও লাকিকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ফটিকছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইলিয়াছ ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বজ্রপাতে দুই নারীর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এখন ঘটনাস্থলে আছি।’

জেলার বোয়ালখালীতে বেলা ১১টার দিকে বজ্রাঘাতে মারা গেছেন মো. জাহাঙ্গীর নামের এক দিনমজুর। উপজেলার জৈষ্ঠ্যপুরা পাহাড়ের গরজংগিয়া এলাকায় লেবু বাগানে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে আহত হন জাহাঙ্গীর। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে কাজ করার সময় বজ্রপাতে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটায় মৃত্যু হয় তার।

মৃত মোহাম্মদ জলিল আহাম্মদ উপজেলার বার আউলিয়ার হাফিজ জুট মিল এলাকার মৃত নুরুল আলমের ছেলে। তার বয়স ৪০ বছর।

১৮ জেলায় বজ্রাঘাতে ৩২ মৃত্যু


হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বার আউলিয়ার একটি শিপইয়ার্ডে কাজ করার সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে তার ভাই ফয়েজ আহম্মেদ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে এলে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার মৃত্যু হয়।’

তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানান শীলব্রত বড়ুয়া।

এ ছাড়া মিরসরাইয়ে সাজ্জাদ হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আইয়ুব আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মানিকগঞ্জের ঘিওরে বজ্রাঘাতে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন তার মা।

উপজেলার বৈলট এলাকায় রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

১৮ বছর বয়সী শাহীন হোসেন ঘিওর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি শিবালয়ের মহাদেবপুর ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজে পড়তেন।

ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, শাহীন ও তার মা ধানক্ষেতে কাজ করছিলেন। বৃষ্টি শুরু হলে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে শাহীনের মৃত্যু হয়। আহত হন তার মা।

এদিকে দৌলতপুরে বজ্রপাতে দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের চরভারাঙ্গা এলাকায় রোববার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

মৃত গোলাম মোস্তফা চরকাঠুরী এলাকায় আব্দুল বাতেন মিয়ার ছেলে। তিনি মহিষের গাড়ি চালাতেন।

ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রমজান আলী বলেন, বাদাম আনতে বিকেলে চরভারাঙ্গা এলাকায় যান গোলাম মোস্তফা। এ সময় হঠাৎ বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নে বজ্রাঘাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও তিনজন।

চৌবাড়িয়া ও তালা উপজেলার খলিশখালী ইউনিয়নে হরিণখোলা গ্রামে রোববার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন- হরিণখোলা গ্রামের আশুতোষ মন্ডলের ছেলে কিশোর মন্ডল ও চৌবাড়িয়া গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে রাবেয়া খাতুন। আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের আলমপুরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রাঘাতে এক শিশু ও এক কিশোরী মারা গেছে।

মৃতরা হলো ৬ বছর বয়সী আল আমিন ও ১৫ বছর বয়সী তামান্না আক্তার।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম জানান, সকালে উপজেলার আলমপুর গ্রামের আনু ফরাজি বাড়ির সোলেমানের মেয়ে তামান্না আক্তার ও বাহার উল্লার ছেলে আল আমিন বৃষ্টির সময় ঘর থেকে বের হয়। তখনই বজ্রপাত হলে তারা আহত হয়। স্বজনরা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দুটি তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পটুয়াখালীতে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

সদর ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় রোববার বিকেলে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া গ্রামের প্রয়াত মুনসুর আলী হাওলাদারের ছেলে মজিবর রহমান এবং মির্জাগঞ্জ উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের প্রয়াত সেরজন আলী হাওলাদারের ছেলে আবদুল জলিল হাওলাদার।

জলিল পেশায় একজন কৃষক এবং মজিবর শ্রমিক ছিলেন।

মির্জাগঞ্জ ও সদর থানা পুলিশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিকেল ৪টার দিকে মজিবর বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিল। এসময় রাস্তায় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।

মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিবুল্লাহ জানান, মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে জলিল নিজ বাড়ির পাশে কৃষি জমিতে বীজ রোপণ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

১৮ জেলায় বজ্রাঘাতে ৩২ মৃত্যু

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার ভাদ্রা ও বেকড়া ইউনিয়নে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন ভাদ্রার গাংবিহালী গ্রামের বক্তার খানের ছেলে আলমাস খান এবং বেকড়ার বেকড়া মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত পলান মিয়ার ছেলে সোনা মিয়া।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মুসলেম উদ্দিন বলেন, বিকেলে গাংবিহালী চকে ধানের খড় শুকাচ্ছিলেন আলমাস। এসময় বজ্রবৃষ্টি শুরু হলে তিনি বাড়ি ফিরে আসতে থাকেন। পথে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।

বেকড়া মধ্যপাড়ার সোনা মিয়া রাতে নিজ বাড়ির উঠানে বজ্রপাতে মারা যান।

নাগরপুর থানার ওসি (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়ার ধুনটে আম কুড়ানোর সময় বজ্রপাতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরেক শিশু।

উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের নিত্তিপোতা গ্রামে রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃত ৮ বছর বয়সী আদিল হোসেনের বাবার নাম আব্দুল মোমিন। আহত হয়েছে সাত বছরের আরমান হোসেন।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধুবালা বলেন, আদিল ও আরমানের বাড়ি পাশাপাশি। ঝড়ের সময় আদিলের বাড়ির উঠানে দুজনই আম কুড়াচ্ছিল।

এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই আদিল মারা যায়। আহত হয় আরমান। আরমানকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

১৮ জেলায় বজ্রাঘাতে ৩২ মৃত্যু


মাদারীপুরের
শিবচরে বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার চরজানাজাত ইউনিয়নের বালুরটেকে এলাকায় রোববার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত ৫০ বছর বয়সী আয়েশা বেগম ওই এলাকার ছোরফান হাওলাদারের স্ত্রী।

শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন জানান, দুপুরে আয়েশা বেগম নিজ জমিতে বাদাম তুলতে যান। বিকেলের দিকে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

মেহেরপুরের মুজিবনগরে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

দারিয়াপুর ইউনিয়নে রোববার বিকেলে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

মৃত ফরিদ নওদা ওই ইউনিয়নের পুরুন্দপুর গ্রামের প্রয়াত বক্স নওদার ছেলে।

মুজিবনগর থানার ওসি আবুল হাশেম নিউজবাংলাকে বলেন, বিকেলে নটগাড়ির মাঠে নিজ আবাদি জমির ফসল দেখতে যান ফরিদ। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। পরে পুলিশের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

নোয়াখালীর হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নে বজ্রপাতে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলা সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজচরা গ্রামে রোববার বিকেল ৫টায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

মৃত আবদুল মান্নান মাইজচরা গ্রামের মৌলভী সৈয়দ আহমেদের ছেলে এবং স্থানীয় মাইজদী বাজারের পান ব্যবসায়ী।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরান হোসেন বলেন, রোববার বিকেলে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে মাঠ থেকে গরু আনতে যান খোকন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে আশপাশের লোকজন এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

পাবনার আটঘরিয়ায় বজ্রপাতে এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

মৃত যুথি খাতুন পাবনা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের পাইকেল গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে।

আটঘরিয়া থানার ওসি হাফিজুর বলেন, বিকেলে বাড়ির পাশের বাগানে আম কুড়াতে গেলে বজ্রপাতে যুথির মৃত্যু হয়। মেয়েটি কয়রাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ত।

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়।

তার নাম ছকিরন বেগম। তিনি বিনোদপুর ইউনিয়নের ঘুল্লিয়া গ্রামের সুরমাউন শেখের স্ত্রী।

ঘুল্লিয়া ঠাকুর পাড়ায় রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিকদার নিউজবাংলাকে বলেন, বিকেল থেকেই বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হচ্ছিল। এ সময় উঠানে কাজ করছিলেন ছকিরন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার।

মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি মৃত্যুর খবর শুনেছি। ঝড়বৃষ্টি থামলে পুলিশ পাঠাব।’

শরীয়তপুরে
বজ্রপাতে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

জাজিরা উপজেলায় রোববার সন্ধ্যা ৭টায় তার মৃত্যু হয়।

মৃত আতিকুর রহমান জাজিরা উপজেলার ছোট কৃষ্ণনগর গ্রামের মো. ফারুক মাদারের ছেলে।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় বাড়ি ফিরছিল আতিকুর। বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।

বরিশালের উজিরপুরে বজ্রাঘাতে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও এক শ্রমিক।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর মডেল থানার পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুমন হোসেন।

সাতলা ইউনিয়নের সাতলা গ্রামে রোববার বিকেলে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

মৃত নান্টু বালী ওই এলাকার ইউনুস বালীর ছেলে। আহত সুমন একই এলাকার পল্টু খানের ছেলে।

এএসআই সুমন বলেন, বিকেলে ঝড় ও বৃষ্টির মধ্যে কচা নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু তুলছিলেন নান্টু ও সুমন। এ সময় বজ্রপাতে তারা দুজনেই গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নান্টুকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া বরিশালের মুলাদীতে বজ্রপাতে কৃষক হাচেন আলী সরদারের মৃত্যু হয়েছে। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

আলমডাঙ্গা উপজেলার রুইথনপুর গ্রামে রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

মৃত কোরবান আলী একই গ্রামের মৃত ফকির আলীর ছেলে।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবীর জানান, বিকেলে বৃষ্টি শুরু হলে রুইথনপুর গ্রামের মাঠে যান কৃষক কোরবান। তার নিজ কচুক্ষেতে সার ছিটানোর সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মাঠের অন্য কৃষকরা তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নেয়।

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বৃষ্টির মধ্যে মাঠে খেল‌তে গি‌য়ে বজ্রপাতে কলেজছাত্রের মৃতু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও দুইজন।

শেখরননগর মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে রোববার বিকেল ৩টায় দিকে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আহত দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মৃত অপূর্ব বর্মন উপ‌জেলার শেখরনগর ইউনিয়নের শেখরনগর জেলে পাড়া গ্রামের স্বপন বর্মনের ছেলে এবং আলী আজগর অ্যান্ড আব্দুল্লাহ কলেজের এইচ এসসির পরীক্ষার্থী। আহতরা হলেন অপু বর্মন ও পরিচয় বর্মন।

শেখরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর মটুকপুর গ্রামে রোববার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

মৃত আমিনুর রহমান ওই গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে।

গংগাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, জমিতে কাজ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় জিডি হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে ৫ জনের প্রাণহানি
নোয়াখালীতে বজ্রপাতে মৃত্যু হলো ৫ গরুর
বজ্রাঘাতে দুই জেলায় প্রাণ হারাল শিশুসহ ৫
মহেশখালীতে বজ্রাঘাতে কিশোরের মৃত্যু
তিন জেলায় বজ্রাঘাতে প্রাণ হারালেন ৫ জন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Two dredgers seized in Padma illegally extracting sand in the dark of night

রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পদ্মায় দুই ড্রেজার জব্দ

রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পদ্মায় দুই ড্রেজার জব্দ পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় বুধবার গভীর রাতে দুটি ড্রেজার জব্দ করে নৌ-পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
মাওয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের যশিলদিয়ায় বুধবার রাত দেড়টার দিকে পদ্মা নদীতে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় নিয়ম অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় ওই দুটি ড্রেজার জব্দ করা হয়।

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে বুধবার রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় দুটি ড্রেজার জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ।

মাওয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের যশিলদিয়ায় বুধবার রাত দেড়টার দিকে পদ্মা নদীতে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় নিয়ম অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় ওই দুটি ড্রেজার জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, ড্রেজার জব্দ করার সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত ড্রেজার দুটির বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৫ কোটি টাকা টোল তুলেছে পদ্মা সেতু
পদ্মা সেতুতে ৮ ঘণ্টায় পৌনে দুই কোটি টাকা টোল আদায়
একীভূত হতে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে পদ্মা ব্যাংক
পদ্মা ব্যাংকের আরও এক ঋণখেলাপি গ্রেপ্তার

মন্তব্য

সারা দেশ
Farmer dies due to electrocution while switching irrigation pump

সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু প্রতীকী ছবি
বামন্দী পুলিশ ক‍্যাম্প ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিদুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছি। বতর্মানে মরদেহটি পরিবারের কাছে রয়েছে।’

মেহেরপুরের গাংনীতে সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে আবদুল হান্নান (৭৫) নামের কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর দক্ষিণপাড়ায় বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

প্রাণ হারানো আবদুল হান্নান দেবীপুর দক্ষিণপাড়ার খোদা বক্সের ছেলে।

এসব তথ‍্য নিশ্চিত করে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস‍্য হিরোক আহমেদ বলেন, ‘আজ সকালে আবদুল হান্নান নিজ গ্রামের মাঠে অবস্থিত সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। পরে স্থানীয়রা মরদেহটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিজ বাড়ি দেবীপুরে নিয়ে আসে।’

বামন্দী পুলিশ ক‍্যাম্প ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিদুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছি। বতর্মানে মরদেহটি পরিবারের কাছে রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
ময়মনসিংহে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
হিট স্ট্রোকে তিন জেলায় তিনজনের মৃত্যু
ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: তদন্তে কমিটি
নওগাঁয় গৃহবধূ হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

মন্তব্য

সারা দেশ
Van driver killed by truck in Natore

নাটোরে ট্রাকচাপায় ভ্যানচালক নিহত

নাটোরে ট্রাকচাপায় ভ্যানচালক নিহত প্রতীকী ছবি
বনপাড়া হাইওয়ে থানার এসআই আলীমুল ইসলাম জানান, মহাসড়ক পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক ভ্যানটিকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালক মোজাহার মারা যান।

নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আগ্রান ঈদগাহ মাঠ এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ওই ভ্যানের এক যাত্রী।

নিহত মোজাহার আলী একই উপজেলার পারকোল গ্রামের মৃত শাহাদত আলীর ছেলে।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলীমুল ইসলাম জানান, মহাসড়ক পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক ভ্যানটিকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালক মোজাহার মারা যান। সেই সাথে ভানযাত্রী মিজান শেখ আহত হন।

তিনি বলেন, পরে স্থানীয়রা আহত মিজানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Crying for water in Varendra region

বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির জন্য হাহাকার

বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির জন্য হাহাকার পানির সংকট, ঝরে পড়ছে আমের মুকুল। ছবি: নিউজবাংলা
কয়েকটি আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, প্রচুর পরিমাণ আম ঝড়ে পড়ছে। গাছের নিচে ঝড়া আম স্তুপ হয়ে আছে।

তীব্র তাপপ্রবাহে পানির জন্য হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে বরেন্দ্র অঞ্চল রাজশাহীতে। পানির অভাবে ব্লাস্টসহ বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের শিকার হচ্ছে বোরো ধান। ধানের পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়েছে অন্যান্য ফসলও। পানির সংকট হওয়ায় আমের মুকুল ঝরে যাচ্ছে।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ধান চাষি আজমত উল্লাহ জানান, পানির অভাবে ধানের জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। ধানে পোকাড় আক্রমণ হচ্ছে। ধানের থোড়া আসায় পানির দরকার হলেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকদিন বরেন্দ্রের গভীর নলকূপে সেচের জন্য ঘুরছেন। তবে সিরিয়াল পাচ্ছেন না।

জেলার কয়েকটি আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, প্রচুর পরিমাণ আম ঝড়ে পড়ছে। গাছের নিচে ঝড়া আম স্তুপ হয়ে আছে।

চারঘাট উপজেলার আমচাষী জব্বর আলী বলেন, পানির অভাবে আম ঝড়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই আম ঝড়ে যাচ্ছে। পানি দিয়েও আম ঝড়া ঠেকানো যাচ্ছে না। পানিও ঠিক মত উঠছে না। এবার আমের ফলন ঠিক মত হবে না।

অন্যান্য চাষীরাও বলছেন একই কথা। পানি না থাকায় বালায় নাশক স্প্রেও দেয়া যাচ্ছে না। ফলে পোকামাকড় আক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বরেন্দ্রের অপরিকল্পিত সেচ প্রকল্পের কারণে এই অঞ্চলে পানির স্তর ক্রমেই নিচে নামছে। ফলে পানির সংকট সৃষ্টি হয়ে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। পানির অভাবে বোরো ধানের উৎপাদন প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান বলেন, বোরো ধানের জমিতে কম পক্ষে ৩ সেন্টিমিটার পানি থাকা প্রয়োজন। তা না হলে ধানের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। ধানের থোড়া তে প্রচুর পরিমাণ চিটা দেখা দেয়। আর পানির অভাবে বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগ হয়ে ধান গাছ হলুদ হয়ে যায়। যেভাবেই হোক বোরো ধানের জমিতে সব সময় পানির ধরে রাখতে হবে। এবার যেভাবে তাপ প্রবাহ ও পানির সংকট তৈরি হয়েছে এটা আরো কিছুদিন অব্যাহত থাকলে বোরোর উতপাদন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, তাপ প্রবাহের ফলে আমের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। পানির সংকট তৈরি হওয়ায় আম ঝড়ে পড়ছে। আমের ঝড়ে পড়া রোধে আম গাছের গোড়াতে সপ্তাহে অন্তত একদিন পানি দিতে হবে হবে। কৃষকদের আমরা গাছের গোড়াতে পানি দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এ বছর রাজশাহী জেলায় ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। উৎপাদন লক্ষমাত্রা ২ লাখ ৬০ হাজার ১৬৪ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হলেও তা অর্জন করা সম্ভব হবে না।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শীতাংশু কুমার পাল বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে প্রতি বছর পানির তীব্র সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত গভীর নলকূপের মাধ্যমে সেচ প্রকল্পের কারণে পানির স্তর আরো বেশি দ্রুত নিচে নেমেছে। গভীর নলকূপেও এখন ঠিম মত অয়ানি উঠছে না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ পেতে হবে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন কমিয়ে নদী থেকে জমিতে সেচ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি জমানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

তবে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের দাবি, সমালোচকরা পানি সংকটের বিষয়ে বরেন্দ্রের ঘাড়ে এককভাবে দোষ চাপাচ্ছে। পানির সংকট মোকাবিলায় নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচ দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পদ্মা নদী থেকে আশেপাশের অঞ্চলে সেচের পানি সরবারাহ করতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি নষ্ট হয়ে যাওয়া গভীর নলকূপ গুলোও মেরামত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, তীব্র তাপ প্রবাহের ফলে কিছুটা পানি সংকট তৈরি হলেও তা দ্রুত সমাধান করতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। বোরো ধানের জমিতে পানি পানি সরবারাহের বিষয়ে বরেন্দ্র অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সাবিনা বেগম জানান, বোরো ধানের জমিতে পানি সরবাহর নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর একযোগে কাজ করার ব্যাপারে সমন্বয় করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে কথা বলা হচ্ছে যেন সেচের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারাহ নিশ্চিত করা যায়।

মন্তব্য

সারা দেশ
Accused of killing niece for greed of property

সম্পত্তির লোভে ভাতিজিকে হত্যার অভিযোগ

সম্পত্তির লোভে ভাতিজিকে হত্যার অভিযোগ গাইবান্ধার জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক শারমিনকে মৃত বলে জানান। হাসপাতাল এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সে রাখা তার মরদেহ। ছবি: নিউজবাংলা
পলাশবাড়ী থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘প্রাথমিক সুরতহালে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া গলাতে কোনো দাগ চোখে পড়েনি, তবে শ্বাসরোধের বিষয়টি ক্লিনিক্যালি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।’ 

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সম্পত্তির লোভে মারধর করে আপন ভাতিজিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমুদপুর গ্রামে বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারীসহ তিনজনকে আট করেছে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ।

প্রাণ হারানো তরুণীর নাম শারমিন আক্তার (২২), যিনি প্রয়াত শুক্কুর উদ্দিনের মেয়ে। বিয়ে বিচ্ছেদের পর শারমিন বাবার বাড়িতেই থাকতেন।

শারমিনের অভিযুক্ত চাচার নাম আবদুল খালেক।

তরুণীর পরিবার, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, প্রায় এক বছর আগে পিতৃহারা শারমিনকে কৌশলে বিয়ে দেন তার চাচারা। বিয়ের পর তালাক হলে সমঝোতায় দেনমোহরের টাকা শারমিনকে না দিয়ে আত্মসাৎ করেন তার বড় চাচা আবদুল খালেক। সেই টাকা ও শারমিনের নামে থাকা জমি নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।

তারা আরও জানান, সম্পত্তি নিয়ে বুধবার বেলা ১১টার দিকে শারমিনের সঙ্গে তার চাচাদের বিরোধ বাধে। ওই সময় অভিযুক্তদের মারধরে গুরুতর আহত হন শারমিন। পরে আহত শারমিনকে অভিযুক্তরাই উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধার জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

শারমিনের দুলাভাই রুহুল আমিন বলেন, ‘শারমিন ও শাম্মী আপন দুই বোন। আমার শ্বশুর (শারমিনের বাবা) মারা গেছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর শারমিন আমার বাড়িতেই থাকত। পরে শারমিনের বাবলু নামের এক ফুফা ও তার জ্যাঠারা মিলে কৌশলে শারমিনকে আমার বাড়ি থেকে নিয়ে এসে বিয়ে দেন।

‘বিয়ের তিন-চার মাস পরই তালাক হয় শারমিনের। তখন থেকেই শারমিন আমার শাশুড়ির সাথে তার বাবার বাড়িতেই থাকত।’

শারমিনের মা এবং এ তরুণীর দুলাভাই রুহুল আমিনের অভিযোগ, শাম্মী ও শারমিনের নামে ৩২ শতাংশ জমি আছে। সেই জমি নেয়ার লোভে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময়ে ঝগড়া-বিবাদ, গালিগালাজসহ শারমিনকে মারধর করতেন তার চাচা আবদুল খালেক। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার শারমিনের কাছে জমি চেয়ে মারধর শুরু করেন তিনি। পরে আবদুল খালেকের ভাই আবদুল বারী, ভাতিজা রহমান ও ছকু নামের একজন মারধর করতে থাকেন। ওই সময় তাদের মারধরে শারমিন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

‘নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ওই সময় এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘প্রাথমিক সুরতহালে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া গলাতে কোনো দাগ চোখে পড়েনি, তবে শ্বাসরোধের বিষয়টি ক্লিনিক্যালি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।’

আরও পড়ুন:
মাথায় গুলি করে ইউএনও’র দেহরক্ষীর ‘আত্মহত্যা’
কক্সবাজারে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, দুই ছেলে পলাতক
অনলাইন জুয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বন্ধুর প্রাণ কাড়ল কিশোর
টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবার প্রাণ নিল ছেলে

মন্তব্য

সারা দেশ
288 Myanmar soldiers and BGP members returned

ফেরত গেলেন মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্য

ফেরত গেলেন মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্য কড় নিরাপত্তায় পানি পথে ফেরত পাঠানো হয় মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপি সদস্যদের। ছবি: নিউজবাংলা
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিটিএ জেটি ঘাট থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের টাগবোটে তুলে দেয়া হয়।

সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৮৮ জন সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিটিএ জেটি ঘাট থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের টাগবোটে তুলে দেয়া হয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, গভীর সাগরে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে অপেক্ষায় থাকা মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ চিন ডুইনে তাদের তুলে দেয়া হবে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও সীমান্তরক্ষীদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওই জাহাজ বুধবারই বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছায়। ওই জাহাজে করেই ১৭৩ জন বাংলাদেশি ফিরে এসেছেন। যারা বিভিন্নভাবে মিয়ানমারে আটকা পড়েছিলেন বা সাজা পেয়ে জেলখানায় ছিলেন।

মিয়ানমার নৌবাহিনীর ওই জাহাজে করে দেশটির ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও বুধবার দুপুরে কক্সবাজার পৌঁছায়। পরে তারা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ ব্যাটালিয়নে বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর তারা মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের যাচাই-বাছাইসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়।

বিজিবি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ১১টি বাসে করে মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাটে নিয়ে আসা হয়।

সেখানে আনার পর ইমিগ্রেশন ও ডকুমেন্টেশনের আনুষ্ঠানিকতা সেরে শুরু হয় হস্তান্তর প্রক্রিয়া। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও কোস্ট গার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতসহ দেশটির প্রতিনিধি দলের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন।

এরপর সকাল ৭টার দিকে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কর্ণফুলি টাগবোটে তুলে দেয়া হয়। কোস্ট গার্ডের একটি ট্রলার টাগবোটটিকে পাহারা দিয়ে গভীর সাগরে নিয়ে যায়।

দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে, যার আঁচ লেগেছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাতেও। সীমান্তের ওপারের মর্টার শেল ও গুলি এসে এপারে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।

ওই সংঘাতের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে প্রথম দফায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেরত পাঠিয়েছিল সরকার।

তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।

এরপর বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্ত নিয়ে কয়েক দফায় আরো ২৮৮ জন সীমান্তরক্ষী ও সেনা সদস্য এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এবার তাদের ফেরত পাঠানো হলো।

মন্তব্য

সারা দেশ
Death toll in Sajeke dump truck ditch rises to 9

সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ৯

সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ৯ খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক উদয়পুর সীমান্তবর্তী সড়ক নির্মাণের জন্য ডাম্প ট্রাকে ১৪ জন শ্রমিক জামান ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সেতুর কাজে যাচ্ছিলেন। পথে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ঢালে পড়ে যায়। ছবি: নিউজবাংলা
বাঘাইছড়ি থানার সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল বুধবার রাতে জানান, আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তিনজনকে মৃত বলে জানান।

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি থানাধীন সাজেকে শ্রমিকবাহী ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

বাঘাইছড়ি থানার সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তিনজনকে মৃত বলে জানান।

এর আগে বিকেলে সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশের ভাষ্য, খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের উদয়পুর সীমান্তবর্তী সড়ক নির্মাণের জন্য ডাম্প ট্রাকে ১৪ জন শ্রমিক জামান ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সেতুর কাজে যাচ্ছিলেন। পথে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ঢালে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ছয়জনের মৃত্যু হয়।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার সাংবাদিকদের জানান, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি খুবই দুর্গম এলাকা। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী, তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আরও পড়ুন:
কুমিল্লায় বাসচাপায় দুই নারী ও শিশু নিহত, আহত আরেক শিশু
ছাত্রলীগ নেতা রকি হত্যা মামলার আসামি বাসচাপায় নিহত
বাসের ধাক্কায় দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১
চট্টগ্রামে অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২
গাছে বাসের ধাক্কায় একজন নিহত, আহত ৭

মন্তব্য

p
উপরে