১৮ জেলায় বজ্রপাতে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ ও চট্টগ্রামেই মারা গেছেন ১০ জন।
মৃতদের মধ্যে নারী, শিশু ও শ্রমিক রয়েছেন।
এর আগে বজ্রাঘাতে শনিবার ৭ জন ও শুক্রবার ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিউজবাংলার হিসাবে এ নিয়ে গেল তিন দিনে মৃত্যু হলো ৪৮ জনের।
সিরাজগঞ্জের চার উপজেলায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লাপাড়ার আগদিঘল, বেলকুচির চর সমেশপুর, সলঙ্গার আঙ্গারু এবং শাহজাদপুরের চর আঙ্গারু ও বাতিয়া গ্রামে রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন উল্লাপাড়া উপজেলার আগদিঘল গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্র ফরিদুল ইসলাম, বেলকুচির চর সমেশপুর গ্রামের লাইলি বেগম, সলঙ্গার আঙ্গারু গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও শাহজাদপুর উপজেলার চর আঙ্গারু গ্রামের কৃষক জুয়েল রানা ও বাতিয়া গ্রামের কৃষক আলহাজ পণ্ডিত।
উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল নিউজবাংলাকে জানান, ফরিদুল মাঠে ধান কাটা শেষে বাড়ি ফেরার সময় আগদিঘল গ্রামের কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
শাহজাদপুর উপজেলায় দুই কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি কায়েমপুর ইউপির চেয়ারম্যান হাসিবুল হক হাসান ও নরিনা ইউপির চেয়ারম্যান ফজলুল হক, বেলকুচিতে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি বেলকুচি থানার ওসি গোলাম মোস্তফা, সলঙ্গায় একজনের মৃত্যুর বিষয়টি সলঙ্গা থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী নিশ্চিত করেছেন।
বজ্রাঘাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামেও।
ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ছমুরহাট এলাকায় সকাল ৮টার দিকে বজ্রাঘাতে মারা গেছেন ভানুমিত দাশ ও লাকি রানী দাশ। এ সময় আহত হয়েছেন মালতী দাশ ও শোভা রানী দাশ।
তাদের বাড়ি কাঞ্চননগর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামে।
ছমুরহাট বাজার কমিটির সভাপতি মাওলানা আনিছুর রহমান জানান, ওই চারজন কৃষিশ্রমিক। সকালে ছমুরহাট বাজারের পাশে একটি জমিতে কাজ করছিলেন তারা। সে সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে তারা আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ভানুমিত ও লাকিকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ফটিকছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইলিয়াছ ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বজ্রপাতে দুই নারীর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এখন ঘটনাস্থলে আছি।’
জেলার বোয়ালখালীতে বেলা ১১টার দিকে বজ্রাঘাতে মারা গেছেন মো. জাহাঙ্গীর নামের এক দিনমজুর। উপজেলার জৈষ্ঠ্যপুরা পাহাড়ের গরজংগিয়া এলাকায় লেবু বাগানে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে আহত হন জাহাঙ্গীর। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে কাজ করার সময় বজ্রপাতে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটায় মৃত্যু হয় তার।
মৃত মোহাম্মদ জলিল আহাম্মদ উপজেলার বার আউলিয়ার হাফিজ জুট মিল এলাকার মৃত নুরুল আলমের ছেলে। তার বয়স ৪০ বছর।
হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বার আউলিয়ার একটি শিপইয়ার্ডে কাজ করার সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে তার ভাই ফয়েজ আহম্মেদ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে এলে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার মৃত্যু হয়।’
তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানান শীলব্রত বড়ুয়া।
এ ছাড়া মিরসরাইয়ে সাজ্জাদ হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আইয়ুব আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে বজ্রাঘাতে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন তার মা।
উপজেলার বৈলট এলাকায় রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
১৮ বছর বয়সী শাহীন হোসেন ঘিওর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি শিবালয়ের মহাদেবপুর ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজে পড়তেন।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, শাহীন ও তার মা ধানক্ষেতে কাজ করছিলেন। বৃষ্টি শুরু হলে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে শাহীনের মৃত্যু হয়। আহত হন তার মা।
এদিকে দৌলতপুরে বজ্রপাতে দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের চরভারাঙ্গা এলাকায় রোববার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃত গোলাম মোস্তফা চরকাঠুরী এলাকায় আব্দুল বাতেন মিয়ার ছেলে। তিনি মহিষের গাড়ি চালাতেন।
ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রমজান আলী বলেন, বাদাম আনতে বিকেলে চরভারাঙ্গা এলাকায় যান গোলাম মোস্তফা। এ সময় হঠাৎ বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নে বজ্রাঘাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও তিনজন।
চৌবাড়িয়া ও তালা উপজেলার খলিশখালী ইউনিয়নে হরিণখোলা গ্রামে রোববার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- হরিণখোলা গ্রামের আশুতোষ মন্ডলের ছেলে কিশোর মন্ডল ও চৌবাড়িয়া গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে রাবেয়া খাতুন। আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের আলমপুরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রাঘাতে এক শিশু ও এক কিশোরী মারা গেছে।
মৃতরা হলো ৬ বছর বয়সী আল আমিন ও ১৫ বছর বয়সী তামান্না আক্তার।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম জানান, সকালে উপজেলার আলমপুর গ্রামের আনু ফরাজি বাড়ির সোলেমানের মেয়ে তামান্না আক্তার ও বাহার উল্লার ছেলে আল আমিন বৃষ্টির সময় ঘর থেকে বের হয়। তখনই বজ্রপাত হলে তারা আহত হয়। স্বজনরা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দুটি তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পটুয়াখালীতে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
সদর ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় রোববার বিকেলে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া গ্রামের প্রয়াত মুনসুর আলী হাওলাদারের ছেলে মজিবর রহমান এবং মির্জাগঞ্জ উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের প্রয়াত সেরজন আলী হাওলাদারের ছেলে আবদুল জলিল হাওলাদার।
জলিল পেশায় একজন কৃষক এবং মজিবর শ্রমিক ছিলেন।
মির্জাগঞ্জ ও সদর থানা পুলিশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিকেল ৪টার দিকে মজিবর বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিল। এসময় রাস্তায় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিবুল্লাহ জানান, মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে জলিল নিজ বাড়ির পাশে কৃষি জমিতে বীজ রোপণ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার ভাদ্রা ও বেকড়া ইউনিয়নে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন ভাদ্রার গাংবিহালী গ্রামের বক্তার খানের ছেলে আলমাস খান এবং বেকড়ার বেকড়া মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত পলান মিয়ার ছেলে সোনা মিয়া।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুসলেম উদ্দিন বলেন, বিকেলে গাংবিহালী চকে ধানের খড় শুকাচ্ছিলেন আলমাস। এসময় বজ্রবৃষ্টি শুরু হলে তিনি বাড়ি ফিরে আসতে থাকেন। পথে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
বেকড়া মধ্যপাড়ার সোনা মিয়া রাতে নিজ বাড়ির উঠানে বজ্রপাতে মারা যান।
নাগরপুর থানার ওসি (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়ার ধুনটে আম কুড়ানোর সময় বজ্রপাতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরেক শিশু।
উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের নিত্তিপোতা গ্রামে রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ৮ বছর বয়সী আদিল হোসেনের বাবার নাম আব্দুল মোমিন। আহত হয়েছে সাত বছরের আরমান হোসেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধুবালা বলেন, আদিল ও আরমানের বাড়ি পাশাপাশি। ঝড়ের সময় আদিলের বাড়ির উঠানে দুজনই আম কুড়াচ্ছিল।
এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই আদিল মারা যায়। আহত হয় আরমান। আরমানকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুরের শিবচরে বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার চরজানাজাত ইউনিয়নের বালুরটেকে এলাকায় রোববার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ৫০ বছর বয়সী আয়েশা বেগম ওই এলাকার ছোরফান হাওলাদারের স্ত্রী।
শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন জানান, দুপুরে আয়েশা বেগম নিজ জমিতে বাদাম তুলতে যান। বিকেলের দিকে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
মেহেরপুরের মুজিবনগরে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
দারিয়াপুর ইউনিয়নে রোববার বিকেলে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃত ফরিদ নওদা ওই ইউনিয়নের পুরুন্দপুর গ্রামের প্রয়াত বক্স নওদার ছেলে।
মুজিবনগর থানার ওসি আবুল হাশেম নিউজবাংলাকে বলেন, বিকেলে নটগাড়ির মাঠে নিজ আবাদি জমির ফসল দেখতে যান ফরিদ। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। পরে পুলিশের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
নোয়াখালীর হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নে বজ্রপাতে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলা সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজচরা গ্রামে রোববার বিকেল ৫টায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃত আবদুল মান্নান মাইজচরা গ্রামের মৌলভী সৈয়দ আহমেদের ছেলে এবং স্থানীয় মাইজদী বাজারের পান ব্যবসায়ী।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরান হোসেন বলেন, রোববার বিকেলে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে মাঠ থেকে গরু আনতে যান খোকন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে আশপাশের লোকজন এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
পাবনার আটঘরিয়ায় বজ্রপাতে এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত যুথি খাতুন পাবনা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের পাইকেল গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে।
আটঘরিয়া থানার ওসি হাফিজুর বলেন, বিকেলে বাড়ির পাশের বাগানে আম কুড়াতে গেলে বজ্রপাতে যুথির মৃত্যু হয়। মেয়েটি কয়রাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ত।
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়।
তার নাম ছকিরন বেগম। তিনি বিনোদপুর ইউনিয়নের ঘুল্লিয়া গ্রামের সুরমাউন শেখের স্ত্রী।
ঘুল্লিয়া ঠাকুর পাড়ায় রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিকদার নিউজবাংলাকে বলেন, বিকেল থেকেই বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হচ্ছিল। এ সময় উঠানে কাজ করছিলেন ছকিরন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার।
মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি মৃত্যুর খবর শুনেছি। ঝড়বৃষ্টি থামলে পুলিশ পাঠাব।’
শরীয়তপুরে বজ্রপাতে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
জাজিরা উপজেলায় রোববার সন্ধ্যা ৭টায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত আতিকুর রহমান জাজিরা উপজেলার ছোট কৃষ্ণনগর গ্রামের মো. ফারুক মাদারের ছেলে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় বাড়ি ফিরছিল আতিকুর। বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
বরিশালের উজিরপুরে বজ্রাঘাতে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও এক শ্রমিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর মডেল থানার পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুমন হোসেন।
সাতলা ইউনিয়নের সাতলা গ্রামে রোববার বিকেলে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃত নান্টু বালী ওই এলাকার ইউনুস বালীর ছেলে। আহত সুমন একই এলাকার পল্টু খানের ছেলে।
এএসআই সুমন বলেন, বিকেলে ঝড় ও বৃষ্টির মধ্যে কচা নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু তুলছিলেন নান্টু ও সুমন। এ সময় বজ্রপাতে তারা দুজনেই গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নান্টুকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া বরিশালের মুলাদীতে বজ্রপাতে কৃষক হাচেন আলী সরদারের মৃত্যু হয়েছে। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলার রুইথনপুর গ্রামে রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃত কোরবান আলী একই গ্রামের মৃত ফকির আলীর ছেলে।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবীর জানান, বিকেলে বৃষ্টি শুরু হলে রুইথনপুর গ্রামের মাঠে যান কৃষক কোরবান। তার নিজ কচুক্ষেতে সার ছিটানোর সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মাঠের অন্য কৃষকরা তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নেয়।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বৃষ্টির মধ্যে মাঠে খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে কলেজছাত্রের মৃতু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও দুইজন।
শেখরননগর মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে রোববার বিকেল ৩টায় দিকে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আহত দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মৃত অপূর্ব বর্মন উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের শেখরনগর জেলে পাড়া গ্রামের স্বপন বর্মনের ছেলে এবং আলী আজগর অ্যান্ড আব্দুল্লাহ কলেজের এইচ এসসির পরীক্ষার্থী। আহতরা হলেন অপু বর্মন ও পরিচয় বর্মন।
শেখরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর মটুকপুর গ্রামে রোববার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃত আমিনুর রহমান ওই গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
গংগাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, জমিতে কাজ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় জিডি হয়েছে।
আরও পড়ুন:লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু (২২) নামের বাংলাদেশি রাখাল নিহত হয়েছেন।
উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালাংগী বিজিবি ক্যাম্পের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলার এলাকায় শুক্রবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও যুবকের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে কয়েকজন রাখালসহ শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলারের ওপারে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় গরু আনতে যান আবুল কালাম ডাকু। গরু নিয়ে ফেরার পথে শুক্রবার ভোররাতে বিএসএফের ডোরাডাবরী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাকু গুরুতর আহত হলে সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে বাংলাদেশ সীমান্তে। পরে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঝালাংগী ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েক সুবেদার নুরুল আমিন বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে একজন যুবক নিহত হয়েছেন। পাটগ্রাম থানা পুলিশ পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।’
নিহত যুবকের মা মমতা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের বিয়ে ঠিক হয়েছে। কী অপরাধের জন্য বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করল জানি না। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
পাটগ্রাম থানার ওসি আবু সাইদ বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক আবুল কালাম ডাকুকে পরিবারের সদস্যরা পাটগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যান। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা করা হবে।’
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় তিন চাকার ভ্যানের সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ডে শুক্রবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো আবদুস সালাম (৫০) ও ছানোয়ার হোসেন (৪৫) মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তারা স্থানীয় কাটিগ্রাম বাজারে সবজির ব্যবসা করতেন।
গোলড়া হাইওয়ে থানার ওসি সুখেন্দু বসু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর বন্দর আড়ত থেকে চাষীদের কাছ থেকে সবজি কিনে তিন চাকার ভ্যানের মাধ্যমে কাটিগ্রাম যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম ও ছানোয়ার হোসেন, কিন্তু ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পাটুরিয়াগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ওভারটেক করতে গিয়ে ওই তিন চাকার ভ্যানকে ধাক্কা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই আবদুস সালাম নিহত হন এবং গুরুত্ব অবস্থায় ছানোয়ার হোসেনকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, নিহতদের একজনের মরদেহ সদর হাসপাতালে এবং অপরজনের মরদেহ গোলড়া থানায় রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেলেও কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় গোলড়া থানায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:উৎসবমুখর পরিবেশে বৃহস্পতিবার উদযাপন করা হয়েছে ১৩৭তম বন্দর দিবস।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বন্দর ভবন চত্বরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।
ওই সময় বোর্ড সদস্য (প্রকৌশল) কমোডর মোহাম্মদ মাহবুবুবর রহমানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পতাকা উত্তোলনকালে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত সব জলযান ও জাহাজ থেকে একনাগাড়ে এক মিনিট হুইসেল বাজানো হয়। এরপর বন্দর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহায়েল উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বন্দর দিবসের কেক কাটেন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ, বন্দরের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারা।
কর্ণফুলীর মোহনায় ১৩৬ বছর আগে ২৫ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা হয়েছিল দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর। ইংরেজ শাসনামলের প্রথম দিকে ইংরেজ ও দেশীয় ব্যবসায়ীরা বার্ষিক এক টাকা সালামির বিনিময়ে নিজ ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীতে জেটি নির্মাণ করেন। পরে ১৮৬০ সালে প্রথম দুটি অস্থায়ী জেটি নির্মাণ করা হয়। ১৮৭৭ সালে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার গঠিত হয়।
১৮৮৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে দুটি মুরিং নির্মাণ হয়। একই বছরের ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার কার্যকর হয়। এরপর ১৮৯৯ থেকে ১৯১০ সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার এবং আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে যুক্তভাবে চারটি স্থায়ী জেটি নির্মাণ করে। ১৯১০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে রেলওয়ের সংযোগ সাধন হয়।
১৯২৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরকে মেজর পোর্ট ঘোষণা করা হয়। সেই থেকেই চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রেখে আসছে।
আরও পড়ুন:শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো ৬০ বছর বয়সী হাজী উমর আলী একই গ্রামের বাসিন্দা।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া জানান, প্রায় তিন-চার দিন ধরে নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামের পাহাড়ি ঢালে বোরো ধান ক্ষেতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি বন্য হাতি নেমে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে হাতির পালটি বাতকুচি গ্রামের ধান ক্ষেতে যায়। এ সময় উমর আলি ও গ্রামবাসীরা তাদের ফসল বাঁচানোর জন্য মশাল জ্বালিয়ে ডাক ও চিৎকার শুরু করেন।
একপর্যায়ে বন্যহাতির পালটি একটু পিছিয়ে যায়। পরে বাড়িতে যাওয়া সময় পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা হাতির পালটি উমর আলিকে ঘিরে ফেলে ও পা দিয়ে পিষ্ট করে।
বন বিভাগের ময়মনসিংহ মধুটিলা ফরেস্টের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে নিহত উমর আলির পরিবারকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
আরও পড়ুন:সিলেটে মধ্যরাতে খোলা মাঠ থেকে একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নগরের হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠ থেকে বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাণ হারানো অমিত দাস শিবু স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্বর কম্পিউটার ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শিবুর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরের বাগবাড়ি নরসিংটিলা এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দেবাংশু কুমার দে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাতে কাজ শেষে অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলেন অমিত। তার মৃত্যু রহস্যজনক মনে হচ্ছে। পাশেই তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রাখা ছিল।’
তিনি জানান, রাত ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখে থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়।
এসএমপির উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল, তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে।’
আজবাহার বলেন, ‘অমিতের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:গাজীপুরের শ্রীপুরে বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় টেবিলের ওপরে একটি চিরকুট পাওয়া যায়।
উপজেলার মুলাইদ গ্রামের ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে শুক্রবার সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাণ হারানো ইসরাফিল (১৭) শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানান হলদি গ্রামের বাসিন্দা ও তার স্ত্রী রোকেয়া খাতুনের (১৫) বাবার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রাম।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত সাত থেকে আট মাস আগে তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। তারা দুজনই শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের ফারুক হোসেনের বহুতল ভবনে ভাড়া থাকতেন। ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কসপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।
রোকেয়ার ভাই বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘সাত থেকে আট মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ের সম্পর্কে জড়িয়েছিল। বিয়ের পর তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছি। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়। সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।’
ইসরাফিলের বাবা মফিজুল হক জানান, পাশাপাশি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন তারা। পরিবারের রান্নার কাজ তারা ইসরাফিলের ফ্ল্যাটে করতেন। শুক্রবার সকালে তাদের ফ্ল্যাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে যান এবং ইসরাফিলকে ওড়নায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রোকেয়ার মরদেহ খাটের ওপর বিছানায় দেখতে পান।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাখাওয়াত হোসেন জানান, ‘খবর পেয়ে একটি ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করে। স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি স্বামী সইতে না পেরে তিনিও আত্মহত্যা করেন।’
এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর মোহনায় জেলের জালে এবার ধরা পড়েছে ২৬ কেজি ২৫০ গ্রাম ওজনের একটি কোরাল মাছ।
পরে সেই মাছটি কুয়াকাটা পৌর মাছ বাজারে বিক্রি করা হয়েছে ৩২ হাজার ৭৫০ টাকায়।
কুয়াকাটা পৌর মাছ বাজারের ‘কুয়াকাটা ফিস পয়েন্টের’ পরিচালক নাসির উদ্দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে মাছটি কেনেন।
তিনি বলেন, ‘সাগর মোহনায় সচরাচর এত বড় মাছ পাওয়া যায় না। আজ দুপুরে মাছটি মার্কেটে আসার পর এক হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে কিনে নেই।’
স্থানীয় জেলেরা জানান, গত মঙ্গলবার কুয়াকাটার বাবলাতলা এলাকার জেলে রাসেল ‘মায়ের দোয়া’ নামের তার ট্রলারটি নিয়ে গভীর সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরতে রওনা হন। পরবর্তীতে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় রাত ২টার দিকে রাসেলের জালে এ বিশাল কোরাল মাছটি ধরা পড়ে।
রাসেল বলেন, ‘তীব্র তাপদাহ শুরুর পর থেকে সাগরে মাছ পড়ে না। ভাগ্য সহায় বলে এত বড় মাছ আল্লাহ দিয়েছেন। মাছটি তীরে নিয়ে আসলে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা মাছটি ক্রয় করতে চেয়েছেন। পরে কুয়াকাটা মাছ বাজারে এক হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে মাছটি বিক্রি করেছি।’
জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, নদ-নদী এবং সাগরে বিভিন্ন মাছ পাওয়া যায়। সব সময় বড় মাছ ধরা পড়ছে না। সামুদ্রিক কোরাল এর চেয়েও অনেক বড় হয়।
সরকারের দেয়া ৬৫ দিন সাগরে সব ধরনের মাছ ধরার সফল কার্যক্রমের কারণেই এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য