করোনার ভারতীয় ধরন নিয়ে যে উদ্বেগ সেটি ঠেকিয়ে রাখা গেল না। ভারত সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলা, বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে তা। যাদের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাদের বাড়ি সীমান্ত থেকে দূরে আর এদের কেউ সে দেশে যানওনি।
ভারত সীমান্ত বন্ধ এপ্রিলের ২৬ তারিখ থেকেই। এর পরও সে দেশ থেকে মানুষের আসা বন্ধ ছিল না। তবে বন্দরে নেয়া হয়েছে নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।
যারা এসেছেন, তাদের সীমান্তে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ১৪ দিন সেখানেই থাকতে হয়েছে কোয়ারেন্টিনে। এই সময়ে যাদের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়নি, তারা ফিরতে পেরেছেন বাড়িতে। আর যাদের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাদের চিকিৎসা নিতে হয়েছে হাসপাতালে।
ভারতের সঙ্গে স্থল বন্দর আছে এই জেলারও। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে এই সোনামসজিদ বন্দর নিয়ে ৬০ থেকে ৭০ জন এসেছেন । আর সীমান্তে কোয়ারেন্টিনে থেকেই তারা ফিরতে পেরেছেন বাড়িতে।
এরপরেও কেন, কীভাবে ভাইরাস ছড়াল-সেটির জবাব একটি হতে পারে, অবৈধপথে আসা-যাওয়া।
চোরাচালান, বিশেষ করে গরু আনতে এই জেলা থেকে প্রায়ই ভারতে গোপনে যাওয়ার প্রবণতা আছে। করোনাকালেও এটি বন্ধ নেই। আর যারা যাওয়া-আসা করেন, তাদের তো আর কোয়ারেন্টিন বা করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। তারা ভারত থেকে এসে অবাধে মিশছেন সাধারণের সঙ্গে।
এটি কেবল এই জেলার সমস্যা না, ভারত সীমান্তবর্তী প্রতিটি জনপদেই এই চিত্র।
স্থলবন্দর ছাড়াই অবাধ যাতায়াত
কুড়িগ্রামের শিমুলতলা এলাকায় ১০২১ সীমান্ত পিলারসংলগ্ন কোনো কাঁটাতার নেই। কলসের আকৃতি মতোই এখানে ভারত-বাংলাদেশ আলাদা হয়েছে। এখানকার প্রায় আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার এলাকা দিয়ে নানা সময়ই চলে যাতায়াত।
এই সীমান্তে ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়ি জেলার গোপালগঞ্জ থানার ফাইসার কুটি গ্রাম এবং বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের ছোট খামার গ্রাম।
ভারতের নাগরিকরা প্রায়ই বাংলাদেশে এসে হাটবাজার করে থাকেন। এই দুই গ্রামের মানুষেরা গরু-ছাগলকে ঘাস খাওয়ানোসহ বিভিন্ন কাজে প্রতিবেশীর মতোই চলাফেরা করে থাকেন।
কাঁটাতারহীন ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পাথরডুবি ইউনিয়নের বাঁশজানি গ্রামেও একই অবস্থা। এখানে ভারত-বাংলাদেশের ঘর দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো কোন দেশের বাসিন্দার বসত।
বিএসএফ পাহারা আর সীমান্ত পিলার দিয়েই দুই দেশকে ভাগ করা হয়েছে। এই এলাকায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার দীঘলটারী গ্রাম।
এই সীমান্তে এমন চিত্র দেখা যায়, যেখানে দুটি পুকুরের মাঝের পার দিয়ে দেশ ভাগ হয়ে গেছে। বিজিবি-বিএসএফের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবাধে চলাফেরা করেন দুই দেশের নাগরিকরা।
জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে সাতটি উপজেলার সঙ্গে ভারতের তিনটি রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে ২৭৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রায় ৩২ কিলোমিটার সীমান্তে নেই কাঁটাতার। এ ছাড়া নদীপথ রয়েছে ৩১৬ কিলোমিটার।
এর মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম রাজ্যের সীমানায় কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবির অধীনে ১৯৮ কিলোমিটার সীমান্ত।
জামালপুর-৩৫ বিজিবির আওতায় সীমানা প্রায় সাড়ে ৪৬ কিলোমিটার কাঁটাতার। আর ওপারে ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্য।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সীমানায় লালমনিরহাট-১৫ বিজিবির অধীনে ৩৬ কিলোমিটার সীমান্ত। এসব সীমন্তের বেশ কিছু পয়েন্ট দিয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গরু, মাদকসহ চোরাচালান এবং অবৈধভাবে অনুপ্রবেশেরও ঘটনা ঘটছে।
কাঁটাতারবেষ্টিত ভারতের অভ্যন্তরে বাসিন্দাদের কৃষিকাজের জন্য বিএসএফ গেট খুলে দেয়ায় নো-ম্যানস ল্যান্ডে এসে চাষাবাদ করছেন সেখানকার কৃষকেরা। প্রায় সময় দুই রাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা মেলামেশাও করে থাকেন।
করোনা দুর্যোগের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় বেড়াতে এসে কাঁটাতার ঘেঁষে সেলফি তুলতে দেখা যাচ্ছে।
ছোট খামার গ্রামের বাসিন্দা শমসের আলী বলেন, ‘এখানে কোনো কাঁটাতার নাই। আমরা দুই রাষ্ট্রের মানুষ হলেও প্রতিবেশীর মতোই বসবাস।’
একই এলাকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শুধুমাত্র পিলার দিয়েই ভারত-বাংলাদেশ বোঝানো হয়েছে। গরু-ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে গেলে মাঝেমধ্যে তাদের গ্রামে যান বাংলাদেশিরা। তারাও আসেন বাজারহাট করতে।’
‘ভারতে যেভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে তাতে আমরা চিন্তিত। কখন যে কীভাবে এখানে ভাইরাস আসে বলা মুশকিল’-বলেন তিনি।
বাঁশজানি গ্রামের বাসিন্দা মো. শামীম বলেন, ‘এই গ্রামে ঘরবাড়ি দেখে বোঝার উপায় নেই কোনটা ভারত-বাংলাদেশ। পুকুরের পাড় দিয়েও দুই দেশকে ভাগ করা হয়েছে।’
আজগর আলী বলেন, ‘যেখানে কাঁটাতার দিয়েই গরু, মাদক পাচার হয়, সেখানে কাঁটাতার না থাকলে কী হয় সবাই বুঝতে পারে।
‘বিএসএফ কাঁটাতারের গেট খুলে দিলে ওখানকার কৃষক এসে আবাদ করেন। মাঝেমধ্যে গরু-ছাগল আসলে তারা অনায়াসে এসে নিয়ে যান। যাদের আত্মীয়-স্বজন রয়েছে তারা প্রায় সময় বেড়াতে আসেন।’
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন হাবিবুর রহমান বলেন, সীমান্তবর্তী এবং বৃহৎ নদ-নদীময় জেলা হওয়ায় এখানে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
কুড়িগ্রাম-২২ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জামাল হোসেন বলেন, ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কিংবা করোনার প্রভাব বিস্তারসহ চোরাচালান এবং অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে বিজিবি।
আরও পড়ুন:শেরপুরের নকলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বসতবাড়ি ও মাঠে চাষযোগ্য জমিতে আগাম শীতকালীন শাক-সবজি আবাদের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করেন নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মুরসালিন মেহেদী বলেন, বীজ ও সার মাঠে আবাদ না করে যদি কোনো কৃষক বিক্রির উদ্দেশ্যে অসদুপায় অবলম্বন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২৩০ কৃষকের মাঝে জনপ্রতি ৯ প্যাকেট করে মোট ২ হাজার ৭০ প্যাকেট সবজির বীজ এবং ৪০৫ কৃষকের মাঝে মাঠে চাষযোগ্য ২০ শতাংশ জমির জন্য লাউ, বেগুন, শসা, মিষ্টিকুমড়াসহ যেকোনো সবজির ১ প্যাকেট করে বীজসহ ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় যৌথ অভিযানে প্রায় ১৪ কোটি টাকার অবৈধ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল জব্দ করেছে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।
গত সোমবার সন্ধ্যায় বিজিবি জানায়, গত ১১ ও ১২ অক্টোবর উপজেলার সীমান্তবর্তী আশ্রায়ণ বিওপির আওতাধীন এলাকায় অভিযানকালে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া ও মদনের ঘাট এলাকায় ৩৫ হাজার কেজি অবৈধ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা। পরে গত সোমবার দুপুরে এসব অবৈধ জাল ধ্বংস করেন পরিচালক (অপারেশন) যশোর সদর দপ্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিয়ন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান শিকদারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমেদ।
রাঙামাটির বিলাইছড়িতে নদীতে পড়ে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল নয়টায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ হওয়ার দুঘণ্টা পর স্থানয়ীরা মাছের জাল দিয়ে নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত নারী হলেন লতা মার্মা (৩৩)। তিনি কেংড়াছড়ি গ্রামের মিলন কান্তি চাকমার স্ত্রী। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিলাইছড়ি থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত মানস বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে কেংড়াছড়ি থেকে নৌকাযোগে বিলাইছড়ি বাজার আসার পথে কেরণছড়ি এলাকায় এসে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা মাছের জাল দিয়ে তল্লাশির পর বেলা সারে এগারটায় তার মরদেহ উদ্ধার হয়। নিহতের স্বামী মিলন কান্তি চাকমা জানিয়েছেন তার স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। তাদের সংসারে দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে।
টেকসই ও উন্নত বিশ্ব গঠনে মানের গুরুত্ব অনস্বীকার্য-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রংপুরে উদযাপিত হয়েছে ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস।
“সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে—মান” এই স্লোগানকে ধারণ করে দিবসটি পালন করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ও রংপুর জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম এনডিসি।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ মজিদ আলী, রংপুর ক্যাবের সভাপতি মোঃ আব্দুর রহমান, রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মোঃ রশিদুস সুলতান বাবলু, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোঃ গোলাম জাকারিয়া পিন্টু, এবং জেলা হোটেল-রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল হক মুন্না। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। স্বাগত বক্তব্য ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসটিআই রংপুর বিভাগীয় অফিসের উপপরিচালক ও অফিস প্রধান (প্রকৌশলী) মুবিন-উল-ইসলাম।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে আইএসও’র সদস্যপদ লাভের পর থেকে নিয়মিতভাবে বিশ্ব মান দিবস পালন করে আসছে। বর্তমানে আইএসও’র ১৭৭টি সদস্য দেশের সঙ্গে একযোগে বাংলাদেশও এবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করছে।
তিনি আরও জানান, গত এক বছরে রংপুর বিভাগের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় সচেতনতা বৃদ্ধি, মান নিয়ন্ত্রণ এবং শিল্পখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিএসটিআই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
বক্তারা বলেন, পণ্য ও সেবার মান বজায় রাখা শুধু শিল্পোন্নয়নের জন্য নয়, বরং ভোক্তা নিরাপত্তা ও জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতির পূর্বশর্ত।
তাঁরা মনে করেন, রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে মান সচেতনতা বিস্তার এবং উৎপাদন ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণই টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি হতে পারে।
অনুষ্ঠানে সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শিল্প উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আল্টিমেটাম ছাড়া কোনো কাজ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ। মঙ্গলবার পূর্বের আল্টিমেটাম দেওয়া দাবির অগ্রগতি জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (রুটিন ভিসি) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলীর সাথে সাক্ষাৎ এর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সাহেদ আহম্মেদ বলেন, আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসির কাছে দুই দফা দাবি দিয়েছিলাম। তার আপডেট জানতে আজ স্যারের সাথে আবারও দেখা করেছি। আমাদের দাবিগুলো হলো, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক দ্রুত সংস্কার করার ব্যবস্থা করা এবং কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা চালু করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু মৌখিক দাবি ছিল। যেমন, ক্যাম্পাসে একটি ফায়ার সার্ভিস স্থাপন এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া-শান্তিডাঙ্গা এলাকায় যে বিদ্যুৎ সমস্যা আছে তার সমাধানের উদ্যোগ নেয়া। কারণ এখানে প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ভোগান্তির শিকার হয়। আমরা আশাবাদী যে প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো দ্রুত পূরণ করবেন। তবে আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে আল্টিমেটাম ছাড়া কোনো কাজ হয় না বা বাস্তবায়ন দেখি না।
সাক্ষাৎকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (রুটিন ভিসি) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ছাত্রদল যে দাবিগুলো করেছে সেগুলো প্রায় কাজ শুরু হয়ে গেছে। কিছু কাজ চলমান। আর কিছু নীতি নির্ধারনী কাজ আছে যেগুলো মাননীয় উপাচার্য আসলে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিবেন।
“রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না থেকেও জামায়াত জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে”- এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. খায়রুল হাসান।
তিনি বলেন, “মানুষের কষ্ট লাঘব করা আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা না থাকলেও দলীয়ভাবে সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে জামায়াত একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোনপাড়ায় জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব অর্থায়নে সড়ক সংস্কার কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী এ সড়ক সংস্কার হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয়রা জানান, জামায়াতের উদ্যোগে সড়ক সংস্কার হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. আফতাব উদ্দিন, পৌর আমীর মাওলানা আমিমুল এহসান, পৌর নায়েবে আমীর মাওলানা আনোয়ার হোসেন, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, জামায়াত নেতা ও সাংবাদিক হুমায়ুন কবির, মো. আরিফ, মো. আবু তাহের, মনির হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উপস্থিত নেতারা বলেন, “জামায়াত সবসময় আর্তমানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জননেতা মো. খায়রুল হাসান সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ ও কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানান এবং শিক্ষার প্রসারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, জামায়াতের এ ধরনের অংশগ্রহণমূলক উদ্যোগ স্থানীয় উন্নয়নে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দেশবরেণ্য সাংবাদিক মরহুম মুহাম্মদ আলতাফ হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার মাদারীপুর পৌরসভার ডিজিটাল সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি শরীফ মোঃ ফায়েজুল কবীর। সঞ্চালনা করেন সংগঠনিটির জেলা শাখার সেক্রেটারী সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ও মাদারীপুর পৌরসভা প্রশাসক হাবিবুল আলম, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব, জেলা তথ্য কর্মকর্তা বেনজীর আহম্মেদ, মাদারীপুর পৌরসভা সচিব খন্দকার আবু আহম্মেদ ফিরোজ, সংস্থাটির উপদেষ্টা এবং জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুবল বিশ্বাস, নবনির্বাচিত উপদেষ্টা মিজানুর রহমান পিন্টু, সিনিয়র সাংবাদিক আহসান কাজল, জাতীয় রিপোর্টার্স ক্লাব মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি তাজুল মাতুব্বর, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, বিশিষ্ট ঠিকাদার ব্যবসায়ী শরীফ মহিউদ্দিন হাফিজ, জেলা কিন্ডারগার্টেন এর সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট এফ,এইচ কিন্ডারগার্টেন প্রধান শিক্ষক মাহাববুর রহমান রিপন মুন্সী, মানবাধিকার প্রতিনিধি ও সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট (অবঃ) আঃ কুদ্দুস পান্না হাওলাদারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সহ বিশেষ অতিথিবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা মরহুম মুহাম্মদ আলতাফ হোসেনের মতো এমন একজন দেশবরেণ্য সিনিয়র সাংবাদিকের ১ম মৃত্যু বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজনের জন্য জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, মাদারীপুর জেলা শাখার নেতারাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবন্দকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। পরে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিসহ নবনির্বাচিত উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান পিন্টুকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদানের পাশাপাশি সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
মন্তব্য