চট্টগ্রামের লোহাগড়ায় মসজিদের ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে।
উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম আমিরাবাদের খৈয়ারখীল এলাকার পশ্চিম আমিরাবাদ জামে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি জামায়াত নেতা মাহমুদুল হক পিয়ারুর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
লোহাগড়া উপজেলার পশ্চিম আমিরাবাদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নির্মাণকাজ চলছে। ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাই শেষ হয়েছে। বাকি আছে আর এক তলা। তবে অর্থ সংকটের জন্য রমজানের ঈদের পর থেকে কাজ বন্ধ আছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মসজিদ নির্মাণের জন্য অনুদান সংগ্রহ করে বেশির ভাগই আত্মসাৎ করেছেন পিয়ারু।
পিয়ারু হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (হাব) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্সিস অব বাংলাদেশের (আটাব) চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক। তিনি জামায়াতের রাজনীতিতে জড়িত বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন।
মাহমুদুল হক পিয়ারু জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাবেক এমপি শাহাজাহান চৌধুরীর টাইগার ক্লাবের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালে আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জামায়াতের সমর্থনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। তবে সেই নির্বাচনে তিনি জিততে পারেননি।
মসজিদের দাতা সদস্য স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, এলাকার মসজিদটি জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় পুনঃনির্মাণের প্রয়োজন হয়। তখন মাহমুদুল হক পিয়ারুকে এলাকার সবাই মিলে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করেন। এরপর তিনি অনুদান সংগ্রহ করে মসজিদ নির্মাণ শুরু করে।
তবে এর মধ্যে এলাকার কাউকে না জানিয়ে নিজেকে সাধারণ সম্পাদক ও এলাকার আরেকজনকে সভাপতি করে নতুন একটি কমিটি করেন পিয়ারু। ওই কমিটির মাধ্যমেই চলে নির্মাণ কাজ।
ফরিদুল জানান, রোজার ঈদের দিন জুমার নামাজের সময় মসজিদের খতিবের মাধ্যমে পিয়ারু ঘোষণা করেন, এখন পর্যন্ত ৯০ লাখ টাকার অনুদান সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তা মসজিদ নির্মাণে খরচও হয়ে গেছে।
এলাকাবাসী এ সময় হিসাব চাইলে তিনি কোনো হিসাব দেখাতে পারেননি। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় একজন প্রকৌশলীকে ভবন পর্যবেক্ষণে আনলে তিনি জানান, সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার কাজ হয়েছে।
ফরিদ অভিযোগ করে বলেন, ‘মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসা আমার পূর্বপুরুষ নিজেদের জমিতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর এই জমি তারা বংশধরদের নামে লিখে যান। সেই হিসেবে মসজিদ-মাদ্রাসার বর্তমান জমির মালিক আমরা, কিন্তু পিয়ারু ইদানীং বলে বেড়ায় আমরা মসজিদের কেউ না।
‘তা ছাড়া মসজিদের নতুন ভবন নির্মাণের সময় পুরোনো মসজিদের পেছনের আমার দখলীয় দেড় কড়া জায়গা চলে যায়। পরে আমাকে এই জমির লিখিত কাগজ দেয়ার কথা বললেও এখন সেটাও অস্বীকার করছে।’
ফরিদুল ইসলামের ভাতিজা মো. সেলিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি মসজিদ কমিটির সহসভাপতি ছিলাম। এলাকায় প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে আমাকেসহ পুরোনো কমিটির কয়েকজনকে বাদ দিয়ে পিয়ারু গোপনে নতুন কমিটি করেছে। সে বলে বেড়াচ্ছে আমরা নাকি মসজিদের কেউ না। তাই আমাদের মসজিদের নির্মাণকাজের হিসাব দেবে না।’
আবুল কালাম নামে দাতা পরিবারের আরেক সদস্য বলেন, ‘আমরা মসজিদ নির্মাণের হিসাব চাওয়ায় সে (পিয়ারু) ক্ষিপ্ত হয়ে নতুন সভাপতি হারুনকে দিয়ে আমাদের নামে মসজিদের রড, সিমেন্ট চুরির মিথ্যা মামলা করেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে কিছু না পেয়ে ফিরে যান। এতে তারা লজ্জিত হয়ে মামলাটা তুলে নেন।’
পিয়ারুর বিরুদ্ধে মসজিদের নাম পরিবর্তনেরও অভিযোগ এনেছেন স্থানীয় বাসিন্দা অওরঙ্গজেব সাগর।
সাগর জানান, পিয়ারু কমিটিতে ঢোকার পর হঠাৎ মসজিদের নামও পরিবর্তন করে ফেলেছেন। আগে মসজিদের নাম ছিল পশ্চিম আমিরাবাদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। কিছুদিন আগে দেওয়ান আলী জামে সমজিদ নামে কয়েকটি ব্যানার টাঙানো হয়েছে।
সাগর বলেন, ‘কে এই দেওয়ান আলী আমরা জানি না, কোনোদিন নামও শুনিনি।’
মসজিদের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম এস ইউনুস বলেন, ‘এই বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি, কিন্তু কেউ আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেনি।
‘কিন্তু মাহমুদুল হক পিয়ারু নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা দেয়ার কথা বলে ১৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে দুইজন। আমি তাকে কয়েক দফায় নোটিশ দেয়ার পরও তিনি হাজির না হওয়ায় ভুক্তভোগীরা মামলাটা আদালতে নিয়ে গেছে।’
তবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পিয়ারু। তিনি বলেন, ‘এলাকার কয়েকটি পরিবার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। তাদের ভোগদখলে থাকা জমির মসজিদ জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ও মাদ্রাসার ছাত্র কমে যাওয়ায় এলাকার মানুষের সিদ্ধান্তে তাদের কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।’
তিনি দাবি করেন, ‘পার্শ্ববর্তী একটি রেল প্রকল্পে মসজিদের দুই কানি জমি পড়েছে। মাদ্রাসা কমিটি থেকে বাদ পড়া নূর হেলাল ওই জমি অধিগ্রহণের ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছে। সে কথা এমপি ও ওসিকে জানানোয় তারা এখন আমার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করছে।’
এ অভিযোগের বিষয়ে হেলাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি মসজিদ-মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আমাকে না জানিয়ে পিয়ারু কমিটি করে নিজে দায়িত্ব নিয়েছেন। আমি উত্তরাধিকার সূত্রে রেল অধিগ্রহণের কিছু টাকা তুলেছি। তাদের টাকার ভাগ না দেয়ায় আত্মসাতের কথা বলছে। জায়গাটা মূলত আমাদের পরিবারের নামে ওয়াকফ করা।’
ওয়াকফ সম্পত্তির বিষয়টি মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি হারুনুর রশিদও জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে যে জমির কথা বলা হচ্ছে সেটা হেলালের পারিবারিক। মানে তার পূর্বপুরুষ ৫০ বছর আগে পরিবারের নামে ওয়াকফ করে গেছে। দানপত্রে লেখা আছে মসজিদের ব্যয় মিটিয়ে বাকি টাকা হেলালের পরিবার ভোগদখল করে খেতে পারবে। এ বিষয়ে কারো কোনো অভিযোগ নেই।’
মসজিদ নির্মাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে পিয়ারু বলেন, ‘ওরা যে হিসাব চাইতেছে ওদের কেন আমি হিসাব দিব? ওরা তো মসজিদের কেউ না, তাই আমি ওদের হিসাব দিতে বাধ্য না।’
তিনি দাবি করেন, মসজিদটি নির্মাণ করা হচ্ছে নিজেদের পারিবারিক অর্থায়নে। তবে কেউ অনুদান দিলে তাও সংগ্রহ করা হচ্ছে। আর এখন পর্যন্ত ঠিক কত টাকা খরচ হয়েছে তার হিসাব করা হয়নি।
তবে এর সঙ্গে ভিন্নমত রয়েছে মসজিদ কমিটির নতুন সভাপতি হারুনুর রশিদের। তিনি বলেন, ‘এটা আসলে ঠিক তাদের (পিয়ারু) পারিবারিক অর্থায়ন না। এলাকার মানুষ ও আরও কিছু দাতার অনুদানে মসজিদটি নির্মাণ করা হচ্ছে। শুধু ফুলকলির মালিকই দিয়েছেন প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।’
নাম পরিবর্তনের বিষয়ে পিয়ারু বলেন, ‘১৯৫১ সালে মসজিদ-মাদ্রাসার এই ১ কানি ১৭ গন্ডা জমি দেওয়ান আলী নামের এক ব্যক্তি মসজিদের জন্য দান করে গেছেন। তিনি ওয়াকফনামায় মসজিদটি তার নামে করার কথা উল্লেখ করেছেন। তাই মসজিদটি শুরু থেকেই এই নামে ছিল।’
মসজিদের খতিব দেলোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের দিন জুমার খুতবায় মসজিদে আনুমানিক ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলেছি ঠিক আছে। কিন্তু তা তো বিতর্কের জন্য বলিনি, মসজিদ নির্মাণের অর্থ সংগ্রহের জন্য বলেছি।
‘আর এটা আমাকে কেউ বলতেও বলেনি। দোকানে এলাকার মানুষের আলোচনা থেকে শুনে এটা বলেছি, যেন সবার অংশগ্রহণে মসজিদটির নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ হয়ে যায়।’
আরও পড়ুন:অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর নিরাপত্তাহীনতায় পুনরায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল পৌণে সাতটার দিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার নকশি সীমান্ত পথে নকশি ক্যাম্পের টহলরত বজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বিকেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
বিষয়টি ২৬ আগষ্ট সকালে বিজিবি পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।
আটককৃতরা হলো মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রমজান আলী (২৪) ও আসমত আলীর ছেলে রাসেল (১৬)। আটক অনুপ্রবেশকারীরা হলো, নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বোমবাঘ গ্রামের শামীম শেখ (২৩), আফসানা খানম (২২), রুমা বেগম (৩২), মিলিনা বিশ্বাস (২৮) ও তিন বছর বয়সী শিশু কাশেম বিশ্বাস।
বিজিবি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, মাথাপিছু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৩ আগস্ট রাতের আধারে নালিতাবাড়ীর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে নারী এবং শিশুসহ ৫ বাংলাদেশীকে ভারতে পাঠায় মানব পাচারকারী রমজান আলী ও রাসেল। কিন্তু ভারতীয় পুলিশের তৎপরতায় নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এ পাঁচ বাংলাদেশী। এ কারণে ২৫ আগষ্ট সোমবার সকাল পৌণে সাতটার দিকে ঝিনাইগাতির নকশি সীমান্তের কালিমন্দির এলাকা দিয়ে পুনরায় তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা টের পেয়ে সবাইকে আটক করে। পরে মানব পাচারে জড়িত দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এবং অন্য ৫ জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং সবাইকে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ময়মনসিংহ বিজিবি’র ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
ঝালকাঠিতে গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় এনে ব্রান্ডশপ লোটো ও লি কুপার প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১৩২তম ফ্লাগশিপ আউটলেট উদ্বোধন করেছে।
এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্ট লিঃ এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী জাভেদ ইসলাম সহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে নিয়ে ফিতা কেটে আউটলেটটি উদ্বোধন করেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়।
পৌর শহরের সাধনার মোড়ে মঙ্গলবার ২৬ আগষ্ট সকাল ১০টায় লোটো ও লি কুপারের ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটদ্বয়ের শুভ উদ্বোধন আনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠিতে কোম্পানীর এ যাত্রার প্রথম দিনে স্থানীয় ফ্যাশন সচেতন তরুণ তরুণীরা তাদের পছন্দের পন্য কালেকশন বেছে নিতে ভীর জমায়।
কোম্পানীর পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রথম তিনদিনের প্রতিদিন প্রথম ৩০ জন পাবেন ৫০% ছাড়, ২য় ৩০ জন পাবেন ৪০% ছাড়, ৩য় ৩০ জন পাবেন ৩০% ছাড়, ৪র্থ ৩০ জন পাবেন ২০% ছাড় এবং তৎপরবর্তী সকল কাস্টমার পাবেন ১০% ছাড়। এই বিশেষ ছাড় ২৬শে আগষ্ট থেকে শুরু হয়ে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে
নওগাঁয় সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ মামলায় আ: সালাম (৩৮) নামে এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আ: সালাম সদর উপজেলার বর্ষাইল মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম ওই শিক্ষার্থীর পরিবার পত্নীতলা উপজেলায় ভাড়া থাকতেন। ভাঙ্গারী ব্যবসার সুবাদে আসামী আ: সালামও পাশাপাশি একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভিকটিম মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে আ: সালাম বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো এবং রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামী আ: সালাম ওই ভিকটিমের পরিবারকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখাতো। এরই একপর্যায়ে ২০২২ সালের ১১ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে আসামী আ: সালাম একটি বাজার এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর দক্ষিন পাড়া গ্রামের মোজাফ্ফর রহমানের ভাড়া বাড়িতে আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করলে র্যাব ওই বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেফতার ও মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামী আ: সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আ: সালামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলার এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ফাহমিদা কুলসুম উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় তাকে বিয়ে করায় এক দম্পতিকে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে নালিশ দেওয়ার জের ধরে পেটানো হয় দিনমজুর আব্দুল জলিল প্রামানিককে। প্রতিপক্ষের লোকজনের মারধরে এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে গেছে।
এঘটনায় তিনি একটি থানায় অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে সেটি মামলাটি হিসেবে রের্কড করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
সরেজমিনে বালুকাপাড়া গ্রামে গিয়ে আব্দুল জলিলকে ১৮ মাস ধরে সমাজচ্যুত করে রাখার তথ্য জানা গেছে। আব্দুল জলিলের সমাজচ্যুত করার ঘটনাটি স্থানীয় রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশীদ মন্ডলও অবগত আছেন। তিনি দুই পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকেও সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি।
গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের কারণে আব্দুল জলিল প্রামানিক রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেন। এঘটনার ২৯ দিন পর তিনি আবারও স্ত্রীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বরেরা ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল জলিল প্রামানিকের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখেন। সেই সময় জলিল প্রামানিক বিষয়টি আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে জানান। ইউএনও রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মণ্ডলকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন। ইউপি চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। তবে কার্যত কোন কোনো সমাধান করতে পারেননি। এতে গ্রাম্য মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলের ওপর আরও ক্ষুব্ধ হন। সমাজচ্যুত করে রাখা আব্দুল জলিল গত ১৫ আগস্ট রাত আটটার দিকে গ্রামের মসজিদের দিকে রওনা হন। এসময় মাতব্বরেরা তাকে দুই দফায় প্রচন্ড মারধর করেন। এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে যায়। তিনি চিকিৎসা নিয়ে থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বালুকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেড় বছর আগে আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। কয়েক দিন পর আবার সংসার শুরু করেন। এনিয়ে গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিল প্রামানিককে সমাজচ্যুত করেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বৃদ্ধা লুৎফন নেছা বলেন, আমি কাজ করতে পারিনি। আব্দুল জলিলের বউ আমার বাড়িতে এসে জবাই করা মুরগির তরকারি রান্না করে দিয়েছিল। আমি জলিলের বাড়িতে গিয়ে এক বাটি মুরগির মাংসের তরকারি দিয়ে এসেছি। এতে আমাকেও সমাজচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল।
বালুকাপাড়া গ্রামের মোড়ের দোকানি হাফিজার রহমান বলেন, বউকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় আব্দুল জলিল প্রামানিককে গ্রামের মাতব্বরেরা সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল গ্রামের সামাজিক কোন কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেয় না।
আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, আমি রাগের মাথায় স্ত্রী তালাক দিয়েছিলাম। ২৯ দিন পর আবার বিয়ে পড়ে নিয়েছি। একারণে গ্রামের মাতব্বর রকি খান, মিল্টন খাঁ, আবু সুফিয়ানসহ আরও ১০-১২ জন আমাকে সমাজচ্যুত করেছেন। রাগের মাথায় স্ত্রীক। তালাক দিলে পুনরায় বিয়ে করা যাবে ঢাকার একজন মুফতির মতামত নিয়ে আসার পরও তারা মানেনি। তারা বলছে হিল্লা বিয়ে ছাড়া আমার বিয়ে বৈধ হবে না। তারা আমাকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায়ে করতে ও জানাজায় শরিক হতে বা দেননি। মিলাদ মাহফিল দাওয়াত দেওয়ার মাতব্বরদের চাপে পর ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি গ্রামের কারও জমিতে দিনমজুরি কাজও করতে পারব না বলে লোকজন জানিয়ে দেন। একারণে কেউ আমাকে কাজে নেয় না। সমাজচ্যুত করার জের ধরে মসজিদে যাওয়ার সময় মাতব্বরদের একাংশের লোকজন আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছেন।
গ্রামের মাতব্বদের একজন মো. মিল্টন খাঁ। তিনি আব্দুল জলিলের দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি। তাকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কাজ করেছেন। একারণে গ্রামের লোকজন তাকে সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কি কাজ করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার স্ত্রীকে নিয়েছেন। এটা সমাজ বিরোধী কাজ।
আক্কেলপুর রায়কালী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মন্ডল বলেন, আব্দুল জলিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। এঘটনায় গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলকে সমাজচ্যুত করেন। আব্দুল জলিল ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ইউএনও স্যার আমাকে ঘটনাটি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। উভয়পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছি। আব্দুল জলিল যেন সামাজিকভাবে মিশতে পারে সেটি বলেছি। সমাজচ্যুতের ঘটনার জের ধরে আব্দুল জলিলকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার বাম হাত ভেঙেছে বলে জেনেছি।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুল জলিল প্রামানিক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেটি মামলা হিসেবে রের্কড করা হয়েছে। আসামি আট জনের মধ্যে ইতিমধ্যে আদালত থেকে পাঁচজন আসামি জামিন নিয়েছেন, অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৭,২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১,৯১৬ কোটি টাকা। জুলাই-২০২৫ মাসে বিগত জুলাই-২০২৪ মাসের তুলনায় ৫,৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই ২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৩৩%।
জুলাই’২৫ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১,৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,৫৭১ কোটি টাকা। জুলাই ২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫%।
আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে জুলাই’২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬,২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই’২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৫,১৭৫ কোটি টাকার চাইতে ১,১২০ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে জুলাই ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫%।
২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯,৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৫২%।
রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
সম্মানিত করদাতাগণ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমান কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।
কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন
র্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।
মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।
পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।
কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।
ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”
স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য