× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
চারা বই বিলানোতেই সুখ মাহামুদুলের
google_news print-icon

চাকরিতে আটকে নয়, মাহমুদুল বিলান গাছ

চাকরিতে-আটকে-নয়-মাহমুদুল-বিলান-গাছ
সাইকেল নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে গাছের চারা বিতরণ করেন মাহমুদুল। ছবি: নিউজবাংলা
চারা ও বই বিতরণে পরিবারের সহযোগিতার বিষয়টি উল্লেখ করে মাহমুদুল বলেন, ‘আমার এসব কাজে সবচেয়ে অনুপ্রেরণা জোগান আমার মা। বাবাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। বাবা-মায়ের আর্থিক সহযোগিতায় নিজেই একটি হাঁস-মুরগির ছোট খামার গড়ে তুলেছি। ডিম ও মুরগির বাচ্চা বিক্রি করে গাছের চারা ও বই কেনা হয়।’

‘আমার মায়ের ভালোবাসা আর গাছের ভালোবাসার মধ্যে কোনো তফাত দেখতে পাই না। মা আমাকে যেভাবে কাছে ডাকে, গাছপালাও আমাকে সেভাবেই কাছে ডাকে।’

কথাগুলো বলছিলেন মাহমুদুল ইসলাম মামুন। রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর শেষে চাকরির পেছনে না ছুটে স্বপ্ন ফেরি করছেন তিনি। বিলি করেন গাছ ও বই। নিজ গ্রামসহ আশপাশের ১০ গ্রামে নিজ উদ্যোগে হাজারের বেশি গাছ লাগিয়েছেন এ যুবক।

গাছ বিতরণের কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গাছের জীবন আর আমার জীবন একটাই জীবন। শুধু পরিবেশ দিবসেই গাছের খবর নয়, আমার কাছে প্রতি ঘণ্টা, প্রতিদিন, প্রতি বছরের পুরো সময়েই পরিবেশ দিবস।’

শুরুর গল্প

২০১৩ সালের কথা। তখন রংপুর কারমাইকেল কলেজে বাংলায় স্নাতকে পড়তেন মাহমুদুল। সে সময় বাড়ি থেকে বাবা-মায়ের পাঠানো টাকা থেকে কিছু জমিয়ে রাখতেন তিনি। প্রতিবার ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার সময় রংপুর থেকে নানান জাতের ফলদ আর বনজ গাছের চারা নিয়ে যেতেন; রোপণ করতেন বাড়ির আশপাশে।

এভাবে চলতে চলতে একটা সময় পুরো গ্রামকে নিয়ে ভাবতে থাকেন মাহমুদুল। নিজের টাকা দিয়ে কেনা গাছের চারা বিতরণ শুরু করেন স্থানীয়দের মধ্যে। সঙ্গী সাইকেলটি নিয়ে প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাছের চারা বিতরণ শুরু করেন।

চাকরিতে আটকে নয়, মাহমুদুল বিলান গাছ

গাছের প্রতি ভালোবাসা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার আজিজনগর গ্রামে মাহমুদুলদের বাড়িটি বেশ খানিকটা জায়গাজুড়ে। বাবা আজহারুল ইসলাম চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। মা মাহমুদা বেগম গৃহিণী। দুই ভাইয়ের মধ্যে মাহমুদুল ছোট।

প্রকৃতি আর পরিবেশকে সবুজ রাখতেই মাহমুদুল গাছ উপহার দেন সবাইকে।

চাকরিতে আটকে নয়, মাহমুদুল বিলান গাছ

তার বাড়ির ভেতরে অনেক ফলদ আর বনজ গাছপালা। ছায়া-নিবিড় এমন পরিবেশে বেড়ে ওঠা তরুণ মাহমুদুলের স্বপ্ন জাগে প্রকৃতি আর পরিবেশকে সবুজ রাখার পাশাপাশি আলোর প্রদীপ ছড়ানোর।

এমন স্বপ্ন নিয়েই নিজের টাকায় গাছের চারা বিতরণ করছেন ছয় বছর ধরে। এ ছাড়া পাড়ায়-মহল্লায় শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে জড়ো করে বসাচ্ছেন সাহত্যি পাঠের আড্ডা; উপহার দিচ্ছেন বই।

চাকরিতে আটকে নয়, মাহমুদুল বিলান গাছ

‘সন্ধ্যা রাতে পাঠশালা’

গাছ বিতরণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের বাড়িতে গড়ে তুলেছেন ‘সন্ধ্যা রাতে পাঠশালা’। প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার পাশাপাশি সবুজ প্রকৃতি গড়ার পদ্ধতিও শেখানো হয় তার এই পাঠশালায়। বর্তমানে তার এই পাঠশালায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০ জন।

সাহিত্যপাঠের চর্চা বাড়াতে শিশু, কিশোর ও তরুণদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বই দিয়ে আসেন মাহমুদুল। আবার সপ্তাহ ঘুরলে সেই বই বদলে আরেকটি দিয়ে আসেন।

নিজেও লিখেছেন উপন্যাস। ২০১৪ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশ হয় তার ‘লাল ফিতায় অমিয়’ নামে একটি উপন্যাস।

টাকার উৎস

নিজের টাকায় গাছের চারা বিতরণ করা তরুণ মাহমুদুল টাকা কোথায় পান, এমন প্রশ্ন তোলেন অনেকেই।

এ ব্যাপারে মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এসব কাজে সবচেয়ে অনুপ্রেরণা জোগান আমার মা। বাবাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। বাবা-মায়ের আর্থিক সহযোগিতায় নিজেই একটি হাঁস-মুরগির ছোট খামার গড়ে তুলেছি। ডিম ও মুরগির বাচ্চা বিক্রি করে গাছের চারা ও বই কেনা হয়।

‘এ ছাড়া বাবার একটা ছোট চা বাগান আছে। সেটাও দেখাশোনা করি। বাবা-মায়ের কাজে সাহায্য করে প্রতিদিন বই আর গাছের চারা চটের ব্যাগে ভরে সাইকেলে নিয়ে দূরে কোনো একটি গ্রামে গরিব শিশু-কিশোরদের উপহার দিই।’

চাকরিতে আটকে নয়, মাহমুদুল বিলান গাছ


এলাকার মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের র্কমর্কতাদের হাতেও ফুল, ফলদ ও বনজ গাছের চারা উপহার দিয়েছেন মাহমুদুল।

তার এ কাজ সম্পর্কে মা মাহমুদা বেগম বলনে, ‘বাড়িতে নিজের কাজের পাশাপাশি মানুষরে উপকার করে। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই ৩০ জন বাচ্চা ওর কাছে পড়তে আসে। গাছ আর বই নিয়ে মানুষকে দেয়।

‘এসব দেখে মা হিসেবে ভালোই লাগে আমার। আমি চাই আমার ছেলে দেশ আর দেশের কল্যাণে কাজ করুক; এগিয়ে যাক।’

স্থানীয় স্কুলশিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মাহমুদুল আমাদের সমাজের অনন্য দৃষ্টান্ত। বর্তমান সমাজে কয়জন আছেন এভাবে প্রকৃতি, পরিবেশ আর সাহিত্য নিয়ে ভাবার। ওর কাজ আমাদের মুগ্ধ করে।’

নিজের বাড়িতে ডালিমগাছ দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই দেখেন প্রায় দুই বছর আগে মাহমুদুলের দেয়া ডালিমগাছে এবার প্রচুর ফল এসেছে। আমি তার এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’

আরও পড়ুন:
কিশোরী রাতার ‘ডিম গাছ’
কৃষকের ২০০ গাছ কেটে ফেলল দুর্বৃত্তরা
‘বিরোধের ঝাল’ গাছের ওপর
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গাছ চুরির মামলা
শত বছর ধরে ছায়া দিচ্ছে ডানা মেলা তমাল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Holidays are not increasing schools are opening on Sunday amid the heat wave

তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার শর্তসাপেক্ষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার শর্তসাপেক্ষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছবি: সংগৃহীত
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহের কারণে ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের বাইরের কোনো কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের দিয়ে করানো যাবে না।

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এদিন থেকে যথারীতি চলবে ক্লাস। তবে তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের বাইরের কোনো কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের দিয়ে না করানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

প্রজ্ঞাপনে চারটি সিদ্ধান্তের উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো-

২৮ এপ্রিল রোববার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার জানিয়েছিলেন, বর্তমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে কি না সে বিষয়ে শুক্রবার অথবা শনিবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

কোনো বিকল্প পরিকল্পনা আছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনলাইনে তো আছে, সেটা আমরা পরে দেখব। গ্রাম পর্যায়ে স্কুল আছে, তারা তো অনলাইনে অভ্যস্ত না। অতএব সবকিছু চিন্তা করেই আমাদের কাজ করতে হবে। শুক্র বা শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেব।’

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শেষে ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার।

আরও পড়ুন:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, শনিবার সিদ্ধান্ত
আরও এক সপ্তাহ স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত আসছে
ঈদ ও নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষ, তবু আমেজ কাটেনি

মন্তব্য

সারা দেশ
Another very intense heat wave in Chuadanga the temperature is 422

ফের অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চুয়াডাঙ্গায়, তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২

ফের অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চুয়াডাঙ্গায়, তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ চুয়াডাঙ্গায় আবারও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। গাছের ছায়ায় স্বস্তি খুঁজছে মানুষ। ছবি: নিউজবাংলা
বুধবারও এখানে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। ওইদিন এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন তাপমাত্রা নেমেছিল ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেই তীব্র তাপপ্রবাহ বৃহস্পতিবার এসে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।

চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরু থেকেই উচ্চ তাপমাত্রায় আলোচনায় রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা। মৃদু, মাঝারি, তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপমাত্রা দেখছে জেলাবাসী। মাঝে তাপমাত্রা সামান্য কমলেও ফের অতি তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের পশ্চিমের এই জেলা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার মানে জেলায় আবারও অতি তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে এই জেলা।

আগের দিন বুধবারও এখানে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। ওইদিন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন তাপমাত্রা নেমেছিল ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেই তীব্র তাপপ্রবাহ বৃহস্পতিবার এসে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।

জেলা জুড়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে অস্বস্তি আরও বেড়েছে। স্বস্তি মিলছে না কোথাও। তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে দিনের অধিকাংশ সময় মানুষ গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে।

গরমের প্রভাবে বাড়ছে রোগবালাই। গরমজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে। তীব্র তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ কাজে যেতে পারছে না। নষ্ট হচ্ছে ধান, কলা, আম, লিচুসহ মৌসুমী ফসল।

গোপালপুর গ্রামের কৃষক হান্নান আলী বলেন, ‘এই তাপে মাটে উঠতি ফসল নষ্ট হয়ি যাচ্চি। আর রোদির তাতে মাটে দাঁড়ানু যাচ্চি না। ধানের ক্ষেতে বেশি সেচ লাগচি। তাও আবার দিনের বেলায় পাম্পে পানি উটচি না। রাতি দিতি হচ্চি।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়েছে। জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ রূপ নিয়েছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে। সহসা বৃষ্টি হওয়ার কোনো পূর্বাভাস নেই। চলতি এপ্রিল মাসের শেষ দিন পর্যন্ত আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহে মাগুরার হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা
তাপপ্রবাহ: বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত
তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে জনপদ, আছে ঢাকাও
অতি তীব্র দাবদাহ চুয়াডাঙ্গায়, তাপমাত্রা ৪২.২
তাপপ্রবাহে গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ

মন্তব্য

সারা দেশ
UNICEF calls for extra caution for children in the wild

দাবদাহে শিশুদের প্রতি বাড়তি সতর্ক হওয়ার আহ্বান ইউনিসেফের

দাবদাহে শিশুদের প্রতি বাড়তি সতর্ক হওয়ার আহ্বান ইউনিসেফের ছবি: সংগৃহীত
ইউনিসেফের মতে, তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, শিশু এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য যারা তাপজনিত অসুস্থতা যেমন হিট স্ট্রোক এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে বিশেষভাবে ডায়রিয়া ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ ও উত্তপ্ত তাপমাত্রার কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে ইউনিসেফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।

বুধবার ইয়েট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আপনার প্রতিবেশিদের দিকে নজর রাখুন- দুর্বল পরিবার, প্রতিবন্ধী শিশু, গর্ভবতী নারী এবং বৃদ্ধরা তাপপ্রবাহের সময় অসুস্থতা বা মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে। সময় নিয়ে প্রতিবেশীদের খোঁজখবর নিন, বিশেষ করে যারা একা থাকেন।’

ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ‘অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে বাংলাদেশের শিশুরা।

ইউনিসেফের মতে, তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, শিশু এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য যারা তাপজনিত অসুস্থতা যেমন হিট স্ট্রোক এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে বিশেষভাবে ডায়রিয়া ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইয়েট বলেন, ‘যেহেতু শিশুদের ওপর ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার প্রভাবের উদ্বেগের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে, তাই ইউনিসেফ অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের হাইড্রেটেড ও নিরাপদ রাখতে অতিরিক্ত সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।’

এই তাপপ্রবাহের তীব্রতা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।

তাপমাত্রা নজিরহীনভাবে বাড়তে থাকায় অবশ্যই শিশু এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে জানান ইয়েট।

এই তাপপ্রবাহ থেকে ইউনিসেফ কর্মী, বাবা-মা, পরিবার, যত্নগ্রহণকারী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের রক্ষায় নিচের পদক্ষেপগুলো নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে-

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের বসার বা খেলার জন্য শীতল জায়গা তৈরি করুন।
  • গরমের দুপুর এবং বিকেলে বাইরে থাকা এড়িয়ে চলুন।
  • নিশ্চিত করুন যে শিশুরা হালকা, বাতাস প্রবেশ করে এমন পোশাক পরবে এবং সারা দিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবে।

প্রাথমিক চিকিৎসা

যদি কোনো শিশু বা গর্ভবতী নারীর হিটস্ট্রেসের লক্ষণগুলো দেখা যায়, যেমন- মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘাম, বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে রক্তপাত, পেশি খিঁচুনি, ফুসকুড়ি ইত্যাদি; ওই ব্যক্তিকে ভালো বায়ু চলাচলসহ শীতল, ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখুন এবং ভেজা তোয়ালে বা শীতল পানি দিয়ে শরীর মুছে দিন।

পানি বা ওরাল রিহাইড্রেশন লবণ (ওআরএস) গ্রহণ করুন।

হিটস্ট্রেসের গুরুতর লক্ষণগুলোতে (যেমন: বিভ্রান্তি বা প্রতিক্রিয়া জানাতে অক্ষমতা, অজ্ঞান হওয়া, শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, খিঁচুনি এবং চেতনা হ্রাস) হলে জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালে নেয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

মন্তব্য

সারা দেশ
The temperature of Chuadanga dropped to 41 degrees again

ফের ৪১ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা

ফের ৪১ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা একটু বাতাসের জন্য ঘর ছেড়ে গাছতলায় আশ্রয় খুঁজছে চুয়াডাঙ্গার মানুষ। ছবি: নিউজবাংলা
চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে জেলার কৃষিকাজ। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। দাবদাহে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রমও।

বেশ কয়েকদিন ধরে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের পর গত দুদিন কিছুটা কমে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছিল চুয়াডাঙ্গা জেলায়। তবে আবারও তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহের রূপ নিয়েছে।

বুধবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এর মধ্যে জেলার কয়েকটি জায়গায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে বেশ কিছু সময় ধরে (৪০ মিনিট) গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডে তা ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার। বৃষ্টির কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্প বাড়ায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি আরও বেড়েছে।

তাপদাহে স্বস্তি মিলছে না কোথাও। গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে, ভ্যাপসা গরমে সেখানেও মিলছে না শান্তি।

চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। দাবদাহে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রমও।

দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামের কৃষক আব্দুল আলিম বলেন, ‘এই তাপে ধানের খেত শুকিয়ে যাচ্চি, বেশি বেশি সেচ দিতি হচ্চি। দিনের বেলায় পাম্পে খুব একটা পানি উটচি না। রাতি পানি দিতি হচ্চি। তাছাড়া আম, লিচু, কলা সব নষ্ট হয়ি যাচ্চি। গরমে আমারও মাটে টিকতি পারচি নি।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গলবারের তুলনায় আজ (বুধবার) তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি বেড়েছে। এপ্রিল মাসজুড়ে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।’

আরও পড়ুন:
দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে, অস্বস্তি থাকতে পারে
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা নেমেছে ৩৯.৬ ডিগ্রিতে
দাবদাহে পুড়ছে জীবন, পুড়বে আরও

মন্তব্য

সারা দেশ
Three people died of heat stroke in three districts

হিট স্ট্রোকে তিন জেলায় তিনজনের মৃত্যু

হিট স্ট্রোকে তিন জেলায় তিনজনের মৃত্যু ফাইল ছবি
শনিবার থেকে টানা তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারির পর নতুন করে সোমবার (২২ এপ্রিল) আবারও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এই আবহাওয়া চলতি মাসজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

কদিন ধরেই দাবদাহে পুড়ছে দেশ। দিনভর তীব্র তাপপ্রবাহ। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ অবস্থায় জামালপুর, নাটোর ও কুমিল্লায় হিট স্ট্রোকে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

জামালপুরে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

জামালপুরের ইসলামপুরে চলমান তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোক করে গোলাম রাব্বানী নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়।

৪৮ বছর বয়সী রব্বানী উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের পশ্চিম গিলাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। তিনি গুঠাইল বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করতেন।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, কয়েক দিনের চলমান তীব্র তাপদাহের কারণে এদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাড়িতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন গোলাম রাব্বানী। পরে তাকে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএএম আবু তাহের বলেন, ‘গোলাম রাব্বানীকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমার ধারণা।’

বড়াইগ্রামে কৃষকের মৃত্যু

নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষিখেতে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোক করে রকুল হোসেন নামের এক কৃষকের মুত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের সাতইল বিলে এই ঘটনা ঘটে।

৩০ বছর বয়সী রকুল উপজেলার গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামের হাজী আব্দুর রহিমের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চান্দাই ইউপি চেয়ারম্যান শাহানাজ পারভীন বলেন, ‘সকাল থেকে জমিতে কাজ করছিল কৃষক রকুল হোসেন। এক পর্যায়ে তীব্র দাবদাহ সহ্য করতে না পেরে তিনি পাশের জলাশয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু সেখানে পোঁছানোর আগেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।’

বুড়িচংয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

তীব্র গরমে কাজ করতে গিয়ে কুমিল্লার বুড়িচংয়ে হিট স্ট্রোক করে মজিবুর রহমান নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বুড়িচং উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী মো. রুহুল আমিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

৪৫ বছর বয়সী মজিবুর রহমান উপজেলার জগতপুর গ্রামের আলফাজ উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, এদিন সকাল নয়টার দিকে রুহুল আমিনের বাড়িতে কাজ করতে যান মজিবুর। কিছুক্ষণ পর ভবনের বেইজ কাটার সময় হিটস্ট্রোক করেন তিনি। স্থানীয়রা তাকে সঙ্গে সঙ্গে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বুড়িচং থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মরদেহের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ফলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি স্ট্রোক করে মারা গিয়েছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।’

গত ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ সারা দেশে এখনও অব্যাহত রয়েছে। শনিবার থেকে টানা তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারির পর নতুন করে সোমবার (২২ এপ্রিল) আবারও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এসময় বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল, কলেজ, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। আদালতেও আইনজীবীদের কালো পোশাক পরা শিথিল করা হয়েছে।

এই আবহাওয়া চলতি মাসজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন অর্থাৎ সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শনিবার মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে। সেদিন চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রাও ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুসারে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

মন্তব্য

সারা দেশ
Extreme heatwave temperature in Chuadanga drops to 396 degrees

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা নেমেছে ৩৯.৬ ডিগ্রিতে

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা নেমেছে ৩৯.৬ ডিগ্রিতে তীব্র তাপপ্রবাহে অস্থির কৃষক নলকূপের পানি পানে স্বস্তি খোঁজার চেষ্টা। মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গায়। ছবি: নিউজবাংলা
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ (মঙ্গলবার) তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তীব্র তাপদাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।’

চরম আবহাওয়ার খবরে বরাবরই শিরোনামে থাকে চুয়াডাঙ্গার নাম। চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমেও শুরু থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়ে আসছে এই জেলায়। অতি তীব্র তাপপ্রবাহের পর এখানে মঙ্গলবার ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ। তবে সোমবারের তুলনায় এদিন কয়েক ডিগ্রি কমেছে তাপমাত্রা।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকে সূর্যের চোখ রাঙানিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জেলার জনপদ। দিনের মতোই থাকছে রাতের তাপমাত্রা। বাতাসে আগুনের হল্‌কা। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। পুকুর ও সেচ পাম্পের পানিতে গোসল করে শান্তি খুঁজছেন অনেকে। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রামের কৃষক ফজলুল হক বলেন, ‘এই তাপে মাঠে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। ভ্যাপসা গরমে কৃষি কাজ করা যাচ্ছে না। ধানে বেশি সেচ লাগছে। কিন্তু সেচ পাম্পে পানিও ঠিকমতো উঠছে না। বিদ্যুতের ভোগান্তি তো আছেই।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ (মঙ্গলবার) তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তীব্র তাপদাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।’

আরও পড়ুন:
আরও এক সপ্তাহ স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত আসছে
যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৬, হিটস্ট্রোকে চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় মৃত্যু ২
তীব্র দাবদাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১.৫ ডিগ্রিতে
তাপপ্রবাহে আমের গুটি টেকাতে যে পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞ
সপ্তাহজুড়ে বাড়বে তাপপ্রবাহ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত অস্বস্তি বাড়াবে

মন্তব্য

সারা দেশ
Heavy fire in six districts glimpse of rain in two divisions

ছয় জেলায় তীব্র দাবদাহ, দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস

ছয় জেলায় তীব্র দাবদাহ, দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস ফাইল ছবি
টানা কদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা বেড়েছে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী, পাবনা, বরিশালেও প্রচণ্ড গরম।

কদিন ধরেই দাবদাহে পুড়ছে জনজীবন। গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। দিনভর তীব্র তাপপ্রবাহ, তবে রাতে কিছুটা স্বস্তি মিলছে। এই অবস্থা থেকে আপাতত মুক্তি মিলছে না।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ যেভাবে বয়ে যাচ্ছে, আরও কটা দিন এভাবেই তা চলবে। কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে এতে গরম তেমন একটা কমবে না।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালী জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে।

তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হওয়ারও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে আবহাওয়ার খবরে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্য থাকবে। এর ফলে ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

পরবর্তী পাঁচ দিনের আবহাওয়াও প্রায় একই থাকতে পারে জানিয়েছে অধিদপ্তর।

এর আগে সোমবার চলমান তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে ৭২ ঘণ্টার জন্য দেশজুড়ের রেড অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তার আগেও গত ১৯ এপ্রিল তিন দিনের হিট অ্যালার্ট দেয়া হয়। অ্যালার্ট থাকবে ২৫ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত।

টানা কদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা বেড়েছে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী, পাবনা, বরিশালেও প্রচণ্ড গরম। সোমবার খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুসারে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

আরও পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা নেমেছে ৩৯.৬ ডিগ্রিতে
দাবদাহে পুড়ছে জীবন, পুড়বে আরও

মন্তব্য

p
উপরে