নাটোরের নলডাঙ্গার তেঘরিয়া গ্রামের কৃষক সন্তোষ প্রামাণিকের বাড়িতে আরবি ও বাংলা অক্ষরে হাতে লেখা চিরকুট মুখে নিয়ে এসেছিল একটি ঘুঘু। রোববার আসা পাখিটি মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ছিল বাড়িটিতে।
পরে একটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার সদস্যরা এসে পাখিটিকে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেয়। চিরকুট রয়ে যায় সন্তোষের বাড়িতে।
এর আগে চিরকুট নিয়ে ঘুঘুর আগমনের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পাখিটি দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে সন্তোষের বাড়িতে।
ঘুঘুটিকে অবমুক্ত করা নিয়ে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) কেন্দ্রীয় দপ্তরের সম্পাদক ও স্থানীয় পরিবেশকর্মী ফজলে রাব্বী বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম এটি লাল রাজ ঘুঘু। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে পাখিটি উদ্ধার করে অবমুক্তের সময় নিশ্চিত হই এটি একটি কণ্ঠী ঘুঘু। বনবিভাগ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিবিসিএফের সঙ্গে কথা বলে পাখিটিকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।’
গত রোববার দুপুরে সন্তোষ প্রামাণিকের বাড়ির টিনের চালে হঠাৎ এ পাখি এসে বসে। এ সময় সন্তোষের স্ত্রী মানিকজান প্রথমে পাখিটি দেখতে পায়। খাবার দিলে ঘুঘুটি টিনের চাল থেকে মাটিতে নেমে আসে।
খাবার দিয়ে পাখিটিকে ধরে খাঁচায় বন্দি করে সন্তোষের বাড়ির লোকজন। খাঁচায় বন্দি করার সময় দেখতে পায় পাখির ঠোঁটে কাগজের চিরকুট। তাতে হাতে লেখা আরবি ও বাংলা অক্ষর।
চিরকুটের নিচের অংশে বাংলা অক্ষরে দুই মেয়ে ও দুই ছেলের নাম লেখা ছিল।
আরবিতে কী লেখা ছিল, তার অর্থ স্থানীয়রা বের করতে পারেননি।
অনেকের ধারণা, কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে কেউ পাখির ঠোঁটে চিরকুট দিয়ে দিতে পারে।
যানবাহনের প্রচলিত অ্যাসিড ব্যাটারির মেয়াদকাল ছয় মাস থেকে এক বছর। এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অথচ একটি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি চলে পাঁচ থেকে ছয় বছর। এটি যানবাহন চালানোর খরচ কমিয়ে দেয়। পরিবেশও বাঁচায়।
এমন দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির থ্রি হুইলার বাজারে আনছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ‘বাঘ মোটরস’। আগামী জুলাইয়ে উৎপাদনে যাবে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী কাজী জসিমুল ইসলাম বাপ্পি জানান, দেশে এটি হবে প্রথম ইকো থ্রি-হুইলার ট্যাক্সি। এর নাম রাখা হচ্ছে ‘বাঘ’। গাজীপুরের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন শুরু হবে।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবেশ বাঁচাতে আমাদের তেলের বিকল্প নিয়ে ভাবতেই হবে। শুধু থ্রি-হুইলারই নয়, আগামী তিন বছরে বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহনও যুক্ত হবে বাঘ মোটরসের বহরে।’
গত মার্চে এ বাহনটিকে চলাচলের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। উচ্চ নিরাপত্তা ফিচার, কম খরচ ও উন্নত প্রযুক্তির এই গাড়ির দাম ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বাঘ মোটরস জানিয়েছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকলেও তাদের থ্রি হুইলারে তেমন গরম অনুভূত হয় না।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘বাঘ মোটরস প্রথম কোনো বাংলাদেশি কোম্পানি নিজস্ব প্যাটেন্ট দিয়ে, নিজস্ব ডিজাইনে নিজস্ব প্রকৌশলে দেশে গাড়ি উৎপাদন করছে। বর্তমানে দেশে অন্যরা যেসব গাড়ি উৎপাদন করছে, সেগুলো প্রযুক্তিসহ সব কিছুই অন্য দেশের। এখানে শুধু উৎপাদন হচ্ছে। আর আমাদের পেটেন্ট থেকে শুরু করে সবকিছুই নিজস্ব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এ পরিবহন শতভাগ পরিবেশবান্ধব, কোনো দূষণ নাই, সৌরশক্তিতে চলে, গ্রিন এনার্জি ব্যবহার হয়। এমন হাজারটা কারণ আছে, যাতে মানুষ আমাদের এই বাঘ ইকো মোটরসের ইকো ট্যাক্সি ব্যবহার করবে।’
অ্যাসিড ব্যাটারির কারণে দেশে প্রায় ২ কোটি লিটার অ্যাসিড নির্গত হয়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে। ফলে বিদ্যুৎচালিত যানবাহন উৎসাহিত করার সময় এসেছে।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এই ইকো থ্রি-হুইলারের ডিজাইন-ড্রইং করে পেটেন্ট করেছি। এটা পৃথিবীর প্রথম সোলার ইকো থ্রি-হুইলার, যেটা লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে চলে। এটির পারমিশন পেতে আমাদের প্রায় ৩০ মাস সময় লেগেছে।’
এটির দাম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একটা সিএনজি অটোরিকশার দাম এখন প্রায় ১৮ লাখ টাকা, সেখানে আমরা একটা ইকো থ্রি-হুইলার ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকায় দিচ্ছি। আমাদের একটা ব্যাটারি ৬ বছর পর্যন্ত পরিবর্তন করতে হয় না। প্রচলিত যেসব অ্যাসিড ব্যাটারি আছে, ছয় বছরে সেখানে ১২টি ব্যাটারি প্রয়োজন হয়।’
২০২০ সালের এপ্রিলে বাঘ মোটরস ১১টি যান তৈরি করে। ডুয়াল পাওয়ার-ব্যাটারি এবং সৌরচালিত এ থ্রি-হুইলারে যাত্রীর নিরাপত্তায় বেশ কিছু ফিচার যুক্ত হয়েছে। এর একটি হচ্ছে যাত্রীর সিটের সঙ্গে ‘প্যানিক বাটন’ রাখা রয়েছে। এই বাটনে চাপ দিলে গাড়ির গতি মুহূর্তেই ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটারে নেমে আসবে। এরপর ২০ মিনিটের জন্য গাড়িটি অচল হয়ে যাবে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সতর্কবার্তাও পাঠাবে। এতে কর্তৃপক্ষ ট্যাক্সির কার্যকারিতা নিষ্ক্রিয় করতে পারবে।
এতে থাকবে নিরাপত্তা ক্যামেরা, যা একটি কেন্দ্রীয় সার্ভারে যুক্ত থাকবে। সব ধরনের ভিডিও রেকর্ড ও সংরক্ষণ থাকবে সার্ভারে। থাকবে এমবেড করা রিয়াল-টাইম জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম, যা থ্রি-হুইলারের রিয়াল-টাইম অবস্থান দেখাবে। চুরি ঠেকাতে থাকবে আলাদা প্রযুক্তিও।
গাড়িগুলোতে উচ্চমানের ইস্পাত ব্যবহার করা হচ্ছে, যা সাধারণত বাস-কারে ব্যবহৃত হয়।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের গাড়ি শতভাগ মেটাল বডির তৈরি। পুরো বডিই মোটরগাড়ির মতো করে তৈরি, যা যাত্রীকে অধিক নিরাপত্তা দেবে। ব্রেক ও লাইট ছাড়া পুরো গাড়ির দুই বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি থাকবে। গাড়িতে ওয়াইফাই সিস্টেম থাকবে, মোবাইল চার্জিং সিস্টেম থাকবে, জিপিএস থাকবে, মনিটর থাকবে।’
২০২৫ সালের পর বিশ্বে কোনো ডিজেলচালিত গাড়ি তৈরি হবে না। ২০৩০ সাল থেকে তৈরি হবে না কোনো অকটেন গাড়িও। সব গাড়িই বিদ্যুৎচালিত গাড়িতে পরিণত হবে।
নিজস্ব রাইড শেয়ারিং অ্যাপের মাধ্যমে একটি ট্যাক্সি সার্ভিস হিসেবে কাজ করবে এই ইকো ট্যাক্সি। এর বাইরে ব্যক্তিগতভাবেও এটি কেনা যাবে।
সাধারণ সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলার এবং হিউম্যান-হলারের চেয়ে বড় চাকা থাকবে বাঘ ইকো ট্যাক্সিতে। পাশাপাশি অ্যান্টি-লক ব্রেক সিস্টেম (এবিএস)-সহ একটি হাইড্রোলিক ব্রেক সিস্টেমও থাকবে। গাড়ির ছাদে থাকবে সোলার প্যানেল। এতে ব্যবহৃত একটি ৪৮০ ওয়াটের সোলার প্যানেল দিনের বেলায় ৪০ শতাংশ চার্জ হবে ব্যাটারিতে। যার ফলে অতিরিক্ত ৪০ কিলোমিটার যেতে পারবে গাড়িটি।
প্রতি কিলোমিটারে এটি চলার খরচ হতে পারে ১ দশমিক ৩৩ টাকার মতো। সম্পূর্ণ চার্জে ১৫০০ ওয়াটের গাড়িটি ৯০ কিলোমিটার চলতে পারে। এতে চালকের দিনে খরচ হবে ১২০ টাকা। ব্যাটারির চার্জ শেষ হলেও চিন্তা নেই। ৬০ ভোল্টের ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় লাগবে।
বিভিন্ন স্থানে নিজস্ব চার্জিং পয়েন্টও বসানো হবে। চার্জিং পোর্টে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-সহ একটি মাইক্রো চিপ ইনস্টল করা থাকবে। একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পোর্টটি খোলা হবে। গাড়ির মালিক নির্দেশ দিলেই চার্জ শুরু হবে।
আরও পড়ুন:স্মরণকালের ভয়াবহ তাপদাহে ধুঁকছে ইউরোপ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে ঠেকছে যে ফ্রান্সের একটি অঞ্চলে উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের আয়োজন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের গিরন্ড জেলার বন্দর শহর বোর্দোতে আপাতত কনসার্ট এবং বড় জনসমাবেশ করা যাবে না।
গত সপ্তাহে ফ্রান্সের কিছু অংশে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কায় করছে দেশটির আবহাওয়া অফিস।
ফ্রান্সের আবহাওয়া অফিস বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যতীত স্থানগুলোতেও অভ্যন্তরীণ অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ থাকবে। তবে ব্যক্তিগত উদযাপন যেমন বিয়ে করার অনুমতি দেয়া হবে।
স্থানীয় কর্মকর্তা ফ্যাবিয়েন বুসিও ফ্রান্স ব্লু রেডিওকে বলেন, ‘প্রত্যেকই এখন স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন।’
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে তীব্র তাপের সময়কাল আরও বেশি এবং দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, তারা জনগণকে সতর্ক করেছে। এই আবহাওয়ার যেন কেউ বাইরে না বের হয়।
গিরন্ডের আবহাওয়া কর্মকর্তা মেটিও ফ্রান্স বলেন, তীব্র গরমে ধুঁকছে ফ্রান্স। উত্তর আফ্রিকা উড়ে আসা গরম বাতাসের কারণে এমনটা ঘটেছে।
‘প্যারিসে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছতে পারে। এটি খরা দাবানলের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর তুলুসের বাসিন্দা জ্যাকলিন বননড। তিনি বলেন, ‘আমি বয়স ৮৬। এখানেই আমার জন্ম। মনে হচ্ছে এটিই আমার দেখা সবচেয়ে খারাপ তাপপ্রবাহ।’
গ্রিড অপারেটর আরটিই জানিয়েছে, এয়ার-কন্ডিশনার এবং ফ্যানের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ফ্রান্সকে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে বাধ্য করছে।
একই দশার মধ্যে আছে স্পেন, ইতালি এবং যুক্তরাজ্যও।
শতাব্দীর উষ্ণতম তাপদাহ অনুভূত হচ্ছে স্পেনে। সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা সর্বোচ্চে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পৌঁছানোর পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া পরিষেবা-অ্যামেট। আঞ্চলিক সরকার জানিয়েছে, কাতালোনিয়ায় ২০ হাজার হেক্টর জমি দাবানলে পুড়ে গেছে।
ইতালির বৃহত্তম নদী পো-এর বিশাল অংশে পানি এতটাই কম যে, স্থানীয়রা বালির বিস্তৃতির মাঝখান দিয়ে হেঁটে যেতে পারছে। এমনকি যুদ্ধকালীন জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পুনরুত্থিত হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ ইংল্যান্ডে তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছবে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় লন্ডনে তৃতীয় স্তরের তাপ-স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি হয়েছে।
চরম তাপ ইউরোপে সীমাবদ্ধ না
গেল সপ্তাহে রেকর্ড তাপমাত্রার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশকে বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। ভারতের দিল্লিতে চলতি গ্রীষ্মের ২৫ দিনে সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে। কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মতো গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে নির্গত হচ্ছে। এ ধরনের গ্যাস সূর্যের তাপকে আটকে রাখে, ফলে গ্রহটি উষ্ণ হয়ে ওঠছে।
বিএনপি বন্যার্তদের পাশে নেই, বরং বন্যা নিয়ে তারা অপরাজনীতি করছে বলে মনে করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
রাজধানীর হাতিরঝিলে সোমবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
হাতিরঝিলের প্লাটিনাম পার্কে যুবলীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শেখ পরশ।
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের জন্য বিরাট হুমকি। আগামী প্রজন্মের জন্য টেকসই বাংলাদেশ রেখে যেতে বৃক্ষরোপণ তথা উন্নত প্রাকৃতিক পরিবেশের বিকল্প নেই। পরিবেশ সুরক্ষায় যুবলীগ সব সময় মাঠে থাকবে। যুবলীগের প্রতিটি ইউনিট বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে।’
বন্যা নিয়ে রাজনীতির সমালোচনা করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপি-জামাত বন্যার্তদের পাশে না থাকলেও মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে অপরাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মন সঙ্কীর্ণ, তারা আত্মকেন্দ্রিক। এর আগে তারা করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নোংরা রাজনীতি করেছে। এখন তারা বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তির রাজনীতিতে ব্যস্ত। মানুষের পাশে দাঁড়াবার কোন কার্যকর উদ্যোগ তাদের দেখি না।
‘কিছু করার মুরোদ নেই কিন্তু ক্ষমতায় যেতে তারা মরিয়া। বিএনপির নেতারা ভোগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তারা পুরনো স্বভাব বদলাতে না পেরে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। আমাদের গর্বের পদ্মা সেতু নিয়ে তারা বিদেশিদের সাথে ষড়যন্ত্রে মেতেছিল। সেই চক্রান্ত পেছনে ফেলে নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
বন্যার্ত মানুষকে সাহায্য করতে গিয়ে মারা যাওয়া সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা টিটু চৌধুরী ও নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা যুবলীগের নেতা আবির আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান যুবলীগ চেয়ারম্যান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব এ কে এম রহমত উল্লাহ। তিনি পরিবেশ সুরক্ষায় রাজধানীর তিনটি থানা এলাকার জন্য ১০ হাজার গাছ উপহার দেয়ার ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
আরও পড়ুন:বন্যাকবলিত সিলেট ও সুনামগঞ্জে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে বৃষ্টির পানি; কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি কখনও বা মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে ওইসব এলাকায়। শিগগিরই এ বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা নেই।
সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় এ মাসজুড়ে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন ঢাকা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘বৃষ্টিপাত তেমন কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না সিলেটে। মঙ্গলবার সিলেটে বৃষ্টি কিছুটা কমতে পারে। এর পর আবার শুরু হবে। বিভাগজুড়ে অতি ভারি বর্ষণের আভাস রয়েছে।
‘আসাম, মেঘালয়েও বন্যা হচ্ছে। এ কারণ ও অতি ভারি বৃষ্টি মিলিয়ে, পরিস্থিতি খারাপ। সিলেটে ২৯ জুন পর্যন্ত মাঝামাঝি ধরনের ভারি বৃষ্টি থেকে অতিভারি বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে।’
ঢাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস নিয়ে আবাহওয়াবিদ মনোয়ার বলেন, ‘ঢাকায় অতিভারি বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। এমনিতে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হবে।’
সোমবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। ঢাকায় বাতাসের গতি দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে ঘন্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বৃদ্ধি পেতে পারে।
সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে ২৪২ মিলিমিটার। এ সময়ের মধ্যে সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে ২২ মিলিমিটার।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান সব নদ-নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস রয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে ১১টি জেলা। এসব এলাকায় ৯টি নদীর ১৯টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলেও উত্তরের জেলাগুলোতে পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে চট্টগ্রামসহ পার্বত্য তিন জেলার নদ-নদীর পানি সমতলে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি) সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণাধীন পানির সমতল স্টেশন ১০৯টির মধ্যে ৭৬টিতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, কমেছে ২৯টিতে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে চারটিতে।
এত অল্প সময়ে বেশি পরিমাণ বৃষ্টি জলবায়ু পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছে এফএফডব্লিউসি।
যেসব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর
এফএফডব্লিউসির তথ্যমতে, ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি নুনখাওয়া, হাতিয়ে, চিলমারী ও ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বাহদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি, কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও পোড়াবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা পয়েন্টে বিপৎসীমার উপরে রয়েছে।
সুরমা নদীর পানি সিলেট ও সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ ও শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমার উপরে রয়েছে।
খোয়াই নদীর পানি বাল্লা পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পুরাতন সুরমা নদীর পানি দেরাই পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমেশ্বরী নদীর পানিও কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে।
নদনদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস
এফএফডব্লিউসির তথ্যমতে, দেশের সব প্রধান নদনদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের স্থানগুলোতে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এর ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, ধরলা, দুধকুমারসহ সব প্রধান নদনদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ভারতের মেঘালয়ে ভারি বর্ষণের প্রবণতা কমে এসেছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে হবিগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তিস্তা নদীর পানি সমতলে বিপৎসীমার কাছাকাছি অথবা উপরে অবস্থান করতে পারে।
এ ছাড়া লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও টাঙ্গাইল জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার নদনদীগুলোর পানি সমতলে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন:দেশে নদী দূষণের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবেশগত, স্বাস্থ্যগত এবং অর্থনৈতিক বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ২৮৩ কোটি ডলার। এ পরিস্থিতি নিরসনে কোনো কার্যকরী উদ্যোগ না নেয়া হলে, নদী দূষণের কারণে মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আগামী ২০ বছরে ৫ হাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে।
রোববার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘দূষণে বিপর্যস্ত ঢাকার নদ-নদী: সমস্যা ও সমাধান’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, নদী দূষণের সাথে সম্পর্কিত পরিবেশগত, স্বাস্থ্যগত এবং অর্থনৈতিক বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ২৮৩ কোটি ডলার। এ পরিস্থিতি নিরসনে কোনো কার্যকরী উদ্যোগ না নেয়া হলে, নদী দূষণের কারণে মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আগামী ২০ বছরে ৫ হাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে।’
ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘কমিশনের সরেজমিন পরিদর্শনের তথ্য থেকে জানা যায়, বুড়িগঙ্গা নদীর ২৫৮টি পয়েন্ট দিয়ে গৃহস্থালি পয়ঃবর্জ্য ও শিল্পবর্জ্য সরাসরি নদীতে পড়ছে। তুরাগ নদের ২৬৯টি এবং বালু নদের ১০৪টি ও টঙ্গী খালের ৬২টি পয়েন্ট দিয়ে কঠিনবর্জ্য এবং পয়ঃবর্জ্য নিঃসরিত হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক দূষণ পয়েন্ট রয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের বিভাগ, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে নদী রক্ষা কমিটিকে আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। নদী-নালা, খাল-বিল রক্ষা করে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’
সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা আর একদিনও সময় নষ্ট করতে চাই না। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন তথ্য চাইলে সে তথ্য কেন দেয়া হয় না সে বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সেন্টার ফর গর্ভনেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান, সমন্বয়ে ছিলেন কমিশনের উপপ্রধান এম এম মহিউদ্দিন কবীর মাহিন।
আরও পড়ুন:বর্ষা মৌসুমে ভাটি এলাকায় থইথই পানি থাকে আর এই সুযোগে যেকোনো অপরাধী নৌকা বা ট্রলারযোগে পালিয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগ পায়।
বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে ছড়িয়ে পড়েছে ডাকাত আতঙ্ক। যাদের পরিবার-পরিজন সুনামগঞ্জে তাদের অনেকেই জানাচ্ছেন ডাকাত আতঙ্কের কথা। বেশ কয়েকটি ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে।
রাত ১১টার দিকে নিজের চাচার বাসাসহ ৩টি বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন সিলেটের একটি হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার সাদিকুর রহমান। তিনি জানান, রাত ১১টার দিকে আমার চাচার বাসাসহ আশপাশের ৩ বাসায় ডাকাতি হয়, কিন্তু এই সময় প্রশাসনের কোনো নম্বরে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
বন্যার মধ্যে সুনামগঞ্জে বেশ কয়েকটি ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে।
রাত ১২টায় সাদিকুর তানভীর নামের স্থানীয় এক তরুণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সাহায্য চান। তিনি লেখেন, সুনামগঞ্জে আমাদের পাড়া ময়নার পয়েন্টে ডাকাত আক্রমণ করেছে। সুনামগঞ্জ জেলা এসপি, ওসি সদর, সেনাবাহিনীর টোল ফ্রি নম্বর সব বন্ধ। সুনামগঞ্জের কেউ এই স্ট্যাটাস দেখে থাকলে প্লিজ ৮/১০ জন মিলে কিছু করুন। (লোকেশন: ময়নার পয়েন্ট, ব্যারিস্টার ইমনের বাসার গলি)
কেউ এই স্ট্যাটাস দেখলে প্লিজ সম্মিলিতভাবে কিছু করুন। অবশ্যই একা যাবেন না। অথবা স্থানীয় পুলিশকে জানাতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
ডাকাতদল, ময়নার পয়েন্ট, নিসর্গ ১৪/১ বাসায় অলরেডি প্রবেশ করেছে বাসার গেট ভেঙে। আল্লাহ সবাইকে রক্ষা করুন।
সুনামগঞ্জের আরেকজন ইশতিয়াক আলম জানান, শহরের হাজিপাড়া-নতুনপাড়া-বাঁধনপাড়া-মরাটিলা-ময়নার পয়েন্ট। সুনামগঞ্জ শহরের হাওর পাড়ের এই বেল্টে ডাকাতের হানা পড়েছে। ইতোমধ্যে তিনটি বাসায় ডাকাতির খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বৈশাখী মৌ নামের একজন জানান, সুনামগঞ্জের দক্ষিণ নতুনপাড়া ডাকাতের নৌকা লাগাইছে এমন খবরে মানুষগুলো চিল্লাচিল্লি করতেসে চোর চোর বলে। জানি না কী হবে! এই বিপদে মানুষ কেমনে এগুলা করে! কেউ আশপাশে থাকলে প্লিজ হেল্প! জরুরি কোনো নম্বরে যোগাযোগ করতে পারতেসি না, সব বন্ধ।
সিলেটে অবস্থান করা সুনামগঞ্জের নতুনপাড়ার উর্মি দে জানান, আজ কিছু সময় নেটওয়ার্ক ছিল- এই সময়ে খবর নিয়ে জানতে পারছি, কিছু কিছু জায়গায় ডাকাতি হয়েছে। এবং পাড়ায় পাড়ায় ডাকাতি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে শুনে শুনে পোস্ট দিচ্ছে যাচাই-বাছাই না করে। তাই সত্যতা আছে আবার গুজবও আছে, তবে এই বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সবার নম্বর বন্ধ।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের লোকজন সারা রাত বাইরে ডিউটি করেছে। মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে ডাকাতির কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ আমরা পাইনি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য