× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
সাতক্ষীরায় ১২০ কিলোমিটার বাঁধে তছনছ
google_news print-icon

সাতক্ষীরায় ১২০ কিলোমিটার বাঁধ তছনছ

বেড়িবাঁধ তছনছ
শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনীতে বেড়িবাঁধ তছনছ করে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে গ্রামে। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বৃহস্পতিবারও সাতক্ষীরায় দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। ছয় উপজেলায় ১২০ কিলোমিটার বাঁধের ক্ষতি হয়েছে। পানির তোড়ে জেলার কয়েকটি স্লুইসগেট এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে সাতক্ষীরার ছয় উপজেলায় ১২০ কিলোমিটার বাঁধ তছনছ হয়ে গেছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে মাছের সাড়ে ৭ হাজার ঘের। বিস্তীর্ণ এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ ও সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা। উপকূলে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর নিয়ে বিপাকে পড়েছে হাজারো মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী সাতক্ষীরাসহ খুলনা অঞ্চলে ১২০ কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। জোয়ারের তীব্রতা কমে গেলেও কয়েকটি এলাকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, সাতক্ষীরার ছয় উপজেলার ২৯ ইউনিয়নে মাছের ৭ হাজার ৫৬০টি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ৬ হাজার ৭৩৮ হেক্টর আয়তনের এসব ঘের ভেসে মাছ ও অবকাঠামোগত ৫৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পূর্ণিমার ভরা জোয়ারে বিস্তীর্ণ এলাকার চিংড়িঘের এখন পানির নিচে।

জেলা প্রশাসন জানায়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসকবলিত শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ঝাপা গ্রামে বেড়িবাঁধের চারটি পয়েন্ট, পাতাখালিতে দুই, রমজাননগরে দুই, গাবুরায় তিন, কৈখালির দুই, ভেটখালিতে এক, বুড়িগোয়ালিনীতে তিনটি ও নূরনগর ইউনিয়নে একটি পয়েন্টসহ ১৭ স্থানে বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানি গ্রামে ঢুকে পড়েছে।

কালীগঞ্জের পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলা হাসপাতাল, বাস টার্মিনালসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।

কালীগঞ্জে সোহরাওয়ার্দী পার্কের পাশে কাঁকশিয়ালী নদীর পানি উপচে উপজেলা সদরের বেশ কিছু এলাকা তলিয়ে গেছে। উপজেলা পরিষদের কাছে যমুনা নদীর পানি উপচে নাজিমগঞ্জ বাজার ও উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে ভেসে গেছে।

উপজেলার ঘোজাডাঙ্গা এলাকায় কাঁকশিয়ালীর বাঁধ উপচে উত্তর ও দক্ষিণ শ্রীপুরসহ তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কপোতাক্ষের পানিতে আশাশুনি উপজেলার কুড়িকাহনিয়া লঞ্চঘাট, হরিশখালি, রুইয়ার বিল, সুভদ্রকাটিসহ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে।

আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট ও বলাবাড়িয়ায় বেড়িবাঁধ উপচে বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের পিরোজপুরের রাজবংশীপাড়ায় কপোতাক্ষের বাঁধ উপচে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে পানি। আশাশুনির বামনডাঙ্গা গ্রামে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ উপচে কয়েক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

গাবুরার জেলেখালি, নেবুবুনিয়া, চাঁদনীমুখা, গাগড়ামারি, পদ্মপুকুরের উত্তর ও দক্ষিণ পাতাখালি, কামালকাটি, ঝাঁপা, সোনাখালিসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ভাসছে। গ্রামবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

দেবহাটা উপজেলার কোমরপুরে ইছামতী নদীর বেড়িবাঁধ উপচে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সদর উপজেলার হাড়দ্দহ মসজিদের পাশে ও তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে টিআরএম-এর বাঁধ ভেঙে ভেসে গেছে কয়েকটি গ্রাম।

মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সেতু উপচে চুনা নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে এলাকা। গ্রামবাসী গবাদিপশুসহ সহায়-সম্পদ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবারও সাতক্ষীরায় দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। পূর্ণিমার ভরা কোটালে ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে সাতক্ষীরায় জোয়ারের পানি তলিয়ে দিয়েছে বিভিন্ন জনপদ ও অবকাঠামো। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ও সড়ক ভেঙে নোনা পানি ঢুকে পড়েছে গ্রামে। পানির তোড়ে জেলার কয়েকটি স্লুইসগেট এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

দেবহাটার টাউনশ্রীপুরে ইছামতী নদীর কাছে এবং সুশীলগাঁতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি স্লুইসগেটে ফাটল দেখা দিয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, শ্যামনগর, আশাশুনি, কালীগঞ্জ, দেবহাটা, সাতক্ষীরা সদর ও তালা উপজেলার ২৯ ইউনিয়নে মাছের ৭ হাজার ৫৬০টি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ৬ হাজার ৭৩৮ হেক্টর আয়তনের এসব ঘের ভেসে মাছ ও অবকাঠামোগত ৫৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পূর্ণিমার ভরা জোয়ারে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার চিংড়িঘের এখন পানির নিচে।

আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন খান জানান, এলাকায় ১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমির মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেবহাটা উপজেলায় ২০০টি ঘের পানিতে তলিয়ে আছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজার গিফারী বলেন, ১ হাজার ৬০০ হেক্টরের ২ হাজার ৫০০ ঘেরের মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম জানান, তার এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে।

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে মাছের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি এখনও পুরোপুরি নিরূপণ করা যায়নি।

আরও পড়ুন:
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়: দুর্বল বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কা
উপকূল সুরক্ষার দাবিতে কপোতাক্ষে অবরোধ
ঠিকাদারের অবহেলায় ডুবল তিনটি গ্রাম?
হাওরে বাঁধ: কাজ শেষের আগেই গোটানো হচ্ছে প্রকল্প
গোলগাছ কেটে বসতি, হুমকিতে বাঁধ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Black Hanuman leaving the area in search of food

খাদ্যের সন্ধানে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখো হনুমান

খাদ্যের সন্ধানে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখো হনুমান

কেশবপুরের ঐতিহ্য কালোমুখো হনুমান খাদ্য সংকট ও বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাবার না পেয়ে মারাও যাচ্ছে। কালোমুখো হনুমান রক্ষার দাবি উঠেছে।

জানা গেছে, একসময় কেশবপুরে ছিল কালোমুখো হনুমানের অভয়ারণ্য। বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় এবং খাদ্য সংকটে সময়ের গতির সঙ্গে কমে যাচ্ছে হনুমান। বর্তমানে ১৮০ থেকে ২০০টি হনুমান কেশবপুরে রয়েছে বলে স্থানীয় বন বিভাগ জানায়। এখান থেকে ৪/৫ বছর আগে ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশ বিভক্তির আগে ভারতের মাড়োয়াররা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য যশোরের কেশবপুরে বসবাসের পাশাপাশি আসা-যাওয়া করত। এ সময় তাদের যানবাহনে করে দুটি কালোমুখো হনুমান ভারত থেকে কেশবপুরে আসে। সেই থেকে হনুমানের এখানে পত্তন শুরু হয়। ওই এক জোড়া হনুমান থেকে এখানে শত শত হনুমানের কালের আবর্তনে ওরা আজ বিলুপ্তির পথে। একসময় কেশবপুর অঞ্চলে ঘন বনজঙ্গল ছিল। এসব বনের ফল ও লতাপাতা খেয়ে ওরা জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বন উজাড়সহ ঘনবসতি এবং এলাকায় অবৈধ ইটভাটায় গিলে খাচ্ছে এসব বনের কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বন। এদিকে কেশবপুর উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের তারে কভার সিস্টেম না থাকায় প্রায়ই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওরা মারা যাচ্ছে। খাদ্য সংকটের কারণে কেশবপুরের হনুমান দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।

উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, কেশবপুর এলাকায় বনজঙ্গল কমে যাওয়ার কারণে হনুমানের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ওদের রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, হনুমান রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও ব্যক্তি গত ভাবেও অনেকেই খাদ্য দেয়, যার কারণে ওরা গ্রামাঞ্চল ছেড়ে বর্তমানে শহরে বেশি বিচরণ করছে।

মন্তব্য

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত জেবল হক (৮০) কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে।

বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।

ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনো শুরু করা হয়নি।

মন্তব্য

সারা দেশ
The terrorist attack on journalists at Satkhira Press Club and injured

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।

সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।

এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Daudkandi Municipality announces a budget of Tk 12 crore

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।

এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

সারা দেশ
Shot in Rupganj protesting drunkenness 2 young men

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করার প্রতিবাদ করায় ইয়াছিন (৩৮) ও সিপন( ৩২) নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপরজনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুড়াপাড়া টঙ্গীরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন মুড়াপাড়ার হাউলিপাড়া এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে এবং সিপন টঙ্গীরঘাট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় সোহরাব নামের এক যুবক মাদকাসক্ত অবস্থায় তাদের উদ্দেশে গালিগালাজ করলে ইয়াছিন প্রতিবাদ করেন। পরে তিনি খালাতো ভাই সিপনকে নিয়ে স্থানীয় অহিদুল্লার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। সেখানেই সোহরাব ক্ষিপ্ত হয়ে পিস্তল দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ইয়াছিনের মাথায় ও সিপনের পায়ে গুলি লাগে।

তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সিপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইয়াছিনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Village Court Awareness Workshop held in Noakhali 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক সচরতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশ গ্রহণের সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে (২৫ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তৃতীয় তলায় মিনি কনফারেন্স হলরুমে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন,নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াসিন, গ্রাম আদালত নোয়াখালী ম্যানেজার আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুনসহ এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Jessore court disappears from the document of the case

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি বিচারাধীন মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। আদালতের নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মামলার বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুলকে শোকজ করেছেন বিচারক। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। ওই দিন মামলাটির (এসসি-১৬৬৯/২০১৮) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আদালতে আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী—সবাই উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিচারক মো. সালেহুজ্জামান মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, নথিতে মামলার এজাহারের কপি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল তার কাছ থেকে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজাহার দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবার নথি বিচারকের কাছে জমা দেন।

এরপর এজলাসেই বিচারক আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এজলাসে হাজির হন। একপর্যায় বিচারক ওই দুইজনকে শোকজ করে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিচারক এজলাসে ওঠার আগে আইনজীবী মামলার নথি নিয়েছিলেন। পরে ফেরত দেন। আমি নিজে নথিতে কোনো হেরফের করিনি। আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’

অন্যদিকে, আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল জানান, তিনি নথি নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বিচারক এজলাসে চলে আসায় তা যথাযথভাবে বেঞ্চ সহকারীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আসামির চালান কপি থেকে তথ্য নিয়েছেন। এজাহার সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।

যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। একজন আইনজীবী এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।’

আদালত ও আইনজীবী সমিতি সূত্র আরও জানায়, আদালতে থাকা মামলার মুল কপি থেকে মামলার এজাহারের কপি সরিয়ে নিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এজাহার কপি হারিয়ে গেলেও মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই মামলার এজাহারের ফটোকপি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরেও অনেক মাধ্যমে মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তবে, মুল নথিতে এজাহারের কপি না থাকাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় সূত্র।

মন্তব্য

p
উপরে