× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
তাজা মানুষ আমি মৃত ঘোষণা করে দিল
google_news print-icon

‘তাজা মানুষ আমি, মৃত ঘোষণা করে দিল’

তাজা-মানুষ-আমি-মৃত-ঘোষণা-করে-দিল
‘বাবা আমি মূর্খ মানুষ। বুঝতে পারছিনি। দেখো তো বাপ। আমার আইডি কাডে নাকি আমি মরে গেছি। এখন কোথায় গেলে এইডি ঠিক করা হবে? তা না হলে আমার ভাতা যে বন্ধ হয়ি যাবে।’

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের প্রায় ৭৪ বছর বয়সী রবগুল মণ্ডল। কানে শোনেন না।

বয়স্ক ভাতার কার্ড আছে। এত দিন টাকা তুলতেন হাতে হাতে। কিন্তু সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে টাকা যাবে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে ভাতার টাকা পাওয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তার।

রবগুলের মোবাইল ফোন আছে। ভাতা আসবে বলে ‘নগদ’-এর অ্যাকাউন্ট খুলতে লাগবে কেবল স্মার্টকার্ড। আর এই কার্ড আনতে আট কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে এসে আক্কেলগুড়ুম। তিনি নাকি মৃত!

তার সঙ্গে কার্ড নিতে আসা মুর্শিদা খাতুনেরও একই সমস্যা। তিনিও কাগজকলমে মৃত।

দুইজন জলজ্যান্ত মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু মানতেই চাইছেন না নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।

মুর্শিদা দুইবার ভোট দিতে পারেননি। অন্যদিকে বরগুলের দুশ্চিন্তা ভাতার টাকার কী হবে?

তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন কর্মকর্তাদের সামনে, তার পরে আর কীভাবে বেঁচে থাকার প্রমাণ দিতে হবে, ভেবে পাচ্ছেন না দুইজন।

গাংনী উপজেলায় ৯ জন ও মুজিবনগর উপজেলায় আরও ৬ জন মানুষ পাওয়া গেছে, এদের মতো। তারা কাগজকলমে মৃত।

রবগুল মণ্ডলের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৫৭১৪৭২১৩৭৭১৯১। অভাবের সংসার। ছেলেরা যার যার মতো আলাদা থাকে। এই বয়সে টুকটাক যা কিছু আয় করেন, তার সঙ্গে বয়স্ক ভাতার টাকাটা যোগ হওয়ায় দিন কেটে যায় কোনোভাবে।

স্মার্টকার্ড নিতে এসে নিজেকে মৃত দেখে হতাশবদনে তিনি বসেছিলেন নির্বাচন অফিসের পাশে আমগাছের নিচে।

নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাবা আমি মূর্খ মানুষ। বুঝতে পারছিনি। দেখো তো বাপ। আমার আইডি কাডে নাকি আমি মরে গেছি। এখন কোথায় গেলে এইডি ঠিক করা হবে? তা না হলে আমার ভাতা যে বন্ধ হয়ি যাবে।’

সঙ্গে বসে থাকা মুর্শিদা খাতুনের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৫৭১৪৭২১৩৭৬৩৩১। তিনিও রবগুল মণ্ডলের গ্রামেরই মানুষ। তার সঙ্গেই এসেছিলেন স্মার্টকার্ড নিতে।

তিনি বলেন, ‘হায়রে ডিজিটাল! তাজা মানুষ আমি, আমাকে মৃত ঘোষণা করে দিল! ‘আমি মেয়ে মানুষ। এখন কোথায় দৌড়াব, কার কাছেই বা যাব এইতা ঠিক করতে?’

কিছুদিন আগে একই সমস্যায় পড়েন বামন্দী ইউনিয়নের ৮৫ বছর বয়সী মরজ্জেম আলী এবং মটমুড়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের ৭১ বছর বয়সী মুনসুর আলী। তারাও বয়স্ক ভাতা পেতেন। কিন্তু এখন আর আসবে না।

সমাধানের পথ খুঁজতে অফিস ও জনপ্রতিনিধিনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।

‘তাজা মানুষ আমি, মৃত ঘোষণা করে দিল’

কীভাবে এই সমস্যা?

গাংনী উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসলে এমনটি হতে পারে মৃত মানুষের নামের পাশে তথ্য সংগ্রহের সময় ভুলের কারণে জীবিত মানুষের নাম বসে গেছে।’

তিনি নিজেই জানান, এমন সমস্যায় ভুগছেন গাংনী উপজেলায় ৯ জন ও মুজিবনগর উপজেলার ৬ জন।

ভোটার তালিকা করার সময় তথ্য সংগ্রহের কাজে তত্ত্বাবধায়ক পদে কাজ করেছিলেন মাহাবুব হক। তিনি বলেছেন, তথ্য সংগ্রহকারীদের কাজে ফাঁকির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমার অধীনে থাকা ওয়ার্ডভিত্তিক তথ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত তথ্য সরবরাহকারীরা যখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করত, তখন তারা একটি নির্দিষ্ট ফরমে থাকা প্রতিটি ঘর পূরণ করে তাদের সই নিয়ে নিত। একাধিকবার বাড়িতে গিয়ে কাউকে না পেলে তার পক্ষে অন্য কেউ ফরম পূরণ করে দিত। তবে এখন কী হয় জানি না।’

ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সংগ্রহের কাজে কর্মরত সজিবুল হক অবশ্য একে নির্বাচন কমিশন অফিসের ভুল হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় সার্ভারের সমস্যার কারণে তথ্য ভুল দেখায়। সে ক্ষেত্রে এমনটি হয়ে থাকে।’

ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের বসবাসকারী একাধিক নাগরিকের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটেছে। আমি তাদের জীবিত হিসেবে প্রত্যয়নপত্র দিতে পারি। কিন্তু বাকি কাজ তো নির্বাচন অফিসের। তবে এই ভুলগুলো তথ্য সংগ্রহকারীদের না নির্বাচন কমিশন অফিসের, এটা সঠিকভাবে বলা কঠিন।’

সমাধান জানেন না খোদ নির্বাচন কর্মকর্তা

এখন এই মানুষদের কী হবে?

গাংনী উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, ‘এটি সংশোধনযোগ্য, তবে সময়সাপেক্ষ।’

তবে সময়সাপেক্ষ সেই প্রক্রিয়া কী, সেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিস্তারিত বলতে পারেননি এই কর্মকর্তা।

জেলা নির্বাচন অফিসার আহমেদ আলী বলেন, ‘লকডাউনের কারণে সংশোধনী বন্ধ রয়েছে। লকডাউন শেষে নির্বাচন অফিসে আবেদন করলে আবেদন করার এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে তা সংশোধন করা সম্ভব। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আবেদন করেছেন তাদেরগুলো সংশোধনীর কাজ চলমান রয়েছে।

তবে আবেদনের ৯ বছরেও মৃতের তালিকা থেকে নাম কাটতে না পারার উদাহরণও আছে।

সমস্যা জেলায় জেলায়

নেত্রকোণার মদন পৌরসভার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের আব্দুল আওয়াল ৯ বছর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্যে মৃত ছিলেন। আউয়াল ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার প্রতিনিধি। নির্বাচন অফিসের তথ্যে তার মৃত থাকার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

৯ বছর ধরে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়া এই গণমাধ্যমকর্মীকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর অবশ্য কয়েক দিনের মধ্যেই ভুল সংশোধন হয়ে যায়। এপ্রিলের শেষে মৃতের তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়।

তার মতো বাবা-ছেলেসহ জীবিত আরও চারজনের ‘মৃত’ থাকার তথ্য মিলেছে। তারাও চান শিগগির ‘জীবিত’ হতে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে নির্বাচন অফিসে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত।

এই চারজন হলেন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কেশজানী গ্রামের রামকৃষ্ণ দেবনাথ, তার ছেলে প্রভাত চন্দ্র দেবনাথ এবং মদন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাপাসাটিয়া গ্রামের হাবিবুল রহমান ও মদন পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িভাদেরা গ্রামের মোসা. রেজিয়া আক্তার।

রামকৃষ্ণ দেবনাথ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ছেলেডারে সাথে নিয়া নির্বাচন অফিসে গেছিলাম। তারা কইছে, আমরা বাপপুতেরে মৃত ঘোষণা করা অইছে। তালিকায় নাম নাই। অফিসের লোকেরা আমারে ও আমার ছেলেরে দেখে অবাক অইয়া যায়। আমি ও আমার ছেলে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে ২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আবেদন করছি।

‘চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্রসহ ছয় ধরনের দরকারিসহ কাগজ দিছি। বারবার যাইতাছি। কিন্তু এখনও সুরাহা পাই নাই। আমি ভোট দিতাম পারতাছি না। শিগগিরই আমরার আইডি কার্ড ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাই।’

হাবিবুল রহমান আবেদন করেছেন ২০১৭ সালের ২৮ আগস্ট আর মোসা. রেজিয়া আক্তার ২০১৯ সালের ২৩ জুন।

লালমনিরহাটে একজন স্কুলশিক্ষকসহ অন্তত ১৯ জন জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়।

তাদের একজন হলেন আদিতনারী উপজেলার বালাপুকুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লক্ষ্মী কান্ত রায়।

তিনি সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

তালিকায় মৃত থাকায় গত মার্চে করোনার টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছিলেন না এই শিক্ষক। তবে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তাদের আইডি আবার সচল হয়।

‘তাজা মানুষ আমি, মৃত ঘোষণা করে দিল’

সংখ্যাটি কয়েক লাখ

নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭১ জন মৃত ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ পরবর্তী সময়ে নিজেদের জীবিত বলে দাবি করেন।

এ রকম জীবন্মৃত কয়েক লাখ মানুষের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো সহজ সমাধান নেই।

প্রতি বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করলেও সেই ভূতুড়ে বিষয় দূর হচ্ছে না। এখনও প্রতি বছর অনেক জীবিত ব্যক্তি ভোটার তালিকায় ‘মারা পড়ছেন’।

নির্বাচন কমিশন এখন দায় চাপাচ্ছে তথ্য সংগ্রহকারী আর আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ভাড়া করা ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের ওপর।

প্রভাব ব্যাপক

ভোটার তালিকায় মৃত হিসেবে চিহ্নিত হলে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্লক হয়ে যায়। ফলে এখন এমন কারও পক্ষে মোবাইল সিম কেনা, ব্যাংক হিসাব খোলা, পাসপোর্টের আবেদন, বিদেশ যাত্রা, টিকার নিবন্ধন, চাকরিতে আবেদনসহ সরকারি অনেক সেবাই গ্রহণ করা সম্ভব নয়। এমনকি ব্যবসা করতে ট্রেড লাইসেন্সও করা যাবে না।

বহু মানুষ বয়স্ক, বিধবা ভাতাসহ সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধাও পাচ্ছেন না তালিকায় মৃত থাকায়। যাদের এই সমস্যা আছে এবং এতদিন যারা ভাতা পেতেন হাতে হাতে, তাদের ভাতাও বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তার ভাতা যাবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সরাসরি। কিন্তু তারা কেউ সিম কিনতে পারবেন না, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাও চালু করতে পারবেন না।

আরও পড়ুন:
হাঁটা-চলা করেন, তবুও ‘মৃত’ তিনি
যে কারণে জীবিত হয়েও মৃতের তালিকায়
নিজেকে ‘জীবিত’ করতে দপ্তর থেকে দপ্তরে ধরনা
স্মার্ট কার্ড নিতে এসে জানলেন তিনি ‘মৃত’
‘মৃত’ ১১ জন হাজির নির্বাচন অফিসে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Panchagarh Bazaar Sales of Vadra month growed

পঞ্চগড় বাজারে ভাদ্র মাসের তালের বিক্রি বেড়েছে

পঞ্চগড় বাজারে ভাদ্র মাসের তালের বিক্রি বেড়েছে

পঞ্চগড় জেলায় গ্রাম ও শহরে সব জায়গায় তাল ফলের দোকান দেখা যায়। তাল ক্রেতাদের দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। ভাদ্র মাসে তাল ফল গাছে পাকে। দোকানে প্রতি পিছ তাল ফল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

চারিদিকে তালের সুমিষ্ট ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘরে ঘরে তালের পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায় পঞ্চগড় জেলায়। প্রতিটি বাড়ীতে কমবেশি সবাই এ সময়ে তাল পিঠা তৈরি করে পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে খেয়ে থাকে এবং আত্মীয়-স্বজনের বাসায় পাঠিয়ে দেন।

তালের সরু চাকলি পিঠা, কলাপাতা পোড়া পিঠা, তালের বড়া, বিবিখানা পিঠা এবং তালের চুষি পিঠার মতো সুস্বাদু পিঠার সহজ রেসিপি তৈরি করা হয়।

চায়ের দোকানে এবং হোটেলে পাওয়া যায় তালের পিঠা, প্রতি পিছ তালের পিঠার দাম ১০ টাকা। সন্ধ্যার পরে বিভন্ন জায়গা থেকে তালে পিঠা খেতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় হোটেল গুলোতে।

রাজমহল পূর্ব বাগান আলিম মাদ্রাসা প্রভাষক মোছা: জারজিস আরা বেগম তিনি জানান, প্রতি বছরেরই পরিবারের জন্য তাল পিঠা তৈরি করে থাকি। তারই ধারাবাহিক হিসেবে এ বছরও তাল পিঠা তৈরি করি। তাল পিঠার তৈরি করার জন্য প্রথমে তাল সংগ্রহ করা হয়, তার পর ফল থেকে রস বের করে সাথে চালের আটা, চিনি অথবা গুড়, নারিকেল মিক্সার করে তেলে ভেজে তালের বিভিন্ন পিঠা তৈরি করা হয়। হালকা ঠান্ডা করে পিঠা খেতে সুস্বাদু। তিনি আরো জানান, ছেলে-মেয়েরা তাল পিঠা খাওয়ার উদ্দেশ্যে নানা-নানীর বাড়ীতে ছুটে যান।

মন্তব্য

সারা দেশ
Twenty two people got a job in the police in Faridpur

ফরিদপুরে ২২০ টাকা ফিতেই পুলিশে চাকরি পেলো ২২ জন

ফরিদপুরে ২২০ টাকা ফিতেই পুলিশে চাকরি পেলো ২২ জন

অভাবের সংসারের মাহিন্দ্রা চালক বাবার মেয়ে তন্দ্রা আক্তারী (১৮)। একটি সরকারি চাকরি ছিল তার জন্য দুঃসাধ্য। মাহিন্দ্রা চালক বাবার স্বপ্ন পূরণে আর পরিবারের অস্বচ্ছলতার মাঝে তার যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল পদে নিয়োগে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তার মতো এ বছরে ফরিদপুরে আরও ২২ জন মাত্র ২২০ টাকায় সরকারি ফির মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে। অস্বচ্ছল পরিবারের বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের সারথি যেন প্রত্যেকেই।

ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসে পুলিশের কনস্টেবল পদে ফরিদপুর থেকে ১২১১ জন আবেদন করেন। এরপর প্রতিটি কঠিন ধাপ অতিক্রম করে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩৪৩ জন এবং ২৮ জন উত্তীর্ণ হয়। পরে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ২৩ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল জানিয়েছেন- প্রত্যেকেই মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে।

তাদের মধ্যে তন্দ্রা আক্তারী একমাত্র নারী কনস্টেবল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। সে ফরিদপুর জেলা সদরের ঘনশ্যামপুর গ্রামের তোরাব বিশ্বাসের মেয়ে। তার এমন খবরে হাসি ফুটেছে বাবা-মা সহ আত্মীয়-স্বজনদের মুখে।

আবেগাপ্লুত হয়ে তন্দ্রা আক্তারী বলেন- একজন মাহিন্দ্রা চালকের মেয়ে পুলিশে চাকরি মানে অনেক কিছু। মানুষ বলাবলি করেছিল টাকা ছাড়া পুলিশে চাকরি হবে না। আমার বাবার পক্ষে ৮/১০ লাখ টাকা দিয়ে চাকরি দেয়া সম্ভব ছিল না। কিন্তু আমার যোগ্যতার মূল্যায়ন করা হয়েছে, মাত্র ২২০ টাকার বিনিময়ে চাকরিটা হয়েছে। একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে আমার বাবার পাশে দাড়াতে পেরে আমি গর্বিত। গত মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ লাইনসে গিয়ে দেখা যায়, চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ২৩ জন একত্রে জড়ো হয়েছে। সেসময় ট্রাক চালক বাবার ছেলে তামীম মন্ডল চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। সে জেলা শহরের রঘুনন্দন এলাকার ট্রাক চালক সুমন মন্ডলের ছেলে। মাত্র ২২০ টাকায় চাকরি হওয়ার ও বাবার অক্লান্ত পরিশ্রমের গল্প তুলে ধরে সে।

২৩ জনের মধ্যে অধিকাংশের গল্পটা যেন অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ জয়ের। মৌখিক পরীক্ষায় বন্ধুর পোশাক ধার করে অংশগ্রহণ করেছিল সিয়াম মোল্যা। তার বাবা লাবলু মোল্যা পেশায় একজন কৃষি শ্রমিক। অনুভূতি জানিয়ে সিয়াম বলেন, ছোট সময় থেকে স্বপ্ন ছিল পুলিশ হওয়ার। বাবার সঙ্গে কৃষি কাজ করে পড়ালেখা করেছি। তাই আজ আমার মেধাকে মূল্যায়ন করা হয়েছে, এ সাফল্য আমার বাবার হাত ধরেই পেয়েছি।

এসব বিষয়ে কথা হয় ফরিদপুরের পুলিশ ট্রেইনি কনস্টেবল পদের নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিলের সঙ্গে। তিনি বলেন- পুলিশের নিয়োগে অনেক সময় নানা বিষয় নিয়ে অভিযোগ উঠলেও ফরিদপুরে মেধা, যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছে। আমরা কারও পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে নিয়োগও দেইনি। যারা নিয়োগ পেয়েছে প্রত্যেকেরই মেধা ও যোগ্যতার অনুসারে দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Joining the new Assistant Commissioner in Kapasia

কাপাসিয়ায় নতুন সহকারী কমিশনারের যোগদান

কাপাসিয়ায় নতুন সহকারী কমিশনারের যোগদান

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নবাগত সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে মো. নাহিদুল হক গত মঙ্গলবার যোগদান করেছেন। তিনি ৩৮তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি এর আগে শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। মো. নাহিদুল হক ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। যোগদানের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না তাসনীমসহ সুশীল সমাজ ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদুল হক জানান, সরকারি যথাযথ নিয়মনীতি ও ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ভূমি অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত, জবাবদিহিতামূলক ও সহজীকরণ সেবা নিশ্চিত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবেন।

মন্তব্য

সোনাইমুড়ীতে দখল করা শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ

সোনাইমুড়ীতে দখল করা শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ

জলাবদ্ধতা দূর করতে খালের উপর শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি খাস জমি উদ্ধার করেছে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রশাসন। এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীন আল জান্নাত।

জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই থেকে ৩ সেপ্টেম্বর সোনাইমুড়ূী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।প্রায় শতাধিক খালের উপর নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ২ একর ৮০ শতাংশ সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে অবৈধ দখলদার ৭ জনকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা নগদ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। খালের উপর প্রায় অর্ধশতাধিক বাঁধ কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জানা যায়, সোনাইমুড়ী বাজারের জোড়পোল,ম ডেল হাই স্কুল রোড, (নোয়াখালী- ঢাকা) উপজেলা পরিষদের সামনে মহাসড়কের পাশে, আমিশাপাড়া সড়কের পাশে, নান্দিয়া পাড়া বাজার,কাশিপুর বাজার, নদনা ও কালুয়াই এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় সরকারি খাস জমি উদ্ধার অবৈধ দখলদার মুক্ত করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ওই খাস জমির ওপর কিছু দুষ্কৃতকারী অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছিল।এতে এই এলাকার পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি হয়। ফলে বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বন্যা দেখা দেয়। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে জেলা প্রশাসক নোয়াখালীর সরাসরি নির্দেশনায় জমি উদ্ধারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীন আল জান্নাত।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার জানান, উপজেলা নিচু এলাকা হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধা সৃষ্টি হয়। পানি নিষ্কাশনের বিভিন্ন খাল নালায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ও বাঁধ দিয়ে কিছু অসাধু লোকজন জলাবদ্ধ সৃষ্টি করে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীন আল জান্নাত বলেন, এ এলাকার মানুষ অত্যন্ত ভালো মনের অধিকারী। অনেকেই বলার পর অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছেন। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Distribution of bulls and bull calves among those families in Kaliganj

কালীগঞ্জে ৪ পরিবারের মাঝে বকনা ও ষাঁড় বাছুর বিতরণ

কালীগঞ্জে ৪ পরিবারের মাঝে বকনা ও ষাঁড় বাছুর বিতরণ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। "সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প (ডিটিএলপি)"-এর আওতায় উপজেলার ৪টি প্রান্তিক পরিবারের মাঝে বকনা, ষাঁড় বাছুরসহ গবাদিপশু পালনের বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। বুধবার কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সহায়তা সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে সহায়তার সরঞ্জাম তুলে দেন কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরোয়ার লিমা।

প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চারটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারকে স্বাবলম্বী করার জন্য বেছে নেওয়া হয়। উপকারভোগীরা হলেন—তুলসী রানী পাল, মানিক পাল, শেখর কুমার চন্দ্র এবং জগু বর্মন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচিত চারটি পরিবারের মধ্যে দুটি পরিবারকে একটি করে বকনা (তরুণী গাভী) এবং বাকি দুটি পরিবারকে একটি করে ষাঁড় বাছুর দেওয়া হয়েছে। গবাদিপশু সঠিকভাবে লালন-পালনের জন্য প্রতিটি পরিবারকে আরও দেওয়া হয়েছে ১২৫ কেজি দানাদার খাদ্য, ৪টি ফ্লোর ম্যাট এবং শেড বা চালা তৈরির জন্য ৫টি টিন ও ৪টি পিলার। এই সমন্বিত সহায়তার উদ্দেশ্য হলো, উপকারভোগীরা যেন কোনো প্রাথমিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই পশু পালন শুরু করতে পারেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, "পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে এবং তাদের জীবনমান উন্নত করতে সরকার এই বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর আওতায় বকনা বা ষাঁড় বাছুর পালনের জন্য প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম সরকারিভাবেই সরবরাহ করা হয়। আমরা আশাবাদী, এই সহায়তার মাধ্যমে প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠী ধীরে ধীরে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।"

মন্তব্য

নাটোরে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে দুই গ্রামের মানুষের মানববন্ধন

নাটোরে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে দুই গ্রামের মানুষের মানববন্ধন

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নওদা জোয়াড়ী ও গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা গ্রামের সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে নওদা জোয়াড়ী ও চাপিলা আঞ্চলিক সড়কে দুই গ্রামের শতাধিক মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

বক্তারা জানান, প্রায় ১ হাজার বিঘা আবাদি জমি বছরের পর বছর ধরে পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়ে স্থানীয় কৃষকরা দারুণ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। পাশাপাশি সাম্প্রতিক বর্ষণে পানির স্তর বেড়ে দুই গ্রামের শতাধিক বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগ ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। রান্নাবান্না থেকে শুরু করে যাতায়াত—সবকিছুই এখন ব্যাহত হচ্ছে।

মানববন্ধনে নওদা জোয়াড়ী গ্রামের কৃষক ও জয় কৃষির বাড়ির স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন প্রামানিক বলেন, প্রতিবার বর্ষায় আমাদের জমির ফসল নষ্ট হয়। এবারও প্রায় সাত বিঘা জমিতে ধান রোপণ করতে পারিনি। এখন আবার বাড়িতেও পানি উঠেছে।

চাপিলা গ্রামের গৃহবধূ রহিমা খাতুন বলেন, ঘরের ভেতর হাঁটু সমান পানি জমে আছে। চুলায় রান্না করা যাচ্ছে না। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও কষ্ট হচ্ছে।

আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রধান সমস্যা হলো পানি বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জমি ও বাড়িঘর দুটোই ডুবে যাচ্ছে আমরা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও স্থায়ী সমাধানের দাবি জানাই।

মানববন্ধনের বিষয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
"1 lakh Ansar VDP in the service of the nation Director General in Comilla"

“জাতির সেবায় সদাপ্রস্তুত ৬০ লক্ষ আনসার-ভিডিপি: কুমিল্লায় মহাপরিচালক”

“জাতির সেবায় সদাপ্রস্তুত ৬০ লক্ষ আনসার-ভিডিপি: কুমিল্লায় মহাপরিচালক”

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে কুমিল্লা রেঞ্জ পরিদর্শন শেষে আয়োজিত দরবারে বক্তব্য রাখেন। তিনি আনসার-ভিডিপি সদস্যদেরকে নিজস্ব সক্ষমতা ও পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে জাতির সেবায় আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, যোগ্য সদস্য নির্বাচন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা গড়ে তোলার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন এব দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। মহাপরিচালক বাহিনীর নবগৃহীত ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’-কে সুবহৎ এই বাহিনীর বিশাল স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের জীবিকা উন্নয়ন ও প্রান্তিক পর্যায়ে কর্মসংস্থানের এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হিসেবে উল্লেখ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় আনসার ও ভিডিপির অবদানের কথা স্মরণ করে মহাপরিচালক বলেন, “দেশের পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের পাশাপাশি হিল আনসার-ভিডিপি কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। সমতলেও সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের মান পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি নিবেদিত ও সুশৃঙ্খল।” বাহিনীর শৃঙ্খলার মানোন্নয়নে অসাধারণ অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণের ফলে বাহিনীর শৃঙ্খলা আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।” তিনি আরও জানান, বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে অঙ্গীভূত সাধারণ আনসারদের রেশন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাহিনীর সদস্যদের আস্হা অর্জন সংশ্লিষ্ট পেশাদরিত্ব আগামীতে কল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহনের পথকে সুগম করবে, যা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”

“জাতির সেবায় সদাপ্রস্তুত ৬০ লক্ষ আনসার-ভিডিপি: কুমিল্লায় মহাপরিচালক”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের দায়িত্ব কেবল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নয়; আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের মাটি ও মানুষের সেবায় ৬০ লক্ষাধিক ভিডিপি সদস্যকে গুণগতভাবে কাজে লাগানো। দুর্যোগ ও জাতীয় ক্রান্তিলগ্নে সুবৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী সদস্যের এই বাহিনীকে সমাজের বিভিন্ন সেক্টরে ভুমিকা রাখার উদ্যোগই আর্থসামাজিক সমৃদ্ধির মূল পথ।”
সঞ্জীবন প্রকল্প প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, “সঞ্জীবন প্রকল্প কেবল একটি কর্মসূচি নয়, এটি প্রান্তিক কর্মহীন জনগোষ্ঠীর উত্তরনের আলোকবর্তিকা। এ প্রকল্প গ্রামীণ অর্থনীতিকে জাগ্রত করবে এবং দারিদ্র্যের শৃঙ্খল ছিন্ন করে সমাজকে মুক্তির পথে এগিয়ে নেবে।”

“জাতির সেবায় সদাপ্রস্তুত ৬০ লক্ষ আনসার-ভিডিপি: কুমিল্লায় মহাপরিচালক”

উক্ত সভায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কুমিল্লা রেঞ্জ পরিচালক মোঃ মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে