× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
পদ্মার তলদেশ দিয়ে ফরিদপুরের দুর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ
google_news print-icon

পদ্মার তলদেশ দিয়ে ফরিদপুরের দুর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ

পদ্মার-তলদেশ-দিয়ে-ফরিদপুরের-দুর্গম-চরাঞ্চলে-বিদ্যুৎ
সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে ৪৩৭ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণকাজের ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে এরই মধ্যে। আলোকিত হচ্ছে ১০টি ইউনিয়নের ৮৮টি গ্রাম।

পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে ফরিদপুরের দুর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছে ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার বিদ্যুৎ পেয়ে উচ্ছ্বসিত চরাঞ্চলের মানুষ। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই সংযোগের মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের।

ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ফরিদপুর সদর, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলে ১০ হাজার পরিবারের মাঝে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে কাজ চলছে। মোট ১০টি ইউনিয়নের ৮৮টি গ্রামকে আলোকিত করতে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের কাজ করছে জেলার এই প্রতিষ্ঠানটি।

ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আবুল হাসান বলেন, ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৩৭ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণকাজের ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে এরই মধ্যে। সম্প্রতি বিদ্যুৎ-সংযোগ দেয়া হয়েছে পদ্মার ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রির চরের ২০১টি পরিবার, একটি বাণিজ্যিক ও তিনটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে।

এ ছাড়া সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার চরাঞ্চলে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ-সুবিধা। ১১ কিলোমিটার সাবমেরিন কেবল লাইনের মাধ্যমে মোট দুই পরিবারের মাঝে সংযোগ দেওয়া হয়েছে।

ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিন্টু ফকির জানান, ‘এই ডিজিটাল যুগেও অন্ধকারে ছিল আমার এলাকার চরাঞ্চলের মানুষ। সম্প্রতি সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ লাইন টেনে প্রথম পর্যায়ে ২০১টি পরিবারকে লাইন দেওয়া হয়েছে। অন্যদের দেওয়ার কাজ চলছে। গ্রামের মানুষ সরকারের প্রতি অনেক খুশি। এখন তাদের জীবন মানের পরিবর্তন ঘটছে।’

পদ্মার তলদেশ দিয়ে ফরিদপুরের দুর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ

ডিক্রিরচরের নতুন বিদ্যুৎ-সংযোগ পেয়ে খুশি আব্দুর রাজ্জাক। পরিবারে তার তিন সন্তান। তিনি বলেন, ‘কখনও ভাবি নাই পদ্মার এই চরে বিদ্যুৎ আসবে। আর সেই বিদ্যুৎ দিয়ে বাড়িতে টেলিভিশন, ফ্রিজ, ফ্যান চলবে।’

তিনি জানান, তার সন্তানেরা এখন বিদ্যুতের আলোয় পড়ালেখা করতে পারছে। এতকাল হারিকেনের আলোয় পড়ত।

এই এলাকায় আরও অনেকের পরিবারে এখন খুশির বন্যা। কৃষক ভাবেনি বিদ্যুৎ দিয়ে সেচের ব্যবস্থা হবে।

ফরিদপুর ‘নাগরিক মঞ্চ’-এর সভাপতি আওলাদ হোসেন বাবর বলেন, ‘সড়ক যোগাযোগবিচ্ছিন্ন দুর্গম চরের মানুষ ভাবতে পারেনি বৈদ্যুতিক সুবিধার কথা। সরকারের এই উদ্যোগ এলাকার মানুষজনের কাছে স্বপ্নের মতো। তাদের মুখে হাসি ফুটেছে।’

পদ্মার তলদেশ দিয়ে ফরিদপুরের দুর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ

ফরিদপুর সনাকের সভাপতি অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী জানান, বিদ্যুতের ছোঁয়ায় তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। পাশাপাশি চরের সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর জীবন মানের পরিবর্তন আসবে, যা ফরিদপুরের সামগ্রিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, ফরিদপুরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের মানুষের জন্য সরকার সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ায় পাল্টে যাচ্ছে তাদের জীবনচিত্র। এখন অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হবে চরাঞ্চলে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে ৪৩৭ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই হাজার পরিবারকে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দেয়া হয়েছে। বাকি কাজ সম্পন্ন হলে বিদ্যুতের সুবিধা পাবে ১০ হাজার পরিবার।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Shah Shuja Jame Mosque stands as witnesses of time

কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে শাহ সুজা জামে মসজিদ

কুমিল্লার মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪০০ বছরের স্মৃতি 
কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে শাহ সুজা জামে মসজিদ

মোগল সাম্রাজ্যের প্রায় পৌনে ৪০০ বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে কুমিল্লার শাহ সুজা জামে মসজিদ। মসজিদটির অবস্থান কুমিল্লা শহরের মোগলটুলি এলাকায়। ১৬৫৮ সালে এটি নির্মাণ করেন মোগল সম্রাট শাহজাহানের ছেলে বাংলার সুবেদার শাহ সুজা। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ ছয়টি মসজিদের একটি শাহ সুজা জামে মসজিদ।

আয়তনের দিক দিয়ে এ মসজিদ খুব বেশি বড় না হলেও এর কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সার্বিক অবয়ব আভিজাত্যের প্রতীক বহন করে। এর বাহ্যিক কারুকাজ প্রমাণ করে তৎসময়ে এর প্রতিষ্ঠাতাদের স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য। মোগল আমলের ঐতিহ্য আর আভিজাত্যের প্রতীক মোগলটুলী শাহ সুজা মসজিদ যেন ইতিহাসের এক জ্বলন্ত প্রদীপ।

জানা গেছে, বাংলার ইতিহাসে মোগল অধ্যায়ের একটি উজ্জ্বল নাম ছিলেন শাহ সুজা। তিনি মোগল সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় ছেলে। তিনি ১৬৩৯ সাল থেকে ১৬৬০ সাল পর্যন্ত বাংলার সুবেদার ছিলেন। ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি নির্মিত হয়। এ মসজিদটি কুমিল্লা শহরের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ হিসেবে খ্যাত। ইতিহাস-ঐতিহ্যে জেলার তথ্য বাতায়নে এই মসজিদের নাম ও ছবি স্থান করে নিয়েছে।

এ মসজিদের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ কৈলাসচন্দ্র সিংহ তার রাজমালা বা ত্রিপুরার ইতিহাস গ্রন্থে বলেন, ‘গোমতী নদীর তীরে কুমিল্লা নগরীতে সুজা মসজিদ নামক একটি ইষ্টক নির্মিত বৃহৎ মসজিদ অদ্যাপি দৃষ্ট হয়ে থাকে। এ মসজিদ সম্পর্কে দুই ধরনের মতবাদ রয়েছে। প্রথমত, সুজা ত্রিপুরা জয় করে বিজয় বৃত্তান্ত চিরস্মরণীয় করার জন্য এ মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। দ্বিতীয়ত, মহারাজ গোবিন্দ মানিক্য সুজার নাম চিরস্মরণীয় করার জন্য নিমচা তরবারি ও হিরকাঙ্গুরীয়ের বিনিময়ে বহু অর্থ ব্যয় করে এ মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।

কর্তৃপক্ষ জানায়, মসজিদটির বাইরের আয়তাকার দৈর্ঘ্য ১৭ দশমিক ৬৮ মিটার, প্রস্থ ৮ দশমিক ৫৩ মিটার। প্রাচীরগুলো ১ দশমিক ৭৫ মিটার পুরু। মসজিদের চার কোণে চারটি অষ্টকোণাকার বুরুজ রয়েছে। এগুলো কার্নিশের বেশ উপরে উঠে গেছে এবং এর শীর্ষে রয়েছে ছোট গম্বুজ।

মসজিদের পূর্ব প্রাচীরে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ প্রাচীরে একটি করে খিলানযুক্ত প্রবেশপথ রয়েছে। প্রধান প্রবেশপথটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং এতে অধিকতর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রবেশপথগুলোর উভয় পাশে ও উপরে প্যানেল নকশা অলংকৃত। কিবলা প্রাচীরে রয়েছে তিনটি মিহরাব, কেন্দ্রীয়টি অপেক্ষাকৃত বড় ও অধিক আকর্ষণীয়। এটি ফুল, লতাপাতা ও জ্যামিতিক নকশায় শোভিত। দুইটি পার্শ্ব খিলান দ্বারা মসজিদের অভ্যন্তর তিন ভাগে বিভক্ত। মধ্যের অংশটি বাইরের দিকে পূর্ব ও পশ্চিমে কিছুটা উদ্গত করে নির্মিত। এ অংশের চার কোণে চারটি সরু মিনার কার্নিশের উপরে উঠেছে। অষ্টকোণাকার ড্রামের ওপর নির্মিত তিনটি গোলাকার গম্বুজ দ্বারা মসজিদের ছাদ ঢাকা। মধ্যেরটি অপেক্ষাকৃত বড়। গম্বুজগুলোর শীর্ষদেশ পদ্মনকশা ও কলস চূড়া দ্বারা শোভিত।

মসজিদের কার্নিশের নিচের অংশ মারলোন নকশায় অলংকৃত। বিভিন্ন সময়ে মসজিদটির সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। একটি শিলালিপির পাঠ অনুযায়ী ১৮৮২ সালে হাজী ইমামউদ্দিন ৭ দশমিক ৩২ মিটার প্রস্থের সমতল ছাদবিশিষ্ট বারান্দাটি নির্মাণ করেন। পরবর্তীকালে মসজিদটি আরও সম্প্রসারিত ও দুই পার্শ্বে মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। এ মসজিদের নামকরণ, প্রতিষ্ঠাতার নাম ও প্রতিষ্ঠার তারিখ নিয়ে ভিন্নমত থাকলেও এ মসজিদ যে পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম সে বিষয়ে কারও সন্দেহ নেই। প্রাচীন এ মসজিদটি দেখতে মহানগরীর মোগলটুলী এলাকায় প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা ভিড় করেন। বিশেষ করে জুমা, শবে বরাত, শবে কদরসহ বিশেষ দিনগুলোয় এখানে মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের বেশি ভিড় হয়।

স্থানীয় কয়েকজন মুসল্লি বলেন, মসজিদটি সংস্কারের নামে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নষ্ট করা হয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে অনুরোধ তারা যেন মসজিদটির ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষায় জোরালো ভূমিকা রাখে।

মসজিদের ইমাম মুফতি খিজির আহমদ বলেন, কালের সাক্ষী এ মসজিদে অসংখ্য দর্শনার্থী এবং মুসল্লি এসে নামাজ আদায় করতে চান, কিন্তু স্থান সংকুলানের কারণে আমরা আগত মুসল্লি এবং দর্শনার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারি না। মূল কাঠামো ঠিক রেখে মসজিদটির পরিধি বাড়ানো খুবই দরকার।

শাহ সুজা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি বলেন, এটি একটি প্রাচীন মসজিদ। মসজিদটি শুধু কুমিল্লা নয়, সারা দেশের মধ্যে অন্যতম। এখানে ১ হাজার ২০০ জনের বেশি মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। মসজিদের পরিধি বাড়ানোর জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা ও সমাজ সেবক মাহবুবুল আলম চপল জানান, মসজিদটি অনেক বার সৌন্দর্য বর্ধনে স্থানীয়দের আর্থিক সহযোগিতায় উভয় দিকে সম্প্রসারণ করা হয় এবং সাথে মাদ্রাসা, পানির ঝর্ণা, অযুখানা নির্মাণ করা হয়। প্রধান ফটক কারুকার্য শোভিত করে তৈরি করা হয়। আমরা ছোট বেলা এই মসজিদেই বাবা সাথে নামাজ পড়তে যেতাম, তখন এখনকার মতো ঘনঘন মসজিদ ছিল না।

মন্তব্য

অভিযোগ নিষ্পতিতে ফটিকছড়ি উএনওর কার্যালয়ে গণশুনানী

অভিযোগ নিষ্পতিতে ফটিকছড়ি উএনওর কার্যালয়ে গণশুনানী

ফটিকছড়িতে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গণশুনানী কার্যক্রম। স্থানীয়দের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ মীমাংসা কিংবা সমস্যা নিষ্পতিতে দ্রুত সমাধানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়টি এখন আশার প্রদীপ হয়ে উঠেছে।

সরকারি এমন উদ্যোগের সঠিক বাস্তবায়নের জন্য সর্বমহলের কাছে প্রশংসিত হচ্ছেন উপজেলা নিরাবাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। বিশেষ করে গেল বছরের ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তনের পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধির একটি বড় অংশ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সৃষ্ট বিরোধের সমাধান চাইতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ভুক্তভোগিদের।

মুলত এর পর থেকেই নির্বাহী অফিসারের গণশুনানী বিচার প্রার্থীদের কাছে আস্থার জায়গায় পরিণত হতে থাকে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জায়গা-জমি বিরোধ, চলাচলের পথ, কাবিনমার টাকা ও ব্যবসায়িক লেনদেনসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে মাসে অন্তত অর্ধশতাধিক আবেদন জমা হয় এখানে। প্রতি বুধবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১৫ থেকে ২০টি অভিযোগ গণশুনানীতে ওঠে। এর আগে উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়ে তারিখ ও সময় জানিয়ে দেয়া হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে এসব শুনানী অনুষ্টিত হয়। এতে বাদী-বিবাদী ছাড়াও উপস্থিত থাকেন উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা। বেশিরভাগ অভিযোগ প্রথম দফার বৈঠকে সমাধান হলেও কিছু অভিযোগ পরবর্তী শুনানীতে গিয়ে নিষ্পত্তি হয়।

গত বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে একটি শুনানী চলছে। বারান্দায় আরো বেশ কয়েকটি পক্ষ অপেক্ষামান। এসময় লেলাং ইউনিয়ন থেকে আসা মোবারক হোসেন বলেন প্রতিবেশীর তালাকের একটি বিষয় নিয়ে এসেছিলাম। ইউএনও মহোদয় উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন। বিয়েটি যাতে ভেঙ্গে না যায়, সে জন্য আরো ভাবতে বলে শেষ করেছেন।

একই দিন পাইন্দং আশ্রয়ন প্রকল্প থেকে একত্র হয়ে উপস্থিত হন পাঁচ বোন। তাদের সাথে কথা হলে জানান ভাই- বোনের সম্পত্তির ভাগ নিয়ে বিরোধ চলছে।বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানানোর পর তিনি উভয় পক্ষকে ডেকেছেন।

উপজেলা নির্বাহী আফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুনী বলেন, গণশুনানী করা কেবিনেট ডিভিশনের সীদ্ধান্ত। বিভিন্ন অভিযোগের সমাধান চায়তে মানুষ আমার অফিসে আসে। অভিযেগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষকে অফিসে ডেকে গণশুনানি করি

তিনি আরো বলেন সেসেঞ্জার-ওয়ার্টসাপে সাধারণ মানুষ নানাবিদ সমস্যার কথা আমাকে জানায়। এর মধ্যে যেগুলো তাৎক্ষণিক সমাধান যোগ্য সেগুলো সমাধান করে দিই। তবে যেসব অভিযোগ সময় নিয়ে করতে হবে, সেগুলো গণশুনানির মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করি।

মন্তব্য

সারা দেশ
Rohingya birth certificate is getting money

টাকায় মিলছে রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ!

টাকায় মিলছে রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ!

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ২ নং নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফকে ১৫/ ২০ হাজার টাকা দিয়েই রোহিঙ্গারা জন্ম সনদ নিচ্ছে। তিনি জালিয়াতি মাধ্যমে অন্য ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্ম নিবন্ধনে বয়স কমিয়ে ও বাড়িয়ে বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে জন্ম নিবেদন সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা যুবক নুরুল আমিন। পরে গত ৩ জুন বিকাল তিনটায় দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাচন অফিসে ওই জন্মনিবন্ধন নিয়ে ভোটার হতে এসে রোহিঙ্গা যুবক নুরুল আমিনসহ স্থানীয় দুই দালাল আটক হয়।

পরে নির্বাচন অফিসের মা. ইউসুফ স্ক্যানিং এন্ড ইকুপমেন্ট মেইনটেনেন্স

অপারেটর এনআইডি বাদী হয়ে রোহিঙ্গা নাগরিকনুরুল আমিন, নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফ, ভাবপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজগর হোসেন, জয়াগ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহিন উদ্দিনসহ ৭ জন দালালকে বিবাদী করে থানা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৫। এ মামলায় ইউপি সচিব হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে আবারো মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের নতুন জন্ম নিবন্ধন দিচ্ছে। আবার অন্য ইউনিয়ন ও উপজেলার বাসিন্দাদের এ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন দিচ্ছে বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। ইউপি সচিব ইউসুফ পার্শ্ববর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মার্চ মাসের ২০১৮ সালে নদনা ইউনিয়ন পরিষদের বদলি হয়ে আসেন। এখানে এসেই তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। টাকা ছাড়া এই ইউনিয়ন পরিষদে তিনি কোন কাজে করেন না। টাকা দিলেই তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করেন। গত ২ বছর পূর্বে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে সরকারি ফির চেয়েও ৩ গুণ বেশি নিয়েছেন।

এ নিয়ে তৎকালীন নদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ সোনাইমুড়ী উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় অভিযোগ উপস্থাপন করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন তাকে শোকজ করেন। এরপরও তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করেননি। বর্তমানে তিনি রোহিঙ্গাদের টাকার বিনিময়ে জন্ম নিবন্ধন দেয়া ও অন্য ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্ম নিবন্ধন করে বিপুল অঙ্গের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

সচিবের নেতৃত্বে এই ইউনিয়নে ঝক্কি-ঝামেল মুক্ত সনদ পাইয়ে দিতে সৃষ্টি হয়েছে শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেট। ফলের সেবা গ্রহীতারা প্রতিনিয়ত হচ্ছেন প্রতারিত।

অভিযোগ রয়েছে, সোনাইমুড়ীর চাষির হাট ইউনিয়নের পোরকরা গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের পুত্র আবুল কালাম স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বে সপরিবারে ভারতে পাড়ি জমান। সেখানে তার নাগরিত্ব রয়েছে । কিন্তু সে ৩ মে ১৯৬২ ইং বয়স দিয়ে জন্মসূত্রে বাড়ি সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষির হাট ইউনিয়নের পরকরা গ্রামে হলেও নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে নিবন্ধন করেছেন। সোনাইমুড়ীর বজরা ইউনিয়নের পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে মোখলেছুর রহমানের জন্ম নিবন্ধন এই ইউনিয়নে রয়েছে। সে ২১ জুন ১৯৮৮ বয়স দিয়ে পার্শ্ববর্তী নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে আরেকটি জন্ম নিবন্ধন করেছেন। সোনাইমুড়ীর ছনগাঁও গ্রামের আক্কাছ মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম নদনা ইউনিয়ন পরিষদের দালাল চক্রকে টাকা দিয়ে একইভাবে ১ জানুয়ারি ১৯৫৯ বয়স বাড়িয়ে নদনা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন করেছেন।

সোনাইমুড়ীর নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকামতা গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র মামুন হোসেন তার ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন থাকলেও ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে বয়স বৃদ্ধি করে নদনা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবেদন করেছেন। উপজেলা সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও খোরশেদ আলমের পুত্র খলিলুর রহমান গত ৩১ আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখে বয়স এক মেয়ে ২০০৩ সাল দেখিয়ে, একইভাবে গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে বজরা ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আবুল কালামের পুত্র সালমান খান ১ জানুয়ারি ২০২৪ ইং বয়স বাড়িয়ে নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে জন্ম সনদ নিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোনাইমুড়ী বাজার, বজরা ইসলামগঞ্জ বাজার, কাশিপুর বাজার, নদনা বাজার, জয়াগ বাজারের বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানদারদের সাথে নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফের সাথে গোপন যোগাযোগ রয়েছে। ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে টাকার বিনিময়ে এসব জন্ম নিবন্ধন চলে যাচ্ছে রোহিঙ্গাসহ অপরাধীদের হাতে। তৈরি হচ্ছে পাসপোর্টও। বাংলাদেশি পরিচয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে রোহিঙ্গারা। আর এ সুযোগে জন্ম নিবন্ধন জালিয়াত চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অংকের টাকা।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার মুঠো ফোনে জানান, বিষয়টি তার জান ছিল না।তবে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সোনাইমুড়ীর নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফ জানান, জনসাধারণ ভোগান্তিতে পড়ে তাকে টাকা দিলেই বয়স কমিয়ে ও বাড়িয়ে জন্ম নিবন্ধন করে দিয়ে থাকেন। এটা সত্য। তবে তার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একজন রোহিঙ্গা নাগরিক জন্ম সনদ করায় মামলা হয়েছে। তিনি ওই মামলায় জামিনে রয়েছেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
The death of two brothers with disabilities drowned in the pond water in Raninagar

রাণীনগরে পুকুরের পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী দুই ভাইয়ের মৃত্যু

রাণীনগরে পুকুরের পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী দুই ভাইয়ের মৃত্যু

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ঘোষগ্রাম মন্ডলপাড়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে মানসিক প্রতিবন্ধী দুই সহোদরের করুণ মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। নিহত দুই ভাই হলেন, মফিজ প্রামানিক (৬৫) ও হবিজ প্রামানিক (৪৫)। তারা উভয়েই একই গ্রামের মৃত হায়ের প্রামানিকের সন্তান।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মফিজ ও হবিজ দীর্ঘদিন ধরে মানসিক প্রতিবন্ধী হিসেবে জীবনযাপন করছিলেন। প্রতিদিনের মতো এদিনও তারা দুপুরের আগে বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিলেন। হঠাৎ করে কোনো এক সময় অসাবধানতাবশত বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে থাকা একটি পুকুরে পড়ে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যান তারা।

দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন লোক পুকুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে দ্রুত বাড়িতে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা ও আশপাশের মানুষ ছুটে এসে মফিজ প্রামানিকের মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে হবিজ প্রামানিককেও নিথর অবস্থায় পানির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। দুই ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে পুরো গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তাদের স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

নিহতদের ছোট ভাই বেলাল প্রামানিক জানান, ‘আমার দুই ভাই-ই জন্ম থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। তারা একে অপরের ছায়াসঙ্গী ছিল। কখন যে পুকুরে পড়ে গেল বুঝতেই পারিনি। স্থানীয়দের কাছ থেকেই খবর পাই। দৌড়ে গিয়ে দেখি—সব শেষ।’

রাণীনগর থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো. রায়হান জানান, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনাটি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

এই করুণ ঘটনায় গ্রামের মানুষ একসাথে শোক প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেশীরা জানান, দুই ভাইয়ের মৃত্যু শুধু তাদের পরিবারের নয়, পুরো গ্রামেরই অপূরণীয় ক্ষতি।

মন্তব্য

সারা দেশ
3 days of milk with the cow

গাভীর সঙ্গে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিনের বাছুর!

গাভীর সঙ্গে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিনের বাছুর!

গাভীর সাথে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিন বয়সি একটি বাছুরও। এমন আজব ঘটনায় ঐ খামারির বাড়িতে ভিড় করছেন অনেকে। কেউ দাড়িয়ে দেখছেন দুধদোহন আবার কেউ তুলছেন ছবি। খামারির বাড়িতে এখন উৎসুক জনতার ভিড় লেগেই আছে।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচরকরণশী গ্রামে হারুনুর রশিদের খামারে ঘটেছে এমন ঘটনা। খামারিসহ স্থানীয়রা বলছেন, এটি মহান আল্লাহর খুদরত। তবে বিষয়টিকে ব্যতিক্রমী ঘটনা বলছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও।
খামারি হারুনুর রশিদ বলেন, দুই বছর পূর্বে ৭৫ হাজার টাকায় একটি বকনা বাছুর কিনেছিলেন তিনি। সেটি এবার প্রথমবার একটি বাছুর জন্ম দিয়েছে। কিন্তু বাছুরটির জন্মের পর থেকে দেখেন সেটির ওলান অন্যান্য বাছুরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বয়সের তুলনায় অনেকটা বড়। পরে ওলানে হাত দিয়ে দেখেন দুধও আসে। ঘটনাটি তিনি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদেরকে জানালে তারাও এসে দেখে গেছেন। হারুনুর রশীদ আরও বলেন, এই বাছুরের দুধ দেখতে এবং স্বাদেও গাভীর মতোই। বিষয়টিকে আল্লাহর নিয়ামত বলেও মনে করেন তিনি। হারুন বলেন, এই বাছুরের দুধ আমি নিজেও খেয়েছি, আমার সন্তানদেরও খাইয়েছি।
হারুনুর রশীদের বাবা আব্দুল কাদির বাচ্চু বলেন, তার ৭০ বছর বয়সে এমন ঘটনা শুনেনওনি, দেখেনওনি। এমনকি তাদের পূর্বপুরুষদের মুখেও এমন ঘটনার কথা শুনেননি।
একই এলাকায় বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীতে চাকুরির সুবাদে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় তিনি ঘুরেছেন। কিন্তু কোথাও এমন ঘটনা তার চোখে পড়েনি। তিনি বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই দুধ দিচ্ছে শুনে হারুনের খামারে এসেছেন। প্রথমে বিশ্বাস না হলেও এখন তিনি নিজ চোখে দেখেছেন। মিজানুর বলেন, নিজের চোখে না দেখলে এটি কেউই বিশ্বাস করবে না।
করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এম. এম. এ আউয়াল তালুকদার জানান, তার দীর্ঘদিনের কর্মজীবনে এমন ঘটনা এটাই প্রথম। প্রলেকটিন হরমোন নির্গত হওয়ার কারণে এমনটি ঘটেছে বলেও জানান তিনি। এই কর্মকর্তা বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। তিনিও এই বিষয়টিকে আল্লাহ পাকের কুদরত বলে মনে করেন। এই কর্মকর্তা বলেন, এই বাছুরের দুধ পান করলে কোন সমস্যা হবে না। গাভীর দুধ দেখতে ও স্বাদ যেমন, বাছুরের দুধও তেমনি হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
If the two countries will jointly respond

আক্রান্ত হলে যৌথভাবে জবাব দেবে দুই দেশ

পাকিস্তান-সৌদি আরব প্রতিরক্ষা চুক্তি সই
আক্রান্ত হলে যৌথভাবে জবাব দেবে দুই দেশ

পাকিস্তান ও সৌদি আরব ‘কৌশলগত যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি’ সই করেছে। বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ চুক্তি সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, কোনো একটি দেশ আক্রান্ত হলে সেটাকে দুই দেশের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখবে রিয়াদ ও ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রিয়াদের ইয়ামামা প্রাসাদে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজ শরিফের বৈঠক হয়। সেখানে দুই নেতা চুক্তিতে সই করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ জোরদার করার লক্ষ্যে দুই দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নিজেদের সুরক্ষিত করা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি অর্জনের জন্য উভয় দেশের অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে এই চুক্তিতে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসলামাবাদ ও রিয়াদের মধ্যে ‘প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব...ভ্রাতৃত্ব ও ইসলামি সংহতির বন্ধন...অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থ এবং ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার’ ভিত্তিতে এ চুক্তি সই করা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলেছে, দু্ই পক্ষ ও তাদের প্রতিনিধি দল উভয় দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছে। একই সঙ্গে দুই পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
এর আগে সৌদি আরব সফররত শাহবাজ শরিফ ইয়ামামা প্রাসাদে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান সৌদি যুবরাজ। এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে সৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।

ভারতের ওপর প্রভাব খতিয়ে দেখছে নয়াদিল্লি
পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে ভারত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত এই চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিদ্যমান একটি ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক রূপ হিসেবে দেখছে এবং এর ফলে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা, সেইসঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, তা খতিয়ে দেখছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরের খবর দেখেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ধরনের একটি চুক্তি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘদিনের বোঝাপড়াকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। ভারত সরকার এই চুক্তির প্রভাব জাতীয় নিরাপত্তা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর কীভাবে পড়তে পারে, তা খতিয়ে দেখবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারত সরকার তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা এবং সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে সৌদি আরবের আল-ইয়ামামা প্রাসাদে বৈঠকের পর জারি করা একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, এই প্রতিরক্ষা চুক্তি প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব ও ইসলামিক ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করা এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি যৌথ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এই বৈঠকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের উপস্থিতিও লক্ষণীয় ছিল।
এই চুক্তিটি এমন এক সময়ে স্বাক্ষরিত হয়েছে, যখন কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সময়কালে ভারতের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছে। বর্তমানে ভারত সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। প্রধানমন্ত্রী মোদি এ পর্যন্ত তিনবার সৌদি আরব সফর করেছেন এবং ২০১৬ সালে তাকে দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘কিং আব্দুল আজিজ স্যাশ’ প্রদান করা হয়েছিল।

মন্তব্য

সারা দেশ
Reformation requires renovation in the process of reform Moin Khan

সংস্কারপ্রক্রিয়ার নিজেরই সংস্কার প্রয়োজন: মঈন খান

সংস্কারপ্রক্রিয়ার নিজেরই সংস্কার প্রয়োজন: মঈন খান

চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়ার নিজেরই সংস্কারের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। এই বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেছেন, এক বছর ধরে সংস্কারপ্রক্রিয়া চলমান থাকলেও কোনো ধরনের সমাধানে পৌঁছাতে পারছে না। মূলত কমিশন প্রথাগত পদ্ধতি থেকে বের হতে পারছে না দেখে কোনো সমাধান আসছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স (সিজিএস) আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ’ শীর্ষক এক সংলাপ অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন আবদুল মঈন খান। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমাদের ওপর জোর করে একটা একনায়কতন্ত্র চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল যে বাংলাদেশে সবাইকে একইভাবে চিন্তা করতে হবে। কোনো ভিন্নমত থাকতে পারবে না।’ আজকেও কি সবাইকে ঐকমত্যে নিয়ে এসে আমরা গণতন্ত্র উদযাপন করব- এমন প্রশ্ন তোলে তিনি বলেন, ‘আমি এ ধারণায় বিশ্বাস করি না।’
চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়া তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এখানে মতভেদ থাকতে পারে। প্রতিটি মানুষের ভিন্নমত থাকতে পারে। এ বৈচিত্র্যকে ধারণ করতে না পারলে আমি বিশ্বাস করি না যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কাজ করবে। শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। আর ১০-২০টি বিষয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে। আমরা চিন্তিত হব সব বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল ও ১৮ কোটি মানুষ একমত হয়- তাহলে আমি চিন্তিত হয়ে যাব, এটা ভেবে যে দেয়ার ইজ সামথিং রং (এখানে কোনো ঘাপলা আছে)।’
ইংরেজি একটা প্রবাদ উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ‘ইউনিটি ইন ডাইভারসিটি (বৈচিত্র্যেই ঐক্য)। সব কাগজে সই করব, সবকিছু বাস্তবায়ন করব, সংবিধান ছুড়ে ফেলব, নতুন সংবিধান করব- এগুলো যদি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আসে আসবে। তাতে আপত্তি করব না। কিন্তু জোর করে কারও ওপর চাপিয়ে দেওয়ার দরকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মনুষ্যত্ব কেমন, সেটা তো জানেন। তারা এক দিকে অধৈর্য, আরেক দিকে ইমোশনাল। এ দুটো জিনিস এক হয়ে গেলে তখন মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। সেটা হয়েছেও।’

মন্তব্য

p
উপরে