× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
ইয়াস ভঙ্গুর বেড়িবাঁধে আতঙ্কে উপকূলবাসী
google_news print-icon

‘ইয়াস’: ভঙ্গুর বেড়িবাঁধে আতঙ্কে উপকূলবাসী

ইয়াস-ভঙ্গুর-বেড়িবাঁধে-আতঙ্কে-উপকূলবাসী
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ থেকে সাইক্লোনে পরিণত হওয়া ইয়াসের অবস্থান। ছবি: ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে পরিণত হওয়ার খবর জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে ২৫ থেকে ২৭ মে দেশের উপকূলসহ ৩০টি জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধ রয়েছে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার। ষাটের দশকে নির্মিত এসব বেড়িবাঁধ ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২৯টি পয়েন্ট ভেঙে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে জোয়ারের পানি। আম্পানের পরে এগুলো সংস্কার হলেও এখনও ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ১৯টি পয়েন্ট।

শ্যামনগর উপজেলার সুভদ্রাকাটি গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের যাতায়াতের একমাত্র পথ বেড়িবাঁধ। যা ভাঙতে ভাঙতে এক হাতের মধ্যে চলে এসেছে। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস আসলি আমাদের বিপদের শেষ থাকে না। না পারি কোথাও যেতে। আবার আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় উঠতি পারি না সেখানে।‘

সাতক্ষীরা জলবায়ু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী জানান, জেলার উপকূলীয় এলাকার সাড়ে তিন লাখ জনগোষ্ঠীকে ঘূর্ণিঝড়ের সময় আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে হয়। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৬০০ থেকে ৭০০ মানুষ থাকতে পারেন। জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে মাত্র ১৪৫টি। সেই হিসাবে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার মানুষকে ঠাঁই দেয়া সম্ভব। দীর্ঘদিন এ রকম সংকট থাকলেও সমাধানের উদ্যোগ নেই প্রশাসনের।‘

বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে পরিণত হওয়ার খবর জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে ২৫ থেকে ২৭ মে দেশের উপকূলসহ ৩০টি জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম মাসুদ হোসেন জানান, তার ইউনিয়নের ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। তবে ইউনিয়নে আশ্রয়কেন্দ্রের সংকট রয়েছে। ৪০ হাজার মানুষের জন্য নূন্যতম ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র দরকার।

আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে মাত্র দুটি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর চাপ মোকাবিলায় যা একেবারে নগণ্য।’

এদিকে জেলায় সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।

‘ইয়াস’: ভঙ্গুর বেড়িবাঁধে আতঙ্কে উপকূলবাসী
সোমবার বেলা আড়াইটায় ইয়াস-এর অবস্থান। ছবি: উইন্ডিডটকম

আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, সাতক্ষীরায় দুপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৬.৫ সেন্টিগ্রেড। বাতাসের আর্দ্রতা রয়েছে ৫২ শতাংশ। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে এমন ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে ১৪৫টি। আশ্রয়কেন্দ্রে সবাইকে জায়গা দেয়া সম্ভব নয়। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, জেলায় ১৮৩ টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এটি দিয়ে দুর্যোগের সময় মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেয়া যাবে। এ ছাড়া সহায়তা হিসেবে এসেছে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ২২ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত করা হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের বলেন, ‘সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আশাশুনির কুড়িকাহুনিয়া এলাকায় ৭৪ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। এ ছাড়া জাইকার অর্থায়নে ১৭ কোটি টাকার কাজও চলছে।’

তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা কমিশনের জমা করা ১ হাজার ২৩ কোটি টাকার প্রকল্পটি একনেকের বৈঠকে পাস হলে বেড়িবাঁধ সংকট অনেকাংশে সমাধান হবে।’

পিরোজপুরে প্রস্তুত ৫৫৭ আশ্রয়কেন্দ্র

উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৫৭ আশ্রয়কেন্দ্র। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ২৩৫টি এবং বাকি ৩২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘হতাহতের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় রাখতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের পরে প্রতিটি ইউনিয়নে তাৎক্ষণিক আর্থিক সাহায্য দেয়ার জন্য আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।’

তিনি বলেন, ‘গোখাদ্য ও শিশুখাদ্যের জন্য সরকারি বরাদ্দ রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় সতর্কবার্তা জারির কার্যক্রমও চলছে। প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিক্যাল টিম গঠনেরও প্রস্তুতি চলছে।’

এদিকে রোববার মঠবাড়িয়া উপজেলায় আধুনিক সুবিধাসহ তিনটি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, হোগলপাতি নেছারিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নে খায়েরঘটিচোরা হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

ভোলায় প্রস্তুত ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় ভোলায় মাঠে কাজ করবে ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে নেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র। এগুলোতে আশ্রয় নিতে পারবেন প্রায় ৫ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ।

রোববার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ইলাহী চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ৪০টি স্পট ঠিক করা হয়েছে, যেখান থেকে ৩ লাখ ১৮ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হবে।’

‘ইয়াস’: ভঙ্গুর বেড়িবাঁধে আতঙ্কে উপকূলবাসী
জেলা প্রশাসক জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় মোট ৭৬টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্যালাইন, ওষুধসহ অন্যান্য ব্যবস্থা। জেলায় একটি ও সব উপজেলায় একটি করে ৭টি কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। এখান থেকে ঝড়ের সব ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে।
দুর্যোগকে কেন্দ্র করে কেউ যদি গুজব ছড়ায়, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

করোনা ঠেকাতে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে ধারণক্ষমতার অর্ধেক

ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় খুলনায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১ হাজার ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র। একই সঙ্গে প্রস্তুত রয়েছে ১১৬টি মেডিকেল টিম।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আশ্রয়কেন্দ্রের সক্ষমতার অর্ধেক মানুষকে একটি কেন্দ্রে রাখা হবে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনা খাবার, অর্থ, চাল-ডাল প্রস্তুত রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘৯ উপজেলায় ১ হাজার ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সাইক্লোন শেল্টার, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা রয়েছে, যেখানে পাঁচ লাখ লোকের ধারণক্ষমতা রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ১১৬টি মেডিকেল টিম। প্রস্তুত রয়েছেন ৫ হাজার ৩২০ জন স্বেচ্ছাসেবক।

ঘূর্ণিঝড়ের খবরে আতঙ্কে রয়েছেন উপকূলীয় উপজেলা কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছার মানুষ। এর আগে আইলা, সিডর, ফণী, বুলবুল ও আম্পানে এই অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

চট্টগ্রামে প্রস্তুত ৫০০ আশ্রয়কেন্দ্র

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় চট্টগ্রামে প্রস্তুত রয়েছে ৫০০টি আশ্রয়কেন্দ্র। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী মজুত রয়েছে। পর্যাপ্তসংখ্যক মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, ‘ইয়াস নামের ঘূর্ণিঝড়টি ২৫ বা ২৬ মে আঘাত হানতে পারে। এ জন্য ১ নম্বর দূরবর্তী বিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সময় গো-খাদ্য কেনার জন্যে প্রতি উপজেলায় এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণাসহ মাইকিং করা হচ্ছে।

জোয়ারের পানি বাড়ছে পায়রা নদীতে

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পটুয়াখালীর পায়রা নদীতে জোয়ারের পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী।

তি‌নি বলেন, ‘পায়রা নদীর বিপৎসীমা ২ দশ‌মিক ৮১ ‌সে‌ন্টি‌মিটার। কিন্তু রোববার রাত থে‌কে সোমবার দুপুর পর্যন্ত পায়রা নদীর জোয়া‌রের উচ্চতা ছিল ২ দশ‌মিক শূন‌্য ৮‌ সেন্টি‌মিটার। অর্থাৎ জোয়ারের পানি বিপৎসীমার ৭৩ ‌সে‌ন্টি‌মিটার নিচ দি‌য়ে প্রবা‌হিত হচ্ছে।

জোয়ারের চাপ ধীরে ধীরে বাড়ছে বলেও জানান তিনি।

প্রকৌশলী হা‌লিম সা‌হেলী জানান, জেলায় মোট বে‌ড়িবাঁধ র‌য়ে‌ছে ১ হাজার ৩৪১ কিলো‌মিটার। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ১৬ ‌কি‌লো‌মিটার। সম্ভাব‌্য ঝুঁকিতে রয়েছে ৬২ কি‌লো‌মিটার বেড়িবাঁধ, যেগু‌লোর সংস্কারকাজ চলছে।

ঘূর্ণিঝড় ৩৯১‌টি সাই‌ক্লোন শেল্টারসহ ৮০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, পটুয়াখালী সদ‌রে ১৯টি, দুমকিতে ৪৩, মির্জাগ‌ঞ্জে ২৭, বাউফ‌লে ১৩৫, দশ‌মিনায় ৫৭, গলা‌চিপায় ১০৭, কলাপাড়ায় ১৬০ এবং রাঙ্গাবালী‌তে ৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হ‌য়ে‌ছে।

ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিশেষ নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

‘ইয়াস’: ভঙ্গুর বেড়িবাঁধে আতঙ্কে উপকূলবাসী
ইয়াস মোকাবিলায় প্রস্তুত করা হচ্ছে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রটি। ছবি: নিউজবাংলা

জেলা আবহাওয়া অ‌ফি‌সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, সোমবার বেলা ৩টা পর্যন্ত পটুয়াখালী‌তে বাতা‌সের আর্দ্রতা ছিল ৭২ শতাংশ। এ ছাড়া তাপমাত্রা ৩৫ দশ‌মিক ৭ ‌ডি‌গ্রি সেল‌সিয়াস। বাতা‌সের গ‌তি‌বেগ ছিল ঘণ্টায় ৪ কি‌লো‌মিটার।

জেলা সি‌ভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকা‌বিলায় পটুয়াখালী‌তে মোট ৯৩‌টি মে‌ডি‌ক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হ‌য়ে‌ছে। এ ছাড়া প্রতি‌ উপ‌জেলায় প্রয়োজনীয় খাওয়ার স‌্যালাইন, পা‌নি বিশুদ্ধকরণ ট‌্যাব‌লেটসহ অন‌্যান‌্য ওষুধ মজুত রাখা আ‌ছে।

পটুয়াখালী নৌবন্দর কর্মকর্তা মো. ম‌হি উ‌দ্দিন খান জানান, জেলার অভ‌্যন্তরীণ রু‌টে ৬৫ ফু‌টের নিচে সব ধর‌নের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হ‌য়ে‌ছে। ঢাকাগামী দোতলা লঞ্চ চলবে। সে‌ ক্ষে‌ত্রে পরে নি‌র্দেশনা এলে প্রয়োজনীয় ব‌্যবস্থা নেয়া হ‌বে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রন‌জিৎ কুমার সরকার বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষ‌তি থে‌কে ক্ষ‌তিগ্রস্তদের তাৎক্ষ‌ণিক সহ‌যো‌গিতার জন্য ২ ‌কো‌টি ৩০ লাখ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

‘ইয়াস’ আতঙ্কে সুন্দরবনের উপকূলবাসী

সিডর, আইলা, আম্পানের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকা বাগেরহাটের শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকার জেলে ও বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন আতঙ্ক এখন ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানলে উপকূলীয় এলাকার মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বুধবার ভারতের উড়িষ্যার উপকূল ও বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। ইতিমধ্যে সুন্দরবনের পাশের উপজেলা শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও মোড়েলগঞ্জকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রস্তুত রাখা হয়েছে জেলার ৩৪৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র।

বাগেরহাট ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) খাদিজা আক্তার বলেন, ‘জেলার ৭৫টি ইউনিয়নে ২৫ হাজার টাকা ও তিনটি পৌরসভায় ২ লাখ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতি উপজেলায় শিশুখাদ্যের জন্য এক লাখ ও গোখাদ্যের জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া অধিক ঝুঁকিপূর্ণ শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলা ও রামপালে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪৬টি মেডিক্যাল টিম।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-আতঙ্কে রয়েছেন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন রায়েন্দা ও সাউথখালী ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা আম্বিয়া বেগম বলেন, ‘প্রতিবছরই মোগো এইহানে ঝড় আয়। মোরা নদীর ধারে থাহি। ঝড় আইলে সাইক্লোন সেন্টারে যাই। এর আগে যে ঝড়-তুফান আইছে, হ্যাতে মোগো গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ব্যাবাগ কিছু ভাসাইয়া লইয়া গেছে।’

শরণখোলার রাজেসর গ্রামের বাসিন্দা আসলাম শেখ বলেন, ‘সিডরে মোগো বাড়িঘর সবকিছু গেছে। এহন মোরা এই বলেশ্বর নদীর পাড়ে ঘর বানাইয়া থাকি। নতুন কইরা নাহি আবার ঝড় আইতাছে। এই ঝড়ে যদি মোগো ঘর-দুয়ার আবার ভাসাইয়া লইয়া যায়, মোরা কই গিয়া থাকমু।’

শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, ‘রোববার রাতে বৃষ্টি ছাড়া এখন পর্যন্ত ঝড়ের তেমন কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না। উপজেলার প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। ঝড়ের আলামত দেখা দিলেই প্রথমে সুন্দরবন উপকূলের জেলে ও বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হবে।’

বরিশাল বিভাগে প্রস্তুত প্রায় ৫ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে বরিশাল বিভাগের ৪ হাজার ৯১৫ আশ্রয়কেন্দ্র। এর মধ্যে রয়েছে সাইক্লোন শেল্টার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আশ্রয় নিতে পারবেন বিভাগের ২০ লাখ মানুষ।

দুর্যোগ মোকাবিলায় সোমবার দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনের সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বরিশালে ১০৭১টি আশ্রয়কেন্দ্র, পটুয়াখালীতে ৯২৫, ভোলায় ১১০৪, পিরোজপুরে ৭১২, বরগুনায় ৬২৯ এবং ঝালকাঠিতে ৪৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনগুলো থেকে ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ২০ লাখ মানুষের পাশাপাশি কয়েক লাখ গবাদিপশুকেও স্থান দেয়া যাবে।

আরও পড়ুন:
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: কৃষি বাঁচাতে পরামর্শ
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: সুন্দরবনে বন্ধ ৮ টহলফাঁড়ি
কখন, কোথায় আঘাত হানতে পারে ইয়াস
ইয়াস দিক বদলালে শুরু হবে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া
ইয়াস আরও শক্তিশালী, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
8 people including women were injured in a fight over sharing of coconuts

‘নারকেল ভাগাভাগি’ নিয়ে মারামারিতে নারীসহ ৮ জন আহত

‘নারকেল ভাগাভাগি’ নিয়ে মারামারিতে নারীসহ ৮ জন আহত নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে নারকেল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন। কোলাজ: নিউজবাংলা
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে নিজেদের পারিবারিক গাছ থেকে নারকেল পাড়েন সেলিম। সেই নারকেল অপর তিন ভাই মজনু মিয়া, ফজলুর রহমান ও আজিজুল হকের বাসায় ভাগ করে দেন, তবে ভাগ কম বেশি হওয়ায় কারণে ভাতিজারা সেলিমের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করেন। একপর্যায়ে সেলিমকে তারা মারধর করে সামান্য আহত করেন।

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে পারিবারিক গাছ থেকে পাড়া নারকেল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষে নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন।

তাদের মধ্যে সেলিম মিয়া নামে গুরুতর আহত একজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সেলিম মিয়ার ভাই মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, পৌর শহরের টেংগাপাড়া এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ও বৃহস্পতিবার সকালে দুই দফা সংঘর্ষে আটজন আহত হন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে নিজেদের পারিবারিক গাছ থেকে নারকেল পাড়েন সেলিম। সেই নারকেল অপর তিন ভাই মজনু মিয়া, ফজলুর রহমান ও আজিজুল হকের বাসায় ভাগ করে দেন, তবে ভাগ কম বেশি হওয়ায় কারণে ভাতিজারা সেলিমের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করেন। একপর্যায়ে সেলিমকে তারা মারধর করে সামান্য আহত করেন।

এ ঘটনায় ওই রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরদিন সকালে সেলিম দোকানে গেলে তার হাতে ও পিঠে ক্ষুরের আঘাতে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

আহত সেলিমের পক্ষের লোকজন জানায়, অপর তিন ভাই ও ভাতিজারা মিলে সেলিম ও তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ির ও শ্যালিকার ওপর হামলা চালান।

এদিকে সেলিমের বড় ভাই ফজলুর রহমান বলেন, ‘প্রথমে নারকেল নিয়ে ভাতিজারা সেলিমকে কিছুটা হেনস্তা করে। আমরা রাতে বিষয়টা সমাধান করব ভেবেছি, কিন্তু রাতে বড়কাশিয়া থেকে সেলিমের আত্মীয়রা এসে বাড়িতে ঢুকে নারী-পুরুষ সবাইকে ক্ষুর ও রামদা দিয়ে কোপানো শুরু করে। এতে আমাদের পক্ষের চারজন গুরুতর আহত হয়। ক্ষুরের আঘাতে রাজিমুলের পেট বের হয়ে গেছে। হাত কেটেছে একজনের।

‘নিজেদের লোকজনের এমন রক্তাক্ত অবস্থা দেখে আমাদের ঘরের ছেলেরা উত্তেজিত হয়ে মারধর করতে গেলে তারা ঘরের দরজা লাগিয়ে ফেলে। সেলিম ছাড়া অন্যদের মারধরের ঘটনা সাজানো। এ ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকেও মামলার আবেদন করা হচ্ছে।’

এদিকে রাতের ঘটনায় সেলিম মিয়া বাদী হয়ে মজনু মিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে সকালে মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলায় মজনু মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় শপিং মলে ছুরি হামলা, হামলাকারীসহ নিহত ৭
জিম্মি মুক্তিতে হামাসকে চাপ দিতে মিসর ও কাতারকে বাইডেনের চিঠি
দুর্বৃত্তের হামলায় পা বিচ্ছিন্ন হওয়া যুবকের মৃত্যু
বান্দরবানে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ফেসবুকে ‘হা হা’ দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৫

মন্তব্য

সারা দেশ
CID officer caught while taking bribe

সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা

সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা ছবি: নিউজবাংলা
ভুক্তভোগী ম্যানুয়েল তপন বলেন, ‘বেশকিছু দিন ধরে আমার মতো এলাকার অন্য লোকজনের কাছেও বিভিন্ন ফন্দি এঁটে প্রতারণা করে আসছে এই প্রতারক।’

নওগাঁর ধামইরহাটে রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল নামে সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা পরিচয় দিলেও তিনি আসলে তা নন, প্রতারণার স্বার্থে ভুয়া পরিচয় ধারণ করেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার রুপনারায়নপুর গ্রাম থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন।

২৫ বছর বয়সী রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী ম্যানুয়েল তপন জানান, ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে তিনি (পিয়াল) তার কাছ থেকে ২৯ হাজার ৫৩৮ টাকা গ্রহণ করেন এবং আরও টাকা দাবি করলে স্থানীয় জনতা তাকে চ্যালেঞ্জ করে। এরপর সংশ্লিষ্ট থানায় খবর দেয়া হয়। পরে থানা পুলিশ গিয়ে প্রতারক পিয়ালকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

তপন বলেন, ‘বেশকিছু দিন ধরে আমার মতো এলাকার অন্য লোকজনের কাছেও বিভিন্ন ফন্দি এঁটে প্রতারণা করে আসছে এই প্রতারক।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামইরহাট থানার ওসি মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, ‘প্রতারক রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন। ইতোমধ্যে একজনের কাছে থেকে ২৯ হাজার টাকা নিয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাও নিতেন তিনি।

‘এদিনও প্রতারণা করতে গেলে জনগণ তাকে আটক করে রাখে। এরপর পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ মামলা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’

আরও পড়ুন:
হাইকোর্টের রায় জালিয়াতি, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে হত্যা মামলার ৬ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
নাটোরে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আহত সেই বাবা মারা গেছেন
মাদারীপুরে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার

মন্তব্য

সারা দেশ
Rohingyas throat slit in Bhasanchar

ভাসানচরে রোহিঙ্গার গলাকাটা মরদেহ

ভাসানচরে রোহিঙ্গার গলাকাটা মরদেহ নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ফাইল ছবি
ওসি কাওসার আহমেদ জানান, পেছনের দিক থেকে গলা কেটে রোহিঙ্গা নাগরিক সুলতানকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মো. সুলতান নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিক এই হত্যাকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১১৬ নম্বর ক্লাস্টার থেকে পুলিশ সুলতানের মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নম্বর ক্লাস্টারের বাসিন্দা ছিলেন।

ভাসানচর থানার ওসি কাওসার আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, সুলতান ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নম্বর ক্লাস্টারে বসবাস করতেন। ১১৬ নম্বর ক্লাস্টারের খালি জায়গায় তিনি সবজি চাষ করতেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলে তার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে বাবাকে দেখতে না পেয়ে তার ছেলে ওই ক্লাস্টারে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি শুরু করেন। একপর্যায়ে তার বাবার গলা কাটা মরতেজ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। এ সময় অন্য ক্লাস্টারের লোকজন এগিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি কাওসার আহমেদ জানান, পেছনের দিক থেকে গলা কেটে এই রোহিঙ্গা নাগরিককে হত্যা করা হয়। শুক্রবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
বিস্ফোরণ নয়, সিলিন্ডারের ছেড়ে দেয়া গ্যাসে ভাসানচরে অগ্নিকাণ্ড
ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: দগ্ধ পাঁচ শিশুরই মৃত্যু
ভাসানচরে আগুন: আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
ভাসানচরে আগুন: দগ্ধ আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, ছয় শিশুসহ দগ্ধ ৯

মন্তব্য

সারা দেশ
Summon that candidate in Singra upazila election to EC

সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে সেই প্রার্থীকে ইসিতে তলব

সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে সেই প্রার্থীকে ইসিতে তলব সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফুল হাবিব। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, ৮ মে অনুষ্ঠেয় নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এ ঘটনায় আপনি লুৎফুল হাবীবকে দায়ী করা হয়েছে। এ বিষয়ে সোমবার ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন।

নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগে অপর প্রার্থী মো. লুৎফুল হাবিবকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বৃহস্পাতবার অভিযুক্তকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ৮ মে অনুষ্ঠেয় নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এ ঘটনায় আপনি লুৎফুল হাবীবকে দায়ী করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে বর্ণিত বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এছাড়া সব জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচিত্র বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

উল্লেখিত প্রতিবেদন ও পত্রিকান্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণ হয়েছে। এরূপ ঘটনার জন্য কেন আপনার প্রার্থিতা বাতিল অথবা আপনার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে লিখিত জবাবসহ নির্বাচন কমিশনে ২২ এপ্রিল সোমবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর নাটোর জেলা নির্বাচন অফিসে গেলে দেলোয়ার হোসেনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে আহত অবস্থায় তাকে তার বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

ভুক্তভোগী প্রার্থীর পরিবার এ ঘটনার জন্য আরেক প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে লুৎফুল হাবীব ছিলেন একক প্রার্থী।

আরও পড়ুন:
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ

মন্তব্য

সারা দেশ
Curious about the liquid that comes out instead of water

পানির পরিবর্তে উঠে আসা তরল নিয়ে কৌতূহল

পানির পরিবর্তে উঠে আসা তরল নিয়ে কৌতূহল পাইপে উঠে আসা তরল দেখতে কৌতূহলী মানুষের ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
সংবাদকর্মী মনিরুল ইসলাম জানান, ফেসবুকে ঘটনাটি দেখার পর তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। এ সময় পাইপ দিয়ে উঠে আসা তরলে তিনি কাগজ চুবিয়ে আগুন ধরানোর চেষ্টা করলে তাতে আগুন ধরে যায়। তার প্রশ্ন- পানি হলে তো ভেজা কাগজে আগুন ধরতো না। তাহলে এই তরল কি খনিজ তেল?

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে টিউবওয়েল বসানোর জন্য স্থাপন করা পাইপে পানির পরিবর্তে উঠে আসছে এক ধরনের তরল। অনেকটা ডিজেলের মতো গন্ধযুক্ত এই তরল নিয়ে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে কৌতূহল।

উপজেলার ভোলামোড় এলাকায় এক বাড়িতে ঘটেছে এই ঘটনা। বাড়ির মালিক আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘পানীয় জলের জন্য তিন বছর আগে এখানে মোটর বসানো হয়। এটি উপজেলা পরিষদ থেকেই বসানো হয়েছিল। কয়েক মাস থেকে মোটরটি দিয়ে পানি উঠছে না। কারণ জানার জন্য বুধবার সকালে মিস্ত্রি ডেকে আনা হয়।

‘মিস্ত্রি কাজ করার সময় মোটরের সঙ্গে যুক্ত পাইপ দিয়ে মাটির নিচ থেকে পানির পরিবর্তে তেলের মতো এক ধরনের তরল উঠে আসে। তা দেখে মনে হয়েছে ডিজেলের মতো। বিষয়টি আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি, যাতে তারা এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করেন।’

স্থানীয় সংবাদকর্মী মনিরুল ইসলাম জানান, ফেসবুকে ঘটনাটি দেখার পর তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। এ সময় পাইপ দিয়ে উঠে আসা তরলে তিনি কাগজ চুবিয়ে আগুন ধরানোর চেষ্টা করলে তাতে আগুন ধরে যায়। তার প্রশ্ন- পানি হলে তো ভেজা কাগজে আগুন ধরতো না। তাহলে এই তরল কি খনিজ তেল?

এ বিষয়ে নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা সরকার জানান, তিনিও বিষয়টি ফেসবুকে দেখেছেন। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর করবেন বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

সারা দেশ
They used to open and sell railway tracks

রেললাইনের পাত খুলে বিক্রি করতেন তারা

রেললাইনের পাত খুলে বিক্রি করতেন তারা ছবি: নিউজবাংলা
রেলপাতগুলো বালাসিঘাটের পরিত্যক্ত রেলপথ থেকে খুলে আনা হয়েছে বলে জানান বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ওসি খাইরুল ইসলাম তালুকদার।

গাইবান্ধায় ভাঙারির দোকানে চুরি করা রেলপাত (রেললাইন) বিক্রির সময় এক অটোচালকসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এসময় দোকান মালিক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ব্রিজ রোড এলাকার আশা ভাঙারি দোকানে সরকারি এসব রেলপাত বিক্রির সময় তাদের হাতেনাতে আটক করে গাইবান্ধার রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)।

এ সময় চুরি করে বিক্রি করতে নিয়ে আসা রেলপাত এবং সেসব পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি অটোরিকশাও জব্দ করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলার পশ্চিম দুর্গাপুর এলাকার ৩০ বছর বয়সী সাগর মিয়া, ফুলছড়ি উপজেলার উত্তর কঞ্চিপাড়া এলাকার ৪০ বছর বয়সী ওয়াহেদ মিয়া ও আশা ভাঙারি দোকানের শ্রমিক সদর উপজেলার বালুয়া বাজারের পাকারখুটি এলাকার ৩৩ বছর বয়সী মোকলেছুর রহমান। এদের মধ্যে ওয়াহেদ মিয়ার অটোরিকশায় এসব মালামাল পরিবহন করা হয়েছিল।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ওসি খাইরুল ইসলাম তালুকদার।

তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের ব্রিজ রোডের একটি ভাঙারির দোকানে সরকারি রেলপাত অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয়কালে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় দোকান মালিক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘এ সময় তাদের কাছ থেকে খণ্ড খণ্ড তিন ফুট দৈর্ঘ্যের ৯ টুকরা রেললাইনের পাত উদ্ধার করা হয়, যা সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেয়া হবে।’

রেলপাতগুলো বালাসিঘাটের পরিত্যক্ত রেলপথ থেকে খুলে আনা হয়েছে বলে জানান রেলওয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এ সময় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া এদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’

মন্তব্য

সারা দেশ
Kidnapped child from Chuadanga rescued in Sirajganj

চুয়াডাঙ্গা থেকে অপহৃত শিশু সিরাজগঞ্জে উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা থেকে অপহৃত শিশু সিরাজগঞ্জে উদ্ধার ছবি: নিউজবাংলা
র‍্যাব ১২-এর অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মারুফ হোসেন জানান, তামিমের বাবার সঙ্গে আল আমিনের দুই মাস আগে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়েই সুকৌশলে তামিমকে অপহরণ করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিপণের জন্যই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল।

অপহরণের ৬ ঘণ্টার মধ্যে সিরাজগঞ্জ থেকে তামিম হোসেন নামের ৭ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ সময় এ মামলার আসামি আল-আমিন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাতী গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে র‌্যাব ১২-এর একটি দল। বুধবার দুপুর তিনটার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার হানুরবাড়াদি গ্রাম থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।

অপহৃত তামিম হোসেন চুয়াডাঙ্গার হানুরবাড়াদি গ্রামের মো. সুন্নত আলীর ছেলে। অপরদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ২৯ বছর বয়সী আল-আমিন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় মেষতলী বাজারের বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে র‍্যাব ১২-এর অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মারুফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, অপহরণের পর শিশুটির বাবা সুন্নত আলী চুয়াডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি র‌্যাবকে জানালে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামির অবস্থান নির্ণয় করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, তামিমের বাবার সঙ্গে আল আমিনের দুই মাস আগে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়েই সুকৌশলে তামিমকে অপহরণ করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিপণের জন্যই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করার আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ
লিবিয়ায় অপহরণের খবরে দিশাহারা ৪ শ্রমিকের পরিবার
মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত কলেজ ছাত্রী উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
৪৮ ঘণ্টা পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অটোরিকশার চালক উদ্ধার
অবশেষে ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের নামে মামলা

মন্তব্য

p
উপরে