× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
ইটভাটায় দেয়াল ধসে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
google_news print-icon

ভাটায় ইটের চাপায় ৩ জনের মৃত্যু

দেয়াল ধস
দেয়াল ধসে আহত শ্রমিকরা রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ছবি: নিউজবাংলা
ওসি জানান, ইটভাটার মাটি কাটার সময় চিমনির পাশের দেয়াল ধসে ঘটনাস্থলেই দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। আহতদের উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে রাকিবের অবস্থার অবনতি হলে তাকে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ইটভাটার মাটি কাটার সময় দেয়াল ধসে দুই ভাইসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত আটজন।

উপজেলার ভোলাপুর ইউনিয়নের মদিনা ব্রিকফিল্ডে রোববার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন মো. বেলাল, মো. ফারুক ও রাকিব হোসেন।

তাদের মধ্যে দুই ভাই বেলাল ও ফারুকের বাড়ি কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গানিয়া গ্রামে। রাকিবের বাড়িও একই উপজেলায়।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ইটভাটার মাটি কাটার সময় চিমনির পাশের দেয়াল ধসে ঘটনাস্থলেই দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। আহতদের উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে রাকিবের অবস্থার অবনতি হলে তাকে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ভাটায় ইটের চাপায় ৩ জনের মৃত্যু

ওসি আরও জানান, স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে গেলে তারা স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ইটভাটার ওই দেয়ালটি অনেকদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ দেয়াল সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, দেয়াল ধসে শ্রমিক নিহতের ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
দেয়ালচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু
সোনারগাঁয়ে দেয়ালচাপায় শ্রমিক নিহত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Memorandum of Understanding between Dhaka South City Corporation and Nursing and Midwifery Department

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এর নির্দিষ্ট নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে মিডওয়াইফারি-নেতৃত্বাধীন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)-এর মধ্যে আজ একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসি এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA)-এর উদ্যোগে, সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (SIDA)-এর অর্থায়ন এবং জ্যাপাইগো বাংলাদেশ (Jhpiego)-এর অংশগ্রহণে সম্পন্ন এই চুক্তি ঢাকার নগর স্বাস্থ্যসেবায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মিডওয়াইফদের জন্য কারিগরি নির্দেশনা, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি, জাতীয় নীতিমালা অনুযায়ী স্থায়ী মিডওয়াইফারি পদ সৃষ্টিতেও তারা সহায়তা করবে।

অন্যদিকে, ডিএসসিসি নগর স্বাস্থ্যসেবায় মিডওয়াইফদের সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান করবে। এছাড়া, মিডওয়াইফদের সেবার মান ও সহায়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধিসহ নগরবাসীর জন্য মানসম্মত ও সুলভ স্বাস্থ্যসেবা গড়ে তুলতে কাজ করবে।

ডিএসসিসির পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পক্ষে সংস্থাটির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জনাব মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সভাপতির বক্তব্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং মা ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে এই সমঝোতা স্মারক নব দিগন্তের উন্মোচন করেছে।” সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নরমাল ডেলিভারি ও প্রসূতি সেবার প্রসারে এবং প্রান্তিক পর্যায়ে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে ডিএসসিসি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে সকল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মিডওয়াইফারি সেবা চালু করা হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ডিএসসিসির ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল ও নাজিরাবাজার মাতৃসদনে সার্বক্ষণিক মিডওয়াইফারি সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে UNFPA বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. আবু সাইদ হাসান বলেন, এই অংশীদারিত্ব ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে টেকসই ও উচ্চমানের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য এবং এসডিজি অর্জনে সহায়ক হবে।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব জনাব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (অতি. দা.) ডাঃ নিশাত পারভীন এবং DGNM, UNFPA, Jhpiego, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Courtesy of the Director General of the Pakistan Civil Aviation Authority with the Baby Chairman

বেবিচক চেয়ারম্যানের সাথে পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ

বেবিচক চেয়ারম্যানের সাথে পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আজ ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুর ১২টায় বেবিচক সদরদপ্তরে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, বিএসপি, জিইউপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, এসিএসসি, পিএসসি (Air Vice Marshal Md Mostafa Mahmood Siddiq, BSP, GUP, ndc, afwc, acsc, psc) এর সাথে পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালক জনাব নাদির শাফি দার (Mr. Nadir Shafi Dar) এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল পুনঃস্থাপন বিষয়ে ফলপ্রসূ মতবিনিময় হয় এবং উভয় পক্ষই এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৈঠকে ভবিষ্যতে বিমান চলাচল খাতে প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো আরও সুদৃঢ় করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

উভয় পক্ষ আশা প্রকাশ করেন যে, বিমান চলাচল পুনঃস্থাপন হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন ও জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেবিচক এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং PIA এর CEO ।

মন্তব্য

সারা দেশ
Former IGP Mamuns statement of Hasinas misery Chief Prosecutor

সাবেক আইজিপি মামুনের জবানবন্দি হাসিনার দুঃশাসনের অকাট্য দলিল: চিফ প্রসিকিউটর

সাবেক আইজিপি মামুনের জবানবন্দি হাসিনার দুঃশাসনের অকাট্য দলিল: চিফ প্রসিকিউটর

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের জবানবন্দি শেখ হাসিনার দুঃশাসনের এক অকাট্য দলিল।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বুধাবার বাসস’কে বলেন, ‘চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তা অবশ্যই শেখ হাসিনার দুঃশাসনের অকাট্য দলিল।’

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ মঙ্গলবার জবানবন্দি দেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

সেসময় তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তাকে ফোন করে জানান যে আন্দোলন দমনে সরাসরি প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তখন তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে ছিলেন এবং তার সামনে ছিলেন তৎকালীন অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার। পরে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের এই নির্দেশনা তৎকালীন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ সারাদেশে পৌঁছে দেন প্রলয় কুমার। সেদিন থেকেই মারণাস্ত্র ব্যবহার শুরু হয়।

চৌধুরী মামুন আরও জানান, এই মারণাস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে অতি উৎসাহী ছিলেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর ও ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এ ক্ষেত্রে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নির্দেশ ছিল, যেকোনো মূল্যে আন্দোলন দমন করতে হবে।

সাবেক আইজিপি তার জবানবন্দিতে বলেন, শেখ হাসিনাকে মারণাস্ত্র ব্যবহারে প্ররোচিত করতেন ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, ফজলে নূর তাপস ও মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমাতে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার বিষয়ে জবানবন্দিতে তিনি বলেন, হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে। যার পরামর্শ দিয়েছিলেন র‌্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক হারুন অর রশীদ। আন্দোলনপ্রবণ এলাকাগুলো ভাগ করে ব্লক রেইড দিয়ে হেলিকপ্টার, ড্রোন ও মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনরত অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও আহত করা হয়। আন্দোলন দমনে সরকারকে উৎসাহিত করেন আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী ও ব্যবসায়ীরা।

জবানবন্দিতে ‘কোর কমিটি’র মিটিং বিষয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই থেকে প্রায় প্রতি রাতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ধানমন্ডির বাসায় ‘কোর কমিটি’র বৈঠক হত। সব বৈঠকেই আন্দোলন দমনসহ সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হত। একটি বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক করার সিদ্ধান্ত হয়।

ডিজিএফআই এই প্রস্তাব দেয় উল্লেখ করে মামুন বলেন, তিনি এর বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে পরে রাজি হন। আর সমন্বয়কদের আটকের দায়িত্ব তৎকালীন ডিবি প্রধান হারুনকে দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ডিজিএফআই ও ডিবি তাদের আটক করে ডিবি হেফাজতে নিয়ে আসে। সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে এনে আন্দোলনের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আপস করার জন্য চাপ দেওয়া হয় এবং তাদের আত্মীয়স্বজনদের ডিবিতে এনে চাপ দেওয়া হয়। একপর্যায়ে সমন্বয়কদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে টেলিভিশনে বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হয়। এ ব্যাপারে তৎকালীন ডিবি প্রধান হারুন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন সাবেক এই আইজিপি। তিনি জানান, ডিবির তৎকালীন প্রধান হারুনকে ‘জিন’ বলে ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বেলা ১১টায় গণভবনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরাপত্তা সমন্বয় কমিটির বৈঠক সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছেন আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি জানান, ওই বৈঠকে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, এসবির প্রধান, ডিজিএফআইয়ের প্রধান, এনএসআইয়ের প্রধানের সঙ্গে তিনিসহ মোট ২৭ জন উপস্থিত ছিলেন। জুলাই আন্দোলন দমন এবং নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। সেখানে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরছিল। কিন্তু চারদিকে পরিবেশ-পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় বৈঠকটি মুলতবি করা হয়।

তবে ওইদিন রাতে গণভবনে আবারও বৈঠক ডাকা হয় বলেও জবানবন্দিতে জানান সাবেক আইজিপি মামুন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে শেখ রেহানা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, র‌্যাবের মহাপরিচালক ও সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মজিবুর রহমানসহ তিনিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে তৎকালীন ডিজিএফআই প্রধান ও এসবির প্রধান বাইরে অপেক্ষমাণ ছিলেন।

ওই বৈঠকে ৫ আগস্ট আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঠেকানোর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়, পুলিশ ও সেনাবাহিনী সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবে। ওই বৈঠক থেকে সেনাবাহিনীর অপারেশন কন্ট্রোল রুমে যান বলে জবানবন্দিতে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, সেখানে (কন্ট্রোল রুম) তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, র‌্যাবের মহাপরিচালক, ডিজিএফআইয়ের প্রধান, এসবির প্রধান ও মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ঢাকা শহরের প্রবেশমুখে কঠোর অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় এবং ৪ আগস্ট রাত সাড়ে ১২টায় সেনাবাহিনীর অপারেশন কন্ট্রোল রুম থেকে তারা সবাই চলে যান।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের বিষয়ে জবানবন্দিতে তিনি জানান, সেদিন সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে আমার দপ্তরে যাই। এর মধ্যে উত্তরা-যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন পথ দিয়ে ছাত্র-জনতা স্রোতের মত প্রবেশ করতে থাকে। দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে জানতে পারি ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে তিনি কোথায় যাবেন তা জানতাম না। এরপর বিকেলে আর্মির হেলিকপ্টার এসে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে আমাকে প্রথমে তেজগাঁও বিমানবন্দরের হেলিপ্যাডে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ক্যান্টনমেন্টের অফিসার্স মেসে নিয়ে যাওয়া হয়। হেলিকপ্টারে আমার সঙ্গে এসবি প্রধান মনিরুল, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিব ও ডিআইজি আমেনা ছিলেন।

পরে হেলিকপ্টারে এডিশনাল ডিআইজি প্রলয়, এডিশনাল আইজি লুৎফুল কবিরসহ অন্যদেরও সেখানে নেওয়া হয়। পরদিন ৬ অগাস্ট আইজিপি হিসেবে তার নিয়োগ চুক্তি বাতিল করা হয় এবং ক্যান্টনমেন্টে থাকাকালে ৩ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলেও জানান মামুন।

আন্দোলনের দিনগুলোর বর্ণনা দিতে গিয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২৭ জুলাই আন্দোলন চলাকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আমরা নারায়ণগঞ্জে আন্দোলনের পরিস্থিতি দেখতে যাই। পথে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে আমরা কিছুক্ষণ অবস্থান করি।

ওই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মোবাইলে একটি ভিডিও দেখান ওয়ারি জোনের ডিসি ইকবাল। ভিডিও দেখিয়ে ইকবাল বলেন যে, ‘গুলি করি, একজন মরে। সেই যায়। বাকিরা যায় না।’ পরবর্তীতে এই ভিডিও সারাদেশে ভাইরাল হয়।

২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির দায়িত্বে ছিলেন উল্লেখ করে জবানবন্দিতে আল-মামুন বলেন, তখন পুলিশের আইজিপি ছিলেন জাবেদ পাটোয়ারী। নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে ৫০ শতাংশ ব্যালট ভর্তি করে রাখার পরামশর্ও শেখ হাসিনাকে এই জাবেদ পাটোয়ারী দিয়েছিলেন বলেও দাবী করেন।

পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে ডিসি, এসপি, ইউএনও, এসি ল্যান্ড, ওসি ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সেই নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং তারা সেটা বাস্তবায়ন করেন। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা এই নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করেছেন, তাদের পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করা হয়।

২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র‌্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, র‌্যাব সদর দপ্তর পরিচালিত উত্তরাসহ র‌্যাব-১ এর কার্যালয়ের ভেতরে টিএফআই সেল (টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন সেল) নামে একটি বন্দিশালা ছিল। র‌্যাবের অন্যান্য ইউনিটের অধীনেও অনেক বন্দিশালা ছিল। এসব বন্দিশালায় রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী এবং সরকারের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের আটকে রাখা হত, যা একটা কালচারে (সংস্কৃতি) পরিণত হয়েছিল।

তার ভাষ্যমতে, অপহরণ, গোপন বন্দিশালায় আটক, নির্যাতন এবং ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হত্যার মত কাজগুলো র‌্যাবের এডিজি (অপারেশন) এবং র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালকেরা সমন্বয় করতেন। আর র‌্যাবের মাধ্যমে কোন ব্যক্তিকে উঠিয়ে আনা, আটক রাখা কিংবা হত্যা করার নির্দেশনাগুলো সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আসত এবং এই নির্দেশনাগুলো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে আসত বলে জানতে পারেন বলেও জবানবন্দি দেন সাবেক আইজিপি।

সেসব নির্দেশনা চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ করে সরাসরি এডিজি (অপারেশন) ও র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালকদের কাছে পাঠানো হতো বলে উল্লেখ করেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

ব্যারিস্টার আরমান আটক থাকার বিষয়টি তিনি আইজিপি’র দায়িত্ব গ্রহণের সময় জানানো হয় বলেও উল্লেখ করেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, র‌্যাবের সাবেক ডিজি বেনজীর আহমেদ বিষয়টি আমাকে অবহিত করেন। তাকে তুলে আনা এবং গোপনে আটক রাখার সিদ্ধান্ত সরকারের ছিল।

বিষয়টি জানার পর আমি প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকের সঙ্গে কথা বলি। তিনি আমাকে বলেন, ‘ঠিক আছে, রাখেন। পরে বলব।’ কিন্তু পরে আর কিছু তিনি জানাননি। এরপর আমি কয়েকবার বিষয়টি তুলেছিলাম, কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে গিয়ে সরকারের আদেশে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়েছে উল্লেখ করে জবানবন্দিতে সাবেক আইজিপি বলেন, আমি পুলিশ প্রধান হিসেবে লজ্জিত, অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী। জুলাই আন্দোলনে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার জন্য আমি অপরাধবোধ ও বিবেকের তাড়নায় রাজসাক্ষী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরবর্তী সময়ে আমি ট্রাইব্যুনালে স্বজন হারানোদের কান্না, আকুতি ও আহাজারি দেখেছি। ভিডিওতে নৃশংসতা দেখে অ্যাপ্রুভার হওয়ার সিদ্ধান্ত আমি যৌক্তিক মনে করছি।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে হত্যাকাণ্ডের পর আগুন দিয়ে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মত বিভৎসতা আমাকে ভীষণভাবে মর্মাহত করেছে। আমি সাড়ে ৩৬ বছর পুলিশে চাকরি করেছি। পুলিশের চাকরি খুবই ট্রিকি। সব সময় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। চাকরি জীবনের শেষ পর্যায়ে আমার দায়িত্বশীল সময়ে এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এর দায় আমি স্বীকার করছি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে এই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। আমি প্রত্যেক নিহতদের পরিবার, আহত ব্যক্তি, দেশবাসী ও ট্রাইব্যুনালের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমাকে দয়া করে ক্ষমা করে দিবেন। আমার এই সত্য ও পূর্ণ বর্ণনার মাধ্যমে সত্য উদঘাটন হলে আল্লাহ যদি আমাকে আরও হায়াত (বাঁচিয়ে রাখেন) দান করেন, বাকি জীবনে কিছুটা হলেও অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পাব।

এদিকে, সাবেক আইজিপি’র জবানবন্দি দেওয়ার পর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রাজসাক্ষী হওয়া চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ক্ষমা পাবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনাল নেবেন। তিনি নিজের বিবেকের তাড়নায় অপরাধ স্বীকার করেছেন। নিজের পক্ষ থেকে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেছিলেন।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, সাবেক আইজিপি ট্রাইব্যুনালে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, বিশ্বের কোন আদালতেই এ সাক্ষ্যকে দুর্বল প্রমাণ করার সুযোগ নেই। এটি একটি অকাট্য অপ্রতিরোধ্য সাক্ষ্য। এটি শুধু জুলাই-আগস্টের ঘটনা নয়, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে যত গুম-খুন হয়েছে তার বিরুদ্ধে অকাট্য দলিল হিসেবেও কাজ করবে।

ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন বিএম সুলতান মাহমুদ, প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, মঈনুল করিম, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্য প্রসিকিউটররা।

এই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। আর সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

মন্তব্য

সারা দেশ
The dry pulses of the tree are no longer feloning they are exporting from Magura abroad

গাছের শুকনো ডাল পাতা এখন আর ফেলনা নয় মাগুরা থেকে এগুলো রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

গাছের শুকনো ডাল পাতা এখন আর ফেলনা নয় মাগুরা থেকে এগুলো রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

একটা সময় গাছের শুকনো ডাল পাতা গাছের নিচেই পচে নষ্ট হতো , আবার গ্রামে মাটির চুলায় এগুলো জ্বালানি হিসেবে ও ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমানে এগুলো দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।

মানুষ নয় বিভিন্ন ধরনের পশু-পাখি যেমন কুকুর, বিড়াল, খরগোশ, ইঁদুর, গিরগিটি, সাপ ও পাখির জন্য গাছের শুকনো ডাল - পাতা এবং ঘাস রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পশু পাখির বাসা সহ খেলনা, পোশাক, খাবার ইত্যাদি। আর এসব তৈরি করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মাগুরার সফল উদ্যোক্তা রহমতুল ইসলাম বিদ্যুৎ ।

ছোটবেলা থেকেই পশু পাখির প্রতি ভালবাসা এবং নিজের মধ্যে শিল্পবোধ পুষে রেখেছিলেন এই উদ্যোক্তা। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে দীর্ঘ ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানে লেখাপড়া ও ব্যবসা শেষ করে ২০১৮ সালে ফিরে আসেন নিজ জেলা মাগুরার কেশব মোড়ের বাসিন্দা রহমতুল ইসলাম বিদ্যুৎ। জাপানিজ স্ত্রী ও কন্যার অনুপ্রেরণায় তৈরি করেন সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব কারখানা । জাপান -বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব কারখানাটির নামকরণ করা হয় "বোল্ড পার্টনারস লিমিটেড"।

মাগুরা- যশোর মহাসড়কের পাশে জাগলা এলাকায় ৪০ বিঘা জমির উপর গড়ে তোলেন ১০০% পরিবেশ বান্ধব এই কারখানা। নিজেদের উৎপাদিত ও সম্পূর্ণ দেশীয় পণ্য দিয়ে তৈরি পরিবেশবান্ধব এ কারখানায় কাজ করেন আড়াইশত নারী কর্মী । প্রায় ৩৫০ প্রকার প্রোডাক্ট তৈরি করা হয় এখানে। এছাড়াও আশেপাশের গ্রামের আরও তিন শতাধিক নারী ও পুরুষ কর্মী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করছেন এখানে। প্রায় পাঁচ শতধিক নারী পুরুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এখানে । অনেক প্রতিবন্ধীও কাজ করেন এখানে। তারা ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট তৈরি করেন কারখানার কর্মীরা সেগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। রহমতুল ইসলাম বিদ্যুৎ প্রথমে সবাইকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজ শেখান। বর্তমানে এখান থেকে প্রতিবছর ৫ থেকে ৬ লক্ষ ডলারের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে । এসব পণ্য ইউরোপ আমেরিকা কানাডা জাপান সহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়।

কয়েক বছর আগেও ফেলে দেয়া হতো পেঁপে গাছের নল ও পাতা। এখন সেগুলো দিয়ে তৈরি করা হয় প্রায় ৩০ প্রকার পশু ও পাখির বাসা। এইসব পণ্য তৈরি করতে লাগে বাঁশ ,পাটের দড়ি ,আম ও নিম গাছের শুকনো ডাল , পাতা,ঘাস ইত্যাদি।

এছাড়াও পেঁপে পাতা, আনারস ও আখ দিয়ে রোল বানিয়ে পশুর খাবার তৈরি করা হয়। এমনকি নীলকন্ঠ ফুল দিয়ে তৈরি করা হয় পশু পাখির পোশাক ও খাবার ।কারখানার পাশাপাশি প্রায় ২০ একর জমিতে এসব পণ্য তৈরি করার জন্য যে কাঁচামাল প্রয়োজন সেই গাছ গুলো রোপন করা হয় । পুরোপুরি চাহিদা পূরণ না হওয়ায় পাশের গ্রামগুলো থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করা হয় ।এসব পণ্য তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছে মাগুরা সদর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ,কেচুয়া ডুবি, জাগলা ,টিলা ,ভাবনহাটি ও বড়ষোলই গ্রামের মানুষজন।

সকাল ৭ঃ৩০ মিনিটে কারখানায় প্রবেশ করে কিছু নিয়ম মেনে কাজ শুরু করতে হয়। প্রথমে ব্যায়াম করে মিটিংএ যোগ দিতে হবে। তারপর মাস্ক পোশাক এবং ক্যাপ পরিধান করে হাতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে কারখানায় প্রবেশ করতে হয় । যার যার ধর্ম সুন্দরভাবে পালন করার ব্যবস্থা আছে। এখানে পর্যাপ্ত সিকিউরিটির ব্যবস্থা আছে। বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি কুকুর , বিড়াল, পুকুর ভরা মাছ বিভিন্ন জাতের হাঁস ,মুরগি ,ছাগল ও গরু পালন করা হয় । এই কারখানার মালিক এবং শ্রমিকদের মধ্যে যথেষ্ট সুসম্পর্ক রয়েছে। সুবিধা বঞ্চিত নারীরা কারখানায় কাজ করে স্বাবলম্বী হয়েছে । বাইরে থেকে আসা শ্রমিকদের যাতায়াতের খরচ প্রতিদিন দিয়ে দেয়া হয় ।এছাড়া কেউ ওভারটাইম করলে তার অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করে দেয়া হয়।

কারখানার নারী কর্মী মেরিনা জানান , এখানে কাজ করে আমাদের সংসার খুব ভালোভাবেই চলে যায় এতে আমরা অনেক খুশি।

টিলা গ্রামের সাপ্লাইয়ার সৈয়দ আলী ও বিল্লাল হোসেন মোল্লা বলেন, ৮ থেকে ১০ প্রকার প্রোডাক্ট এ কারখানায় সাপ্লাই দেই তা দিয়ে আমাদের আয় ভালোই হচ্ছে।

ষাট ঊর্ধ্ব নারী ঝরনা বেগম বলেন, যা আয় করি তা দিয়ে ভালোভাবেই সংসার চলে যাই ইনশাল্লাহ। এছাড়া ছেলেমেয়েদের লেখাপড়াও করাতে পারি। আমি ঘাস দিয়ে পাখির বাসা তৈরি করি এগুলো বিদেশে বিক্রি হয়।

গীতা রানী মল্লিক জানান, আমাদের কারখানায় সকালে এসে পোশাক পড়তে হয় ব্যায়াম করতে হয় এখানে ৮ ঘন্টা ডিউটি করি ওভারটাইম থাকলে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে দেয়া হয় ।আমাদের মালিক আমাদেরকে ভালো চোখেই দেখেন এছাড়া যাতায়াতের জন্য ভাড়া দিয়ে দেন।

পুরুষকর্মী তাওহিদ ইসলাম জানান , কম্পানির নিয়ম কানুন অনেক সুন্দর আমরা সকালে আসি ৮ ঘন্টা কাজ করি, আলাদা পোশাক পড়ে কারখানায় প্রবেশ করি।

সফল উদ্যোক্তা রহমতুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন , কুকুর, বিড়াল ,খরগোশ ,ইঁদুর ,সাপ ,গিরগিটি ,সহ বিভিন্ন প্রাণীর খাবার পোশাক বাসা ও খেলনা প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক প্রোডাক্ট তৈরি করা হয় যা ১০০% প্রকৃতি থেকে নেয়া। পণ্যের গুণগত মান ঠিক থাকায় বছরে প্রায় একশত কনটেইনার পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। বিশ্বে পোষা প্রাণীর খাবার পোশাক ও খেলনার বাজার প্রায় ১৪০ বিলিয়ন ডলারের। তৈরি পোশাকের বাইরে এই খাতে নজর দেওয়া গেলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসবে দেশে দারিদ্রতা কমবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের দারিদ্রকে বিক্রি করি না আমরা স্কিল বিক্রি করি ।

কারখানার শ্রমিকরা মালিকের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন ,এমন উদ্যোক্তা বাংলাদেশে বৃদ্ধি পেলে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে তেমনি বৈদেশিক আই ও বৃদ্ধি পাবে ।

মন্তব্য

সারা দেশ
Environment adviser

সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-১৪ (এসডিজি) অর্জনের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণের একমাত্র উপায়।

আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ আহ্বান জানান।

তিনি আজ জাপানের টোকিওতে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন ভবনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় ঢাকায় তার বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদানকালে একথা বলেন।

‘ওশেন ডিকেড ফিফথ ফাউন্ডেশনস ডায়ালগ হাই-লেভেল রাউন্ডটেবল উইথ অ্যাম্বাসেডরস, এক্সপার্টস অ্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স’ সভার “ড্রাইভিং ওশেন লিডারশিপ অ্যান্ড ইনোভেশন: অ্যাডভান্সিং গভার্নেন্স, ব্লু ইকোনমি, অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স টু অ্যাচিভ থার্টি বাই থার্টি” শীর্ষক এক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিকভাবে প্লাস্টিক দূষণে নবম অবস্থানে রয়েছে, যার বড় অংশই আসে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে। প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় চলমান বৈশ্বিক চুক্তিতে ভৌগোলিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য বিশেষ বিধান থাকা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, জাহাজভাঙা শিল্প বাংলাদেশের উপকূলের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে হংকং কনভেনশনকে তিনি “অপর্যাপ্ত” বলে অভিহিত করেন।

উপদেষ্টা বলেন, সাগর ও মহাসাগর রক্ষায় বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব ও বহুমুখী সহযোগিতা জোরদার করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-১৪ (এসডিজি) অর্জনের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণের একমাত্র উপায়।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের অর্থনীতি, আঞ্চলিক যোগাযোগ ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এ ছাড়া সরকার ইতোমধ্যে ‘অ্যাসেসমেন্ট অব কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন বায়োডাইভার্সিটি রিসোর্সেস অ্যান্ড ইকোসিস্টেম’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, যার মাধ্যমে জাতীয় ডাটাবেজ, সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ প্রটোকল তৈরি হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও এর প্রভাব বিষয়ে গবেষণাও সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি বাংলাদেশের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের অনন্য সম্পদ তুলে ধরে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা একই সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রজাত মাছের বিপুল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের সামুদ্রিক মাছের সম্পদ যথাযথভাবে মূল্যায়িত হয়নি।

আন্তর্জাতিক অংশীদাররা চাইলে বাংলাদেশে টেকসই সীফুড প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সতর্ক করে বলেন, যদি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাবে। এতে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। একই বিপদে রয়েছে বিশ্বের ৫২টি ছোট দ্বীপরাষ্ট্র। তাই বৈশ্বিক সংহতি এখন সময়ের দাবি।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট আতসুশি সুনামি, জাপানে নরওয়ে দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিন ইগ্লুম ও ইউনেস্কো-আইওসি’র চেয়ার অধ্যাপক ইউতাকা মিচিদা, চেয়ার প্রমুখ।

মন্তব্য

সারা দেশ
Government assistance in improving the quality of life of small ethnic groups in Kaliganj 1 Family Buckle and Bull Calf

কালীগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারি সহায়তা: ৪ পরিবার পেল বকনা ও ষাঁড় বাছুর

কালীগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারি সহায়তা: ৪ পরিবার পেল বকনা ও ষাঁড় বাছুর

গাজীপুরের কালীগঞ্জে সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। "সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প (ডিটিএলপি)"-এর আওতায় উপজেলার ৪টি প্রান্তিক পরিবারের মাঝে বকনা, ষাঁড় বাছুরসহ গবাদিপশু পালনের বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সহায়তা সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে সহায়তার সরঞ্জাম তুলে দেন কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরোয়ার লিমা।

প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চারটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারকে স্বাবলম্বী করার জন্য বেছে নেওয়া হয়। উপকারভোগীরা হলেন—তুলসী রানী পাল, মানিক পাল, শেখর কুমার চন্দ্র এবং জগু বর্মন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচিত চারটি পরিবারের মধ্যে দুটি পরিবারকে একটি করে বকনা (তরুণী গাভী) এবং বাকি দুটি পরিবারকে একটি করে ষাঁড় বাছুর দেওয়া হয়েছে। গবাদিপশু সঠিকভাবে লালন-পালনের জন্য প্রতিটি পরিবারকে আরও দেওয়া হয়েছে ১২৫ কেজি দানাদার খাদ্য, ৪টি ফ্লোর ম্যাট এবং শেড বা চালা তৈরির জন্য ৫টি টিন ও ৪টি পিলার। এই সমন্বিত সহায়তার উদ্দেশ্য হলো, উপকারভোগীরা যেন কোনো প্রাথমিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই পশু পালন শুরু করতে পারেন।

সহায়তা পেয়ে আবেগাপ্লুত উপকারভোগী শেখর কুমার চন্দ্র তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, "আমার একটি ঘর ছাড়া আর কিছুই নেই। সরকারের পক্ষ থেকে আজ একটি বাছুর পেয়েছি। আমি যদি কষ্ট করে এটিকে লালন-পালন করতে পারি, তাহলে হয়তো একদিন এর ওপর ভিত্তি করেই আমার সংসারের উন্নতি হবে। বাকিটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা।"

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, "পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে এবং তাদের জীবনমান উন্নত করতে সরকার এই বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর আওতায় বকনা বা ষাঁড় বাছুর পালনের জন্য প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম সরকারিভাবেই সরবরাহ করা হয়। আমরা আশাবাদী, এই সহায়তার মাধ্যমে প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠী ধীরে ধীরে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।"

মন্তব্য

সারা দেশ
Bangladeshs new ambassador to the United States Tarek Mohammad Ariful Islam

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম

জেনেভায় জাতিসংঘের দপ্তরগুলোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলামকে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়ামের পররাষ্ট্র সচিব পদে নিয়োগের পর থেকে এই পদটি খালি ছিল।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। রাষ্ট্রদূত আরিফুল ইসলাম ইতোমধ্যে জেনেভা থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে যোগদান করেছেন।

গত বছরের জুনে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সুফিউর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হয়ে জাতিসংঘের জেনেভা কার্যালয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। এর আগে শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তারেক মো. আরিফুল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা তারেক মো. আরিফুল ইসলাম ১৯৯৮ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন।

তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে পুরকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটি থেকে কূটনীতি ও বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, আঞ্চলিক সহযোগিতা, মানবাধিকার ও অভিবাসন বিষয়ে তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।

পেশাগত জীবনে আরিফুল ইসলাম নিউইয়র্কে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনে বাংলাদেশের উপস্থায়ী প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনেও কাজ করেছেন। বাংলাদেশে সর্বশেষ ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মহাপরিচালকের (দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগ) দায়িত্ব পালন করেছেন।

মন্তব্য

p
উপরে