× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
১৪ বছর পর ফিরল রুবেল জেলে খেটেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা
google_news print-icon

১৪ বছর পর ফিরলেন রুবেল, জেল খেটেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা

১৪-বছর-পর-ফিরলেন-রুবেল-জেল-খেটেছেন-বীর-মুক্তিযোদ্ধা
বীর মুক্তিযোদ্ধা জুলহাস উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার মতো আরও পাঁচজনরে ধরছে। তারাও দুই থ্যাইকা চার মাস জেল খাটছে। এরপর আদালত থেকে জামিনে বের হইছি আমরা। পরে তো মামলাই শেষ হইল। আজ শুনলাম রুবেল গ্রামে ফিরে আসছে । পরে গ্রামবাসী ও আমরা তারে থানায় নিয়ে হাজির হইছি।’

নিখোঁজ হওয়ার ১৪ বছর চার মাস পর নিজ এলাকায় ফিরেছেন মোহাম্মদ রুবেল নামের এক যুবক। এদিকে তাকে অপহরণের অভিযোগে তার মায়ের করা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে জেল খেটেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ছয়জন, যে মামলার আসামি ১৯ জন।

রুবেলের বাসা নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের কুড়েরপাড় এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে কুড়েরপাড় এলাকায় ফিরে আসেন রুবেল। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে থানায় হাজির করা হয়।

২০০৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের একটি আদালতে ৭ বছর বয়সী রুবেলকে অপহরণের অভিযোগে তার মা রাহিমা বেগম মামলা করেন।

মামলায় বলা হয়, ২০০৭ সালের ২০ জানুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে রাহিমা বেগমের দুই ছেলে হাবিবুর রহমান ও মো. রুবেল বাড়িতে ঘুমাচ্ছিল। সেদিন তাদের মা রাহিমা তার বোনের বাড়ি বেড়াতে যান। সেই সুযোগে এলাকার মো. কালাই ও নুরুল ইসলাম বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ওঠায়। তারা হাবিবুর ও রুবেলকে বলে- তোমাদের জমি থেকে মাটি কাটব, তোমার মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। কত নৌকা মাটি হয়েছে তার হিসাব রাখবে তোমরা। তোমাদের কাছে টাকা দেয়া হবে। এ কথা বিশ্বাস করে রুবেল তাদের সঙ্গে চলে যায়। পরে সে ফিরে না আসায় বড় ছেলে হাবিবুর জমির কাছে তাকে খুঁজতে যায়। সেখানে সে রুবেল এবং কালাই ও নুরুল কাউকে পায়নি। পরদিন রাহিমা বাড়িতে ফিরে আসলে তাকে ঘটনা জানায় হাবিবুর। পরে তারা খোঁজাখুঁজি করে রুবেলকে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ আদালতে অপহরণ মামলা করেন রাহিমা বেগম। আসামি করা হয় ১৯ জনকে। তাদের মধ্যে দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তারা হলেন- নুরুল ইসলাম ও জুলহাস উদ্দিন আহম্মেদ। অন্যরা হলেন- কালাই চান, মনা, আমান, মুসলিম, মানিক, আজিজ, জিন্নাত আলী, সিরি মিয়া, ছালা উদ্দিন, শহর আলী, বাদশা মিয়া, সিরাজুল হক, শুক্কুর মেম্বার ও ইয়ানুছ, আউয়াল, রাজু ও হোসেন মিস্ত্রি।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন উপপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান। তিনি তদন্ত করে ২০০৮ সালের ৩০ জুলাই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে বাদী আদালতে পুলিশের তদন্তে নারাজি দেন। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি। সিআইডিও কয়েক মাস তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় আদালতে। তবে বাদী রাহিমা তাতেও নারাজি দেন। পরে দায়িত্ব পায় র‍্যাব। বাহিনীটি মামলার ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেয়। অন্য আসামিরা ছিলেন পলাতক।

পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, র‍্যাবও তদন্ত শেষ করতে না পারায় পরবর্তীতে তদন্তের দায়িত্ব পায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের উপপরির্দশক আসাদুজ্জামান ফরাজী তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই দিন মামলাটি নিষ্পত্তি করে আদালত।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার ১৪ বছর পর বৃহস্পতিবার বিকেলে কুড়েরপাড় গ্রামে হাজির হন ২২ বছর বয়সী রুবেল। তাকে দেখতে ভিড় জমায় আশপাশের মানুষ। খবর পেয়ে ছুটে যান মামলার সেই আসামিরাও। পরে রাত ১০টার দিকে তাকে সদর মডেল থানায় নেয়া হয়।

র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করা বীর মুক্তিযোদ্ধা জুলহাস উদ্দিন আহম্মেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রুবেল নামের এই যুবককে আমি কখনো দেখি নাই। তারে আজ প্রথম দেখলাম। কিন্তু তারে অপহরণের অভিযোগে আমারে গ্রেপ্তার করছে। পরে কারাগারে আড়াই মাস ছিলাম।

‘আমার মতো আরও পাঁচজনরে ধরছে। তারাও দুই থ্যাইকা চার মাস জেল খাটছে। এরপর আদালত থেকে জামিনে বের হইছি আমরা। পরে তো মামলাই শেষ হইল। আজ শুনলাম রুবেল গ্রামে ফিরে আসছে। পরে গ্রামবাসী ও আমরা তারে থানায় নিয়ে হাজির হইছি।’

আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলার পর থানা থ্যাইকা আমাগো ধরার চেষ্টা করছে। পরে তারা দেখে ঘটনা মিথ্যা। র‍্যাব মামলার তদন্ত পাওয়ার পর আজিজ মাদবর, মনা, সিরি মাদবর, রাজু, জুলহাস উদ্দিনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের ১০ থেকে ১৫ দিন রিমান্ডে নিয়েছে র‍্যাব। আমি সাড়ে চার বছর পালায় ছিলাম বান্দরবান।

‘মামলা শেষ হওয়ার পর ফিরে আসছি। আজ ওই ছেলে গ্রামে ফিরে আসছে। আমাগো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। বিনা কারণে জেল খাটতে হইছে। আমরা এর বিচার চাই।’

ফিরে আসা মো. রুবেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছোটবেলায় মায় দুইটা গরু পালতে দিত। ঘরে গিয়া দেখতাম খাওন নাই। মায় মারত। তার অত্যাচারে ঘর থেইকা বাইর হইয়া গেছিলাম। তখন আমার বয়স আছিল সাত বছর।

‘এত বছর ঢাকায় আছিলাম। ঢাকার মগবাজার, হাতিরঝিলে। ওইখানে রঙের কাজ করতাম। ফাস্টফুডের দোকানে ও ইস্টার্ন প্লাজায় কাজ করছি। পরে সেখানেই একটা মেয়েরে বিয়া করছি।’

তিনি বলেন, ‘গত বছর আমাগো এক আত্মীয়র সাথে দেখা হইছে। তার মাধ্যমে মার সাথে কথা হয়। মারে কইলাম বাড়ি আসি? তখন মায় কইলো- বাড়িতে আসলে গ্রামের মানুষ তরে মাইরা ফেলবো। আমি তাগো নামে মামলা করছি। তাই ভয়ে আসি নাই।

‘আজ কাউরে কিছু না কইয়া গ্রামে আসছি। কিন্তু গ্রামের মানুষ আমারে চিনতে পারছে। তারা আমারে দেখার পর তাকায় ছিল। মার সাথেও দেখা হইছে। পরে সেখান থ্যাইকা আমারে থানায় নিয়ে আসছে গ্রামের মানুষ।’

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জামান বলেন, ‘১৪ বছর পর ফিরে আসা যুবক রুবেলকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
হাসপাতাল পালানো ভারত ভ্যারিয়েন্টের রোগী আটক
ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত
১৪ বছর পর ফিরলেন রুবেল, জেল খেটেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা
মাদ্রাসাছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার, প্রেমিক গ্রেপ্তার
বাতাসে ভাসা করোনা রুখতে ভারত সরকারের নির্দেশিকা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
BSF pushed 5 people through the Naogaon border

নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

নওগাঁর পত্নীতলা সীমান্ত দিয়ে ১৬ বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নওগাঁর পত্নীতলা ১৪ বিজিবির ক্যাম্প থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এরআগে ভোরে উপজেলার শীতলমাঠ বিওপির সীমান্ত পিলার ২৫৪/১-এস এর কাছ দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করা হলে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে।

আটককৃতরা হলেন- নাটোর জেলার মোতালেব শেখ (৪৫), শফিকুল ইসলাম (৩৫), মজনু বিশ্বাস (৪৮), নয়ন খাঁ (২৫), মুকুল শেখ (২৫), মৃধুল শেখ (২০), সামির (১১), বিনা খাতুন (২৯), মিম (৮), মরিয়ম খাতুন (১০), রোজিনা খাতুন (১৮), মিরা খাতুন (৮ মাস), এলিনা খাতুন (২৮), জান্নাতুল সরকার (১০), জোছনা বেগম (৫০) এবং পাবনা জেলার মিরাজ শেখ (১৮)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- ভোরে পত্নীতলা ১৪ বিজিবির শীতলমাঠ বিওপির সীমান্ত পিলার ২৫৪/১-এস এর কাছ দিয়ে তাদের পুশইন করে। পরে বিজিবির টহল দল ঘুরকী গ্রামের পাকা রাস্তা সংলগ্ন চা দোকানের পাশে ঘোরাফেরা করতে দেখে তাদের আটক করে। আটকদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, পাঁচ শিশু ও চার জন নারী।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়- আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা বেশ কয়েক বছর পূর্বে রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে ভারতে গিয়েছিল। আটকের পর তাদেরকে পত্নীতলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Congratulations to the chief adviser for being re elected in the UPU Council

ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের (ইউপিইউ) প্রশাসনিক কাউন্সিল (সিএ)-এ বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় এ তথ্য জানায়।

বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ইউপিইউ কাউন্সিলের নির্বাচনে বাংলাদেশ ১৫৭ ভোটের মধ্যে ৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়। ১০ সদস্যের মধ্যে নবম স্থান অর্জন করে দেশটি। ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মত চার বছরের জন্য কাউন্সিলের সদস্যপদ পেল বাংলাদেশ।

এর আগের মেয়াদে বাংলাদেশ সীমিত ভূমিকা রেখেছিল। ২০২১ সালের নভেম্বরে মাত্র একটি সরাসরি বৈঠকে অংশ নেয়, বাকি কার্যক্রমে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিল। তাই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার সুযোগ কম ছিল।

এ কারণে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, সীমিত অংশগ্রহণ পুনর্নির্বাচনের পথে বাধা হতে পারে। তবে সমন্বিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এ ফলাফলকে ‘কূটনৈতিক সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
3 days of milk with the cow

গাভীর সঙ্গে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিনের বাছুর!

গাভীর সঙ্গে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিনের বাছুর!
গাভীর সাথে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিন বয়সী একটি বাছুরও। এমন আজব ঘটনায় ঐ খামারির বাড়িতে ভিড় করছেন অনেকে। কেউ দাড়িয়ে দেখছেন দুধদোহন আবার কেউ তুলছেন ছবি। খামারির বাড়িতে এখন উৎসুক জনতার ভিড় লেগেই আছে।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচরকরণশী গ্রামে হারুনুর রশিদের খামারে ঘটেছে এমন ঘটনা। খামারিসহ স্থানীয়রা বলছেন, এটি মহান আল্লাহর খুদরত। তবে বিষয়টিকে ব্যতিক্রমী ঘটনা বলছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও।
খামারি হারুনুর রশিদ বলেন, দুই বছর পূর্বে ৭৫ হাজার টাকায় একটি বকনা বাছুর কিনেছিলেন তিনি। সেটি এবার প্রথমবার একটি বাছুর জন্ম দিয়েছে। কিন্তুু বাছুরটির জন্মের পর থেকে দেখেন সেটির ওলান অন্যান্য বাছুরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বয়সের তুলনায় অনেকটা বড়। পরে ওলানে হাত দিয়ে দেখেন দুধও আসে। ঘটনাটি তিনি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদেরকে জানালে তারাও এসে দেখে গেছেন। হারুনুর রশীদ আরও বলেন, এই বাছুরের দুধ দেখতে এবং স্বাদেও গাভীর মতোই। বিষয়টিকে আল্লাহর নিয়ামত বলেও মনে করেন তিনি। হারুন বলেন, এই বাছুরের দুধ আমি নিজেও খেয়েছি, আমার সন্তানদেরও খাইয়েছি।
হারুনুর রশীদের বাবা আব্দুল কাদির বাচ্চু বলেন, তার ৭০ বছর বয়সে এমন ঘটনা শুনেনওনি, দেখেনওনি। এমনকি তাদের পূর্বপুরুষদের মুখেও এমন ঘটনার কথা শুনেননি।
একই এলাকায় বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীতে চাকুরির সুবাদে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় তিনি ঘুরেছেন। কিন্তুু কোথাও এমন ঘটনা তার চোখে পড়েনি। তিনি বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই দুধ দিচ্ছে শুনে হারুনের খামারে এসেছেন। প্রথমে বিশ্বাস না হলেও এখন তিনি নিজ চোখে দেখেছেন। মিজানুর বলেন, নিজের চোখে না দেখলে এটি কেউই বিশ্বাস করবে না।
করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এম. এম. এ আউয়াল তালুকদার জানান, তার দীর্ঘদিনের কর্মজীবনে এমন ঘটনা এটাই প্রথম। প্রলেকটিন হরমোন নির্গত হওয়ার কারণে এমনটি ঘটেছে বলেও জানান তিনি। এই কর্মকর্তা বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। তিনিও এই বিষয়টিকে আল্লাহ পাকের কুদরত বলে মনে করেন। এই কর্মকর্তা বলেন, এই বাছুরের দুধ পান করলে কোন সমস্যা হবে না। গাভীর দুধ দেখতে ও স্বাদ যেমন, বাছুরের দুধও তেমনি হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Bangladesh and China will move forward with their hands the chief adviser

বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে, যা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে।

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এক ভিডিও বার্তায় এই মন্তব্য করেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৬তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের সেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এর অনুপ্রেরণা ও অবদানের প্রশংসা করেন।

চীনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন অনুষ্ঠানে বলেন, ২০২৫ সাল কেবল গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নয়, বরং জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকীও।

তিনি আট দশক আগে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় চীনের অপরিসীম ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শক্তিশালী রেকর্ডসহ একটি প্রধান শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার কথা তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, “চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শক্তিশালী নেতৃত্বে, চীনা জনগণ নিরঙ্কুশ দারিদ্র্য দূরীকরণের অলৌকিক সাফল্য অর্জন করেছে। চীন সর্বদা বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য একটি শক্তি হিসেবে থাকবে।”

রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভের উপর জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে তিনি ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছেন, যা বহুপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার একটি নজির।

ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তিনি বলেন, দুই দেশ শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা, কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ও সমান সমান সহযোগিতার দ্বারা পরিচালিত সুসম্পর্কেও ভিত্তিতে সর্বদা "ভালো প্রতিবেশী, আন্তরিক বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হয়ে থাকবে।"

তিনি আরও বলেন, "চীন বাংলাদেশকে তার আধুনিকীকরণের যাত্রায় সহায়তা ও সমর্থন অব্যাহত রাখতে এবং ভবিষ্যতে একটি চীন-বাংলাদেশ সম্প্রদায় গঠনে একটি নতুন অধ্যায় লিখতে প্রস্তুত।"

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের উন্নয়ন অবকাঠামো, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবাতে চীনের অবদানের প্রশংসা করেন এবং জোর দিয়ে বলেন যে, এই ধরনের সহযোগিতা বাংলাদেশী জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা প্রদান করেছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, দুটি দেশ জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধন গড়ে তুলেছে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, বিদেশী কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বিশেষজ্ঞ সহ ৬০০ জনেরও বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যায় ইউনান গোল্ডেন অ্যান্ড সিলভার বার্ড আর্ট ট্রুপ এবং কোয়ানঝো আর্ট ট্রুপের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, জাতিগত নৃত্য, অ্যাক্রোব্যাটিক্স এবং ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। দর্শকদের কাছে তা খুবই উপভোগ্য ছিল।

অতিথিরা চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন এবং জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং বিশ্ব ফ্যাসিবাদ বিরোধী যুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনের প্রদর্শনীও পরিদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানস্থলে এন্টারপ্রাইজ বুথ, পর্যটন প্রচারণা এবং সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা কর্নারও ছিল, যা দর্শকদেরও ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল।

মন্তব্য

সারা দেশ
PR system has no basis Mirza Fakhrul

পিআর পদ্ধতির কোনো ভিত্তি নেই: মির্জা ফখরুল

‘আলোচনা মধ্যে কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়’
পিআর পদ্ধতির কোনো ভিত্তি নেই: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পিআরের (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পক্ষে নয় বিএনপি। এটার কোনো ভিত্তি নেই। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে গতকাল বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের সিদ্ধান্ত নিজেদেরই নিতে হবে এবং সেটা ঐক্যবদ্ধভাবে। যেকোনো বিষয় আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান হবে মনে করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আলোচনার মধ্যে কর্মসূচি দেওয়ার অর্থ হচ্ছে অহেতুক চাপ সৃষ্টি করা। এটি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। রাজপথে নামলেই সমস্যার সমাধান হবে কি? আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপি কোনো ইস্যুতেই আন্দোলনে যায়নি। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এ সময় বিএনপি কোনও রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের আগামী অধিবেশনে যোগ দেব। কিন্তু এজেন্ডা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Export of 1 20 metric tons of hilsa in two days

দুই দিনে ৫৬.২৫ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি

দুই দিনে ৫৬.২৫ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি

অনুমোদিত ১,২০০ মেট্রিক টন ইলিশের মধ্যে সরবরাহ সীমিত থাকায় গত দুই দিনে মোট ৫৬.২৫ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন এবং বৃহস্পতিবার ১৮.৭৯ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়েছে।

বেনাপোল মৎস্য কোয়ারেন্টিন অফিসার সজীব সাহা, মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করেছি যে রপ্তানির জন্য নির্বাচিত প্রতিটি ইলিশ স্বাস্থ্যসম্মত, রোগমুক্ত এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী যোগ্য। এই পরীক্ষা ও মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই, যে প্রতিটি চালান নিরাপদ ও উচ্চমানের। এছাড়া সরবরাহ সীমিত থাকায় দুই দিনের রপ্তানি অনুমোদিত পরিমাণের তুলনায় কম হলেও আমাদের মূল লক্ষ্য মানসম্পন্ন ইলিশ রপ্তানি বজায় রাখা।

এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বছর ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৩,৯৫০ টনের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে সব মিলিয়ে ইলিশ রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৮০২ টন। এর মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে একাই রপ্তানি হয়েছে ৫৩২.৩ মেট্রিক টন।

স্থানীয় ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সততা ফিশের ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম বলেন, দুর্গাপূজা ও আসন্ন উৎসবের কারণে ইলিশের চাহিদা বেশি। আমরা চেষ্টা করছি বাজার চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ সরবরাহ বজায় রাখতে। তবে মাছের সীমিত পরিমাণ রপ্তানিতে কিছুটা বাধা থাকলেও আমাদের কার্যক্রম সচল রয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
The student who reads the teacher will see the book neutrally DC Sultana Akhter

শিক্ষার্থী যে শিক্ষকের কাছেই পড়ুক, তার খাতা নিরপেক্ষভাবে দেখবেন — ডিসি সুলতানা আক্তার

শিক্ষার্থী যে শিক্ষকের কাছেই পড়ুক, তার খাতা নিরপেক্ষভাবে দেখবেন — ডিসি সুলতানা আক্তার

"একজন শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষকের কাছে পড়লে আপনি তাকে কম মার্কস দিবেন, আপনার কাছে পড়লে প্র্যাক্টিক্যালে ভালো মার্কস দিবেন, তার সাথে ভালো আচরণ করবেন এটাও কিন্তু এক ধরণের দুর্নীতি। দুর্নীতি কিন্তু শুধু টাকা খাওয়া না, শুধু অন্যায় করা না। শিক্ষার্থী যে শিক্ষকের কাছেই পড়ুক না কেন তার খাতাটি আপনি নিরপেক্ষভাবে দেখবেন। আপনারা কখনোই শিক্ষার্থীদের সাথে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করবেন না। দুর্নীতি করে কিন্তু কেউই বেশি দূর এগোতে পারে না। পরকালের কথা বাদ দিয়ে ইহকালেও কিন্তু দুর্নীতি করে কেউ সফল হতে পারেনি। কাজেই আপনার শিক্ষার্থীদের সাথে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করুন।"

এসময় পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ভালো ফলাফল পেতে হলে তোমাদেরকে পরিশ্রম করতে হবে। পরীক্ষা ভয় পাওয়ার বিষয় নয়, এটি জীবনের একটি ধাপ মাত্র। নিয়মিত পড়াশোনা, সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা ও আত্মবিশ্বাসই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। তোমাদের পরিশ্রম, সততা ও অধ্যবসায় একদিন পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য গর্বের কারণ হবে।”
অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "আপনারা আপনাদের বাচ্চাদেরকে সময় দিন। অফিস থেকে এসে রিলাক্স মুডে মোবাইল দেখবেন না, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলবেন না। আপনি সন্তানের সামনে মোবাইল ব্যবহার করলে ও কিন্তু ভালো কিছু শিখবে না।"

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজবাড়ীর পাংশায় এস.এস.সি-২০২৬ পরীক্ষার প্রস্তুতি, শিক্ষার মান উন্নয়ন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং মাদকাসক্তির কুফল সম্পর্কে সচেতনতার লক্ষ্যে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক মন্ডলীর উপস্থিতিতে অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা আক্তার এসব কথা বলেন।

পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন পাংশা পৌরসভার পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কাজী আব্দুল মাজেদ একাডেমি ও এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. আবু দারদা'র সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মো. বাহারাম হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ।
সঞ্চালনায় ছিলেন উদয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সামসুল আলম (সোহরাব)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির উদ্দেশে মানপত্র পাঠ করেন পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সান্ত্বনা দাস।
শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকেও পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের প্রস্তুতি, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত ও পবিত্র গীতা পাঠ করা হয়। আলোচনা শেষে জেলা প্রশাসক ৩টি বিদ্যালয়ের মাঝে বিভিন্ন ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেন।

মন্তব্য

p
উপরে