× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
জয় বাংলা পল্লীতে উঠতে অনিহা ভূমিহীনদের
google_news print-icon

‘জয় বাংলা পল্লী’তে উঠতে অনীহা ভূমিহীনদের

জয়-বাংলা-পল্লীতে-উঠতে-অনীহা-ভূমিহীনদের
হালকা বাতাসেই উড়ে গেছে ঘরের চাল। ছবি: নিউজবাংলা
পুরনো ইট দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বাড়ি, ইউএনওর নির্দেশে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে তোলা হয়েছে বালু।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য দিনাজপুর জেলায় নির্মাণ করা হয়েছে চার সহস্রাধিক বাড়ি। কিন্তু বাড়িগুলো নির্মাণের পর থেকেই নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি ফুলবাড়ীতে হালকা বাতাসে কয়েকটি বাড়ির ছাদ উড়ে যায়। রড ব্যবহার না করায় ভেঙে গেছে পিলার। রাস্তা নেই, বিদ্যুৎ সংযোগও এখন পর্যন্ত দেয়া হয়নি।

ফলে যে সব ভূমিহীন পরিবার বাড়িগুলোতে উঠেছেন তারা থাকতে চাইছেন না। আর যারা এখনও বাড়িতে ওঠেননি তাদের মধ্যে ওঠার বিষয়ে অনীহা তৈরি হয়েছে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য চার হাজার ৭৬৪টি বাড়ি নির্মাণ করা হয়।

দিনাজপুর জেলায় প্রথম ধাপে নির্মিত বাড়িগুলোর নাম দেয়া হয় ‘জয় বাংলা পল্লী’। এর মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ২৮০টি, বিরলে ৫৫৬টি, বোচাগঞ্জে ৪৩০টি, কাহারোলে ১৩৯, বীরগঞ্জে ৩৫০টি, খানসামায় ৪১০টি, চিরিরবন্দরে ২১৫টি, পার্বতীপুরে ২৬২টি, ফুলবাড়ীতে ৭৬৯টি, নবাবগঞ্জে ২২৬টি, বিরামপুরে ৪১৫টি, হাকিমপুরে ১৪৫টি ও ঘোড়াঘাটে ৫৬৭টি বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।

‘জয় বাংলা পল্লী’তে উঠতে অনীহা ভূমিহীনদের
ব্যবহার করা হয়েছে পুরোন ইট। ছবি: নিউজবাংলা

বাড়ির বর্গায় শিশু, কড়াইসহ বিভিন্ন ভালো মানের গাছের কাঠ ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ বাড়ি নির্মাণে ইউক্যালিপটাস কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে হস্তান্তরের আগেই বাড়ির বর্গার কাঠ ফেটে গেছে।

সোমবার গভীর রাতে ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুরে জয়বাংলা পল্লীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে নবনির্মিত ছয়টি ঘরের টিনের চালা উড়ে যায়। এই উপজেলার ওপর দিয়ে সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে বৃষ্টির সঙ্গে হালকা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এই ঝড়োবাতাসে ওই এলাকার আশেপাশের কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও নবনির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ছয়টি ঘরের বারান্দাসহ ঘরের ছাউনির টিন ও বর্গা উড়ে যায়। ভেঙে যায় ঘরের বারান্দার পিলার। বসবাসের শুরুতেই ঘর ভেঙে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সেখানে বসবাসকারীরা।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, গত সোমবার রাতে ফুলবাড়ীর ওপর দিয়ে যে বাতাস বয়ে গেছে, সেটির গতি ছিল ঘন্টায় ৩১ কিলোমিটার। যা খুবই সামান্য। এটিকে ঝড়ো হাওয়াও বলা যাবে না।

ফুলবাড়ী উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া বিউটি বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মোক সরকার ঘর দিলো কিন্তু এটা কেংকা ঘর? এনা বাতাসোত মোর ঘরের চালা উঁড়ি গিয়া পুকুরোত পড়ল। ছোলপোল নিয়া আল্লাহকে ডাকছিনু। আল্লাহ রহম কর, প্রাণে বাঁচি গেলে মুই আর ওই ঘরোত থাকিম না। মোর ছোলপোলকে রক্ষা কর। মুই মনোত নিসো, মাঠোত থাকিম তাও এঙ্কা ঘরোত যাম না আর। মুই মোর ছোলপোলকে হারাতে চাও না। এগলা মানসোক মারার জন্য করসে।’

‘জয় বাংলা পল্লী’তে উঠতে অনীহা ভূমিহীনদের
হালকা বাতাসেই উড়ে যায় ঘরের চাল। ছবি: নিউজবাংলা

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মুজিববর্ষে উপহার পাওয়া ঘরগুলো ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেগুলো সরকারি খরচেই মেরামত করে দেয়া হয়েছে। যারা ঘরগুলো পেয়েছে তারা ঘরগুলোতে উঠছে না। আমরা যে ছোট ছোট তালা লাগিয়ে দিয়েছি তা তারা খুলে দরজা জানালা খুলে রাখে। একারণে ঝড়ের সময় ঘরে বাতাস ঢুকে চালাসহ উড়ে গেছে। আমরা সেগুলো মেরামত করে দিয়েছি।’

গত বছর শুরু হওয়া এই উপজেলার ২নং ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের সরদডাঙ্গার গ্রামে ১০০টি বাড়ির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাজ শুরুর পর থেকে এই জায়গায় বাড়ি নির্মাণের নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বাড়িগুলোর মধ্যে বহু বাড়ির ভিতসহ ওয়ালের গাঁথুনিতে ব্যবহার করা হয় পুরাতন ইট। এ ছাড়া বাড়ির বিভিন্ন ঢালাইকাজে ব্যবহার করা হয় পুরাতন ইটের খোয়া।

বাড়ির নির্মাণে দামি সিমেন্ট বাদ দিয়ে নিম্নমানের সিমেন্টের ব্যবহার হয়। এ ছাড়া নিয়ম রয়েছে বাড়িগুলো ভিত হিসেবে ১০ ইঞ্চি ইটের গাঁথুনি দিতে হবে- কিন্তু সদরডাঙ্গায় বেশির ভাগ বাড়ি ভিত ছাড়াই নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া বারান্দায় ১০ ইঞ্চি গাথুনির নিয়ম থাকলেও বেশির ভাগ বাড়িতে ৫ ইঞ্চি গাঁথুনি দেয়া হয়। একইভাবে উপজেলার অন্যান্য জায়গায় বাড়ি নির্মাণে নানান অনিয়ম পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, সদরডাঙ্গায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ওই সময়ের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমানে সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাবের মো. সোয়াইবের নির্দেশে পাশ্ববর্তী পুনর্ভবা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসানো হয়। আর এই ড্রেজার দিয়ে উত্তোলিত বালু পাইপযোগে ব্যক্তিগত কৃষকদের জমির ওপর দিয়ে যায় প্রকল্পের স্থানে। কিন্তু নিয়ম রয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যবহৃত বালু যেকোনো ঘাট থেকে আনতে হবে। কিন্তু এই প্রকল্পে তা করা হয়নি।

আব্দুর রাজ্জাককে ফোন করা হলে এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

বিরল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাবের মো. সোয়াইব নিউজবাংলাকে বলেন, কাজে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রকল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের বিল কমিটির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি কোনো ঘাট ছাড়া অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

এ ব্যাপারে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি নিউজবাংলাকে জানান, এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোনো অনিয়মের অভিযোগ আসেনি। যদি অভিযোগ আসে তা হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া ফুলবাড়ীতে টিনের চালা উড়ে যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
বিনা মূল্যে ঘর পাচ্ছে আরও ৫৩ হাজার পরিবার
উপহারের ঘর নিয়ে অভিযোগ: যুবলীগ নেতাকে তুলে নিলেন ইউএনও
‘তোমরা তো একটা মরার জায়গা পাইছ’
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ভাঙচুর: গ্রেপ্তার ৫
মুজিববর্ষ: নওগাঁয় ঘরহীন মানুষের হাসিমুখ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
The main accused arrested in the murder of UP member

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।

ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

সারা দেশ
July in Kaliganj People from all walks of life took oath with millions of voices

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শপথ গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী আয়োজিত ‘লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই মাসে নিহত শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ। তিনি উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, দুর্নীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকার করেন অংশগ্রহণকারীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, "জুলাই পুনর্জাগরণ কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি আমাদের চেতনার বাতিঘর। সেই শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আজকের এই সম্মিলিত শপথ হোক দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার একটি নতুন অঙ্গীকার। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারে।"

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম উর্মি, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।

বক্তারা জুলাইয়ের শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের এই সফল আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে এক নতুন মাত্রা দেয়। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি কালীগঞ্জের মানুষের মধ্যে দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।

মন্তব্য

সারা দেশ
Snake panic in Feni after flood

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।

মন্তব্য

সারা দেশ
The creation of waterlogging at Benapole ports

পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

ব্যাহত হচ্ছে বন্দরে খালাশ প্রক্রিয়া
পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।

তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।

মন্তব্য

সারা দেশ
Chakrias escaped accused Sajjad was detained in Coxs Bazar DB

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।

চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।

এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Panchagarh has fined Tk 2 lakh in a joint operation at night 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝাড়ি বাজারের করতোয়া নদীসংলগ্ন এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।

দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক্টরসহ চালক রাজু ইসলাম ও শান্ত আহমেদকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

আদালতের রায়ে রাজু ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা লঙ্ঘন করায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। তবে রাজু ইসলাম অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় ট্রাক্টর দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

p
উপরে