× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
কোয়ারেন্টিনের শর্ত ভঙ্গ ভারত ফেরতের বাড়ি লকডাউন
google_news print-icon

কোয়ারেন্টিনের শর্ত ভঙ্গ, ভারত ফেরতের বাড়ি লকডাউন

কোয়ারেন্টিনের-শর্ত-ভঙ্গ-ভারত-ফেরতের-বাড়ি-লকডাউন
বজলুর রহমান গত ১৩ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য ভারত যান। শুক্রবার তিনি লালমোহন আসেন। অথচ দেশে ফেরার শর্ত হিসেবে তাকে সীমান্তে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হতো। তিনি শর্ত ভঙ্গ করে বাড়ি ফেরায় তার বাড়িতে লাল পতাকা তুলে ১৪ দিনের জন্য বাসিন্দাদের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

ভারত থেকে ভোলা ফেরা এক শিক্ষকের বাড়ি লকডাউন করে বাসিন্দাদের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সে দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনার স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়া রোধে সতর্কতার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-নোমানের নেতৃত্বে বাড়িটি লকডাউন করা হয়। টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে একটি লাল পতাকা। ১৪ দিনের জন্য কাউকে বাড়ির বাইরে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

জেলার লালমোহন উপজেলার চরভূতা লেঙ্গুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান গত ১৩ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য ভারত যান। শুক্রবার তিনি লালমোহন আসেন।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পাশাপাশি সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদুল ইসলাম বাড়িটিতে যান।

কোয়ারেন্টিনের শর্ত ভঙ্গ, ভারত ফেরতের বাড়ি লকডাউন
ভারত থেকে দেশে কোনো নাগরিক আসলে তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। যশোরের বেনাপোল থেকে তোলা

ইউএনও আল নোমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বজলুর রহমান ভারতের চেন্নাই থেকে শুক্রবার বাড়িতে আসেন। আমরা তার বাড়ি ১৪ দিনের জন্য লকডাউন করে দিয়েছি। তাকে আলাদা একটি কক্ষে রাখার জন্য পরিবারকে নির্দেশ দিয়েছি।’

তবে সীমান্তে বিধিনিষেধের মধ্যে কীভাবে তিনি এলাকায় ফিরলেন এই বিষয়টির সদুত্তর এখনও মেলেনি। সীমান্ত বন্ধ অবস্থায় শর্তসাপেক্ষে দেশে ফেরা গেলেও তাদেরকে সীমান্তে পরীক্ষা করে নেগেটিভ এলেও ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকার শর্ত দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যেই এর বিভিন্ন সীমান্তে কোয়ারেন্টিনে থাকার জায়গার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বজলুর রহমান সেসব শর্ত না মেনে এলাকায় ফেরায় নিশ্চিত হয়ে গেল যে, কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থায় দুর্বলতা রয়ে গেছে।

বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ভারত পরিস্থিতি তৈরি করেছে নতুন উদ্বেগ। দেশে করোনার প্রকোপ চলমান লকডাউনে কিছুটা কমে এলেও ভারতে তা বেড়েই চলেছে।

সেখানে ছড়িয়ে পড়া বেঙ্গল ভ্যারিয়েন্ট প্রতি দিন লাখ লাখ রোগীকে আক্রান্ত করার পাশাপাশি প্রাণহারিও হচ্ছে ব্যাপক। এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে। আর এর স্বল্পতায় বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
কোয়ারেন্টিনের শর্ত ভঙ্গ, ভারত ফেরতের বাড়ি লকডাউন

করোনার ইতালির পর ইউকে, সাউথ আফ্রিকা এবং সব শেষ নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে ভারতের বেঙ্গল ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে শঙ্কার কারণ দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী দেশটিতে যান, আবার ফিরেও আসেন।

এই অবস্থায় করোনা মোকাবিলায় গঠন করা জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশের পর গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

তবে যারা ভারতে চিকিৎসা বা অন্য কোনো কাজে গিয়ে আটকা পড়েছেন, তাদেরকে অনুমতিসাপেক্ষে ফেরত আসতে দেয়া হচ্ছে। আর দেশে ফিরলেও সীমান্তেই থাকতে হতো বজলুর রহমানকে।

আরও পড়ুন:
মাস্ক না পরায় এবার চুয়াডাঙ্গায় রৌদ্রদণ্ড
লকডাউন কি আরও বাড়বে
লকডাউনের সময় এক ভেন্যুতে বিপিএল
মাস্ক না পরায় এবার পথচারীদের রৌদ্রদণ্ড

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Bangladeshi expatriate won Tk 5 crore in the lottery in Abu Dhabi

আবুধাবিতে লটারিতে ৬৬ কোটি টাকা জিতলেন বাংলাদেশি প্রবাসী

আবুধাবিতে লটারিতে ৬৬ কোটি টাকা জিতলেন বাংলাদেশি প্রবাসী

আবুধাবির জনপ্রিয় বিগ টিকিট লটারিতে ২০ মিলিয়ন দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা) জিতেছেন শারজাহপ্রবাসী বাংলাদেশি হারুন সরদার নূর নবী সরদার। গত শুক্রবার লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর এই টিকিট কেনেন হারুন।

৪৪ বছর বয়সি ট্যাক্সিচালক হারুন ২০০৯ সাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করছেন। শারজাহতে ট্যাক্সি চালান তিনি। গত ১৫ বছর ধরে আবুধাবিকেই নিজের ঘর মনে করেন হারুন। তার পরিবার বাংলাদেশে থাকে।

হারুন জানান, জয়ের স্বপ্ন নিয়ে প্রতি মাসেই নিয়মিতভাবে বিগ টিকিট কিনতেন তিনি। কখনো হাল ছাড়েননি।

শো সঞ্চালক রিচার্ড ও বুশরার সঙ্গে ‘গোল্ডেন ফোনে’ কথা বলার সময় লটারি জেতার কথা শুনে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পড়েন হারুন। তিনি বলতে থাকেন, ‘ওকে, ওকে। আমি বাংলাদেশি। শারজাহতে আছি। আমি একজন প্রাইভেট ট্যাক্সি (ড্রাইভার)। ওকে, থ্যাঙ্ক ইউ। আমি এই পুরস্কার ১০ জনের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি।’

পুরস্কারের অর্থ নিয়ে কী করবেন, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত না হলেও, তিনি টিকিট কেনা চালিয়ে যেতে এবং বিগ টিকিটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে খুবই আগ্রহী বলে জানান। হারুন বলেন, ‘আমি অন্যদেরও স্বপ্ন না ছাড়তে উৎসাহিত করি, কারণ বিগ টিকিটে কোনো স্বপ্নই দূরে নয়।’

হারুনের লটারি জয়ের পাশাপাশি আরও চারজনের প্রত্যেকে ৫০ হাজার দিরহাম করে জিতেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতে বসবাসকারী শিহাব উমাইর এবং দুবাইতে বসবাসকারী ভারতীয় প্রবাসী সিদ্দিক পাম্বলাথ। এছাড়াও ভাগ্য খুলেছে আরও দুই প্রবাসী আবুধাবিতে বসবাসকারী বাংলাদেশি আলী হুসেন আলী এবং দুবাই ও শারজাহতে বসবাসকারী পাকিস্তানি আদেল মোহাম্মদের।

অন্যদিকে, বিগ উইন কন্টেস্ট স্পিন দ্য হুইল-এ দেড় লাখ দিরহাম পুরস্কার জেতার জন্য ভাগ্য পরীক্ষা করতে নাম লিখিয়েছিলেন চার প্রবাসী।

কাতারপ্রবাসী রিয়াসকে প্রতিযোগিতায় (বিগ উইন কন্টেস্ট) তার ভাগ্য পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে তিনি আবুধাবিতে যেতে না পারায় ‘স্পিন দ্য হুইল’ প্রতিযোগিতায় নিজের হয়ে অংশ নেওয়ার জন্য বন্ধু আশিক মোট্টামকে মনোনীত করেন। রিয়াস ও আশিক মিলে আরও ২০ জনের সঙ্গে টিকিট কিনেছিলেন। স্পিন শুরুর আগে রিয়াস এক বার্তায় বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, সে ১ লাখ ৫০ হাজার দিরহাম জিতবে।’ অবশেষে বন্ধুর ইচ্ছা পূরণ হয়। আশিক জিতে যান।

ড্রতে একমাত্র নারী হিসেবে বিজয়ী ছিলেন ভারতের কেরালার নাগরিক সুসান রবার্ট। স্পিনের আগে তিনি জানান, জেতা অর্থ ছেলের পড়াশোনা এবং বিদেশ ভ্রমণে ব্যয় করতে চান, বিশেষ করে জাপানে যাওয়ার ইচ্ছা তার। স্পিন শেষে তিনি জিতে নেন ১ লাখ ১০ হাজার দিরহামের পুরস্কার। বিজয়ের পর তিনি সব নারী দর্শকদের অংশ নিতে আহ্বান জানান। সুসান বলেন, ‘বিগ টিকিটে অংশ নিন এবং আরও বেশি টিকিট কিনুন, নারীরা।’

বিগ টিকিটে আবুধাবি প্রবাসী আলিমউদ্দিন সোনজা জিতেছেন ৮৫ হাজার দিরহাম। তিনি এই অর্থ তার সঙ্গে টিকিট কেনা ১০ জনের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন।

’স্পিন দ্য হুইল’ প্রতিযোগিতার চতুর্থ বিজয়ী হন আল আইনে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী জাজরুল ইসলাম ফকির। তিনিও পুরস্কারের অর্থ ১০ জনের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন।

এছাড়া শারজাহ প্রবাসী আরেক বাংলাদেশি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আহমেদ নবী জিতেছেন একটি রেঞ্জ রোভার ভেলার গাড়ি।

বিগ টিকিট সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, অক্টোবর মাসের প্রমোশনে থাকছে ২ কোটি ৫০ লাখ দিরহামের গ্র্যান্ড প্রাইজ। আগামী ৩ নভেম্বরের লাইভ ড্রতে ভাগ্যবান বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হবে এই পুরস্কার।

এছাড়া, প্রতি সপ্তাহে পাঁচজন বিজয়ী ঘরে তুলতে পারবেন ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের ২৫০ গ্রাম বার।

মন্তব্য

সারা দেশ
The world has the support of the country through elections Mirza Fakhrul

নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন রয়েছে: মির্জা ফখরুল

নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন রয়েছে: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্রে উত্তরণ প্রক্রিয়ায় গোটা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে।’

গত শুক্রবার রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে দেশে ফিরে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বার্তা একটাই, গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে, আমাদের নেতা তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেইভাবে আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেব।’

আজকে গণতন্ত্রে উত্তরণের এই বিষয়টাতে গোটা পৃথিবীর সমর্থন রয়েছে। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমর্থনটা এখানে সম্পূর্ণভাবেই রয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্ক যান বিএনপি মহাসচিব। প্রধান উপদেষ্টা ২ অক্টোবর দেশে ফেরেছেন।

বিএনপি মহাসচিব যুক্তরাষ্ট্রে দলীয় একটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে গত শুক্রবার রাতে দেশে ফেরেন।

প্রধান উপদেষ্টার এই প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।

জাতিসংঘের অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সাথে আপনার আলাপ হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সকলের সঙ্গেই আলাপ হয়েছে। আর যারা গিয়েছেন তাদের সঙ্গে তো অবশ্যই আলাপ হবে-এটাই তো স্বাভাবিক।’

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের যোগদানের সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আমরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে আমরা তার সফরসঙ্গি হয়েছিলাম এবং সেখানে আমাদের যতটুকু দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল সেই দায়িত্ব পালন করেছি। আমি মনে করি, আমাদের এই সফর সফল হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই প্রথমবারের মতো অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্য প্রদর্শন করবার জন্য প্রধান কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সেদিক থেকেও এই সফর অবশ্যই সফল হয়েছে। বাংলাদেশের কথা বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি যেসব সভা হয়েছে আমরা মনে করি যে, এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ভালো হয়েছে, এজ এ হোল গণতন্ত্রের জন্য ভালো হয়েছে।’

নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে অবতরণের পরে হেনস্তা হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এগুলোকে খুব বড় মনে করি না। এটা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের একটা কালচার।’

মন্তব্য

সারা দেশ
Indias sari business collapses in the wake of relations with Bangladesh
আল জাজিরার প্রতিবেদন

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিতে ভারতের শাড়ি ব্যবসায় ধস

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিতে ভারতের শাড়ি ব্যবসায় ধস

মোহাম্মদ আহমদ আনসারি সারা জীবন কাটিয়েছেন ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসির সরু আর ভিড়ভাট্টার অলিগলিতে। এ শহরকে অনেকেই ভারতের আধ্যাত্মিক রাজধানী বলে থাকেন। এখানকার পার্লামেন্টারি আসনও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ৫৫ বছর বয়সি আনসারি কয়েক দশক ধরে বুনছেন বেনারসি শাড়ি। তাঁতের শব্দ, মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি আর আজানের সুরে মিশে থাকা এ শহরে তিনি ভালোবাসেন নিজের কাজের পরিবেশ।

ধারণা করা হয়, ভারতবর্ষের প্রাচীনতম নগরী হলো বারানসি। খ্রিষ্টপূর্ব ১ হাজার ৮০০ সাল থেকেই এ নগরীর অস্তিত্ব আছে বলে মনে করা হয়। এখানকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিন্দু-মুসলিম সংস্কৃতির মেলবন্ধন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে শাড়ির বিক্রি কমেছে। নানা কারণে এ মন্দা দেখা দিলেও সর্বশেষ ধাক্কা এসেছে ভারত-বাংলাদেশের চলমান টানাপড়েন থেকে।

গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেন। এর পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে এখন অনেকেই মনে করেন, তাদের সমস্যার পেছনে ভারতেরও ভূমিকা আছে। বিশেষ করে মোদির প্রকাশ্য সমর্থন ছিল হাসিনার প্রতি। তার পতনের পর বাংলাদেশে কিছু জায়গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কারণ, তাদের হাসিনার সমর্থক হিসেবে দেখা হতো।

একই সঙ্গে বাংলাদেশে ভারতীয় ব্যবসাও বয়কট হয়েছে। কোথাও কোথাও হামলার শিকারও হয়েছে ভারতীয় পণ্যের বিক্রেতারা। দেশটি এখন দিল্লির কাছে দাবি তুলেছে—হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে হবে, যাতে তাঁকে দেশে আইনের মুখোমুখি করা যেতে পারে।

চলতি বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশ ভারত থেকে কিছু পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ দেয়। এর মধ্যে ছিল সুতা আর চাল। পরে ১৭ মে ভারত পাল্টা ব্যবস্থা নেয়। তারা স্থলসীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাবার আমদানি বন্ধ করে দেয়। যদিও বাংলাদেশ থেকে এখনো শাড়ি ভারতে পাঠানো যায়, তবে সেটা কেবল সমুদ্রপথে, যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।

বিশ্বজুড়ে পরিচিত বেনারসি শাড়ি। সূক্ষ্ম কারুকাজ, বিলাসবহুল রেশম, ঝলমলে জরি আর সোনার-রুপার তারের কাজের জন্য এগুলো বিখ্যাত। একটি শাড়ি বুনতে কখনো কখনো ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগে। নকশা ও উপকরণের ওপর নির্ভর করে প্রতিটি শাড়ির দাম দাঁড়াতে পারে এক লাখ রুপি (প্রায় ১ হাজার ১৩০ ডলার) বা তারও বেশি।

আনসারি আল-জাজিরাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে উৎসব আর বিয়েতে এসব শাড়ির অনেক চাহিদা থাকে। কিন্তু আমদানি বন্ধের কারণে ব্যবসা এখন অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে।’

ভারতের বারাণসীর কিছু ব্যবসায়ী এখনো বাংলাদেশি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা পাওনা। ছবি: আল জাজিরা

ভারতের বারাণসীর কিছু ব্যবসায়ী এখনো বাংলাদেশি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা পাওনা। ছবি: আল জাজিরা

বেনারসি শিল্প এর আগেও একের পর এক ধাক্কা খেয়েছে। নোটবন্দি (ভারতের ১০০০ রুপির নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়া), বিদ্যুতের দাম বাড়া, করোনাভাইরাস মহামারি—এসব তো আছেই। পাশাপাশি আধুনিক পাওয়ার লুমে তৈরি সস্তা শাড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে বেনারসি। বিশেষ করে গুজরাটের সুরতে তৈরি শাড়ির কারণে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন।

এই ধারাবাহিক সংকটে অনেকে পেশা বদলাতে বাধ্য হয়েছেন। একসময় যেখানে প্রায় চার লাখ তাঁতি ছিলেন, এখন তা নেমে এসেছে অর্ধেকে—প্রায় দুই লাখে। অনেকেই শহর ছেড়ে চলে গেছেন অন্য কাজে। কেউ কেউ আবার রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

৬১ বছর বয়সী এক পাইকারি শাড়ি ব্যবসায়ী পবন যাদব আল-জাজিরাকে বলেন, ‘ঢাকায় সরকার পরিবর্তনের পর থেকে ব্যবসা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার শাড়ি পাঠাতাম। এখন সব থমকে আছে।’ তিনি জানান, প্রতিবেশী দেশের ক্রেতাদের কাছে তার এখনো ১৫ লাখ রুপি (প্রায় ১৭ হাজার ১৪০ ডলার) পাওনা আছে। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সে টাকা ফেরত পাওয়া অসম্ভব মনে হচ্ছে।

ভারতে শাড়ি পরার নথিভুক্ত ১০৮ রকম পদ্ধতি আছে। আর শাড়ি শুধু পোশাক নয়, বরং সূক্ষ্ম নকশা আর রঙের ছটায় একে ধরা হয় চিরন্তন সৌন্দর্য আর ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে।

ভারতের টেক্সটাইল খাত এখন নানা সংকটে থাকলেও কৃষির পর সবচেয়ে বেশি মানুষ এই খাতে কাজ করেন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখানে কাজ করেন সাড়ে ৩৫ লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে শাড়ির বাজারের মূল্য প্রায় ৮০ হাজার কোটি রুপি বা ৯ দশমিক শূন্য ১ বিলিয়ন ডলার। শুধু রপ্তানি খাতেই আয় হয় প্রায় ৩০ কোটি ডলার।

বারানসির তাঁতি আর ব্যবসায়ীরা টানা তৃতীয়বারের মতো নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছেন। এখন তাঁরা অপেক্ষা করছেন, বাংলাদেশকে ঘিরে তৈরি হওয়া বাণিজ্যসংকটের একটা সমাধান যেন প্রধানমন্ত্রী করেন। ২০১৫ সালে মোদি সরকার ৭ আগস্টকে জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবস ঘোষণা করে। তখন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, দেশি তাঁতিদের জীবনে পরিবর্তন আনা হবে, দেশীয় পণ্যের প্রচার করা হবে। কিন্তু তাঁতি ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এত দিনেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।

সেভ দ্য লুম—নামের সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা রমেশ মেনন ‘ভারতের তাত শিল্প অনন্য, এর সঙ্গে অন্য কোনো দেশের তুলনা হয় না। তবু নিয়মিত ব্যবসা বা টেকসই আয় না থাকায় অনেকে এই পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এখন নতুন তাঁতি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।’ তার মতে, এখন দরকার তাতের পণ্যকে দারিদ্র্যের প্রতীক না বানিয়ে বিলাসপণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা।

পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের স্বস্তি

অন্যদিকে বারানসি থেকে ৬১০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা পশ্চিমবঙ্গে চিত্র ভিন্ন। বাংলাদেশ থেকে শাড়ি আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখানকার সুতি শাড়ির ব্যবসায়ীরা নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন। শান্তিপুরের ব্যবসায়ী তারকনাথ দাস চার দশক ধরে সুতি শাড়ির ব্যবসা করছেন। স্থানীয় তাঁতিদের তৈরি শাড়ি তিনি দেশের নানা শো-রুমে সরবরাহ করেন। কয়েক বছর ধরে ক্ষতির মুখ দেখলেও দুর্গাপূজার আগে হঠাৎই বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় তিনি খুশি।

আল-জাজিরাকে ৬৫ বছরের এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাংলাদেশি শাড়ি আমাদের বাজারের অন্তত ৩০ শতাংশ দখল করে নিয়েছিল। এতে স্থানীয় শিল্প ভুগছিল। এখন আমরা ধীরে ধীরে আগের বাজার ফিরে পাচ্ছি। এবারের দুর্গাপূজায় বিক্রি গত বছরের চেয়ে অন্তত ২৫ শতাংশ বেশি হয়েছে।’

শান্তিপুরে এক লাখের বেশি তাঁতি ও ব্যবসায়ী রয়েছেন। পূর্ব ভারতের শাড়ির ব্যবসার অন্যতম বড় কেন্দ্র এই শহর। নদীয়া জেলার এই অঞ্চল সুতি শাড়ির জন্য বিখ্যাত। বিশেষ করে শান্তিপুর সুতি শাড়ি দেশজুড়ে জনপ্রিয়। পাশের হুগলি ও মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেও সুতি শাড়ি উৎপাদন হয়। এগুলো শুধু দেশের বাজারেই নয়, গ্রিস, তুরস্কসহ নানা দেশে রপ্তানি হয়।

নদীয়া জেলার পাইকারি ব্যবসায়ী সঞ্জয় কর্মকারও খুশি এ পরিস্থিতিতে। তার ভাষায়, ‘বাংলাদেশি শাড়ি আমাদের চেয়ে একটু ভালো কাপড়ে তৈরি হয়। সঙ্গে থাকে আকর্ষণীয় প্যাকেজিং। তাই স্থানীয় নারীরা সেগুলো কিনতে পছন্দ করতেন।’ তিনি জানান, তরুণীরা আবার আধুনিক পোশাক—লেগিংস, টপস বা টিউনিকের দিকে ঝুঁকেছেন। তাতে শাড়ির বাজারে ধাক্কা লেগেছিল।

ফ্যাশন ডিজাইনার শান্তনু গুহঠাকুরতা মনে করেন, বাংলাদেশের শাড়ি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের তাঁতি ও ব্যবসায়ীদের জন্য বড় সুবিধা বয়ে এনেছে। এতে শুধু মূল বাজারই সুরক্ষিত হয়নি, নকল ডিজাইনের সস্তা শাড়িও কমে গেছে। ‘দুর্গাপূজার আগে এ সিদ্ধান্ত আসায় শিল্পকে আরও বেশি সহায়তা করেছে’—তিনি বলেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
The navy deployed the warships to protect the mother hilsa

মা ইলিশ রক্ষায় ১৭ যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নৌবাহিনীর

মা ইলিশ রক্ষায় ১৭ যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নৌবাহিনীর

সারাদেশে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ শুরু হয়েছে। ২২ দিনব্যাপী এ অভিযান চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। সরকারের ঘোষিত এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমুদ্র, নদী ও উপকূলীয় এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজগুলো সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৭টি যুদ্ধ জাহাজ ৯টি জেলায় নিয়োজিত রয়েছে। এ অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদপুর এলাকায় বানৌজা ধানসিঁড়ি বা শহীদ ফরিদ ও বিএনডিবি গাংচিল; কক্সবাজার এলাকায় বানৌজা অতন্দ্র, শহীদ মহিবুল্লাহ, দুর্জয়, সাগর ও শহীদ দৌলত; খুলনা এলাকায় বানৌজা মেঘনা, চিত্রা বা তিতাস; বাগেরহাট এলাকায় বানৌজা করতোয়া, আবু বকর বা দুর্গম; পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায় বানৌজা সালাম ও কুশিয়ারা; বরিশাল এলাকায় বানৌজা পদ্মা, চিত্রা বা তিতাস এবং পটুয়াখালী এলাকায় এলসিভিপি-০১৩ বিশেষভাবে টহল দিচ্ছে।

এতে বলা হয়, গভীর সমুদ্রে দেশি-বিদেশি সব প্রকার সৎস্য শিকারীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ এবং অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফটের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ফ্লিটের জাহাজ, ক্রাফট এবং বোটগুলো ইলিশের প্রধান প্রজনন অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, ও মৎস্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে অবৈধ ইলিশ আহরণ ও বিদেশি মাছ ধরার ট্রলারের অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করবে। অভিযানকালে ইলিশ আহরণে নিয়োজিত অসাধু ব্যক্তি ও যান্ত্রিক মৎস্য নৌযানগুলোর ওপর কঠোর আইন প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

এতে আরও জানানো হয়, ইলিশ মাছের প্রজনন ক্ষেত্র সুরক্ষিত রাখা, অবাধ প্রজননের সুযোগ সৃষ্টি এবং জাতীয় অর্থনৈতিক সম্পদ হিসেবে মা ইলিশের সুষ্ঠু সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে নৌ সদস্যরা সর্বদা নিবেদিত। বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সমুদ্রসীমায় ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতীয় মাছ ইলিশের প্রাচুর্য বৃদ্ধি ও মৎস্য সম্পদের সমৃদ্ধিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
I cant play chimini with the fate of 5 million people Salahuddin Ahmed

১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারি না: সালাহউদ্দিন আহমদ

১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারি না: সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘রাষ্ট্র কোনো ছেলেখেলা নয়। ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে আমরা ছিনিমিনি খেলতে পারি না। এই রাষ্ট্রকে একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলতে দিতে হবে।’

এসময় তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের অভিসন্ধির কাছে বিএনপি কোনো দিন মাথা নত করতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন।

শনিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এনডিপি) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের অভিসন্ধির কাছে আমরা কোনো দিন মাথা নত করতে পারি না। এই দেশের জনগণই হচ্ছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক।’

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘কোনো একটি আইনানুযায়ী বৈধ এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ছাড়া বাংলাদেশের সংবিধানকে পরিবর্তন করার কোনো অধিকার আমাদের কারও নেই।’ এমনটা হলে আগামী দুই বছর বা পাঁচ বছর পরে বারবার এই প্রক্রিয়ায় আবার সংবিধান বদলের দাবি উঠবে বলেন তিনি।

গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশ হয়েছে বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা যখনই একটা বৈধ প্রক্রিয়ার কথা বলি, তখন তারা বলে জনগণের অভিপ্রায় এখানে চূড়ান্ত। হ্যাঁ জনগণের অভিপ্রায় চূড়ান্ত। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। সেই অভিপ্রায়ের মধ্য দিয়ে এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা সঠিক; কিন্তু এই অভিপ্রায়কে বাস্তবায়নের জন্য তো আমাদের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়েছে, আর্টিকেল ১০৬–এর দ্বারস্থ হতে হয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন দেখেছি। উপদেষ্টাদের শপথ দেখেছি। আমরা সেটিকে বৈধ প্রক্রিয়া মনে করি।’

সংখ্যানুপাতিক–পদ্ধতি (পিআর) নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ৫৬ শতাংশ মানুষ যে পিআরপদ্ধতি বোঝেই না সেই পদ্ধতি কি আমরা চাইতে পারি? সুতরাং এসব কথাবার্তা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা না করাই উচিত।’

যারা হীন রাজনৈতিক উদ্দেশে জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে—দেশের স্বার্থ, জনগণের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে, তাদের বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে সঠিক রাস্তায় ফেরত আসার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।

নির্বাচনে অস্থিরতা সৃষ্টি করা, বিলম্বিত এবং বানচাল করার জন্য যে শক্তি কাজ করছে, তার পক্ষে একটি রাজনৈতিক দল কাজ করছে বলে সন্দেহ সালাহউদ্দিন আহমদের। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি নির্বাচন বিলম্বিত হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদের উৎপাত হবে আবার।’

বিএনপির শীর্ষ নীতিনির্ধারক ফোরামের এই নেতা বলেন, এখন কথা উঠছে যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ভিত্তিতেই নাকি আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়িত হয়ে যাচ্ছে বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, শুধু সংবিধানের অংশটুকু বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী সংসদের প্রয়োজন এবং সংবিধান সংশোধনের নির্ধারিত প্রক্রিয়া প্রয়োজন। সেই অংশগুলোতে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী জাতীয় সংসদকেই দায়িত্ব দিতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আল হারুন। এতে বক্তব্য রাখেন অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণদলের সভাপতি এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

মন্তব্য

সারা দেশ
Mother hilsa conservation campaign across the country

সারা দেশে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শুরু

সারা দেশে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শুরু

সারা দেশে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ শুরু হয়েছে। ২২ দিনব্যাপী এ অভিযান চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। এদিকে, ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজগুলো সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদপুর এলাকায় বানৌজা ধানসিঁড়ি বা শহীদ ফরিদ ও বিএনডিবি গাংচিল; কক্সবাজার এলাকায় বানৌজা অতন্দ্র, শহীদ মহিবুল্লাহ, দুর্জয়, সাগর ও শহীদ দৌলত; খুলনা এলাকায় বানৌজা মেঘনা, চিত্রা বা তিতাস; বাগেরহাট এলাকায় বানৌজা করতোয়া, আবু বকর বা দুর্গম; পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায় বানৌজা সালাম ও কুশিয়ারা; বরিশাল এলাকায় বানৌজা পদ্মা, চিত্রা বা তিতাস এবং পটুয়াখালী এলাকায় এলসিভিপি-০১৩ বিশেষভাবে টহল দিচ্ছে।

সারা দেশে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের প্রথমদিনের খবর তুলে ধরা হলো;

ইউসুফ হোসেন অনিক, ভোলা: ভোলার বোরহানউদ্দিনে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের প্রথম দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রকাশ্যে বাজারে মা ইলিশ বিক্রির দায়ে অভিযান চালিয়ে ৮৫ কেজি ইলিশ মাছ সহ ৩ জনকে আটক করেছে বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসন । শনিবার অপরাধ প্রতিরোধ ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপজেলার কুঞ্জের হাট বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন , উপজেলা নির্বাহি অফিসার রায়হান-উজ্জামান । পরে জব্দকৃত মাছ ৬ টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয় এবং বিক্রয়ের সাথে জড়িত ০৩ জনকে মৎস সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ৫ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সারা দেশে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শুরু

এ সময় অভিযান পরিচালনা টিমের সদস্য, সিনিয়র উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোাবিন্দ চন্দ্র মন্ডল, ম্যারিন ফিশারিজ অফিসার, থানা পুলিশ, প্যানেল চেয়ারম্যান কাচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ উপস্থিত ছিলেন।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ রায়হান-উজ্জামান জানান, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বরিশাল ব্যুরো: ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমকে সামনে রেখে মা ইলিশ রক্ষায় সারা দেশের মতো বরিশালেও শুরু হয়েছে ২২ দিনের বিশেষ অভিযান। শনিবার সকালে নগরীর ডিসি ঘাট থেকে নৌ র্যালির মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

সারা দেশে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শুরু

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত মীর মোহাম্মদ আসলাম, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নৌ-র‌্যালীতে অংশ নেন প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, মৎস্য ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

জেলা প্রশাসক জানান, এ সময়ে ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। কেউ আইন ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। মা ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে এবার নদীতে টহলের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো আকাশে ড্রোন ব্যবহার করে নজরদারি চালানো হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকায় অনিয়ম ঠেকানো সহজ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অভিযান চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এই সময়ে নদীতে না নামতে জেলার প্রায় ৬৬ হাজার জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। বরিশালসহ উপকূলীয় অঞ্চলের হাজারো জেলেকে এ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। প্রতিবছরের মতো এবারও মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম সফল হলে দেশে ইলিশ উৎপাদন আরও বাড়বে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইলিশের স্থায়ী প্রজনন ক্ষেত্র নিশ্চিত হবে।

মইনুল হক মৃধা, রাজবাড়ী: মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে সকালেই অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা। শনিবার সকাল ১০ টায় থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সম্পর্কিত উপজেলা ট্রাস্কফোর্স গোয়ালন্দের আয়োজনে দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাট থেকে শুরু করে, চর কর্ণেশন, চর মজলিসপুর, ধোলাইয়ের চর, কলা বাগান চ্যানেলসহ পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সারা দেশে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শুরু

সরজমিনে অভিযানে থেকে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে পদ্মা নদীতে কোনো জেলে দেখা যায়নি। তবে নদী পাড়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে অসাধু কিছু জেলে জাল রেখেছিল। প্রশাসনের ট্রলার দেখে তার নদীর সরু গলিতে তাদের মাছ ধরা ট্রলার নিয়ে চলে যায়। এরমধ্যেই একটি মাছ ধরা ট্রলার ফেলে ২-৩ জন জেলে দৌড়ে পালায়। পরে সেই ট্রলার, জাল জব্দ করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদুর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট, মা ইলিশ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের দাড়িত্বে থাকা পেটি অফিসার শাহিন আলম, দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মেহেদী হাসান অপূর্ব সহ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের দল।

এ বিষয়ে ইউএনও মোঃ নাহিদুর রহমান বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কঠোর অবস্থানে থেকে অভিযান পরিচালনা চলছে এবং এ অভিযান প্রতিদিনই পরিচালনা করা হবে। এসময় নদীতে থাকা জেলেদের আটকসহ জাল ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ এবং আটকৃতদের মৎস্য আইন অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হবে। সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময় পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আজ নদী থেকে আনুমানিক ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল, মাছ শিকারে ব্যবহৃত একটি ট্রলার ও দেড় কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত জাল ফেরিঘাটে এনে পুড়িয়ে ফেলা, মাছগুলো নদীর তীরবর্তী অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় এবং নৌকাটি নৌ পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।

আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় এবারের অভিযান আরও জোরালো করা হবে। যাতে কেউ পদ্মা নদী থেকে নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ ধরতে না পারে। প্রশাসনের পাশাপাশি সচেতন নাগরিকদের সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।

জামাল হোসেন পান্না, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে “মা ইলিশকে ২২ দিন ডিম ছাড়ার সুযোগ দিন, ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন” — এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মেঘনা নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

সারা দেশে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শুরু

উপজেলা মৎস্য অফিস ও সলিমগঞ্জ নৌ পুলিশের যৌথ উদ্যোগে ধরাভাঙ্গা, বড়িকান্দি ও মানিকনগর এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।

জানা যায়, সরকার ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে নবীনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আক্কাস আলী এবং সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক হায়দার তালুকদার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রায় দেড় লাখ টাকার অবৈধ জাল জব্দ করে নদীর পাড়ে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান : দেশজুড়ে শুরু হয়েছে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি অভিযান। প্রতি বছরের মতো এবারও মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনব্যাপী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ঝালকাঠি জেলায় এ উপলক্ষে জেলা মৎস্য দপ্তরের তৎপরতা দেখা গেলেও বাস্তবে কতটা সফল হবে এ অভিযান তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে প্রশ্ন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে আগামী ২২দিন মা ইলিশ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এজন্য নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড, র‌্যাব, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে নদীতে টহল জোরদার করা হবে। ঝালকাঠি জেলায় দিনে ও রাতে পৃথকভাবে ৮টি টহল টিম অভিযান পরিচালনা করবে। পাশাপাশি জেলেদের সচেতন করতে আগে থেকেই বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালানো হয়েছে।

তবে মাঠপর্যায়ে এসব কার্যক্রম কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, প্রতি বছরই অভিযান চললেও অনেক জায়গায় গোপনে মা ইলিশ ধরা ও বিক্রি অব্যাহত থাকে। তাই শুধুমাত্র হাকডাক নয়, কঠোর নজরদারি ও বাস্তবায়নই পারে এই উদ্যোগকে সফল করতে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার সঠিক বাস্তবায়ন হলে ইলিশের প্রজনন সুরক্ষিত হবে এবং আগামীতে আরও বেশি ইলিশ পাওয়া যাবে। এখন দেখার বিষয় কথায় নয়, বাস্তবে কতটা কার্যকর হয় এ অভিযান।

বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি : বরিশাল বাকেরগঞ্জে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার থেকে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান শুরু হয়। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সরকার ঘোষিত। এই ২২ দিনে সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয় বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ। সরকার ঘোষিত এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনস্বার্থে দিনভর মাঠে দেখা যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ কে।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ সকাল আটটায় সরকার ঘোষিত কর্মসূচি মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে নামেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ। এ সময় তার সাথে অভিযানে অংশ নেন বাকেরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম।

উপজেলা মৎস্য দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন । উপস্থিত ছিলেন বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা। সকাল আটটায় অভিযান শুরু করে তুলাতলি, পায়রা, কারখানা নদী সহ বিভিন্ন নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজের নেতৃত্বাধীন দলটি। মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে প্রথম দিনেই বেশকিছু জাল জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ।

মৎস্য দপ্তরের আয়োজিত এই অভিযানে প্রতিটি এলাকায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ বলেন উপজেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তিনি জনস্বার্থে তথ্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে সহায়তা করতে আহ্বান জানান।

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের উদ্যোগ নিয়েছেন কর্ণফুলী উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আলীম। শনিবার বিকাল ৩টায় উপজেলার কলেজ বাজার ও ব্রিজঘাট বাজারে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মা ইলিশ সংরক্ষণে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সারা দেশে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শুরু

এ সময় কর্ণফুলী উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আলীম বলেন, “৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চলবে এবং নদীতে সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। এটি সরকারি নির্দেশনা। সবাইকে তা মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ২২ দিনের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে। এই সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় এবং বিনিময় নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।

আইন অমান্যকারীদের শাস্তি কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, অথবা সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা জরিমানা, অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে বলে অবহিত করা হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Soylab Comilla city

অসময়ের তরমুজে সয়লাব কুমিল্লা নগরী

অসময়ের তরমুজে সয়লাব কুমিল্লা নগরী

কুমিল্লা নগরীর অন্তত ১৫টি পয়েন্টে প্রতিদিন বেচাকেনা হচ্ছে হাজার হাজার কেজি তরমুজ। ফলে মৌসুমের বাইরে তরমুজের স্বাদ মেলালেও কিছুটা ভোগান্তি বাড়ছে ফুটপাতে যাতায়াতে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব তরমুজ এসেছে রাজশাহীর কানসাট এলাকা থেকে। মাচা পদ্ধতিতে অসময়ে বাম্পার ফলন হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে এবং বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। রাজশাহী থেকে কেজি প্রতি ৩০–৪০ টাকায় পাইকারি দরে বিক্রি হলেও কুমিল্লা শহরে তা ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে বেশি দামে।
প্রতিদিন প্রায় ৪০–৫০ জন খুচরা ব্যবসায়ী এসব তরমুজ বিক্রি করছেন। অপরদিকে নগরবাসীকে পড়তে হচ্ছে কিছুটা ভোগান্তিতে। রাস্তাজুড়ে বেনগাড়ি দখল করায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ফলে সাধারণ মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিচ্ছে।

অসময়ের তরমুজে সয়লাব কুমিল্লা নগরী
এ বিষয়ে এক খুচরা ব্যবসায়ী রাজু জানান, “আমরা আগে সবজি বিক্রি করতাম। এখন তরমুজের চাহিদা ভালো থাকায় এ ব্যবসায় নেমেছি। এতে সংসার চলছে। বাধা এলে আবার অন্য কিছু করব।”

তরমুজের উপকারিতা নিয়ে কৃষিবিদ হোসেন মিয়া বলেন, “তরমুজে ভিটামিন এ, সি, বি-৫, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। শরীর ঠান্ডা রাখা, হজমে সহায়তা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তরমুজ কার্যকর।”

তবে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, এলোমেলোভাবে এসব বেনগাড়ি রাস্তায় বসানোর ফলে শহরের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

পরিবেশবিদ নাসির উদ্দীন বলেন, “ছোট শহরে এমন দখলদারিত্ব অচলাবস্থা তৈরি করছে। সিটি কর্পোরেশনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ তৈরি করা।”
অন্যদিকে মৌসুম ছাড়া তরমুজের স্বাদ পেয়ে আনন্দিত কিছু ক্রেতা, তবে তারই পাশাপাশি যানজট ও হয়ে উঠেছে নতুন দুশ্চিন্তা।

মন্তব্য

p
উপরে