চট্টগ্রামে এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার পেয়েছেন কমপক্ষে ছয় শ শিল্পী, শ্রমিক ও দিনমজুর। খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার পাঁচ শ পরিবার পেয়েছেন সরকার প্রধানের এমন উপহার।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘গত একবছর থেকে আমরা করোনার সঙ্গে লড়াই করছি। এ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
চট্টগ্রাম
এবার চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়েছেন ছয়’শ শিল্পী, শ্রমিক ও দিনমজুর।
বুধবার দুপুরে নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এসব উপহার তাদের হাতে তুলে দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) বদিউল আলম।
এসব উপহার সামগ্রীর প্রতি প্যাকেজে ছিল ৮ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ লিটার সয়াবিন তেল ও ১টি সাবান।
ত্রাণ বিতরণকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) বদিউল আলম বলেন, ‘করোনায় লকডাউনের কারণে কর্মহারা দুঃস্থ শিল্পী, কলাকুশলী, অস্বচ্ছল নির্মাণ শ্রমিক, ভ্যান চালক, দিনমজুর, বেদে ও অন্যান্য শ্রেণি পেশার কর্মহীন মানুষদেরকে ত্রাণের আওতায় আনতে জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন।
‘লকডাউনে কর্মহারা কেউ সরকারী ত্রাণ পাওয়া থেকে যাতে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নজরদারী করা হচ্ছে। আমরা চাই এই পরিস্থিতিতে কেউ অনাহারে ও কষ্টে থাকবেনা। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে সাহায্য নিতে লজ্জ্বাবোধ করে, সাহায্য চেয়ে আমাদের কাছে টেলিফোন ও এসএমএস করছেন তাদের বাসা-বাড়িতে গিয়ে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, মহামারি করোনা থেকে রক্ষা পেতে হলে মাস্ক পরার পাশাপাশি শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে, জরুরী প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে একজন আরেক জনের কাছ থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস.এম জাকারিয়া, এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী, জেলা শিল্পকলা একাডেমি কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাট্য ব্যক্তিত্ব সাইফুল আলম বাবু, জেলা কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন সিকদার ও নাট্যব্যক্তিত্ব তাপস শেখর দাশ সহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা।
খুলনা
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজন ও অর্থায়নে করোনায় কর্মহীন সাড়ে পাঁচশত পরিবারের মাঝে বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন প্রধানমন্ত্রীর এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে দিঘলিয়া উপজেলায় করোনার প্রভাবে কর্মহীন, দু:স্থ, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও সাড়ে পাঁচশত কর্মহীনের মাঝে উপহার সামগ্রী দেয়া হয়। প্রতি জনকে চাল ১০ কেজি, এক কেজি ডাল, তেল ৫০০ মিলিলিটার, আলু দুই কেজি, পেঁয়াজ এক কেজি, চিনি ৫০০ গ্রাম, দুধ ৫০০ গ্রাম ও সেমাই এক প্যাকেট দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক উপজেলায় বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধন এবং সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলার উদ্বোধন করেন। পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন ঘরে ঘরে গিয়েও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
এছাড়া তিনি দিঘলিয়া উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মানুষের মাঝে এমন উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্যা মো. আকরাম হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলমসহ উপজেলার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ময়ময়সিংহ
এসময় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘গত একবছর থেকে আমরা করোনার সঙ্গে লড়াই করছি। এ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মানুষকে নিরাপদ রাখার স্বার্থে লকডাউনে অসহায়-দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্য ও উপহার দিচ্ছেন। আমরা তা সবার কাছে এবং একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেবার চেষ্টা করেছি। করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী মানবতার যে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন তা বিশ্বে বিরল।
বুধবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটে জয়নুল আবেদিন পার্ক বৈশাখী মঞ্চে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২১০ জন অসহায়-দরিদ্র হোটেল বয় এবং পত্রিকার হকারদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য ও উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীমিত সম্পদ দিয়ে মানুষকে সর্বাত্মক ভালো রাখার চেষ্টা করছেন। প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি। আমাদেরও উচিত তার হাতকে শক্তিশালী করা এবং তার জন্য দোয়া করা।’
মেয়র তার বক্তব্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে সবসময় এবং সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং নিয়মিত বিরতিতে সাবন-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী পেয়ে অত্যন্ত খুশি অসহায়-কর্মহীনরা। প্রাদুর্ভাবের সময় সহায়তা দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।
উপহার সামগ্রীর প্রতি প্যাকেজে ছিল ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি পেয়াজ, ১ কেজি আলু, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবন, ১ লিটার তেল ও ১ প্যাকেট সেমাই।
খাদ্য উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম ও ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন:
কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন
র্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।
মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।
পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।
কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।
ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”
স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শপথ গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী আয়োজিত ‘লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই মাসে নিহত শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ। তিনি উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, দুর্নীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকার করেন অংশগ্রহণকারীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, "জুলাই পুনর্জাগরণ কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি আমাদের চেতনার বাতিঘর। সেই শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আজকের এই সম্মিলিত শপথ হোক দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার একটি নতুন অঙ্গীকার। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারে।"
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম উর্মি, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।
বক্তারা জুলাইয়ের শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের এই সফল আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে এক নতুন মাত্রা দেয়। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি কালীগঞ্জের মানুষের মধ্যে দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।
ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।
টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।
তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।
চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝাড়ি বাজারের করতোয়া নদীসংলগ্ন এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।
দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক্টরসহ চালক রাজু ইসলাম ও শান্ত আহমেদকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আদালতের রায়ে রাজু ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা লঙ্ঘন করায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। তবে রাজু ইসলাম অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় ট্রাক্টর দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য