× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
অভিযোগ ডিসির কাছে তুলে নিয়ে শাসাল ইউএনও
google_news print-icon

উপহারের ঘর নিয়ে অভিযোগ: যুবলীগ নেতাকে তুলে নিলেন ইউএনও

উপহারের-ঘর-নিয়ে-অভিযোগ-যুবলীগ-নেতাকে-তুলে-নিলেন-ইউএনও
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর ঘর বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বরগুনার আমতলী উপজেলায়। ছবি: নিউজবাংলা
জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের কাছে কামাল রাঢ়ী ২২ এপ্রিল লিখিত অভিযোগে জানান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীনে আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৫০টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। ইউএনও অফিসের সাঁটলিপি মুদ্রাক্ষরিক কাম অফিস সহায়ক এনামুল হক বাদশার গ্রামের বাড়ি ওই ইউনিয়নের হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামে। প্রকল্পে প্রভাব বিস্তার করে ঘুষ নিয়ে আত্মীয়স্বজনের নামে বাদশা ৩০টি ঘর বরাদ্দ দেন।

বরগুনার আমতলীতে ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সহায়কের অনিয়মের অভিযোগ করায় অস্ত্রের মুখে হুমকি দেয়া হয়েছে জানিয়েছেন এক যুবলীগ নেতা।

কামাল রাঢ়ী নামের ওই যুবলীগ নেতার অভিযোগ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) আসাদুজ্জামান ও তার অফিস সহকারী এনামুল হক বাদশা তাকে তুলে নিয়ে অস্ত্রের মুখে হুমকি ও ভিডিও ধারণ করেছেন।

কামাল রাঢ়ী আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের কাছে কামাল রাঢ়ী ২২ এপ্রিল লিখিত অভিযোগে জানান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীনে আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৫০টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। ইউএনও অফিসের অফিস সহায়ক এনামুল হক বাদশার গ্রামের বাড়ি ওই ইউনিয়নের হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামে। প্রকল্পে প্রভাব বিস্তার করে ঘুষ নিয়ে আত্মীয়স্বজনের নামে বাদশা ৩০টি ঘর বরাদ্দ দেন।

কামাল রাঢ়ীর অভিযোগ, জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগের পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বাদশা। ২৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুজন মুসুল্লির নেতৃত্বে ৭-৮ জন কামালকে হরিদ্রাবাড়িয়া এলাকা থেকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়।

তুলে নেয়ার সময় সুজন মুসুল্লি বলেন, ‘বাদশা ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিছস, তোরে ভাই যাইতে কইছে।’

উপহারের ঘর নিয়ে অভিযোগ: যুবলীগ নেতাকে তুলে নিলেন ইউএনও
যুবলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে হুমকির অভিযোগ উঠেছে আমতলীর ইউএনও আসাদুজ্জামান ও তার অফিস সহায়ক বাদশার বিরুদ্ধে

সেখান থেকে প্রথমে কামালকে পায়রা নদীর তীরবর্তী আঙুলকাটা নামক স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে অস্ত্রের মুখে হুমকি দিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়া হয় বলে জানান কামাল রাঢ়ী।

তিনি জানান, কয়েক ঘণ্টা তাকে আটকে রাখার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে নেয়া হয় ইউএনও আসাদুজ্জামানের বাসায়। পরে ইউএনও ও তার অফিস সহকারী বাদশা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে চাপ দেন।

কামাল রাঢ়ী বলেন, ‘তারা আমাকে ‘বাদশার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ মিথ্যে ছিল’ এমন কথা বলতে বাধ্য করে ভিডিও করেন। এরপর রাত দেড়টার দিকে ইউএনওর বাসা থেকে আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়।’

কামাল রাঢ়ীকে কিছু লোক তুলে নিয়ে গেছে উল্লেখ করে একই ইউনিয়নের কামাল মৃধা নামের এক ব্যক্তি ২২ এপ্রিল রাতেই আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

কামাল মৃধা জানান, তার সামনে থেকে তিন-চারটি মোটরসাইকেলে সুজন মুসুল্লি ও আরও সাত-আটজন ব্যক্তি কামাল রাঢ়ীকে তুলে নিয়ে যায়।

ঘর বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পর ইউএনও অফিসের অফিস সহায়ক এনামুল হক বাদশাকে বেতাগী উপজেলায় বদলি করেছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম নিউজবাংলাকে জানান, শনিবার রাতে কামাল মৃধা নামের এক ব্যক্তি যুবলীগ নেতা কামাল রাঢ়ীকে অপহরণের লিখিত অভিযোগ করেন। এতে বাদশার নির্দেশে সুজন মুসুল্লির নেতৃত্বে হাবিব গাজীসহ ৭-৮ ব্যক্তি জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ওসি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পুলিশ কামাল রাঢ়ীকে খুঁজতে কাজ শুরু করে। পরে পুলিশ জানতে পারে, কামালকে তুলে নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর পর ইউএনওর বাসায় ভিডিও ধারণ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার বরাদ্দ করা ঘর পরিদর্শনে যান আমতলীর ইউএনও আসাদুজ্জামান। সেখানে ঘর বরাদ্দে কোনো অনিয়ম হয়নি বলতে স্থানীয়দের চাপ দেয়ার অভিযোগ করে অনেকেই।

অবশ্য স্থানীয়দের কোনো ধরনের চাপ দেয়া হয়নি দাবি করে ইউএনও আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি ওই এলাকায় গিয়েছিলাম। অনিয়মের বিষয়ে এলাকাবাসীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।’

কামাল রাঢ়ীকে অপহরণ ও সরকারি বাসায় নিয়ে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। কয়েকজন লোক আমার বাসায় কামাল রাঢ়ীকে খুঁজতে এসেছিল, আমি তাদের আমতলী থানায় যোগাযোগ করতে বলেছি।’

বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান ঘরের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে অভিযুক্ত এনামুল হক বাদশাকে বেতাগী ইউএনও অফিসে বদলি করা হয়েছে।’

যুবলীগ নেতাকে অপরহণ ও ভীতি প্রদর্শন এবং ইউএনওর বাসায় ভিডিও ধারণের বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

আরও পড়ুন:
‘তোমরা তো একটা মরার জায়গা পাইছ’
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ভাঙচুর: গ্রেপ্তার ৫
মুজিববর্ষ: নওগাঁয় ঘরহীন মানুষের হাসিমুখ
‘স্বপ্নের ঘরে’ স্বস্তির জীবনের অপেক্ষায়
‘ঘর প্যালে লিজের একটু মাথা গুঁজার ঠাঁই হোবে’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Training for UNOs began on October 20
জাতীয় সংসদ নির্বাচন

ইউএনওদের প্রশিক্ষণ শুরু ২০ অক্টোবর

ইউএনওদের প্রশিক্ষণ শুরু ২০ অক্টোবর

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) জন্য নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পাঠানো চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনওদের এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত আজমেরী হক এর স্বাক্ষরিত চিঠি নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ২০ অক্টোবর থেকে প্রশিক্ষণ শুরু করা হবে। যা চলবে আগামী ১১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ (সম্ভাব্য) পর্যন্ত। প্রশিক্ষণটি হবে ১২টি সেশনে দুই দিনব্যাপী। দুটি করে ব্যাচে মোট ৫০ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (প্রতি ব্যাচে ২৫ জন) অংশগ্রহণ করবেন।

চিঠিতে সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ঢাকায় ব্যাচভিত্তিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদেরকে নির্দেশক্রমে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ এই কর্মকর্তারা নির্বাচন ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Mukta Sharma a terminally ill Class 3 student in Atwari wants to live

আটোয়ারীতে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ৩য় শ্রেণির শক্ষার্থী মুক্ত শর্মা বাঁচতে চায়

আটোয়ারীতে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ৩য় শ্রেণির শক্ষার্থী মুক্ত শর্মা বাঁচতে চায়

পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে দুরারোগ্য ব্রেইন স্টোক রোগে আক্রান্ত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী শিশু মুক্ত শর্মা (১১) বাঁচতে চায়।

সে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের হতদরিদ্র দীপক শর্মা ও মুক্তা রাণী শর্মা দম্পতির ছেলে এবং রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। অসুস্থতার কারণে তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ রয়েছে।

উন্নত চিকিৎসার অভাবে যত দিন যাচ্ছে স্কুল ছাত্র শিশু মুক্ত শর্মা’র অসুস্থতা ততই বেড়ে যাচ্ছে। দুর্বল হয়ে পড়ছে সে। এভাবে সময় পার হলে এ সুন্দর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করবে এমন আশঙ্কা করছে মুক্ত শর্মা’র পরিবার। মুক্তা শর্মা’র বাবা সেলুন ব্যবসায়ী দীপক শর্মা আবেগাপ্লুত কন্ঠে জানান, ২০২৪ সালে ছেলের ব্রেইন স্টোক হয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নিউরোলজি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা. সুকুমার মজুমদারের চিকিৎসা করেছি। তার পরামর্শ নিয়ে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি বিভাগের স্টোক এন্ড ইন্টারভেনশনালহেড অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি দে’র চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুয়ায়ী, মুক্ত শর্মাকে বাঁচাতে হলে দ্রত ব্রেইন অপারেশন করতে হবে। এতে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।

মুক্ত শর্মা’র বাবা-মা কেঁদে কেঁদে বলেন, ছেলের চিকিৎসা খরচ মেটাতে গিয়ে নি:স্ব হয়ে গেছি। ভিটেবাড়ীর জমিটুকুও বিক্রি করে তার চিকিৎসা খরচ চালিয়েছি। পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসা করানোর মত আর কোন সহায় সম্বল নাই। শিশুটির বাবা-মা সন্তানের এমন অবস্থায় বাকরুদ্ধ। চোখে মুখে অন্ধকার ছাড়া কিছুই দেখছেন না। তার আপন সন্তানের চিকিৎসায় এত টাকা কোথায় পাবে তা নিয়ে চিন্তিত। কে দেবে এতটাকা, তাও বলতে পারছেন না।

এমতাবস্থায় ফুট ফুটে ১১ বছর বয়সী এ শিশুটির জীবন বাঁচাতে পরিবারের পক্ষ থেকে সমাজের বিত্তবান, দানশীল,বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা সহ দেশ-বিদেশের স্ব-হৃদয়বান মানুষদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

রোগাক্রান্ত শিশু মুক্ত শর্মা’র আকুতি, আপনারা আমাকে বাঁচাতে সাহায্য করুন, আমি বাঁচতে চাই। আমি ভালো হয়ে স্কুলে পড়তে যাবো।

শিশু মুক্ত শর্মাকে চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে যোগাযোগ : মুক্ত’র পিতা দীপক শর্মা: ০১৭৬৪৯৭০৪৭৮ (নগদ/বিকাশ)।

মন্তব্য

সারা দেশ
A robbery at a jewelers factory in Pangshay

পাংশায় জুয়েলার্সের কারখানায় দুর্ধর্ষ চুরি

পাংশায় জুয়েলার্সের কারখানায় দুর্ধর্ষ চুরি

রাজবাড়ীর পাংশায় জুয়েলার্সের কারখানায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পাংশা পৌরশহরের স্টেশন রোডের কাজী সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ‘সিকদার জুয়েলার্সের কারখানা’তে বুধবার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে
কারখানার কারিগররা প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষ করে কারখানা বন্ধ করে চলে যান। গভীর রাতে কোনো একসময় সংঘবদ্ধ চোরের দল জানালার গ্রীল কেটে কারখানার ভিতরে প্রবেশ করে এ চুরি সংঘটিত করে।
বৃহস্পতিবার সকালে কারিগররা দোকান খুলে দেখেন, ড্রয়ারগুলো ভাঙা ও কারখানার সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে দোকান মালিক সঞ্জীব সিকদার পাংশা মডেল থানায় জানান।
সিকদার জুয়েলার্সের মালিক সঞ্জীব সিকদার বলেন, "কারিগররা কাজ শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কারখানা বন্ধ করে চলে যায়। সকালে এসে কারখানা খুলে দেখে সবকিছু এলোমেলো ও কারিগরদের ড্রয়ার ভাঙা।" তিনি আরও জানান, "কারখানা থেকে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণ ও ৩০ থেকে ৩৫ ভরি রূপা চুরি হয়েছে।"
একই রাতে শহরের অনুপ দত্ত নিউ মার্কেটের ছাদে অবস্থিত মৌচাক রেস্টুরেন্টেও চুরির ঘটনা ঘটে। রেস্টুরেন্টের মালিক নাজমুল আলম বলেন, "রাতে আমার দোকানের জানালা দিয়ে চোর ভিতরে ঢুকে প্রায় ২ হাজার ২ শত টাকার সিগারেট নিয়ে গেছে।"
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার এবং পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সহকারী পুলিশ সুপার দেবব্রত সরকার বলেন, “সিকদার জুয়েলার্সের একটি কারখানায় গত রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং তদন্ত শুরু করেছি। বাজারের বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে পারব।”
এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
No compromise on votes Mirza Fakhrul

ভোট নিয়ে কোনো আপোষ নয় : মির্জা ফখরুল

ভোট নিয়ে কোনো আপোষ নয় : মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করে বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারকে সবাই ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছে- যেন নির্বাচন না হয়; ভোট নিয়ে কোনো আপোষ নয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের দানার হাটে এক সভাতে ইউনিয়নবাসীর সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের ভোট দেয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে নতুন করে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছে। সামনের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন। বিএনপি ৩১দফায় সংস্কারের প্রস্তাব করেছে। সরকার যা এখন করছে।

তিনি আরও বলোন, কয়েকটা দল পিআর নিয়ে চিৎকার করছে। পিআর বোঝেনা কেউ। ভোট হবে এক ব্যক্তি এক ভোট। যা মানুষ বোঝেনা তা কেনো হবে? সবাই একমত হলে বিএনপি চিন্তা করে দেখবে। দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনা হবে নির্বাচিত সংসদে।

মন্তব্য

সারা দেশ
NCP will not sign July charter without legal basis

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নাটকীয়তায় অংশ নেবে না এনসিপি।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোনো ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য হয়নি। বরং একটি ফ্যাসিবাদী কাঠামো সংস্কারের জন্য হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের কথা বলেছিলাম।’

এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ সনদ স্বাক্ষরের আগেই প্রকাশ করতে হবে। জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়কে প্রাধান্য দিয়ে এ আদেশ প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন।’

তিনি বলেন, ‘স্বাক্ষরের আগেই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় দলগুলোর ঐক্যমত হতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করেই আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়টা বিবেচনা করব। আদেশের টেক্সটের খসড়া আমরা আগে দেখতে চাই। প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শক্তিতে সরকার গঠন করেছেন, সেই জায়গা থেকে সেটা প্রেসিডেন্ট নয় বরং সরকার প্রধান হিসেবে তিনি সেটি জারি করবেন।’

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘গণভোট দ্বারা জনগণ সনদের পক্ষে ভোট দিলে পরের সংসদকে কনস্টিটিউট পাওয়ার দেওয়া হবে। সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করতে এই দাবির সঙ্গে মোটামুটি সবাই একমত। এটার সংশোধনী হবে কিনা আমাদের কাছে কিন্তু তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদে ৮৪টি সংস্কারের বিষয়ে গণভোট হবে। এতে নোট অব ডিসেন্টের আলাদা কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। গণভোটের প্রশ্ন কি হবে তা আগেই চূড়ান্ত করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব ও আহ্বায়ক জাবেদ রাসিনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

মন্তব্য

সারা দেশ
The ministry warned 66 agencies

৬৬টি এজেন্সিকে সতর্ক করলো মন্ত্রণালয়

৬৬টি এজেন্সিকে সতর্ক করলো মন্ত্রণালয়

২০২৬ সালে হজে যেতে ৬৬টি এজেন্সি থেকে ৫৩৭ জন প্রাক-নিবন্ধন করলেও একজনও প্রাথমিক নিবন্ধন করেননি। তাই এই এজেন্সিগুলোকে সতর্ক করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ ইস্যুতে সম্প্রতি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, সৌদি সরকার ঘোষিত হজের রোডম্যাপ অনুযায়ী ২০২৬ সালের হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় ১২ অক্টোবর শেষ হয়েছে। নিবন্ধনের সময় বিশেষ বিবেচনায় ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু ৬৬টি এজেন্সিতে ৫৩৭ জন প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী থাকা সত্ত্বেও অদ্যাবধি কোনো হজযাত্রীর নিবন্ধন করা হয়নি।

‘হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন ২০২৬’ এর অনুচ্ছেদ ১৩ (১৩) অনুযায়ী একটি এজেন্সি ন্যূনতম ৪৬ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করবে এবং এজেন্সির যোগ্য তালিকা প্রকাশের পত্রে উল্লিখিত শর্ত অনুযায়ী কোনো এজেন্সি হজ ২০২৬ মৌসুমে যৌক্তিক কারণ ছাড়া হজযাত্রীর নিবন্ধন (প্রাক-নিবন্ধন নয়) না করলে সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় চিঠিতে আরও জানিয়েছে, সংযুক্ত তালিকার ৬৬টি এজেন্সির ৫৩৭ জন প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীর মধ্যে হজে গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন সম্পন্ন বা অন্য এজেন্সিতে স্থানান্তরপূর্বক হজে গমন নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এজেন্সির কারণে কোনো হজযাত্রীর হজে গমন বিঘ্নিত হলে তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে বহন করতে হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
HSC Result Fails are more in those three subjects

এইচএসসি ফলাফল : যে তিন বিষয়ে ফেল বেশি

এইচএসসি ফলাফল : যে তিন বিষয়ে ফেল বেশি

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। এবার গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ বছর জিপিএ৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।

এবারের ফলাফলে বিশ্লেষণে দেখা যায়, এইচএসসি পরীক্ষায় এবার শিক্ষার্থীর তিন বিষয়ে বেশি ফেল করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষায় এবার বেশি ফেল করেছেন হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে। এবার এই বিষয়ে ফেল করেছেন ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর ইংরেজিতে ফেল করেছেন ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ। আইসিটিতে ২৭ দশমিক ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার সভাকক্ষে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফলাফল বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে এ বছর বরাবরই এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। মোট পাস এবং জিপিএ-৫ এর দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছেন তারা। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট ছাত্রের চেয়ে ৮৭ হাজার ৮১৪ জন বেশি ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ছাত্রের চেয়ে ৫ হাজার ৯৭ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন অংশ নেন। উত্তীর্ণ হন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। ছাত্র উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৪ জন। ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬ জন। ছাত্রদের পাসের হার ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। ছাত্রীদের পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ৩২ হাজার ৫৩ জন ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়ছেন, আর ৩৭ হাজার ৪৪ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়ছেন।

মন্তব্য

p
উপরে