× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
লকডাউনে মাছের আড়তে প্রতিদিনই জটলা
google_news print-icon

লকডাউনে মাছের আড়তে প্রতিদিনই জটলা

লকডাউনে-মাছের-আড়তে-প্রতিদিনই-জটলা-
বাজারের বাইরে ব্যানার টাঙিয়ে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করার আহ্বান জানানো আছে। কিন্তু সেটি উল্টে আছে। সেসব নির্দেশনা মানা হচ্ছে কি না, সেই নজরদারিতে দেখা যায়নি কাউকে। বাজার থেকে কিছু দূরেই আশুলিয়া থানা। লকডাউন চলাকালে এই বাজারে কয়েক হাজার মানুষের আনাগোনা চোখে পড়ে বেশ দূর থেকেও। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের সেখানে টহল দিতে দেখা যায়নি একবারও।

সর্বাত্মক লকডাউনেও জমজমাট সাভারের মাছের আড়ত। ভোরের আলো ফোটার আগেই সেখানে জড়ো হতে থাকে লোকজন। সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত থাকে জটলা।

গাদাগাদি করে মাছ বেচাকেনায় ব্যস্ত মানুষের মধ্যে নেই করোনার ভয়। কারও কারও মুখে কদাচিৎ দেখা যায় মাস্ক, যা নামানো থাকে থুতনিতে। কারও মাস্কটি থাকে হাতে কিংবা পকেটে। স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা ওই পর্যন্তই।

কঠোর লকডাউন শুরুর দিন থেকেই নিউজবাংলার প্রতিবেদক নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক-ঘেঁষা আশুলিয়া থানা মৎস্য ব্যবসায়ী মার্কেট ঘুরেছেন। প্রতিদিন সকালেই সেখানে দেখা গেছে জটলা। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা এখানে আসেন। কেনাবেচা চলে দেদার।

লকডাউনের মধ্যে এমন সমাগমে করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা যে আছে, বাজার কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে উদাসীন। তাদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আড়ত চালানোর ব্যাপারে তারা সজাগ রয়েছেন। বাজারের বাইরে ব্যানার টাঙিয়ে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করার আহ্বান জানানো আছে।

কিন্তু রোববার গিয়ে দেখা গেল, সেটি উল্টে আছে। ব্যানার থাকলেও নির্দেশনাগুলো মানা হচ্ছে কি না, সেই নজরদারিতে দেখা যায়নি কাউকে। বাজার থেকে কিছু দূরেই আশুলিয়া থানা। লকডাউন চলাকালে এই বাজারে কয়েক হাজার মানুষের আনাগোনা চোখে পড়ে বেশ দূর থেকেও। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের সেখানে টহল দিতে দেখা যায়নি একবারও। উপজেলা প্রশাসনেরও নেই নজরদারি।

বাজারে মাছ বিক্রি করতে এসেছেন হাজি শাহাদাত হোসেন। করোনার মধ্যেও কেন এই ভিড়ভাট্টায় এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত মাছ বিক্রি হয়। আগের থাইকা পাইকার অনেক কম। যারা আশপাশের পাইকার এরাই শুধু আসতেছে। দূরের পাইকার আসতে পারতাছে না।’

লকডাউনে মাছের আড়তে প্রতিদিনই জটলা

মাস্ক কেন পরেন নাই, এমন প্রশ্নে বলেন, ‘আমি মাস্ক খুলে রাখছি এ জন্য যে আমি কথা বললে দূরের থেকে শুনতে পারে না। মাস্ক হাতে ছিল। লোকজন নাই, ফাঁকা, তাই খুলে রাখছি।’যদিও সে মূহুর্তই তার আশপাশে ছিল অন্তত অর্ধশত মানুষ।

আড়তের আরেক মাস্কহীন বিক্রেতা সাংবাদিক পরিচয় শুনে নাম জানাতে চাননি। তিনি বলেন, ‘মাছটা নামাইছি তো, সাজাইতেছি। মাস্ক পকেটে আছে তো। মাছের পানি ছিইট্টা আহে দেইখা ময়লা মাইখা যায়। মাছের পানি ছিটে প্রচুর। এর জন্য খুইলা রাখছি।’

করোনার ভয়াবহতার বিষয়ে বোঝানোর পর দ্রুত মুখে মাস্ক লাগিয়ে বলেন, ‘আমারই ক্ষতি হয়। সমস্যা আমারই এইডা। অজুহাত দেয়াটা ঠিক হয় নাই।’

অনেক মানুষের মাঝে বসে মাস্ক না পরে টাকা গুনছিলেন দেলোয়ার হোসেন নামে আরেক আড়তদার। মাস্কের বিষয়ে জানতে চাইলে দ্রুত টেবিলের ওপর পড়ে থাকা সুতাবিহীন ছেঁড়া একটি মাস্ক দেখিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। বলেন, ‘আরে ভাই ট্যাকা গুনতাছি। মাস্ক তো এহানে থুইছি বোঝেন না ক্যা আপনে? আরে বাবা আমার আড়ত এহানে আমি মাস্কটা এহানে খুলায় রাখছি বুঝেন না কেন? আমার মাস্ক এই যে দ্যাহেন না ছিঁড়া গ্যাছে। হপায় রাখছি আর ছিঁড়া গ্যাছে। আমি ট্যাকা নিতে গেছিলাম।’

এভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে কেন বাজার চালানো হচ্ছে, তা জানতে চাওয়া হয় আশুলিয়া থানা মৎস্য ব্যবসায়ী মার্কেটের ম্যানেজার মোহাম্মদ আল আমিনের কাছে।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্যবিধিটার ব্যাপারে আমরা খুব সজাগ আছি। সবাইরে সচেতন করতাছি। কিন্তু দেখা যায় কিছু অসচেতন লোক থেকেই যায়, যাদের কারণে সম্ভব হচ্ছে না। তারপরেও যতটুকু সম্ভব আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চেষ্টা করতাছি কেনাবেচা করার।’

লকডাউনে মাছের আড়তে প্রতিদিনই জটলা

বাজারের প্রবেশমুখে সচেতনতামূলক ব্যানারটি উল্টিয়ে রাখা কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা দুই-তিনডা ব্যানার লাগাইছি। আর পার্সোনালিভাবে আমাদের সবাইরে বলা আছে যে, তোমরা মাস্ক ছাড়া কেউ মাছ বিক্রি করতে পারবা না। আর যারা বাহির থেকে আসে তাদের তো আমরা ওইভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। দেখা যায়, হুট কইরা একজন লোক মাস্ক ছাড়া ঢুইকা পড়ল। জোর কইরা আমরা তাকে আটকাইয়া তো জরিমানা করতে পারি না। আমরা তো প্রশাসন না।’

সাভার উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসলে মাছবাজার বিষয়টাই এমন, এখানে লোকসমাগম হয়। গত বছর লকডাউনের সময় আমরা বাজারগুলোকে উন্মুক্ত স্থানে নিয়ে গেছিলাম আর কী। এটা শুধু মৎস্য অধিদপ্তরের ওপরেই নির্ভর করে না। সে ক্ষেত্রে উন্মুক্ত জায়গাটাও থাকতে হবে এবং সেখানে সবার সমন্বয়ে কাজটা করতে হবে। ‘ঢাকা জেলার অন্যান্য জায়গায় যেমন নবাবগঞ্জ, দোহারে ওরা উন্মুক্ত জায়গায় বাজার নিয়া গেছে। তবে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, এখনও সাভারে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ইউএনও মহোদয়কে বলেছি যে, আমাদের এখানে যে আড়তগুলো আছে সেগুলোকে পুরোপুরি স্থানান্তর করা সম্ভব না। কিন্তু কোনোভাবে যদি গ্যাদারিংটাকে একটু কমানো যায় অর্থাৎ টাইমটাকে একটু শিফট করা যায়। যেমন সকালে এক দফা হইল আর বিকেলে এক দফা। তাহলে আর বাজারে মানুষের চাপটা হলো না। মানুষ অর্ধেক কমে গেলেই তো স্বাস্থ্যবিধিটা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।’

লকডাউনে মাছের আড়তে প্রতিদিনই জটলা

যেহেতু এই পদক্ষেপগুলো এখন বাস্তবায়ন হচ্ছে না, সেহেতু এখনকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মূলত গণতান্ত্রিক চিত্রে বাজার ব্যবস্থাপনায় কিন্তু বাজারের শক্তিতেই বাজার নিয়ন্ত্রিত হয়। এখন সরকার ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ কিছু অবশ্যই নিবে।’

বাজারের কিছু দূরের আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, 'কাল থেকে আমি নিজে মনিটরিং করব ভাই। আমরা তো সতর্ক আছি। তারপরও আপনি বললেন কালকে দেখব।'

সাভার উপজেলার আশুলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে এবং হবে। আর আজকেও একটু পর বাজারগুলোতে ঢুকব।’

আরও পড়ুন:
এমপির মায়ের শ্রাদ্ধে লকডাউন ভেঙে হাজারও মানুষ
লকডাউনে বরিশালে রিকশা মিছিল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Graduate of National University 1 lakh is unemployed

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ১০ লাখের ৪০ ভাগই বেকার!

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ১০ লাখের ৪০ ভাগই বেকার!

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ জানিয়েছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর প্রায় দশ লাখ গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে। এর ৪০ ভাগ কোনো না কোনো কাজে যুক্ত হতে পারছে, ২০ ভাগ স্ব-উদ্ভাবিত কর্মসংস্থান করেছে। আর অবশিষ্ট ৪০ ভাগ বেকার থাকছে।

গতকাল শনিবার এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ (ইআরআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এই তথ্য দেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভের (ইআরআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ল্যাব, ডেমোনেস্ট্রেটর, শিক্ষক, অধ্যক্ষ সবই থাকা সত্ত্বেও ল্যাব প্রাকটিক্যাল হচ্ছে না। এটা শুধু নৈতিক অবক্ষয়ের অবনমন। এর উত্তরণ ঘটাতে হবে।

ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, বিদেশে অদক্ষ শ্রমিক প্রেরণ নিরুৎসাহিত করতে হবে, তাদের দক্ষ শ্রমিক করতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় সেরা শিক্ষক সম্মাননা ব্যক্তিগত যোগাযোগ রক্ষাকারীকে না দিয়ে প্রকৃতই সেরা শিক্ষককে দেওয়ার সুপারিশ করেন উপাচার্য।

ড. এ এস এম আমানুল্লাহ চাহিদাভিত্তিক শিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, আধুনিক শিক্ষা কমিশন গঠন এখন সময়ের দাবি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রের কোনো গুণগত উন্নতি হয়নি। আমরা বাংলাদেশে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতেও ব্যর্থ হয়েছি।

ভিসি বলেন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের অবস্থা এক সময় বাংলাদেশের মতোই ছিল। কিন্তু আজ সেই দেশগুলোর মাথাপিছু আয় বহুগুণে বেড়েছে। আর এর জন্য চাহিদাভিত্তিক শিক্ষার একটি বড় অবদান রয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার জন্য সিলেবাস পরিবর্তনের কাজ হাতে নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে একই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে ডিগ্রি পাস শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট শিক্ষার্থীর ১১ শতাংশ। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেকার।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, গুণগত শিক্ষার অভাবই শিক্ষার সবচেয়ে বড় সমস্যা। প্রতি বছর এসএসসিতে ২.৫ লাখ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেলেও বাস্তব শিক্ষার উন্নতি হচ্ছে না। প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়, কিন্তু যারা জিপিএ-৫ পায় না, তারা কোথায় যাচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

প্রবন্ধে বলা হয়, দেশে ডিগ্রি পাস শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ শতাংশ। এর মধ্যে ৪.৫ শতাংশ বেকার। তাই জব মার্কেটের চাহিদা অনুযায়ী নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করতে হবে।

ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে সহায়ক ভূমিকা রাখলেও মূল দায়িত্ব পালন করেছে চীন, রাশিয়া ও জাপানের প্রকৌশলীরা। অথচ স্থানীয় প্রকৌশলীরা দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করেছে। মূল সমস্যা হলো চাহিদাভিত্তিক শিক্ষার অভাব।

মন্তব্য

সারা দেশ
Meghna caught 20 kg coral

মেঘনায় ধরা পড়ল ২৮ কেজির কোরাল

মেঘনায় ধরা পড়ল ২৮ কেজির কোরাল

নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে প্রায় ২৮ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের নামার বাজারে নিলামে ৪১ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি হয় মাছটি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জেলে মো. রাশেদ গত শুক্রবার রাতে মেঘনায় জাল ফেলেন। ভোরের দিকে তিনি লক্ষ্য করেন, জালে একটি বিশাল আকৃতির মাছ ধরা পড়েছে। জাল তুলে আনতেই দেখা যায়, একটি বিশাল কোরাল মাছ। বিশাল এই মাছ দেখে রাশেদ ও তার সঙ্গী জেলেরা বিস্মিত হয়ে পড়েন। পরে মাছটি সকালেই বাজারে নিয়ে যান।

মাছটি দেখতে বাজারে সাধারণ মানুষের ভিড় জমে যায়। বাজারের আড়তজুড়ে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। অনেকে ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে ভিড় করেন। পরে ইব্রাহিম মৎস্য আড়তে নিলামের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রতি কেজি ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে মোট ৪১ হাজার ৫৫০ টাকায় মাছটি কিনে নেন স্থানীয় বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মো. ইব্রাহিম।

ইব্রাহিম মৎস্য আড়তের ম্যানেজার মো. সোহেল বলেন, রাশেদ জীবনে এই প্রথম এত বড় আকারের কোরাল মাছ ধরতে পেরেছেন। এর ওজন ছিল ২৭ কেজি ৭০০ গ্রাম। আমাদের আড়তে মাঝেমধ্যে ১৫ থেকে ২০ কেজির কোরাল আসে, কিন্তু এ বছর এত বড় কোরাল প্রথম ধরা পড়ল।

ক্রেতা মো. ইব্রাহিম বলেন, আমরা খুব কম সময় এত বড় কোরাল মাছ পাই। সচরাচর ছোট কোরাল বাজারে আসে, তবে বড় মাছের চাহিদা সবসময়ই বেশি থাকে। আশা করছি, কোরালটি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মেঘনা নদীতে মাঝে মাঝে বড় কোরাল ধরা পড়ে। তবে ২৫ কেজির ওপরে কোরাল সাধারণত খুব কম ধরা পড়ে। তাই এ ধরনের মাছ জালে উঠলেই বাজারে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়।

জেলে রাশেদ বলেন, এত বড় কোরাল মাছ জীবনে কখনো ধরিনি। আল্লাহর রহমতে জালে এমন মাছ পেয়েছি। বিক্রি করে ভালো দামও পেয়েছি। এতে পরিবারে অনেকটা স্বস্তি আসবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Foreign observers will have to give the information to see the vote

ভোট দেখতে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের দিতে হবে ১৪ তথ্য

ভোট দেখতে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের দিতে হবে ১৪ তথ্য

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের একটি নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে। এতে দিতে হবে ১৪ ধরনের তথ্য।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের জন্য নতুন নীতিমালা জারি করা হয়েছে। এখন থেকেই বিদেশিরা আবেদন করতে পারবেন। ইতোমধ্যে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

কর্মকর্তারা বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। এতে ১৪ ধরনের তথ্য দিতে হবে।

আবেদনকারীর অবশ্যই নিজের নাম, জন্ম তারিখ, সংস্থা বা দেশের নাম, পেশা, অভিজ্ঞতা থাকলে দেশ ও বিদেশের অভিজ্ঞতা, পাসপোর্ট নম্বর, পাসপোর্টের মেয়াদ, জাতীয়তা, বাংলাদেশে অবস্থানকালীন ঠিকানা, ইমেইল, ফোন নম্বর, আবেদন তারিখ ও স্বাক্ষর দিতে হবে।

এছাড়া আবেদনের সঙ্গে সদ্য তোলা একটি ছবি, মেয়াদ থাকা পাসপোর্টের কপি ও সিভি সংযুক্ত করতে হবে।

এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আনফ্রেল ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভোট পর্যবেক্ষণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এবারের নীতিমালায় বিদেশিদের অনুমতিদানে পুরো ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নিজের কাছে রাখা হয়েছে। আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ব্যবস্থা নেওয়া হতো। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ইসির সুপারিশের ভিত্তিতে ভিসা ব্যবস্থা করবে মন্ত্রণালয়।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তফসিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Hajj registration fee can be submitted to the bank

৩৩ ব্যাংকে জমা দেওয়া যাবে হজের নিবন্ধন ফি

৩৩ ব্যাংকে জমা দেওয়া যাবে হজের নিবন্ধন ফি

হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অনুমতি পাওয়া ৩৩টি ব্যাংকের তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এসব ব্যাংক হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন ফির অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-২ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত তালিকা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়। এতে স্বাক্ষর করেছেন উপসচিব মো. রফিকুল ইসলাম।

যেসব ব্যাংক আগামী হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অনুমতি পেয়েছে– সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক প্রিমিয়ার ব্যাংক ও শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। প্রাক-নিবন্ধনের অর্থ প্রতি ৩০ দিবসের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত হিসাবে স্থানান্তর করতে হবে। হজযাত্রীর বিপরীতে কোনো হজ এজেন্সিকে ঋণ দেওয়া যাবে না। হজযাত্রীর প্রাথমিক নিবন্ধন বা নিবন্ধনের অর্থ এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে জমা থাকবে। এ অর্থ ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নির্ধারিত খাত ছাড়া অন্য খাতে ব্যবহার বা স্থানান্তর করা যাবে না। ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২২ (সংশোধিত)’ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Trying to make Hajj and Umrah is easy and beautiful will continue Air Secretary

হজ ও ওমরাহ পালনকে সহজ এবং সুন্দর করতে প্রয়াস অব্যাহত থাকবে: বিমান সচিব

হজ ও ওমরাহ পালনকে সহজ এবং সুন্দর করতে প্রয়াস অব্যাহত থাকবে: বিমান সচিব

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান বলেছেন, সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে হজ ও ওমরাহ পালনকে সহজ এবং সুন্দর করতে আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরাহ মেলা ২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, গত বছরের হজ ব্যবস্থাপনা চমৎকার ছিল। হজের ব্যয় কমিয়ে আনতে ত্রিশ হাজার টাকা বিমান ভাড়া কমানো হয়েছিল। এবছর হজ যাত্রী পরিবহনে যুক্ত থাকা অন্যান্য এয়ার লাইন্সের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আরো সাশ্রয়ী ভাড়া নির্ধারণের চেষ্টা করবো।

শুধু বিমান ভাড়া কমানো হলে হজের খরচ খুব কমে যাবে বিষয়টি এমন নয় উল্লেখ করে বিমান সচিব বলেন, হজের যে আরো চার পাঁচটি খরচের খাত রয়েছে সেটি বিবেচনায় নিতে হবে। এসময় তিনি হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের সর্বোত্তম সেবাদানের জন্য হজ এজেন্সিগুলোর মনোযোগ আকর্ষণ করেন।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) তিন দিন ব্যাপী এই হজ ও ওমরাহ মেলার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মু: আ: আউয়াল হাওলাদার, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (হজ) ড. মো: মঞ্জুরুল হক,বিমান বাংলাদেশ এর পরিচালক (বিপনন) আশরাফুল আলম, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার এবং শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হজ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার।

পরে প্রধান অতিথি হজ ও ওমরাহ মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Ukrainians are seeing nothing good at the Trump Putin meeting

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে ভালো কিছুই দেখছে না ইউক্রেনীয়রা

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে ভালো কিছুই দেখছে না ইউক্রেনীয়রা

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শীর্ষ বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কী বলা হচ্ছে, তা জানার জন্য ইউক্রেনের খারকিভ শহরে মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকেন স্থানীয় বাসিন্দা পাভলো নেব্রোয়েভ।

খারকিভ থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

তিন বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে চলা রাশিয়ার হামলার ব্যাপারে আলোচনার জন্য ট্রাম্প ও পুতিন আলাস্কায় বৈঠকে বসেন।

তবে, বৈঠকে ইউক্রেন ইস্যুতে কোনো অগ্রগতি হয়নি। উল্টো এই সময়ে ইউক্রেনের খারকিভে শক্তিশালী আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। অবশ্য বৈঠকের আগে থেকেই এই আয়োজনকে পুতিনের জন্য চূড়ান্ত বিজয় হিসেবে বিবেচনা করছিলেন অনেকে।

৩৮ বছর বয়সী থিয়েটার ম্যানেজার পাভলো বলেন, ‘আমি দেখলাম, প্রত্যাশা অনুযায়ীই (বৈঠকের) ফলাফল এসেছে। আমি মনে করি, এটা পুতিনের জন্য কূটনৈতিকভাবে বড় ধরনের বিজয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘তিনি (পুতিন) নিজের বৈধতা সম্পূর্ণরূপে আদায় করেছেন।’

২০২২ সালে হামলা চালানো শুরুর পর থেকে রুশ নেতাকে পশ্চিমা বিশ্বে এড়িয়ে চলার যে প্রবণতা ছিল, ট্রাম্প এবার পুতিনকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানানোর মধ্য দিয়ে সেটির অবসান হলো।

শীর্ষ বৈঠকে আমন্ত্রণ না পাওয়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এটাকে পুতিনের একার বিজয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

বৈঠকে ইউক্রেনকে না রাখায় নেব্রোয়েভ শুধু ক্ষুব্ধই হননি, বরং এই বৈঠককে সময়ের অপচয় মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এটা অর্থহীন একটি বৈঠক ছিল। ইউক্রেন সম্পর্কিত সমস্যাগুলো ইউক্রেনের সঙ্গে, ইউক্রেনীয়দের অংশগ্রহণে এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে সমাধান করা উচিত।’

মন্তব্য

সারা দেশ
The vaccine plant will be created on 5 acres of land in Munshiganj Health Advisor

মুন্সিগঞ্জে ৪০ একর জমিতে হবে 'ভ্যাকসিন প্লান্ট', তৈরি হবে ঔষধ ও অ্যান্টিভেনম: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

মুন্সিগঞ্জে ৪০ একর জমিতে হবে 'ভ্যাকসিন প্লান্ট', তৈরি হবে ঔষধ ও অ্যান্টিভেনম: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নে গোয়ালখালি এলাকায় বিসিকের অধিগ্রহণকৃত ৪০ একর জমির উপর নির্মিত হবে 'ভ্যাকসিন প্লান্ট'। যেখানে ঔষধের পাশাপাশি তৈরি হবে অ্যান্টিভেনম।

প্রকল্পটি গোপালগঞ্জে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।

শনিবার সকালে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে এসে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

মুন্সিগঞ্জে ৪০ একর জমিতে হবে 'ভ্যাকসিন প্লান্ট', তৈরি হবে ঔষধ ও অ্যান্টিভেনম: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

এসময় তিনি জমি রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জে ভ্যাকসিন প্লান্ট একদম একপাশে হয়ে গেছে। ভ্যাকসিনটা যখন তৈরি হবে তখন এটা ফ্রিজিং করে সারা বাংলাদেশে পাঠাতে হবে। সেজন্য আমার এমন একটা জায়গা দরকার যেখান থেকে সহজে যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে আমরা পাঠাতে পারবো। সেক্ষেত্রে গোপালগঞ্জটা সেজন্য আমাদের জন্য উপযুক্ত হয় না।

আর এখানে যে সমস্ত টেকনোলজিস্ট, বিশেষজ্ঞ লাগবে এটা সবসময় সেখানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। তাই এটা আমরা এখানে করার চেষ্টা করছি। এবং এখানে ৪০ একর জমি বিসিকের কাছ থেকে নিয়েছি। সে অনুযায়ী আমাদের একটা প্ল্যান্ট- এটা এখানেই হবে যাতে করে আমাদের সমস্ত ঔষধ তৈরি করতে পারি, ভ্যাকসিন আমরা এখানে তৈরি করতে পারি এবং একইসাথে আমরা চিন্তা করছি- অ্যান্টিভেনম যেটা হয়, যেটা আমাদেরকে পাশের দেশগুলো থেকে আনতে হয়। অনেক সময় সাপের ভ্যারাইটি একরকম না, কোন কোন সময় সাপের কারণে যে ভ্যাকসিনটা দেয়া হয় ওটা কখনো কাজ করে, কখনো করে না। কাজেই আমরা এখন চেষ্টা করছি- আমাদের যেহেতু অনেক সাপ আছে, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাপের বিষ এনে এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এন্টিভেনম তৈরি করা হবে। আমাদের দেশের সাপ দিয়ে দেশেই ভ্যাকসিন-অ্যান্টিভেনম তৈরি হবে।

ভ্যাকসিন প্লান্ট নির্মাণে সময় প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এটা সিস্টেমের ব্যাপার। বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে দেশের মধ্যে উৎপাদিত প্রায় ৭০ শতাংশ ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে। কোয়ালিটিতে দেশের বাইরের তুলনায় এটি কোন অংশেই কম না। এটাকে ১০০ শতাংশে উন্নিত করতে হলে আমাদের আরও কিছু মেশিনারিজ আনতে হবে। মেশিনারিজগুলো আমরা চেষ্টা করবো যত দ্রুত আনা যায়। সবকিছু মিলিয়ে এগুলো আনতে প্রায় ৬ মাসের মত লেগে যাবে।

তিনি বলেন, জমি আমাদের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়া হবে, পাশের নদী শাসন করতে হবে। এরপরে মেশিনারিজ, প্ল্যান এগুলো পাশ করাতে হবে। ধরে নেন আগামী আড়াই থেকে তিন বছর লাগতে পারে। পরে উপদেষ্টা ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন।

মুন্সিগঞ্জে ৪০ একর জমিতে হবে 'ভ্যাকসিন প্লান্ট', তৈরি হবে ঔষধ ও অ্যান্টিভেনম: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইডিসিল এর গোপালগঞ্জ প্লান্টের ভ্যাকসিন ইউনিট এবং মানিকগঞ্জ প্ল্যান্ট স্থানান্তর করে এখানে আনা হবে। এজন্য ৪০ একর জায়গার সংস্থান করা হয়েছে। এসময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চট্টগ্রামে প্রক্রিয়াধীন এন্টি ভেনম প্ল্যান্টও এখানে স্থানান্তরের নির্দেশনা প্রদান করেন। এটি সামগ্রিক বিবেচনায় লাভজনক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

এসময় ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সামাদ মৃধাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা গেছে, ৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ভ্যাকসিন প্লান্টটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই কারখানায় ১৫ ধরনের টিকা উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্লান্টটিতে ২০২৮ সালের মধ্যে ছয় ধরনের ও ২০২৯ সালে আরও ৯ ধরনের টিকা উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ২০৩০ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

মন্তব্য

p
উপরে