× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
তোমরা তো একটা মরার জায়গা পাইছো
google_news print-icon

‘তোমরা তো একটা মরার জায়গা পাইছ’

তোমরা-তো-একটা-মরার-জায়গা-পাইছ
গত ৪ এপ্রিল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গুচ্ছগ্রামের ঘর। ছবি: নিউজবাংলা
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সাহায্য চাইতে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাদের লাঞ্ছিত করেন। তিনি বলেন, ‘আরও কী চান! মরার জায়গাটাতো পেয়েছেন।’

গাইবান্ধা সদর উপজেলার একটি গুচ্ছগ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হস্তান্তরের আগেই ভেঙে পড়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরের পিলার, উড়ে গেছে টিনের চাল। আতঙ্কিত হয়ে অনেক সুবিধাভোগী ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যত্র।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সাহায্য চাইতে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাদের লাঞ্ছিত করেন। তিনি বলেন, ‘আরও কী চান! মরার জায়গাটাতো পেয়েছেন।’

গত ৪ এপ্রিল গাইবান্ধায় ঝড় আঘাত হানে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বালাআটা বাজার সংলগ্ন গুচ্ছগ্রামের ৪২টি ঘরের মধ্যে ১০টি। এখন চলছে এসব ঘর মেরামত। এই সংস্কার কাজেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

বাসিন্দাদের কয়েকজন বলেন, ‘ঘরের কাজ করা হয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে। কোনোমতে সিমেন্ট মিশিয়ে অতিরিক্ত বালু দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এসব ঘর। খরচ কমাতে দক্ষ মিস্ত্রীর পরিবর্তে অদক্ষ কর্মীদের দিয়ে নির্মাণ শেষ করা হয়েছে। শুকনো কাঠের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে কাঁচা ও নরম জাতীয় কাঠ।’

‘তোমরা তো একটা মরার জায়গা পাইছ’

তবে এসব অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ইউএনও। লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘর নির্মাণে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়।

আর ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামতে কোনো দায়বদ্ধতা নেই উল্লেখ করে ইউএনও বলেন, তারপরও ঘর ঠিক করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সুবিধাভোগী শ্রমিক মোস্তফা মিয়া আগে বসবাস করতেন বাঁধের রাস্তায়। সপ্তাহ দুই-এক আগে তিনি এই গুচ্ছগ্রামে আসেন পরিবার নিয়ে।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকার এখানে আমাদের ঘর দিছে। আমরা নিরাপদ মনে করে আসছি। কিন্তু এখানে এসে দেখছি, নিরাপত্তা তো নাই, আমাদের মরার ব্যবস্থা করে দিছে। এখানে এমন নরমল কাজ করে দেয়া হইছে; বিল্ডিং ভাঙগি গেছে, ছাদ পর্যন্ত উড়ি গেছে। আমরা বউ-বাচ্চা নিয়ে কেউ মসজিদে উঠছি; কেউ স্কুলে দৌঁড়াইছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা টিএনও (ইউএনও) সাহেবের কাছে গেছি। টিএনও সাহেব বলছে, ‘তোমরা তো একটা মরার জায়গা পাইছ।’ তাইলে এখানে যেহেতু টিএনও সাহেব নিজে কাজ করছেন, তাইলে টিএনও সাহেব কী আমাদের এখানে মরার ব্যবস্থা করে দিছেন। ঘর তো দিছে প্রধানমন্ত্রী, উনি (ইউএনও) এ কথা কেমনে বলতে পারে।’’

গেল রোববারের ঝড়ে গাছচাপা পড়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৫ জন, পলাশবাড়িতে ৩ জন, ফুলছড়িতে ২ জন, সুন্দরগঞ্জে ১ জন ও গোবিন্দগঞ্জে ১ জনসহ নারী ও শিশুসহ মোট প্রাণহানি হয়েছে ১২ জনের।

ঝড়ে জেলায় ধান, ভুট্টা ও শাকসবজিসহ প্রায় সাড়ে আট শ হেক্টর জমির নানা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া শুধু সদর উপজেলায় ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে অন্তত দুই হাজার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, গাছপালা ও সরকারি স্থাপনাসহ বহু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

গুচ্ছগ্রামের ফয়জার রহমান বলেন, ‘ঝড়ির (ঝড়) মধ্যে এটি আছনো (থাকা) বউ-ছোল নিয়ে। কিছুক্ষণ পর ঘর-দুয়ের আউলি (ভেঙে) গেল; তখন সবাই মিলি দৌঁড় মারি স্কুলের বারান্দাত উঠনো। সেটি থাকি দেখি, টিন আসতা (সড়ক) মুখী দৌঁড় মারছি। এই ঘর তখন উড়ি যায়য়া ওই পাকত (ওই দিক) পড়ছি। টিন এখান চলি গেছি।

‘তখন হামরা ভয়তে (ভয়) আর দৌঁড়ের পাই নাই। বলে টিন তো গাওত (শরীরে) পড়বে। তখন স্কুলের মদে (মধ্যে) খুসেছি (লুকানো); তুফেনত (ঝড়)। কাম করছে নরমল; সেই তো ঘরগুলে চলি গেল (ভেঙে গেল)।’

নব্বই বছর বয়সী কাছলেনী বেওয়া বলেন, ‘তুফেনত ঘর ভাঙি পড়ে। এটি তো মরি যাম বাবা। মুই এটি আর থাকপের নম। মোক নিয়ে যা এটি থাকি।’

এই পাড়ার হাজেরা বেগম, রহিমা বেওয়া, বাদশা মিয়া ও জাফর আলীসহ অনেকেই আগে বসবাস করতেন অন্যের বাড়ি আর রাস্তার ধারে ঝুঁপড়িতে। তারা দুই সপ্তাহ আগে এখানে আশ্রয় পেয়েছেন। বৈশাখের আগে ওই ঝড়ের আঘাতে এখানকার সব কিছু হয়েছে লণ্ডভণ্ড। এখন তাদের মাঝে দেখা দিয়েছে ভয়। সবার চোখে মুখে অজানা আতঙ্ক।

‘তোমরা তো একটা মরার জায়গা পাইছ’

তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারিভাবে ৪২টি পরিবারের ঠাঁই হয়েছে এই গুচ্ছগ্রামে। অনেকে থাকার জায়গা পেয়ে বুক ভরা আশা নিয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু এক ঝড়ে তাদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে। তারা এখন আতঙ্কে দিন পার করছেন। অনেকেই ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনদের বাড়িতে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘একটি টয়লেটেও দেয়া হয়নি গ্যাসলাইন পাইপ। এ কারণে ১৫ দিন ব্যবহারেই ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। আশ্বাস দিয়েও তাদের রাস্তা নির্মাণ করে দেয়া হয়নি। পর্যাপ্ত টিউবওয়েল নেই। অনেকে অন্যের বাড়িতে গিয়ে সারছেন গোসল ও কাপড় কাচার কাজ।’

ওই ঝড়কে টর্নেডো আখ্যা দিয়েছেন স্থানীয় লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘কাজ যথা নিয়মেই হয়েছে। যেদিন টর্নেডো হয় সেদিন নট ওনলি গুচ্ছগ্রাম, বাট অলসো টোটাল সদর উপজেলার তিন হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা কিন্তু যেনতেন টর্নেডো হয়নি। পরের দিন ইউএনও স্যারসহ পিআইও সাহেব এখানে পরিদর্শন করে। দ্রুত সেটা বাস্তবায়নে হস্তক্ষেপও নিয়েছেন ইউএনও।

ভয় ও আতঙ্কে অনেক সুবিধাভোগী ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন, এ প্রশ্নে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসলে সেটা নয়; আমরা ঘর যখন ডেলিভারি দিছি, অনেকেই ঘর বুঝে নেয়নি।’

নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ঝড়ে ঘর ভেঙে গেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা সত্য নয়। বাজেটের মধ্যেই কাজ হয়েছে। মাত্র ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে এই ধরনের ঘর করা সম্ভব না। তারপরেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অনেক মেধা সম্পন্ন ব্যক্তি হওয়ায় এটা সম্ভব হয়েছে।’

ইউএনও আব্দুর রাফিউল আলম বলেন, ‘ঝড়ে গাইবান্ধায় তিন হাজারেও অধিক বাড়ি উড়ে গেছে। এ রিপোর্ট আমরা পাঠিয়েছি। শুধুমাত্র ওখানে নয় (বালাআটা গুচ্ছগ্রাম), এক জায়গায় সাতটা ইটের ঘর ভেঙে গেছে।

‘টর্নেডো তো এমন নয় যে, মুজিববর্ষে গৃহহীন যারা, সেগুলোতে লাগবে না; বিষয়টা কী এ রকম? এগুলো রিপিয়ারিং (মেরামত) করার কথা না, তারপরেও তারা ভূমিহীন আশ্রয় গ্রহণকারী; যে কারণে আমরা নিজস্ব উদ্যোগে সেগুলো রিপিয়ারের ব্যবস্থা নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এটা তো নেগেটিভ রিপোর্ট বা রিপোর্ট করার কিছু নাই। তিন হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হইছে, এগুলোতে রিপোর্ট করতে হবে আপনাকে।’

পিআইও আনিছুর রহমান বলেন, ‘জেলায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। প্রায় পাঁচ হাজার ঘর পড়ে গেছে। ওখানে (গুচ্ছগ্রাম) তিনটা ঘর পড়ে গেছে।’

নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে ঘর নির্মাণের অভিযোগের বিষয়ে পিআইও বলেন, ‘ওগুলো ছিল লো-কস্টিংয়ের ঘর। এজন্য ঘরগুলো হালকা। ঘর তৈরির নীতিমালায় বালু ও সিমেন্টের রেশিও ১:৬ বলা আছে; তবে কাজ হয়েছে ১:৫। অর্থ্যাৎ ডিজাইন ও প্ল্যানের চাইতে বেশি সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক আবদুল মতিনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনে সাড়া দেননি।

জানুয়ারিতে সারা দেশে প্রথম দফায় প্রায় ৭০ হাজার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ঘর উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এটি বাস্তবায়ন করছে আশ্রয়ণ প্রকল্প ২। প্রতিটি ঘরের জন্য পরিবহন খরচসহ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন:
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ভাঙচুর: গ্রেপ্তার ৫
মুজিববর্ষ: নওগাঁয় ঘরহীন মানুষের হাসিমুখ
‘স্বপ্নের ঘরে’ স্বস্তির জীবনের অপেক্ষায়
‘ঘর প্যালে লিজের একটু মাথা গুঁজার ঠাঁই হোবে’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Bloody corpse of a female garment worker in a deserted bamboo plantation

নির্জন বাঁশবাগানে নারী পোশাকশ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ

নির্জন বাঁশবাগানে নারী পোশাকশ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ প্রতীকী ছবি
প্রাণ হারানো আনজু খাতুন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের একটি তৈরি পোশাক কারখানার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর থানার ঘাগুয়া ইউনিয়নে।

রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের আশুলিয়ায় একটি নির্জন বাঁশবাগানের ভেতর থেকে এক নারী পোশাকশ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকার বাঁশবাগান থেকে শুক্রবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

প্রাণ হারানো আনজু খাতুন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের একটি তৈরি পোশাক কারখানার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর থানার ঘাগুয়া ইউনিয়নে।

পুলিশের ভাষ্য, বাঁশবাগানের ভেতর নারী পোশাকশ্রমিকের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। এর পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, ওই নারীর গলায় ঝোলানো পরিচয়পত্রে দেখা যায়, তিনি হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানার অপারেটর।

হা-মীম গ্রুপের টিআইএসডব্লিএল-১ কারখানার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আনজু খাতুন নামে এক নারী শ্রমিক গতকাল রাত ৯টা ১৫ মিনিটের পরে কারখানা থেকে বাসায় যায়, কিন্তু আজ সকালে তিনি আর কারখানায় আসেননি।

‘পরে লাইনের সুপারভাইজার আনজুকে কল দিলেও সে রিসিভ করেনি।’

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভজন চন্দ্র বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে কেউ তাকে (পোশাকশ্রমিক) হত্যা করে ফেলে রেখে যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।’

আরও পড়ুন:
গোলাপশাহ মাজারের সামনে থেকে মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ গাড়ি ভাংচুর, আহত ৩০
মুহুরী নদীতে মিলল নিখোঁজ নৌ সৈনিকের মরদেহ
ছেলের বিরুদ্ধে মাকে খুন করার অভিযোগ
রূপপুরে পড়ে গিয়ে আহত শ্রমিকের মৃত্যু

মন্তব্য

সারা দেশ
Bangladeshi shepherd killed in BSF firing at Lalmonirhat border

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি রাখাল নিহত

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি রাখাল নিহত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া। ফাইল ছবি
পাটগ্রাম থানার ওসি আবু সাইদ বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক আবুল কালাম ডাকুকে পরিবারের সদস্যরা পাটগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যান। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা করা হবে।’

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু (২২) নামের বাংলাদেশি রাখাল নিহত হয়েছেন।

উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালাংগী বিজিবি ক্যাম্পের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলার এলাকায় শুক্রবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও যুবকের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে কয়েকজন রাখালসহ শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলারের ওপারে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় গরু আনতে যান আবুল কালাম ডাকু। গরু নিয়ে ফেরার পথে শুক্রবার ভোররাতে বিএসএফের ডোরাডাবরী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাকু গুরুতর আহত হলে সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে বাংলাদেশ সীমান্তে। পরে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঝালাংগী ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েক সুবেদার নুরুল আমিন বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে একজন যুবক নিহত হয়েছেন। পাটগ্রাম থানা পুলিশ পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।’

নিহত যুবকের মা মমতা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের বিয়ে ঠিক হয়েছে। কী অপরাধের জন্য বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করল জানি না। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’

পাটগ্রাম থানার ওসি আবু সাইদ বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক আবুল কালাম ডাকুকে পরিবারের সদস্যরা পাটগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যান। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য আহত
সাইফুলের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের রাবার বুলেটে দুই বাংলাদেশি আহত
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, দুজন আহত
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

মন্তব্য

সারা দেশ
Two vegetable traders were killed by a covered van

কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত

কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত প্রতীকী ছবি
গোলড়া হাইওয়ে থানার ওসি সুখেন্দু বসু জানান, সকালে মানিকগঞ্জ সদর থেকে চাষীদের কাছ থেকে সবজি কিনে তিন চাকার ভ্যানের মাধ্যমে কাটিগ্রাম যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম ও ছানোয়ার হোসেন। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পাটুরিয়াগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ওভারটেক করতে গিয়ে ওই তিন চাকার ভ্যানকে ধাক্কা দেয়।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় তিন চাকার ভ্যানের সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ডে শুক্রবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো আবদুস সালাম (৫০) ও ছানোয়ার হোসেন (৪৫) মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তারা স্থানীয় কাটিগ্রাম বাজারে সবজির ব্যবসা করতেন।

গোলড়া হাইওয়ে থানার ওসি সুখেন্দু বসু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর বন্দর আড়ত থেকে চাষীদের কাছ থেকে সবজি কিনে তিন চাকার ভ্যানের মাধ্যমে কাটিগ্রাম যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম ও ছানোয়ার হোসেন, কিন্তু ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পাটুরিয়াগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ওভারটেক করতে গিয়ে ওই তিন চাকার ভ্যানকে ধাক্কা দেয়।

এতে ঘটনাস্থলেই আবদুস সালাম নিহত হন এবং গুরুত্ব অবস্থায় ছানোয়ার হোসেনকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি জানান, নিহতদের একজনের মরদেহ সদর হাসপাতালে এবং অপরজনের মরদেহ গোলড়া থানায় রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেলেও কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় গোলড়া থানায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ছাত্র নিহত
সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত
নাটোরে ট্রাকচাপায় ভ্যানচালক নিহত
সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত, আহত ৮

মন্তব্য

সারা দেশ
137th Port Day celebration in a festive atmosphere

উৎসবমুখর পরিবেশে ১৩৭তম বন্দর দিবস উদযাপন

উৎসবমুখর পরিবেশে ১৩৭তম বন্দর দিবস উদযাপন চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারের সারি। ফাইল ছবি
পতাকা উত্তোলনকালে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত সব জলযান ও জাহাজ থেকে একনাগাড়ে এক মিনিট হুইসেল বাজানো হয়। এরপর বন্দর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহায়েল উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বন্দর দিবসের কেক কাটেন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

উৎসবমুখর পরিবেশে বৃহস্পতিবার উদযাপন করা হয়েছে ১৩৭তম বন্দর দিবস।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বন্দর ভবন চত্বরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।

ওই সময় বোর্ড সদস্য (প্রকৌশল) কমোডর মোহাম্মদ মাহবুবুবর রহমানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পতাকা উত্তোলনকালে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত সব জলযান ও জাহাজ থেকে একনাগাড়ে এক মিনিট হুইসেল বাজানো হয়। এরপর বন্দর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহায়েল উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বন্দর দিবসের কেক কাটেন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ, বন্দরের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারা।

কর্ণফুলীর মোহনায় ১৩৬ বছর আগে ২৫ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা হয়েছিল দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর। ইংরেজ শাসনামলের প্রথম দিকে ইংরেজ ও দেশীয় ব্যবসায়ীরা বার্ষিক এক টাকা সালামির বিনিময়ে নিজ ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীতে জেটি নির্মাণ করেন। পরে ১৮৬০ সালে প্রথম দুটি অস্থায়ী জেটি নির্মাণ করা হয়। ১৮৭৭ সালে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার গঠিত হয়।

১৮৮৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে দুটি মুরিং নির্মাণ হয়। একই বছরের ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার কার্যকর হয়। এরপর ১৮৯৯ থেকে ১৯১০ সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার এবং আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে যুক্তভাবে চারটি স্থায়ী জেটি নির্মাণ করে। ১৯১০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে রেলওয়ের সংযোগ সাধন হয়।

১৯২৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরকে মেজর পোর্ট ঘোষণা করা হয়। সেই থেকেই চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রেখে আসছে।

আরও পড়ুন:
বাংলাবান্ধায় আবারও তিন দিন বন্ধ পণ্য ও যাত্রী পারাপার
চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক
বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় বন্ধ পচনশীল পণ্য আমদানি
পটিয়ায় দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত, আহত চার
বাংলাবান্ধা দিয়ে পণ্য ও যাত্রী পারাপার তিন দিন বন্ধ

মন্তব্য

সারা দেশ
A farmer died after being crushed by an elephant in Sherpur

শেরপুরে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু

শেরপুরে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু প্রতীকী ছবি
নালিতাবাড়ী থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া জানান, প্রায় তিন-চার দিন ধরে বাতকুচি গ্রামের পাহাড়ি ঢালে বোরো ধান ক্ষেতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি বন্য হাতি নেমে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে হাতির পালটি বাতকুচি গ্রামের ধান ক্ষেতে যায়। এ সময় উমর আলি ও গ্রামবাসীরা তাদের ফসল বাঁচানোর জন্য মশাল জ্বালিয়ে ডাক ও চিৎকার শুরু করেন।

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো ৬০ বছর বয়সী হাজী উমর আলী একই গ্রামের বাসিন্দা।

নালিতাবাড়ী থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া জানান, প্রায় তিন-চার দিন ধরে নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামের পাহাড়ি ঢালে বোরো ধান ক্ষেতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি বন্য হাতি নেমে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে হাতির পালটি বাতকুচি গ্রামের ধান ক্ষেতে যায়। এ সময় উমর আলি ও গ্রামবাসীরা তাদের ফসল বাঁচানোর জন্য মশাল জ্বালিয়ে ডাক ও চিৎকার শুরু করেন।

একপর্যায়ে বন্যহাতির পালটি একটু পিছিয়ে যায়। পরে বাড়িতে যাওয়া সময় পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা হাতির পালটি উমর আলিকে ঘিরে ফেলে ও পা দিয়ে পিষ্ট করে।

বন বিভাগের ময়মনসিংহ মধুটিলা ফরেস্টের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে নিহত উমর আলির পরিবারকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
হাতিয়া সৈকতে ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’
মানিকগঞ্জে দুই ভাইয়ের হাতাহাতিতে বড় ভাই নিহত
বন্যহাতির তাড়া খেয়ে যুবকের মৃত্যু
চকরিয়ায় দলছুট বন্যহাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু
ময়মনসিংহে ভারতীয় হাতির আক্রমণে একজন নিহত

মন্তব্য

সারা দেশ
The body of the computer in charge of Uttarpurba newspaper was recovered at midnight

মধ্যরাতে উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জের মরদেহ উদ্ধার

মধ্যরাতে উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জের মরদেহ উদ্ধার প্রাণ হারানো অমিত দাস শিবু। ছবি: সংগৃহীত
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দেবাংশু কুমার বলেন, ‘রাতে কাজ শেষে অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলেন অমিত। তার মৃত্যু রহস্যজনক মনে হচ্ছে। পাশেই তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রাখা ছিল।’

সিলেটে মধ্যরাতে খোলা মাঠ থেকে একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নগরের হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠ থেকে বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রাণ হারানো অমিত দাস শিবু স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্বর কম্পিউটার ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শিবুর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরের বাগবাড়ি নরসিংটিলা এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দেবাংশু কুমার দে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাতে কাজ শেষে অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলেন অমিত। তার মৃত্যু রহস্যজনক মনে হচ্ছে। পাশেই তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রাখা ছিল।’

তিনি জানান, রাত ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখে থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়।

এসএমপির উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল, তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে।’

আজবাহার বলেন, ‘অমিতের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
গাজীপুরে ফ্ল্যাটে দম্পতির মরদেহ, টেবিলে চিরকুট
মাতামুহুরি নদীতে নিখোঁজ দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার
চা বাগানে শ্রমিকের ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ
গোলাপশাহ মাজারের সামনে থেকে মরদেহ উদ্ধার
জুতায় লুকানো ছিল স্বর্ণের ৬ বার

মন্তব্য

সারা দেশ
The bodies of the couple were recovered from the flat in Gazipur

গাজীপুরে ফ্ল্যাটে দম্পতির মরদেহ, টেবিলে চিরকুট

গাজীপুরে ফ্ল্যাটে দম্পতির মরদেহ, টেবিলে চিরকুট গাজীপুরে একটি ফ্ল্যাট থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
রোকেয়ার ভাই বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘সাত থেকে আট মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ের সম্পর্কে জড়িয়েছিল। বিয়ের পর তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছি। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়েছিল। সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।’

গাজীপুরের শ্রীপুরে বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় টেবিলের ওপরে একটি চিরকুট পাওয়া যায়।

উপজেলার মুলাইদ গ্রামের ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে শুক্রবার সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রাণ হারানো ইসরাফিল (১৭) শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানান হলদি গ্রামের বাসিন্দা ও তার স্ত্রী রোকেয়া খাতুনের (১৫) বাবার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রাম।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত সাত থেকে আট মাস আগে তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। তারা দুজনই শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের ফারুক হোসেনের বহুতল ভবনে ভাড়া থাকতেন। ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কসপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।

রোকেয়ার ভাই বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘সাত থেকে আট মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ের সম্পর্কে জড়িয়েছিল। বিয়ের পর তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছি। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়। সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।’

ইসরাফিলের বাবা মফিজুল হক জানান, পাশাপাশি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন তারা। পরিবারের রান্নার কাজ তারা ইসরাফিলের ফ্ল্যাটে করতেন। শুক্রবার সকালে তাদের ফ্ল্যাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে যান এবং ইসরাফিলকে ওড়নায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রোকেয়ার মরদেহ খাটের ওপর বিছানায় দেখতে পান।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাখাওয়াত হোসেন জানান, ‘খবর পেয়ে একটি ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করে। স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি স্বামী সইতে না পেরে তিনিও আত্মহত্যা করেন।’

এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
ছেলের বিরুদ্ধে মাকে খুন করার অভিযোগ
গাইবান্ধায় অটোরিকশার চালকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার
ভুট্টা ক্ষেতের পাশে নারীর মরদেহ, পাশে রক্তাক্ত কাঁচি
পদ্মার শাখা নদীতে এবার ভেসে উঠল রামিনের মরদেহ
ঈদের সকালে লিচু বাগানে ট্রাক ড্রাইভারের মরদেহ, নারী আটক

মন্তব্য

p
উপরে