একেকটি লাশ উদ্ধার করছিলেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ও নৌবাহিনীর ডুবুরিরা আর তখন আহাজারি ও আর্তনাদে ভরে উঠেছিল শীতলক্ষ্যার পার।
কেউ বাবা-মাকে হারিয়েছেন। কেউ সন্তানকে হারিয়েছেন। কেউ বাবা-মায়ের সঙ্গে বোনকে হারিয়েছেন। স্বজন হারানো এসব মানুষের কান্নায় ভারি হয়ে গিয়েছিল পুরো এলাকা।
কেঁদেছেন ডুবুরি ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও। মাঝ নদী থেকে তীরে টেনে আনা লঞ্চের ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আটকে পড়ে ছিল অসংখ্য মৃতদেহ। একে একে মৃতদেহগুলো টেনে বের করেছেন তারা। সেসব মৃতদেহ দেখে চোখ দিয়ে পানি পড়েছে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে আসা সেচ্ছাসেবীদেরও। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা ২৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
এই ২৯ জন রোববার সন্ধ্যায় ডুবে যাওয়া এম ভি সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চের যাত্রী ছিল। সোমবার দুপুরে লঞ্চটি উদ্ধার করে বিআইডব্লিটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়।
নদীর পারে ছেলে, ছেলেবউ আর নাতির অপেক্ষায় বসে ছিলেন শাহিনুর বেগম। কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিউজবাংলাকে এই বৃদ্ধা জানান, দুপুরে লঞ্চের ভেতর থেকে ছেলে হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী তাহমিনার লাশ পাওয়া যায় কিন্তু নাতি আবদুল্লাহর লাশ তখনও পাননি। তাই লাশবাহী গাড়ি এলেও ছেলে ও ছেলেবউর মরদেহ নিয়ে যাননি। অপেক্ষায় ছিলেন নাতির মরদেহের জন্য।
বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নদীতে ভেসে ওঠে শিশু আবদুল্লাহর মরদেহ। পরে ৫ টার দিকে এক সাথে তিনটি মৃতদেহ নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বরিশালের গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা হন তিনি।
২ বছর বয়সী শিশু আজমীর দাদার সঙ্গে লঞ্চে করে মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য মুন্সিগঞ্জে নানির বাড়িতে যাচ্ছিল। লঞ্চ ডুবে যাওয়ার পর দাদা সাইফুল ইসলাম আহত অবস্থায় বেঁচে ফিরলেও সঙ্গে আনতে পারেননি নাতিকে।
লঞ্চ ডোবার খবর পেয়ে ছুটে আসেন আজমীরের বাবা সোহান। তাকে রোববার রাত থেকে নদীর পারে একা বসে কাঁদতে দেখা গেছে। সোমবার দুপুরে ছেলে আজমেরীর মৃতদেহের সন্ধান পাওয়ার পর তার আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠে শীতলক্ষ্য নদীর পার।
ছেলের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় সোহান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজমীরকে সাজিয়ে গুজিয়ে দিয়েছিলাম। তার মায়ের সঙ্গে দেখা করাতে নানা বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিল আমার বাবা। আজমীরের যাওয়ার সময়ের শেষ হাসিটা মনে করেই আমি বেঁচে থাকব।’
গলার টনসিলের চিকিৎসা করাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় মেয়ের বাড়িতে এসেছিলেন খাদিজা বেগম (৫০)। চিকিৎসা শেষে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ হয়ে গ্রামের বাড়ি বরিশালের স্বরূপকাঠিতে ফেরার উদ্দেশ্যে সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটিতে ওঠেন তিনি। কিন্তু পথেই সব শেষ হয়ে যায়।
তার মরদেহ সামনে রেখে কাঁদছিলেন মেয়ে নাজনীন। কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘আমার মায় সাঁতার জানে তারপরও বাঁচতে পারলো না। রাক্ষুসে জাহাজ আমার মায়রে ডুবাইয়া মারছে।’
তিনি জানান, তার মায়ের পরনে বোরকা থাকলেও মৃতদেহের শরীরে বোরকা ছিল না। বাঁচার জন্যই হয়তো গায়ের বোরকা খুলে ফেলেছিলেন তিনি।
রোববার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের লঞ্চঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এম ভি সাবিত আল হাসান নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি।
সোয়া ৬ টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীতে সৈয়দপুর কয়লাঘাট এলাকায় পৌঁছলে এস কে থ্রি নামে লাইটার জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়ার ১৮ ঘন্টা পর লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়। পরে এর ভেতর থেকে প্রথমে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ২২ জন ও পরে আরও ২জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ৭ সদস্যের ও বিআইডব্লিউটিএ ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ নিউজবাংলাকে জানান, লাশ দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পরিবারকে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এসকে থ্রি নামের ওই লাইটার জাহাজটিকে আটক করতে নৌ পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শহিদুল ইসলাম নিউজ বাংলাকে জানান, এখনো এসকে থ্রি নামের লাইটার জাহাজটিকে এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি। নৌ পুলিশের অভিযান চলছে সেই জাহাজটিকে আটকের জন্য।
নৌ পুলিশের ওসি আরও জানান, ওই জাহাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এ লঞ্চটির ধারণ ক্ষমতা ৬৮ জন বলে জানিয়েছেন লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি মনিরুজ্জামান রাজা।
তিনি জানান, রোবববার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে সৈয়দপুরের কয়লাঘাট এলাকায় তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর সামনে একটি কার্গো জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দেয় এই লঞ্চটিকে। এর পর থেকে কয়েক ঘন্টা লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
সে সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, লঞ্চটিকে ঠেলে অন্তত ২০০ মিটার দূরে নিয়ে গিয়ে ডুবিয়ে দেয় এসকে থ্রি লাইটার জাহাজ। এরপর লঞ্চের উপরে উঠিয়ে চলে যায় জাহাজটি। এর মধ্যেই নদীতে ঝাপিয়ে পড়েন কয়েকজন। তবে লঞ্চে থাকা অধিকাংশ মানুষ আটকা পড়েন। তাদের আর বেঁচে ফেরা হয়নি।
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় দুটি এবং নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ফার্মগেটের ফার্মভিউ সুপারমার্কেটের সামনের ব্যস্ত সড়কে যানজটের মধ্যে পাঁচ সেকেন্ডের ব্যবধানে ককটেল দুটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
বিস্ফোরণে যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মোটরসাইকেলের দুই আরোহী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী বলে জানা গেছে। তবে তারা নিজেদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।
আহত একজনের মাথা থেকে রক্তপাত হতে দেখা যায়। অন্যজন পেটে আঘাত পেয়েছেন। বিস্ফোরণের পর ব্যস্ত রাস্তাটি মুহূর্তেই ফাঁকা হয়ে যায়। রাস্তা ও ফুটপাতে থাকা লোকজন আশপাশের বিভিন্ন ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন।
তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরোয়ার আলম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের কথা শুনেছি। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে।’
অন্যদিকে শনিবার সন্ধ্যার পর নারায়ণঞ্জ শহরের খানপুর থেকে একটি মিছিল বের করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নবাব সলিমুল্লাহ সড়কের ডন চেম্বার এলাকায় এসে তারা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। পরে চাষাঢ়ার দিকে এগিয়ে মিশনপাড়া মোড়ে ফের ককটেল বিস্ফোরণ ও সড়কে অগ্নিসংযোগ করে তারা পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ডিবি পুলিশের একটি টিম। এরপর সদর থানা পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবরোধ কর্মসূচির নামে ককটেল বিস্ফোরণ ও সড়কে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছার আগেই তারা পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।’
রোববার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। নবম দফায় দেয়া দলটির অবরোধ কর্মসূচির আগের দিন সন্ধ্যায় এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশি বাধায় পণ্ড করে দিলে তারা এ সরকারের পদত্যাগের একদফাসহ মহাসমাবেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয়। সমমনা জোটগুলোও এই কর্মসূচি যুগপৎভাবে পালন করেছে। এরপর থেকে পর্যায়ের ক্রমে তারা প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার এবং শুক্র ও শনিবার ছুটির দুইদিন বিরতি দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি করে যাচ্ছে। এই পর্যন্ত তারা আট দফায় অবরোধের কর্মসূচি পালন করেছে। কাল থেকে নবম দফায় দলটির অবরোধ কর্মসূচি চলবে।
আরও পড়ুন:আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের নির্দেশের প্রেক্ষিতে আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে আসনটির নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং মুন্সীগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক ফাহমিদা খাতুনের আদালতে তিনি উপস্থিত হন। পরে তিনি সেখানে লিখিত ব্যাখ্যা দেন।
এর আগে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে আসনটির নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং মুন্সীগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক ফাহমিদা খাতুন লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর এ নির্দেশ দেন।
কারণ দর্শানোর বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন নম্বর ১৭৩ মুন্সীগঞ্জ-৩ এর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। তিনি গত ২৭ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জ শহরে গোলচত্বর এলাকায় সভা-সমাবেশ করেন। মোটরসাইকেল ব্যবহার করে শোভাযাত্রা করেন। ওই সময় শত শত নেতা-কর্মীরা সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হয়। এতে মুন্সীগঞ্জ শহরের থানা সড়ক, হাসপাতাল সড়ক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। ওই এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ওই বিষয়ে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান
মোহাম্মদ নাজমুল হাসান নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে মৃণাল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এ ছাড়াও এ বিষয়ে গত ২৮ নভেম্বর সংবাদপত্র ও অনলাইন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যসমূহ বিশ্লেষণে পরিলক্ষিত হয়েছে, মৃণাল কান্তি দাস উপরোক্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৬ (ঘ) ও ৮(ক) এর বিধান এবং তৎসহ বিধি ১২ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কেন বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নিকট প্রেরণ করা হবে না সেটি আগামী ২ ডিসেম্বর শনিবার বেলা ১১টার মধ্যে কমিটির অস্থায়ী কার্যালয় মুন্সীগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, ২য় আদালতে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
আরও পড়ুন:টানা তিনবার নির্বাচন করে একবারও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারেননি মানিকগঞ্জের ঘিওরের ৬০ বছরের মো. আব্দুল আলী বেপারী। অথচ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচনে লড়বেন তিনি।
হলফনামা থেকে জানা যায়, মানিকগঞ্জ-১ আসনের এ এমপি প্রার্থী ঘিওর উপজেলার বেড়াডাংগা এলাকার কিয়ামুদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন কৃষক। কৃষিকাজের মাধ্যমে তার বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং তার কাছে নগদ ২ লাখ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে।
আব্দুল আলী বেপারীর স্ত্রী গৃহিনী। সংসারজীবনে তাদের ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে আর ছেলেরাও চাকরি করছেন। আব্দুল বেপারীর শিক্ষাগত সার্টিফিকেট না থাকলেও তিনি স্বশিক্ষিত।
আব্দুল আলী বেপারী জানান, ইউপি নির্বাচনে মনের মতো প্রার্থী না পেয়ে তিনি ২০১১, ২০১৬ ও ২০২১ সালে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনের মতো প্রার্থী পাননি তিনি। ফলে মানিকগঞ্জ-১ আসনে নিজেই দাঁড়িয়ে গেছেন এমপি প্রার্থী হিসেবে।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাকে ভোট দিলে পাস করব, না দিলে কিছু করার নাই; আমার ভোট তো আমি দিতে পারব! আসলে মনের মতো প্রার্থী না থাকায় আমি প্রার্থী হয়েছি। আমার ভোট আমাকে দিতে পারলেই আমার আত্মতৃপ্তি। নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি, যাচাই ঠিকঠাক থাকলে আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করবই। কোটি কোটি টাকা দিলেও আমি সরে দাঁড়াবো না। কারণ নির্বাচন আমার কাছে ক্যান্সারের মতো হয়ে গেছে।’
নির্বাচনে আসার পিছনের কারণ তুলে ধরে আব্দুল আলী বেপারী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় রাস্তা না থাকায় তৎকালীন বিএনপির চীফ হুইপ খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের কাছে যাই। রাস্তার জন্য অনেক অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। তখন খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে তিনি আমাকে বলেন- পারলে আমার মতো হয়ে দেখিয়ে রাস্তা করে নিও। সেই রাগ আর ক্ষোভে চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছি, এখন এমপি প্রার্থী হয়েছি।’
স্বতন্ত্র এ প্রার্থীর বড় ছেলে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় সময়ই মা ও আমরা পাঁচ ভাই-বোন বাবাকে না করেছিলাম। কিন্তু তিনি কথা শুনেন নাই। এমপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সময়ও বুঝিয়েছি, তাতেও লাভ হয়নি। পরে মনোনয়নপত্রে আমি প্রস্তাবকারী ও আমাদের এলাকার লিটন ইসলাম সমর্থনকারী ছিলাম। মনোয়নপত্র জমা দেয়ার সময় পরিবারের কেউ সঙ্গে ছিল না। বাবার সঙ্গে শুধুমাত্র আমার ছোট ভাগিনা ছিল। বাবা কষ্ট করে আমাদের মানুষ করেছে। তাই বাবার কথার অবাধ্য হয় নাই।’
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে বিচারকদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। একইসঙ্গে শোকজ নোটিশ পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা।
শনিবার বিকেলে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। উভয় প্রার্থী বা তাদের প্রতিনিধিকে সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া শামীম ওসমানের অনুসারী এক যুবলীগ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলে তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চেয়ে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় মিছিল করে তার অনুসারী আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জানে আলম বিপ্লবের নেতৃত্বে ফতুল্লার তল্লা এলাকায় শামীম ওসমানের পক্ষে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে মিছিল করেন অনুসারী নেতা-কর্মীরা। প্রতীক বরাদ্দের আগে এ ধরনের কর্মকাণ্ড নির্বাচনি আচরণবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
অন্যদিকে, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় কয়েকশ’ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মিছিল নিয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন লিয়াকত হোসেন খোকা। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয়।
শনিবার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ কাজী ইয়াসিন হাবীব ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি সিনিয়র সহকারী জজ মোহসিনা ইসলাম যথাক্রমে শামীম ওসমান ও লিয়াকত হোসেন খোকাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন আচরণবিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ৬ (ঘ) এবং ১২ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে রোববার প্রার্থী অথবা তার প্রতিনিধিকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হলো।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের অনুসারী যুবলীগের নেতা জানে আলম বিপ্লবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেদারুল ইসলাম। পরে ২ ডিসেম্বর জানে আলম বিপ্লব সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন কর্মকর্তা ইস্তাফিজুর রহমান আকন্দ জানান, বিচারকদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি প্রার্থীদের মধ্যে যাদের নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন পাচ্ছে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিচ্ছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের করতে কমিশন সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:বাণিজ্যিকভাবে চালুর পরদিনই কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটের রেললাইনের বিটের নাট-বল্টু খুলে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর ঝুঁকির শঙ্কায় আধ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’।
শনিবার সকালে কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের কাহাতিয়া পাড়ায় রেললাইনে এই ত্রুটি ধরা পড়ে। এরপর কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রব্বানীকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে লাইনের সংস্কারকাজ শুরু করলে কক্সবাজার এক্সপ্রেস আধ ঘণ্টা দেরিতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
গোলাম রব্বানী জানান, শনিবার সকালে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের রামু উপজেলার কাহাতিয়া পাড়ায় রেললাইনের বিটের নাট-বল্টু খুলে ফেলার খবর পান তিনি। পরে বিষয়টি রেল অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের সকল স্তরে অবহিত করেন। এরপর রেল প্রকৌশলসহ নির্মাণকাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে রেললাইনের বিটের খুলে ফেলা নাট-বল্টু পুনঃসংযোজন ও মেরামত কাজ শুরু করেন নির্মাণ শ্রমিকরা। তা শেষ করে ট্রেন চলাচল করার উপযোগী করতে বেলা সাড়ে ১২টা বেজে যায়।
তিনি বলেন, ‘রেললাইনের এ ত্রুটিপূর্ণ স্থান দিয়ে ট্রেন চলাচলে ঝুঁকি থাকায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ছাড়া সম্ভব হয়নি। পরে রেললাইন চলাচল উপযোগী হওয়ার পর দুপুর ১টায় কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন থেকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।’
তবে এটি নিছক চুরির ঘটনা, নাকি নাশকতার চেষ্টা- তা নিশ্চিত করতে পারেননি কক্সবাজার রেলের এ কর্মকর্তা।
এদিকে খবর পেয়ে শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রামু উপজেলা ইউএনও ফাহমিদা মোস্তফা ও ওসি আবু তাহের দেওয়ানসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান জানান, খবরটি শোনার পর প্রশাসনের কর্মকর্তারাসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থলে রেললাইনের বিটের নাট-বল্টু খুলে ফেলা অবস্থায় দেখা গেছে।
ঘটনাটি নিছক চুরির ঘটনা, নাকি কোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা- তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
আবু তাহের বলেন, ‘ঘটনাটি কারা, কী উদ্দেশ্যে ঘটিয়েছে এবং যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।’
আরও পড়ুন:অবশেষে বিয়ে করেছেন বিয়ের আসর থেকে চলে যাওয়া সেই বর। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের চাপের মুখে শুক্রবার রাতে তিনি পূর্ব নির্ধারিত কনেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন।
এর আগে, কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বামনগাঁও গ্রামের শরীফ মিয়ার ছেলে হাসেন মিয়ার সঙ্গে একই উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের এক তরুণীর বিয়ে ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। এ উপলক্ষে কনের বাড়িতে ধুধধামের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। ওইদিন সন্ধ্যায় ৪০ জন বরযাত্রী নিয়ে হাজিরও হয়েছিলেন বর হাসেন মিয়া। কিন্তু রাতে এ উপলক্ষে কনের বাড়িতে ধুমধামের সঙ্গে বিয়ের নানা পর্বের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় ৪০ জন বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে আসেন হাসেন মিয়া। রাতে খাওয়াদাওয়া শেষে বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলে ৭০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে বসে বরপক্ষ, কিন্তু কনের পরিবার তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে কনের পরিবারের চাহিদা মতো দেনমোহর ধার্য্যেও অস্বীকৃতি জানায় বরপক্ষ। এসব নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বিয়ে ভেঙ্গে বরকে নিয়ে চলে যায় বরপক্ষ।
পরে নিউজবাংলার কাছে কনের বাবার অভিযোগ করে বলেন, ‘বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করার সময়ই বরের পরিবারকে যৌতুক হিসেবে ৪০ হাজার টাকা দেয়া হয়। আর বিয়ে ও খানাপিনার আয়োজন করতে গিয়ে তাদের খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। কিন্তু অতিরিক্ত আরও ৭০ হাজার টাকা দিতে না পারায় এবং কনের যোগ্যতা অনুসারে দেনমোহর দাবি করায় তারা বিয়ে ভেঙ্গে চলে যান।’
ঘটনার পরদিন বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের কানে পৌঁছালে তারা বরপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। আর ওই চাপের মুখেই শুক্রবার রাতে ফের কনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন তারা।
বর হাসেন মিয়া বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। এর অবসান হয়েছে।’
কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পুলিশ পাঠিয়ে উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসি। এক পর্যায়ে বরপক্ষ তাদের ভুল বুঝতে পেরে বিয়েতে রাজি হয়। শুক্রবার রাতে সুন্দরভাবেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে।’
আরও পড়ুন:মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় চিকিৎসকের অবহেলায় সিজারিয়ান অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
মিয়াজী টি.এইচ. মেমোরিয়াল হাসপাতাল নামে বেসরকারি হাসপাতালটিতে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
এতে রোগীর স্বজনরা ও স্থানীয়রা শনিবার রাত ৯টার দিকে হাসপাতালটিতে অবস্থান নিয়ে কর্মরত স্টাফদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, তবে ঘটনার পর চিকিৎসক ও হাসপাতালটির ম্যানেজারকে পাওয়া যায়নি।
প্রাণ হারানো ২৬ বছর বয়সী নিপা আক্তার ভবেরচর এলাকার মো. শামীমের স্ত্রী।
নিপার স্বজনরা জানায়, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে তাকে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মিয়াজী টি.এইচ. মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে ডা. রাজিয়া বেগমের তত্ত্বাবধানে প্রসূতি নিপার সিজারিয়ান অপারেশন শুরু হয়।
অপারেশন শুরুর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে তাদের জানানো হয় মেয়ে বাচ্চা হয়েছে, বাচ্চার অবস্থা ভালো। কিন্তু দীর্ঘ দুই ঘণ্টা পরও নিপাকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের না করায় তাদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পরে তাদের জানানো হয় বাচ্চার মায়ের অবস্থা খারাপ তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে।
এর পর নিপাকে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার প্রো-অ্যাকটিভ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
প্রো-অ্যাকটিভ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের ভাষ্য, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে অনেক আগেই নিপার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রাজিয়া বেগমের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রোগীর আগে থেকেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ছিল। আমি অপারেশন করার পরে বিষয়টি ধরতে পেরেছি। আমি তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠিয়ে দিতে বলেছিলাম। এখানে আমার কোনো অবহেলা ছিল না।’
গজারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এটিএম আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘নিহতের স্বজনরা থানায় এসেছেন। এ বিষয়ে গজারিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য