× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
লকডাউন কোথাও কঠোর কোথাও ঢিলেঢালা
google_news print-icon

লকডাউন: কোথাও কঠোর, কোথাও ঢিলেঢালা

লকডাউন-কোথাও-কঠোর-কোথাও-ঢিলেঢালা
ঢি‌লেঢালা ভা‌বে লকডাউন চল‌ছে ব‌রিশা‌লে। ছবি: নিউজবাংলা
বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলো ঘুরে দেখা গেছে এক এক জায়গায় এক এক চিত্র। কোথাও লকডাউন বাস্তবায়নে কড়াকড়ি কোথাও গা ছাড়া ভাব। বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অযথা ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। তারা স্বাস্থ্যবিধি পালনে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

ক‌রোনা সংক্রমণ প্রতি‌রো‌ধে সারা দেশে সরকা‌র ‌ঘো‌ষিত এক সপ্তাহের লকডাউনের শুরু হয়েছে সোমবার সকাল থেকে। এবারের লকডাউনে কোথাও দেখা গেছে ঢিলেঢালা ভাব আবার কোথাও মানা হচ্ছে কঠোর ভাবে।

সোমবার সকাল থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলো ঘুরে দেখেছেন সহকর্মীরা। তাদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে তুলে ধরা হলো সারাদেশের চিত্র।

বরিশাল

ঢি‌লেঢালা ভা‌বে লকডাউন চল‌ছে ব‌রিশা‌লে। স্বাস্থ্যবি‌ধি মে‌নে খোলা স্থা‌নে বাজার বসানোর নি‌র্দেশনা থাক‌লেও তা মান‌া হচ্ছে না। মহাসড়কে থ্রি হুইলারের চলাচল বেড়েছে। তারা যাত্রী পরিবহণ করছে গাদাগাদি করে। তবে বন্ধ আছে বাস ও লঞ্চ চলাচল।

স‌রেজ‌মি‌নে নগরীর নথুল্লাবাদ, রুপাতলী, নতুন বাজার, অমৃত লাল দে সড়ক, বীর‌শ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন ম‌হিউ‌দ্দির জাহাঙ্গীর সড়ক, বাংলা বাজার ও বটতলাসহ বি‌ভিন্ন এলাকা ঘু‌রে এই চিত্র দেখা গেছে। যদিও ভোর ৬টা থে‌কে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাই‌রে বের না হতে গণবিজ্ঞ‌প্তি জা‌রি ক‌রেছে প্রশাসন।

বাংলাবাজার এলাকার রাইসুল ইসলাম না‌মে এক যুবক‌কে ঘোরাঘু‌রির কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, লকডাউন দেখ‌তে বাই‌রে বের হয়েছেন।

কেনো মাস্ক পরেননি এমন প্রশ্নে রাতুল খান নামে এক যুবক বলেন, ‘লকডাউ‌নে রাস্তা ফাঁকা ভে‌বে বের হ‌য়ে‌ছি। ভে‌বে‌ছি রাস্তায় কেউ নেই তাই মাস্ক প‌রি‌নি।’

ক‌রোনা স‌চেতনতায় ব‌রিশালে বেলা ১১টার দিকে মোটরসাই‌কেল র‍্যালি বের ক‌রে ব‌রিশাল মে‌ট্রোপ‌লিটন পু‌লিশ। র‌্যালিটি নগরীর জিলা স্কু‌লের মোড় থে‌কে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শেষ হয়।

ব‌রিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার নিউজবাংলাকে ব‌লেন, ‘ক‌রোনা থে‌কে রক্ষা পেতে সচেতনতামূলক প্রচারের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতও প‌রিচালনা করা হ‌চ্ছে। অযথা বাইরে বের হবেন না। এতে আপনার পরিবারের সদস্যদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

খুলনা

খুলনা শহরে ভোর থেকেই মানুষের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে প্রশাসন।

সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নগরীতে টহল শুরু করে। খুলনা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে কোন বাস চলাচল করেনি। তবে নগরীতে ইজিবাইক ও রিকশা চলছে।

খুলনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাষীশ বসাক বলেন, ‘মহানগররীর ছয়টি পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট। তারা সরকারের গণবিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

মাগুরা

লকডাউনের শুরুতে মাগুরা শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো খুলতে শুরু করে। এ সব দোকান ও সড়কে বাড়তে থাকে মানুষের সমাগম।

মহাসড়কে যান চলাচল সীমিত ছিল। মাগুরা থেকে শালিখা, মহম্মদপুর ও শ্রীপুর উপজেলায় লোকাল বাস চলতে দেখা গেছে। যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে কিছু দূরপাল্লার পরিবহনকে।

বাজারে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়া মতো। বিশেষ করে পুরান বাজার, নতুন বাজার ও পুলিশলাইন বড় বাজারে ক্রেতার সমাগম ছিল বেশি। শহরের ইটখোলা বাজারে চাল নিতে আসা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘চাল তো নিতি হবি। লকডাউন দিয়ে আমাগের পেট ভরবে? না বাবা।’

রোভার স্কাউট দলনেতা মহিসুর রহমান বলেন, ‘আমরা সচতেনা বাড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। যাদের মুখে মাস্ক নেই তাদের মাস্ক দিচ্ছি।’

জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম নিউজবাংলাকে জানান, সরকারের নির্দেশনা সবাইকে মানতে হবে। প্রথম দিনে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি বুঝে এর পর ব্যবস্থা নেব।

কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় কিছুটা ঢিলেঢালাভাবে চলছে লকডাউন। সকাল থেকে বিভিন্ন রুটের বেশ কিছু বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়।

শহরে যান চলাচল ও কাঁচা বাজারে মানুষের ভিড় রয়েছে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই নেই।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় ৩০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউন কার্যকর করতে ব্যাপক মাইকিং করা হচ্ছে। সকাল থেকে মাঠে প্রশাসনের মোবাইল টিমও কাজ করছে।’

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে সরকারি নিষেধ মেনে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও শহরের ভেতরে অটোরিকশা চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো।

সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাইপাস মোড়ে দেখা যায় বেশ কয়েকজন যাত্রী সিএনজি অটোরিকশা ও ট্রাকে করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

নগরীর বড় কাঁচা বাজার মেছুয়া বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় ছিল উপচে পড়া।

জেলা প্রশাসক এনামুল হক বলেন, ‘করোনা মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন মাঠে কাজ করছে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।’

লকডাউন: কোথাও কঠোর, কোথাও ঢিলেঢালা
নেত্রকোণা শহরের আগের মতোই চলেছে যানবাহন। ছবি: নিউজবাংলা

নেত্রকোণা

নেত্রকোণা শহরের বারহাট্রা রোড, তেরী বাজার, ছোটবাজার, মোক্তারপাড়া, বড়বাজার, সাতপাই এলাকায় লকডাউনে আগের মতোই চলেছে যানবাহন।

শহরের নাগড়া এলাকার বাসিন্দা অনুপ দাস ছোট বাজারে একটি ওষুধের দোকানে যান। সেখানে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘লকডাউন চলতাছে। এইডা বোঝার কোনো উপায় নাই। প্রয়োজনীয় ছাড়াও এমনি দোকানও খুইল্যা বেঁচতাছে। এই অবস্তা চললে কী যে অইব।’

সিভিল সার্জন সেলিম মিয়া জানান, জেলায় করোনা অক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬ জন।

জামালপুর

লকডাউনের প্রথম দিনেই ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশার দখলে ছিল জামালপুর শহর। খোলা আছে ছোটখাটো দোকনপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

প্রশাসনের নজরদারির অভাবে কিছু দোকানি নানা অজুহাতে দোকান খোলার সুযোগ নিয়েছে।

অটোরিকশার চালক সানি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাড়িত কোনো খাবার নাই। পকেটে টাকাও নাই। দুই একটা টিপ মাইরে বাজার কইরে বাড়িত যামুগা। এহন করোনা হইলেই কি আর না হইলেই কি।’

স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ‘এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে লকডাউনের কোনো প্রয়োজন ছিল না। এতে কোনোভাবেই করোনার সংক্রমণ কমবে না।’

তবে জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান জানান, প্রথমদিনে মানুষ হয়তো বুঝে উঠতে পারছে না। শুধু পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতিত সব ধরনের যানবাহন ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। এ জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ শুরু করেছে ।

লকডাউন: কোথাও কঠোর, কোথাও ঢিলেঢালা
চট্টগ্রাম গণপরিবহন না থাকলেও চলতে দেখা গেছে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার। ছবি: নিউজবাংলা

চট্টগ্রাম

বন্দরনগরীর সড়কে প্রথম দিন গণপরিবহন না থাকলেও চলতে দেখা গেছে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন।

কেউ অফিস, কেউ বাজারে কেউ বা হাসপাতালে যাচ্ছেন। এতে রাস্তাঘাটে জনসমাগম দেখা গেছে। কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বের হলেও অনেককে দেখা গেছে তা অমান্য করতে। যার ফলে লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা কঠোরভাবে মানা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, জিইসি, লালখানবাজার, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ, বারিক বিল্ডিং, কাস্টম মোড়, ইপিজেড, টাইগারপাস, কদমতলী, নিউমার্কেট এলাকার রাস্তাঘাটে অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে।

সকালে জিএসি এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন চালক হাবিব মিয়া। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা দিনমজুর। সারাদিন আয় না করলে রাতে পেটে ভাত জুটবে না। তাই আমগো কিসের লকডাউন।’

জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান জানান, ‘নগরে ১০জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে রয়েছেন। এ ছাড়া নগরের তিনটি প্রবেশপথে বিআরটিএ-এর ম্যাজিস্টেটরা দায়িত্ব পালন করছেন।

লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুরে বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে গণপরিবহন চলছে, দোকানপাটও রয়েছে খোলা। ঠিকমতো স্বাস্থবিধিও মানছে না অনেকে।

পৌরসভা, দালাল বাজার, জকসিন, মান্দারী, মজু চৌধুরীর হাটে এমন চিত্র দেখা গেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ তথ্যমতে জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫৮ জনে। এ জেলায় করোনাতে ৪৩ জন মারা গেছেন।

রংপুর

রংপুরে লকডাউনে রিকশা, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের আধিক্য দেখা গেছে। মানুষও প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হয়েছে।

স্বাভাবিক দিনের মতো যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশকে।

প্রধান সড়কের দুইপাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট বন্ধ থাকলেও গলির ভেতর, পাড়া-মহল্লা এবং শহরের বাইরের দৃশ্য ছিল একেবারেই ভিন্ন।

আদালত ছাড়া সরকারি সব অফিসই খোলা রয়েছে। সেখানে উপস্থিতির সংখ্যা কম। তবে সরকারি কিছু ব্যাংকে উপচে পড়া ভিড় ছিল।

রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট (গণমাধ্যমের দায়িত্বে) মাহমুদ হাসান মৃধা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে আমরা কাজ করছি। শহর এবং শহরে বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদে সঙ্গে নিয়ে টহল দিচ্ছি।’

সিলেটে

লকডাউনের প্রথম দিনে সিলেটে দেখা গেছে অনেকটা ঢিলেঢালাভাব। অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম তবুও সোমবার সকাল থেকেই সিলেটের সড়কে চলাচল করছিল রিকশা, অটোরিকশা। মানুষজনের চলাচলও কম নয়।

বড় বড় বিপণীবিতানগুলো বন্ধ হলেও খোলা রয়েছে অন্যান্য দোকানপাট। অনেকে অর্ধেক সাটার বন্ধ রেখেও দোকানপাট খোলা রেখেছেন। ব্যাংক ছাড়া বেশিরভাগ অফিসই বন্ধ রয়েছে।

নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কে চলাচল করছে রিকশা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চলাচল করছে। তবে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল।

খোলা রয়েছে অনেক দোকানপাট ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া নিত্যপণ্যের দোকানও খোলা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, লকডাউন কার্যকরে প্রশাসন মাঠে রয়েছে। প্রথমে আমরা জনগনকে বুঝাতে চেষ্টা করছি। এতে কাজ না হলে কঠোর হবে।

লকডাউন: কোথাও কঠোর, কোথাও ঢিলেঢালা
রাজশাহীতে মার্কেট খুলে রাখার দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা। ছবি: নিউজবাংলা

রাজশাহী

লকডাউনে রাজশাহীতে এক ভিন্নচিত্র। মার্কেট খুলে রাখার দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে ব্যবসায়ীরা নামে সাহেববাজারে রাস্তায়। তাদের দাবি, সামনে ঈদ। এই সময়ে তাদের মার্কেট বন্ধ থাকলে আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন।

দাবি আদায়ে সাহেববাজার বড় রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। দোকান খুলে দেয়ার জন্য নানা স্লোগান দেন।

পরে পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। কিছুক্ষণ পর সেখানে উপস্থিত হন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম। তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে মার্কেট খোলা রাখার দাবি জানান নেতারা।

কাপড় পট্টি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামিম জানান, গতবছর লকডাউনে তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। লকডাউন চলছে চলুক, তাদের একটা সময় বেঁধে দিলে সেই সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা ব্যবসা করতে চান।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম ব্যবসায়ীদের বলেন, ‘মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকারি। এটি স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে মালামাল পাঠাতে পারবেন। দোকান খুলে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার সুযোগ নাই। আমরা এনিয়ে নতুন কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না।’

লকডাউনের প্রথম দিনে রাজশাহীতে বাস চলাচল করেনি। তবে রাস্তায় রিকশা ও অটোরিকশা চলছে। যদিও এ সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম। রাস্তায় লোকজনের চলাচলও কম রয়েছে। নগরীর বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে পাড়া মহল্লার ছোট দোকানপাট খোলা আছে।

আরও পড়ুন:
নিউমার্কেটে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ
লকডাউন: একদিকে সংকট, আরেক দিকে আশার আলো
লকডাউন: বাস ছাড়া সবই চলছে, জনদুর্ভোগ
লকডাউন: পরিবহন সংকটে শ্রমিকদের ভোগান্তি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
The price of fuel oil has dropped one penny 

লিটারে এক টাকা কমেছে জ্বালানি তেলের দাম 

লিটারে এক টাকা কমেছে জ্বালানি তেলের দাম 

ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম কমিয়েছে সরকার। সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা কমিয়ে আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নতুন এ দাম বুধবার দিনগত মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, ডিজেলের বিক্রয়মূল্য প্রতি লিটার ১০৫ টাকা থেকে এক টাকা কমে ১০৪ টাকা, কেরোসিন ১০৫ টাকা থেকে এক টাকা কমে ১০৪ টাকা এবং অকটেন ১২৬ টাকা থেকে এক টাকা কমে ১২৫ টাকা, পেট্রোল ১২২ টাকা থেকে এক টাকা কমে ১২১ টাকায় পুনঃনির্ধারণ/সমন্বয় করা হয়েছে। যা ১ মে ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমা-বাড়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

এ জন্য ‘জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা’র আলোকে মে মাসের জন্য তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিতে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে বলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ গত ১ ফেব্রুয়ারি সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বাড়িয়ে বর্তমান দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ মূল্য মার্চ ও এপ্রিল মাসেও বহাল ছিল।

মন্তব্য

সারা দেশ
BJIMs Symposium on the occasion of World Free Media Day

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বিজেআইএমের সিম্পোজিয়াম

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বিজেআইএমের সিম্পোজিয়াম

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে একটি সিম্পোজিয়াম আয়োজন করছে বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম)। এতে অংশ নেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলমসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক ও গবেষকরা। আগামী শনিবার (৩ মে) বিকাল ৩টায় ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার অডিটরিয়ামে এই সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিজেআইএমের আহ্বায়ক স্যাম জাহান ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী মাজেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ আফটার দ্য মনসুন আপরাইজিং : দ্য মিডিয়া ল্যান্ডস্ক্যাপ’ শীর্ষক এই সিম্পোজিয়ামটি তিনটি সেশনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম সেশনে বিজেআইএম প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর অর্জনের একটি সারসংক্ষেপ ও পরিকল্পনার রূপরেখা উপস্থাপন করা হবে।

দ্বিতীয় সেশনে বিজেআইএমের একজন সদস্যের পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলমের সঙ্গে একটি উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, রাজনীতি, কূটনীতি, ভবিষ্যৎ, আমলাতন্ত্র ইত্যাদি বিষয়ে যে কোনো প্রশ্ন করা যাবে।

তৃতীয় সেশনে দেশের নেতৃত্বস্থানীয় সাংবাদিক, গবেষক ও অ্যাক্টিভিস্টদের নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা হবে। এতে অংশ নেবেন- প্রথম আলোর ইংরেজি বিভাগের প্রধান আয়েশা কবির, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)-এর প্রতিনিধি সেলিম সামাদ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান প্রতিবেদক আব্বাস উদ্দিন, ইরাবতী ইংরেজির প্রতিবেদক মুক্তাদির রশিদ, ডেইলি স্টারের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাইমা ইসলাম, বাংলাদেশ সরকার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান গবেষক এম আবুল কালাম আজাদ ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ওমর ফারুক।

সিম্পোজিয়ামে সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষার্থী, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ সর্বসাধারণ মানুষের যে কেউ অংশ নিতে পারবে। তবে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় আগ্রহীদের দ্রুত নাম, বয়স, পেশা ও যোগাযোগ নম্বরসহ [email protected]এ প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
No discussion with the United Nations on the Humanities Corridor Press Secretary

‘মানবিক করিডর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

‘মানবিক করিডর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব ছবি: সংগৃহীত

‘মানবিক করিডর’ নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কক্সবাজার হয়ে জাতিসংঘের ‘মানবিক করিডর’-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, সরকার তথাকথিত মানবিক করিডর নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি।”

শফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের অবস্থান হলো, জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে যদি মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়, তবে বাংলাদেশ লজিস্টিক সহায়তা দিতে আগ্রহী থাকবে।’

তিনি জানান, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) তথ্য অনুযায়ী রাখাইন রাজ্যে তীব্র মানবিক সংকট চলছে।

দুর্যোগকালীন সময়ে বিভিন্ন দেশকে সহায়তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যার সাম্প্রতিক উদাহরণ ভূমিকম্প-পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারকে সহায়তা প্রদান করা।

প্রেস সচিব সতর্ক করে বলেন, ‘এছাড়াও, আমরা উদ্বিগ্ন যে এ ধরনের মানবিক সংকট দীর্ঘ হলে রাখাইন থেকে আরও মানুষের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে, যা আমরা সামাল দিতে পারব না।’

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশ্বাস করে যে জাতিসংঘ-সমর্থিত মানবিক সহায়তা রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে এবং শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর বাস্তবসম্মত একমাত্র পথ হলো বাংলাদেশ।

শফিকুল আলম বলেন, এই রুট ব্যবহার করে সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে লজিস্টিক সহায়তা প্রদানে সম্মত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তবে, রাখাইনে সহায়তা প্রদানের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে আমরা বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করব।’

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিশ্বের বড় কোনো শক্তি এই করিডরের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে যে প্রতিবেদন করা হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও প্রপাগান্ডা বলে তিনি দাবি করেন।

প্রেস সচিব বলেন, ‘বিগত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে একের পর এক বিদ্বেষপূর্ণ বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে আমরা দেখেছি, যা এখনো চলছে। এ ধরণের প্রচারণাও তার ব্যতিক্রম নয়।’

মন্তব্য

সারা দেশ
Suicide not to prepare for the threat of war on a regular basis the chief adviser

প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি, প্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী: প্রধান উপদেষ্টা

প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি, প্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

আমরা এমন এক বিশ্বে বাস করি যেখানে যুদ্ধের প্রস্তুতি না রাখাটা আত্মঘাতী। এ মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমান বাহিনীর বীর উত্তম এ কে খন্দকার ঘাঁটিতে ছিল বার্ষিক মহড়া। ‘আকাশ বিজয়’ নামে হয় এ বছরের বাৎসরিক মহড়া। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমি যুদ্ধবিরোধী মানুষ। পৃথিবীতে যুদ্ধ হোক এটা আমরা কামনা করি না। যুদ্ধ প্রস্তুতি অনেক সময় যুদ্ধের দিকে নিয়ে যায়। কাজেই যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়েও একটা ঘোরতর আপত্তি। কিন্তু এমন বিশ্বে আমরা বাস করি, প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি আমাদের ঘিরে থাকে। তো সেখানে প্রস্তুতি না নিয়ে থাকা এটা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

‘কাজেই এই পরিস্থিতির মধ্যে যুদ্ধের প্রস্তুতি না নেয়াটা আত্মঘাতী। প্রস্তুতি নিতে হলে আধা-আধি প্রস্তুতির কোনো জায়গা নাই।’ বলেন তিনি।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে বিমান বাহিনী। সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তৎপর থাকতে হবে। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে আত্মনির্ভরতার প্রমাণ দিয়েছে বিমান বাহিনী। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জন্য সরকার সহযোগিতা করছে বাহিনীটিকে। পেশাগত কারিগরি সক্ষমতা বজায় রাখতে হবে।

দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যুগোপযোগী বিমান বাহিনী গড়ে তুলতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, সকালে প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেয়া এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার বন্যাকবলিত পরিবারের মাঝে পুনর্বাসনকৃত ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।

মন্তব্য

সারা দেশ
Air ambulance is being prepared for Khaleda Zia Foreign Advisor

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাকে আনতে বিএনপির অনুরোধে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে ঢাকায় ফেরত আনতে বিএনপির পক্ষ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অনুরোধ নিয়ে কাজ করছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হচ্ছে। জানা যায়, খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাতে কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের আয়োজন করতে গত সপ্তাহে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি লিখেছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে ‘আশঙ্কামুক্ত’ নয়। তথাপি তিনি এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসক বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেশে ফেরাতে পরামর্শ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিএনপির মহাসচিবের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার লন্ডন ও দোহার বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফেরাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কভিড-১৯ মহামারির সময় বিগত সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে গত ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন খালেদা জিয়া। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদ কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।

বর্তমানে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Modis green signal in an army operation in response to the Kashmir attack

কাশ্মীর হামলার জবাবে সেনা অভিযানে মোদির ‘সবুজ সংকেত’

কাশ্মীর হামলার জবাবে সেনা অভিযানে মোদির ‘সবুজ সংকেত’ ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের পেহেলগামে প্রাণঘাতী হামলার পর সামরিক জবাবদিহির বিষয়ে সেনাবাহিনীকে ‘পদ্ধতি, লক্ষ্য ও সময় নির্ধারণে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে এনডিটিভি গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও প্রতিরক্ষাপ্রধান জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠকে এই বার্তা দিয়েছেন মোদি।

প্রধানমন্ত্রী মোদি আবারও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক জবাব দেওয়াই আমাদের জাতীয় সংকল্প’ এবং তিনি ভারতের সেনাবাহিনীর প্রতি ‘সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা’ রাখেন।

এই বৈঠকের কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও ভারতীয় জনতা পার্টির আদর্শিক অভিভাবক রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভগবত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছন।

সূত্রের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের সবুজ সংকেত দিয়েছে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামলার পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা। তখন ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ পরিচালিত প্রশিক্ষণশিবিরে নিখুঁত বিমান হামলা চালিয়েছিল।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিচালিত সেই শিবিরগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।

ছয় বছর পর এই হামলার সঙ্গে আবারও পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তাদেরই ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

এদিকে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোও বলেছে, প্রাপ্ত প্রমাণ আবারও পাকিস্তানকেই ইঙ্গিত করছে।

এই প্রমাণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের, যেমন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, জাপান ও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের প্রতিনিধিদের দেখানো হয়েছে।

ভারত ইতোমধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। প্রথম ধাপে নয়াদিল্লি পাকিস্তানিদের জন্য জারি করা ভিসা বাতিল করে দিয়েছে। তবে পাকিস্তানি হিন্দু ও দীর্ঘমেয়াদি অনুমোদনপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য নয়। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে দেওয়া ভিসাও বাতিল করা হয়েছে।

গত রোববার সব কার্যকর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে, বিশেষ করে বিখ্যাত আটারি-ওয়াঘা চেকপয়েন্টে পাকিস্তানি নাগরিকদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। সেদিন থেকে প্রায় এক হাজার পাকিস্তানি নাগরিক ভারত ছেড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ব্যক্তিগতভাবে রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের এই সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও কূটনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে ভারত ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত ইন্দাস পানি চুক্তিও স্থগিত করেছে। এই পানি বণ্টন চুক্তির অধীনে পাকিস্তান তার প্রাপ্য মোট পানির প্রায় ৮৫ শতাংশ পেত। এই চুক্তি স্থগিত করাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদ ভারতের সব ভিসা বাতিল করেছে ও শত শত ভারতীয়কে বহিষ্কার করেছে। পাকিস্তান আরও কিছু দ্বিপক্ষীয় চুক্তি, যেমন ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তিও স্থগিত রেখেছে।

এরই মধ্যে পাকিস্তানের এক শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে দেওয়া এক মন্তব্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেন, আগামী কয়েক দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পেহেলগামে হামলা নিয়ে নিজের প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, তার সরকার সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহ পরিকল্পনাকে সফল হতে দেবে না।

তিনি আরও বলেন, ‘এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসের আখ্যানের শেষ চিহ্নও মুছে ফেলার। ১৪০ কোটি মানুষের ইচ্ছাশক্তি সন্ত্রাসের প্রভুদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে।’

এরপর তিনি একাধিক শক্ত বার্তা দিয়েছেন, যাতে তিনি বলেন, ভারত সন্ত্রাসকে ভয় পায় না এবং এই ভয়াবহ হামলার পরিকল্পনাকারীসহ প্রত্যেক জড়িত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।

সূত্র: এনডিটিভি

মন্তব্য

সারা দেশ
The main adviser

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঘর বিতরণ প্রধান উপদেষ্টার

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঘর বিতরণ প্রধান উপদেষ্টার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ দেশের চারটি জেলার বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে ঘর বিতরণ করেছেন।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত মোট তিনশটি ঘর ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় বিতরণ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকরা সুবিধাভোগীদের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন।

অধ্যাপক ইউনূস ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি চারটি জেলায় অনুষ্ঠিত ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

ফেনীতে ১১০টি, নোয়াখালীতে ৯০টি, কুমিল্লায় ৭০টি এবং চট্টগ্রামে ৩০টি ঘর সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগীরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানান।

প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে, বরাদ্দকৃত টাকার অর্ধেক দিয়েই সুষ্ঠু ভাবে প্রকল্প শেষ করায় প্রকল্পের সাথে যুক্ত সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক এবং সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই বিশেষ গৃহায়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

মন্তব্য

p
উপরে