করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের লকডাউনের শুরু হয়েছে সোমবার সকাল থেকে। এবারের লকডাউনে কোথাও দেখা গেছে ঢিলেঢালা ভাব আবার কোথাও মানা হচ্ছে কঠোর ভাবে।
সোমবার সকাল থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলো ঘুরে দেখেছেন সহকর্মীরা। তাদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে তুলে ধরা হলো সারাদেশের চিত্র।
বরিশাল
ঢিলেঢালা ভাবে লকডাউন চলছে বরিশালে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা স্থানে বাজার বসানোর নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। মহাসড়কে থ্রি হুইলারের চলাচল বেড়েছে। তারা যাত্রী পরিবহণ করছে গাদাগাদি করে। তবে বন্ধ আছে বাস ও লঞ্চ চলাচল।
সরেজমিনে নগরীর নথুল্লাবাদ, রুপাতলী, নতুন বাজার, অমৃত লাল দে সড়ক, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দির জাহাঙ্গীর সড়ক, বাংলা বাজার ও বটতলাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। যদিও ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রশাসন।
বাংলাবাজার এলাকার রাইসুল ইসলাম নামে এক যুবককে ঘোরাঘুরির কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, লকডাউন দেখতে বাইরে বের হয়েছেন।
কেনো মাস্ক পরেননি এমন প্রশ্নে রাতুল খান নামে এক যুবক বলেন, ‘লকডাউনে রাস্তা ফাঁকা ভেবে বের হয়েছি। ভেবেছি রাস্তায় কেউ নেই তাই মাস্ক পরিনি।’
করোনা সচেতনতায় বরিশালে বেলা ১১টার দিকে মোটরসাইকেল র্যালি বের করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। র্যালিটি নগরীর জিলা স্কুলের মোড় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শেষ হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতামূলক প্রচারের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হচ্ছে। অযথা বাইরে বের হবেন না। এতে আপনার পরিবারের সদস্যদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
খুলনা
খুলনা শহরে ভোর থেকেই মানুষের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে প্রশাসন।
সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নগরীতে টহল শুরু করে। খুলনা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে কোন বাস চলাচল করেনি। তবে নগরীতে ইজিবাইক ও রিকশা চলছে।
খুলনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাষীশ বসাক বলেন, ‘মহানগররীর ছয়টি পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট। তারা সরকারের গণবিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
মাগুরা
লকডাউনের শুরুতে মাগুরা শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো খুলতে শুরু করে। এ সব দোকান ও সড়কে বাড়তে থাকে মানুষের সমাগম।
মহাসড়কে যান চলাচল সীমিত ছিল। মাগুরা থেকে শালিখা, মহম্মদপুর ও শ্রীপুর উপজেলায় লোকাল বাস চলতে দেখা গেছে। যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে কিছু দূরপাল্লার পরিবহনকে।
বাজারে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়া মতো। বিশেষ করে পুরান বাজার, নতুন বাজার ও পুলিশলাইন বড় বাজারে ক্রেতার সমাগম ছিল বেশি। শহরের ইটখোলা বাজারে চাল নিতে আসা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘চাল তো নিতি হবি। লকডাউন দিয়ে আমাগের পেট ভরবে? না বাবা।’
রোভার স্কাউট দলনেতা মহিসুর রহমান বলেন, ‘আমরা সচতেনা বাড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। যাদের মুখে মাস্ক নেই তাদের মাস্ক দিচ্ছি।’
জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম নিউজবাংলাকে জানান, সরকারের নির্দেশনা সবাইকে মানতে হবে। প্রথম দিনে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি বুঝে এর পর ব্যবস্থা নেব।
কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় কিছুটা ঢিলেঢালাভাবে চলছে লকডাউন। সকাল থেকে বিভিন্ন রুটের বেশ কিছু বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়।
শহরে যান চলাচল ও কাঁচা বাজারে মানুষের ভিড় রয়েছে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই নেই।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় ৩০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউন কার্যকর করতে ব্যাপক মাইকিং করা হচ্ছে। সকাল থেকে মাঠে প্রশাসনের মোবাইল টিমও কাজ করছে।’
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহে সরকারি নিষেধ মেনে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও শহরের ভেতরে অটোরিকশা চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো।
সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাইপাস মোড়ে দেখা যায় বেশ কয়েকজন যাত্রী সিএনজি অটোরিকশা ও ট্রাকে করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নগরীর বড় কাঁচা বাজার মেছুয়া বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় ছিল উপচে পড়া।
জেলা প্রশাসক এনামুল হক বলেন, ‘করোনা মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন মাঠে কাজ করছে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।’
নেত্রকোণা
নেত্রকোণা শহরের বারহাট্রা রোড, তেরী বাজার, ছোটবাজার, মোক্তারপাড়া, বড়বাজার, সাতপাই এলাকায় লকডাউনে আগের মতোই চলেছে যানবাহন।
শহরের নাগড়া এলাকার বাসিন্দা অনুপ দাস ছোট বাজারে একটি ওষুধের দোকানে যান। সেখানে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘লকডাউন চলতাছে। এইডা বোঝার কোনো উপায় নাই। প্রয়োজনীয় ছাড়াও এমনি দোকানও খুইল্যা বেঁচতাছে। এই অবস্তা চললে কী যে অইব।’
সিভিল সার্জন সেলিম মিয়া জানান, জেলায় করোনা অক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬ জন।
জামালপুর
লকডাউনের প্রথম দিনেই ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশার দখলে ছিল জামালপুর শহর। খোলা আছে ছোটখাটো দোকনপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
প্রশাসনের নজরদারির অভাবে কিছু দোকানি নানা অজুহাতে দোকান খোলার সুযোগ নিয়েছে।
অটোরিকশার চালক সানি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাড়িত কোনো খাবার নাই। পকেটে টাকাও নাই। দুই একটা টিপ মাইরে বাজার কইরে বাড়িত যামুগা। এহন করোনা হইলেই কি আর না হইলেই কি।’
স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ‘এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে লকডাউনের কোনো প্রয়োজন ছিল না। এতে কোনোভাবেই করোনার সংক্রমণ কমবে না।’
তবে জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান জানান, প্রথমদিনে মানুষ হয়তো বুঝে উঠতে পারছে না। শুধু পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতিত সব ধরনের যানবাহন ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। এ জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ শুরু করেছে ।
চট্টগ্রাম
বন্দরনগরীর সড়কে প্রথম দিন গণপরিবহন না থাকলেও চলতে দেখা গেছে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন।
কেউ অফিস, কেউ বাজারে কেউ বা হাসপাতালে যাচ্ছেন। এতে রাস্তাঘাটে জনসমাগম দেখা গেছে। কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বের হলেও অনেককে দেখা গেছে তা অমান্য করতে। যার ফলে লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা কঠোরভাবে মানা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, জিইসি, লালখানবাজার, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ, বারিক বিল্ডিং, কাস্টম মোড়, ইপিজেড, টাইগারপাস, কদমতলী, নিউমার্কেট এলাকার রাস্তাঘাটে অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে।
সকালে জিএসি এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন চালক হাবিব মিয়া। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা দিনমজুর। সারাদিন আয় না করলে রাতে পেটে ভাত জুটবে না। তাই আমগো কিসের লকডাউন।’
জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান জানান, ‘নগরে ১০জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে রয়েছেন। এ ছাড়া নগরের তিনটি প্রবেশপথে বিআরটিএ-এর ম্যাজিস্টেটরা দায়িত্ব পালন করছেন।
লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরে বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে গণপরিবহন চলছে, দোকানপাটও রয়েছে খোলা। ঠিকমতো স্বাস্থবিধিও মানছে না অনেকে।
পৌরসভা, দালাল বাজার, জকসিন, মান্দারী, মজু চৌধুরীর হাটে এমন চিত্র দেখা গেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ তথ্যমতে জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫৮ জনে। এ জেলায় করোনাতে ৪৩ জন মারা গেছেন।
রংপুর
রংপুরে লকডাউনে রিকশা, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের আধিক্য দেখা গেছে। মানুষও প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হয়েছে।
স্বাভাবিক দিনের মতো যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশকে।
প্রধান সড়কের দুইপাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট বন্ধ থাকলেও গলির ভেতর, পাড়া-মহল্লা এবং শহরের বাইরের দৃশ্য ছিল একেবারেই ভিন্ন।
আদালত ছাড়া সরকারি সব অফিসই খোলা রয়েছে। সেখানে উপস্থিতির সংখ্যা কম। তবে সরকারি কিছু ব্যাংকে উপচে পড়া ভিড় ছিল।
রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট (গণমাধ্যমের দায়িত্বে) মাহমুদ হাসান মৃধা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে আমরা কাজ করছি। শহর এবং শহরে বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদে সঙ্গে নিয়ে টহল দিচ্ছি।’
সিলেটে
লকডাউনের প্রথম দিনে সিলেটে দেখা গেছে অনেকটা ঢিলেঢালাভাব। অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম তবুও সোমবার সকাল থেকেই সিলেটের সড়কে চলাচল করছিল রিকশা, অটোরিকশা। মানুষজনের চলাচলও কম নয়।
বড় বড় বিপণীবিতানগুলো বন্ধ হলেও খোলা রয়েছে অন্যান্য দোকানপাট। অনেকে অর্ধেক সাটার বন্ধ রেখেও দোকানপাট খোলা রেখেছেন। ব্যাংক ছাড়া বেশিরভাগ অফিসই বন্ধ রয়েছে।
নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কে চলাচল করছে রিকশা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চলাচল করছে। তবে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল।
খোলা রয়েছে অনেক দোকানপাট ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া নিত্যপণ্যের দোকানও খোলা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, লকডাউন কার্যকরে প্রশাসন মাঠে রয়েছে। প্রথমে আমরা জনগনকে বুঝাতে চেষ্টা করছি। এতে কাজ না হলে কঠোর হবে।
রাজশাহী
লকডাউনে রাজশাহীতে এক ভিন্নচিত্র। মার্কেট খুলে রাখার দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে ব্যবসায়ীরা নামে সাহেববাজারে রাস্তায়। তাদের দাবি, সামনে ঈদ। এই সময়ে তাদের মার্কেট বন্ধ থাকলে আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন।
দাবি আদায়ে সাহেববাজার বড় রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। দোকান খুলে দেয়ার জন্য নানা স্লোগান দেন।
পরে পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। কিছুক্ষণ পর সেখানে উপস্থিত হন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম। তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে মার্কেট খোলা রাখার দাবি জানান নেতারা।
কাপড় পট্টি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামিম জানান, গতবছর লকডাউনে তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। লকডাউন চলছে চলুক, তাদের একটা সময় বেঁধে দিলে সেই সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা ব্যবসা করতে চান।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম ব্যবসায়ীদের বলেন, ‘মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকারি। এটি স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে মালামাল পাঠাতে পারবেন। দোকান খুলে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার সুযোগ নাই। আমরা এনিয়ে নতুন কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না।’
লকডাউনের প্রথম দিনে রাজশাহীতে বাস চলাচল করেনি। তবে রাস্তায় রিকশা ও অটোরিকশা চলছে। যদিও এ সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম। রাস্তায় লোকজনের চলাচলও কম রয়েছে। নগরীর বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে পাড়া মহল্লার ছোট দোকানপাট খোলা আছে।
আরও পড়ুন:দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার আট দশমিক ৯৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি একজন পুরুষ। তার বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তার বাড়ি ঢাকা বিভাগে। তিনি একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪১০ জন। মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৩ জন।
নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলা এই একটি উপজেলা নিয়ে গঠিত মহান জাতীয় সংসদীয় আসন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভৌগলিক অবস্থান পূর্বধলা উপজেলার উত্তর-পূর্বাংশে নেত্রকোণা জেলা শহর এবং এটি ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্গত। পূর্বধলা উপজেলা গঠিত হয়েছে ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে, যেগুলো স্থানীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
আয়তন ৩০৮.০৩ বর্গ কিঃমিঃ। মোট জনসংখ্যা-৩,১০,৮৩৪। পুরুষ-৪৯.২৭%, মহিলা-৫০.৭৩%। মুসলমান-৯৪.৮০%, হিন্দু-৪.৮১%, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান- ০.১৯% এবং অন্যান্য-০.২০%। এখানে গারো ও হদি নামক দু’টি আদিবাসী সম্প্রদায় আছে। তাদের পরিবারের সংখ্যা- ৪৪৫টি। মোট ভোটার-২,৭০,৬৯৯ জন ২০২৩ সালের ১১অক্টোবর পর্যন্ত। পুরুষ ভোটার: ১,৩৭,৯১৬জন ২০২৩ সালের ১১অক্টোবর পর্যন্ত। মহিলা ভোটার:১,৩২,৭৮২ জন ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রাপ্ত র্স্মাট জাতীয় পরিচয় পত্র সংখ্যা: ২,৩৬,১০৩। বিতরণকৃত র্স্মাট জাতীয় পরিচয় পত্রের সংখ্যা: ২,১০,৭৯১। অবিতরণকৃত র্স্মাট জাতীয় পরিচয় পত্রের সংখ্যা: ২৫,৩১২।
এবার পূর্বধলা সংসদীয় আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান। তিনি সাবেক সরকারি কর্মকর্তা বিসিএস (তথ্য ক্যাডার)। সাবেক বিসিএস জুডিশিয়ারী (সহকারী জজ) (কোয়ালিফায়েড ফর বিসিএস-২২)। সাবেক লেকচারার, আইন বিভাগ, কুইন'স ইউনিভার্সিটি।
সলিসিটর ফর ইংল্যান্ড, এন্ড ওয়েলস হাইকোর্ট। প্রিন্সিপাল সলিসিটার অফ মওদুদ ল'চেম্বার্স সলিসিটর্স, লন্ডন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী ছাত্রনেতা ও এ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
এছাড়াও তিনি বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি চেয়ারম্যান। বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আইন বিষয়ক সম্পাদক। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আগামী মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান বলেন, ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী নিয়ে সর্বস্তরের জনগণের মাঝে কাজ করে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্বধলা উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামে প্রতিটি ঘরে বিএনপি'র একত্রিশ দফা বার্তা নিরচ্ছন্ন ভাবে পৌছানোর দৃপ্ত শপথ গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্বধলা উপজেলার প্রত্যেকটি বাড়ীতে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে একেকটি পরিবারের ও গ্রাম্য জীবন তথা উপজেলার সার্বিক জাতীয় সমস্যা, উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে বিএনপির পাশাপাশি সার্বিকভাবে ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী কাজ করে যাবে। আমাদের স্লোগান ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে যেই আগামীর নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে আসবে আমরা তার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবো। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, দুর্নীতিবাজ, চরিত্রিহীন, অসৎ লোক, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, ব্যাক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে এমন স্বার্থপর তথা জনগণের আস্থার পরীক্ষায় ফেল করা কোনো ব্যাক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের মাটিতে আমাদের প্রাণের সংগঠন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র হাই কম্যান্ডসহ বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও চাইবেন না। ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী চাই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পূর্বধলাসহ সারা বাংলাদেশে বিএনপি'র দলের হয়ে জনগণের সেবায় বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখুক। আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক কঠিন ও কঠিনতর হবে। পেশিশক্তির দিন শেষ এবং দিন শেষে জনগণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বিশ্বাস করি পূর্বধলার জনগণ জননেতা নির্বাচনে কোনোক্রমেই ভুল করবেনা। প্রাণের পূর্বধলার সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণের নিমিত্তে অবশ্যই একজন সৎ, যোগ্য, দুর্নীতি বিরোধী, দেশপ্রেমিক, নিঃস্বার্থ একজন যোগ্য ব্যক্তিকে খোঁজে নেবে পূর্বধলাবাসী। সে জন্য দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্বধলার মনোনয়ন বিএনপির হাইকমান্ড ভেবেচিন্তে নির্ধারণ করবে। সকল জাতীয়দাবাদী নেতৃবৃন্দ, কর্মী সমর্থক, শুভানুদ্ধায়ীদেরকে ধানের শীষের সমর্থনে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে পূর্বধলা ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী দলীয় সংহতির ভিত্তিতে ইস্পাত কঠিন ঐক্যের দৃপ্ত আহবান জানাই। ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই, একতাই বল। পূর্বধলার সার্বিক উন্নয়নে আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জননেতা তারেক রহমানের একত্রিশ দফার মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র মেরামতে ঐতিহাসিক ভাবে জাতীয় মুক্তির ভূমিকা পালনে সবাই অংশগ্রহণ করি। পূর্বধলার সকল সম্মানিত নাগরিকের আস্থা, ভালোবাসা, কল্যাণ ও পছন্দের প্রতীক হউক ধানের শীষ।
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একত্রিশ দফা বাস্তবায়ন করতে চাই। তাই শতভাগ আশাবাদী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড আমাকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দিবেন।
ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভে ২০১৮-এর তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে মাত্র ২৯ শতাংশ নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে। অর্থাৎ প্রায় ৭১ শতাংশ নারী এখনও স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে না। পিরিয়ডের সময় অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহার করার ফলে সার্ভিক্যাল ইনফেকশন হতে পারে। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহারের ফলে পরবর্তীতে বন্ধ্যাত্ব এমনকি ক্যান্সার-এরও ঝুঁকি থাকে। এর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা।
এ লক্ষ্যে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন’ দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিশেষ ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। ‘এক্সিলেন্স বাংলাদেশ’-এর সাথে যৌথ উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। ক্যাম্পেইন-এর অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ওয়ার্কশপ ও সেশন। এর বাইরে কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের নারীদের জন্য সহজে ও সুলভ মূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সংগ্রহরে সুবধর্িাথরে জন্য ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করছে ফ্রেশ অনন্যা।
ফ্রেশ অনন্যা-ই বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র স্যানিটারি ন্যাপকিন, যাতে রয়েছে ডাবল লেয়ারড অ্যাডভান্সড অ্যাবজর্পশন টেকনোলজি। সুবিধা ও উপযোগিতার কথা বিবেচনায় রেখে, ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এ ব্যবহার করা হয়েছে এয়ারলেইড পেপার এবং এডিএল লেয়ার। যা নিশ্চিত করে আরও দ্রুত শোষণ এবং সুরক্ষা। তাই পিরিয়ডের দিনগুলো কাটে আরও বেশি স্বস্তিতে।
ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা সুবিধাবঞ্চিত নারীদের মাঝে পিরিয়ডকালীন পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে দেশব্যাপী স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম, ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন ইত্যাদি।
ভারতে এবার উড়াল দেওয়ার পরই বিধ্বস্ত হয়েছে যাত্রীবাহী একটি হেলিকপ্টার। এতে, পাইলটসহ সাত আরোহী নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডে এ ঘটনা ঘটে। রাজ্যের কেদারনাথ ধাম থেকে গুপ্তকাশী তীর্থস্থানের উদ্দেশে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় হেলিকপ্টারটি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উড্ডয়নের মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা নন্দন সিং রাজওয়ার জানিয়েছেন, ‘দুর্ঘটনার পর উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান চলছে।’
অ্যারিয়ান অ্যাভিয়েশন নামের একটি বেসরকারি হেলিকপ্টার সংস্থার পরিচালিত হেলিকপ্টারটি কেদারনাথ তীর্থপথের নিকটবর্তী একটি বনাঞ্চলে স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিধ্বস্ত হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পাইলট ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট থেকে আসা তীর্থযাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার পর আগুন ধরে যাওয়ায় মরদেহগুলো মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে।
ভারতের অন্যতম চারটি তীর্থস্থানের একটি কেদারনাথ। প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী সেখানে ভ্রমণ করেন। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলটিতে পৌঁছাতে অনেকেই হেলিকপ্টার সেবার ওপর নির্ভর করেন।
ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনার শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাটি ঘটলো। মাত্র তিন দিন আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দেশটির আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই যাত্রীবাহী এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল।
এ ঘটনায় বিমানে থাকা ২৩২ যাত্রী ও ১০ ক্রুর মধ্যে ২৪১জনই নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ২৭০ বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিমানটি আহমেদাবাদের বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এ সময় ছাত্ররা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় মেডিকেল হোস্টেলের ৫ শিক্ষার্থী নিহত ও আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, জাতিকে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়া হবে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সাথে কর্মকর্তাদের ঈদুল আজহা পরবর্তী মতবিনিময় সভায় সিইসি এ কথা বলেন।
সভায় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময়ে সিইসি বলেন, ‘আজ পর্যন্ত আপনাদেরকে যতকাজ দিয়েছি, কোন কাজে আপনারা ব্যর্থ হননি। টাইম ফ্রেমের মধ্যেই আপনারা সব কাজ করেছেন। সুতরাং নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ যা বাকি আছে, অনেকগুলো আমরা এগিয়ে নিয়েছি। আমাদের কাজ অনেকদূর এগিয়ে আছে। এখন সবাই মিলে ফিনিশিং দিতে হবে। আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দিব, ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, আমাদের শপথ হবে নিরপেক্ষভাবে কাজ করা, কোনো দলের জন্য লেজুড়বৃত্তি না করা, আইন অনুযায়ী কাজ করা, বিবেক সম্মতভাবে কাজ করা।
সিইসি আরো বলেন, ‘আমরা থাকব রেফারির ভূমিকায়। যারা খেলবে খেলুক। খেলে যারা জিতবে জিতুক।
আমাদের দায়িত্ব হবে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে দেয়া। সেটা করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।’
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সবসময় বলে যাচ্ছেন, আমি একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চাই। কিসের ওপর ভিত্তি করে উনি কথাটা বলছেন। এই যে উনি ওয়াদাটা দিচ্ছেন, বিশ্বব্যাপী দিচ্ছেন। আমাদের ওপর আস্থা আছে বলেই ওয়াদাটা দিচ্ছেন।’
সাতক্ষীরার আ.লীগের সংরক্ষিত আসেনের সাবেক এমপি রিফাত আমিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। এসময় তার ছেলে সাফায়েত সরোয়ার রুমনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে শহরের আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ বিলাশবহুল বাড়িতে ২ ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে নেতৃত্ব দেন সেনাবাহিনীর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের মেজর ইফতেখার আহমেদ।
সাফায়াত সরোয়ার রুমন আশাশুনির কাদাকাটি গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে এবং তার মা রিফাত আমিন সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আ.লীগের সাবেক সভানেত্রী ও আ.লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি ছিলেন।
যৌথবাহিনীর অভিযানের শুরুতেই দুইতলা হতে রুমন লাফিয়ে নিজতলা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন যৌথবাহিনী রুমনকে আটক করে বাড়িতে তল্লাশি করে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করে।
সেনাবাহিনীর মেজর ইফতেখার আহম্মেদ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিফাত আমিনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ৩ শতাধিক ইয়াবা বড়ি ও একটি রাইফেল, একটি তলোয়ার এবং মদ ও খালি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে এবং সাবেক এমপির ছেলে সাফায়াত সরোয়ার রুমনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন পদের চার কর্মকর্তার দায়িত্বে রদবদল ও পদোন্নতি হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ অধিশাখার উপসচিব মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট আলি আকবর খানকে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামের আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. শামসুল হককে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে।
এ ছাড়াও ঢাকা আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে। আর সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি রোমানা আক্তারকে ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট করা হয়েছে।
জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য