× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
লকডাউন কোথাও কঠোর কোথাও ঢিলেঢালা
google_news print-icon

লকডাউন: কোথাও কঠোর, কোথাও ঢিলেঢালা

লকডাউন-কোথাও-কঠোর-কোথাও-ঢিলেঢালা
ঢি‌লেঢালা ভা‌বে লকডাউন চল‌ছে ব‌রিশা‌লে। ছবি: নিউজবাংলা
বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলো ঘুরে দেখা গেছে এক এক জায়গায় এক এক চিত্র। কোথাও লকডাউন বাস্তবায়নে কড়াকড়ি কোথাও গা ছাড়া ভাব। বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অযথা ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। তারা স্বাস্থ্যবিধি পালনে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

ক‌রোনা সংক্রমণ প্রতি‌রো‌ধে সারা দেশে সরকা‌র ‌ঘো‌ষিত এক সপ্তাহের লকডাউনের শুরু হয়েছে সোমবার সকাল থেকে। এবারের লকডাউনে কোথাও দেখা গেছে ঢিলেঢালা ভাব আবার কোথাও মানা হচ্ছে কঠোর ভাবে।

সোমবার সকাল থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলো ঘুরে দেখেছেন সহকর্মীরা। তাদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে তুলে ধরা হলো সারাদেশের চিত্র।

বরিশাল

ঢি‌লেঢালা ভা‌বে লকডাউন চল‌ছে ব‌রিশা‌লে। স্বাস্থ্যবি‌ধি মে‌নে খোলা স্থা‌নে বাজার বসানোর নি‌র্দেশনা থাক‌লেও তা মান‌া হচ্ছে না। মহাসড়কে থ্রি হুইলারের চলাচল বেড়েছে। তারা যাত্রী পরিবহণ করছে গাদাগাদি করে। তবে বন্ধ আছে বাস ও লঞ্চ চলাচল।

স‌রেজ‌মি‌নে নগরীর নথুল্লাবাদ, রুপাতলী, নতুন বাজার, অমৃত লাল দে সড়ক, বীর‌শ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন ম‌হিউ‌দ্দির জাহাঙ্গীর সড়ক, বাংলা বাজার ও বটতলাসহ বি‌ভিন্ন এলাকা ঘু‌রে এই চিত্র দেখা গেছে। যদিও ভোর ৬টা থে‌কে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাই‌রে বের না হতে গণবিজ্ঞ‌প্তি জা‌রি ক‌রেছে প্রশাসন।

বাংলাবাজার এলাকার রাইসুল ইসলাম না‌মে এক যুবক‌কে ঘোরাঘু‌রির কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, লকডাউন দেখ‌তে বাই‌রে বের হয়েছেন।

কেনো মাস্ক পরেননি এমন প্রশ্নে রাতুল খান নামে এক যুবক বলেন, ‘লকডাউ‌নে রাস্তা ফাঁকা ভে‌বে বের হ‌য়ে‌ছি। ভে‌বে‌ছি রাস্তায় কেউ নেই তাই মাস্ক প‌রি‌নি।’

ক‌রোনা স‌চেতনতায় ব‌রিশালে বেলা ১১টার দিকে মোটরসাই‌কেল র‍্যালি বের ক‌রে ব‌রিশাল মে‌ট্রোপ‌লিটন পু‌লিশ। র‌্যালিটি নগরীর জিলা স্কু‌লের মোড় থে‌কে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শেষ হয়।

ব‌রিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার নিউজবাংলাকে ব‌লেন, ‘ক‌রোনা থে‌কে রক্ষা পেতে সচেতনতামূলক প্রচারের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতও প‌রিচালনা করা হ‌চ্ছে। অযথা বাইরে বের হবেন না। এতে আপনার পরিবারের সদস্যদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

খুলনা

খুলনা শহরে ভোর থেকেই মানুষের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে প্রশাসন।

সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নগরীতে টহল শুরু করে। খুলনা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে কোন বাস চলাচল করেনি। তবে নগরীতে ইজিবাইক ও রিকশা চলছে।

খুলনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাষীশ বসাক বলেন, ‘মহানগররীর ছয়টি পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট। তারা সরকারের গণবিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

মাগুরা

লকডাউনের শুরুতে মাগুরা শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো খুলতে শুরু করে। এ সব দোকান ও সড়কে বাড়তে থাকে মানুষের সমাগম।

মহাসড়কে যান চলাচল সীমিত ছিল। মাগুরা থেকে শালিখা, মহম্মদপুর ও শ্রীপুর উপজেলায় লোকাল বাস চলতে দেখা গেছে। যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে কিছু দূরপাল্লার পরিবহনকে।

বাজারে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়া মতো। বিশেষ করে পুরান বাজার, নতুন বাজার ও পুলিশলাইন বড় বাজারে ক্রেতার সমাগম ছিল বেশি। শহরের ইটখোলা বাজারে চাল নিতে আসা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘চাল তো নিতি হবি। লকডাউন দিয়ে আমাগের পেট ভরবে? না বাবা।’

রোভার স্কাউট দলনেতা মহিসুর রহমান বলেন, ‘আমরা সচতেনা বাড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। যাদের মুখে মাস্ক নেই তাদের মাস্ক দিচ্ছি।’

জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম নিউজবাংলাকে জানান, সরকারের নির্দেশনা সবাইকে মানতে হবে। প্রথম দিনে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি বুঝে এর পর ব্যবস্থা নেব।

কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় কিছুটা ঢিলেঢালাভাবে চলছে লকডাউন। সকাল থেকে বিভিন্ন রুটের বেশ কিছু বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়।

শহরে যান চলাচল ও কাঁচা বাজারে মানুষের ভিড় রয়েছে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই নেই।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় ৩০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউন কার্যকর করতে ব্যাপক মাইকিং করা হচ্ছে। সকাল থেকে মাঠে প্রশাসনের মোবাইল টিমও কাজ করছে।’

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে সরকারি নিষেধ মেনে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও শহরের ভেতরে অটোরিকশা চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো।

সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাইপাস মোড়ে দেখা যায় বেশ কয়েকজন যাত্রী সিএনজি অটোরিকশা ও ট্রাকে করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

নগরীর বড় কাঁচা বাজার মেছুয়া বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় ছিল উপচে পড়া।

জেলা প্রশাসক এনামুল হক বলেন, ‘করোনা মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন মাঠে কাজ করছে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।’

লকডাউন: কোথাও কঠোর, কোথাও ঢিলেঢালা
নেত্রকোণা শহরের আগের মতোই চলেছে যানবাহন। ছবি: নিউজবাংলা

নেত্রকোণা

নেত্রকোণা শহরের বারহাট্রা রোড, তেরী বাজার, ছোটবাজার, মোক্তারপাড়া, বড়বাজার, সাতপাই এলাকায় লকডাউনে আগের মতোই চলেছে যানবাহন।

শহরের নাগড়া এলাকার বাসিন্দা অনুপ দাস ছোট বাজারে একটি ওষুধের দোকানে যান। সেখানে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘লকডাউন চলতাছে। এইডা বোঝার কোনো উপায় নাই। প্রয়োজনীয় ছাড়াও এমনি দোকানও খুইল্যা বেঁচতাছে। এই অবস্তা চললে কী যে অইব।’

সিভিল সার্জন সেলিম মিয়া জানান, জেলায় করোনা অক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬ জন।

জামালপুর

লকডাউনের প্রথম দিনেই ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশার দখলে ছিল জামালপুর শহর। খোলা আছে ছোটখাটো দোকনপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

প্রশাসনের নজরদারির অভাবে কিছু দোকানি নানা অজুহাতে দোকান খোলার সুযোগ নিয়েছে।

অটোরিকশার চালক সানি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাড়িত কোনো খাবার নাই। পকেটে টাকাও নাই। দুই একটা টিপ মাইরে বাজার কইরে বাড়িত যামুগা। এহন করোনা হইলেই কি আর না হইলেই কি।’

স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ‘এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে লকডাউনের কোনো প্রয়োজন ছিল না। এতে কোনোভাবেই করোনার সংক্রমণ কমবে না।’

তবে জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান জানান, প্রথমদিনে মানুষ হয়তো বুঝে উঠতে পারছে না। শুধু পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতিত সব ধরনের যানবাহন ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। এ জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ শুরু করেছে ।

লকডাউন: কোথাও কঠোর, কোথাও ঢিলেঢালা
চট্টগ্রাম গণপরিবহন না থাকলেও চলতে দেখা গেছে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার। ছবি: নিউজবাংলা

চট্টগ্রাম

বন্দরনগরীর সড়কে প্রথম দিন গণপরিবহন না থাকলেও চলতে দেখা গেছে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন।

কেউ অফিস, কেউ বাজারে কেউ বা হাসপাতালে যাচ্ছেন। এতে রাস্তাঘাটে জনসমাগম দেখা গেছে। কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বের হলেও অনেককে দেখা গেছে তা অমান্য করতে। যার ফলে লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা কঠোরভাবে মানা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, জিইসি, লালখানবাজার, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ, বারিক বিল্ডিং, কাস্টম মোড়, ইপিজেড, টাইগারপাস, কদমতলী, নিউমার্কেট এলাকার রাস্তাঘাটে অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে।

সকালে জিএসি এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন চালক হাবিব মিয়া। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা দিনমজুর। সারাদিন আয় না করলে রাতে পেটে ভাত জুটবে না। তাই আমগো কিসের লকডাউন।’

জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান জানান, ‘নগরে ১০জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে রয়েছেন। এ ছাড়া নগরের তিনটি প্রবেশপথে বিআরটিএ-এর ম্যাজিস্টেটরা দায়িত্ব পালন করছেন।

লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুরে বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে গণপরিবহন চলছে, দোকানপাটও রয়েছে খোলা। ঠিকমতো স্বাস্থবিধিও মানছে না অনেকে।

পৌরসভা, দালাল বাজার, জকসিন, মান্দারী, মজু চৌধুরীর হাটে এমন চিত্র দেখা গেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ তথ্যমতে জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫৮ জনে। এ জেলায় করোনাতে ৪৩ জন মারা গেছেন।

রংপুর

রংপুরে লকডাউনে রিকশা, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের আধিক্য দেখা গেছে। মানুষও প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হয়েছে।

স্বাভাবিক দিনের মতো যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশকে।

প্রধান সড়কের দুইপাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট বন্ধ থাকলেও গলির ভেতর, পাড়া-মহল্লা এবং শহরের বাইরের দৃশ্য ছিল একেবারেই ভিন্ন।

আদালত ছাড়া সরকারি সব অফিসই খোলা রয়েছে। সেখানে উপস্থিতির সংখ্যা কম। তবে সরকারি কিছু ব্যাংকে উপচে পড়া ভিড় ছিল।

রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট (গণমাধ্যমের দায়িত্বে) মাহমুদ হাসান মৃধা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে আমরা কাজ করছি। শহর এবং শহরে বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদে সঙ্গে নিয়ে টহল দিচ্ছি।’

সিলেটে

লকডাউনের প্রথম দিনে সিলেটে দেখা গেছে অনেকটা ঢিলেঢালাভাব। অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম তবুও সোমবার সকাল থেকেই সিলেটের সড়কে চলাচল করছিল রিকশা, অটোরিকশা। মানুষজনের চলাচলও কম নয়।

বড় বড় বিপণীবিতানগুলো বন্ধ হলেও খোলা রয়েছে অন্যান্য দোকানপাট। অনেকে অর্ধেক সাটার বন্ধ রেখেও দোকানপাট খোলা রেখেছেন। ব্যাংক ছাড়া বেশিরভাগ অফিসই বন্ধ রয়েছে।

নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কে চলাচল করছে রিকশা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চলাচল করছে। তবে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল।

খোলা রয়েছে অনেক দোকানপাট ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া নিত্যপণ্যের দোকানও খোলা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, লকডাউন কার্যকরে প্রশাসন মাঠে রয়েছে। প্রথমে আমরা জনগনকে বুঝাতে চেষ্টা করছি। এতে কাজ না হলে কঠোর হবে।

লকডাউন: কোথাও কঠোর, কোথাও ঢিলেঢালা
রাজশাহীতে মার্কেট খুলে রাখার দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা। ছবি: নিউজবাংলা

রাজশাহী

লকডাউনে রাজশাহীতে এক ভিন্নচিত্র। মার্কেট খুলে রাখার দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে ব্যবসায়ীরা নামে সাহেববাজারে রাস্তায়। তাদের দাবি, সামনে ঈদ। এই সময়ে তাদের মার্কেট বন্ধ থাকলে আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন।

দাবি আদায়ে সাহেববাজার বড় রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। দোকান খুলে দেয়ার জন্য নানা স্লোগান দেন।

পরে পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। কিছুক্ষণ পর সেখানে উপস্থিত হন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম। তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে মার্কেট খোলা রাখার দাবি জানান নেতারা।

কাপড় পট্টি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামিম জানান, গতবছর লকডাউনে তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। লকডাউন চলছে চলুক, তাদের একটা সময় বেঁধে দিলে সেই সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা ব্যবসা করতে চান।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম ব্যবসায়ীদের বলেন, ‘মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকারি। এটি স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে মালামাল পাঠাতে পারবেন। দোকান খুলে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার সুযোগ নাই। আমরা এনিয়ে নতুন কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না।’

লকডাউনের প্রথম দিনে রাজশাহীতে বাস চলাচল করেনি। তবে রাস্তায় রিকশা ও অটোরিকশা চলছে। যদিও এ সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম। রাস্তায় লোকজনের চলাচলও কম রয়েছে। নগরীর বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে পাড়া মহল্লার ছোট দোকানপাট খোলা আছে।

আরও পড়ুন:
নিউমার্কেটে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ
লকডাউন: একদিকে সংকট, আরেক দিকে আশার আলো
লকডাউন: বাস ছাড়া সবই চলছে, জনদুর্ভোগ
লকডাউন: পরিবহন সংকটে শ্রমিকদের ভোগান্তি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
22000 foreign arrests in Saudi Arabia

সৌদি আরবে অভিযান চালিয়ে ২২ হাজার বিদেশি গ্রেপ্তার

সৌদি আরবে অভিযান চালিয়ে ২২ হাজার বিদেশি গ্রেপ্তার

সৌদি আরব এক সপ্তাহব্যাপী অভিযান চালিয়ে ২২ হাজার বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবাসিক, সীমান্ত ও শ্রম আইন লঙ্ঘন করায় ২১ হাজার ৯৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গালফ নিউজ জানিয়েছে, যৌথ অভিযানের লক্ষ্য ছিল অবৈধ বাসিন্দা এবং তাদের সহায়তাকারীদের ধরা।

সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১৩ হাজার ৪৩৪ জন আবাসিক আইন লঙ্ঘন করেছেন, ৪ হাজার ৬৯৭ জন সীমান্ত নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন করেছেন এবং ৩ হাজার ৮৬৬ জন শ্রম আইন ভঙ্গ করেছেন। সেই সঙ্গে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ১ হাজার ৭৮৭ জনকে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, তাদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ ইয়েমেনি, ৬৪ শতাংশ ইথিওপিয়ান এবং ১ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক। অবৈধভাবে সৌদি আরব ত্যাগ করার চেষ্টা করার সময় আরও ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অন্তত ১৮ হাজার ১৪৯ জন আইন লঙ্ঘনকারীকে ভ্রমণ নথিপত্র সংগ্রহের জন্য তাদের কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮৬১ জনকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অবৈধ বাসিন্দাদের পরিবহন, আশ্রয়দান বা নিয়োগের অভিযোগে আরও ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে ২৫ হাজার ৪৩৯ জন প্রবাসী - যার মধ্যে ২২ হাজার ৮৩৭ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৬০২ জন নারী রয়েছেন, তাদের বহিষ্কার বা নিয়মিতকরণের জন্য আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে দিয়েছে, অবৈধ প্রবেশে সহায়তা, পরিবহন, আবাসন বা অন্যান্য সহায়তা প্রদানকারী যে কোনো আইন লঙ্ঘনকারীর ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ রিয়াল জরিমানা হতে পারে। এই ধরনের কার্যকলাপে ব্যবহৃত যানবাহন এবং সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Appointment of Private Teacher Registration is not a recruitment test

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ: নিবন্ধন নয়, নিয়োগ পরীক্ষা হোক

মো. রহমত উল্লাহ্
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ: নিবন্ধন নয়, নিয়োগ পরীক্ষা হোক

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদ ছিল ১ লাখ ৮২২টি। এর বিপরীতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন জমা পড়েছে ৫৭ হাজারের কিছু বেশি। অর্থাৎ প্রায় ৪৩ হাজার পথ শূন্য থাকবে। চাহিদা দিয়েও শিক্ষক পাবে না অনেক প্রতিষ্ঠান। ক্লাস থেকে বঞ্চিত হবে শিক্ষার্থীরা! এ ব্যাপারে কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন যে, আবেদনকালে প্রার্থীদের বয়স ৩৫ এর বেশি এবং নিবন্ধন সনদের মেয়াদ ৩ বছরের বেশি গ্রহণ না করার কারণে আবেদন কম পড়েছে। অর্থাৎ আরো কিছু ছাড় দেওয়া হলে আরো কিছু বেশি প্রার্থী আবেদন করতে পারত। বয়সে ও যোগ্যতায় বারবার ছাড় দিয়ে আবেদনের সুযোগ দিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ করা কোনো উত্তম সমাধান নয়। ছাড় দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা মানেই দীর্ঘ মেয়াদে দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি করা। একজন কম যোগ্য শিক্ষক তার শিক্ষকতা জীবনে তৈরি করেন অগণিত কম যোগ্য নাগরিক-কর্মী। তুলনামূলক কম যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে অধিক যোগ্য নাগরিক-কর্মী তৈরির প্রত্যাশা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অবাস্তব!

শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি এখন আর গ্রহণযোগ্য থাকা উচিত নয়। সরকারি এমনকি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রেও এখন আর তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণিধারী প্রার্থীদের আবেদন করার সুযোগ থাকে না। নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স সীমা ও বাছাই প্রক্রিয়া অন্যদের তুলনায় বেসরকারি শিক্ষকদের শিথিল করা হলে এর অর্থ এমন দাঁড়ায় না যে বেসরকারি শিক্ষক তুলনামূলক কম যোগ্য হলেও চলে? এতে কি তাদের মান ও মর্যাদা হ্রাস পায় না? দেশের ৯৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থীদের পাঠদানকারী বেসরকারি শিক্ষকদের অধিক যোগ্য হওয়া কি অধিক গুরুত্বপূর্ণ নয়? তারা তো আমাদের সন্তানদেরই শিক্ষক হন। তারা অধিক যোগ্য হলেই তো আমাদের সন্তানরা অধিক যোগ্য হবার সম্ভাবনা অধিক থাকে। অর্থাৎ বয়সে, যোগ্যতায়, পরীক্ষায় ছাড় দিয়ে তুলনামূলক কম যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে নয়; বরং দ্রুত আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে অধিক যোগ্যদের আকৃষ্ট করে শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়াই অধিক মঙ্গলজনক।

সার্বিক বিবেচনায় বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থাটিকে অতীতের ধারাবাহিকতায় আরও উন্নত করা আবশ্যক। সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকলে তা সহজেই সম্ভব। সে লক্ষ্যে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগের অনুরূপ শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স সীমা ও বাছাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বেসরকারি শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া উচিত। অর্থাৎ শূন্য পদের বিপরীতে সরাসরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উত্তম বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উত্তম প্রার্থী বাছাই করে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। নিবন্ধনধারী সবাইকেই যদি নিয়োগ দিতে হয় তাহলে এটিকে নিবন্ধন পরীক্ষা না বলে নিয়োগ পরীক্ষা বলা ও কার্যকর করা অধিক যুক্তিযুক্ত নয় কি? তুলনামূলক কম নম্বর প্রাপ্ত নিবন্ধন ধারীরাও নিয়োগের দাবিদার হয়, নিয়োগের জন্য সোচ্চার হয়, বয়সের শিথিলতা দাবি করে, অশান্তি তৈরি করে। এমনকি অকৃতকার্যরাও আন্দোলন করে! অথচ সরাসরি নিয়োগ পরীক্ষায়/ প্রক্রিয়ায় কম নম্বর পেয়ে বাদ পড়ে যাওয়ারা আর নিয়োগের দাবিদার হতে পারে না, বয়সের শিথিলতা দাবি করতে পারে না, অশান্তি তৈরি করতে পারে না। অপরদিকে একবার নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া, আবেদন নেওয়া, পরীক্ষা নেওয়া, তালিকা করা, সনদ দেওয়া এবং পরবর্তীতে আবার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া, বাছাই করা, তালিকা করা, নিয়োগ করা ইত্যাদি নিয়োগ কর্তৃপক্ষ ও নিয়োগ প্রার্থী উভয়ের জন্যই দ্বিগুণ কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ। তদুপরি নিয়োগ প্রার্থীর জন্য দ্বিগুণ ব্যয় সাপেক্ষ। অধিক সংখ্যক শূন্য পদে নিয়োগ প্রার্থীদের বাছাই কেন্দ্রীয়ভাবে দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে জেলা প্রশাসকগণের দায়িত্বে ঐ জেলার সরকারি স্কুল-কলেজের সুযোগ্য শিক্ষকগণের সহযোগিতা নিয়ে সারাদেশে একই প্রশ্নে ও প্রক্রিয়ায় বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের বাছাই দ্রুত সম্পাদন করা সম্ভব হয় কিনা তা ভেবে দেখা যেতে পারে। যেমন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর করে থেকে।

অন্যান্য চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নির্ধারিত বয়স ও যোগ্যতার চেয়ে অধিক বয়স্কদের ও কম যোগ্যদের শিক্ষকতায় প্রবেশের সুযোগ দেওয়া মোটেও উচিত নয়। কিছুদিন পরপর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করতে চাইলে বারবার অধিকতর যোগ্য ফ্রেশ ক্যান্ডিডেট পাওয়া যাবে। একজন ইয়ং এনার্জিটিক মেধাবী শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে তৈরি করতে ও পূর্ণ উদ্যমে দীর্ঘদিন পাঠদান করতে যতটা সক্ষম একজন বয়স্ক লোক ততটা সক্ষম না হওয়াই স্বাভাবিক। ব্যতিক্রম নগণ্য। একজন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের প্রকৃত সফল শিক্ষক হয়ে উঠতে অনেক সময়, শ্রম, মেধা, চর্চা, উদ্যম, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা লাগে। কেউ শিক্ষক হয়ে উঠতেই যদি বৃদ্ধ হয়ে পড়েন তো সফল পাঠদানে নিরলস থাকবেন কীভাবে, কতদিন?

আলোচিত বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে অধিক যুক্তিযুক্ত উন্নত নীতিমালা প্রণয়ন করে ঢেলে সাজানো উচিত সকল শিক্ষক নিয়োগের বাছাই প্রক্রিয়া। মূল্যায়নে বিবেচনা করা উচিত প্রার্থীর শিক্ষা জীবনের কর্মকাণ্ড ও ডেমো ক্লাসের মান। দ্রুত দূর করা উচিত একই দায়িত্ব-কর্তব্যে নিয়োজিত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স সীমা, বাছাই প্রক্রিয়া এবং আর্থিক সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত সকল বৈষম্য। অর্থাৎ বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের জন্য আর নিবন্ধন পরীক্ষা নয়, নিতে হবে সরাসরি নিয়োগ পরীক্ষা। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি করতে হবে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা। শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করতে হবে সর্বাধিক যোগ্যদের।

লেখক: অধ্যক্ষ, শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট

মন্তব্য

সারা দেশ
Demonstrations and demonstrations demanding to reduce the waterlogging and waterlogging in the palace

রাজবাড়ীতে অচল খাল সচল ও জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে বিক্ষোভ ও স্বারকলিপি

রাজবাড়ীতে অচল খাল সচল ও জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে বিক্ষোভ ও স্বারকলিপি

কৃষি ও কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে অচল খাল সচল এবং জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে রাজবাড়ীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি। রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্বারকলিপিও প্রদান করা হয়।

এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন কৃষক সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন তালুকদার। বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মানিক মজুমদার, আব্দুস সামাদ মিঞা, নূর আব্দুল্লাহ সাইদ, জাহানারা বেগম ও মঞ্জুয়ারা বেগম।

বক্তারা অভিযোগ করেন, সুলতানপুর ইউনিয়নের খলিশা রামকান্তপুর এলাকায় প্রভাবশালীরা খালের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় ১০০ একর জমি জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত রয়েছে। এতে ধান রোপণ ও ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত খাল সচল করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান তারা।

মন্তব্য

সারা দেশ
Arafat Rahman Koko Memorial Football Tournament in Faridpur

ফরিদপুরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

ফরিদপুরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

ফরিদপুর সদর উপজেলার চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিন খারঁ হাট বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ-সম্পাদক ও ফরিদপুর জেলা জাতীয়তাবাদী প্রবাসী দলের সভাপতি মির্জা প্রিন্স আলির আয়োজনে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিকাল ৪টায় মমিন খারঁ হাট মাধবদিয়া ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে উদ্বোধনী খেলায় সাবেক ইউপি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মির্জা সাইফুল ইসলাম আজমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলাদলের আহবায়ক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ।

এ সময় ফরিদপুর কোতয়ালী থানা বিএনপির সেক্রেটারি চৌধুরী নাজমুল হাসান রঞ্জন, ফরিদপুর কোতয়ালী থানা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, ফরিদপুর সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা বেনজির আহমেদ তাবরিজ, ফরিদপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়াল, ডিগ্রীরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মজিবর রহমান মাতুব্বর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুর রাজ্জাক শেখ, আমেরিকা প্রবাসী ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ আক্তারুজ্জামান খান, মমিন খাঁর হাট বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম বেপারী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রেজাউল করিম মোল্লা, মোহন মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সায়েম মোল্লা, ঢাকা জর্জ কোর্টের অ্যাডভোকেট মোঃ বশির আহমেদ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে খেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। উদ্বোধনী খেলায় অংশগ্রহণ করে আশিক স্মৃতি স্পোর্টিং ক্লাব- অম্বিকাপুর বনাম লালখান বাজার ফুটবল একাদশ। টুর্নামেন্টের আয়োজক মমিন খারঁ হাট বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ-সম্পাদক ও ফরিদপুর জেলা জাতীয়তাবাদী প্রবাসী দলের সভাপতি মির্জা প্রিন্স আলির আমন্ত্রণে মাঠে হাজার হাজার ফুটবল প্রিয় দর্শকের আগমন ঘটে, যা ছিল চোখে পড়ার মতো। খেলা পরিচালনার অন্যতম দায়িত্ব পালন করেন ক্রীড়া অনুরাগী জনি মির্জা ও অন্যান্যরা। খেলায় ২-১ গোলের ব্যবধানে আশিক স্মৃতি স্পোটিং ক্লাব অম্বিকাপুর, লালখান বাজার ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Tisha Transport Supervisor killed in Asia buses in Comilla

কুমিল্লায় এশিয়া বাসচাপায় তিশা ট্রান্সপোর্টের সুপারভাইজার নিহত

কুমিল্লায় এশিয়া বাসচাপায় তিশা ট্রান্সপোর্টের সুপারভাইজার নিহত

কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড চৌরাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিশা ট্রান্সপোর্টের এক সুপারভাইজার গাড়ি চাপায় নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৬টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ইকবাল বাহার।

নিহত সোহেল রানা (৪৫) কুমিল্লা বাঙ্গরাবাজার খামারগ্রামের মৃত কবির আহম্মেদের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ডান পাশে তিশা প্লাস পরিবহন দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় বাম দিক থেকে এশিয়া ট্রান্সপোর্ট বেপরোয়া গতিতে কাউন্টার ত্যাগ করার সময় তিশা ট্রান্সপোর্টের সুপারভাইজার অসাবধানতাবশত চাকার নিচে পড়ে যান। মুহূর্তের মধ্যেই তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।

কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ইকবাল বাহার বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

স্থানীয়রা জানান, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড চৌরাস্তায় প্রতিদিনই বাস ও ট্রান্সপোর্ট কাউন্টারের বেপরোয়া গাড়ি চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না।

মন্তব্য

সারা দেশ
The municipal administrator assures the municipality to resolve the street immediately on the streets demanding water

পানির দাবীতে রাস্তায় নেমেছে পৌরবাসী, শিঘ্রই সমাধানের আশ্বাস পৌর প্রশাসকের

পানির দাবীতে রাস্তায় নেমেছে পৌরবাসী, শিঘ্রই সমাধানের আশ্বাস পৌর প্রশাসকের

ঝালকাঠি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকায় পৌর পানি সরবরাহের সমস্যা গত দু'বছর ধরে। সাবেক মেয়র, বর্তমান প্রশাসক সবার কাছে বহুবার ধন্না ধরেও কোনো লাভ হয়নি। ঐ এলাকার বিকল পাম্প গুলো মেরামতের নেই কোনো উদ্দোগ। এসব কথা জানিয়েছেন সেখানকান (কলাবাগান) বাসিন্দারা।

রোববার ১৭ আগষ্ট সকালে পানির দাবীতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে ৯নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের মানুষ। মিছিল ও মানববন্ধন করেছে তারা। বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে। স্মারক লিপিও দিয়েছে জেলা প্রশাসক বরাবরে।

আন্দোলনরতো ঝালকাঠি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কলাবাগানবাসী ডিসি বরাবর লিখিত পত্রে উল্লেখ করেছেন, "দীর্ঘ ২ বছর যাবৎ কলাবাগান এলাকায় পানি সরবরাহের তীব্র সমস্যা থাকায় উক্ত এলাকার

জনগন সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করলেও ইহাতে তারা কোন কর্নপাত করেনাই। বর্তমানে পানির সমস্যার কারনে এলাকাবাসী নিরুপায় হয়ে নদীর পানি ব্যবহার করার কারনে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহীত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।"

এলাকাসীর এই আন্দোলনের মুখপাত্র ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুরাদ হোসেন বলেন, 'নিয়মিত পৌর পানির বিল পরিশোধ করলেও কি কারনে বছরের পর বছর পানির পাম্প অকার্যকর থাকে সে বিষয়ে আমরা বোধগম্য নই। দ্রুত সময়ের মধ্যে পানির সমস্যা সামাধান করা এখন বাসিন্দাদের দাবী।'

এ সমস্যা কেনো এবং সমাধান কি? এ প্রশ্নের জবাবে পৌর প্রশাসক কাওছার হোসেন মুঠো ফোনে দৈনিক বাংলাকে জানান, 'পৌসভার ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে ৪টি পাম্প থেকে পানি সরবরাহ করা হতো। কিন্তু পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় ২টি পাম্পে পানি উঠছেনা এবং ১ টি পাম্প থেকে লবনাক্ত পানি ওঠে তাই এই তিনটি পাম্প বন্ধ রয়েছে। ফলে ৯ নং ওয়ার্ডে পানির সংকট বিরাজ করছে। ঝালকাঠি পৌরসভা ৭ জেলা পানি সরবরাহ প্রকল্প ও ২৫ জেলা পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পে ঐ বিষয়ে প্রকল্প প্রেরণ করা হ‌য়ে‌ছে। শীঘ্রই এ প্রকল্প শুরু হলে ঝালকাঠি বাসী এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে ব‌লে আশা কর‌ছি।'

মন্তব্য

সারা দেশ
The head teacher has been accused of seizing half of the money in the name of appointment in Charghat educational institutions

চারঘাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়ার নামে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

চারঘাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়ার নামে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়ার নামে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী এলাকার জোতকার্তিক বি এন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে নিয়োগ বোর্ড না করেই টাকার বিনিময়ে চারটি পদে নিয়োগ দিয়ে এমপিও’র আবেদন করেছে ঐ শিক্ষক। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ঘনিষ্ঠ প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন’র সীমাহীন দুর্নীতির বিচার এবং এমপিও আবেদন বাতিলের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক বরাবর আবেদন করেছে সাবেক ইউপি সদস্য মো. মকবুল হোসেন। তিনি নন্দনগাছীর কালাবীপাড়া এলাকার মৃত ছবির উদ্দিনের ছেলে।

আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রধান শিক্ষক মারফত জানতে পারেন যে, আইসিটি ল্যাব সহকারী পদে একজন লোক নিয়োগ করা হবে। তার কথা শুনে আমার ছেলের বৌকে নিয়োগ দেয়ার কথা বললে প্রধান শিক্ষক ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। তিনি তার কথায় রাজি হয়ে ২০১৯ সাল থেকে ২০ সালের বিভিন্ন সময় মোট ৯ লক্ষ টাকা তার নিজ বাসায় নিজ হাতে গ্রহণ করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার ছেলের বৌকে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ না দিয়ে নানা রকম তালবাহানা করছে। মকবুল হোসেন আবেদনে আরো উল্লেখ করেন, বর্তমানে একান্ত সূত্রে জানতে পারেন, আইসিটি পদসহ মোট ৪টি পদে প্রায় অর্ধ কোটি নিয়োগ বাণিজ্য করে ব্যাক ডেটে বাস্তবে নিয়োগ বোর্ড না করেই অবৈধ ভাবে নিয়োগ দিয়েছে। এই আবেদন বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযোগকারী সাবেক ইউপি সদস্য মকবুল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন আমার ছেলের বৌকে তার প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছে। কিন্তু তাকে চাকরি না দিয়ে বেশী টাকার বিনিময়ে অন্যজনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে এবং স্কুলটি এমপিও’র জন্য আবেদন করেছে। আমি এই এমপিও আবেদন বাতিলের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক বরাবর আবেদন করেছি।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন। মন্ত্রীর পরিচয়ে নানাভাবে প্রভাব খাটিয়ে সীমাহীন দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন এই শিক্ষক। অভিযোগ বিষয়ে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহা. আবদুর রশিদ জানান, এ ধরনের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। একজন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করানো হবে। টাকা লেনদেনের বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে ক্ষতিয়ে দেখা হবে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।

মন্তব্য

p
উপরে