× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
ভাঙ্গায় মাদ্রাসা থেকে মিছিল নিয়ে থানায় হামলা
google_news print-icon

ভাঙ্গায় মাদ্রাসা থেকে মিছিল নিয়ে থানায় হামলা

ভাঙ্গায়-মাদ্রাসা-থেকে-মিছিল-নিয়ে-থানায়-হামলা
শনিবার দুপুরে ভাঙ্গা থানায় হামলা চালায় হেফাজত সমর্থকরা। ছবি: নিউজবাংলা
আহত হয়েছেন ছয় পুলিশ সদস্য। হামলার সময় ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করা হয় থানার প্রধান ফটক ও অফিসকক্ষ। পুলিশ বলছে, হামলাকারীরা হেফাজতে ইসলামের সদস্য।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় থানায় হামলা চালিয়েছে একদল লোক। শনিবার বেলা দুইটার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটনা ঘটে। তাদের হামলায় ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

হামলার সময় ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করা হয় থানার প্রধান ফটক ও অফিসকক্ষ। এ সময় পুলিশের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ ৪৫টি শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই মো. শহীদুল্লাহ, এসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই আজিজুল রহমান, কনস্টেবল জয়নাল আবেদিন, কনস্টেবল শাহ জালাল ও কনস্টেবল মতিউর রহমান। তাদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান।

তিনি বলেন, থানার কাছে জামিয়া ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম ঈদগাহ মাদ্রাসা থেকে একটি মিছিল বের করে দুপুরে থানায় হামলা চালানো হয়। মিছিলকারীরা ওই মাঠ থেকে লাঠি সংগ্রহ করে ভাঙ্গা থানায় হামলা করে। এ সময় হামলাকারীরা থানার দিকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।

এ হামলা পরিকল্পিত উল্লেখ করে আলিমুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বিগত কয়েক দিনের পরিস্থিতি মাথায় রেখে এখানকার মাদ্রাসাগুলোর সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে আগে থেকেই আলোচনা করেছিলাম। কোনো ধরনের ঝামেলা করবেন না তাদের কাছ থেকে এমন প্রতিশ্রুতিও পেয়েছিলাম আমরা। তবু এ হামলা চালানো হলো।’

কারা হামলা চালিয়েছেন জানতে চাইলে আলিমুজ্জামান বলেন, ‘যতদূর জানতে পেরেছি, হেফাজতে ইসলাম ও চরমোনাই পীরের অনুসারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

এ ঘটনায় পুলিশ মামলা করবে বলে জানান আলিমুজ্জামান।

এ ঘটনার পর ভাঙ্গায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে বিজিবি, পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাবও মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তার এই সফরের বিরোধিতা করে শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ করেন কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সরকার সমর্থক ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গেও মোদির সফরবিরোধীদের সংঘর্ষ হয়।

জাতীয় মসজিদের এই ঘটনার জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে থানা ও রেলস্টেশনসহ সরকারি স্থাপনায় হামলা চালায় হেফাজত সমর্থকরা। এসব ঘটনায় মোট পাঁচজন নিহত হন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দিনভর দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ও রোববার সারা দেশে হরতাদের ডাক দেয় হেফাজতে ইসলাম।

এরপরই শনিবার দুপুরে ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনা ঘটল। তা ছাড়া এদিন বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন:
আ. লীগ আমাদের ভাই: হেফাজত নেতা
এবার হাটহাজারীর ডাকবাংলোয় আগুন হেফাজতের
হেফাজতকর্মী নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভের ডাক বিএনপির
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবার সহিংসতা, গুলিতে নিহত ৫
হেফাজতের দাবি, থানায় হামলা বিক্ষুব্ধ জনতার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Abu Sayed murder case 5 accused of investigation

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: তদন্তে অভিযুক্ত ৩০ জন

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: তদন্তে অভিযুক্ত ৩০ জন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউসনের কাছে জমা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র‍্যাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এতে ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম প্রতিবেদন পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদনে ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এই প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই করে আগামী রবিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র‍্যাইব্যুনাল-২-এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ হিসেবে উপস্থাপন করা হবে বলে আশা করছি।’

এর আগে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র‍্যাইব্যুনালে এই মামলার চার আসামিকে ট্র‍্যাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এরপর আসামিদের মধ্যে পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন ও সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে ১৮ জুন এবং বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশকে ১৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন ট্র‍্যাইব্যুনাল-১।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সারা দেশে যখন আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে, তার মধ্যে ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ।

২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিরস্ত্র আবু সাঈদের পুলিশ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদেই সোচ্চার হন বহু মানুষ, যাতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

মন্তব্য

সারা দেশ
Government is planning to build separate prisons for drug addicts Home Advisor

মাদকাসক্তদের জন্য পৃথক কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মাদকাসক্তদের জন্য পৃথক কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মাদকাসক্তদের জন্য সরকার বিভাগীয় পর্যায়ে পৃথক কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ ছাড়া দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে ‘মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র’ নির্মাণ প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্প্রতি সাতটি বিভাগীয় শহরে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাতটি বিভাগীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। এ ছাড়া মাদকাসক্তদের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে পৃথক কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে।

তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (কর্মকর্তা-কর্মচারী) অস্ত্র সংগ্রহ ও ব্যবহার নীতিমালা-২০২৪’ প্রণয়ন করেছে। এই নীতিমালার আওতায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রথম ব্যাচের অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পন্ন হয়েছে।’

এর ফলে আভিযানিক ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি অধিদপ্তরের মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনায় আরও সাফল্য আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে হলে তরুণ সমাজকে অবশ্যই মাদকমুক্ত রাখতে হবে মন্তব্য করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘যেকোনো দেশের উন্নতির প্রধান নিয়ামক হলো কর্মক্ষম বিপুল যুবশক্তি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যখনই বৈষম্য, বঞ্চনা, অবিচার ও মূল্যবোধের সংকট তৈরি হয়েছে, তখনই যুব সমাজ সংকল্প ও ঐক্যের মাধ্যমে তা প্রতিহত করেছে। জুলাই ছাত্র-যুব-জনতার গণঅভ্যুখান যুব সমাজ এবং তারুণ্যেরই বিজয়। উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে হলে তরুণ সমাজকে অবশ্যই মাদকমুক্ত রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মাদক চোরাচালানের একটি ভয়াবহ বিষয় হলো নারী, শিশু ও কিশোরদের এ গর্হিত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।’

এ সমস্যা সমাধানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার একটি বহুমাত্রিক সমস্যা। শুধু আইনের প্রয়োগে এর সমাধান করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মাদকবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে সর্বস্তরের জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।’

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন সিনথেটিক ও সেমি-সিনথেটিক ড্রাগস বা নতুন ধরনের মানসিক প্রভাবসৃষ্টিকারী মাদকদ্রব্যের (এনপিএস) আবির্ভাবের ফলে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারজনিত সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়েছে।’

‘এসব মাদক নিয়ে নতুনভাবে কর্মকৌশল তৈরি করতে হচ্ছে। এসব নতুন মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এগুলোকে আইনের তফসিলভুক্ত করার পাশাপাশি কৌশলগত নজরদারি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি।

খোদা বখস চৌধুরী বলেন, ‘যে পরিবারের সদস্য মাদকাসক্ত হন, কেবল তারাই এর গভীরতা, ভয়াবহতা ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বুঝতে পারে। মাদকের বিষয়ে সামাজিক প্রতিরোধের দিকটি ইদানীং কমে গেছে। এটিকে বাড়িয়ে মাদকের পারিবারিক, ব্যক্তিক ও রাষ্ট্রীয় কুফল থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্টদের আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’

নাসিমুল গনি বলেন, ‘মাদকের উৎপাদন বাংলাদেশে হয় না। পাশ্ববর্তী দেশ থেকে পাচারের মাধ্যমে আমাদের দেশে এসে এটি যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই মাদকের সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। আর এটিকে সফল করতে হলে আমাদের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।’

অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী কার্যক্রমের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থী, সেরা তিনটি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধি এবং মাদকবিরোধী প্রচারণা, উদ্বুদ্ধকরণ ও গবেষণায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সেরা দুইটি প্রতিষ্ঠানের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। তাছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্যুভেনির ও বার্ষিক মাদক প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।

এর আগে, বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা। এরপর তিনি বিভিন্ন বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের অংশগ্রহণে নির্মিত মাদকবিরোধী স্টল পরিদর্শন করেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Former Southeast Bank Chairman Alamgir Kabir has been accused of irregularities including women scandal

আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টা ও দুদকের কাছে চিঠি

আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টা ও দুদকের কাছে চিঠি আলমগীর কবির। ছবি: সংগৃহীত

সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে নারী কেলেং্কারীসহ দুর্নীতি, অর্থপাচার, শেয়ার কারসাজি ও যৌন হয়রানিসহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন ব্যাংকের এক গ্রাহক

গতকাল বুধবার (২৫ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এসব অভিযোগ তুলে লিখিত আবেদন জমা দেন শিমুল সর্দার নামে এক গ্রাহক। একই অভিযোগে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং আর্থিক খাত বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার কাছেও চিঠি পাঠিয়েছেন।

দুদকে দেওয়া ১০ পাতার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আলমগীর কবির দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ— তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নামে-বেনামে ঋণ দিয়েছেন, চলতি ঋণের সুদ মওকুফ করেছেন এবং অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে একক সিদ্ধান্তে ঋণ অনুমোদন করেছেন। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে বর্তমানে সাউথইস্ট ব্যাংকের হাজার কোটি টাকার আমানত ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবির ব্যাংকটির অর্থ সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনায় একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেছিলেন। ব্যাংকের প্রতিটি বড় সিদ্ধান্ত—যেমন নতুন শাখা খোলা, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, বুথ বসানো, সফটওয়্যার কেনা ইত্যাদিতে তার একক নিয়ন্ত্রণ ছিল। এসব কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই ছিল তার আত্মীয়স্বজন বা ঘনিষ্ঠজনদের মালিকানাধীন।

সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন অভিযোগকারী। অভিযোগে বলা হয়, আলমগীর কবির একাধিক নারী কর্মকর্তাকে নিজের অফিসে ডেকে নিয়ে তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করেছেন। এসব ঘটনার কিছু প্রমাণ ইতোমধ্যে ভুক্তভোগীদের কাছে রয়েছে এবং তারা আইনগত পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি নিজের পছন্দের কিছু নারীকে ব্যাংকের অধীনস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘গ্রিন স্কুল’ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড’-এ চাকরি দিয়েছেন বলেও অভিযোগে জানান।

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, শেয়ার কারসাজির অভিযোগে আলমগীর কবিরকে ইতোমধ্যে ১২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে সাউথইস্ট ব্যাংকের ২৩২ কোটি টাকা বে লিজিংয়ে বিনিয়োগ করা হয়, যা বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৪-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড বর্তমানে আর্থিকভাবে এতটাই দুর্বল যে, প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকের পাওনা ফেরত দিতে পারছে না।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বে লিজিংয়ের পুঞ্জীভূত লোকসান দাঁড়ায় ১৭২ কোটি টাকায়। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান চেয়ারম্যান সুরাইয়া বেগম—যিনি আলমগীর কবিরের স্ত্রী—তাঁর মাধ্যমে ব্যাংকটির সঙ্গে বে লিজিংয়ের লেনদেন ‘ব্যাংকসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এতে করে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ২৭ (১-খ) ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আলমগীর কবির ব্যাংকের ফাউন্ডেশন ও শিক্ষা বিভাগের তহবিল থেকেও অর্থ তুলে এনে বে লিজিংয়ে সরবরাহ করেছেন। ব্যাংকের মেয়াদি আমানত ও কলমানির অর্থ আটকে আছে ওই প্রতিষ্ঠানটিতে। বারবার চিঠি পাঠিয়েও কোনো অর্থ ফেরত পায়নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। শুধু মূলধন নয়, প্রতিষ্ঠানটি সুদও পরিশোধ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে

মন্তব্য

সারা দেশ
Each of the detention centers had torture equipment Gum Investigation Commission

প্রতিটি আটক কেন্দ্রে ‘নির্যাতনের সরঞ্জাম’ ছিল: গুম তদন্ত কমিশন

প্রতিটি আটক কেন্দ্রে ‘নির্যাতনের সরঞ্জাম’ ছিল: গুম তদন্ত কমিশন

গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন জানিয়েছে, ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ের প্রমাণ ধ্বংসের চেষ্টার পরও তারা দেশের প্রায় প্রতিটি আটক কেন্দ্রে বিশেষ জেরা কক্ষ ও নির্যাতনের যন্ত্রপাতির অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে।

কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের সপ্তম অধ্যায়ে বলা হয়েছে, ‘আমরা যে সব আটক কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি, তার প্রায় প্রতিটিতেই নির্যাতনের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত জেরা কক্ষ ছিল।’

প্রতিবেদনটি বলছে, প্রমাণ ধ্বংসের নানা চেষ্টা সত্ত্বেও কিছু আলামত উদ্ধার করা গেছে, যা নির্যাতনে ভুক্তভোগীদের বিবরণীর সঙ্গে মিলে গেছে। উদাহরণ স্বরূপ, র‌্যাব-২ ও সিপিসি-৩-এ ঘূর্ণায়মান চেয়ার, র‌্যাব-৪ ও ডিবিতে ব্যবহার করা ‘যম টুপি’ ও টাস্কফোর্স ইন্টাররোগেশন (টিএফআই) সেলে মানুষকে ঝুলিয়ে নির্যাতন করার যন্ত্রের (পুলি সিস্টেম) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ধ্বংস করা প্রায় প্রতিটি স্থানে সাউন্ড প্রুফিংয়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কক্ষগুলো এমনভাবে তৈরি ছিল, যেন নির্যাতনের শিকারদের চিৎকার বাইরের কেউ শুনতে না পায়। কিছু কেন্দ্রে নির্যাতনের শব্দ ঢাকতে উচ্চস্বরে গান বাজানো হতো, যা আবার নির্যাতকদের মনোরঞ্জনের মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহৃত হতো।


ভুক্তভোগীরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে দীর্ঘসময় ধরে অসহনীয় কষ্টভোগ করেছেন। তাদের প্রায়ই নিয়মিত প্রহরীদের অর্ধেক খাবার দেওয়া হতো, হাতকড়া পরিয়ে ও চোখ বেঁধে রাখা হতো ও সম্পূর্ণ নির্জন কক্ষে আটকে রাখা হতো।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘নিজেদের ভাগ্য সম্পর্কে অনিশ্চয়তা আর এসব নিষ্ঠুর বাস্তবতার কারণে, তারা অবিরত মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করেছে।’

কমিশন আরও জানিয়েছে, নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের বেশিরভাগ সময়েই গুম করে রাখা হতো, যাতে আইনি জবাবদিহির ভয় ছাড়াই তাদের ওপর নির্যাতন চালানো যায়।

ভুক্তভোগীরা কখনও আদালতে হাজির হবেন কি-না, নাকি রাষ্ট্রীয় রেকর্ড থেকে একেবারে মুছে যাবেন, এই অনিশ্চয়তা এমন এক পরিবেশ তৈরি করেছিল, যা অপরাধীদের সাহস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিল। ফলে নির্যাতন সহজেই চলতো এবং তা থামানো বা তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো কেউ থাকত না।

প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অংশে বলা হয়েছে, যারা নির্যাতন চালাতো, তারা অনেক সময় বাড়তি নজরদারির আশঙ্কায় প্রমাণ গায়েব করত। আবার কিছু ক্ষেত্রে নির্যাতনের দাগ মুছে যেতে বা ক্ষত সেরে উঠতে কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করত। এরপরই কাউকে জনসমক্ষে হাজির করত, যাতে তাদের অপরাধের কোনো স্পষ্ট চিহ্ন না থাকে।

প্রতিবেদন বলছে, নিয়মিত যন্ত্রণা ছাড়াও নির্যাতনের সবচেয়ে সাধারণ প্রচলিত ধরণ ছিল মারধর। এছাড়া, মূত্রত্যাগের সময় যৌনাঙ্গে বিদ্যুৎ শক দেওয়া, ঘূর্ণায়মান চেয়ার ব্যবহার করে কষ্ট দেয়া ও পুরো শরীর ঢেকে অত্যাচার করার মতো যন্ত্রপাতি দিয়ে নির্যাতন চালানো হতো।

কমিশন লক্ষ্য করেছে, নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মিতভাবে এতে অংশ নিয়েছেন, যা প্রমাণ করে এটি ছিল একটি সুসংগঠিত ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। কারণ, এ ব্যবস্থাকে সচল রাখতে যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, জনবল প্রশিক্ষণ ও নির্যাতনের পদ্ধতি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতনের ব্যাপকতা ও এর ধারাবাহিকতা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, এটি শুধু মাঠ পর্যায়ে অনুমোদিত ছিল না, বরং ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায় থেকেও এর পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনটি বলেছে, ক্ষমতার উচ্চ পর্যায়ের স্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের নির্যাতন ব্যবস্থা গড়ে তোলা ও দীর্ঘসময় ধরে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এর জন্য অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণে বাজেট বরাদ্দ লাগত।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ‘এই মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় শুধু মাঠপর্যায়ের অপরাধীদের ওপরই পড়ে না, এর দায় বর্তায় সেই সব শীর্ষ কর্মকর্তা ও কমান্ডিং অফিসারদের ওপরও- যারা এ সব কর্মকাণ্ডে অনুমোদন দিয়েছেন বা উৎসাহিত করেছেন।’

মন্তব্য

সারা দেশ
HSC Education Advisor is being held in a fair environment

সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এইচএসসি: শিক্ষা উপদেষ্টা

সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এইচএসসি: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার জানিয়েছেন, সারাদেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, "পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই সব কেন্দ্রে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রয়েছে। পরীক্ষার্থীরা সময়মতো উপস্থিত হয়েছে এবং নির্ধারিত নিয়মে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শিক্ষা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমরা এই সাফল্য অর্জন করেছি।"

তিনি আরও বলেন, "প্রশ্নফাঁসের গুজব রোধ এবং নকলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সমস্যার কথা শোনা যায়নি।”

এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। লিখিত পরীক্ষা ১০ আগস্ট পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে।

পরিদর্শনকালে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের অধ্যক্ষ, কেন্দ্র সচিব, কক্ষ পরিদর্শক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
The number of dengue patients in Kapasia is increasing in 5 days

কাপাসিয়ায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, ৩ দিনে ১০ জন শনাক্ত

কাপাসিয়ায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, ৩ দিনে ১০ জন শনাক্ত

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতো ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত ৩ দিনে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ জন।

গত ২২ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত এই ৩ দিনে ১০ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়।

কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, ২২ জুন থেকে আমরা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর তথ্য সংগ্রহ করে জেলা সিভিল সার্জন অফিসে প্রেরণ করেছি। তিনি জানান, আমাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গত ২২ জুন রবিবার কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন, হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ডায়াবেটিক সেন্টারে ২ জন, রেডিয়াম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ২ জন, হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ২ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে।

কাপাসিয়া উপজেলার সরকারি - বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই রক্ত পরীক্ষা করেছেন। রক্ত পরীক্ষার পর এক দিনে ৫ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। ২৩ জুন, সোমবার কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন, রেডিয়াম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১ জন, ইরাম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১জনসহ মোট ৩ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।

তাছাড়া ২৪ জুন মঙ্গলবার হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ডায়াবেটিক সেন্টারে ২ জন মহিলার রক্ত পরীক্ষার পর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।

কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হাবিবুর রহমান এক দিনের তথ্য দিয়ে বলেন, শুধুমাত্র ২৩ তারিখে কাপাসিয়া উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ২১ জন জ্বরে আক্রান্ত রোগী রক্ত পরীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১৩ জনের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। ২১ জনের রক্ত পরীক্ষার পর ৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১ জন সরকারি এবং ২ জন বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
The wind of Dhaka is better than Kuwait City today

ঢাকার বাতাস আজ কুয়েত সিটির চেয়েও ভালো

ঢাকার বাতাস আজ কুয়েত সিটির চেয়েও ভালো

বিশ্বের অন্যতম জনবহুল রাজধানী ঢাকায় আজ সকালের বাতাসের মান কুয়েত সিটির চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ৬৬, যা ‘মাঝারি’ শ্রেণিভুক্ত। বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৩৮তম, যেখানে কুয়েত সিটি ৩৭তম স্থানে রয়েছে।

আজকের তালিকায় সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল বাহরাইনের মানামা (১৯৮), কাতারের দোহা (১৭৭) এবং আফগানিস্তানের কাবুল (১৭৪)।

বায়ুমানের একিউআই সূচক প্রতিদিনের বায়ু দূষণ পরিস্থিতি তুলে ধরে এবং একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা পরিষ্কার বা দূষিত এবং তার স্বাস্থ্যগত প্রভাব কী হতে পারে, সে বিষয়ে ধারণা দেয়।

একিউআই সূচক ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়। আর ৫০ বা তার কম হলে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়।

কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।

মন্তব্য

p
উপরে