কওমি মাদ্রসাছাত্রদের তাণ্ডবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলস্টেশনের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রেলে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জেলা শহর।
আন্তনগর যেসব ট্রেন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করত, সেগুলো আর সেখানে থামছে না। কবে সেগুলো আবার থামবে, সেটাও নিশ্চিত নয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা চলাচল করা কমিউটার তিতাসও বন্ধ হয়ে গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের স্টেশনমাস্টার সোয়েব আহমেদ।
রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্বাঞ্চল) কার্যালয় জানায়, আগুনে সিগন্যাল প্যানেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নেয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। যারা এই স্টেশন থেকে যাত্রার জন্য টিকিট কেটেছিলেন, তাদের টাকা ফেরত দেয়া হবে। কাল থেকে চট্টলাসহ অন্য সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি স্থগিত থাকবে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালায় হেফাজতের কর্মীরা।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সরকারি ডাকবাংলো, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের পর থানায় হামলায় চালান হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ। এতে প্রাণ হারান চারজন।
এর পরপরই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালায় কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা। বিভিন্ন সরকারি স্থাপনার পাশাপাশি তারা হামলে পড়ে শহরের রেলস্টেশনে।
ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন দেয়া হয় স্টেশনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এমনকি লাইনে।
মারমুখো কর্মীদের রেলের কর্মীরা কোনো বাধা দিতে পারেননি। ফায়ার সার্ভিসও সেখানে যাওয়ার পরিস্থিতি ছিল না। প্রস্তুতি না থাকায় পুলিশও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ফলে যতক্ষণ হেফাজত কর্মীরা সেখানে ছিল, ততক্ষণ জ্বলেছে আগুন।
তাদের এই হামলার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় ট্রেন। ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের সাতটি ট্রেন আটকা পড়ে বিভিন্ন স্টেশনে।
আট ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ চালু হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোনো ট্রেন আর থামেনি। ফলে যাদের এই স্টেশনে নামার কথা ছিল, তাদের পরের স্টেশনে নেমে গাড়ি ভাড়া করে আসতে হয়।
সকাল থেকে স্টেশনে ট্রেনগুলো আগের মতো যাত্রাবিরতি দিতে শুরু করলেও সিগন্যালের সমস্যায় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্টেশনমাস্টার সোয়েব আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, শনিবার সকাল ৯টায় সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। তারপর সকাল ১০টায় সিলেট মেইল, ১১টায় ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস, ১১টা ১০ মিনিটে সর্বশেষ মহানগর প্রভাতী চট্টগ্রামের উদ্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ছেড়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল থেকে আন্তনগর কোনো ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে না।’
রেলের কর্মীরা জানান, আশুগঞ্জের পর পালশহর ও আখাউড়ার আগে পাকাতন স্টেশনে সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু আছে। এই দুই স্টেশনের সিগন্যালের ওপর নির্ভর করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কয়েকটি ট্রেন দাঁড় করানো হয়। কিন্তু দুই স্টেশনের মধ্যে দীর্ঘ দূরত্বের কারণে সবগুলো ট্রেন এভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দাঁড় করানো কঠিন।
এক দিন পরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে হেফাজতের হামলার ক্ষতির চিহ্ন রয়ে গেছে। সাতটি কক্ষে রয়েছে পোড়া চিহ্ন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশি ক্রেতাদের জন্য আকর্ষণীয় নতুন অফার নিয়ে এসেছে শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো। রেনো১৪ ফাইভজি কিনলেই থাকছে ১০০% গ্যারান্টেড উইন অফার। গত ০১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে প্রত্যেক ক্রেতা তাদের নতুন স্মার্টফোনের সাথে এক্সক্লুসিভ পুরস্কার পাবেন; যা গত কয়েকবছরের অফারগুলোর তুলনায় এটিকে আরও বেশি ক্রেতাবান্ধব ও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
এই অফারের অংশ হিসেবে, প্রতিটি রেনো১৪ ফাইভজির ক্রেতা ৯,৩৮৮ টাকা সমমূল্যের সুবিধা পাবেন। এরমধ্যে রয়েছে অনবদ্য সাউন্ডের জন্য অপো এনকো বাডস৩ প্রো, প্রিমিয়াম সুবিধার সাথে এক্সক্লুসিভ ভিআইপি কার্ড এবং ১২ মাস পর্যন্ত ০% ইএমআই সুবিধা। এছাড়া, ক্রেতারা আরও পাবেন দুই বছরের অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি, অপো সার্ভিস সেন্টারে প্রায়োরিটি সার্ভিস এবং সুরক্ষার অংশ হিসেবে একটি ফ্রি প্রোটেকটিভ ফিল্ম ও ফোন কেস। একইসাথে থাকছে, আকর্ষণীয় ছাড়ে অ্যাকসেসরিজ কেনার সুবিধা সহ লিকুইড অ্যান্ড অ্যাক্সিডেন্টাল ড্যামেজের ক্ষেত্রে এক বছরের ফ্রি কাভারেজ। এসব সুবিধা নিশ্চিত করে যে, প্রত্যকে ক্রেতা কেবল একটি সর্বাধুনিক এআই স্মার্টফোনই পাচ্ছেন না; বরং লাইফস্টাইলকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করবে এমন একটি পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, “অপোতে, আমাদের প্রতিশ্রুতি কেবল স্মার্টফোন নিয়ে আসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং আমরা প্রত্যেক ক্রেতাকে মূল্যায়ন করতে চাই। এই ১০০% উইন গিফটস অফার আমাদের ক্রেতাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে, যেন তারা রেনো১৪ ফাইভজির সাথে আরও বেশকিছু সুবিধা গ্রহণ করার সুযোগ পান। শুধু ফোন নয়, আমরা যত্ন, সুবিধা ও সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার একটি পরিপূর্ণ প্যাকেজ নিয়ে এসেছি। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও গ্রাহক সুবিধার মাধ্যমে আমরা আমাদের ক্রেতাদের জানাতে চাই যে, ব্র্যান্ড হিসেবে অপো সবার আগে মানুষের প্রতিই গুরুত্বারোপ করে থাকে।”
অপো রেনো১৪ ফাইভজি নিজেই একটি অসাধারণ স্মার্টফোন। এটি এখনকার কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ট্রেন্ডসেটারদের বিষয়গুলো বিবেচনা করে তাদের জন্য একটি এআই-নির্ভর ফটোগ্রাফি সহযোগী হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে। এর সর্বাধুনিক এআই ফ্ল্যাশ ফটোগ্রাফি যেকোনো পরিস্থিতিতে নিখুঁত ও প্রাণবন্ত শট ধারণ করতে সক্ষম। এর ৪কে আন্ডারওয়াটার ভিডিওগ্রাফি ফিচার ব্যবহারকারীদের অনবদ্য মুহূর্তগুলোকেও ভিডিও হিসেবে ধারণ করে রাখতে পারে। রাতে ফটোগ্রাফির জন্য এআই লো লাইট প্রযুক্তি খুব স্বাভাবিকভাবেই অন্ধকার পরিবেশে সুনির্দিষ্ট, রঙিন এবং পেশাদার মানের ছবি নিশ্চিত করে। কনটেন্ট তৈরি আরও সহজ করতে, ফোনটি এআই এডিটর ২.০ নিয়ে এসেছে, যা ইনটিউটিভ ও ওয়ান-ট্যাপ অ্যাডজাস্টমেন্টের মাধ্যমে ছবিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিখুঁত করে তুলবে। এছাড়াও, রেনো১৪ ফাইভজি স্মুথ মাল্টিটাস্কিং পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে; যা ব্যবহারকারীদের আধুনিক জীবনের সাথে মানিয়ে নিতে একটি শক্তিশালী, স্টাইলিশ ও নির্ভরযোগ্য ডিভাইসের নিশ্চয়তা দেয়।
এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে, অপো সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি, ভরসাকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করতে চায়। রেনো১৪ ফাইভজি ব্যবহারকারীদের আশেপাশের বিশ্বকে পৃথিবীকে অসাধারণ বিশদভাবে ধারণ করার উপযোগী করে সক্ষম করে তোলে; আর ১০০% উইন গিফটস অফারের মাধ্যমে প্রতিটি কেনাকাটায় ডিভাইসের বাইরেও তাত্ক্ষণিক সুবিধা নিশ্চিত করে। অপো সবসময় উদ্ভাবন ও গ্রাহক সন্তুষ্টির সমন্বয় করেছে। এই উদ্যোগ প্রিমিয়াম প্রযুক্তিকে সকলের জন্য সাশ্রয়ী ও গ্রহণযোগ্য করার ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডের প্রতিশ্রুতিকেই তুলে ধরছে।
১০০% উইন গিফটস অফার সহ অপো রেনো১৪ ফাইভজি এখন বাংলাদেশের সকল অনুমোদিত আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে। ০১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনটি ইতোমধ্যেই স্মার্টফোন-প্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া তৈরি করেছে। একটি বিশ্বমানের ডিভাইসের পাশাপাশি অসাধারণ সব সুবিধা, এই মালিকানাকে আরও বিশেষ করে তুলেছে।
রেনো১৪ ফাইভজি এবং এই ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh বা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.oppo.com/bd/smartphones/series-reno/reno14/ ভিজিট করুন।
সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট ও আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পর অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অনুসন্ধান পর্যায়ে অপরাধের মাত্রা ও সংশ্লিষ্টতার ধরন বিবেচনায় পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গত মঙ্গলবার কমিশনের সভায় এই প্রস্তাব তোলা হলে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে দুদকের সিলেট কার্যালয় থেকে পরিচালিত অভিযানে ৪২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সংস্থার নাম উঠে আসে। শিগগিরই অনুসন্ধান টিম গঠন করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে গত ১৩ আগস্ট দুদকের সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফি মো. নাজমুস সা’দাৎ-এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে। তারা পাথর লুটের ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়। অভিযানে দুদকের দল দেখতে পায়, স্থানীয় প্রশাসনের পর্যটন সেবা এবং নদীর তীরেই বিজিবি ক্যাম্পের টহল চালু থাকা সত্ত্বেও বিগত কয়েক মাসে কয়েকশ কোটি টাকা মূল্যের পাথর উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দুদকের প্রাথমিক প্রতিবেদনে পাথরলুট কাণ্ডে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিন, সদস্য হাজি কামাল (পাথর ব্যবসায়ী), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লাল মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে দুদু, সিলেট জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রুবেল আহমেদ বাহার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুসতাকিন আহমদ ফরহাদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. দুলাল মিয়া ওরফে দুলা, যুগ্ম আহ্বায়ক রজন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন, সাজন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মী জাকির হোসেন, সদস্য মোজাফর আলী, মানিক মিয়া, সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মকসুদ আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে শাহপরান, কোষাধ্যক্ষ (বহিষ্কৃত) শাহ আলম ওরফে স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম এবং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স।
তালিকায় আরও রয়েছে আওয়ামী লীগের সাত নেতাকর্মীর নাম। তারা হলেন- কার্যক্রম নিষিদ্ধ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কর্মী বিলাল মিয়া, শাহাবুদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল ওদুদ আলফু, কর্মী মনির মিয়া, হাবিল মিয়া ও সাইদুর রহমান।
প্রতিবেদনে জামায়াতের দুজনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. ফকরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন। প্রতিবেদনে এনসিপির দুই নেতার নাম এসেছে। এরা হলেন- সিলেট জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন ও মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী।
এছাড়া অনুসন্ধানে সাদা পাথর লুটের সঙ্গে আরও ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ ভোলাগঞ্জের আনর আলী, উসমান খাঁ, ইকবাল হোসেন আরিফ, দেলোয়ার হোসেন জীবন, আরজান মিয়া, মো. জাকির, আলী আকবর, আলী আব্বাস, মো. জুয়েল, আলমগীর আলম ও মুকাররিম আহমেদ।
অন্যদিকে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে দায়ী করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুন্নাহার, কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাছনাত, ঊর্মি রায়, আবিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ উজায়ের আল মাহমুদ আদনান। এছাড়া বর্ডার গার্ডকেও দায়ী করা হয়েছে দুদকের প্রতিবেদনে।
ঝিনাইদহে তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যবসায়ী অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ঘরের দেওয়ালে লেখা ছিল তাকে হত্যা করার কারণ।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার কেশবপুর গ্রাম থেকে তোয়াজ উদ্দিন শেখ নামের ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল (বুধবার) বিকেলে তোয়াজ উদ্দিনের ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা তার স্বজনদের খবর দেন। পরে স্বজনরা জানালা দিয়ে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের তালা ভেঙে হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে।
মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড বলেও ধারণা করছে তারা। তবে এতে কে বা কারা জড়িত তা জানাতে পারেনি।
যে ঘর থেকে তোয়াজ উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, তার দেওয়ালে মহানবী সম্পর্কে খারাপ কথা বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে লিখিত ইঙ্গিত থাকলেও পুলিশ এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, নিহত তোয়াজ উদ্দিন শেখ গত সপ্তাহে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে যান। স্ত্রী-সন্তান না থাকায় বাড়িতে তিনি একাই বসবাস করতেন। গেল সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) গ্রামের অনেকের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন তিনি। তবে তারপর থেকে তাকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ড হিসেবে আমরা ধারণা করছি। সুরতহাল শেষে মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পরে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের জবানবন্দি শেখ হাসিনার দুঃশাসনের এক অকাট্য দলিল। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গতকাল সংবাদ সংস্থা বাসসকে বলেন, ‘চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তা অবশ্যই শেখ হাসিনার দুঃশাসনের অকাট্য দলিল।’
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ গত মঙ্গলবার জবানবন্দি দেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
সেসময় তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তাকে ফোন করে জানান যে আন্দোলন দমনে সরাসরি প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তখন তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে ছিলেন এবং তার সামনে ছিলেন তৎকালীন অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার। পরে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের এই নির্দেশনা তৎকালীন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ সারাদেশে পৌঁছে দেন প্রলয় কুমার। সেদিন থেকেই মারণাস্ত্র ব্যবহার শুরু হয়।
চৌধুরী মামুন আরও জানান, এই মারণাস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে অতি উৎসাহী ছিলেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর ও ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এক্ষেত্রে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নির্দেশ ছিল, যেকোনো মূল্যে আন্দোলন দমন করতে হবে।
সাবেক আইজিপি তার জবানবন্দিতে বলেন, শেখ হাসিনাকে মারণাস্ত্র ব্যবহারে প্ররোচিত করতেন ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, ফজলে নূর তাপস ও মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমাতে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার বিষয়ে জবানবন্দিতে তিনি বলেন, হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে। যার পরামর্শ দিয়েছিলেন র্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক হারুন অর রশীদ। আন্দোলনপ্রবণ এলাকাগুলো ভাগ করে ব্লক রেইড দিয়ে হেলিকপ্টার, ড্রোন ও মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনরত অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও আহত করা হয়। আন্দোলন দমনে সরকারকে উৎসাহিত করেন আওয়ামীপন্থি বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী ও ব্যবসায়ীরা।
জবানবন্দিতে ‘কোর কমিটি’র মিটিং বিষয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই থেকে প্রায় প্রতি রাতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ধানমন্ডির বাসায় ‘কোর কমিটি’র বৈঠক হত। সব বৈঠকেই আন্দোলন দমনসহ সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হত। একটি বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক করার সিদ্ধান্ত হয়।
ডিজিএফআই এই প্রস্তাব দেয় উল্লেখ করে মামুন বলেন, তিনি এর বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে পরে রাজি হন। আর সমন্বয়কদের আটকের দায়িত্ব তৎকালীন ডিবি প্রধান হারুনকে দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ডিজিএফআই ও ডিবি তাদের আটক করে ডিবি হেফাজতে নিয়ে আসে। সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে এনে আন্দোলনের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আপস করার জন্য চাপ দেওয়া হয় এবং তাদের আত্মীয়স্বজনদের ডিবিতে এনে চাপ দেওয়া হয়। একপর্যায়ে সমন্বয়কদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে টেলিভিশনে বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হয়। এ ব্যাপারে তৎকালীন ডিবি প্রধান হারুন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন সাবেক এই আইজিপি। তিনি জানান, ডিবির তৎকালীন প্রধান হারুনকে ‘জিন’ বলে ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বেলা ১১টায় গণভবনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরাপত্তা সমন্বয় কমিটির বৈঠক সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছেন আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি জানান, ওই বৈঠকে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, এসবির প্রধান, ডিজিএফআইয়ের প্রধান, এনএসআইয়ের প্রধানের সঙ্গে তিনিসহ মোট ২৭ জন উপস্থিত ছিলেন। জুলাই আন্দোলন দমন এবং নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। সেখানে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরছিল। কিন্তু চারদিকে পরিবেশ-পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় বৈঠকটি মুলতবি করা হয়।
তবে ওইদিন রাতে গণভবনে আবারও বৈঠক ডাকা হয় বলেও জবানবন্দিতে জানান সাবেক আইজিপি মামুন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে শেখ রেহানা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, র্যাবের মহাপরিচালক ও সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মজিবুর রহমানসহ তিনিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে তৎকালীন ডিজিএফআই প্রধান ও এসবির প্রধান বাইরে অপেক্ষমাণ ছিলেন।
ওই বৈঠকে ৫ আগস্ট আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঠেকানোর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়, পুলিশ ও সেনাবাহিনী সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবে। ওই বৈঠক থেকে সেনাবাহিনীর অপারেশন কন্ট্রোল রুমে যান বলে জবানবন্দিতে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, সেখানে (কন্ট্রোল রুম) তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, র্যাবের মহাপরিচালক, ডিজিএফআইয়ের প্রধান, এসবির প্রধান ও মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ঢাকা শহরের প্রবেশমুখে কঠোর অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় এবং ৪ আগস্ট রাত সাড়ে ১২টায় সেনাবাহিনীর অপারেশন কন্ট্রোল রুম থেকে তারা সবাই চলে যান।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের বিষয়ে জবানবন্দিতে তিনি জানান, সেদিন সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে আমার দপ্তরে যাই। এর মধ্যে উত্তরা-যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন পথ দিয়ে ছাত্র-জনতা স্রোতের মতো প্রবেশ করতে থাকে। দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে জানতে পারি ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে তিনি কোথায় যাবেন তা জানতাম না। এরপর বিকেলে আর্মির হেলিকপ্টার এসে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে আমাকে প্রথমে তেজগাঁও বিমানবন্দরের হেলিপ্যাডে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ক্যান্টনমেন্টের অফিসার্স মেসে নিয়ে যাওয়া হয়। হেলিকপ্টারে আমার সঙ্গে এসবি প্রধান মনিরুল, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিব ও ডিআইজি আমেনা ছিলেন।
পরে হেলিকপ্টারে এডিশনাল ডিআইজি প্রলয়, এডিশনাল আইজি লুৎফুল কবিরসহ অন্যদেরও সেখানে নেওয়া হয়। পরদিন ৬ অগাস্ট আইজিপি হিসেবে তার নিয়োগ চুক্তি বাতিল করা হয় এবং ক্যান্টনমেন্টে থাকাকালে ৩ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলেও জানান মামুন।
আন্দোলনের দিনগুলোর বর্ণনা দিতে গিয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২৭ জুলাই আন্দোলন চলাকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আমরা নারায়ণগঞ্জে আন্দোলনের পরিস্থিতি দেখতে যাই। পথে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে আমরা কিছুক্ষণ অবস্থান করি।
ওই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মোবাইলে একটি ভিডিও দেখান ওয়ারি জোনের ডিসি ইকবাল। ভিডিও দেখিয়ে ইকবাল বলেন যে, ‘গুলি করি, একজন মরে। সেই যায়। বাকিরা যায় না।’ পরবর্তীতে এই ভিডিও সারাদেশে ভাইরাল হয়।
২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির দায়িত্বে ছিলেন উল্লেখ করে জবানবন্দিতে আল-মামুন বলেন, তখন পুলিশের আইজিপি ছিলেন জাবেদ পাটোয়ারী। নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে ৫০ শতাংশ ব্যালট ভর্তি করে রাখার পরামর্শ শেখ হাসিনাকে এই জাবেদ পাটোয়ারী দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন।
পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে ডিসি, এসপি, ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সেই নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং তারা সেটা বাস্তবায়ন করেন। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা এই নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করেছেন, তাদের পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করা হয়।
২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, র্যাব সদর দপ্তর পরিচালিত উত্তরাসহ র্যাব-১ এর কার্যালয়ের ভেতরে টিএফআই সেল (টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন সেল) নামে একটি বন্দিশালা ছিল। র্যাবের অন্যান্য ইউনিটের অধীনেও অনেক বন্দিশালা ছিল। এসব বন্দিশালায় রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী এবং সরকারের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের আটকে রাখা হত, যা একটা কালচারে (সংস্কৃতি) পরিণত হয়েছিল।
তার ভাষ্যমতে, অপহরণ, গোপন বন্দিশালায় আটক, নির্যাতন এবং ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হত্যার মত কাজগুলো র্যাবের এডিজি (অপারেশন) এবং র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালকেরা সমন্বয় করতেন। আর র্যাবের মাধ্যমে কোন ব্যক্তিকে উঠিয়ে আনা, আটক রাখা কিংবা হত্যা করার নির্দেশনাগুলো সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আসত এবং এই নির্দেশনাগুলো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে আসত বলে জানতে পারেন বলেও জবানবন্দি দেন সাবেক আইজিপি।
সেসব নির্দেশনা চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ করে সরাসরি এডিজি (অপারেশন) ও র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালকদের কাছে পাঠানো হতো বলে উল্লেখ করেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
ব্যারিস্টার আরমান আটক থাকার বিষয়টি তিনি আইজিপির দায়িত্ব গ্রহণের সময় জানানো হয় বলেও উল্লেখ করেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, র্যাবের সাবেক ডিজি বেনজীর আহমেদ বিষয়টি আমাকে অবহিত করেন। তাকে তুলে আনা এবং গোপনে আটক রাখার সিদ্ধান্ত সরকারের ছিল।
বিষয়টি জানার পর আমি প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকের সঙ্গে কথা বলি। তিনি আমাকে বলেন, ‘ঠিক আছে, রাখেন। পরে বলব।’ কিন্তু পরে আর কিছু তিনি জানাননি। এরপর আমি কয়েকবার বিষয়টি তুলেছিলাম, কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে গিয়ে সরকারের আদেশে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়েছে উল্লেখ করে জবানবন্দিতে সাবেক আইজিপি বলেন, আমি পুলিশ প্রধান হিসেবে লজ্জিত, অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী। জুলাই আন্দোলনে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার জন্য আমি অপরাধবোধ ও বিবেকের তাড়নায় রাজসাক্ষী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরবর্তী সময়ে আমি ট্রাইব্যুনালে স্বজন হারানোদের কান্না, আকুতি ও আহাজারি দেখেছি। ভিডিওতে নৃশংসতা দেখে অ্যাপ্রুভার হওয়ার সিদ্ধান্ত আমি যৌক্তিক মনে করছি।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে হত্যাকাণ্ডের পর আগুন দিয়ে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মত বিভৎসতা আমাকে ভীষণভাবে মর্মাহত করেছে। আমি সাড়ে ৩৬ বছর পুলিশে চাকরি করেছি। পুলিশের চাকরি খুবই ট্রিকি। সব সময় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। চাকরি জীবনের শেষ পর্যায়ে আমার দায়িত্বশীল সময়ে এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এর দায় আমি স্বীকার করছি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে এই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। আমি প্রত্যেক নিহতদের পরিবার, আহত ব্যক্তি, দেশবাসী ও ট্রাইব্যুনালের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমাকে দয়া করে ক্ষমা করে দিবেন। আমার এই সত্য ও পূর্ণ বর্ণনার মাধ্যমে সত্য উদঘাটন হলে আল্লাহ যদি আমাকে আরও হায়াত (বাঁচিয়ে রাখেন) দান করেন, বাকি জীবনে কিছুটা হলেও অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পাব।
এদিকে, সাবেক আইজিপির জবানবন্দি দেওয়ার পর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রাজসাক্ষী হওয়া চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ক্ষমা পাবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনাল নেবেন। তিনি নিজের বিবেকের তাড়নায় অপরাধ স্বীকার করেছেন। নিজের পক্ষ থেকে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেছিলেন।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, সাবেক আইজিপি ট্রাইব্যুনালে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, বিশ্বের কোন আদালতেই এ সাক্ষ্যকে দুর্বল প্রমাণ করার সুযোগ নেই। এটি একটি অকাট্য অপ্রতিরোধ্য সাক্ষ্য। এটি শুধু জুলাই-আগস্টের ঘটনা নয়, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে যত গুম-খুন হয়েছে তার বিরুদ্ধে অকাট্য দলিল হিসেবেও কাজ করবে।
ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন বিএম সুলতান মাহমুদ, প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, মঈনুল করিম, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্য প্রসিকিউটররা।
এই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। আর সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
দুই দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বেড়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটিই দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নতুন দাম সমন্বয়ের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। আজ বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হবে নতুন দাম।
স্থানীয় বাজারে বিশুদ্ধ স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সমন্বয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩২ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৭০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২১ হাজার ১৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৪৯ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো, যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৩৩ বার, আর কমেছে মাত্র ১৬ বার। ২০২৪ সালে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল মোট ৬২ বার, যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়। এ ছাড়াও ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭২৬ টাকায়।
পঞ্চগড় জেলায় গ্রাম ও শহরে সব জায়গায় তাল ফলের দোকান দেখা যায়। তাল ক্রেতাদের দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। ভাদ্র মাসে তাল ফল গাছে পাকে। দোকানে প্রতি পিছ তাল ফল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।
চারিদিকে তালের সুমিষ্ট ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘরে ঘরে তালের পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায় পঞ্চগড় জেলায়। প্রতিটি বাড়ীতে কমবেশি সবাই এ সময়ে তাল পিঠা তৈরি করে পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে খেয়ে থাকে এবং আত্মীয়-স্বজনের বাসায় পাঠিয়ে দেন।
তালের সরু চাকলি পিঠা, কলাপাতা পোড়া পিঠা, তালের বড়া, বিবিখানা পিঠা এবং তালের চুষি পিঠার মতো সুস্বাদু পিঠার সহজ রেসিপি তৈরি করা হয়।
চায়ের দোকানে এবং হোটেলে পাওয়া যায় তালের পিঠা, প্রতি পিছ তালের পিঠার দাম ১০ টাকা। সন্ধ্যার পরে বিভন্ন জায়গা থেকে তালে পিঠা খেতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় হোটেল গুলোতে।
রাজমহল পূর্ব বাগান আলিম মাদ্রাসা প্রভাষক মোছা: জারজিস আরা বেগম তিনি জানান, প্রতি বছরেরই পরিবারের জন্য তাল পিঠা তৈরি করে থাকি। তারই ধারাবাহিক হিসেবে এ বছরও তাল পিঠা তৈরি করি। তাল পিঠার তৈরি করার জন্য প্রথমে তাল সংগ্রহ করা হয়, তার পর ফল থেকে রস বের করে সাথে চালের আটা, চিনি অথবা গুড়, নারিকেল মিক্সার করে তেলে ভেজে তালের বিভিন্ন পিঠা তৈরি করা হয়। হালকা ঠান্ডা করে পিঠা খেতে সুস্বাদু। তিনি আরো জানান, ছেলে-মেয়েরা তাল পিঠা খাওয়ার উদ্দেশ্যে নানা-নানীর বাড়ীতে ছুটে যান।
অভাবের সংসারের মাহিন্দ্রা চালক বাবার মেয়ে তন্দ্রা আক্তারী (১৮)। একটি সরকারি চাকরি ছিল তার জন্য দুঃসাধ্য। মাহিন্দ্রা চালক বাবার স্বপ্ন পূরণে আর পরিবারের অস্বচ্ছলতার মাঝে তার যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল পদে নিয়োগে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তার মতো এ বছরে ফরিদপুরে আরও ২২ জন মাত্র ২২০ টাকায় সরকারি ফির মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে। অস্বচ্ছল পরিবারের বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের সারথি যেন প্রত্যেকেই।
ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসে পুলিশের কনস্টেবল পদে ফরিদপুর থেকে ১২১১ জন আবেদন করেন। এরপর প্রতিটি কঠিন ধাপ অতিক্রম করে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩৪৩ জন এবং ২৮ জন উত্তীর্ণ হয়। পরে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ২৩ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল জানিয়েছেন- প্রত্যেকেই মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে।
তাদের মধ্যে তন্দ্রা আক্তারী একমাত্র নারী কনস্টেবল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। সে ফরিদপুর জেলা সদরের ঘনশ্যামপুর গ্রামের তোরাব বিশ্বাসের মেয়ে। তার এমন খবরে হাসি ফুটেছে বাবা-মা সহ আত্মীয়-স্বজনদের মুখে।
আবেগাপ্লুত হয়ে তন্দ্রা আক্তারী বলেন- একজন মাহিন্দ্রা চালকের মেয়ে পুলিশে চাকরি মানে অনেক কিছু। মানুষ বলাবলি করেছিল টাকা ছাড়া পুলিশে চাকরি হবে না। আমার বাবার পক্ষে ৮/১০ লাখ টাকা দিয়ে চাকরি দেয়া সম্ভব ছিল না। কিন্তু আমার যোগ্যতার মূল্যায়ন করা হয়েছে, মাত্র ২২০ টাকার বিনিময়ে চাকরিটা হয়েছে। একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে আমার বাবার পাশে দাড়াতে পেরে আমি গর্বিত। গত মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ লাইনসে গিয়ে দেখা যায়, চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ২৩ জন একত্রে জড়ো হয়েছে। সেসময় ট্রাক চালক বাবার ছেলে তামীম মন্ডল চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। সে জেলা শহরের রঘুনন্দন এলাকার ট্রাক চালক সুমন মন্ডলের ছেলে। মাত্র ২২০ টাকায় চাকরি হওয়ার ও বাবার অক্লান্ত পরিশ্রমের গল্প তুলে ধরে সে।
২৩ জনের মধ্যে অধিকাংশের গল্পটা যেন অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ জয়ের। মৌখিক পরীক্ষায় বন্ধুর পোশাক ধার করে অংশগ্রহণ করেছিল সিয়াম মোল্যা। তার বাবা লাবলু মোল্যা পেশায় একজন কৃষি শ্রমিক। অনুভূতি জানিয়ে সিয়াম বলেন, ছোট সময় থেকে স্বপ্ন ছিল পুলিশ হওয়ার। বাবার সঙ্গে কৃষি কাজ করে পড়ালেখা করেছি। তাই আজ আমার মেধাকে মূল্যায়ন করা হয়েছে, এ সাফল্য আমার বাবার হাত ধরেই পেয়েছি।
এসব বিষয়ে কথা হয় ফরিদপুরের পুলিশ ট্রেইনি কনস্টেবল পদের নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিলের সঙ্গে। তিনি বলেন- পুলিশের নিয়োগে অনেক সময় নানা বিষয় নিয়ে অভিযোগ উঠলেও ফরিদপুরে মেধা, যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছে। আমরা কারও পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে নিয়োগও দেইনি। যারা নিয়োগ পেয়েছে প্রত্যেকেরই মেধা ও যোগ্যতার অনুসারে দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য