× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
আর কোনো জাতি যেন যুদ্ধে না জড়ায়
google_news print-icon

‘আর কোনো জাতি যেন যুদ্ধে না জড়ায়’

আর-কোনো-জাতি-যেন-যুদ্ধে-না-জড়ায়
পঞ্চাশ বছর আগের সেই মার্চের স্মৃতিচারণ দিয়ে শুরু হয় আলাপ। মুক্তিযুদ্ধ আর বর্তমান বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেন একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মন। দীর্ঘ আলাপচারিতায় কখনও শহীদ সহযোদ্ধার কথা মনে পড়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন, আবার কখনও ক্ষোভে তার চোখ জ্বলজ্বল করে ওঠে। দুই হাজার একুশের প্রবীণ ভবতোষ নন, একাত্তরের তরুণ ভবতোষ ফিরে আসেন তার কথায়।

‘আমি যুদ্ধ দেখেছি। যুদ্ধের বীভৎসতা দেখেছি। আর কোনো জাতি যেন যুদ্ধে না জড়ায়।’ বললেন ভবতোষ রায় বর্মন। একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্লাটুন কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।

একাত্তরে কলকাতায় থাকা কবি আল মাহমুদ লিখেছিলেন, ‘যুদ্ধ ছাড়া পৃথিবী সুস্থ হয় না।’

তবে একটি সশস্ত্র যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ এবং যুদ্ধের বীভৎসতা দেখে ভবতোষের উপলব্দি এই ‘আর কোনো জাতি যেন যুদ্ধে না জড়ায়। যুদ্ধের চেয়ে খারাপ কিছু হয় না।’

বুধবার রাতে নগরের তোপখানা এলাকায় ভবতোষ রায় বর্মনের বাসায় কথা হয় তার সঙ্গে। একাত্তরের সেই তরুণ এখন বার্ধক্যে পৌঁছেছেন। তবু তারুণ্য টগবগ করে তার কথায়।

পঞ্চাশ বছর আগের সেই মার্চের স্মৃতিচারণ দিয়ে শুরু হয় আলাপ। মুক্তিযুদ্ধ আর বর্তমান বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেন তিনি। দীর্ঘ আলাপচারিতায় কখনও শহীদ সহযোদ্ধার কথা মনে পড়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন, আবার কখনও ক্ষোভে তার চোখজোড়া জ্বলজ্বল করে ওঠে। দুই হাজার একুশের প্রবীণ ভবতোষ নন, একাত্তরের তরুণ ভবতোষ ফিরে আসেন তার কথায়।

একাত্তরে তরুণ ভবতোষ রায় বর্মন কাজ করতেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে। পাকিস্তান সরকারের চাকরি করেও মার্চের আগে থেকেই বাংলাদেশের পক্ষে বিভিন্ন আন্দোলনে যুক্ত হন। তারও আগে বায়ান্নতে ভাষা আন্দোলনের সময়, ছাত্র থাকা অবস্থায় মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন ভবতোষ।

ভবতোষ বর্মনের মা বিখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী চন্দ্রাবতী রায় বর্মন। বাবা সরকারি চাকরিজীবী। তিনিও শিল্পী। ফলে ঘরেই পেয়েছেন একটি শিল্পিত, স্বাধীনচেতা ও অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ।

সিলেট নগরের আম্বরখানা এলাকায় সরকারি কোয়ার্টারে মা-ভাই-বোন নিয়ে থাকতেন ভবতোষ রায় বর্মন। বাবা চাকরির সুবাধে থাকতেন মৌলভীবাজারে।

মার্চ থেকেই যুদ্ধের দামামা বাজতে শুরু করে। ২৫ মার্চ ভবতোষ রায় বর্মন দেখতে পান হাজার হাজার মানুষ গ্রাম থেকে শহরে চলে এসেছে। তাদের সবার হাতে লাঠি। সবাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবিতে স্লোগান দিয়ে মিছিল করছে। ভবতোষও অংশ নেন এই মিছিলে। এরপর সন্ধ্যা হতেই বদলে যায় পরিস্থিতি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসে শহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নেমেছে। দিনের জনারণ্য শহর সন্ধ্যা হতেই পুরো ফাঁকা হয়ে যায়।

ভবতোষ তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে যান নগরের ইলেকট্রিক সাপ্লাই এলাকায়। সেখানে সড়কে ব্যারিকেড তৈরি করেন। তবে সেনাবাহিনীর গাড়ির শব্দ শুনেই সবাই দৌড়ে চলে যান যার যার বাসায়। এরপর কিছুদিন ঘরেই বন্দি ছিলেন। কারফিউ জারি হয়েছে। শহরে থমথমে অবস্থা। থেমে থেমে গুলির শব্দ। শহরের বেশিরভাগ মানুষই ঘরবন্দি। কেউ জানালা খোলারও সাহস করেন না। ভয়ে শিশুরাও কান্না ভুলে যায়।

এতদিন একপক্ষের গুলির শব্দ শুনলেও ৬ এপ্রিল প্রথমবারের মতো পাল্টাপাল্টি গুলির শব্দ শোনেন ভবতোষ। নগরের মিরের ময়দান এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তবে এই প্রতিরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

৬ এপ্রিল মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়। ঘরে মা, যুবতী দুই বোন আর ছোট দুই ভাই। তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন ভবতোষ। ওই দিনই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নগরের শাহজালাল দরগাহ এলাকার শহিদুল চৌধুরী নামের এক বন্ধুর বাসায় আশ্রয় নেন। এরপর ৮ এপ্রিল নৌপথে মৌলভীবাজারের শেরপুর, হবিগঞ্জের মার্কুলি হয়ে আশ্রয় নেন সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে। ৯ এপ্রিল সিলেট শহরে তাণ্ডবলীলা চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে। ওই দিনই সিলেট হাসপাতালে (বর্তমানে শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতাল) কর্মরত অবস্থায় অধ্যাপক ডা. শামসুদ্দিনকে হত্যা করে হানাদারেরা।

এরপর সুনামগঞ্জ থেকে ২৬ এপ্রিল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বালাটে মামার বাড়িতে সপরিবারে আশ্রয় নেন ভবতোষ।

সেখানে থেকেই যোগাযোগ হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে। বালাটের মাইলম সীমান্তে ক্যাম্প গড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে তাদের সঙ্গে যুক্ত হন ভবতোষ।

এরপর বালাট থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় শিলংয়ে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে। সেখান থেকে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির কাছাকাছি জারিয়ান প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে। টানা ৩৫ দিন সেখানে একসঙ্গে ১২ শ মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

স্মৃতি আওড়ে ভবতোষ বলেন, এই ক্যাম্পে শুরুর দিকে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদও ছিলেন। পরে তিনি অন্যত্র চলে যান।

প্রশিক্ষণ শিবিরের ভয়ঙ্কর দিনগুলোর বর্ণনা দিয়ে ভবতোষ বলেন, ‘চেরাপুঞ্জি সবচেয়ে বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা। প্রশিক্ষণকালীন ৩৫ দিনের ৩২ দিনই ছিল তুমুল বৃষ্টি। আমরা বৃষ্টিতে ভিজেই প্রশিক্ষণ নিতাম। আবার ভেজা কাপড়েই ঘুমাতে যেতাম। পাহাড়ের উপরের ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে ছিল জোঁকের উপদ্রব। এ যেন জোঁকের রাজ্য।’

তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রশিক্ষণ শুরুর আগে জাতীয় সংগীত গাওয়া হতো। তখন পুরো জাতীয় সংগীত কেউ পারত না। তবে দুয়েক লাইন গাওয়াও সম্ভব হতো না। ‘আমার সোনার বাংলা’ বলার পরই প্রশিক্ষণার্থী সবাই হাউমাউ করে কেঁদে উঠত। একেবারে শিশুর মতো কান্না।

সেই সব দিনের স্মৃতিচারণ করে ভবতোষ বলেন, ‘অনেকে বলে আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই। এটা ভুল কথা। আমি একাত্তরে দেশপ্রেম দেখেছি। দেশের প্রতি গভীর প্রেম না থাকলে জাতীয় সংগীত শুনে কেউ এভাবে কাঁদত না। প্রেম না থাকলে মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার প্রশিক্ষণহীন, অর্ধ-প্রশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধা একটি প্রশিক্ষিত বাহিনীকে হারিয়ে দিতে পারত না।’

ট্রেনিং শেষে ৫ নং সেক্টরের ৪ নং সাবসেক্টরের অধীনে যুদ্ধ শুরু করেন ভবতোষ। ৫০ জনের একটি প্লাটুনের কমান্ডার নির্বাচিত করা হয় তাকে।

ভবতোষ বলেন, ছাত্র অবস্থায় স্কাউট করতাম। ফলে কিছুটা নেতৃত্ব গুণ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া কিছু কিছু ইংরেজি ও হিন্দি জানতাম। এসব কারণে আমাকে প্লান্টুন কমান্ডার মনোনীত করা হয়।

নিজের প্লাটুন নিয়ে তামাবিল সীমান্তে যুদ্ধে অংশ নেন ভবতোষ। প্রথমদিকে সীমান্ত পার হয়ে কিছু গুলি ছুড়ে আবার ভারতীয় সীমান্তে চলে যেতেন।

যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য স্মৃতি উল্লেখ করে ভবতোষ বর্মন বলেন, ‘জুন মাসের দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার বারহাল সেতু উড়িয়ে দেই আমরা। এতে পাঁচ জন রাজাকার নিহত হয়। তবে ওই সেতুর আশপাশেই ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর অবস্থান। সেতু উড়িয়ে দেয়ার পর তারা আমাদের ঘিরে ফেলে। তুমুল যুদ্ধ হয়। নিরঞ্জন ও নিখিলেশ নামে আমাদের দুই সহযোদ্ধা গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের শিলং নিয়ে যাওয়া হয়। ওই যুদ্ধে আমরা কোনও রকমে প্রাণ নিয়ে বেঁচে যাই।’

ভবতোষ বলেন, ‘জাফলংয়ের রাধানগর চা বাগানে ছিল পাকবাহিনীর ঘাঁটি। আমরা ১৫ বার চেষ্টা করে এই বাগান মুক্ত করতে ব্যর্থ হই। অবশেষে ১৬তম চেষ্টায় সফল হই। এই অপারেশনে ১২ শ মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেয়। গোয়াইনঘাট এলাকার কুখ্যাত রাজাকার আজির উদ্দিন চেয়ারম্যানকেও আটক করি আমরা।’

ভবতোষ বলেন, ‘নভেম্বরের প্রথম দিকে এক সম্মুখযুদ্ধে আমার সহযোদ্ধা আব্দুল মান্নার শহীদ হন। আমরা যতটা ব্রিজ বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছি তার প্রতিটি বোমা তৈরির কাজ করেছেন মান্নান। আমার খুব ঘনিষ্ট ছিল। তার মৃত্যু আমার জন্য ছিল খুব বেদনাদায়ক।’

যুদ্ধ করে বিভিন্ন এলাকা শত্রুমুক্ত করতে করতে গোয়াইনঘাট হয়ে ১৬ ডিসেম্বর সিলেটের বিমানবন্দর এলাকায় এগিয়ে আসে ভবতোষ রায় বর্মনের দল। বিমানবন্দরের পাশেই (বর্তমানে সিলেট ক্যাডেট কলেজ) পাকিস্তানি বাহিনীর প্রধান ঘাঁটি। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের খবর পান ভবতোষ বর্মনরা। সবাই আনন্দে লাফিয়ে ওঠেন। বিজয় উদযাপন শুরু করেন। আনন্দে আত্মহারা হয়ে নিজের স্টেনগানের গুলিতেই এদিন প্রাণ হারান ভবতোষের সহযোদ্ধা হাবিবুর রহমান।

সহযোদ্ধাকে হারানোর শোকে যখন সবাই মুহ্যমান, তখন ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প থেকে গুলি শুরু হয়।

ভবতোষ বলেন, ‘পুরো যুদ্ধকালে এরকম গুলি কখনও দেখিনি। বৃষ্টির মতো হাজার হাজার গুলি ছুড়তে থাকে পাকবাহিনী। তারা চেয়েছিল আমাদের নিশ্চিহ্ন করে ভারতীয়দের কাছে আত্মসমর্পণ করতে।

‘তবে সেদিন আমরা কোনো রকমে বেঁচে যাই। পরদিন সকালে অস্ত্রসমর্পণে সম্মত হয় পাকবাহিনী। ফলে ঢাকায় ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করলেও সিলেট শত্রুমুক্ত হয় ১৭ ডিসেম্বর। আমরা শহরে প্রবেশ করি।’

ভবতোষ বলেন, ‘সিলেটে এসে দেখি আমরা যে সরকারি বাসায় থাকতাম তা অন্য একজনকে বরাদ্দ দেয়া হয়ে গেছে। আমি তখন সেলিম নামে আমার এক বন্ধুর বাসায় উঠি। সাত মাস ২২ দিন পর সেখানে প্রথম সাবান দিয়ে গোসল করি। বালিশে মাথা রেখে ঘুমাই। এরপর ২৮ মার্চ বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের আনতে আবার বালাটে যাই।’

তারা সবাই ভেবেছিলেন আমি হয়তো মারা গেছি, এমনটি উল্লেখ করে ভবতোষ বলেন, আমার জন্য তারা অনেক পূজাঅর্চনা করেছেন। আমাকে ফিরে পেয়ে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার স্বপ্ন কি পুরণ হয়েছে। প্রশ্ন করি এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া আমাদের দায়িত্ব ছিল। আমরা সেই দায়িত্ব পালন করেছি। দেশকে সঠিকভাবে পালনের দায়িত্ব ছিল পরবর্তী সরকারগুলোর। তারা ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরই আন্তর্জাতিক শক্তি ষড়যন্ত্র শুরু করে। কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এ সবই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। এসব ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেয় আমাদের অনেকে। ফলে বাংলাদেশ ভুল পথে পা বাড়ায়।

আমরা যেদিন আলাপ করছিলাম, তার মাত্র ৭দিন আগে, ১৭ মার্চ সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দুদের শতাধিক বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে এই হামলা ঘটে।

দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা পাকিস্তান ভেঙে ভবতোষ বর্মনরা যুদ্ধ করে বাংলাদেশ নির্মাণ করেছেন। যার মূলনীতিতে ছিলো অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এমন দেশে ৫০ বছর পরও এরকম সাম্প্রদায়িক হামলা কেনো, প্রশ্ন করি ভবতোষ রায় বর্মনকে।

তার জবাব, এই বিষ আজকের নয়। ব্রিটিশরা আমাদের মধ্যে এই সাম্প্রদায়িক বিষ ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা তা থেকে মুক্ত হতে পারিনি।

এতে নিজেদেরও দায় দেখছেন সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক এই কমান্ডার। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের পর সাম্প্রদায়িক শক্তি দমে যায়নি। তারা গ্রামে গ্রামে, ঘরে ঘরে গিয়ে নিজেদের আদর্শ প্রচার করেছে। নিজেদের দলে লোক ভিড়িয়েছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন মেতে উঠেছি লুটপাট, দুর্নীতি আর হীন রাজনীতিতে। একারণেই আজ দেশের এ অবস্থা।

আরও পড়ুন:
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি নূর মোহাম্মদকে সম্মাননা
ঘরে ঘরে পতাকা বিলাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া 
কাফনের কাপড় পরে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন
চার মুক্তিযোদ্ধা হত্যা: ৪৮ বছরেও বিচার হয়নি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Snake panic in Feni after flood

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।

মন্তব্য

সারা দেশ
The creation of waterlogging at Benapole ports

পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

ব্যাহত হচ্ছে বন্দরে খালাশ প্রক্রিয়া
পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।

তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।

মন্তব্য

সারা দেশ
Chakrias escaped accused Sajjad was detained in Coxs Bazar DB

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।

চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।

এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Panchagarh has fined Tk 2 lakh in a joint operation at night 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝাড়ি বাজারের করতোয়া নদীসংলগ্ন এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।

দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক্টরসহ চালক রাজু ইসলাম ও শান্ত আহমেদকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

আদালতের রায়ে রাজু ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা লঙ্ঘন করায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। তবে রাজু ইসলাম অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় ট্রাক্টর দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Two maternity deaths at the same clinic in Kushtia Attack on the home of the clinic owner

কুষ্টিয়ায় একই ক্লিনিকে এক মাসে দুই প্রসূতির মৃত্যু: ক্লিনিক মালিকের বাড়িতে হামলা

কুষ্টিয়ায় একই ক্লিনিকে এক মাসে দুই প্রসূতির মৃত্যু: ক্লিনিক মালিকের বাড়িতে হামলা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মাত্র এক মাসের ব্যবধানে একই ক্লিনিকে সিজারিয়ান ডেলিভারির সময় দুই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (৭ জুলাই) রাতে মুন্নি খাতুন (২৫) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী সিজারিয়ান অপারেশনের সময় মারা যান। এর আগে ৮ জুন ওই ক্লিনিকেই আখি খাতুন (২২) নামের আরেক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পরপর এমন দু’টি মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্লিনিক মালিকের ছেলে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা করছে বলে জানাগেছে।

সোমবার রাতে মুন্নির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ক্লিনিক মালিক আবুল হোসেনের ব্রাকপাড়া এলাকার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। পরে তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত মুন্নি খাতুন উপজেলার তারাগুনিয়া ব্রাকপাড়া এলাকার মঞ্জু হোসেনের মেয়ে। আর নিহত আখি খাতুন পূর্ব কবিরাজপাড়া গ্রামের ইমনের স্ত্রী।

মুন্নির পরিবারের সদস্যরা জানান, গর্ভাবস্থায় জটিলতা দেখা দিলে সোমবার তাকে উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা ঝুঁকির কথা বলে কুষ্টিয়া বা রাজশাহীতে রেফার করার পরামর্শ দেন। সন্ধ্যায় তাকে তারাগুনিয়া থানার মোড় বাজারের আবুল হোসেনের মালিকানাধীন তারাগুনিয়া ক্লিনিক নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তৃপক্ষ সিজারিয়ানে সম্মত হয়। কিন্তু রাত ৯টার দিকে অপারেশনের সময়ই মুন্নির মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে তারাগুনিয়া ক্লিনিকের মালিক আবুল হোসেন বলেন, “রোগী কীভাবে মারা গেছে সেটা ডাক্তাররাই ভালো বলতে পারবেন। আমি নিজে অপারেশনে ছিলাম না, তাই কিছু জানি না। টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

অপারেশনকারী চিকিৎসক ডা. সফর আলী বলেন, “রোগীকে ওটিতে আনার আগে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ওষুধ প্রয়োগ করেন। আমরা ওটিতে ঢুকেই দেখি রোগী স্ট্রোক করেছে। এরপর দ্রুত নবজাতকের প্রাণ রক্ষায় সিজারিয়ান সম্পন্ন করি।”

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, “একই প্রতিষ্ঠানে পরপর দুই প্রসূতির মৃত্যু অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। আজই ক্লিনিকটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “গতকাল রাতে তারাগুনিয়া এলাকার একটি ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় ক্লিনিক এলাকায় উত্তেজনা ও হট্টগোলের আশঙ্কায় আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠাই। পরে জানতে পারি, নিহত নারীর এলাকা থেকে কিছু লোকজন ক্লিনিক মালিকের বাড়িতে হামলা চালায়। আমরা দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। শুনেছি দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে নিয়েছে।”

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হাই সিদ্দিকী বলেন, এক মাসের মধ্যে দুইজন রোগীর মৃত্যু অত্যান্ত দুঃখজনক। ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে বলবো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

একই ক্লিনিকে এক মাসের ব্যবধানে দুই প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
The allegation of BNP leader Hafiz Ibrahim to the home adviser is false and fabricated

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিমের নামে অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিমের নামে অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখানের) সাবেক সংসদ সদস্য মো: হাফিজ ইব্রাহিমের নামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সেলিম নামে এক ব্যক্তির দেওয়া অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করা হয়েছে।

রোববার বিকেলে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকায় শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের আয়োজনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে গণমাধ্যমকর্মীদের দেয়া স্বাক্ষাতকারে এ দাবি করেন হাফিজ ইব্রাহিম।

এর আগে দৈনিক ইত্তেফাক, সমকাল, যায়যায়দিন সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকার ডিজিটাল প্লাট ফরমে একটি সংবাদে দেখা যায়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ তুলে সেলিম নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, সংবাদটি ডিজিটাল প্লাট ফরমে প্রকাশ হওয়ার পর আমার নজরে আসে। আমি মনোযোগ দিয়ে তার অভিযোগ শুনি। যে ব্যক্তি আমার নামে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি আমার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা না। আমি খবর নিয়ে জেনেছি, তিনি ভোলা-১ সদর আসনের বাসিন্দা ভোলা সদর আসনের সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের বাড়ির পাশে তার বাড়ি। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সেলিম নামে ওই ব্যক্তির সাথে তার আপন ভাতিজি জামাইয়ের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে তার ভাতিজি জামাই তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকতে পারে এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। এমনকি ওই বিষয়ে ভোলা সদর থানায় মামলা রয়েছে।

হাফিজ ইব্রাহিম আরও বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। পতিত সরকারের পলাতক একটি কুচক্রী মহল বিএনপির নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে ও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা এই ঘটনার পেছনে যে আসল সত্য রয়েছে তা উদঘাটন করুন।

মন্তব্য

রাজশাহীতে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

রাজশাহীতে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজশাহী মহানগরীর একটি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৫।

রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর টিকাপাড়া এলাকার একটি বালুর স্তূপের আনুমানিক ২ ফুট গভীর থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

সোমবার সকালে র‌্যাব-৫ এর মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

অভিযানে একটি ৭.৬২ মি.মি. বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫; সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল জানতে পারে, ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন লুট হওয়া অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি দুষ্কৃতকারীরা বোয়ালিয়া থানাধীন টিকাপাড়া এলাকায় লুকিয়ে রেখেছে। পরে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে বালুর স্তূপের ভেতর থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাসস’কে জানান, এটি পুলিশের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। তবে কোন থানার অস্ত্র সেটি নিশ্চিত করা যায়নি। কারণ পিস্তলের গায়ে বাট নম্বর ঘষা-মাজার চিহ্ন স্পষ্ট। উদ্ধারকৃত বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি বোয়ালিয়া থানায় জিডির পর হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে