‘আমি যুদ্ধ দেখেছি। যুদ্ধের বীভৎসতা দেখেছি। আর কোনো জাতি যেন যুদ্ধে না জড়ায়।’ বললেন ভবতোষ রায় বর্মন। একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্লাটুন কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।
একাত্তরে কলকাতায় থাকা কবি আল মাহমুদ লিখেছিলেন, ‘যুদ্ধ ছাড়া পৃথিবী সুস্থ হয় না।’
তবে একটি সশস্ত্র যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ এবং যুদ্ধের বীভৎসতা দেখে ভবতোষের উপলব্দি এই ‘আর কোনো জাতি যেন যুদ্ধে না জড়ায়। যুদ্ধের চেয়ে খারাপ কিছু হয় না।’
বুধবার রাতে নগরের তোপখানা এলাকায় ভবতোষ রায় বর্মনের বাসায় কথা হয় তার সঙ্গে। একাত্তরের সেই তরুণ এখন বার্ধক্যে পৌঁছেছেন। তবু তারুণ্য টগবগ করে তার কথায়।
পঞ্চাশ বছর আগের সেই মার্চের স্মৃতিচারণ দিয়ে শুরু হয় আলাপ। মুক্তিযুদ্ধ আর বর্তমান বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেন তিনি। দীর্ঘ আলাপচারিতায় কখনও শহীদ সহযোদ্ধার কথা মনে পড়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন, আবার কখনও ক্ষোভে তার চোখজোড়া জ্বলজ্বল করে ওঠে। দুই হাজার একুশের প্রবীণ ভবতোষ নন, একাত্তরের তরুণ ভবতোষ ফিরে আসেন তার কথায়।
একাত্তরে তরুণ ভবতোষ রায় বর্মন কাজ করতেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে। পাকিস্তান সরকারের চাকরি করেও মার্চের আগে থেকেই বাংলাদেশের পক্ষে বিভিন্ন আন্দোলনে যুক্ত হন। তারও আগে বায়ান্নতে ভাষা আন্দোলনের সময়, ছাত্র থাকা অবস্থায় মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন ভবতোষ।
ভবতোষ বর্মনের মা বিখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী চন্দ্রাবতী রায় বর্মন। বাবা সরকারি চাকরিজীবী। তিনিও শিল্পী। ফলে ঘরেই পেয়েছেন একটি শিল্পিত, স্বাধীনচেতা ও অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ।
সিলেট নগরের আম্বরখানা এলাকায় সরকারি কোয়ার্টারে মা-ভাই-বোন নিয়ে থাকতেন ভবতোষ রায় বর্মন। বাবা চাকরির সুবাধে থাকতেন মৌলভীবাজারে।
মার্চ থেকেই যুদ্ধের দামামা বাজতে শুরু করে। ২৫ মার্চ ভবতোষ রায় বর্মন দেখতে পান হাজার হাজার মানুষ গ্রাম থেকে শহরে চলে এসেছে। তাদের সবার হাতে লাঠি। সবাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবিতে স্লোগান দিয়ে মিছিল করছে। ভবতোষও অংশ নেন এই মিছিলে। এরপর সন্ধ্যা হতেই বদলে যায় পরিস্থিতি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসে শহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নেমেছে। দিনের জনারণ্য শহর সন্ধ্যা হতেই পুরো ফাঁকা হয়ে যায়।
ভবতোষ তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে যান নগরের ইলেকট্রিক সাপ্লাই এলাকায়। সেখানে সড়কে ব্যারিকেড তৈরি করেন। তবে সেনাবাহিনীর গাড়ির শব্দ শুনেই সবাই দৌড়ে চলে যান যার যার বাসায়। এরপর কিছুদিন ঘরেই বন্দি ছিলেন। কারফিউ জারি হয়েছে। শহরে থমথমে অবস্থা। থেমে থেমে গুলির শব্দ। শহরের বেশিরভাগ মানুষই ঘরবন্দি। কেউ জানালা খোলারও সাহস করেন না। ভয়ে শিশুরাও কান্না ভুলে যায়।
এতদিন একপক্ষের গুলির শব্দ শুনলেও ৬ এপ্রিল প্রথমবারের মতো পাল্টাপাল্টি গুলির শব্দ শোনেন ভবতোষ। নগরের মিরের ময়দান এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তবে এই প্রতিরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
৬ এপ্রিল মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়। ঘরে মা, যুবতী দুই বোন আর ছোট দুই ভাই। তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন ভবতোষ। ওই দিনই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নগরের শাহজালাল দরগাহ এলাকার শহিদুল চৌধুরী নামের এক বন্ধুর বাসায় আশ্রয় নেন। এরপর ৮ এপ্রিল নৌপথে মৌলভীবাজারের শেরপুর, হবিগঞ্জের মার্কুলি হয়ে আশ্রয় নেন সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে। ৯ এপ্রিল সিলেট শহরে তাণ্ডবলীলা চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে। ওই দিনই সিলেট হাসপাতালে (বর্তমানে শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতাল) কর্মরত অবস্থায় অধ্যাপক ডা. শামসুদ্দিনকে হত্যা করে হানাদারেরা।
এরপর সুনামগঞ্জ থেকে ২৬ এপ্রিল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বালাটে মামার বাড়িতে সপরিবারে আশ্রয় নেন ভবতোষ।
সেখানে থেকেই যোগাযোগ হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে। বালাটের মাইলম সীমান্তে ক্যাম্প গড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে তাদের সঙ্গে যুক্ত হন ভবতোষ।
এরপর বালাট থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় শিলংয়ে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে। সেখান থেকে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির কাছাকাছি জারিয়ান প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে। টানা ৩৫ দিন সেখানে একসঙ্গে ১২ শ মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
স্মৃতি আওড়ে ভবতোষ বলেন, এই ক্যাম্পে শুরুর দিকে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদও ছিলেন। পরে তিনি অন্যত্র চলে যান।
প্রশিক্ষণ শিবিরের ভয়ঙ্কর দিনগুলোর বর্ণনা দিয়ে ভবতোষ বলেন, ‘চেরাপুঞ্জি সবচেয়ে বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা। প্রশিক্ষণকালীন ৩৫ দিনের ৩২ দিনই ছিল তুমুল বৃষ্টি। আমরা বৃষ্টিতে ভিজেই প্রশিক্ষণ নিতাম। আবার ভেজা কাপড়েই ঘুমাতে যেতাম। পাহাড়ের উপরের ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে ছিল জোঁকের উপদ্রব। এ যেন জোঁকের রাজ্য।’
তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রশিক্ষণ শুরুর আগে জাতীয় সংগীত গাওয়া হতো। তখন পুরো জাতীয় সংগীত কেউ পারত না। তবে দুয়েক লাইন গাওয়াও সম্ভব হতো না। ‘আমার সোনার বাংলা’ বলার পরই প্রশিক্ষণার্থী সবাই হাউমাউ করে কেঁদে উঠত। একেবারে শিশুর মতো কান্না।
সেই সব দিনের স্মৃতিচারণ করে ভবতোষ বলেন, ‘অনেকে বলে আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই। এটা ভুল কথা। আমি একাত্তরে দেশপ্রেম দেখেছি। দেশের প্রতি গভীর প্রেম না থাকলে জাতীয় সংগীত শুনে কেউ এভাবে কাঁদত না। প্রেম না থাকলে মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার প্রশিক্ষণহীন, অর্ধ-প্রশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধা একটি প্রশিক্ষিত বাহিনীকে হারিয়ে দিতে পারত না।’
ট্রেনিং শেষে ৫ নং সেক্টরের ৪ নং সাবসেক্টরের অধীনে যুদ্ধ শুরু করেন ভবতোষ। ৫০ জনের একটি প্লাটুনের কমান্ডার নির্বাচিত করা হয় তাকে।
ভবতোষ বলেন, ছাত্র অবস্থায় স্কাউট করতাম। ফলে কিছুটা নেতৃত্ব গুণ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া কিছু কিছু ইংরেজি ও হিন্দি জানতাম। এসব কারণে আমাকে প্লান্টুন কমান্ডার মনোনীত করা হয়।
নিজের প্লাটুন নিয়ে তামাবিল সীমান্তে যুদ্ধে অংশ নেন ভবতোষ। প্রথমদিকে সীমান্ত পার হয়ে কিছু গুলি ছুড়ে আবার ভারতীয় সীমান্তে চলে যেতেন।
যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য স্মৃতি উল্লেখ করে ভবতোষ বর্মন বলেন, ‘জুন মাসের দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার বারহাল সেতু উড়িয়ে দেই আমরা। এতে পাঁচ জন রাজাকার নিহত হয়। তবে ওই সেতুর আশপাশেই ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর অবস্থান। সেতু উড়িয়ে দেয়ার পর তারা আমাদের ঘিরে ফেলে। তুমুল যুদ্ধ হয়। নিরঞ্জন ও নিখিলেশ নামে আমাদের দুই সহযোদ্ধা গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের শিলং নিয়ে যাওয়া হয়। ওই যুদ্ধে আমরা কোনও রকমে প্রাণ নিয়ে বেঁচে যাই।’
ভবতোষ বলেন, ‘জাফলংয়ের রাধানগর চা বাগানে ছিল পাকবাহিনীর ঘাঁটি। আমরা ১৫ বার চেষ্টা করে এই বাগান মুক্ত করতে ব্যর্থ হই। অবশেষে ১৬তম চেষ্টায় সফল হই। এই অপারেশনে ১২ শ মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেয়। গোয়াইনঘাট এলাকার কুখ্যাত রাজাকার আজির উদ্দিন চেয়ারম্যানকেও আটক করি আমরা।’
ভবতোষ বলেন, ‘নভেম্বরের প্রথম দিকে এক সম্মুখযুদ্ধে আমার সহযোদ্ধা আব্দুল মান্নার শহীদ হন। আমরা যতটা ব্রিজ বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছি তার প্রতিটি বোমা তৈরির কাজ করেছেন মান্নান। আমার খুব ঘনিষ্ট ছিল। তার মৃত্যু আমার জন্য ছিল খুব বেদনাদায়ক।’
যুদ্ধ করে বিভিন্ন এলাকা শত্রুমুক্ত করতে করতে গোয়াইনঘাট হয়ে ১৬ ডিসেম্বর সিলেটের বিমানবন্দর এলাকায় এগিয়ে আসে ভবতোষ রায় বর্মনের দল। বিমানবন্দরের পাশেই (বর্তমানে সিলেট ক্যাডেট কলেজ) পাকিস্তানি বাহিনীর প্রধান ঘাঁটি। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের খবর পান ভবতোষ বর্মনরা। সবাই আনন্দে লাফিয়ে ওঠেন। বিজয় উদযাপন শুরু করেন। আনন্দে আত্মহারা হয়ে নিজের স্টেনগানের গুলিতেই এদিন প্রাণ হারান ভবতোষের সহযোদ্ধা হাবিবুর রহমান।
সহযোদ্ধাকে হারানোর শোকে যখন সবাই মুহ্যমান, তখন ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প থেকে গুলি শুরু হয়।
ভবতোষ বলেন, ‘পুরো যুদ্ধকালে এরকম গুলি কখনও দেখিনি। বৃষ্টির মতো হাজার হাজার গুলি ছুড়তে থাকে পাকবাহিনী। তারা চেয়েছিল আমাদের নিশ্চিহ্ন করে ভারতীয়দের কাছে আত্মসমর্পণ করতে।
‘তবে সেদিন আমরা কোনো রকমে বেঁচে যাই। পরদিন সকালে অস্ত্রসমর্পণে সম্মত হয় পাকবাহিনী। ফলে ঢাকায় ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করলেও সিলেট শত্রুমুক্ত হয় ১৭ ডিসেম্বর। আমরা শহরে প্রবেশ করি।’
ভবতোষ বলেন, ‘সিলেটে এসে দেখি আমরা যে সরকারি বাসায় থাকতাম তা অন্য একজনকে বরাদ্দ দেয়া হয়ে গেছে। আমি তখন সেলিম নামে আমার এক বন্ধুর বাসায় উঠি। সাত মাস ২২ দিন পর সেখানে প্রথম সাবান দিয়ে গোসল করি। বালিশে মাথা রেখে ঘুমাই। এরপর ২৮ মার্চ বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের আনতে আবার বালাটে যাই।’
তারা সবাই ভেবেছিলেন আমি হয়তো মারা গেছি, এমনটি উল্লেখ করে ভবতোষ বলেন, আমার জন্য তারা অনেক পূজাঅর্চনা করেছেন। আমাকে ফিরে পেয়ে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার স্বপ্ন কি পুরণ হয়েছে। প্রশ্ন করি এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া আমাদের দায়িত্ব ছিল। আমরা সেই দায়িত্ব পালন করেছি। দেশকে সঠিকভাবে পালনের দায়িত্ব ছিল পরবর্তী সরকারগুলোর। তারা ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরই আন্তর্জাতিক শক্তি ষড়যন্ত্র শুরু করে। কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এ সবই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। এসব ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেয় আমাদের অনেকে। ফলে বাংলাদেশ ভুল পথে পা বাড়ায়।
আমরা যেদিন আলাপ করছিলাম, তার মাত্র ৭দিন আগে, ১৭ মার্চ সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দুদের শতাধিক বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে এই হামলা ঘটে।
দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা পাকিস্তান ভেঙে ভবতোষ বর্মনরা যুদ্ধ করে বাংলাদেশ নির্মাণ করেছেন। যার মূলনীতিতে ছিলো অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এমন দেশে ৫০ বছর পরও এরকম সাম্প্রদায়িক হামলা কেনো, প্রশ্ন করি ভবতোষ রায় বর্মনকে।
তার জবাব, এই বিষ আজকের নয়। ব্রিটিশরা আমাদের মধ্যে এই সাম্প্রদায়িক বিষ ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা তা থেকে মুক্ত হতে পারিনি।
এতে নিজেদেরও দায় দেখছেন সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক এই কমান্ডার। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের পর সাম্প্রদায়িক শক্তি দমে যায়নি। তারা গ্রামে গ্রামে, ঘরে ঘরে গিয়ে নিজেদের আদর্শ প্রচার করেছে। নিজেদের দলে লোক ভিড়িয়েছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন মেতে উঠেছি লুটপাট, দুর্নীতি আর হীন রাজনীতিতে। একারণেই আজ দেশের এ অবস্থা।
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জের শিবালয়ে স্থানীয় মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাবের উদ্যোগে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট শুরু হয়েছে । উক্ত খেলা উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ১ নং সদস্য , জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এসএ জিন্নাহ কবির ।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকাল ৪ টায় শিবালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন করা হয় ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, জেলা বিএনপির সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপি'র সহ-সভাপতি এবং জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো: লোকমান হোসেন, উপজেলা বিএনপি সভাপতি রহমত আলী লাভলু, সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, জেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ,জেলা বিএনপির সাবেক প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: ফেরদৌস রহমান, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো: হোসেন আলী, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো: শহিদুল ইসলাম ।
এছাড়া উপস্থিত ঘিওর উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক মো: রাজা মিয়া মেম্বার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আসিফ ইকবাল রনি, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আখতারুজ্জামান আক্তার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মামিনুল ইসলাম মমিন, জেলা যুবদলের সদস্য মোসলেম উদ্দিন,জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব খান অয়ন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জিহাদ প্রমূখ । সভাপতিত্ব করেন,মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার মহিদুর রহমান কাজল ।
প্রধান অতিথি এসএ জিন্নাহ কবির বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া রহমান এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এদেশে প্রথম ফুটবল খেলাকে আন্তর্জার্তিক পর্যায়ে নিয়ে যান। তাদের চেষ্টায় সার্ফ ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজন করার সম্ভব হয়। মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে যুব সমাজকে খেলার মাঠে আনতে হবে । মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে হলে খেলাধুলার বিকল্প নাই ।
স্থানীয় মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাব আয়োজিত টুর্ণামেন্টে নক-আউট পদ্ধতিতে আটটি দল অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনী খেলায় টাইব্রেকারে মানিকগঞ্জ কৈট্রা ফিউচার ফুটবল একাডেমী ৫-৪ গোলে পাবনার নবযুগ মিলন সমিতিকে হারায়। রেফারি ছিলেন আবুল কালাম।
শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ী সীমান্তের বিদ্যুতায়িত হয়ে আরও একটি একটি বন্যহাতি নিহত হয়েছে। বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার (৫ জুলাই) সকালে বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করে।
খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতিটি বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বনবিভাগ।
মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার দেওয়ান আলী ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, হাতিটির শুড়ে পোড়া ক্ষতের দাগ রয়েছে। এটির বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর হবে। এটি একটি মাদি হাতি। এ ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাম্প্রতিককালে মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে বন্যহাতি লোকালয়ে নেমে আসার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। খেতে ফসল না থাকায় হাতির দল বাড়িঘরেও হানা দিচ্ছে। এতে স্থানীয়ভাবে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। যেখানে বন্যহাতির দেহটি পড়ে ছিল, সেখানে কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম না থাকলেও হাতিপাগাড় ক্যাম্পের আশপাশে অনেক বসতি ও বাড়িঘর রয়েছে।
এ নিয়ে চার মাসের কম সময়ের ব্যবধানে মধুটিলা রেঞ্জ এলাকায় তিনটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করল বনবিভাগ।
এর আগে গত ২০ মার্চ পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের লালনেংগড় এলাকায় বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারপর গত ২৯ মে দাওধারা পাহাড় থেকে সদ্যোজাত একটি হাতিশাবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘন ঘন হাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।
নিধারঞ্জন কোচ নামে এক অধিকারকর্মী নিজের ফেসবুক ওয়ালে শনিবার নিহত হাতির মরদেহের ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘আবারো বন্যহাতির মৃত্যু। এর শেষ কোথায়? হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিসনে সরকারি উদ্যোগ কী? ক্ষতিপূরণ প্রদানই কি যথেষ্ট? হাতি-মানুষের সহাবস্থানের পথ খুঁজতে খুঁজতে এশিয়ান হাতি নাই হয়ে যাবে!’
সিলেটের ওসমানীনগরে এনা ও ইউনিক পরিবহনের দুটি বাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুরুয়া বাজারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাজু মিয়ার (২৬) বাড়ি ফরিদপুর জেলার তারাকান্দা থানায়। তিনি ইউনিক বাসের হেলপার ছিলেন।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে অন্তত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ইউনিক পরিবহনের বাসের সঙ্গে ঢাকা থেকে আসা এনা পরিবহনের বাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইউনিকের হেলপার রাজু মিয়ার নিহত হন। বেপরোয়া গতিতে ভুল পাশ থেকে এসে এনা পরিবহনের ওই কোচটি এ দুর্ঘটনা ঘটায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়াস সার্ভিস, ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ এসে হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
দুর্ঘটনার পর কুরুয়া বাজারের দুই পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার যানজট দেখা দেয়। পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে যানজট নিরসন করে পুলিশ।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, দুই গাড়ির সংঘর্ষ হলে বিকট শব্দে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে প্রাথমিক উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে স্থানীয় থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাতে যোগ দেন।
তিনি আরও জানান, হাইওয়ে পুলিশ রাজুর লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। বাস দুটিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
কেশবপুরের ঐতিহ্য কালোমুখো হনুমান খাদ্য সংকট ও বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাবার না পেয়ে মারাও যাচ্ছে। কালোমুখো হনুমান রক্ষার দাবি উঠেছে।
জানা গেছে, একসময় কেশবপুরে ছিল কালোমুখো হনুমানের অভয়ারণ্য। বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় এবং খাদ্য সংকটে সময়ের গতির সঙ্গে কমে যাচ্ছে হনুমান। বর্তমানে ১৮০ থেকে ২০০টি হনুমান কেশবপুরে রয়েছে বলে স্থানীয় বন বিভাগ জানায়। এখান থেকে ৪/৫ বছর আগে ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশ বিভক্তির আগে ভারতের মাড়োয়াররা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য যশোরের কেশবপুরে বসবাসের পাশাপাশি আসা-যাওয়া করত। এ সময় তাদের যানবাহনে করে দুটি কালোমুখো হনুমান ভারত থেকে কেশবপুরে আসে। সেই থেকে হনুমানের এখানে পত্তন শুরু হয়। ওই এক জোড়া হনুমান থেকে এখানে শত শত হনুমানের কালের আবর্তনে ওরা আজ বিলুপ্তির পথে। একসময় কেশবপুর অঞ্চলে ঘন বনজঙ্গল ছিল। এসব বনের ফল ও লতাপাতা খেয়ে ওরা জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বন উজাড়সহ ঘনবসতি এবং এলাকায় অবৈধ ইটভাটায় গিলে খাচ্ছে এসব বনের কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বন। এদিকে কেশবপুর উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের তারে কভার সিস্টেম না থাকায় প্রায়ই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওরা মারা যাচ্ছে। খাদ্য সংকটের কারণে কেশবপুরের হনুমান দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।
উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, কেশবপুর এলাকায় বনজঙ্গল কমে যাওয়ার কারণে হনুমানের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ওদের রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, হনুমান রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও ব্যক্তি গত ভাবেও অনেকেই খাদ্য দেয়, যার কারণে ওরা গ্রামাঞ্চল ছেড়ে বর্তমানে শহরে বেশি বিচরণ করছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত জেবল হক (৮০) কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে।
বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।
ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনো শুরু করা হয়নি।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।
সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।
এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।
এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।
মন্তব্য