কেউ যাচ্ছিলেন জুম চাষে, কেউ সংগ্রহ করছিলেন ঝিরিতে পেতে রাখা জাল থেকে মাছ। আবার কেউ ঝিরিতে গিয়েছিলেন পানি আনতে। বিভিন্ন সময় তারা শিকার হয়েছেন ভালুকের আক্রমণের। মারাত্মক আহত হয়েও প্রাণে বেঁচে গেছেন।
চলতি বছরে পাহাড়ে এ পর্যন্ত পাঁচজন ভালুকের আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
প্রথম ঘটনা ঘটে বছরের একদম শুরুতে, ৩ জানুয়ারি। রুমার সানাইক্র পাড়ায় ঝিরিতে পানি আনতে গিয়েছিলেন ৪০ বছর বয়সী নারী ম্রা বওয়াং। হঠাৎ এক ভালুক এসে তাকে আক্রমণ করে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন।
প্রথমে স্থানীয় এক বৈদ্যের কাছে চিকিৎসা নেন ম্রা। কিন্তু কোমরের আঘাতে এক সময় পচন ধরলে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন।
এর পরের ঘটনা ঘটে থানচির বড়মোদকে। ২৭ জানুয়ারি পরিত্যক্ত জুমক্ষেত থেকে সবজি ও ফল সংগ্রহ করতে যাচ্ছিলেন সাবেক গ্রাম প্রধান ক্যাঅং প্রু। রাস্তায় একটি ভালুক এসে তাকে আক্রমণ করে।
জুম ক্ষেতে যাওয়ার সময়ই ২৬ ফেব্রুয়ারি বান্দরবান সদরের চিম্বুক ম্রো পাড়ায় ভালুকের আক্রমণের শিকার হন ইয়াংওয়াই ম্রো ও পাঁচ বছরের নাতনি মাংলিউ ম্রো।
এই ঘটনায় ইয়াংওয়াই ম্রো হারিয়েছেন একটি চোখ। প্রায়ই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং জ্ঞান ফেরার পর কিছু সময়ের জন্য স্মৃতি হারিয়ে ফেলেন। এখনও তিনি ইমানুয়েল মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সবশেষ ঘটনা গত ১৪ মার্চের। আলীকদমের দুর্গম এলাকায় ঝিরিতে মাছ ধরার জন্য রাতে জাল পেতে রেখেছিলেন ক্রইলং ম্রো। সকালে সেই মাছ আনতে গিয়ে ছানাসহ একটি ভালুক এসে তাকে আক্রমণ করে।
পাহাড়ে ভালুকের আক্রমণ খুবই সাধারণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ আর এতে অবাক হয় না। কিন্তু ভালুকের প্রতি তাদের কোনো রাগও নেই। চেষ্টা করেন না ফাঁদ পেতে ভালুক মারার। কারণ ভালুকের এমন হিংস্রতার কারণ মনে করেন মানুষকেই। মানুষ ভালুকদের বাধ্য করেছে এমন হামলা চালাতে।
রুইসিং ম্রো নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ধরে নিন আমি কিছু সময়ের জন্য ভালুক হয়ে গেলাম। আপনি আমার স্বপ্নের ঘর ভাঙচুর করে দেন, আমার অভয়ারণ্য দখল করে নেন, আপনি আমার পরিবারকে এলোমেলো করে ফেলুন। এরপর বুঝবেন পৃথিবীতে আমার থেকে শ্রেষ্ঠ হিংস্র প্রাণী আর কেউ নেই।
‘ভালুকের সঙ্গে তো ঠিক এই কাজটিই করা হয়েছে। পাহাড়ের প্রাকৃতিক বনাঞ্চল হারিয়ে যাচ্ছে। এই কারণে ভালুক দিন দিন হিংস্র প্রাণীতে পরিণত হচ্ছে।’
ভালুকের আক্রমণের শিকার ইয়াংওয়াই ম্রো সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানান। তাদের এই ঋণ তিনি কোনোদিন শোধ করতে পারবেন না, কারণ সেদিন দ্রুত তাদের ভালো চিকিৎসা না দিলে হয়তো মারাই যেতেন।
ছোট্ট নাতনিসহ গুরুতর আহত হলেও ভালুকের ওপর কোনো ক্ষোভ নেই তার। ইয়াংওয়াই জানান, ভালুকের মানুষের মতো জ্ঞান থাকলে নিজেদের শত্রু চিহ্নিত করে প্রতিশোধ নিত। কিন্তু অবুঝ প্রাণী হওয়ায় যাকে সামনে পাচ্ছে তাকেই আক্রমণ করছে।
প্রবীণ সিংরাম জানান, তিন যুগ আগে বান্দরবানের থানচি, রুমা, আলীকদম, রোয়াংছড়ি, লামা, নাইক্ষ্যংছড়িসহ বিভিন্ন অভয়ারণ্যে ভালুকদের বাস ছিল। তবে সে সময় ভালুকের এমন আক্রমণের কথা শোনা যায়নি।
তিনি বলেন, ‘ভালুক এখন আমাদের সঙ্গে শত্রুতা করছে কেন? এসব বোঝার ক্ষমতা মানুষের থাকা আবশ্যক।’
প্রায় এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর বাড়ি ফিরেছে মালিউ ম্রো। কথা হয় তার বাবা, মা ও তার সঙ্গে। মালিউ ছোট্ট হলেও বড়দের মতো গুছিয়ে কথাগুলো বলে। সে বলে, ‘প্রথম প্রথম ভালুককে শত্রু ভেবেছিলাম। কিন্তু এখন আর ভাবছি না। ভালুক যদি আমার থাকার জায়গা নষ্ট করে দিত তাহলে আমিও এমনই করতাম।’
তার বাবা-মা বলেন, পাহাড় তো মরুভূমি হতে চলেছে। বাকি যেটুকু বনাঞ্চল আছে তা সরকার ইচ্ছা করলে রক্ষা করতে পারে। নাহলে শুধু ভালুক নয়, আরও অনেক প্রাণী এ রকম আক্রমণ করবে আর মানুষকে পঙ্গু করে তার পরিবারের জন্য বোঝা বানিয়ে দেবে।
বান্দরবান বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ফরিদ মিঞা জানান, বান্দরবানে বর্তমানে ৯৯ হাজার ৩৩০ একর বনাঞ্চল আছে। তার মধ্যে ৮২ হাজার ৮০ একর ধরা হয়েছে সাঙ্গু রিজার্ভ।
তিনি বলেন, ‘বনবিভাগের সরকারি বনাঞ্চল সব ঠিকঠাক আছে, কোনো বনাঞ্চল উজাড় হয়নি। ভালুক মানুষদের আক্রমণ করেছে, এতে আমাদের কোনো দোষ নাই। আক্রমণের শিকাররা বনবিভাগ বরাবর চিঠি দিলে তাদের সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত বন্য ভালুকের আক্রমণের শিকার হয়ে কেউ সরকারি অনুদান নেননি।’
তবে কতজন এখন পর্যন্ত আক্রমণের শিকার হয়েছে সেই উত্তর নেই এই কর্মকর্তার কাছে।
সরকারি ক্ষতিপূরণ কেন নেয়া হয়নি সে বিষয়ে ভুক্তভোগীরা জানান, পাঁচ/দশ হাজার টাকা দিয়ে কী হবে? এটি তো কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। তারা এ বিষয়ে স্থায়ী সমাধান চান।
বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা নিউজবাংলাকে জানান, বান্দরবানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাসহ কিছু রেঞ্জ অফিসারের সঙ্গে যোগসাজশ করে সরকারি অভয়ারণ্য উজাড় করে দিয়েছে বন খেকোরা। এ কারণে ভালুকগুলো অভয়ারণ্য হারিয়ে লোকালয়ে চলে আসছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বন্যপ্রাণী গবেষক রায়হান সরকার নিউজবাংলাকে জানান, পাহাড়ের ভালুক জুমের পাকা ধান, পাহাড়ি আলু, কচু, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, ডুমুর ফল খেতে পছন্দ করে। এ ছাড়াও জঙ্গলের বিভিন্ন লতাপাতা খায়। এদের বাসস্থান ও খাবারের উৎস ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় এরা লোকালয়ে চলে আসছে এবং হিংস্র আচরণ করছে।
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জ শহরের প্রবেশপথে যানজট নিরসনে ও পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও পৌর সুপার মার্কেটের সামনের সড়ক ও ফুটপাত থেকে শতাধিক হকার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করা হয়।
প্যানেল মেয়র তসলিম মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্থায়ী কিছু ব্যবসায়ীরা ফুটপাত ও সড়কের একাংশ দখল করে ব্যবসা করে আসছেন। এতে করে শহরে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং পথচারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পথচারীদের সুবিধার্থে যানজট দূর করতেই এই উচ্ছেদ অভিযান।
উচ্ছেদ অভিযানে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ মো. তসলিম মিয়া ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানাসহ থানা পুলিশ ও পৌরসভার কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠির রাজাপুরে নদীর তীর থেকে এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
প্রাণ হারানো যুবকের মামুন হোসেন, যার বয়স ২৫ বছর। তিনি রাজাপুরের পশ্চিম সাতুরিয়া গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে।
ভ্যানচালক মামুন দুই দিন আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন জানিয়ে রাজাপুর থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে সাতুরিয়া গ্রামের ইদুরবাড়ি এলাকায় কচা নদীর তীর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়। লাশের ময়নাতদন্তসহ পরবর্তী সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে, তবে এটি হত্যা নাকি দুর্ঘটনা, সেটি তদন্তে বের হবে।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পূর্ব পূয়ালী গ্রামের আব্দুর রহিম হাওলাদারের একমাত্র ছেলে রাব্বি হাওলাদার।
২৫ বছর বয়সী রাব্বির দুটি কিডনিই নষ্ট। ডাক্তারের পরামর্শ তার কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে। বর্তমানে তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রাব্বির কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য এতো টাকা লাগবে শোনার পর থেকেই তার কৃষক বাবা সাহায্যের জন্য ছুটছেন চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ স্থানীয় বিত্তবানদের কাছে। কেন না তার সবকিছুই বিক্রি করে দিলেও এক থেকে দেড় লাখ টাকার বেশি জোগাড় করার সামর্থ্য হচ্ছে না।
রাব্বি বর্তমানে ঢাকার মিরপুর কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এমন অবস্থায় কৃষক বাবা তার সন্তানকে বাঁচাতে দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। দেশের বিত্তবানরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেই হয়ত বেঁচে যাবে তার সন্তান।
রাব্বির পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাব্বি হাওলাদার কয়েক মাস আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (সেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যান তার পরিবার। সেখানে চিকিৎসক তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন রাব্বির দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল রাব্বির, কিন্তু কিছুদিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে মিরপুর কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরই মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ওপরে শুধু হাসপাতাল ও ওষুধের বিল দিতে হয়েছে। দরিদ্র এই পরিবারটি আত্মীয়স্বজনসহ সবার সহায়তায় ওই বিল দেয়া সম্ভব হয়।
রাব্বির মা রেভা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এভাবে আর কয়দিন চিকিৎসা করাতে পারব জানি না। কারণ আমাদের সামর্থ্য শেষ হয়ে এসেছে। শুধু টাকার অভাবে তাকে ভালো কোনো হাসপাতালেও নিতে পারছি না, কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য অপারেশনের ধকল সহ্য করার মতো সুস্থ অবস্থায় আনা খুব জরুরি।’
রাব্বির বাবা আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে আপনাদের ভালোবাসা ও সাহায্য আমাদের খুব প্রয়োজন। কারণ শুধু টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় আমার একমাত্র ছেলে অকালে ঝরে যাবে তা আমার জীবন থাকতে মানতে পারছি না।’
তাকে কেউ সাহায্য করতে চাইলে ০১৯৯৭-২২৮৯৭৫ ও ০১৯৮৭-৩৬৬৫৬৮ (বিকাশ-পার্সোনাল) নাম্বারে পাঠাতে পারেন ও যোগাযোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপজেলার উজানপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, বেলা ১১টার দিকে মাদানী সিএনজি পাম্প সংলগ্ন উজানপাড়ায় একটি বাস ইউটার্ন নেয়ার সময় অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বছর বয়সী এক মেয়ের মৃত্যু হয়। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ৩৩ বছর বয়সী অটোরিকশার চালক শরিফুল ইসলাম ও অন্য একজনের মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, এ দুর্ঘটনায় আহত চারজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে, যারা হলেন ত্রিশালের রুদ্র গ্রামের জালাল উদ্দিনের ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী মনি আক্তার ও একই গ্রামের শামীম আহমেদের ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী সাহিদা আক্তার।
ফরিদপুর সদরে যৌনপল্লি থেকে দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই পল্লির এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার রাতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত পারুল বেগম ওরফে পারু (৪৮) জেলার রথখোলা যৌনপল্লির বাসিন্দা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন আপন (৩০), জহির (৩০) ও ববি (৩৮)।
গ্রেপ্তার না হওয়া এ তিনজনের মধ্যে ববি যৌনপল্লির সর্দারনি হিসেবে পরিচিত। আপন ও জহিরের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পার্লারে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদপুরের কচুয়া থানা এলাকা থেকে এক তরুণীকে গত ১০ মার্চ ঢাকায় নিয়ে আসেন আপন। দুই দিন সেখানে রেখে তাকে (তরুণী) তিন ব্যক্তির হাতে তুলে দেন তিনি। ওই তিন ব্যক্তি ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় তরুণীকে রথখোলা যৌনপল্লিতে এনে পারুর কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। পরের দিন একটি সাদা কাগজে তরুণীর স্বাক্ষর নিয়ে জানানো হয়, এখন থেকে তিনি যৌনপল্লির লাইসেন্সধারী সদস্য।
এতে আরও বলা হয়, মেয়েটিকে পারুর বাসায় রেখে ববি ও অন্যদের মাধ্যমে জোর করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়। এর মাঝে মেয়েটি বাড়িতে যোগাযোগের জন্য একজন খদ্দেরকে তার ছোট বোনের মোবাইল নম্বর দেন। পরে ওই খদ্দেরের মোবাইল কলের মাধ্যমে মেয়েটির সন্ধান পায় তার পরিবার। এরপর তার মা ও ফুফা রথখোলায় এসে তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় থানা পুলিশকে জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পুলিশ যৌনপল্লিতে অভিযান চালানোর পর ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়ার আরেক তরুণীও তাকে উদ্ধারে পুলিশের সাহায্য চান। ওই তরুণী জানান, তাকেও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ঢাকার মিরপুরের একটি বাসায় এক রাত রেখে রথখোলা যৌনপল্লিতে এনে পারুর কাছে বিক্রি করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি হাসানুজ্জামান জানান, যৌনপল্লিতে তরুণীকে নেয়ার ঘটনায় তার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে অভিযান চালিয়ে পারুল বেগম ওরফে পারুকে গ্রেপ্তার করে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।
নোয়াখালীর কবিরহাটে পুকুরের পানিতে ডুবে সহোদর দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের রামেশ্বপুর গ্রামের ছর আলী মাঝি বাড়ির পুকুরে বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো দুই শিশু হলো সাত বছর বয়সী বিবি ফাতেমা বেগম ও তার চার বছরের ভাই আবিদ হোসেন। শিশুদ্বয় ছর আলী মাঝি বাড়ির আবদুল হাইয়ের সন্তান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি হুমায়ন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুই ভাই-বোন সকালে ঘরের পাশে পুকুরে দাঁত ব্রাশ করতে যায়। এ সময় হাত-মুখ ধোয়ার সময় একজন পুকুরে পড়ে গেলে আরেকজন উদ্ধার করতে পানিতে নামে।
‘পরে দুজনই পানিতে ডুবে যায়। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে জানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়।’
আরও পড়ুন:ইস্টার সানডে, শবে কদর ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)।
আগামী ৩১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ছুটি শেষ হবে ১৮ এপ্রিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো.মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘৩১ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল ১৯ দিন সকল ধরনের ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৩১ মার্চ ইস্টার সানডে উপলক্ষে এক দিন এবং ৭ থেকে ১৮ এপ্রিল ১২ দিন পবিত্র শবে কদর ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস বন্ধ থাকবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন সকল ধরনের সিকিউরিটি ও জরুরি সেবাসমূহ বহাল থাকবে।’
মন্তব্য