× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
মেঘনায় সংঘর্ষে জেলে নিহত আহত পুলিশ
google_news print-icon

মেঘনায় সংঘর্ষে জেলে নিহত, আহত পুলিশ

মেঘনায়-সংঘর্ষে-জেলে-নিহত-আহত-পুলিশ
ফাইল ছবি।
নৌ পুলিশের এসপি কামরুজ্জামান জানান, মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা জাটকা ধরে ট্রলারে করে নিয়ে আসছে, এমন তথ্যে ওই এলাকায় নৌ পুলিশের টহল দল অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লাঠি ও বাঁশ নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

চাঁদপুরের মতলবে মেঘনা নদীতে জাটকা সংরক্ষণ অভিযানে জেলে ও নৌ পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন এক জেলে। এ সময় আহত হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য।

উত্তর উপজেলায় মেঘনায় সোমবার মধ্যরাতে এই সংঘর্ষ হয়।

জেলার নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত মাসুদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার কালিরচরে।

নৌ পুলিশের এসপি কামরুজ্জামান জানান, মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা জাটকা ধরে ট্রলারে করে নিয়ে আসছে, এমন তথ্যে ওই এলাকায় নৌ পুলিশের টহল দল অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লাঠি ও বাঁশ নিয়ে তারা হামলা চালায়।

এসপি বলেন, তাদের হামলায় আহত হন নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ হোসেন। এরপর আত্মরক্ষায় পুলিশ গুলি চালায়। তখন গুলিবিদ্ধ হন মাসুদ।

আহত পুলিশ কর্মকর্তা ও জেলেকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় জেলে মাসুদকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান।

এসপি আরও জানান, সংঘর্ষের পর দুই জেলেকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়েছে ২৫ কেজি জাটকা, ২ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও মাছধরার ট্রলার।

জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য অধিদপ্তরের নির্দেশে প্রতিবছরের মতো এবারও পদ্মা-মেঘনায় মাছধরার ওপর চলছে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা। এ সময় জেলেদের মাছধরা, পরিবহন ও বিক্রি বন্ধ নিশ্চিত করতে নিয়মিত নদীতে টহল দিচ্ছেন প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

আরও পড়ুন:
চাঁদপুরে ৪ হাজার কেজি জাটকা জব্দ, আটক ৬
বরিশালে ৩২৬ মণ জাটকাসহ আটক ৫
জাটকা ধরায় ১৩ জেলের সাজা
জাটকা ধরায় ৫ জেলেকে জরিমানা  
চাঁদপুরেও ২ মাস মাছ ধরা বন্ধ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
The body of the missing journalist Bibhuranjan was found in Meghna

নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের লাশ মিলল মেঘনায়

নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের লাশ মিলল মেঘনায়

নিখোঁজের পরদিন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদী থেকে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও কলাম লেখক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে গজারিয়ার কলাগাছিয়া এলাকার চর বলাকিয়ায় তার মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। খবর পেয়ে নৌপুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার (৭১) দৈনিক আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার দুপুর একটার দিকে গজারিয়া উপজেলাধীন মেঘনা নদীর চর বলাকী এলাকায় একজন পুরুষের লাশ ভেসে থাকতে দেখেন তারা। বিষয়টি স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে তারা এসে লাশটি উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার জুমার দিন, আমি বাসা থেকে নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। যাবার পথে দেখলাম মেঘনা নদী থেকে আমাদের বাজারের দিকে যাবার খালে এক ব্যক্তির লাশ ভাসছে। লাশটি উল্টা হয়ে ছিল তবে এটি কিভাবে এখানে আসল তা আমার জানা নেই। নামাজ পড়ে এসে দেখি উৎসুখ জনতার ভিড় জমে গেছে। পরে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই’।

নৌপুলিশের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, মৃতদেহ দেখে ধারণা করা হচ্ছে একদিন আগে তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ কিছুটা বিকৃত হতে শুরু করেছে। দেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তে তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ মেলেনি। এ বিষয়ে রাজধানীর রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে কর্মস্থল বনশ্রীর ‘আজকের পত্রিকা’ কার্যালয়ে যাওয়ার কথা বলে তিনি বাসা থেকে বের হন। যদিও পরে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, তিনি সেখানে যাননি। তিনি মোবাইল ফোনটিও বাসায় ফেলে যান। ‘আজকের পত্রিকা’ সূত্রে জানা যায়, ১৬ আগস্ট থেকে সাত দিনের ছুটিতে ছিলেন বিভুরঞ্জন।

বিভুরঞ্জন সরকারের ভাই চিররঞ্জন সরকার বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে লেখেন, ‌আমার দাদা সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অন্যান্য দিনের মতো অফিস (আজকের পত্রিকা) যাবেন বলে বাসা থেকে বের হন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি অফিসে যাননি। পরিচিত পরিমণ্ডলের কোথাও যাননি। আজ কেউ তাকে দেখেননি। রাত ১টা পর্যন্ত বাসায় ফেরেননি।

মন্তব্য

সারা দেশ
The UN observer acknowledges the famine in Gaza

গাজায় দুর্ভিক্ষের কথা স্বীকার করল জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সংস্থা

‘মানবসৃষ্ট বিপর্যয়: সমগ্র বিশ্বের জন্য লজ্জাজনক ব্যর্থতা’
গাজায় দুর্ভিক্ষের কথা স্বীকার করল জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সংস্থা

গাজা শহর এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলো এখন দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন বলে প্রথমবারের মতো স্বীকার করল জাতিসংঘ-সমর্থিত বৈশ্বিক ক্ষুধা পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি)।

বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার মাত্রা চিহ্নিত করার জন্য সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আইপিসির মানদণ্ড ব্যবহার করে থাকে। সংস্থাটি খাদ্য সংকটের মানদণ্ডে গাজা শহরকে তাদের শ্রেণীবিভাগে ‘পঞ্চম পর্যায়ে’ উন্নীত করেছে। অর্থাৎ গাজায় খাদ্য সংকট সর্বোচ্চ এবং সবচেয়ে গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে।

আইপিসি জানিয়েছে, ২২ মাসের সংঘাতের পর পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হচ্ছে। অনাহার, তীব্র অপুষ্টি এবং মৃত্যুহার - এটি একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি। আরও ১১ লাখের মতো মানুষ জরুরি অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছে (আইপিসি-চতুর্থ পর্যায়ে আছেন তারা)। সেই সঙ্গে ৩ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ সংকটে রয়েছে (আইপিসি পর্যায় তিন-এ)।

জাতিসংঘের সংস্থা, এনজিও, কারিগরি সংস্থা এবং আঞ্চলিক সংস্থাসহ ২১টি সংস্থা নিয়ে গঠিত ‘আইপিসি’ গাজা উপত্যকায় তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং তীব্র অপুষ্টি বিশ্লেষণ শুরু করার পর থেকে বর্তমানে সবচেয়ে গুরুতর অবনতি লক্ষ্য করা গেছে।

আইপিসি জানিয়েছে, ২০২৬ সালের জুন নাগাদ তীব্র অপুষ্টির কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সি কমপক্ষে ১ লাখ ৩২ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে। ২০২৫ সালের মে মাসে প্রকাশিত আইপিসির আগের অনুমানের তুলনায় এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।

সেই সঙ্গে অঞ্চলটিতে কমপক্ষে ৪১ হাজার গুরুতর রোগী রয়েছে, যাদের মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বেড়েছে। আইপিসি বলেছে, প্রায় ৫৫ হাজার ৫০০ অপুষ্টিতে ভোগা গর্ভবতী এবং বুকের দুধ খাওয়ানো নারীর জরুরি পুষ্টি সহায়তার প্রয়োজন।

এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজার দুর্ভিক্ষ একটি মানবসৃষ্ট বিপর্যয়, একটি নৈতিক অবক্ষয় এবং মানবতারই ব্যর্থতা।

তিনি বলেন, ‘দুর্ভিক্ষ কেবল খাদ্যের জন্য নয়; এটি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার ইচ্ছাকৃত পতন। মানুষ অনাহারে আছে। শিশুরা মারা যাচ্ছে। যাদের দায়িত্ব আছে তারা ব্যর্থ হচ্ছে।’

জাতিসংঘের প্রধান বলেন, আমরা এই পরিস্থিতিকে দায়মুক্তি দিয়ে চলতে দিতে পারি না। আর কোনো অজুহাত নেই। পদক্ষেপ নেওয়ার সময় আগামীকাল নয় - এখনই।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে দেড় লাখের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

চলতি বছরের শুরুতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ২৭ মে থেকে ইসরায়েল জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে একটি পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করেছে। এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী ত্রাণ সম্প্রদায় ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে।

গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।

আইপিসির এই প্রতিবেদন দেওয়ার পর মানবিক দাতব্য সংস্থা ‘ইসলামিক রিলিফ’ বলেছে, গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়ে আইপিসির নিশ্চিতকরণ ‘সমগ্র বিশ্বের জন্য লজ্জাজনক ব্যর্থতা’।

দাতব্য সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রতিদিন আমাদের দল সেখানে আরও বেশি মানুষকে অনাহারে মারা যেতে দেখছে। শিশুরা আমাদের চোখের সামনে জীবন্ত কঙ্কাল হয়ে উঠছে। বিশ্ব এখনই ব্যবস্থা না নিলে আরও অনেক মানুষ মারা যাবে।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই দুর্ভিক্ষ কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি সম্পূর্ণরূপে মনুষ্যসৃষ্ট। ইসরায়েলের নিষ্ঠুর-অবৈধ অবরোধ এবং প্রতিদিন চলমান যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করতে ব্যর্থ বিশ্ব নেতাদের সহযোগিতার কারণে এটি ঘটেছে। ব্যাপকভাবে দুর্ভিক্ষের ভবিষ্যদ্বাণী করা হলেও বারবার সতর্কবার্তা উপেক্ষা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাহায্য সংস্থা ‘মার্সি কর্পস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তজাদা ডিওয়েন ম্যাককেনা, গাজা শহরে দুর্ভিক্ষের জাতিসংঘের ঘোষণাকে ‘একেবারে ভয়াবহ, তবুও অবাক করার মতো নয়’ বলে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সাহায্যের ওপর মাসের পর মাস ইচ্ছাকৃত নিষেধাজ্ঞা, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও পানি ব্যবস্থা ধ্বংস এবং অবিরাম বোমাবর্ষণের প্রত্যক্ষ ফলাফল এটি। এটি একটি মানবসৃষ্ট বিপর্যয়, সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধযোগ্য এবং সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক।’

ম্যাককেনা বলেন, মার্সি কর্পসের কর্মীরা ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। আমরা আমাদের নিজস্ব দলের সদস্যদের না খেয়ে থাকতে দেখছি। তারা খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও খাবার এড়িয়ে যাচ্ছে, যাতে তাদের বাচ্চারা খেতে পারে। প্রতিদিন রুটি ও পানি খুঁজে পেতে তারা জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে।

ম্যাককেনা আরও বলেন, ‘গাজায় আমরা যা দেখছি, তা হলো সর্বোচ্চ নৈতিক ব্যর্থতা। বিশ্ব জানে কীভাবে দুর্ভিক্ষ থামাতে হয় - আমাদের কেবল পদক্ষেপ নেওয়ার ইচ্ছাশক্তি প্রয়োজন।’

গাজায় দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে বিশ্ব ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করে দাতব্য সংস্থা অক্সফাম। তারা বলেছে, দাতব্য সংস্থাগুলো কয়েক মাস ধরে গাজায় যা প্রত্যক্ষ করছে, আইপিসির দুর্ভিক্ষ ঘোষণা সেটিই নিশ্চিত করেছে।

অক্সফামের নীতি প্রধান হেলেন স্টওস্কি বলেন, এই দুর্ভিক্ষ সম্পূর্ণরূপে খাদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ সাহায্যের ওপর ইসরায়েলের অবরোধ, ইসরায়েলের সহিংসতার ভয়াবহ পরিণতি এবং যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে অনাহার ব্যবহারের কারণেই ঘটেছে।

তিনি বলেন, ‘জুলাই মাসে দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে সতর্ক করা সত্ত্বেও ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের খাদ্য থেকে বঞ্চিত করে চলেছে। দীর্ঘস্থায়ী মানবিক সংস্থাগুলোর প্রায় প্রতিটি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ক্ষুধা, অপুষ্টি এবং রোগ প্রতিরোধ করতে পারে - এমন গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য এবং সাহায্য সরবরাহ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের ওপর অর্থবহ চাপ প্রয়োগে যুক্তরাজ্য সরকারের ব্যর্থতা, শিশুসহ মানুষ অনাহারে মারা যাওয়ার সময় অলসভাবে দাঁড়িয়ে থাকা - এগুলো যতটা বিভ্রান্তিকর, ঠিক ততটাই নিন্দনীয়। এটা বন্ধ করতে হবে।’

মন্তব্য

সারা দেশ
In Chittagong one of the three teenagers was tied and killed by one

চট্টগ্রামে ‘মব’ সৃষ্টি করে তিন কিশোরকে বেঁধে মারধর, একজন নিহত

চট্টগ্রামে ‘মব’ সৃষ্টি করে তিন কিশোরকে বেঁধে মারধর, একজন নিহত

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে তিন কিশোরকে চোর সন্দেহে বেঁধে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলেই এক কিশোর নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চেইঙ্গার সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের ধারণা, পূর্বের বিরোধ থেকে চোর সন্দেহের নাটক সাজিয়ে পেটানো হয়েছে।

নিহত কিশোরের নাম মো. রিহান মহিন (১৫)। সে একই গ্রামের সাগর আলী তালুকদার বাড়ির মুদিদোকানি মুহাম্মদ লোকমানের ছেলে। পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই কিশোর তিন বন্ধুসহ এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। পরে পরিকল্পিতভাবে ‘মব’ করে পেটানো হয়েছে। এ ঘটনায় রিহানের দুই সমবয়সী বন্ধু মুহাম্মদ মানিক ও মুহাম্মদ রাহাত গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, নিহত রিহান বাবার মুদি দোকানে সহযোগী হিসেবে কাজ করত। গত বৃহস্পতিবার তারা চট্টগ্রাম নগরে বেড়াতে যায়। রাতে তারা বাড়ি ফিরছিল। তিনটার দিকে বাড়ির কাছে এলে আগে থেকে অপেক্ষায় থাকা সাত থেকে আটজন যুবক তাদের চোর আখ্যা দিয়ে ধাওয়া দেন। এরপর এ তিনজন দৌড়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে যুবকেরা ধরে এনে সেতুর ওপর আনেন। এরপর তিন কিশোরকে রশি দিয়ে বেঁধে ‘মব’ করে বেধড়ক মারধর করেন। এতে ঘটনাস্থলেই রিহানের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা গুরুতর আহত মানিক ও রাহাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।

এদিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। আর দুপুরে রিহানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ওই তিন কিশোর নগরে বেড়াতে গিয়ে মধ্য রাতে বাড়ি ফিরছিল। কেন, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। পরিবারকে মামলা করতে বলা হয়েছে। পুলিশ মূল হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।

ওসি নুর আহমদ বলেন, ‘একই গ্রামের যুবকেরা হামলা করায় এটিকে গণপিটুনি বা চোর সন্দেহ মনে হচ্ছে না। তাদের মধ্যে হয়তো কোনো বিরোধ বা শত্রুতা থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত হতে পারে।’

মন্তব্য

সারা দেশ
In Faridganj the death of a patient in the negligence of the doctor is vandalized

ফরিদগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর

ফরিদগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রাইভেট হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকের অবহেলায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে উপজেলার কেরোয়া এলাকায় অবস্থিত ফরিদগঞ্জ ডায়াবেটিক ও জেনারেল (প্রাইভেট) হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত (বৃহস্পতিবার) রাতে ফরিদগঞ্জের কেরোয়া গ্রামের ইসহাক মিয়ার স্ত্রী কোহিনুর বেগম (৬৫) অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার সকালে তিনি মারা যান। স্বজনদের দাবি, চিকিৎসকের অবহেলার কারণেই কোহিনুর বেগমের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে হাসপাতালের কিছু কর্মচারী স্বজনদের সঙ্গে স্বজনদের গায়ে হাত তোলে বলে অভিযোগ ওঠে। এতে উত্তেজিত স্বজনরা ও স্থানীয় কিছু লোক মিলে হাসপাতাল ভাঙচুর করেন।

খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ, সাবেক পৌর মেয়র মঞ্জিল হোসেন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার সময় হাসপাতালের ভেতরে প্রায় দুই শতাধিক রোগী ও স্বজন আটকা পড়েন এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

মৃত রোগীর বাবা বিল্লাল হোসেনও আক্রমনকারীদেরকে নিবৃত্ত করতে ব্যর্থ হন বলে জানান।

মৃত কোহিনুর বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলেন, ‘রোগীকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাতে অনুমতি দেয়নি। একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও হাসপাতালের অন্যতম পরিচালক ও সিনিয়র চিকিৎসক ডা. সাদিক হাসপাতালে আসেননি। চিকিৎসকের এসব অবহেলায় আমাদের রোগী মারা গেছেন।’

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. হুমায়ুন কবীর ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি কয়েকবার রোগীকে দেখেছি। আমাদের কোনো অবহেলা ছিল না। উপজেলা পর্যায়ে যতটুকু সম্ভব আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। শুক্রবার সকালে এই রোগীকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছিল কিন্তু তিনি সকালেই মারা যান।’

ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব চক্রবর্তী ইউএনবিকে বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আমাদের পুলিশ সদস্যরা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাহায্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।’

মন্তব্য

সারা দেশ
Demand for student parliamentary elections

ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি ইবিতে ইকসু গঠন আন্দোলন নামে নতুন প্লাটফর্মের আত্মপ্রকাশ

ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি ইবিতে ইকসু গঠন আন্দোলন নামে নতুন প্লাটফর্মের আত্মপ্রকাশ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠন ও রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ‘ইকসু গঠন আন্দোলন’ নামে নতুন প্লাটফর্মের আত্মপ্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে (ক্যাফেটেরিয়া) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা আরম্ভ করে তারা। সংবাদ সম্মেলনে আজ শনিবার অবস্থান কর্মসূচি ও ইকসু গঠনের পক্ষে শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর গ্রহণের কর্মসূচি ঘোষণা করেন প্লাটফর্মটি।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের দাবি- ২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানের পরে আমরা যখন বারংবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ছাত্র সংগঠন গুলোকে ইকসু গঠনের দাবি নিয়ে যেতে দেখেছি, তখন আমরা বারবার আশায় বুক বাবলেও প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন না থাকার দোহাই দিয়ে ইকসু গঠনে অনাগ্রহ দেখিয়েছে।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, আইনে না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে ইকসু গঠন করা সম্ভব। কিন্তু অজানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার ইকসু গঠনে অনীহা দেখিয়েছে। অথচ আমাদের চব্বিশের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নয় দফার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিলো- প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ইকসু গঠনের স্বার্থে প্রয়োজনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেকোনো ব্যানার বা কর্মসূচিতে মাঠে থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্লাটফর্মটি। তবে ৮ জনের নাম উল্লেখ করা সংবাদ সম্মেলনটি সবার প্রতিনিধিত্ব করে কিনা প্রশ্ন উঠেছে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর দাবি- ইকসু গঠনের জন্য নারী শিক্ষার্থী, সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।

মন্তব্য

সারা দেশ
Students are taking classes on the porch of the building in Keshabpur

কেশবপুরে জরাজীর্ণ ভবনের বারান্দায় ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

কেশবপুরে জরাজীর্ণ ভবনের বারান্দায় ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভেরচী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের বারান্দায় ও খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। ভিলেজ পলিটিক্সের ফাঁদে পড়ে গত ৪৬ বছরেও সরকারি কোন বহুতল ভবন পাইনি বিদ্যালয়টি। ফলে প্রয়োজনীয় ক্লাসরুম না থাকায় ৩০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। ১৯৮৬ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হলেও আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে শিক্ষার্থীরা।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জানান, ১৯৮৪ সালে কেশবপুর উপজেলার ভেরচী বাজার সংলগ্ন ভেরটী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর এলাকার দানশীল কয়েকজন ব্যক্তির আর্থিক সহযোগিতায় তিন রুম বিশিষ্ট একটি টিনসেড আধাপাকা ঘর নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় চেয়ার, বেঞ্চ ও টেবিল জোগাড় করে সেখানে পাঠদান শুরু হয়। প্রায় ২০০ ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে পথচলা শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০৫ জন। এর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ১৫ জন এবং ৩য় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন ৭ জন। সব নিয়মকানুন মেনে বিধি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ১৯৮৬ সালের ০১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করেন। চারটি গ্রামের মাঝখানে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ায় দিন দিন ছেলে মেয়েদের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি ভবন বা ক্লাসরুম। সেই পুরাতন টিনশেড দিয়েই খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ৬ষ্ট শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর জরাজীর্ণ ভবনের বারান্দায় সংখ্যা ৩০৫ জন। কিন্তু জরাজীর্ণ পুরাতন ওই ভবনে রয়েছে মাত্র তিনটি ক্লাসরুম। সেখানে বসার ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষকরা ৮ম, ৯ম ও ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান ভবনের বারান্দায় এবং খোলা আকাশের নিচে। এছাড়া ছেলে মেয়েদের ব্যবহারের জন্য নেই প্রয়োজনীয় ওয়াসরুম বা কমনরুম। ফলে নানা সমস্যার মধ্যে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।

প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র পাল বলেন, প্রতিষ্ঠানের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকির মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হয়। একটি বহুতল ভবন বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

মন্তব্য

সারা দেশ
Akhaura Marathon took part in the country

আখাউড়া ম্যারাথনে অংশ নিলেন দেশের ৩০০ দৌড়বিদ

আখাউড়া ম্যারাথনে অংশ নিলেন দেশের ৩০০ দৌড়বিদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ‘মাদকমুক্ত আখাউড়া গড়ি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের দৌড়বিদদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আখাউড়া ম্যারাথন। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দুই ক্যাটাগরির ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেন দেশের তিন শত দৌড়বিদ। আখাউড়া রানিং কমিউনিটির আয়োজনে এই ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

পুর্ব আকাশে সূর্য উঠার আগেই উপজেলা পরিষদ মাঠে হাজির হতে থাকেন দৌঁড়বিদরা। সকাল ছয়টায় শুরু হয় দৌঁড়। ১০ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহনকারিরা উপজেলা-কলেজপাড়া-নারায়ণপুর-খালাজুড়া-আনোয়ারপুর রোড-কল্যাণপুর-চানপুর পথে পাঁচ কিলোমটার গিয়ে একই পথে ফিরে আসেন। পাঁচ কিলোমিটারে অংশগ্রহণকারীরা কলেজপাড়া-নারায়ণপুর-খালাজুড়া-আনোয়ারপুর রোডে আড়াই কিলোমিটার গিয়ে ফিরে আসেন। দুই ক্যাটাগরিতে ৬জনকে ক্রেস্টের পাশাপাশি নগদ অর্থ পুরস্কৃত করা হয়। অংশগ্রহণকারী সবাইকে মেডেল ও টি-শার্ট দেওয়া হয়।

আয়োজকদের অন্যতম মো. রুবায়েদ খান বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের এ প্রতিযোগিতা। এর মাধ্যমে আমরা সমাজে মাদকবিরোধী বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। আমাদের আয়োজন সফল হয়েছে। আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করে রাখা প্রতিযোগিরা বেশ আনন্দের সঙ্গে এতে অংশ নেয়।’

মন্তব্য

p
উপরে