সিরাজগঞ্জে চুরির অভিযোগ পেয়ে নিখোঁজের তিন ঘণ্টা পর আড়াই মাসের শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের কদমপাল গ্রামে সকাল নয়টার দিকে বাড়ি থেকে মেয়ে ছোঁয়া মনি চুরি হয়েছে এমন অভিযোগ করেন শিশুটির বাবা।
এই অভিযোগে পাশের ভদ্রঘাট বাজার থেকে শিশুটিকে তার খালার কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় খালাকে আটক করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন ফারুকী নিউজবাংলাকে জানান, তিন সন্তানকে নিয়ে তাদের মা নার্গিস বেগম রাতে ঘুমান। পাশের ঘরে ঘুমান তাদের বাবা সুলতান। সকালে ঘুম থেকে উঠে বোনকে দেখতে না পেয়ে বিষয়টি বাবাকে জানান সুলতানের বড় মেয়ে। তখন তিনি পুলিশকে খবর দেন।
তিনি আরও জানান, পরে শিশুটির মা দাবি করেন, পরপর তিনটি মেয়ে হওয়ায় পারিবারিক অশান্তি চলছিল। তিনি তার বোনকে শিশুটি দত্তক দেন। কিন্তু বিষয়টি তার স্বামী না জানায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ শিশুটির বাবা, মা, খালা ও নানাকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে।
এর আগে ৬ মার্চ জেলার কামারখন্দে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ২১ দিন বয়সী শিশু কাওসার হোসেন। নিখোঁজের চার ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে দুজনকে আটক করা হয়।
ফেব্রুয়ারি মাসে সিরাজগঞ্জে হাসপাতাল থেকে দুটি শিশু চুরির ঘটনা ঘটে।
২৭ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাত শিশু সামিউল চুরি হয়।
এই ঘটনার চার দিন আগে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল থেকে ২৩ দিনের শিশু মাহিম চুরি হয়।
দ্বিতীয় ঘটনার দিন রাতেই জেলার আলোকদিয়া গ্রামের এক বাড়ি থেকে সামিউলকে জীবিত ও মাহিমকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় দুই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে।
আটক ছয়জন হলেন সলঙ্গা থানার সয়রন বিবি, তার মেয়ে আলপনা খাতুন, ছেলে রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রী ময়না খাতুন এবং একই গ্রামের খাদিজা খাতুন ও মিনা খাতুন।
তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই দিনই সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতালের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
দুই শিশু চুরি হওয়ার ঘটনা নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) হাসিবুল আলম জানান, আটক আল্পনা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশু চুরির অভিযোগ স্বীকার করেছেন। প্রথমে চুরি করা এক শিশু মারা যাওয়ায় চার দিন পর হাসপাতাল থেকে আরেক শিশুকে চুরি করেন অভিযুক্তরা।
এসপি বলেন, ‘আল্পনা জানিয়েছেন, সন্তান না হওয়ায় স্বামী তাকে ছেড়ে আরেকজনকে বিয়ে করার হুমকি দেন। এরপর গর্ভধারণের মিথ্যা দাবি করে মাস কয়েক আগে মা সয়রন বিবির কাছে চলে আসেন তিনি।’
এরপর মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির পরিকল্পনা করেন।
১ মার্চ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের তত্ত্বাবধায়কের নিরাপত্তাকর্মী গোপাল চন্দ্র দাসকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:রূপগঞ্জ থানার তারাব পৌরসভার শবনম ভেজিটেবল অয়েল মিলস লিমিটেডে আবারও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে কারখানার তেল উৎপাদন প্লান্টে আগুন লাগে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কারখানার কর্তৃপক্ষ থেকে ঘটনার খবর পেয়ে ডেমরা ফায়ার স্টেশন, কাঁচপুর ফায়ার স্টেশন এবং নারায়ণগঞ্জ জোন-২ থেকে মোট পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। ২ ঘন্টার সম্মিরিত চেষ্টায় সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করে । ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।
শবনম ভেজিটেবল অয়েল মিলসের ম্যানেজার মেজর আশিকুর রহমান বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে আমরা নিরাপত্তাকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার ফলে বড় ধরনের প্রাণহানি এড়ানো গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।
কারখানাটিতে প্রায় ৩২০ জন কর্মী কর্মরত রয়েছেন, এর মধ্যে ৩০০ জন শ্রমিক (পুরুষ ২৯০ ও নারী ১০ জন) এবং ২০ জন স্টাফ। অগ্নিকাণ্ডের সময় অধিকাংশ শ্রমিক উপস্থিত না থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে।
ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ আলী বলেন, ৩০০ মেট্রিক টনের ওয়েল রিফাইনারিতে আগুন লাগে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।
সরকার ঘোষিত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুতে, বাজারজাতকরণ ও বিনিময় নিষিদ্ধ হলেও মানতে নারাজ মানিকগঞ্জের হরিরামপুর পদ্মা নদীর জেলেরা। হিংস্র আর হায়নারুপে পদ্মা নদীতে আইনের তোয়াক্কা না করেই প্রতিদিন বীরদর্পণে দিনে-রাতে চলছে পদ্মা নদীর ইলিশ লুট।
গত কয়েকদিনে সরেজমিনে, প্রতিদিন বিকেল ও সন্ধ্যারপর উপজেলার হাতিঘাটা, কাঞ্চনপুর, কালিতলা, লেছড়াগঞ্জ, হরিণাঘাট, সেলিমপুরসহ পদ্মা নদীতে জেলেদের ঐক্যবদ্ধ তাণ্ডবে মা-ইলিশের অকাল প্রয়াণে হতবাক স্থানীয়রা। এই ইলিশ হাতিঘাটা বাজারে একটা নির্দিষ্ট সময়ে ৮০০-১০০০ টাকা করে প্রতি কেজি প্রকাশ্যে বিক্রিও করছে নিয়মিত। হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য অফিস কর্তৃক প্রতিদিন দিনে-রাতে কঠোর অভিযান পরিচালনা করে হিমশিম খাচ্ছে। জেল, জরিমানায়ও থামছে না ছোট-বড়, মা-ইলিশ নিধন। এমনকি, অভিযান চলাকালীন সময়ে গত ১১ অক্টোবর দুপুরে, উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকায় জেলেরা এক হয়ে হরিরামপুর মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। হামলার পরপরই আবারও জোরালো পাল্টা অভিযানে বেশ কয়েকজন জেলেকে জাল, মাছসহ আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে ফরিদপুর, গোয়ালন্দ, শিবালয়, রাজবাড়ির জেলেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ ইলিশ নিধনে একযোগে পদ্মায় নামে।
রামকৃষ্ণপুর ইউপি বাসিন্দা মো. ইউসুব বলেন, আন্ধারমানিক ঘাট দিয়ে মৎস্য অফিসাররা দিনে-রাতে অভিযান করে দেখেছে। তাদের কঠোর চেষ্টায় থামছে না জেলেদের তাণ্ডব। নিয়মিত হাতিঘাটা বাজারে বিকেলে অথবা সন্ধ্যায় গেলে ছোট, মাঝারি সাইজের ইলিশ কিনতে পাওয়া যায় শুনেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেলিমপুর গ্রামের এক জেলে আক্ষেপ করে জানান, ‘২২ দিন কি আমরা চুরি করে খামু.?
আমগো চাইল ও দ্যালনাই কেউ। জেল, জরিমানা স্বীকার করেই পদ্মায় নামছি। কিছু করার নাই। পেটের খিদ্যা তো আর অফিসারেরা মিটাইতে আইব না।’
হরিরামপুর উপজেলা ইলিশ প্রকল্পের ক্ষেত্র-সহকারী মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা প্রতিদিন জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনে-রাতে পদ্মায় অভিযান করছি নিয়মিত। আমাদের ওপর বেশ কয়েকবার হামলা হলেও আমরাও ছারতে নারাজ। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় যা যা প্রয়োজন, তাই আমরা করব। আরও কঠোর অভিযানে জেলা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মহোদয়ের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের জাতীয় সম্পদ- ইলিশ রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নুরুল হক ইকরাম জানান, জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় আমরা অন্যায়ের সাথে কখনোই আপস করিনি। জেলেরা অপরাধ করবেই, তারপরেও আমরা কোনো ছাড় দেইনি। আমাদের অভিযান নিয়মিত চলছে, চলবে।
উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য বলছে- গত কয়েকদিনে ২৩টি অভিযান পরিচালনা করে ১ লাখ ৫৪ হাজার লাখ মিটার জাল ধ্বংস করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ষোল লাখ টাকা। ৭টি মোবাইল কোর্ট, ১৭টি নিয়মিত মামলা, ৫২ হাজার টাকা জরিমানা, ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা আর ৫৪ মণ ছোট, মাঝারি, বড় সাইজের ইলিশ জব্দ করে বিভিন্ন এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈশ্বিক খাদ্য ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পূর্ণ সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনের জন্য ছয় দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ক্ষুধা কোনো অভাবের কারণে নয়, এটি আমাদের তৈরি করা অর্থনৈতিক কাঠামোর ব্যর্থতা। আমাদের এই ব্যবস্থা বদলাতে হবে।’
সোমবার ইতালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে আয়োজিত বিশ্ব খাদ্য ফোরাম (ডব্লিউএফএফ) ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বৈশ্বিক খাদ্য ও অর্থনৈতিক কাঠামো সংস্কারের ছয় দফা প্রস্তাবে অধ্যাপক ইউনূস প্রথমেই বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ করুন, সংলাপ শুরু করুন এবং সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে খাদ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন’—এর মাধ্যমে ক্ষুধা ও সংঘাতের দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অর্থায়নের অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে, জলবায়ুুসংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে টিকে থাকার সক্ষমতা গড়ে তুলতে সহায়তা করতে হবে।
তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, আঞ্চলিক খাদ্য ব্যাংক গঠন করে খাদ্য সরবরাহ চেইন স্থিতিশীল রাখতে হবে।
চতুর্থ প্রস্তাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অর্থায়ন, অবকাঠামো ও বৈশ্বিক অংশীদারত্বের মাধ্যমে সহায়তা দিতে হবে।
পঞ্চম প্রস্তাবে তিনি রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাণিজ্যনীতিকে খাদ্য নিরাপত্তার সহায়ক হতে হবে, বাঁধা নয়।
ষষ্ঠ প্রস্তাবে তিনি বলেন, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের তরুণ কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘২০২৪ সালে ৬৭৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার্ত ছিল, অথচ আমরা যথেষ্ট খাদ্য উৎপাদন করেছি। এটি উৎপাদনের ব্যর্থতা নয়— এটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতা, নৈতিক ব্যর্থতা।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষুধা দূর করতে যেখানে কয়েক বিলিয়ন ডলার জোগাড় করা যায়নি, সেখানে অস্ত্র কিনতে বিশ্ব ব্যয় করেছে ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। একে কি আমরা অগ্রগতি বলব?’
অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তনের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। পুরোনো মুনাফাভিত্তিক ব্যবসা পদ্ধতি কোটি কোটি মানুষকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন এক নতুন ব্যবসা পদ্ধতি গড়ে তুলতে হবে— সামাজিক ব্যবসা, যা ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য নয়, বরং সমাজের সমস্যা সমাধানের জন্য।’
অধ্যাপক ইউনূস তাঁর স্বপ্নের ‘তিন-শূন্য বিশ্ব’ (শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ) ধারণা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘এটি কোনো কল্পনা নয়, এটি অপরিহার্য— বিশ্ব বাঁচানোর একমাত্র পথ।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সামাজিক ব্যবসার সাফল্য আমরা দেখেছি। গ্রামীণ ব্যাংক দেখিয়েছে, দরিদ্র নারীরাও উদ্যোক্তা হতে পারেন। গ্রামীণ দানোন শিশু অপুষ্টির বিরুদ্ধে কাজ করছে। বিশ্বজুড়ে এমন বহু সামাজিক ব্যবসা মানুষের জীবন বদলে দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘তরুণ, নারী, কৃষক, কৃষিুউদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবকদের সহায়তায় সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠন করতে হবে। এই ধরনের উদ্যোগের জন্য আইনগত ও আর্থিক কাঠামো তৈরি করতে হবে, বাঁধা নয়।’
তরুণদের ভূমিকা তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আজকের তরুণ প্রজন্ম আগের তুলনায় অনেক বেশি সংযুক্ত, সৃজনশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর। তাদের চাকরি খোঁজার কথা বলবেন না, বরং চাকরি সৃষ্টির ক্ষমতায়ন করুন।’
তিনি বলেন, ‘তরুণদের বিনিয়োগ তহবিল ও সামাজিক ব্যবসা তহবিলের মাধ্যমে মূলধনে প্রবেশাধিকার দিতে হবে। কৃষি-উদ্ভাবন কেন্দ্র, কৃষিুপ্রযুক্তি, চক্রাকার খাদ্য ব্যবস্থা ও জলবায়ুুস্মার্ট উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা দিতে হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘যুব সমাজের ওপর বিনিয়োগ করলে শুধু বিশ্বকে খাদ্য দিতে পারব না, বিশ্বকেই বদলে দিতে পারব।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্েযর বিরুদ্ধে বৈশ্বিক জোটের (গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার অ্যান্ড পোভার্টি) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আমরা এফএও ও জি-২০-এর সঙ্গে মিলিতভাবে প্রযুক্তিগত, আর্থিক ও নৈতিক সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি আহ্বান জানান, ‘আসুন, একটি তিন-শূন্য বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করি।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এই ফোরামের তিনটি স্তম্ভ—যুব, বিজ্ঞান ও বিনিয়োগ—শুধু স্লোগান নয়, এটি আমাদের খাদ্যব্যবস্থা ও সমাজ রূপান্তরের প্রধান হাতিয়ার।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বে সম্পদ ও প্রযুক্তি রয়েছে, ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রযুক্তি আসবে। এখন দরকার সৃজনশীল চিন্তা ও সঠিক ব্যবসা কাঠামো—যার মাধ্যমে আমরা নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে পারব। আমরা যদি কল্পনা করতে পারি, আমরা তা বাস্তবেও সৃষ্টি করতে পারব।’
বক্তৃতার শুরুতে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এফএও’র ৮০ বছর পূর্তি শুধু উদযাপন নয়, এটি ভবিষ্যতের প্রস্তুতির আহ্বান।’
তিনি বলেন, ‘এ বছরের প্রতিপাদ্য— ‘হাত ধরে হাতে, উন্নত খাদ্য ও উন্নত ভবিষ্যতের পথে’—আমাদের মনে করিয়ে দেয়: খাদ্য শুধু ক্যালরির ব্যাপার নয়, এটি মর্যাদার, ন্যায়ের এবং আমরা কেমন পৃথিবীতে বাস করতে চাই তার প্রতিচ্ছবি।’
তিনি এফএওুর নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী খাদ্য নিরাপত্তা ও শান্তি জোটের প্রশংসা করে বলেন, এটি ভবিষ্যতেও বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ২০২৪ সালের বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ তরুণ নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘তরুণরা সাহস ও আশায় ভরপুর হয়ে গণতন্ত্র, শান্তি ও মানবাধিকারের জন্য লড়াই করেছে। তাদের দাবি ছিল ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া, ন্যায়, অন্তর্ভুক্তি ও আস্থার ভিত্তিতে সমাজ গঠন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এ তরুণরাই এখন নতুন বাংলাদেশ গঠনে কাজ করছে—যেখানে জনগণ শাসনের কেন্দ্রে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে, যার মাধ্যমে আমরা ন্যায় ও জনগণের ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেব।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করছে এবং মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় ও খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে আছি ধান, সবজি ও স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনে। কৃষকরা ফসলের নিবিড়তা ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন এবং আমরা জলবায়ুুসহনশীল ১৩৩ প্রজাতির ধান উদ্ভাবন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ করেছি, ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিচ্ছি, শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি, অপুষ্টি কমিয়েছি, খাদ্যাভ্যাসে বৈচিত্র্য এনেছি এবং কৃষিকে সবুজ করেছি— মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করছি।’ সূত্র: বাসস
একসময় বাংলাদেশের বিল-হাওর ভরে থাকত এমন এক খাবার যা ছিল ভাতের বিকল্প। যা শুধু খাবার নয়, ছিল গ্রামীণ জীবনের আনন্দ, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু মানুষ এখন সেই খাবারের নাম প্রায় ভুলতেই বসেছে। সেই ভুলে যাওয়া নামটি হলো- শালুক।
বাংলাদেশের নদীমাতৃক অঞ্চলের এই ঐতিহ্যবাহী খাদ্য একসময় ছিল গ্রামের মানুষের নিত্যসঙ্গী। নিচু অঞ্চলের দোআঁশ ও কাদামাটিতে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া শালুকের চারটি প্রধান জাত পাওয়া যেত। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, মাধবপুর, বৈরব, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও নরসিংদীর হাওর ও খালচর অঞ্চলজুড়ে ছিল এই শালুকের প্রাচুর্য।
ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক মাস এলেই দেখা যেত বিলে উৎসবের আমেজ। কৃষক ও দামাল ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার ফাঁকে দলে দলে যেত শালুক তুলতে। হাসি-আড্ডায় মুখর হতো চারদিক। তখন শালুক, শাপলা, বেট, উঠা- এসব ছিল সবার খাবার। শুধু যে মানুষ মজা করে খেতো তাই নয়, অভাবেও মানুষ শালুক খেয়ে জীবন বাঁচাতো।
শালুকেরও ছিল নানা জাত- গাইয়্যা, সিন্ধু, রামউঠা সবচেয়ে জনপ্রিয়, আর কিছু প্রজাতি শালুকের মতো দেখতে হওয়ায় তাদের বলা হতো উডা, যেগুলো থেকে হতো শাপলা।
প্রতিটি শালুকের ওজন প্রায় ৪০–৭০ গ্রাম। এটি সেদ্ধ করে কিংবা আগুনে পুড়িয়ে ভাতের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যেত। পুষ্টিগুণে ভরপুর শালুক হজমে সাহায্য করত- গ্রামের মানুষ ভালোবেসে বলত, ‘শালুক খেলে পেটও খুশি, মনও খুশি।’
কিন্তু এখন বর্ষার পানি কমে গেছে, বিল শুকিয়ে গেছে, আর সেই সঙ্গে হারিয়ে গেছে শালুকের দিনগুলোও।
তবুও একেবারে সব শেষ হয়নি। কুমিল্লার মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জে আজও কিছু মানুষ এই হারানো ঐতিহ্যটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। প্রায় বিশ বছর ধরে শালুকের ব্যাবসা করছেন আবুল কাসেম, নারায়ণ, দীপ্ত সাহা, আবু মুছা ও সফিকসহ অনেকে।
তারা সিলেটের সুনামগঞ্জ ও মাধবপুর হাট থেকে বারো মাস শালুক সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন হাটে বিক্রি করেন। পাইকারি দরে কেজি প্রতি ৫০–৮০ টাকা, খুচরায় ১৫০–২০০ টাকা। দীপ্ত সাহা বলেন, ‘প্রতিদিন ৫০ থেকে ৮০ কেজি শালুক বিক্রি হয়। এই ব্যাবসাতেই আমাদের সংসার চলে, আর মনে হয় যেন একটা ঐতিহ্যকেও বাঁচিয়ে রাখছি।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রসংস্কারের ৩১ দফা দাবিসমূহ সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি।
সোমবার কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাতাকান্দি ও হোমনা উপজেলার ঘারমোড়া বাজারে লিফলেট বিতরণ করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সরকার।
লিফলেট বিতরণকালে আখতারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের এই ৩১ দফা দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দফাগুলো বাস্তবায়িত হলে জনগণের অধিকার ও ন্যায়বিচার ফিরে আসবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। বিএনপি জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।’
অনুষ্ঠানে তিতাস উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপনের পরবর্তী সময়ে সম্প্রীতিরবন্ধন অটুট রাখতে ও সামাজিক সহমর্মিতার নিদর্শন স্বরূপ কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ৩০০ নারীর মাঝে শাড়ি বিতরণ করেছেন।
সোমবার চরফ্যাশন ডাক বাংলোতে শাড়ি বিতরণ করা হয়।
এ সময় নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এই বিশ্বাস থেকেই আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীদের মাঝে সামান্য এই ভালোবাসার উপহার তুলে দিয়েছি। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে উপজেলা নেতারা নুরুল ইসলাম নয়নের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এমন উদ্যোগ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক। এতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের মাঝে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়।
এক উপকারভোগী নারী বলেন, ‘পূজার পরবর্তী সময়ে এমন উপহার পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত। নয়ন ভাইয়ের জন্য অনেক দোয়া রইল।’
শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির নেতারা, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়া সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ৩ দিনে ৩০টির বেশি পরিবারের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে হাটশেরপুর গুচ্ছগ্রামের বসবাসরত ৩০০ পরিবার। ভাঙন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন ৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বগুড়া সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাটশেরপুর, নিজবলাইল, করমজাপাড়া, দিঘাপাড়া, চকরথিনাথ গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত বছর থেকেই এখানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত বছর নদী ভাঙনের শিকার বেশকিছু পরিবার বিভিন্ন এলাকায় বসতি স্থাপন করেছেন। এছাড়া গত বছরের নদী ভাঙনের ফলে এখানে একটি গুচ্ছগ্রাম নদীতে সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয়েছে। এ বছরও একই এলাকায় গত ৩ দিন আগে থেকে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ৩ দিনের নদী ভাঙনের শিকার হয়ে শেরপুর গ্রামের তারা প্রামাণিকের ছেলে বকুল মেম্বার, আজগর আকন্দের ছেলে ফজলু আকন্দ এবং সালামুদ্দিন তরফদারের ছেলে শাহিন মিয়াসহ প্রায় ৩০টির বেশি পরিবারের লোকজনের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়েছে। এদিকে নদী ভাঙনের ফলে শেরপুর গুচ্ছগ্রাম ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। যেখানে নদী ভাঙনের শিকার ৩০০টির বেশি পরিবারের লোকজন গত কয়েক বছর আগে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তা ছাড়া এভাবে নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাটশেরপুর, নিজবলাইল, করমজাপাড়া, দিঘাপাড়া, চকরথিনাথ গ্রাম যেকোনো সময়ে নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এসব গ্রামে বসবাসরত ২০ হাজার এলাকাবাসী। হুমকিতে রয়েছে এসব এলাকায় বিভিন্ন সময়ে গড়ে ওঠা স্কুল, মসজিদসহ নানা ধরনের সামাজিক প্রতিষ্ঠান।
হাটশেরপুর ইউনিয়নের মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে সাহাবুল ইসলাম বিপু বলেন, ‘গত ৩ দিনের নদী ভাঙনে ৩০টির বেশি পরিবারের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়েছে। তারা তাদের ঘরবাড়ি নিয়ে অন্যের জমিতে অবস্থান করছেন। আমার বাড়িটিও ভাঙনের শিকার হতে যাচ্ছে। এভাবে নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে এ গ্রামের ঐতিহ্যবাহী গুচ্ছগ্রাম যমুনায় বিলীন হবে। তা ছাড়া ৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ এখন নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। দ্রুত এখানে নদীভাঙন মোকাবিলায় কাজ না করলে আমরা একেবারেই যমুনার জলে ভেসে যাব।’
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, সারিয়াকান্দি হাটশেরপুর গ্রামের যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে। পরিদর্শন শেষে ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা কওে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য