× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
ধর্ষণ মামলায় জামিন এবার শিশুটিকে তুলে নিয়ে বিয়ে
google_news print-icon

ধর্ষণ মামলায় জামিন: এবার শিশুটিকে তুলে নিয়ে ‘বিয়ে’

ধর্ষণ-মামলায়-জামিন-এবার-শিশুটিকে-তুলে-নিয়ে-বিয়ে
অভিযুক্ত যুবক আনারুল ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা
মেয়েটির মা বলেন, ‘মোর আত্তা (আত্মা) ফাটি যাবানাকছে। মেয়েটার কী করিল। বয়স হয় নাই। ছোট ছোল। নাবালক। ফাইবে (পঞ্চম শেণি) পড়ে। সেই মেয়েক আনারুল জোর করে নিয়ে যায়া যে কোনটে থুচে।’

এক বছর আগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে একটি বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণের মামলায় আনারুল ইসলাম নামের এক যুবক কারাগারে ছিলেন।

১৩ মাস কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে এসে আবার সেই শিশুছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বিয়ের দাবি করছেন আনারুল। তবে মেয়েটির স্বজনদের অভিযোগ, ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে তাকে তুলে নিয়ে আটকে রেখেছেন আনারুল।

পুলিশ জানিয়েছে, গত বছরের ৭ জানুয়ারি ওই ছাত্রীকে অপহরণ করেন আনারুল। এরপর গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালীর একটি বাড়িতে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। অভিযোগ পেয়ে ১০ জানুয়ারি ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার এবং আনারুলকে আটক করে পুলিশ।

একই দিন সুন্দরগঞ্জ থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করেন মেয়েটির বাবা। এরপর থেকে কারাগারে ছিলেন আনারুল। জামিনে বেরিয়ে এসে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সেই কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান আনারুল ও তার সহযোগীরা।

ছাত্রীর দিনমজুর বাবার অভিযোগ, তার মেয়েকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছেন আনারুল। এরপর কোনো ধরনের রেজিস্ট্রি ছাড়াই মেয়েটিকে বউ বলে দাবি করছেন। কিছু বলতে গেলে, তাদের ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মেয়ে জন্ম দেয়ায় ঘর থেকে বিতাড়িত মা

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, আনারুল ১০ বছর আগেও একটি বিয়ে করেছিলেন। যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। এসব কারণে বিয়ের পরের বছর আনারুলকে তালাক দেন তার স্ত্রী।

ছাত্রীর ভাই বলেন, ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে আনারুল তার বোনকে তুলে নিয়ে গেছেন। এখন বলছেন তাকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু তার বোনের বয়স মাত্র ১৫ বছর। আর আনারুলের বয়স ২৯ বছর।

মেয়েটির মা বলেন, ‘মোর আত্তা (আত্মা) ফাটি যাবানাকছে। মেয়েটার কী করিল। বয়স হয় নাই। ছোট ছোল। নাবালক। ফাইবে (পঞ্চম শেণি) পড়ে। সেই মেয়েক আনারুল জোর করে নিয়ে যায়া যে কোনটে থুচে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু কলি (বলি) আনারুল হুমকি দেয়। ডাংগাতে (মারপিট) আসে। চেংরা-পেংরা (মাস্তান) দিয়ে ভয় দেখায়। আমরা ওর (আনারুল) বিচার চাই। মেয়েটাক ফিরত চাই।’

জানতে চাইলে আনারুল ইসলাম বলেন, ‘তাকে (ছাত্রী) জোর করে তুলি আনি নাই। মেয়ে নিজেই বাড়িত আসছে। এর আগেও মেয়েটাই আসছিল। উলটা মামলা দিয়া ১৩ মাস জেল খাটাইছে। এখন মেয়েটাকে বিয়ে করছি। সংসার করতেছি।’

১৫ বছরের ছাত্রীকে বিয়ে করলেন কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিয়ে তো পড়াই নাই। রেজিস্ট্রি করি নাই। মেয়েটা বাড়িত আসছে। তাক কী ফেলাই দেব।’

আরও পড়ুন: মেয়ে জন্মানোয় বাড়িছাড়া: প্রথম স্ত্রী তালাক সন্তান না আসায়

তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও মাদক বিক্রির অভিযোগে থানায় একাধিক মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আনারুল উত্তেজিত হয়ে থানা-পুলিশকে উদ্দেশ করে গালি দেন। সেই সঙ্গে মেয়ের পরিবারকে দুষতে থাকেন।

তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমার বিষয় নিয়ে বেশি নাটানাটি (খোঁজ) করবেন না। আমার নামে মামলা আছে। আরও খাব।, খাতেই থাকব। তাতে আপনার কী!’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার নামে মাদকের দুটে মামলা আছে। তবে জেলে যাইনি। আর বিয়ে করছি-চেহারা দেখে। বয়স দেখে না। আর রেজিস্ট্রি ওই পর্যন্তই।’

এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মোকলেছুর রহমান সরকার জানান, ‘আনারুলের বিরুদ্ধে থানায় মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। কয়েকবার তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। একটি মামলায় তার নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ‘অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় জামিনে রয়েছেন আনারুল। নতুন করে আবার অপহরণ হয়েছে, এ নিয়ে মেয়েটির পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
তরুণীকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ২
বিজিবির মানহানি মামলা: ব্লাস্টের সেই নারী কর্মীর জামিন বহাল
শিশুধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
মৌলভীবাজারে কিশোরী ধর্ষণে যুবক আটক
মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, শ্রমিক আটক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
DMP 2 thousand 3 cases in violation of traffic law

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২ হাজার ১ মামলা

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২ হাজার ১ মামলা

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ১টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ১৯০টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল বুধবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ অভিযান চালিয়ে এসব মামলা দায়ের করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
DMP 2 thousand 3 cases in violation of traffic law

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২ হাজার ১ মামলা

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২ হাজার ১ মামলা

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ১টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ১৯০টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল বুধবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ অভিযান চালিয়ে এসব মামলা দায়ের করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
DMP 2 thousand 3 cases in violation of traffic law

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২ হাজার ১ মামলা

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২ হাজার ১ মামলা

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ১টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ১৯০টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল বুধবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ অভিযান চালিয়ে এসব মামলা দায়ের করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
DMP 2 thousand 3 cases in violation of traffic law

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২ হাজার ১ মামলা

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২ হাজার ১ মামলা

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ১টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ১৯০টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল বুধবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ অভিযান চালিয়ে এসব মামলা দায়ের করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Drone recovered from the paddy field at Hilli border

হিলি সীমান্তে ধানখেত থেকে ড্রোন উদ্ধার

হিলি সীমান্তে ধানখেত থেকে ড্রোন উদ্ধার

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ঘাসুড়িয়া সীমান্তে ধানখেত থেকে একটি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছে। ড্রোনটি পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে সীমান্তবাসীরা আতঙ্কে রয়েছেন।

উপজেলার ঘাসুড়িয়া আদিবাসীপাড়ার প্রফুল্ল টপ্প বলেন, ‘বুধবার (১৪ মে) দুপুরের দিকে সীমান্তবর্তী একটি ধানখেতে ধান কাটার কাজ করছিলেন। এ সময় খেতের মাঝখানে একটি কালো রঙের মাকড়সার মতো বস্তু পড়ে থাকতে দেখে সহকর্মীদের জানাই। পরে তারা কাছে এসে বলেন এটি ড্রোন। তারা ড্রোনটি তার বাড়িতে রাখার কথা বলেন। কাজ শেষ করে ড্রোনটি বাড়িতে নিয়ে যান তিনি।’

উপজেলার খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন বলেন, ‘সীমান্তের ২৮৭/২১ নম্বর সাব সীমানা পিলার সংলগ্ন ঘাসুড়িয়া গ্রামের মিরাজুল ইসলামের জমিতে এককদল শ্রমিক ধান কাটছিলেন। এক পর্যায়ে শ্রমিক প্রফুল্ল টপ্প ড্রোনটি দেখতে পেয়ে সবাইকে জানান।’

‘তারা প্রফুল্ল টপ্পকে তার কাছে ড্রোনটি রাখার কথা বলতে প্রফুল্ল ড্রোনটি বাড়িতে নিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা মংলা বিজিবি ক্যাম্পে ও থানায় খবর দিলে তারা ড্রোনটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।’

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গতকাল বুধবার দুপুরে ঘাসুড়িয়া সীমান্তের ৪০০ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ধানখেতে স্থানীয় শ্রমিক প্রফুল্ল টপ্প পড়ে থাকা একটি ড্রোন ক্যামেরা দেখতে পান। বিষয়টি লোকজনকে জানালে তারা এসে ড্রোন ক্যামেরাটি উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। পরে ওইদিন রাত ১০টার দিকে পুলিশ ড্রোন ক্যামেরাটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে সেটি থানা হেফাজতে রয়েছে।

দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন বলেন, ‘ঘাসুড়িয়া সীমান্তের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার হওয়া ড্রোন ক্যামেরাটি ভারত থেকে উড়ে আসা বলে তিনি প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন। ড্রোনটিতে ৫টি ক্যামেরার লেন্স রয়েছে।’

তবে ড্রোনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে এবং আরও তথ্য উৎঘাটনে অনুসন্ধান চলছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

সারা দেশ
College student rape case

কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।

কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শামিম হোসেন,নাজমুল ও জিলকদ।

আজ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. গোলাম কবির এই রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।জরিমানা অনাদায়ে তাদের ছয় মাসের কারাভোগ করতে হবে।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সাজ্জাত হোসেন সবুজ বাসস’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্রী নারায়ণগঞ্জের একটি কলেজ এলাকায় লেখাপড়া করতেন। আসামি মো. শামিম হোসেন কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকে ওই ছাত্রীকে নিয়মিত প্রেমের প্রস্তাব দিতেন ও নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করতেন। প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

২০১৬ সালের ১৫ মার্চ সকালে প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হন ভুক্তভোগী। আনুমানিক সকাল ১১টার দিকে কলেজের মেইন গেটের সামনে পৌঁছালে মো. শামিম, তার সহযোগী মো. নাজমুল, মো. জিলকদ এবং আরও এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে। এরপর তারা পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় একই বছরের ১৭ মার্চ ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে আটজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Want to give a precise form of the twenty four mass uprising Ali Riaz

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে একটি সুনির্দিষ্ট রূপ দিতে চাই: আলী রীয়াজ

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে একটি সুনির্দিষ্ট রূপ দিতে চাই: আলী রীয়াজ

চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে আকাঙ্ক্ষার স্ফুরণ ঘটেছে তার একটি সুনির্দিষ্ট রূপ দিতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সঙ্গে আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

তিনি বলেন, ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে আমরা একটি জাতীয় সনদে প্রতিফলিত করতে চাই। ভবিষ্যতে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল এই সনদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করবে৷

ঐকমত্য কমিশনের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশাকে ধারণ করে বলে মন্তব্য করেন আলী রীয়াজ। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বাংলাদেশের নতুন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা এদেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক শক্তিগুলোর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফল উল্লেখ করে আলোচনার সূচনায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ যেমন প্রকাশ হয়েছে, তেমনি তাদের প্রত্যাশাকেও প্রকাশ করেছে। বার বার ফ্যাসিবাদের উত্থান হোক; তা দেশের মানুষ চায় না। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে সবার সমানাধিকার থাকবে, নাগরিকের অধিকার সুনিশ্চিত হবে এবং ভিন্নমতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকবে।

কমিশনের সহ-সভাপতি আরও বলেন, সংস্কার কমিশনগুলো থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে কমিশন। এ দায়িত্ব কেবল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নয় বরং রাজনৈতিক দলগুলোকেই মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হতে হবে।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের নেতৃত্বে দলটির সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতনসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের হয়ে আলোচনায় নিখিল দাশ, জনার্দন দত্ত নানটু, প্রকৌশলী শম্পা বসু, ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী, জুলফিকার আলী, আহসান হাবিব বুলবুল, খালেকুজ্জামান লিপন, আবু নাঈম খান বিপ্লব এবং রাহাত আহম্মেদ অংশ নেন।

মন্তব্য

p
উপরে