× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
নষ্ট হয়ে যাচ্ছ কাপ্তাই লেকের মাছের প্রজননস্থল
google_news print-icon

নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কাপ্তাই লেকের মাছের প্রজননস্থল

নষ্ট-হয়ে-যাচ্ছে-কাপ্তাই-লেকের-মাছের-প্রজননস্থল
কাপ্তাই হ্রদ। ছবি : পিয়াস বিশ্বাস
বিএফআরআইর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, শুধু কার্পজাতীয় মাছ নয়, প্রজননস্থল নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে অন্য বেশ কিছু মাছও কমে যাচ্ছে লেক থেকে। ইতিমধ্যে লেক থেকে বিলুপ্ত হয়েছে সিলন, দেশি সরপুঁটি, বাগাড়, মোহিনী বাটা ও দেশি পাঙাশ মাছ। আর বিপন্নপ্রায় মাছের মধ্যে রয়েছে দেশি মহাশোল, মধু পাবদা, পোয়া, ফাইস্যা, গুলশা ও সাদা ঘনিয়া। এ ছাড়া ক্রমহ্রাসমান মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল, বাচা, পাবদা ও বড় চিতল।

কাপ্তাই লেকের মাছের প্রধান চারটি প্রজননস্থলের (চ্যানেল) মধ্যে দুইটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানে এখন কার্পজাতীয় মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে। পলি মাটি জমার পাশাপাশি পানির স্থায়িত্ব কমে যাওয়াসহ নানা কারণে প্রজননস্থলগুলো নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

২০১৮ সালে কাপ্তাই লেকের জীববৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণা করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবুল বাশার। তার গবেষণায়ও চারটি চ্যানেল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রজননস্থলগুলো হচ্ছে চেঙ্গী চ্যানেল ও রীংকং চ্যানেল।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) রাঙ্গামাটি নদী-উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিএম শাহিনুর রহমান বলেন, চেঙ্গী চ্যানেল ও রীংকং চ্যানেল পুরোপুরি ভরাট হয়ে গেছে, চ্যানেল দুইটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। কাসালং চ্যানেল ও বরকল চ্যানেলও নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন বৃষ্টি কম হচ্ছে। আগে পাহাড়ে এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টি হতো। টানা ৬ থেকে ৭ মাস বৃষ্টি হলে লেকে পর্যাপ্ত পানি থাকত। এখন আগের মতো বৃষ্টি হচ্ছে না। লেকে পর্যাপ্ত পানি হচ্ছে না। ফলে লেকে পানির স্থায়িত্ব কমে গেছে। প্রজননস্থলগুলো নষ্ট হওয়ার এটিও একটি কারণ।

বিএম শাহিনুর রহমান বলেন, কাপ্তাই লেকের পাড়ে পাহাড় রয়েছে। জুম পদ্ধতিতে চাষের জন্য এসব পাহাড় থেকে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। তাতে করে ভূমিধস হচ্ছে। প্রতিবছর পাহাড়ের মাটি ধসে লেকে পড়ছে। আর পলি মাটিতেই প্রজননস্থলগুলো ভরে যাচ্ছে, তাতে নষ্ট হচ্ছে সেগুলো।

দেড় যুগের ব্যবধানে কার্পজাতীয় মাছের উৎপাদন কমেছে ৮০ শতাংশ

প্রজননস্থলগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে কাপ্তাই লেক থেকে কার্পজাতীয় মাছের আহরণ কমে যাচ্ছে। বিএফআরআই থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০০২-০৩ অর্থবছরে কাপ্তাই লেক থেকে ২৫৮ দশমিক ৭৫ টন কার্পজাতীয় মাছ আহরণ করা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাত্র ৫৩ দশমিক ২ টন কার্পজাতীয় মাছ আহরণ করা হয়েছে। ১৮ বছরের ব্যবধানে লেক থেকে কার্পজাতীয় মাছের আহরণ কমেছে ৮০ শতাংশ।

নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কাপ্তাই লেকের মাছের প্রজননস্থল

বিএফআরআইর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, আমরা মাঠপর্যায়ে গবেষণা করে এই তথ্য তুলে ধরেছি। পলি জমে লেকের তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি প্রবাহ কমে গেছে। পানি প্রবাহ না থাকলে কার্পজাতীয় মাছ ডিম ছাড়ে না। তাই আগের মতো মাছের প্রজনন হচ্ছে না। প্রজননস্থল নষ্ট, হ্রদের তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় গভীর জলাশয়ের অভাবে মাছ বড় হতে পারছে না। এ ছাড়া শুষ্ক মৌসুমে হ্রদে পোনা ছাড়লেও পানিস্বল্পতার কারণে জেলেদের কেচকি জালে কার্পজাতীয় মাছের পোনা ধরা পড়ে যায়।

তিনি বলেন, শুধু কার্পজাতীয় মাছ নয়, প্রজননস্থল নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে অন্য বেশ কিছু মাছও কমে যাচ্ছে লেক থেকে। ইতিমধ্যে লেক থেকে বিলুপ্ত হয়েছে সিলন, দেশি সরপুঁটি, বাগাড়, মোহিনী বাটা ও দেশি পাঙাশ মাছ। আর বিপন্নপ্রায় মাছের মধ্যে রয়েছে দেশি মহাশোল, মধু পাবদা, পোয়া, ফাইস্যা, গুলশা ও সাদা ঘনিয়া। এ ছাড়া ক্রমহ্রাসমান মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল, বাচা, পাবদা ও বড় চিতল।

লেকের পাড়ে জুম চাষে নিরুৎসাহিত করছে সরকার

রাঙ্গামাটির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিএম মোহাম্মদ কবির বলেন, পাহাড়ের ঢালে বন উজাড় করে ও তা আগুনে পুড়িয়ে জমি চাষের উপযোগী করার মাধ্যমে যে চাষাবাদ করা হয় তারই নাম জুম চাষ। লেকের পাশের পাহাড়গুলো খাড়া। গাছের শেকড় পাহাড়গুলোর মাটি ধরে রাখে। কিন্তু জুম পদ্ধততি চাষের জন্য পাহাড়ের বন উজাড় বা আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

তিনি বলেন, বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড়গুলোর মাটি বালুর মতো যা বৃষ্টির পানির সঙ্গে সহজেই দুর্বল হয়ে ধসে পড়ে। বর্ষা মৌসুমের প্রথম কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মাটিগুলো নরম হয়ে যায়, পরবর্তী সময়ে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে পাহাড়ের ফাটল দিয়ে পানি প্রবেশ করে পাহাড়ের অভ্যন্তরে চাপ ও ওজন বৃদ্ধি করে পরবর্তী সময়ে ধসে পড়ে। তখন সরাসরি মাটি লেকে পড়ে ভরাট হয়ে যায়।

জিএম মোহাম্মদ কবির বলেন, জুম নিয়ন্ত্রণে আমরা সচেনতা ক্যাম্পেইন চালাচ্ছি। লেকের পাড়ে জুম পদ্ধতিতে চাষ না করার জন্য নিরুৎসাহিত করছি। ইতিমধ্যে আমরা ফলাফল পেয়েছি। লেকের পাড়ে জুম চাষ কমে আসছে।

কাপ্তাই লেকের জীববৈচিত্র্য নিয়ে বিএফআরআইর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবুল বাশারের গবেষণায় বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার, প্রজনন মৌসুমে পোনা ও মা মাছ নিধনও কার্পজাতীয় মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। গবেষণায় কার্পজাতীয় মাছের হার বাড়াতে লেকের তলদেশ খনন, প্রজননস্থলগুলো পুনরায় খননের মাধ্যমে সংরক্ষণ এবং এগুলোকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করার সুপারিশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Chittagong shoe factory fire under control after two hours

চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে

চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় শুক্রবার বিকেলে রংদা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি কারখানায় আগুন লাগে। ছবি: নিউজবাংলা
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে কারখানাটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট। অবশেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় একটি বহুজাতিক কোম্পানির জুতার কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে কারখানাটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট। অবশেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার স্টেশনকর্মী শিবলি সাদিক বলেন, ‘কারখানা ভবনটি ছয় তলাবিশিষ্ট৷ এই ভবনের দ্বিতীয় তলায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে ভবনের বিভিন্ন তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

‘খবর পেয়ে বায়েজিদ ও আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের সাতটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি।’

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ‘বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় টেক্সটাইল মোড়ের রংদা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি কারখানায় জুতার সোল তৈরি করা হয়। এটি চীনের একটি বহুজাতিক কোম্পানির মালিকানাধীন।

‘ছুটির দিন হওয়ায় কারখানায় কোনো কর্মী ছিলেন না। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কাজ শুরু করে।’

আরও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে সুপার বোর্ড কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট
মুন্সীগঞ্জে পারটেক্সের কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট
গাজীপুরের বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ১৬
গাউছিয়া কাঁচাবাজারে আগুনে পুড়ল ১৮০ দোকান, দাবি ব্যবসায়ীর
পুরান ঢাকায় রাসায়নিক গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে

মন্তব্য

সারা দেশ
Son binds father to burial for land in Nilphamari

জমির জন্য বাবার কবরে শুয়ে পড়লেন ছেলে

জমির জন্য বাবার কবরে শুয়ে পড়লেন ছেলে ছবি: নিউজবাংলা
জমি রেজিস্ট্রি করার আগে বাবার মৃত্যু হওয়ায় তার মরদেহ দাফনে বাধা দেন ছেলে নওশাদ আলী।

নীলফামারীতে জমির জন্য বাবার মরদেহ দাফন করতে বাধা দিয়েছেন ছেলে। বাবার কবরে শুয়ে কবর দিতে বাধা প্রদান করেন তিনি। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফনকার্য সম্পন্ন হয়।

শুক্রবার নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের যাদুরহাট বাটুলটারিতে এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার রাতে মারা যান ওই এলাকার বাসিন্দা মজিবুর রহমান। জমি রেজিস্ট্রির করার আগে বাবার মৃত্যু হওয়ায় ছেলে নওশাদ আলী মরদেহ দাফনে বাধা দেন ছেলে নওশাদ আলী।

স্থানীয়রা জানান, সদ্য প্রয়াত মুজিবুর রহমানের দুই স্ত্রী রয়েছেন। মৃত্যুর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ২ শতাংশ ও ছোট ছেলেকে ৫ শতাংশ জমি লিখে দেন তিনি। প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলের মধ্যে ওয়াজেদ আলী, খয়রাত আলী ও নওশাদ আলীকে মৌখিকভাবে ৩ শতাংশ জমি প্রদান করেন বাবা মজিবুর রহমান। কিন্তু মৃত্যুর আগে প্রথম পক্ষের তিন ছেলেকে দেয়া জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেন নওশাদ। এক পর্যায়ে কবরে শুয়ে পড়েন তিনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাপড়া ইউনিয়নের পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘জমি লিখে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে বাধা প্রদানের ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের দাফন
ফাঁসির মরদেহ দাফনে সমাজপতিদের বাধা
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ফায়ার ফাইটার রানার বিদায়

মন্তব্য

সারা দেশ
Driver killed in Mahendra Khad carrying cargo

সাজেকে পণ্যবাহী মাহেন্দ্র খাদে, চালক নিহত

সাজেকে পণ্যবাহী মাহেন্দ্র খাদে, চালক নিহত ছবি: নিউজবাংলা
গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারালে প্রাণ কোম্পানির ২ প্রতিনিধি লাফ দিয়ে নেমে গেলেও রক্ষা হয়নি চালকের। অন্তত ১৫০ ফুট পাহাড়ের নিচে পড়ে গাছের সঙ্গে আটকে যায় গাড়িটি। এতে মাথা ফেটে মগজ বের হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন চাঁন মিয়া।

রাঙামাটির সাজেক উপত্যকায় পণ্য পরিবহনের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের খাদে পড়ে এক মাহেন্দ্র চালক নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার দুপুরে সাজেকের কংলাক পাহাড়ে যাওয়ার সময় প্রাণ কোম্পানির পণ্যবাহী মাহেন্দ্রটি খাদে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ৩৫ বছর বয়সী চাঁন মিয়া দীঘিনালা উপজেলার উত্তর রশিক নগর এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে।

জানা যায়, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারালে প্রাণ কোম্পানির ২ প্রতিনিধি লাফ দিয়ে নেমে গেলেও রক্ষা হয়নি চালকের। অন্তত ১৫০ ফুট পাহাড়ের নিচে পড়ে গাছের সঙ্গে আটকে যায় গাড়িটি। এতে মাথা ফেটে মগজ বের হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন চাঁন মিয়া।

সাজেক থানার ওসি আবুল হাসান খান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
After the jellyfish two dead turtles floated into the water

জেলিফিশের পর কুয়াকাটায় ভেসে এলো দুটি মৃত কচ্ছপ

জেলিফিশের পর কুয়াকাটায় ভেসে এলো দুটি মৃত কচ্ছপ ছবি: নিউজবাংলা
ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, ‘মূলত কদিন ধরে সমুদ্রে জেলিফিশের আধিক্য বেড়ে যাওয়ার কারণে কচ্ছপ দুটি তীরে আসতে পারে। কারণ এই কচ্ছপগুলো জেলিফিশ খেতে পছন্দ করে।’

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে হাজার হাজার মৃত জেলিফিশের পর এবার ভেসে এলো দুটি মৃত কচ্ছপ। এদের একটির ওজন প্রায় ৪০ কেজি, অন্যটির ৩৫ কেজি।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টের পশ্চিম দিকে কচ্ছপ দুটিকে দেখতে পান কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য কেএম বাচ্চু। পরবর্তীতে সেগুলোকে মাটিচাপা দেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

বাচ্চুর ধারণা, ডিম ছাড়তে কচ্ছপগুলো উপকুলে এসেছিল। তবে শক্ত কোনো কিছুর সঙ্গে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এগুলো মারা গিয়েছে।

কচ্ছপ দুটির মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানান কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির এ সদস্য।

এ বিষয়ে ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, ‘মূলত কদিন ধরে সমুদ্রে জেলিফিশের আধিক্য বেড়ে যাওয়ার কারণে কচ্ছপ দুটি তীরে আসতে পারে। কারণ এই কচ্ছপগুলো জেলিফিশ খেতে পছন্দ করে।’

তিনি জানান, যে দুটি কচ্ছপ এসেছে, এদের বৈজ্ঞানিক নাম লেপিডোসেলিস ওলিভেসিয়া (Lepidochelys Olivacea)। এরা সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বেঁচে থাকে।

কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য আবুল হোসেন রাজু বলেন, ‘একটি কচ্ছপের লেজে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। সম্ভবত, কোনো কিছুর সঙ্গে আটকে তাদের মৃত্যু হয়েছে।’

তিনি জানান, এর আগে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি বেশকিছু কচ্ছপের দেখা মিলছিল এই সৈকতে। তবে ২০২৪ সালে এই প্রথম মৃত কচ্ছপ এসেছে কুয়াকাটায়। এসব সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যু সমুদ্রের পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে জানান রাজু।

কলাপাড়া উপজেলার বনবিভাগ মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ নিউজবাংলাকে বলেন, খবর পেয়ে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত চলে আসি। মৃত কচ্ছপ থেকে দূর্গন্ধ ছড়ানোর কারণে তাৎক্ষণিক সেগুলোকে মাটিচাপা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি।’

প্রসঙ্গত, গত প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কুয়াকাটা সৈকতজুড়ে হাজার হাজার মৃত জেলিফিশের কারণে পর্যটকসহ জেলেদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গত এক যুগের তুলনায় এ বছর অস্বাভাবিক হারে মৃত জেলিফিশ সৈকতে ভেসে আসছে।

কেন প্রতি বছর ঠিক এই সময়টাতেই সৈকতে মৃত জেলিফিশের আবির্ভাব ঘটে, সেটি নিয়ে বিভিন্ন দপ্তর গবেষণা করলেও আজ অবধি এর সদুত্তর মেলেনি।

আরও পড়ুন:
সৈকতে এ সময়টাতেই কেন জেলি ফিশের বিচরণ
সৈকতে ভেসে এল ইরাবতী ডলফিনের মরদেহ
সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন

মন্তব্য

সারা দেশ
Chhatra League leader Shakil arrested in case of torture while detained in Libya

লিবিয়ায় আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

লিবিয়ায় আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার লিবিয়ায় নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতনের মামলায় আসামি শাকিলকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
থানার ওসি ফায়েজুর রহমান বলেন, ‘মুক্তিপণের দাবিতে লিবিয়ায় ভিকটিম শাকিলকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। এ ঘটনায় শাকিলের বাবা বৃহস্পতিবার মানবপাচার দমন আইনে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর শুক্রবার আসামি শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অনেক তথ্য দিয়েছেন।’

ইতালি নেয়ার কথা বলে লিবিয়ায় আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির আলোচিত ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা। মামলার পর মানবপাচার দলের প্রধান মুকুল ঠাকুরের মেয়ে-জামাতা ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এসএম শাকিল হোসাইনকে গ্রেপ্তার করেছে সালথা থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া এসএম শাকিল হোসাইন উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের বিভাগদী গ্রামের মৃত নওফেল মাতুব্বরের ছেলে। বর্তমানে তিনি সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। কয়েক মাস আগে তিনি বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের মুকুল ঠাকুর নামক এক ব্যক্তির মেয়েকে।

শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সালথা থানার ওসি মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিপণের দাবিতে লিবিয়ায় ভিকটিম শাকিলকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। এ ঘটনায় শাকিলের বাবা টিটুল মিয়া প্রথমে মামলা করতে চাননি। অবশেষে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে মানবপাচার দমন আইনে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।’

ওসি বলেন, ‘মামলার পর শুক্রবার সকালে আসামি শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মামলার প্রধান আসামি মুকুল ঠাকুরের মেয়ে-জামাতা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল অনেক তথ্য দিয়েছেন।’

ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল নগরকান্দা) মো. আছাদুজ্জামান বলেন, ‘লিবিয়ায় শাকিলের ওপর নির্মম নির্যাতন ও মুক্তিপণের বিষয়টি প্রথম থেকেই আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছি। এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি ভিকটিমকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

প্রসঙ্গত, অভাবের সংসারে পরিবারের মুখে একটু হাসি ফোটাতে লেখাপড়া বাদ দিয়ে চার মাস আগে প্রতিবেশী মুকুল ঠাকুর নামের এক দালালের মাধ্যমে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে ইতালির উদ্দেশ্য রওয়ানা হন শাকিল মিয়া। কিন্তু দালালরা তাকে ইতালির বদলে লিবিয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে আটকে রেখে দালালরা আরও ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একইসঙ্গে শাকিলের ওপর চলতে থাকে নির্মম নির্যাতন।

আরও পড়ুন:
ধর্ষণ-মানবপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
মানব পাচার মামলায় দম্পতির ফাঁসি
ভারতে পাচারের জন্য চুরি করা হয় শিশুটিকে
সৌদি পাঠানোর কথা বলে ‘ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪
মালয়েশিয়ার কথা বলে সেন্টমার্টিনে ‘পাচার’, গ্রেপ্তার ৫

মন্তব্য

সারা দেশ
4 lanes open on Hatikumrul Banpara highway to facilitate Eid journey

ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে ৪ লেন চালু

ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে ৪ লেন চালু ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত চার লেন চালু করা হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াতে যেন বিঘ্ন না ঘটে, এ জন্য হাটিকুমরুল মোড়ে এক মাস আগেই কংক্রিটের রাস্তা মেরামত করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ চারটি লেনের মেরামত কাজ শুরু করেছে।

ঈদযাত্রায় মানুষের ভোগান্তি ও গলার কাঁটা ছিল উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক, কিন্তু এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে মহাসড়কে পুরোদমে চলছে চার লেন প্রকল্পের কাজ।

সড়কে গাড়ির চাপ সামাল দিতে ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত চার লেন চালু করা হয়েছে। ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের স্বস্তি ফেরাতে দ্রুতই কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন যাত্রী ও চালকেরা।

সংশ্লিষ্টরাও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ওই সব স্থানে রাত-দিন কাজ করছে।

তারা জানান, বছরের দুইটি ঈদের সময় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়ক পারাপারে যাত্রী ও চালকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। প্রতিদিন উত্তরের ২২ জেলার প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার যানবাহন চলাচল করলেও ঈদযাত্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট, কিন্তু এবার সে চিত্র হবে অন্যরকম।

সাসেক-২ প্রকল্পের সুফল পাবে এ অঞ্চলের মানুষ। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে বগুড়ার মির্জাপুর পর্যন্ত দুই লেনের মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮০৫ কোটি টাকা।

চালক ও যাত্রীরা জানান, ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে রাস্তা উন্নীতকরণ ও ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ অধিকাংশ জায়গায় শেষ হলেও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণকাজের অনেক জায়গায় চার লেনের কাজ চলমান রয়েছে। এর ফলে কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা সরু হয়ে গেছে।

এসআই এন্টারপ্রাইজ বাসের চালক হাফিজুর রহমান বাবু বলেন, বিগত দিনের চেয়ে এ বছর মহাসড়কের অবস্থা অনেক ভালো। বগুড়া পর্যন্ত চার লেনের কাজ শেষের দিকে। কিন্তু এখনও অনেক জায়গায় খানাখন্দ রয়েছে। ঈদের আগে মেরামত করা হলে যানজট হবে না।

শ্যামলী পরিবহনের চালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের ভূঁইয়াগাতী থেকে ঘুড়কা বেলতলা পর্যন্ত ঈদযাত্রায় সমস্যা হতে পারে। দ্রুত এ স্থান সংস্কার ও মহাসড়কে পুলিশ মোতায়েন থাকলে যানজট থাকবে না।

সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াতে যেন বিঘ্ন না ঘটে, এ জন্য হাটিকুমরুল মোড়ে এক মাস আগেই কংক্রিটের রাস্তা মেরামত করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ চারটি লেনের মেরামত কাজ শুরু করেছে।

তিনি বলেন, বিশেষ করে কড্ডার মোড় ও নলকার মোড়ে প্রতি বছর যানজট বেশি দেখা গেলেও, এবার এ জায়গাগুলোতে আন্ডারপাস খুলে দেয়ায় দূরপাল্লার গাড়িগুলো ওপর দিয়ে চলে যাবে। আর অন্য গাড়িগুলো আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে চলাচল করলে আশা করা যাচ্ছে, এ বছর যানজট হবে না। এবারের ঈদযাত্রা হবে অনেকটা স্বস্তিদায়ক।

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, এ বছর মহাসড়কের অবস্থা খুবই ভালো। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে সব তথ্য সড়ক বিভাগের কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সেগুলো ৩১ মার্চের মধ্যে সংস্কার করে দেয়ার কথা দিয়েছেন।

তিনি জানান, ঈদযাত্রায় মানুষের নিরাপদে ঘরে ফেরা ও নিশ্চিন্তে যাতায়াতে মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৭৫০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হবে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকবে, সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম থাকবে।

আরও পড়ুন:
‘চোরাই পণ্যবাহী’ গাড়ির কারণে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক এখন মরণফাঁদ
ঈদযাত্রায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলবে বিশেষ ট্রেন
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শুধুই অনলাইনে, বিক্রি শুরু ২৪ মার্চ
কাদের সিদ্দিকীর মধ্যস্থতায় লতিফের ৪ সমর্থকের মুক্তি, অবরোধ প্রত্যাহার
ধামরাইয়ে পোশাক শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

মন্তব্য

সারা দেশ
Suicide of second wife in Nilphamari husband arrested

স্বামীর আরেক স্ত্রী থাকার খবর শুনে নারীর আত্মহত্যা, ধারণা পুলিশের

স্বামীর আরেক স্ত্রী থাকার খবর শুনে নারীর আত্মহত্যা, ধারণা পুলিশের প্রতীকী ছবি
নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম জানান, দীপুর প্রথম বিয়ের বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে শোভা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী দীপুকে আটক করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে শোভার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

নীলফামারী সদরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সদরের সোনারায় ইউনিয়নের আরাজি কুখাপাড়া বাবুরহাট গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় শোভা রাণী রায় নামের ওই নারীর স্বামী দীপু রায়কে পুলিশ আটক করেছে।

প্রাণ হারানো শোভা রানী রায় সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের মহববত বাজিতপাড়া এলাকার হরিপদ রায়ের মেয়ে। তার স্বামী দীপুর বাড়ি দিনাজপুরের চিরির বন্দরের ফেরসাডাঙ্গা এলাকায়।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পাঁচ বছর আগে শোভার স্বামীর মৃত্যু হয়। শোভা ও দীপু উভয়েই নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে চাকরি করতেন। ইপিজেডে চাকরির সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পুলিশ আরও জানায়, দীপু রায় তার প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে গত ৪ মার্চ শোভা রায়কে বিয়ে করেন। ঘটনার আগে নীলফামারী সদরের নারায়ণ মাস্টারের ভাড়া বাসায় প্রথম স্ত্রী নমিতা রাণী রায় দীপুর খোঁজ নিতে এলে প্রথম বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হন শোভা। এর পর থেকে এ নিয়ে দীপুর সঙ্গে তার বিবাদ সৃষ্টি হয়।

নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দীপু রায় বাসায় এসে তার দ্বিতীয় স্ত্রী শোভাকে ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। তখন পাশের জানালা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় শোভাকে দেখতে পান। পরে অন্য ভাড়াটিয়ারা দীপুকে ধরে পুলিশে খবর দিলে বাহিনীর সদস্যরা এ ব্যক্তিকে আটকের পাশাপাশি মরদেহটি উদ্ধার করেন।

ওসি আরও জানান, দীপুর প্রথম বিয়ের বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে শোভা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী দীপুকে আটক করা হয়।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে শোভার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশর এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
‘ওষুধ কিনতে না পেরে’ পেটে ছুরি ঢুকিয়ে রিকশাচালকের আত্মহত্যা
আইপিএলে বাজি হেরে কোটি টাকার ঋণ, স্ত্রীর আত্মহত্যা
অবন্তিকার বাসায় জবির তদন্ত দল
অবন্তিকার আত্মহনন: জবি প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের লালকার্ড
জবি ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা: সহপাঠী, সহকারী প্রক্টর রিমান্ডে

মন্তব্য

p
উপরে