× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
পাঁচ বছরে ঘরহারা ২১ হাজারের বেশি পরিবার
google_news print-icon

নদীভাঙনে নিঃস্ব ২১ হাজার পরিবার

নদীভাঙনে-নিঃস্ব-২১-হাজার-পরিবার
এমন ভাসমান জীবন জেলার ভাঙন কবলিত মানুষের। ছবি: নিউজবাংলা
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ জানায়, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় ছোট-বড় ১৬টি নদ-নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২১ হাজার ১৭৪টি পরিবার।

ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ফসলি জমির পাশেই পাটখড়ি, পলিথিন, বস্তা ও কাঁথা দিয়ে তৈরি ছোট্ট একখানা ঝুপড়ি ঘর। সন্ধ্যা নামতেই মর্জিনা বেগম কুপি জ্বালিয়ে খড়ের বিছানা পেতে শুইয়ে দিলেন তিন বছরের ছেলে উমর ফারুককে।

মর্জিনা ইব্রাহিম শেখ খলিলুল্লা ও ছালেহা বেগমের বড় মেয়ে। সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে এসেছেন বাপের বাড়িতে। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর বালাডোবা গ্রামে গেল শনিবার গিয়ে দেখা মিলল পরিবারটির।

ঝুপড়ি ঘরে প্রায় পাঁচ বছর ধরে থাকছেন ইব্রাহিম ও ছালেহা। সঙ্গে থাকে তাদের ছোট মেয়ে। শীত-গরম-ঝড়-বৃষ্টি সব পরিস্থিতিতেই পরিবারসমেত মাথা গুঁজতে হয় ১২ থেকে ১৪ ফুটের ওই ঝুপড়িতে।

ইব্রাহিম পেশায় খড়ি বিক্রেতা। যেদিন খড়ি বিক্রি হয় সেদিন পেটে ভাত পড়ে। যেদিন হয় না, সেদিন সবাইকে থাকতে হয় অনাহারে-অর্ধাহারে।

ইব্রাহিম জানান, একসময় তার সুদিন ছিল। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল তার বাপ-দাদার আবাদি জমি ও ভিটেমাটি। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে প্রায় আট বছর আগে সব বিলীন হয়েছে। বছর পাঁচেক আগে নদীগর্ভে হারিয়েছে তার শেষ সম্বল বাড়িটিও। সেই থেকেই এই ঝুপড়িতে টিকে আছে সংসার।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বড় বেটা বউ নিয়া জুদা (আলাদা) থাকে টাঙ্গাইলে। ছোট বেটা কাজের খোঁজত তাইও টাঙ্গাইল গেছে। এলা স্ত্রী, দুই বেটি আর নাতি নিয়া এই ছাপড়া ঘরতেই থাকি। খড়ি বেচা হইলে প্যাটত ভাত যায়। আর না হইলে উপাস থাকা খায়। সরকারি কোনো সাহায্য হামরা পাই না।’

নদীভাঙনে নিঃস্ব ২১ হাজার পরিবার

ছালেহা বেগম বলেন, ‘টাকার অভাবে জমি কিনবার পাই না। ঘরও তুলবার খ্যামতা নাই। এমন বস্তা, খড়ি, পেলাস্টিক আর খ্যাতা (কাঁথা) দিয়া কোনো রকমে জীবন কাট পাইছি। কোমরের ব্যথা, টাকা বিনাকার ডাক্তার দেকপার পাই না।’

ইব্রাহিমের মতো এই গ্রামের অনেক পরিবারই ব্রহ্মপুত্রে ভিটেমাটি হারিয়ে এখন নিঃস্ব। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবার তাৎক্ষণিক সহায়তা পেলেও স্থায়ী পুনর্বাসন কার্যক্রম সীমিত। ফলে অনেকেই আর ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ জানায়, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলায় ছোট-বড় ১৬টি নদ-নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২১ হাজার ১৭৪টি পরিবার।

এর মধ্যে সদরে ১ হাজার ৮২১টি, ভূরুঙ্গামারীতে ৬০৯টি, নাগেশ্বরীতে ২ হাজার ৪২৬টি, ফুলবাড়িতে ১৮৮টি, রাজারহাটে ৪৩৯টি, উলিপুরে ৫ হাজার ৯০৪টি, চিলমারীতে ৪ হাজার ৫১৯টি, রৌমারীতে ২ হাজার ১৮৩টি ও রাজিবপুরে ৩ হাজার ৮৫টি পরিবার ঘরবাড়ি-জমি হারিয়েছে।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জালাল মন্ডল জানান, গত কয়েক বছরে ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। এরই মধ্যে মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড।

জালাল বলেন, এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এখন থাকছেন ৪ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। গেল দুই থেকে তিন মাসে ভাঙনের কবলে পড়ছে দুটি গ্রামের প্রায় ৬০০-এর বেশি ঘরবাড়ি, গাছপালা ও কয়েক শ বিঘা আবাদি জমি।

ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, নদীর ভাঙনে সবাই আতঙ্কে থাকে। কেউ কারও খোঁজ নেয়ার মতো অবস্থায় থাকে না।

আরেক বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, ভাঙন ঝুঁকিতে আছে এলাকার ঐতিহ্যবাহী বাজার মোল্লারহাট ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘এমপি, মন্ত্রী হামার এডে কোনো আইসে না খোঁজখবরও নেয় না। হামার আর কাই দ্যাখে।’

নদীগর্ভে যাওয়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মহুবার বাদশা জানান, ভাঙনকবলিতদের জন্য ইউনিয়নে যে পরিমাণ সরকারি বরাদ্দ আসে, তাতে প্রত্যন্ত এলাকার এই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটানো যায় না।

তিনি বলেন, ‘সরকার যদি ভাঙনে ঘরবাড়িহারা পরিবারগুলোর থাকার ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে একটু হলেও শান্তি পেত এসব পরিবার।’

নদীভাঙনে নিঃস্ব ২১ হাজার পরিবার

ভাঙন ঠেকাতে কী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানতে চাওয়া হয় জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামের কাছে।

তিনি বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমেও কুড়িগ্রামে নদ-নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। তবে ব্রহ্মপুত্রের চেয়ে ধরলা নদীর পাঁচ থেকে ছয়টি পয়েন্টে এখন ভাঙছে।

‘মোল্লারহাটে নদীভাঙন রোধে ৫০০-এর বেশি জিও ব্যাগ দেয়া হয়েছে। এখন ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু হবে।’

আরিফুল জানান, ভাঙন ঠেকাতে বাজেট চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই স্থায়ীভাবে কাজ শুরু হবে।

তবে শুষ্ক মৌসুমে ভাঙনে ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার তথ্য নেই বলে জানান জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকতা আব্দুল হাই। অন্য সময় নদীর ভাঙনে যেসব পরিবার গৃহহীন হয়েছে তাদের ঢেউটিন, শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।

এই পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের বিষয়ে আব্দুল হাই বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সরকার গৃহহীনদের জন্য জমিসহ ঘর দিচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তালিকা পেলে যাচাই-বাছাই করে তাদের সেই ঘরের বন্দোবস্ত করে দেয়া হবে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সোনারগাঁয়ে নদী দূষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

সোনারগাঁয়ে নদী দূষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন শিল্প কারখানার দূষিত বর্জ্যে ব্রহ্মপুত্র নদ-খাল বিলের পানি দূষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।

রোববার বিকেলে সোনারগাঁয়ে জামপুর ইউনিয়নের মাঝেরচর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি মদনপুর-আড়াইহাজার সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মানববন্ধন কর্মসুচিতে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আল মুজাহিদ মল্লিক, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান, জামপুর মাঝেরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নূর মোহাম্মদ মিয়া, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি আকরাম আজাদ মিল্টন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শরীফুজ্জামান শাহীন, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আমানউল্লাহ মিয়া, ৩ নংওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক মিয়াসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন সোনারগাঁ ও আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন শিল্প কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে পরিবেশের মারাতক্তভাবে ক্ষতি করছে। শুধু ব্রহ্মপুত্র নদের পানিই নয়, খাল বিলের পানি দূষণের কবলে পড়েছে। বর্জ্যে মিশ্রিত পানিগুলো কালো আলকাতরার রং ধারণ করেছে। ফলে পরিবেশ ও কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া নদীতে এখন আর দেশী মাছ পাওয়া যায় না। দূষণের ফলে জনর্দূভোগ চরমে পৌঁছেছে। তারা আরো বলেন, কলকারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে পানি দূষণের ফলে বিভিন্ন রোগ বালাই হচ্ছে। কিছু সুবিধাভোগীদের জন্য আজ নদীর এ অবস্থা। নদী বাচাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নদী বাঁচাতে পরিবেশ অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন বক্তারা।

মন্তব্য

সারা দেশ
Shyamnagar Upazila Executive Officer to prevent the transfer of locals

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদলি ঠেকাতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদলি ঠেকাতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রনী খাতুনের বদলির আদেশ ঠেকাতে মানববন্ধন করেছে এলাকার কিছু মানুষ। তাকে শ্যামনগর দায়িত্বে পুনর্বহালের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে শ্যামনগরের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়। ইউএনও মানুষের মন জয় করেছেন বলে দাবি তোলেন বক্তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান সাদেম, শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রভাষক সামিউল আযম মনির, বিএনপির নেতা প্রভাষক আব্দুল ওহাব, মুনছুর সরদার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ তপন কুমার মন্ডল সহ অনেকে।

চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা সাদেকুর রহমান সাদেম বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর ইউএনও দক্ষভাবে শ্যামনগরকে আগলে রেখেছেন। গত শীতে কম্বল নিয়ে মানুষের ঘরে-ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। এ অবস্থায় ইউএনওর বদলি ঠিক হয়নি। এখনই জনগণ তাকে এ উপজেলার দায়িত্ব থেকে যেতে দিতে চায় না। এজন্য জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি তাকে শ্যামনগর পুনর্বহাল করা হোক।

ইউএনও রনী খাতুন বলেন, আমাকে ঝিকিরগাছা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। এটি সরকারি সিদ্ধান্ত। নির্দিষ্ট সময়ে আমাকে সেখানে যোগদান করতে হবে। অতীত কর্মকাণ্ডে খুশি হয়ে হয়ত এলাকার জনগণ আমাকে শ্যামনগর পুনর্বহাল চেয়ে মানববন্ধন করেছেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
In Barayagram the robbery loot of Tk 1 lakh in the cover van

বড়াইগ্রামে কাভার্ড ভ্যানে ডাকাতি, ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট

বড়াইগ্রামে কাভার্ড ভ্যানে ডাকাতি, ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট

নাটোরের বড়াইগ্রামে একটি কাভার্ড ভ্যান আটকিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ভ্যানচালক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী চালক মো. মিজান শেখ (২৭), পিতা মো. মোবারক শেখ, নড়াইল সদর উপজেলার বরাশুলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নুরজাহান ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির কাভার্ড ভ্যানচালক। ভ্যানটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-ট ১৫৮৫৫০।

চালক জানান, ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি তার সহকারী মো. ওয়াসিমকে (২৪) সঙ্গে নিয়ে ঢাকার বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেডের মালামাল (টিভি, ফ্রিজ, এসি, ওভেন, ওয়াশিং মেশিন) নিয়ে নাটোরের উদ্দেশে রওয়ানা দেন।

১৪ সেপ্টেম্বর ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে বড়াইগ্রাম থানার মোড় অতিক্রম করার পর ফাঁকা রাস্তায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জন দুর্বৃত্ত একটি ড্রাম ট্রাক দিয়ে কাভার্ড ভ্যানটির গতিরোধের চেষ্টা করে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় চালক পাশের একটি লোকাল রাস্তায় ঢুকে পড়েন। কিছুক্ষণ পর একটি ছোট পিকআপ ভ্যান কাভার্ড ভ্যানের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।

অভিযোগে বলা হয়, দুর্বৃত্তরা চালক ও হেলপারকে হত্যার হুমকি দিয়ে কাভার্ড ভ্যানের পেছনের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে থাকা মালামাল লুট করে নেয়। এতে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার পণ্য তারা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ভ্যানচালক মিজান শেখ বলেন, ঘটনার পর কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে কিছুটা বিলম্বে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি মো. গোলাম সারোয়ার জানান, অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Breaks in Patharghata Nachpara breaking two bridges

পাথরঘাটার নাচনাপাড়ায় দুটি ব্রিজ ভেঙে জনদুর্ভোগ চরমে

পাথরঘাটার নাচনাপাড়ায় দুটি ব্রিজ ভেঙে জনদুর্ভোগ চরমে

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া বাজারসংলগ্ন দুটি ব্রিজ ভেঙে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছেন নারী, শিশু ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকায় পারাপার করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নাচনাপাড়া বাজারের উত্তর পাশে মাঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটা উপজেলার সংযোগকারী কাঠের ব্রিজটি অনেক আগেই ভেঙে যায়। পরে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে একটি সাঁকো তৈরি করলেও সম্প্রতি জোয়ারের চাপে সেটিও ভেঙে পড়ে। ফলে দুই পাড়ের মানুষ বাধ্য হয়ে নৌকায় পারাপার করছেন।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ নূরুল ইসলাম মনি সেখানে একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু এরপর প্রায় ১৬ বছর টানা ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আর কোনো নতুন ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। প্রায় এক দশক আগে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও তা অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় বছরের পর বছর বন্ধ রয়েছে।

অন্যদিকে, নাচনাপাড়া বাজারের দক্ষিণ পাশেও একই চিত্র। এখানে প্রায় ২ বছর আগে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মিলে একটি অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু সেটিও গত ১০ সেপ্টেম্বর জোয়ারের পানির তোড়ে ভেঙে পড়ে। এতে কাঠালতলী, চরদুয়ানী ও নাচনাপাড়ার হাজারো মানুষের চলাচল আরও চরম দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীদের প্রতিদিনই বড় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। জরুরি রোগী পরিবহনেও ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। তাদের দাবি- দ্রুত বিকল্প সাঁকো নির্মাণ, স্থায়ী স্লুইসগেট ও অসমাপ্ত ব্রিজ নির্মাণ কাজ চালু করতে হবে।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রতিশ্রুতি শুনে যাচ্ছেন, কিন্তু বাস্তবে কোনো কাজ হচ্ছে না। তারা আশা করছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Natore trucks and passenger buses were arrested from 5 kg of marijuana

নাটোরে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস থেকে ১৭৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

নাটোরে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস থেকে ১৭৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

নাটোরে দুটি অভিযানে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস থেকে ১৭৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার ভোরে শহরের বনবেলঘরিয়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ভগরইল এলাকার মো. ওয়াদুদ আলী (২৫), শিবগঞ্জ উপজেলার কয়লার দিয়ার এলাকার মো. ফসের আলী সোহেল (২৯), শেখটোলা কাশিবাটিপাড়া এলাকার মো. লালন (২৫) এবং একই এলাকার মো. সাবেরুল ইসলাম শহিদ (৩৫)।

পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে প্রথমে নোয়াখালী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী গ্রামীণ ট্রাভেলসের একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় যাত্রী সিটের নিচে রাখা দুটি বস্তা থেকে ১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে একই এলাকায় নারায়গঞ্জ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী একটি প্লাস্টিক ক্যারেট বহনকারী ট্রাককে থামানো হয়। তল্লাশিতে ক্যারেটের নিচে রাখা ছয়টি চটের বস্তা থেকে ১৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

পুলিশ সুপার আরও জানান, মাদকের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। এই অভিযান চলমান থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরও জোরদার করা হবে।

মন্তব্য

সিরাজগঞ্জে পিতাকে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

সিরাজগঞ্জে পিতাকে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় পিতা ইদ্রিস আলীকে হত্যার দায়ে ছেলে রেজাউল করিম লাবুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক মাহবুবুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

একই মামলায় নিহতের স্ত্রী রেনুকা বেগম এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লাবুর স্ত্রী ইসমত আরাকে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৪ মার্চ দুপুরে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার অলিদহ গ্রামের একটি পুকুরে গলা ও পায়ে রশি প্যাঁচানো অবস্থায় ইদ্রিস আলীর মরদেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ওই দিনই নিহতের ছেলে রেজাউল করিম লাবু বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তে বেরিয়ে আসে, পিতাকে হত্যা করেছিলেন মামলার বাদী রেজাউল করিম লাবুই। আদালতে তার ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রোববার এ রায় ঘোষণা করা হয়।

মন্তব্য

মেহেরপুরে পানি নিষ্কাশনের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

মেহেরপুরে পানি নিষ্কাশনের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের দাবিতে মেহেরপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে গাংনী উপজেলার তেরাইল, মহব্বতপুর, বাদিয়াপাড়া, কামারখালি, ষোলটাকা ও সহড়াবাড়িয়া গ্রামের শতাধিক কৃষক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন বামুন্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো। এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বহু বছর ধরে সঠিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি মৌসুমে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি বা সামান্য প্লাবন হলেই জমি ডুবে যায়। ধান, পাট, শাক-সবজি থেকে শুরু করে সব ধরনের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

কৃষকরা আরও বলেন, সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বহুবার অভিযোগ জানানো হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে কৃষকরা একদিকে লোকসানের বোঝা বইছেন, অন্যদিকে ঋণের টাকা শোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। বক্তারা দ্রুত সেচ ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।

মানববন্ধন শেষে কৃষকরা জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে দ্রুত খাল খনন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নতকরণ এবং টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প হাতে নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

কৃষকদের দাবি, সরকার যদি দ্রুত উদ্যোগ না নেয়, তবে আগামী মৌসুমে আরও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে এ অঞ্চলের কৃষক-সমাজ।

মন্তব্য

p
উপরে