সাভারের আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় ঝুটের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদ মিয়া ও তার ভাতিজা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মৃধা দীর্ঘদিন ধরে কারখানাটির ঝুট নিচ্ছিলেন বলে দাবি করছেন তাদের স্বজনরা।
তারা বলছেন, পোশাক কারখানাটির ঝুটের ব্যবসা দখল নিতে চাইছেন কলতাসূতির ইউনুস পালোয়ান, যিনি কালা ইউনুস নামে পরিচিত।
এর অংশ হিসেবে ফরিদ মিয়া ও সুমন মৃধার নামে মামলা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারের নামে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সুমনকে নিয়ে তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সুমনের মা ও স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। রাজি না হওয়ায় তার মাকেও মামলায় জড়িয়ে কারাগারে পাঠানোর হুমকি দেয়া হয়।
তাদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আশুলিয়া থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সুমনের পরিবার বলছে, প্রায় চার বছর ধরে আশুলিয়ার কবিরপুরে তাদের বাড়ির সামনেই রোজ ইন্টিমেন্টস লিমিটেড কারখানায় ঝুট ব্যবসা করছেন ফরিদ মিয়া ও তার ভাতিজা সুমন। কারখানা কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে সেই ব্যবসার দখলে নিতে চাইছেন ইউনুস পালোয়ান। এর অংশ হিসেবে সুমন ও তার চাচার বিরুদ্ধে পরপর দুটি মামলা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
ফোন করে সুমনকে থানায় ডেকে নেন উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির। তাকে গ্রেপ্তার দেখান। এরপর অস্ত্র উদ্ধারের নামে আশুলিয়া থানার কয়েকটি গাড়ি যায় সুমনের বাসায়। তল্লাশির সময় পুলিশ পরিবারের সদস্যদের হয়রানি ও লাঞ্ছিত করে। আরও মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে এসআই আল মামুন দাবি করেন ৫০ হাজার টাকা।
সুমনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ পাহারায় কারখানার ঝুট বের করা হয় বলেও অভিযোগ করেছে পরিবারটি।
আশুলিয়া থানা পুলিশ বলছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে রোজ ইন্টিমেন্টস লিমিটেডের ঝুটসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কারখানার ইলেকট্রিশিয়ান মাঈন উদ্দিনকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে মারধরের পর ফেলে রেখে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর হয়ে মামলা করেন কারখানার এইচআর অ্যাডমিন অ্যান্ড কম্প্লায়েন্স টিপু সুলতান।
কারখানার স্টোর ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলমকে ৩০ জানুয়ারি মারধরের ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি সুমন ও ফরিদ মিয়ার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়।
মামলার ব্যাপারে জানতে কারখানার ইলেকট্রিশিয়ান মাঈন উদ্দিনকে কয়েক দিন ধরে ফোন করা হচ্ছে। সাংবাদিক পরিচয় জানার পরপরই সংযোগ কেটে দিচ্ছেন এবং একপর্যায়ে ফোন বন্ধ করে রাখছেন।
কবিরপুরে মাঈন উদ্দিনের বাড়ি গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের সদস্যরাও এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।
কারাবন্দি যুবলীগ নেতা সুমনের স্ত্রী আয়শা আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই দিনকা (১৪ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় দরজা নক করল। আমি দরজা খুলার সাথে সাথে ধাক্কা মাইরা সাত-আটজন পুলিশ ভিতরে ঢুকল। বলতে গেলে পুরা থানার পুলিশ এখানেই চলে আসছিল। পরে এটা খুলতাছে, ওটা খুলতাছে, ভাঙব- এ রকম হুমকি দেয়।’
তারা টানা তিন ঘণ্টা বাসায় ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাসা পুরা তছনছ করে ফেলছে। কিন্তু কিছু পায় নাই। কিছু না পাইয়া বাঁশ কাটার দাও, এটা সবার বাসায় আছে, সাংসারিক জিনিসের পর্যায়ে পড়ে। সেই দাওটা নিয়া তারা দেশীয় অস্ত্র বলেছে। এর সবই মোবাইলে ভিডিও করা আছে।’
সেদিন সুমনকে অসুস্থ দেখাচ্ছিল অভিযোগ করে আয়শা আক্তার বলেন, ‘মামুন দারোগা ডিরেক্ট টাকা চাইছে। সে বলছে, আমাদের ৫০ হাজার টাকা দেন। না দিলে মামলা দিয়া কিন্তু ওর লাইফ শেষ কইরা দিমু।’
ঘটনার কারণ জানতে চাইলে আয়শা বলেন, ‘আমি যতদূর বুঝতাছি এই ঝুট ব্যবসা। এই মালিকপক্ষ, ওসি (তদন্ত, মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম) মিইলা মনে করেন আমার স্বামীরে এখান থেকে তাড়ানোর জন্য মিথ্যা-ভুয়া মামলা দিছে। কাগজপত্র দেখলে যে কেউ বুঝবে এগুলা ভুয়া মামলা। এ পর্যন্ত দুইটা মামলা দিছে।
‘ভিডিও ফুটেজ আছে দেখেন। একটা ফ্যাক্টরির মাল কি পুলিশ নিয়া যাইব? পুলিশের গাড়ি পাহারা দিয়া লোড গাড়ি (ঝুটবোঝাই ট্রাক) নিয়া যাইতেছে। পুলিশ তো থাকবে নিরপেক্ষ। পুলিশ যদি পক্ষপাতিত্ব করে টাকা-পয়সা খায় তাহলে আমরা কার কাছে সাহায্য চাব? এ সব কিছু করতাছে আশুলিয়া থানার ওসি।’
সুমনের মা গুলজার বেগম এসআই আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘আপনের ছেলের নামে এই ফাইল আমরা তৈয়ার করছি। যদি ৫০ হাজার ট্যাকা আপনারা না দেন আপনের ছেলের সাথে এগুলা দিয়া চালান কইরা দিব। আপনের ছেলে আর জামিন পাইব না।’
তিনি বলেন, ‘মামুন দারোগা বলছে, আমারে অ্যারেস্ট করব, আমারে অপহরণের মামলা দিব। আপনে যদি আমারে টাকা না দেন আগে পরে যত মামলা হইছে সব কিছু সাজাইয়া আপনার ছেলের সাথে আপনেরে দিয়া দিমু।’
শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৯নং ওয়ার্ডের সহসভাপতি সুমনের বাবা শফি উদ্দিন বলেন, ‘কয়েক দিন আগে এখানে ফ্যাক্টরির একটা শ্রমিককে (মাঈন উদ্দিন) পাও ভাইঙা ফালায় থুইছে। পরে আমার ভাই ফরিদ ও ছেলে সুমনের নামে মামলা দিছে। আমরা সেই লোকের কাছে গেছি। সে বলছে, আমার সুমন ভাই ও ফরিদ কাকা আমারে মারতে পারে না। তাদের সাথে আমার কোনোরকম শত্রুতা নাই।’
কারা, কেন এসব করছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কিছু লোক আছে যারা চায় না আমরা এখানে ব্যবসা করি। সে জন্য পুলিশ দিয়া হয়রানি করতেছে। কালা ইউনুস ফ্যাক্টরি থাইকা মাল নিয়া যাইতেছে।’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ। পুলিশ খামাখা আমাদের হয়রানি করতেছে।’
অভিযোগের ব্যাপারে ইউনুস পালোয়ান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপনে সাম্বাদিক পরিচয় দিছেন। ব্যবসা করি। তাহলে আপনে জানেন ব্যবসা করি, তো করি। অহন আপনে আমার সাথে আরও কিছু জিজ্ঞাস করতে হইলে টেলিফোনে না ফেস টু ফেস জিজ্ঞাস করতে হইব।
‘কথা ভাই আপনেরে বোঝাইতে পারছি? আপনে উত্তর পাইছেন তো? ব্যবসা করি। হ্যাঁ। তারপরে যদি আরও কিছু জিজ্ঞাস করতে চান আপনি আমার সাথে কাইন্ডলি ফেস টু ফেস কথা বলবেন। চা খামুনে, কফি খামুনে।’
পুলিশকে ব্যবহার করে ব্যবসা দখল করেছেন এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই কোম্পানি আমার কোম্পানির সাথে পরিচিত। আমাকে কাজ দিছে আমি মাল বার করতাছি।’
রোজ ইন্টিমেন্টস লিমিটেড কারখানার এইচআর অ্যাডমিন অ্যান্ড কপ্লায়েন্স টিপু সুলতান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দ্বন্দ্বটা ঝুট-টুট নিয়ে হইছে সুমন-টুমনদের সাথে। সুমনরা ঝুট আগে নিত। এখন কেউ নিচ্ছে না। তবে এখন ম্যানেজমেন্ট কাকে দিছে আমি জানি না।’
মিথ্যা মামলার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সুমনের বিরুদ্ধে দুইটা মামলা হইছে। প্রথমটা স্টোর ম্যানেজাররে (জাহাঙ্গীর আলম) মারধরের মামলা। প্রথম মামলাটার বাদী আমি না। পরেরটা হলো আরেকটা ছেলেকে (মাঈন উদ্দিন) এখান থেকে তুলে নিয়া কে বা কারা হাত-পা ভাইঙা ফেলছে। যেহেতু ওই ছেলে অসুস্থ ওর পক্ষ থেকে কোম্পানির হয়ে আমি মামলা করছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নিউজবাংলার প্রতিবেদক আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিকরা এত ফোন দিতাছেন ভাই বুঝলাম না। কাহিনী কী কন তো। কাহিনী হওয়ার কথা না। রোজ ফ্যাক্টরিতে যা হওয়ার হইছে, মামলা হইছে। আসামি গ্রেপ্তার হইছে, আসামি জেল খাটতাছে।’
পরিবারের সদস্যদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আসামির মা তো ওই দিন বাসায় ছিল না। কোর্টে ছিল। এগুলা তো জনগণের সামনে ভিডিও করা আছে। এলাকার লোকজন ছিল, আমাদের ওসি (পরিদর্শক) তদন্ত স্যার ছিল। এসব ভিত্তিহীন কথাবার্তা কে বলে আপনাদের? আপনারা যাচাই-বাছাই কইরা জিজ্ঞেস করবেন।’
আসামিসহ তার বাসায় অভিযানের বিষয়ে বলেন, ‘অস্ত্র উদ্ধারে গেছি। অস্ত্র ছিল এই তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধারে গেছি। অস্ত্র পাওয়া যায় নাই। চেষ্টা অব্যাহত আছে।’
অভিযান পরিচালনাকারী আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, ‘আচ্ছা দেখি, আমরা টোটাল বিষয়টা তদন্ত করে দেখতেছি।’
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কাছে সব লিখে একটা অভিযোগ দিতে বলেন। দেখি কী ঘটনা।’
হিন্দুত্ববাদী চক্র কর্তৃক মুসলিম নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট, গাজীপুরে আশামনি ধর্ষণ, খতিব মুহিবুল্লাহকে অপহরণ, চট্টগ্রামের আলিফ হত্যা সহ ইসকনের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে ‘মুসলিম শিক্ষার্থী’র ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে একই স্থানে সমবেত হন এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
এসময় বক্তারা বলেন, ' পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ইসকন নামক এই বিষফোঁড়া, ভারতের দালাল বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। অতিসত্বর এই বাংলাদেশ থেকে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা দেখেছি, ফ্যাসিস্ট আমলে ইসকন এদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলো নিয়ন্ত্রণ করেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে তারা ইসকনদের জায়গা করে নিয়েছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় থেকে একদম রুট-লেভেল পর্যন্ত ইসকন পরিকল্পিতভবে তাদের লোকদের ঢুকিয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে এই বাংলাদেশ থেকে ইসকন'কে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসকনকে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, এদেশের তাওহীদি জনতা এবং ছাত্র সমাজ কখনো মেনে নিবে না। 'জেন-জি' যদি একবার ইসকনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেঁটে-পড়ে তাহলে এই বাংলায় ইসকনের কবর রচিত হতে বাধ্য।'
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, ‘ইসকন এই বিশ্বে ধর্ম প্রচার করছে না বরং তারা ধর্মের ছদ্মবেশে উগ্র হিন্দুত্ববাদকে প্রচার এবং প্রসার করার জন্য মাঠে নেমেছে। মুসলিম মা বোনদের নিয়ে তামাশা করছে। ইসকনের মত সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। সিঙ্গাপুর আফগানিস্তান সহ বিভিন্ন দেশে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। হিন্দুদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে বলা হয়েছে ইসকন তাদের ধর্ম প্রচারের কোন সংগঠন না। তারা উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রচার-প্রসারের জন্য এখানে আদা জল খেয়ে নেমেছে।’
আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এ বিষয়ে সরকারের উপর দেশি-বিদেশি কোন চাপ নেই। তারা গণহত্যার জন্য এখনো ভুল স্বীকার করেনি।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ফ্রী ফেয়ার একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনে সব দল একসাথে অংশগ্রহণ করবে।
বিগত শেখ হাসিনার সময়ের প্রতিটি নির্বাচনে তাদের পছন্দমত প্রার্থী কেনাবেচা হয়েছে। তাতে জনগণের কোন অংশগ্রহণ ছিল না।
শুক্রবার সকালে মাগুরা শহরের নবগঙ্গা পার্কে জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মৃতি স্তম্ভে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফুলেল শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদের ও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ পারভেজ।
তিনি আরও জানান, জুলাই সনদ বিষয়ে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই ঐক্যমত পোষণ করেছে। যে কয়েকটি দল এখনো স্বাক্ষর করেনি, তাদেরও সম্মতি রয়েছে।
জাতীয় ঐক্যমতের কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে বা পরে অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এ বিষয়ে সরকার এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, “জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারিতে। আরপিওতে ‘না ভোট’ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে একক প্রার্থী থাকলেও জনগণ প্রয়োজনে তাকে প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ পায়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ১৫% বাড়ী ভাড়া প্রজ্ঞাপণ জারী হওয়ায় অন্তবর্তীকালীন সরকারকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ র্যালী করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশীজোট পটুয়াখালী জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকগণ।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শহরের পৌরসভা চত্বর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট পটুয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক আয়োজনে র্যালীটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পটুয়াখালী সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে পটুয়াখালী সদর উপজেলা এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট আহবায়ক মো. অহিদুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব মো. সাখাওয়াত হোসেন এর সঞ্চালনায় ধন্যবাদ জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশীজোট পটুয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক এবং আনুষ্ঠানের সভাপতি সাইফুল মজিদ মোঃ বাহাউদ্দিন।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছোটবিঘাই মোক্তার ডিগ্রি কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ কামরূল আহসান, ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান, হাজীখালী আলিম মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মোঃ ফারুকুজ্জামান, খাসেরহাট স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ রশির উদ্দিন,জেলা শাখার সমন্বয়ক মোঃ সাজেদুল ইসলাম বাহাদুর, আবদুল কাউয়ুম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,আলহামদুলিল্লাহ মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট শতকোটি শুকরিয়া আদায় করছি। সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই প্রিয় অধ্যক্ষ আজিজুল হক স্যারকে এবং পটুয়াখালী জেলার শিক্ষক ভাইদের যারা কষ্ট করে আমাদের আন্দোলন কে সফল করেছেন।যাদের নাম না বললেই নয়। সৈয়দ কাইয়ুম ভাই, বশির স্যার,শফিক স্যার,মুস্তাফিজ স্যার,অহিদ সারওয়ার স্যার,মাসুম ছোট ভাই সাখাওয়াত, মাসুদ, জলিল স্যার সহ অনেক অনেক স্যারদের।সবাই দোয়া করবেন যেন ভবিষ্যতে শিক্ষকের যে কোন নায্য দাবি আদায় করতে সবাই একসাথে কাজ করতে পারি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে পাকিস্তানি হাইকমিশনার ইমরান হায়দার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: পাকিস্তানি হাইকমিশন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সাক্ষাৎকালে দু’দেশের সাম্প্রতিক যোগাযোগ ও মন্ত্রী পর্যায়ের সফরের প্রশংসা করেন উভয়পক্ষ। এর মধ্যে গত আগস্টে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়।
গত এপ্রিলে রাজধানীতে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ষষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ সভা সফলভাবে হওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়। এছাড়া দীর্ঘ বিরতির পর আগামী ২৭ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠককেও স্বাগত জানান উভয় পক্ষ।
উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, সম্প্রতি ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালুসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উভয় দেশ অগ্রগতি লাভ করেছে।
এ সময় তারা দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। পাশাপাশি একাধিক খাতে সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে পাকিস্তানি হাইকমিশনারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।বাসস
চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলায় আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে রমনা থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলাটি আদালতের নির্দেশে পুনরায় তদন্তাধীন থাকায় আসামিরা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে, সে জন্য রমনা থানা থেকে সংশ্লিষ্ট সব বিমান ও স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা হয়েছে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলার তদন্ত এখন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে।
তাই কোনো আসামি যেন দেশ ছাড়তে না পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এ মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেন অভিনেতার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। তবে এতে দ্বিমত পোষণ করে সালমান শাহর পরিবার।
তাদের দাবি, সালমান শাহকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
দীর্ঘ ২৯ বছর পর অভিনেতা সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলা রূপ নিয়েছে হত্যা মামলায়। গত ২০ অক্টোবর সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলাকে হত্যা মামলায় রূপান্তরের নির্দেশ দেন আদালত। মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেওয়া নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম।
সালমান শাহ হত্যা মামলায় সর্বমোট ১১ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হত্যা মামলায় প্রধান আসামি নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। অন্য ১০ আসামিরা হলেন প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রিজভী আহমেদ ফরহাদ।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে টাস্কফোর্সকে আরও ছয় মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
আদালতে এ হত্যা মামলায় বাদী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর তদন্ত থেকে র্যাবকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৬ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
পরে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধানকে আহ্বায়ক করা হয়।
টাস্কফোর্সের অন্য তিন সদস্য হলেন-পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ থেকে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক পদমর্যাদার একজন করে দুজন এবং র্যাব থেকে পরিচালক পদমর্যাদার একজন।
তবে ৬ এপ্রিল উচ্চ আদালতে অবকাশকালীন ছুটি থাকায় এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। এরপর ২২ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আরও ছয় মাস সময় দেওয়া হয়। তার ধারাবাহিকতায় রিট আবেদনটি আবার কার্যতালিকায় ওঠে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার এক কর্মকর্তা। একই সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর।
দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব)। সেই থেকে আজ পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।
এদিকে এ মামলার বাদী পক্ষে আইনি লড়াইয়ের জন্য গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর আইনজীবী শিশির মনিরকে নিযুক্ত করা হয়। ২০১২ সালে হত্যাকাণ্ডের পর তদন্ত ও আসামি গ্রেফতার নিয়ে জনস্বার্থে রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। সেই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি জারি করা রুলে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের খুনিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, সাগর-রুনি মামলার তদন্ত সঠিকভাবে করা এবং আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য ২০১২ সালে আমরা একটা রিট দায়ের করেছিলাম। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছিল। রুলে সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল। এরপর আমাদের পৃথক একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্ত র্যাবের কাছে চলে যায়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই মামলার চূড়ান্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি।
মন্তব্য