বাকলা এলাকার জুলফিকার আলী ফুট্টো নামে এক ব্যক্তির দোতলা ভবনটিতে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। কেন বা কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা এখনো জানা যায়নি।
বরিশাল নগরীর বাকলার মোড় এলাকায় একটি দোতলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার দুপুরে ঘটা এ অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ভবনের দোতলায় থাকা আসবাব পুড়ে গেছে।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে সদর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার হাসান আলী জানান, বাকলা এলাকার জুলফিকার আলী ফুট্টো নামে এক ব্যক্তির দুইতলা ভবনটিতে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে তদন্ত করে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
ধোবাউড়ায় সরকারি গোডাউন থেকে এভাবেই রিকশায় করে সরানো হচ্ছিল প্রণোদনার সার ও বীজ ধান। ছবি: নিউজবাংলা
মঙ্গলবার বিকেলে ধোবাউড়ার সরকারি গোডাউন থেকে কৃষকদের জন্য প্রণোদনার সার ও বীজ নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে জনতা। পরে কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা ও পুলিশ গিয়ে চারটি রিকশাভর্তি সার ও বীজ উদ্ধার করে।
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় সরকারি গোডাউন থেকে প্রণোদনার সার ও বীজ ধান সরানোর ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে এ কমিটি করা হয়। উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে এতে সদস্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফিকুজ্জামান।
মঙ্গলবার বিকেলে ধোবাউড়ার সরকারি গোডাউন থেকে কৃষকদের জন্য প্রণোদনার সার ও বীজ নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে কৃষি অফিসের কর্মকর্তা ও পুলিশ গিয়ে চারটি রিকশা থেকে ১০ কেজির ৩৬ প্যাকেট বীজ ধান এবং ২৮ বস্তা সার উদ্ধার করে।
এসব বীজ অন্তত ৭২ জন কৃষকের মধ্যে বিতরণ করার কথা ছিল। ২৮ বস্তা সার পেতেন ৩৬ কৃষক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার তুষার জানান, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটিকে সাত দিন সময় দেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে করা জড়িত তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফিকুজ্জামান বলেন, ‘কৃষকদের জন্য প্রণোদনার সার ও বীজ সরকারি গোডাউন থেকে পাচার হওয়ায় অপ্রত্যাশিত। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ইউএনও ও চেয়ারম্যান জানান, কয়েকটি বাড়ির টিনের চালাগুলো ফুটো হয়ে গেছে শিলার আঘাতে। অনেকের ঘর ভেঙে গেছে, কার ঘরের ওপর উপরে পড়েছে গাছ। এ সময় আহত বেশ কয়েক জন স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছ থেকে সেবা নিচ্ছেন। শিলা পড়ে বোরো ধানও নষ্ট হয়ে গেছে।
পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় হঠাৎ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে কয়েকটি গ্রামের বসতঘর। গাছপালা উপড়ে পড়েছে রাস্তায়, আহতও হয়েছেন কয়েক জন।
উপজেলায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে প্রায় ২৫ মিনিট ধরে চলা ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে ফসলি জমিরও।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা নিউজবাংলাকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি ও উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু বলেন, ঝড় ও শিলাবৃষ্টি বয়ে গেছে তেতুলিয়ার গিতালগছ, ডিমাগজ, প্রধানগজ, বৈরাগীগজ, শান্তিনগর, কির্তনপাড়া, কুড়ানুগজসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে।
গ্রামগুলোর কয়েকটি বাড়ির টিনের চালাগুলো ফুটো হয়ে গেছে শিলার আঘাতে। অনেকের ঘর ভেঙে গেছে, কার ঘরের ওপর উপরে পড়েছে গাছ। এ সময় আহত বেশ কয়েক জন স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছ থেকে সেবা নিচ্ছেন। তবে ঠিক কত জন আহত হয়েছেন তা নিশ্চিত করা যায়নি।
চেয়ারম্যান জানান, শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ধানের গাছগুলো মাটিতে পড়ে গেছে। এতে কৃষকরা মুষড়ে পড়েছেন।
ডিমাগজ গ্রামের কৃষক রেজাউল ইসলাম জানান, তার বোরোর আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে, ঘরের টিনের চালাও ভেঙে গেছে। করোনার মধ্যে আবার এসব ক্ষতি, সব মিলিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেনে তিনি।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো ঘুরে দেখেছেন। ইউএনও সোহাগ বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির জন্য বলা হয়েছে। প্রশাসন থেকে তাদের সহায়তা করা হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার হন সাংবাদিক আবু তৈয়ব। ছবি: নিউজবাংলা
সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের করা মামলায় মঙ্গলবার শহরের নূর নগরে নিজ বাসভবন থেকে আবু তৈয়বকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়রের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক আবু তৈয়ব জামিন পাননি।
১৪ সদস্যের আইনজীবী প্যানেল বৃহস্পতিবার খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের ভার্চুয়াল আদালতে আবু তৈয়বের জামিনের জন্য আবেদন করলে বিচারক গোলাম সরোয়ার তা নাকচ করেন।
প্যানেল প্রধান ও আবু তৈয়বের আইনজীবী বেগম আক্তার জাহান রুকু বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে আমরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করবো’।
বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির খুলনা ব্যুরো প্রধান ও স্থানীয় দৈনিক লোকসমাজের সাংবাদিক আবু তৈয়বকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন। সংগঠনের পক্ষ থেকে তার দ্রুত মুক্তির দাবি করা হয়েছে।
সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক সদর থানায় মামলা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের নূর নগরে নিজ বাসভবন থেকে তৈয়বকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম জানান, মেয়র খালেকের বিরুদ্ধে মোংলা কাস্টমসের শুল্ক ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ এনে ফেসবুকে পোস্ট দেন তৈয়ব। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মামলা করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, আবু তৈয়ব মেয়রকে জড়িয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮/১ এর ধারা ২৫(২), ২৯(১), ৩১(১), ৩১(২) ধারায় মামলা হয়েছে।
ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে বুধবার সকালে আবু তৈয়বকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম।
মামলায় বলা হয়, তাহমিনার স্বামী হুমায়ুন কবির প্রবাসী। তার শ্বশুর ঢাকায় চাকরি করেন। সংসারের খরচসহ নানা বিষয় নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে তাহমিনার কলহ চলছিল। বুধবার রাতে রহিমার সঙ্গে পুত্রবধূর কথা-কাটাকাটি হয়। সকালে তাদের কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজ নিতে যান প্রতিবেশিরা।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শাশুড়িকে হত্যা মামলায় পুত্রবধূকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রামগঞ্জ আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরী বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের রাঘবপুর গ্রামের নিজ ঘর থেকে রহিমার মরদেহ উদ্ধার হয়। আটক করা হয় গৃহবধূ তাহমিনাকে। পরে পুলিশের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলায় বলা হয়, তাহমিনার স্বামী হুমায়ুন কবির প্রবাসী। তার শ্বশুর ঢাকায় চাকরি করেন। সংসারের খরচসহ নানা বিষয় নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে তাহমিনার কলহ চলছিল।
বুধবার রাতে রহিমার সঙ্গে পুত্রবধূর কথা-কাটাকাটি হয়। সকালে তাদের কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজ নিতে যান প্রতিবেশিরা। এ সময় খাটের ওপর শাশুড়িকে ও মেঝেতে পুত্রবধূকে দেখতে পান তারা।
পুলিশ শাশুড়ির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়। আর অচেতন থাকা ওই তাহমিনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউন চলাকালে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের পাশাপাশি অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীরাও সরকারী ত্রাণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে না। আমরা চাই এই পরিস্থিতিতে কেউ অনাহারে ও কষ্টে থাকবে না।’
লকাডাউনে কর্মহীন ট্রান্সজেন্ডার, নাপিত ও চর্মকারদের পর এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো উপহার সামগ্রী পেয়েছেন চট্টগ্রামের চারশ প্রতিবন্ধী।
নগরীর কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে বৃহস্পতিবার উপহারগুলো বিতরণ করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার।
প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো এসব উপহারে ছিল আট কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি ছোলা, দুই কেজি আলু, এক কেজি চিনি ও একটি সাবান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জামশেদ খোন্দকার বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউন চলাকালে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের পাশাপাশি অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীরাও সরকারী ত্রাণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে না। কর্মহারা বা কষ্টে আছে এমন প্রত্যেককে ত্রাণের আওতায় আনতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা চাই এই পরিস্থিতিতে কেউ অনাহারে ও কষ্টে থাকবে না।’
তিনি জানান, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে সাহায্য নিতে সংকোচ করছেন, তাদের ফোন বা ক্ষুদেবার্তা পেয়ে উপহার সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
লকডাউনে কাজ হারানো সবাইকেই পর্যায়ক্রমে এই উপহার কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক শহীদুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা বিনতে আমিনসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
‘অপহরণ হওয়া’ আতিকুল ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা
পিবিআই জানায়, গত ২০ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ সদর থানায় গিয়ে আতিকের বাবা নেজাব আলী লিলি মার্কেটিংয়ের সোহাগের বিরুদ্ধে আতিককে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন। পুলিশ ২৬ জানুয়ারি সোহাগকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। সে সময় সোহাগের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আতিক আত্মগোপনে আছেন। তবে তা আমলে নেয়নি পুলিশ।
সিরাজগঞ্জ সদরে তিন মাস পর অপহৃত এক ব্যক্তিকে বহালতবিয়তে কারখানায় কর্মরত অবস্থায় পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, আগের কর্মস্থলের মালিককে ফাঁসাতে ওই ব্যক্তি অপহরণের নাটক করেছিলেন। অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ওই মালিক এখন জেল খাটছেন।
‘অপহৃত’ আতিকুল ইসলামকে বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকার এন জেড টেক্সটাইল নামের একটি পোশাক কারখানা থেকে আটক করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে পিবিআই কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, আতিকুল ইসলামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের ধুকুরিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে। প্রায় ৯ মাস আগে লিলি মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানে তিনি মার্কটিং অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। সে সময় মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন।
পরে জান্নাতুল মার্কেটিং কোম্পানি নামের দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করেন আতিক। অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি জানতে পেরে লিলি মার্কেটিং কোম্পানির মালিক মো. সোহাগ আতিককে ফোন করেন। ফোনে এ নিয়ে তাদের তর্কাতর্কি হয়।
সেই ফোন রেকর্ড ব্যবহার করে সোহাগকে ফাঁসাতে পরিকল্পনা করেন আতিক। সে মোতাবেক পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে তিনি আত্মগোপনে যান।
জেলা পিবিআইয়ের এসপি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২০ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ সদর থানায় গিয়ে আতিকের বাবা নেজাব আলী লিলি মার্কেটিংয়ের সোহাগের বিরুদ্ধে আতিককে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন। পুলিশ ২৬ জানুয়ারি সোহাগকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
সে সময় সোহাগের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আতিক আত্মগোপনে আছেন। তবে তা আমলে নেয়নি পুলিশ। পরে তারা বিষয়টি পিবিআইকে জানালে, কর্মকর্তারা তা আমলে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আতিকের অবস্থান শনাক্ত করেন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতার ওই কারখানায় কর্মরত অবস্থায় আতিককে আটক করে সিরাজগঞ্জ সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে পিবিআই।
এসপি রেজাউল আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগকে ফাঁসাতে অপহরণ নাটকের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে স্বীকারও করেছেন আতিক।
রেজাউল বলেন, ‘অপহরণের নাটক সাজানো ও একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে মামলা দিয়ে জেলে রাখার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরও জানান, বিনা দোষে কারাগারে থাকা সোহাগের ব্যাপারেও আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুড়িগ্রামে কওমি মাদ্রাসার এক শিশুশিক্ষার্থীকে পেটানো সেই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
ওসি আলমগীর জানান, নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার অভিযোগ নেই। তবে শিশু আইনে যে কেউ বাদী হতে পারে। ফলে পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
কুড়িগ্রামে নির্ধারিত বাড়ির কাজ জমা না দেয়ার অপরাধে কওমি মাদ্রাসার এক শিশুশিক্ষার্থীকে পেটানো সেই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বাদী হয়ে ২০১৩ সালের শিশু আইনের ৭০ ধারায় একটি মামলা দিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে কারাগারে পাঠায়।
গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক আবু সাইদ পাথরডুবি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ঢেবঢেবি বাজারে কিসমত-কুলসুম কওমি নুরানি ও হাফেজি মাদ্রাসার লাম নামের সাত বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
পরে অভিযুক্ত শিক্ষক সাইদকে বুধবার গভীর রাতে উপজেলা সদরের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনের রাস্তা থেকে আটক করা হয়।
ওসি আরও জানান, নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার অভিযোগ নেই। তবে শিশু আইনে যে কেউ বাদী হতে পারে। ফলে পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
১৯ এপ্রিল ওই শিক্ষক মাদ্রাসার দ্বিতীয় জামাতে সাত বছরের শিক্ষার্থী লামকে বেদম মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিও দেখে ওই শিক্ষার্থীর বাবা পাথরডুবী বাজারের বাসিন্দা মোতালেব হোসেন জানতে পারেন তার সন্তানকে এ রকম নির্যাতন করা হয়েছে। ওই দিন বিকেলেই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসায় একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন করে অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিষ্কার করে।
মন্তব্য