× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
রায় শুনেই বাদীর ওপর হামলা
google_news print-icon

রায় শুনেই বাদীর ওপর হামলা

রায়-শুনেই-বাদীর-ওপর-হামলা
মাগুরায় রায় ঘোষণার পর বাদীর উপর হামলা করে আসামি পক্ষের লোকজন।
রায় শুনে আদালতের ভিতরেই বাদীর উপর হামলা করে আসামিপক্ষের কয়েকজন নারী। পরে বাদীকেও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠে।

বিচার শেষ হতে লেগেছে ১৬ বছর। ২০০৫ সালের এক হত্যা মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। রায় শুনেই আদালতে আসামিপক্ষের কয়েকজন নারী বাদীদের উপর হামলা চালায়।

মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরা জেলা আদালতে। মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় শোনার পরই হামলা হয় বাদীদের উপর। এ সময় আদালতের ভিতরে হইচই শুরু হলে কয়েক মিনিটের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আদালত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামের আলতু লস্কর, ইদ্রিস আলী ও কাসেম লস্কর।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি আর্থিক বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন উপজেলার খালিয়া গ্রামের মাহাবুবুর রহমানের ছেলে রাজু আহম্মেদ। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের চাচা হাফিজুর রহমান বিশ্বাস পাঁচ জনের নামে মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলা চলা অবস্থায় বাদী হাফিজার রহমানের মৃত্যু হয়।

পরে নিহতের বাবা মাহাবুবুর রহমান বাদী হিসেবে মামলা সক্রিয় রাখেন। ২০০৬ সালে ওই মামলায় পুলিশ চারজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

মাগুরার জজ কোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মসিয়ার রহমান নিউজবাংলাকে জানান, পুলিশ যে চারজনের নামে অভিযোগপত্র দিয়েছিল তাদের মধ্যে হিরু লস্কর মারা গেছেন। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বাকি তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে দুজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর ইদ্রিস আলী পলাতক।

আইনজীবী জানান, দুপুরে মামলার রায় ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ হয়ে আসামি পক্ষের পরিবারের কয়েকজন নারী সদস্য। তারা হামলা চালায় মামলার বাদী মাহাবুবুর রহমানের ওপর। পরে পুলিশের সহায়তায় হতাহতের ঘটনা ছাড়াই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

মাহাবুবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর পর হলেও ছেলের হত্যার একটা বিচার হয়েছে। মামলার প্রথম বাদী ছিলেন আমার ভাই। তিনি বেঁচে থাকলে সব থেকে বেশি খুশি হতেন। তারা এমন খারাপ যে, রায় শোনামাত্র আদালতে সবার সামনে আমার উপর হামলা করে। চিৎকার করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। আমিও আতঙ্কে আছি।’

মাগুরার জজ আদালতের পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহজাহান সিরাজ নিউজবাংলাকে জানান, ‘এই রায় নিয়ে আগে থেকে উত্তেজনা ছিল। তাই পুলিশ রায়ের সময়টা সতর্ক অবস্থানে ছিল। রায় ঘোষণার পর আকস্মিকভাবে আসামিপক্ষের কয়েকজন নারী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা বাদীর উপর হামলা চালাতে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

তিনি আর বলেন, ‘বাদীকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে।’

আরও পড়ুন:
‘ছাত্রদল নেতা’ থেকে জঙ্গি, পরে গ্রেনেড হামলায়
২১ আগস্ট নিজে গ্রেনেড ছুড়েছিল ইকবাল: র‌্যাব
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: দণ্ডিত ইকবাল গ্রেপ্তার
শেরপুরে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা, নিহত ১
সাংবাদিককে মারধর: উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
MA Mannan from prison to hospital

কারাগার থেকে হাসপাতালে এম এ মান্নান

কারাগার থেকে হাসপাতালে এম এ মান্নান এম এ মান্নান। ফাইল ছবি
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সাখাওয়াত হোসেন রুবেল জানান, শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীকে চেকআপের জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করেন। তার নিরাপত্তায় জেল পুলিশের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয়া হয়েছে।

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ মান্নানকে সিলেটের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কড়া নিরাপত্তায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।

সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এম এ মান্নানকে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে তিনি মেডিসিন বিভাগের কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সাখাওয়াত হোসেন রুবেল জানান, শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীকে চেকআপের জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করেন। তার নিরাপত্তায় জেল পুলিশের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয়া হয়েছে।

এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর বুকে ব্যথা রয়েছে। এ ছাড়া তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মেডিসিন বিভাগের কেবিনে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের আবেদন করা হয়েছে।

এম এ মান্নানকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন তাকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এর পর থেকে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে ছিলেন।

সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে থাকা অবস্থায় শনিবার সকালে অসুস্থ বোধ করলে সাবেক এমপিকে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে ওসমানীতে চেকআপ শেষে তাকে সিলেট কারা হাসপাতালে নেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
পৃথক চার মামলায় ৩৮৮ আনসার সদস্য কারাগারে
কয়েদি বিদ্রোহ: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে 
জামালপুর কারাগারে বন্দিদের বিদ্রোহ: ছয়জন নিহত, আহত ১৯
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, গুলিতে নিহত ৬

মন্তব্য

সারা দেশ
Two Indians detained at Akhaura border

আখাউড়া সীমান্তে দুই ভারতীয় আটক

আখাউড়া সীমান্তে দুই ভারতীয় আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক দুই ভারতীয় নাগরিক। ছবি: বিজিবি
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আটককৃত ভারতীয় নাগরিক এবং মানব পাচারকারী দালালচক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করত ভারতীয় নাগরিকদের আখাউড়া থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত থেকে দুজন ভারতীয় নাগরিককে আটক করার কথা জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বাহিনীটি মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

সরাইল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অদ্য ০৮ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখ সকাল ০৭০০ ঘটিকায় বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) ফকিরমোড়া বিওপির টহলদল দায়িত্বপূর্ণ আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী আব্দুল্লাপুর নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে পান্না রানী দেব (৫৪) নামের একজন ভারতীয় নারী ও তার ছেলে অভি দাশকে (১৮) আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটককৃতরা ভারতের ধলায় জেলার কমলপুর থানার মানিক ভান্ডার এলাকার জহর লাল দাসের স্ত্রী-সন্তান।

‘আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ৭ দিন পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা জেলার রামনগর থানার সরমালংগা গ্রামের বাসিন্দা ও মানব পাচারকারী দালাল মানিক দাশের সহযোগিতায় অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত হতে বাংলাদেশে আসে এবং কিশোরগঞ্জ জেলায় তার শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করে। আজ আখাউড়ার হিরাপুর গ্রামের বাছির মিয়ার ছেলে ও মানব পাচারকারী দালাল মো. তোফাজ্জল হোসেন এবং নূরুল মিয়ার ছেলে মো. তৌহিদ মিয়ার সহযোগিতায় সীমান্ত পিলার ২০২২/৭-এস-এর নিকট দিয়ে ভারতে ফেরত যাচ্ছিল।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আটককৃত ভারতীয় নাগরিক এবং মানব পাচারকারী দালালচক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করত ভারতীয় নাগরিকদের আখাউড়া থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
আ.লীগ নেতাদের দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য বিজিবি এককভাবে দায়ী নয়
বেনাপোল সীমান্তে শিশুসহ ভারতীয় নারী আটক
বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া দুই ভারতীয় আটক
এবার লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
ভারত থেকে ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

মন্তব্য

সারা দেশ
Flood Fish worth 71 crore washed away in Sherpur

বন্যা: শেরপুরে ভেসে গেছে ৭১ কোটি টাকার মাছ

বন্যা: শেরপুরে ভেসে গেছে ৭১ কোটি টাকার মাছ শেরপুরের একটি মাছের ঘের। ছবি: নিউজবাংলা
জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, এ বছর শেরপুরে ৩৩ হাজার ১৭৯টি পুকুরে মাছ চাষ করছেন ১৮ হাজার ১৩৫ জন চাষি। আর প্রতি বছর এ জেলায় উৎপাদন হয় গড়ে ৩৫ হাজার ২৪০ টন মাছ। বন্যায় ভেসে যায় সাত হাজার ৩০০ পুকুরের ৭১ কোটি টাকার মাছ।

শেরপুরের এবারের বন্যায় পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন ঘের থেকে ৭১ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য বিভাগ।

এমন বাস্তবতায় চাষিরা বলছেন, ঠিক সময়ে বন্যার পূর্বাভাস পেলে ক্ষতি কমানো যেত।

টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে সৃষ্ট বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সোমবার দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় এ উন্নতি হয়।

জেলার চারটি পাহাড়ি নদীর পানি আরও কমেছে। এসব নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শেরপুরের ৫ উপজেলায় পানিবন্দির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজারে।

জেলায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্র, দশানী ও মৃগী নদীতে। পানি বৃদ্ধি পেলেও এসব নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

এদিকে গত চার দিনে বন্যার পানিতে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়।

ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ বন্যায় বিপর্যস্ত হয় শেরপুর। তলিয়ে যায় বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি, তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মৎস্য খাত।

মাছচাষি রাকিবুল মিয়া বলেন, ‘বহু মাছ চলে গেছে। দুই-আড়াই ঘণ্টার মধ্যে সব তলিয়ে গেছে। যত প্রজেক্ট আছে এখানে, সব মাছ ভেসে চলে গেছে।’

আরেক মাছচাষি খাইরুল বলেন, ‘বন্যার পূর্বাভাস না থাকায় কোনো প্রস্তুতি নিতে পারি নাই। এ জন্যই ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। আমাদের প্রজেক্টের মাছ বাইরে চলে গেছে। আর এদিকে বিভিন্ন জায়গা থেকে মেরে বিক্রি করতাছে।

‘আর মানুষ কম দামে পেয়ে আনন্দ করে কিনতাছে, কিন্তু আমরা তো বুঝতাছি কেমন ক্ষতি হইছে আমাদের।’

মাছচাষি নাইম বলেন, ‘আগে যদি আমরা জানতাম বা কেউ যদি জানাত, তাহলে আমাদের এত ক্ষতি হতো না। আগে জানলে তো আর এই অবস্থায় থাকত না।

‘সব জাল দিয়ে ঘিরে রাখতাম। আমার ৫ লাখ টাকার মাছ ছিল। সব শেষ।’

জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, এ বছর শেরপুরে ৩৩ হাজার ১৭৯টি পুকুরে মাছ চাষ করছেন ১৮ হাজার ১৩৫ জন চাষি। আর প্রতি বছর এ জেলায় উৎপাদন হয় গড়ে ৩৫ হাজার ২৪০ টন মাছ। বন্যায় ভেসে যায় সাত হাজার ৩০০ পুকুরের ৭১ কোটি টাকার মাছ।

এবারই স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে এ অঞ্চলের মাছচাষিরা।

শেরপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে আমরা এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

‘তারা যদি সরকারি ব্যাংকগুলো থেকে আমাদের কোনো সহযোগিতা দেয়, তাহলে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
বন্যাদুর্গতদের সহায়তা অব্যাহত ইসমাইলি সিভিক বাংলাদেশের
বন্যা: মিয়ানমারে মৃত বেড়ে ৩৮৪
বন্যা: মিয়ানমারে মৃত বেড়ে প্রায় ৩০০
সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা
বন্যা: মিয়ানমারে প্রাণহানি বেড়ে ২২৬

মন্তব্য

সারা দেশ
By 2050 54 percent of people will live in cities
আলোচনা সভায় বক্তা

দেশে ২০৫০ সালের মধ্যে শহরে থাকবে ৫৪ শতাংশ মানুষ

দেশে ২০৫০ সালের মধ্যে শহরে থাকবে ৫৪ শতাংশ মানুষ ঢাকা শহরের বিভিন্ন ভবন। ফাইল ছবি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. আহসানুল কবীর বলেন, নগরে মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরভিত্তিক সেবার ওপর চাপ বাড়বে। এ নগরায়নের ফলে পরিবেশ দূষণ, বস্তির সংখ্যা বৃদ্ধি, অসমতা ও নিরাপত্তাহীনতার মতো সংকট বাড়তে পারে। তাই অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর পরিকল্পনা প্রণয়নের বিকল্প নেই।

বাংলাদেশে ২০৫০ সালের মধ্যে ৫৪ শতাংশ মানুষ শহরে বসবাস করবে বলে জানিয়েছেন একটি আলোচনা সভার এক বক্তা।

খুলনায় বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে সোমবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এ কথা জানান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. আহসানুল কবীর।

তিনি বলেন, নগরে মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরভিত্তিক সেবার ওপর চাপ বাড়বে। এ নগরায়নের ফলে পরিবেশ দূষণ, বস্তির সংখ্যা বৃদ্ধি, অসমতা ও নিরাপত্তাহীনতার মতো সংকট বাড়তে পারে। তাই অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর পরিকল্পনা প্রণয়নের বিকল্প নেই।

আহসানুল আরও বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য জুতসই বাসস্থান ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা দরকার। শহরাঞ্চলে গণপরিবহনের জন্য জায়গা কমিয়ে কেবল ব্যক্তিগত যান চলাচলের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে, এমন উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন নাগরিক সাম্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ।

তিনি বলেন, মানব সভ্যতার শুরু থেকেই নিরাপদ বসতি একটি মৌলিক চাহিদা। নগরের পরিকল্পনা তৈরির সময় ওই স্থানের প্রকৃতি, পরিবেশ ও পানি প্রবাহের প্রাকৃতিক পথের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে। একই সঙ্গে নাগরিকের চাহিদা এবং সমস্যার দিকগুলোও মাথায় রাখতে হবে।

হেলাল বলেন, প্রতিটি এলাকার বসতি নির্মাণের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। জলবায়ুগত ভিন্নতার কারণে স্থাপনার নির্মাণ উপকরণ ও নকশায় ভিন্নতা আনার দরকার হয়। এ ক্ষেত্রে বিস্তৃত ও গবেষণাভিত্তিক পরিকল্পনা থাকতে হবে।

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মিছবাহ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আইএবি খুলনা কেন্দ্রের আহ্বায়ক গৌরী শংকর রায়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আবু জাকির মোর্শেদ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের খুলনা চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান আবির-উল-জব্বার।

আরও পড়ুন:
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিখোঁজ কর্মীকে উদ্ধার
খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে তিন শ্রমিক নিহত
উপাচার্য হিসেবে সেনা কর্মকর্তা চান নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৫০
ক্ষমতার হাতবদল, চাঁদাবাজি বহাল

মন্তব্য

সারা দেশ
Awami League leader accuses BNP leader of occupying Jalmahal 

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জলমহাল দখলের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার 

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জলমহাল দখলের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার  জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে সোমবার বিকেলে কয়েকজন বিএনপি নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ কমল। ছবি: নিউজবাংলা
কমলের অভিযোগ, হঠাৎ করে সরকার পতনের সুযোগ নিয়ে অনিতা রানী দাসের যোগসাজশে হুমাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হেলাল খান জলমহালটি দখল করে নেন।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ক্ষমতার পালাবদলের পর এক আওয়ামী লীগ নেতার লিজ নেয়া কোটি টাকার সরকারি জলমহাল দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার বিরুদ্ধে।

জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে সোমবার বিকেলে কয়েকজন বিএনপি নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ কমল।

ওই সময় বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, হুমাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রাশিদ ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আদেল উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোস্তাক আহমেদ কমল অভিযোগ করেন, তিনি অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর জলমহালটি এক বছরের জন্য ৭৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৪১ টাকায় লিজ নেন। ভাটিনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি অনিতা রানীর নামে জলমহাল লিজ নেয়া হলেও সব টাকা পরিশোধ করেন আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ কমল, তবে জলমহালটি পরিচালনা করছিলেন অনিতা রানীসহ ছয়জন মিলে।

কমলের অভিযোগ, হঠাৎ করে সরকার পতনের সুযোগ নিয়ে অনিতা রানী দাসের যোগসাজশে হুমাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হেলাল খান জলমহালটি দখল করে নেন।

মিথ্যা মামলা দায়েরসহ নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মোস্তাক আহমেদ কমল।

জলমহালের মালিকানা উদ্ধারে প্রশাসনের কাছে আবেদন করাসহ উপজেলা বিএনপির নেতাদের সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা হেলাল খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেগুলো রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া অনিতা রানীর নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:
সব কূল হারিয়ে বিপাকে বিএনপিপন্থি সাত কাউন্সিলর
সংস্কারের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন
ইউপি বহাল রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: বিএনপি
ইটনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
কাশিমপুর কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কিশোরগঞ্জে গ্রেপ্তার

মন্তব্য

সারা দেশ
Expired committee of Chhatra Dal in Barisal University is cancelled 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের লোগো। ফাইল ছবি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬ সালে ছাত্রদলের প্রথম আংশিক কমিটি গঠিত হয় রেজা শরিফকে সভাপতি করে। পরে ২০২১ সালে রেজা শরিফ ও হাসান আল হাসিবকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।  

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শাখা ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রাহাত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে কমিটি বিলুপ্তির বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।

দ্রুত কমিটি দেয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিটিতে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয় ২০২১ সালে। এর তিন বছর পর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করল সংগঠনটি।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ এ কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে হলের কক্ষ দখল, ছাত্রলীগকে প্রশ্রয়সহ বেশ কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বিতর্ক ও চাপের মুখে অবশেষে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করা হলো।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬ সালে ছাত্রদলের প্রথম আংশিক কমিটি গঠিত হয় রেজা শরিফকে সভাপতি করে। পরে ২০২১ সালে রেজা শরিফ ও হাসান আল হাসিবকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন:
আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে ছাত্রদল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৫০
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রক্টরসহ ১৯ জনের পদত্যাগ
উপাচার্যের পদত্যাগের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান ববি শিক্ষার্থীদের
শাহবাগে ছাত্র আন্দোলন ও শহীদ মিনারে ছাত্রদলের অবস্থান

মন্তব্য

সারা দেশ
434 tons of hilsa went to India in eight days through Benapole

বেনাপোল দিয়ে আট দিনে ভারতে গেল ৪৩৪ টন ইলিশ

বেনাপোল দিয়ে আট দিনে ভারতে গেল ৪৩৪ টন ইলিশ বেনাপোল বন্দরে ২৬ সেপ্টেম্বর চালানের ইলিশের মান পরীক্ষা করা হচ্ছে (বাঁয়ে); রপ্তানি করা ইলিশ। ছবি ও কোলাজ: নিউজবাংলা
ইলিশ রপ্তানির সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত ‌আটদিনে ১৩৬টি ট্রাকে ৪৩৪ টন ৩০০ কেজি ইলিশ ভারতে গেছে। ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি হবে। প্রতি কেজি ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে ১০ ডলার দরে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ১৮০ টাকা।

ইলিশ রপ্তানির সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত ‌আটদিনে ১৩৬টি ট্রাকে ৪৩৪ টন ৩০০ কেজি ইলিশ ভারতে গেছে। প্রতি কেজি ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে ১০ ডলার দরে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ১৮০ টাকা।

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২০টি ট্রাকে ৫৪ টন ৪৬০ কেজি, শনিবার ১৫ ট্রাকে ৪৫ টন ২০০ কেজি, রোববার ছয়টি ট্রাকে ১৯ টন, সোমবার ৩০টি ট্রাকে ৮৯ টন, মঙ্গলবার ২৩টি ট্রাকে ৬৯ টন ৬৪০ কেজি, বৃহস্পতিবার ৩০ ট্রাকে ৯২ টন, শনিবার ১৩টি ট্রাকে ৪২ টন এবং সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত পাঁচটি ট্রাকে ট্রাকে ২৩ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।

বেনাপোলে মাছ কিনতে আসা কামাল হোসেন জানান, সোমবার বেনাপোল মাছ বাজারে প্রতি এক কেজি বা তার চেয়ে ওজনের ইলিশ এক হাজার ৮০০ থেকে দু’হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সে হিসাবে একই আকারের ইলিশ ছয়শ’ থেকে আটশ’ টাকা কমে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে।

দেশের বাজার দরের তুলনায় কম দামে ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। ইলিশের দেশীয় বাজার দরের সঙ্গে সংগতি রেখে দাম সমন্বয় করা উচিত।’

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঁচটি ট্রাকে ২৩ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এ নিয়ে আট দিনে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হলো ৪৩৪ টন ৩০০ কেজি। আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে ইলিশ রপ্তানি হবে।

আরও পড়ুন:
ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু, প্রথম চালানে গেল ১৮ টন
ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ভারতের অনুরোধে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন: উপদেষ্টা
সুনামগঞ্জ সীমান্তে আবারও ইলিশের চালান আটক
দুর্গাপূজা: ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন

মন্তব্য

p
উপরে