প্রতীকী ছবি
এসআই মো. সাইফুল জানান, ওই বাড়ি থেকে একজন ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে হত্যার বিষয়টি জানান। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবুলকে আটক করেন।
৯৯৯-এ কল পেয়ে নোয়াখালীর সেনবাগে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার ৬ নম্বর কাবিলপুর ইউনিয়নের ছাদেকপুর গ্রামে মঙ্গলবার সকালে আব্দুর রব বাবুলকে আটক করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা নিউজবাংলাকে জানান, তাহমিনা আক্তার মিনা ও তার স্বামী আব্দুর রব বাবুলের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এর জেরে মঙ্গলবার সকালে তাদের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে ছোরা দিয়ে মিনাকে গলা কেটে হত্যা করেন বাবুল।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল জানান, ওই বাড়ি থেকে একজন ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে হত্যার বিষয়টি জানান। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবুলকে আটক করেন।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্ত বাবুল প্রবাসী ছিলেন। বাড়িতে আসার পর থেকে তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি বাতেন। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
২ শিশু চুরির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার। ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ সুপার জানান, আটক সাতজনের একজন আল্পনা জিজ্ঞাসাবাদের ২ শিশু চুরির দায় স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, সন্তান না হওয়ায় সংসার টিকিয়ে রাখতে এক নবজাতককে চুরি করেন তিনি। শিশুটি মারা যাওয়ায় আরেক শিশুকে চুরি করা হয়।
সন্তান না হওয়ায় পরিবারের সহায়তায় দুই শিশুকে চুরি করেন সিরাজগঞ্জের উল্লাহপাড়ার আলোকদিয়া গ্রামের আল্পনা খাতুন। এমন তথ্য জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম।
দুই শিশু চুরি হওয়ার ঘটনা নিয়ে রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসপি জানান, এ ঘটনায় আটক সাতজনের একজন আল্পনা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশু চুরির অভিযোগ স্বীকার করেছেন। প্রথমে চুরি করা এক শিশু মারা যাওয়ায় চারদিন পর হাসপাতাল থেকে আরেক শিশুকে চুরি করেন অভিযুক্তরা।
এসপি বলেন, ‘আল্পনা জানিয়েছেন, সন্তান না হওয়ায় স্বামী তাকে ছেড়ে আরেকজনকে বিয়ে করার হুমকি দেয়। এর পর গর্ভধারণের মিথ্যা দাবি করে মাস কয়েক আগে মা সয়রন বিবির কাছে চলে আসেন তিনি।’
এরপর মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির পরিকল্পনা করেন আল্পনা।
পুলিশের দাবি, এরপর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের এক পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সঙ্গে যোগসাজশ করে মঙ্গলবার দুপুরে ২৩ দিনের শিশু মাহিনকে চুরি করেন তারা।
তবে শিশুটির মৃত্যু হওয়ায় শনিবার আবার সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে তারা চুরি করেন সদ্যজাত সামিউলকে।
এসপি বলেন, আলোকদিয়া গ্রামের মসজিদের মাইকে দুই শিশু চুরির ঘটনার ঘোষণার পর স্থানীয় লোকজন সন্দেহের বশে আল্পনা ও তার পরিবারের বিষয়ে পুলিশকে জানায়। এরপর অভিযান চালিয়ে আল্পনা, তার মা ও ভাই ও জেনারেল হাসপাতালের এক পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ সাত জনকে আটক কর হয়।
আল্পনার বাড়ি থেকে শিশু সামিউলকে জীবিত ও মাহিনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
এসপি জানান, আটক সাতজনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এর আগে মঙ্গলবার শিশু মাহিন চুরির ঘটনায় তার বাবা চয়ন ইসলাম অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন।
আর হাটিকুমরুল সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে শনিবার শিশু সামিউল খোয়া যাওয়ার পর তার বাবা আব্দুল মাজেদ অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে সলঙ্গা থানায় মামলা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে খুন করা হয় আকবর আলীকে। ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই মাঝরাতে দুর্বৃত্তরা তাকে খুন করে নাকশা বাজারে তার দোকানের সামনে ফেলে যায়।
খুলনায় কয়রা উপজেলার নাকশা গ্রামের শেখ আকবর আলী হত্যা মামলায় আদালত পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন দিয়েছে। প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
খুলনা জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন রোববার দুপুর ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম ইলিয়াস খান এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- পাইকগাছা উপজেলার ধামরাইল গ্রামের মামুন গাজী, কয়রা উপজেলার নাকশা গ্রামের শেখ মোশারেফ হোসেন, মতিয়ার রহমান, নুরুর রহমান জেবা ও সাজিদুর রহমান বাকু।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে খুন করা হয় আকবর আলীকে। ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই মাঝরাতে দুর্বৃত্তরা তাকে খুন করে নাকশা বাজারে তার দোকানের সামনে ফেলে যায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম ইলিয়াস খান বলেন, ‘ঘটনার রাতে আকবর আলী তার ওষুধের দোকানে ঘুমাচ্ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি সেহরি খাওয়ার জন্য দোকান থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে তাকে দোকানের সামনে ফেলে রেখে যায়।’
পরে ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে শেখ রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে কয়রা থানায় ছয়জনের নামে ২৬ জুলাই মামলা করেন। মামলা চলাকালে শেখ কামরুল ইসলাম নামের এক আসামির মৃত্যু হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সুবীর দত্ত ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর আসামিদের নাম উল্লেখ করে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দেন। মামলায় ২১ জন সাক্ষ্য দেন।
ওই মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শেখ শাহীন আজাদ।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এমএম মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রতিটা আসামির খালাস পাওয়ার কথা ছিল। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট না। আমরা হাইকোর্টে আপিল করব।’
বরিশালে ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি সমাধানের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কথা বলব।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্থগিত পরীক্ষা দ্রুত নেয়ার দাবিতে বরিশাল ও মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বরিশালে ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে অনার্স চতুর্থ বর্ষের মৌখিক ও ব্যবহারিক এবং মাস্টার্সের ফাইনালসহ সব পরীক্ষা দ্রুত নেয়ার দাবিতে রোববার বেলা সোয়া ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মো. অনিক নিউজবাংলাকে জানান, তারা ২০১৯ সালে চতুর্থ বর্ষে ওঠেন। করোনার কারণে অনেক পিছিয়ে গেছেন। ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা না হওয়ায় কোথাও চাকরির আবেদন করতে পারছেন না।
শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
সড়ক অবরোধ থাকায় বিপাকে পড়ে সাধারণ মানুষ। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের পর অবরোধ তুলে নিয়ে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
নূর নিরব নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছি। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।’
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি সমাধানের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কথা বলব।’
মৌলভীবাজারে প্রেস ক্লাবের সামনে রোববার দুপুরে তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবিগুলো হলো স্থগিত সব পরীক্ষা দ্রুত নেয়া, শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি মওকুফ এবং হল ও মেস ভাড়া মওকুফ করে দেয়া।
মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘দেশে সব মিলিয়ে পৌনে ছয় কোটি শিক্ষার্থী আছে। তার মধ্যে অর্ধেক শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। আমাদের পরীক্ষা স্থগিত করে দেয়ায় আমরা মারাত্মক সেশনজটে ভুগছি।’
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি মানা না হলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন।
ঢাকার সিআইডি ল্যাবে রোববার সকালে ওই গাছের স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে বলে জানান আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক।
রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে প্রাচীরঘেরা একটি জমিতে গাঁজা চাষের অভিযোগে উদ্ধার হওয়া গাছগুলোর স্যাম্পল ল্যাবে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ঢাকার সিআইডি ল্যাবে রোববার সকালে ওই গাছের স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে বলে জানান আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আশুলিয়ার খেজুরবাগান মোল্লা বাড়ি গলি এলাকায় সোহেল হোসেন নামে একজনের জমিতে গাঁজা চাষের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়।
অভিযানের পর সোহেল আহমেদ ও তার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আশুলিয়া থানায় নেয়া হয়।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, ‘এটা একচ্যুয়ালি (আসলে) গাঁজাগাছ কি না, তা আমরা পরীক্ষা করে দেখতেছি। স্যাম্পল নিয়ে আসছি।
‘ওরা (মালিকপক্ষ) বলতেছে, এই গাছটি দিয়ে ওজিটি ওয়েল তৈরি করে। তবে গাছটি গাঁজা গোত্রেরই। এরা নাকি বাইরে এক্সপোর্ট করার জন্য করছে এটা। তবে কনফার্ম না। যাচাইবাছাই চলছে।’
নেশার উপাদান আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কৃষি অফিসার ও বিভিন্ন মাধ্যমে ফোন করে যেটুকু জানলাম, এটাতে নেশার উপাদান আছে।’
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফি বলেন, ‘আমাদের ধারণা গাঁজাই। তারপরও আমরা কনফিউশন (সন্দেহ) রাখতে চাই না। দ্রুত সময়ে আমরা পরীক্ষা করাব। যদি এটা গাঁজা হয়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার রাতে ওই জমিতে গিয়ে দেখা যায়, সুউচ্চ প্রাচীরের ভেতর সারিবদ্ধভাবে লাগানো বিপুলসংখ্যক গাঁজাসদৃশ গাছ।
জমির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা হাবিবুর রহমান জানান, তিন মাস আগে তিনি এখানে নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন। এর আগেই গাছের চারাগুলো রোপণ করা হয়। মালিক সোহেল তাকে বলেছিলেন, এগুলো বিদেশি ফুলগাছ। গাঁজাগাছ কি না, তিনি জানেন না।
তিনি আরও জানান, সোহেল জমি কিনে বিক্রি করেন। বাড়ি তৈরি ও কেনাবেচার কাজও করেন। পাশেই তার আরও বাড়ি রয়েছে।
ঘটনাস্থলের পাশের একটি বাড়ির বাসিন্দা ফজলুল হক জানান, আগে যে ওই জায়গা দেখাশোনা করতেন তিনি সবজি চাষ করতেন। নতুন করে আরেকজন ভেতরে নিরাপত্তার কাজ নিয়েছেন। তবে ভেতরে গাঁজার গাছ আছে কি না, তিনি জানেন না।
পশুর নদীতে ডুবে গেছে কয়লা বোঝাই কার্গো। ছবি: নিউজবাংলা
কার্গোটির মাস্টার ওসমান আলী জানান, বন্দরের হাড়বাড়িয়ার ৭ নম্বর ঘাট থেকে প্রায় ৭০০ টন কয়লা নিয়ে শনিবার রাতে যশোরের নওয়াপাড়ার দিকে রওনা হয় এমভি বিবি-১১৪৮। রাত ১১টার দিকে পশুর নদীর বানীশান্তা ও কানাইনগর এলাকায় পৌঁছালে তলা ফেটে কার্গোটি ডুবে যায়।
মোংলার পশুর নদীতে কয়লাবোঝাই একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে।
বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার মো. ফখরউদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এমভি বিবি-১১৪৮ নামে ওই কার্গোতে থাকা মাস্টারসহ ১৩ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। কারও নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
কার্গোটির মাস্টার ওসমান আলী জানান, বন্দরের হাড়বাড়িয়ার ৭ নম্বর ঘাটে নোঙর করে থাকা এমভি জসকো নামের একটি জাহাজ থেকে প্রায় ৭০০ টন কয়লা বোঝাই করে শনিবার রাতে যশোরের নওয়াপাড়ার দিকে রওনা হয় এমভি বিবি-১১৪৮।
তিনি বলেন, রাত ১১টার দিকে পশুর নদীর বানীশান্তা ও কানাইনগর এলাকায় পৌঁছালে তলা ফেটে কার্গোটি ডুবে যায়। তখন তিনি ও কার্গোতে থাকা অন্য কর্মীরা সাঁতরে তীরে উঠে যান।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জাহাজটি উদ্ধারে কাজ শুরু হয়নি। হারবার মাস্টার জানান, ঘটনাস্থলে মার্কিং করে উদ্ধারকাজ শুরু করা হবে শিগগিরই।
তিনি আরও জানান, কার্গোটি মূল চ্যানেলের বাইরে ডুবেছে বলে পশুর চ্যানেল দিয়ে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে না।
কারখানার আগুন নেভানোর চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস। ছবি: নিউজবাংলা
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আবু বক্কর জানান, ভোররাতে কারাখানায় আগুন লাগলে কর্মরত শ্রমিকরা বের হয়ে যান। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট সেখানে গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। সে সময় আহত হন তাদের এক কর্মী।
মুন্সিগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরীতে আগুনে পুড়ে গেছে জালের একটি কারখানা। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন এক ফায়ার সার্ভিস কর্মী।
সদর উপজেলার পঞ্চসার এলাকার বিসিক শিল্পনগরীর ‘হেনা ফিসিং নেট’ নামে ওই কারখানায় রোববার ভোর ৪টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ড হয়।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবু বক্কর জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ভোররাতে কারাখানায় আগুন লাগলে কর্মরত শ্রমিকরা বের হয়ে যান। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট সেখানে গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়।
আবু বক্কর জানান, সে সময় আহত হন ফায়ার সার্ভিস কর্মী আবু ইউসুফ। তাদে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কারখানার ব্যবস্থাপক চান মিয়া বলেন, ‘কীভাবে আগুন লাগলো তা বুঝতে পারিনি। আগুনে কারখানার মেশিন ও জাল তৈরির কাঁচামালসহ ৬০ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।’
আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
বরগুনা পাথরঘাটার সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মাহমুদ সহল ও সাধারণ সম্পাদক তানিম। ছবি: নিউজবাংলা
পাওনা টাকা চেয়ে ফেসবুকে কমেন্টের জের ধরে রাতে সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মাহমুদ সহল ও সাধারণ সম্পাদক তানিমের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ ব্যক্তি মনিরের দোকানে ঢুকে তাকে মারধর করে।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে এক ব্যবসায়ীকে মারধর ও তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার কাকচিড়া বাজারে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারী মনির খান কাকচিড়া বাজারের লেডিস টপ ফ্যাশন অ্যান্ড গার্মেন্টসের মালিক।
তিনি জানান, কয়েক মাস আগে সিরাজ নামের এক ব্যক্তি তার কাছ থেকে চার হাজার টাকা ধার নেন। বেশ কয়েকবার ফেরত চাওয়ার পরও দিচ্ছিলেন না তিনি।
শনিবার সিরাজের একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি টাকা ফেরত না দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে কমেন্ট করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন সিরাজ। সন্ধ্যার দিকে সিরাজ তার পাওনা টাকা ফেরত পাঠিয়ে দেন।
মনির আরও জানান, ফেসবুক কমেন্টের জেরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মাহমুদ সহল ও সাধারণ সম্পাদক তানিমের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ ব্যক্তি দোকানে ঢুকে তাকে মারধর করে।
আর দোকানের মালামাল ও আসবাব ভাঙচুর করে ক্যাশের ভেতরে থাকা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
ঘটনার পর বাজার কমিটির লোকজন উপস্থিত মনিরকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। বিষয়টি কাকচিড়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়িকে জানালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফয়সাল ও তানিমের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সিরাজের নম্বরও বন্ধ রয়েছে।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দিন জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। ব্যবসায়ী মনিরের অভিযোগ তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যববস্থা নেবে পুলিশ।
মন্তব্য