ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে চলছে স্থানীয় লোকজনের বিক্ষোভ। ছবি: নিউজবাংলা
মঙ্গলবার সকালে অটোরিকশাটি মহাসড়কে উঠলে একে ধাওয়া করে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের একটি টহল দল। দ্রুত পালাতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে অটোরিকশাটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়।
হবিগঞ্জের বাহুবলে হাইওয়ে পুলিশের ধাওয়ায় অটোরিকশা খাদে পড়ে চালক নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। আগুন দেয়া হয়েছে একটি মোটরসাইকেলে। স্থানীয়দের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেন এলাকার অটোরিকশা চালকরাও।
বাহুবল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) আলমগীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আলমগীর বলেন, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি মহাসড়কে উঠলে একে ধাওয়া করে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের একটি টহল দল। দ্রুত পালাতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে অটোরিকশাটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চালক নিহত হন। আহত হয় অটোরিকশায় থাকা ৫ যাত্রী।
ওসি আরও জানান, ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে রাস্তার দুই পাশে কয়েক শ যানবাহন আটকা পড়ে। দুপুর ৩টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, নির্বাহী কর্মকর্তা স্নীগ্ধা তালুকদার ও ওসি কামরুজ্জামান সেখানে গিয়ে শ্রমিক ও স্থানীয়দের শান্ত করলে তারা অবরোধ তুলে নেন।
দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আলমগীর বলেন, মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল অনেক আগেই নিষিদ্ধ করেছে হাইকোর্ট। তারপরও এগুলো মহাসড়কে ওঠে। তখন হাইওয়ে পুলিশ এগুলো সরিয়ে দিতে গেলে চালকরা দ্রুতগতিতে পালিয়ে যান।
তিনি জানান, নিহত অটোরিকশা চালকের নাম তোফায়েল মিয়া। তার বাড়ি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানশি গ্রামে।
প্রতারক সেলিম মিয়া।
ফোন করা ব্যক্তি নিজেকে বিকাশের কর্মকর্তা পরিচয় দেন। এরপর কৌশলে পিন নম্বর নিয়ে তার বিকাশ থেকে ৩২ হাজার ৬৩ টাকা হাতিয়ে নেন। এ ঘটনায় রাজপাড়া থানায় একটি মামলা হয়।
বিকাশ থেকে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার দুই বছর পর এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থানার সহায়তায় রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সেলিম মিয়া। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির পশ্চিম মৌকুড়ি মহারাজপুর গ্রামে তার বাড়ি।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা এলাকার এক ব্যক্তির মোবাইলে কল আসে। ফোন করা ব্যক্তি নিজেকে বিকাশের কর্মকর্তা পরিচয় দেন।
এরপর কৌশলে পিন নম্বর নিয়ে তার বিকাশ থেকে ৩২ হাজার ৬৩ টাকা হাতিয়ে নেন। এ নিয়ে সেদিন রাজপাড়া থানায় একটি মামলা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানা পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারকের অবস্থান নিশ্চিত হয়। এর পর বুধবার সেলিম মিয়াকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে আনা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান আরএমপির কর্মকর্তা।
প্রতীকী ছবি
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন একসঙ্গে গুণবতী স্টেশন অতিক্রম করছিল। এ সময় রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করেন ফারজানা।
গুণবতী গ্রামে জান্নাতুল মাদ্রাসায় পড়ে বড় ছেলে। তাকে দেখতে পাশের বধুড়া গ্রামে বাড়ি থেকে গিয়েছিলেন মা ফারজানা। কোলে ছিল ১৮ মাসের শিশুসন্তান।
ফেরার পথে হেঁটে রেললাইন ক্রস করছিলেন ফারজানা। হঠাৎ একপাশ দিয়ে দ্রুতগতিতে একটি ট্রেন আসতে দেখে দ্রুত পার হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় অপর পাশ থেকে আসা ট্রেনে কাটা পড়েন মা-শিশু দুজনই।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার গুণবতী রেলস্টেশনের কাছে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন একসঙ্গে গুণবতী স্টেশন অতিক্রম করছিল। এ সময় রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করেন ফারজানা।
ফরাজাহা গুণবতী ইউনিয়নের বুধড়া গ্রামের মানিক মজুমদারের স্ত্রী। কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসেন তিনি। স্ত্রী-সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মানিক।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও বিস্তারিত কিছু জানতে পারিনি।
ঝালকাঠিতে শাহাদাত হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা শেষে আসামিদের কারাগারে নেয়া হয়। ছবি: নিউজবাংলা
শত্রুতার জেরে ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল টিনের দোকানের ম্যানেজার শাহাদাৎ হোসেনকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ঝালকাঠি লঞ্চঘাট এলাকায় জয়নালের বাসায় নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন আসামিরা। পরে তার মাথাবিহীন দেহ সুগন্ধা নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী গ্রামের শাহাদাত হোসেনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।
জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন দেউরী গ্রামের গিয়াস মল্লিক, কিস্তাকাঠি গ্রামের শাহীন ভূঁইয়া ও মির্জাপুর গ্রামের জয়নাল কাদি। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সোহরাব হোসেন নামের এক আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় শাহীন ও জয়নাল উপস্থিত ছিলেন। তবে জামিনে থাকা গিয়াস মল্লিক আদালতে যাননি। তাকে দুপুরে এলাকায় দেখেছেন অনেকে। রায় ঘোষণার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল মান্নান রসুল নিউজবাংলাকে জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল টিনের দোকানের ম্যানেজার শাহাদাৎ হোসেনকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ঝালকাঠি লঞ্চঘাট এলাকায় জয়নালের বাসায় নিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে তার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। মাথাহীন মরদেহ ফেলে দেয়া হয় সুগন্ধা নদীতে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল দুপুরে নদী থেকে শাহাদাতের মাথাহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই দিন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি থানায় পুলিশ বাদী মামলা হয়। পরে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হলে চারজনকে আসামি করে শাহাদাতের ছেলে সুমন হোসেন মামলা করেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সুমন হোসেন বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামি গিয়াস মল্লিকের বাবা মোকছেদ আলী মল্লিককে ১৯৮০ সালে হত্যা করে তার প্রতিপক্ষরা। সেই মামলায় আমার বাবাকে তারা আসামি করেছিলেন।
‘কিন্তু আমার বাবাকে খালাস দিয়েছিল আদালত। সেই শত্রুতার জেরে আমার বাবাকে গিয়াস মল্লিক হত্যা করে নদীতে ফেলে দেন।’
আদালত ৩৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আবদুল মান্নান রসুল। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির বাবুল ও ফয়সাল খান।
মামলায় বলা হয়, কোচিংয়ে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত ছেলেটি। এটা নিয়ে ওই তরুণের বাবার কাছে অভিযোগও জানায় ছাত্রীর পরিবার। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। বুধবার বিকেলে মেয়েটি কোচিংয়ে গেলে তাকে কৌশলে একটি ভবনের ছাদে নিয়ে যায় ছেলেটি। সেখানে তাকে নির্যাতন করা হয়।
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খুলশী থানার জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ওই তরুণের বাড়ি নগরীর সদরঘাট এলাকায়।
বুধবার রাতে ওই ছাত্রী তিনজনের নামে মামলা করেন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মামলায় বলা হয়, কোচিংয়ে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত ছেলেটি। এটা নিয়ে ওই তরুণের বাবার কাছে অভিযোগও জানায় ছাত্রীর পরিবার। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। বুধবার বিকেলে মেয়েটি কোচিংয়ে গেলে তাকে কৌশলে একটি ভবনের ছাদে নিয়ে যায় ছেলেটি। সেখানে তাকে নির্যাতন করা হয়।
ওসি আবুল কাশেম আরও জানান, ওই তরুণের সঙ্গে আরও দুইজন ছিল। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
এই বাড়িতে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
বাড়ির মালিকের চাচাতো ভাই জাবেদ মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, ঢালাইয়ের কাজ শুরু করার আগে তারা পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। শুরুতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখলেও কাজের মাঝে সরবরাহ চালু করায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
মুন্সিগঞ্জে ছাদ ঢালাইয়ের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও এক জন।
গজারিয়া উপজেলার নাগেরচর পূর্ব পাড়ায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিক মাইন উদ্দিনের বাড়ি বরিশালে। তবে তিনি পরিবার নিয়ে মুন্সিগঞ্জ সদরে থাকতেন।
আহত শ্রমিকের নাম মো. তারেক। তার বাড়িও বরিশালে, থাকেন মুন্সিগঞ্জে।
তাদের সঙ্গে কাজ করা কয়েকজন শ্রমিক জানান, ১৮ জন শ্রমিক নাগের চর গ্রামের মোস্তফা প্রধানের বাড়ির দোতলার ছাদ ঢালাই করছিলেন। ওই ছাদ ঘেঁষে পল্লীবিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন। ঢালাইয়ের এক পর্যায়ে ওই দুই শ্রমিক লাইনের সংস্পর্শে এসে গুরুতর আহত হন।
তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মাঈন উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাড়ির মালিকের চাচাতো ভাই জাবেদ মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, ঢালাইয়ের কাজ শুরু করার আগে তারা পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। শুরুতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখলেও কাজের মাঝে সরবরাহ চালু করায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর গজারিয়া জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জহিরুল ইসলাম জানান, তিনি দুর্ঘটনার বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। তবে তার দাবি, নির্মাণকাজের বিষয়টি তাদের জানানো হয়নি। জানা থাকলে তারা অবশ্যই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতেন।
তিনি বলেন, ‘নাগের চর গ্রামে অপরিকল্পিতভাবে অনেক বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে।অপরিকল্পিতভাবে টানা সব লাইন সরিয়ে নেয়া হবে।’
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইছ উদ্দিন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। বাড়ির মালিক ও ঠিকাদার পলাতক রয়েছে। তবে এ বিষয়ে কেউ এখনও অভিযোগ করেনি।
মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে কি না সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ওসি।
নির্মাণ শ্রমিক মাঈন উদ্দিনের মরদেহ গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, পারিবারিক কলহের জেরে তার স্ত্রী খাদিজা বেগম বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। দরজা ভেঙে গুরুতর অবস্থায় রাসেলকে উদ্ধার করে আশপাশের লোকজন। আর খাদিজাকে আটক করেছে পুলিশ।
লালমনিরহাটের গোকুন্ডা ইউনিয়নে রাসেল নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, পারিবারিক কলহের জেরে তার স্ত্রী খাদিজা বেগম বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। দরজা ভেঙে গুরুতর অবস্থায় রাসেলকে উদ্ধার করে আশপাশের লোকজন। আর খাদিজাকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, গোকুন্ডা ইউনিয়নের খালিশা গ্রামের রাসেল ডিশের ব্যবসা করেন। পারিবারিক কলহের জেরে বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তার স্ত্রীর খাদিজা। পরে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দরজা ভেঙে রাসেলকে উদ্ধার করেন। তাকে প্রথমে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
রাসেলের সঙ্গে তিন বছর আগে খাদিজার বিয়ে হয়। এ দম্পতিবার ঘরে দুই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার স্ত্রী খাদিজাকে আটক করা হয়েছ। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
নিহত মো. রবিউল্লাহ
সকালে ওই যুবক তার বড় ভাইয়ের পাওয়ারলুম পরিদর্শনে যান। একপর্যায়ে একটি মেশিনে স্পর্শ লাগলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আরেকটি মেশিনের ওপর পড়েন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের শ্রীনিবাসদী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মো. রবিউল্লাহ ওই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
তার বড় ভাই মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমান নিউজবাংলাকে জানান, সকালে রবিউল্লাহ তার (আমান) পাওয়ারলুম কারখানা পরির্দশনে গিয়েছিলেন। একপর্যায়ে একটি মেশিনে স্পর্শ লাগলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আরেকটি মেশিনের ওপর পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেয়া হলে চিকিৎসক রবিউল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, রবিউল্লাহর মরদেহ তার পরিবারের কাছে রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
মন্তব্য