× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
ভাষা শহিদদের স্মরণে লাখো মোমবাতি
google_news print-icon

ভাষাশহিদদের স্মরণে লাখো মোমবাতি

ভাষাশহিদদের-স্মরণে-লাখো-মোমবাতি
নড়াইলে ভাষা শহিদদের স্মরণে লাখো মোমবাতি প্রজ্বালন। ছবি: নিউজবাংলা
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ভিক্টোরিয়া কলেজের কুড়িরডোব মাঠ প্রাঙ্গণ আলোকিত হয়ে ওঠে মোমবাতির আলোয়। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয় বিভিন্ন বর্ণমালা, শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, জাতীয় সংসদ ভবন, শাপলা ফুলসহ বাংলাদেশের ইতিহাসের নানা বিষয়। এরই মধ্যে মাঠের পাশে তৈরি মঞ্চে শুরু হয় ভাষার গান আর কবিতা আবৃত্তি।

একটি দুটি নয়; এক লাখ মোমবাতি জ্বেলে নড়াইলবাসী স্মরণ করলেন অমর একুশের ভাষাশহিদদের।

নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের কুড়িরডোব মাঠ প্রাঙ্গণে ‘অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’ স্লোগানে প্রতিবছরের মতো এবারও একুশে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে একুশ উদযাপন পর্ষদ।

এ সময় মঞ্চে শুরু হয় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পরিবেশনা গণসংগীত ও কবিতা।

নড়াইলের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার দর্শনার্থী উপভোগ করেন চোখধাঁধানো এই আয়োজন। তবে করোনার কারণে এ বছর দর্শনার্থী উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল।

ভাষাশহিদদের স্মরণে লাখো মোমবাতি
মোমবাতির আলোয় ফুটে ওঠে বাংলাদেশের ইতিহাসের নানা বিষয়

আয়োজকরা জানিয়েছেন, ভাষাশহিদদের স্মরণে এবারের লাখো মোমবাতি প্রজ্বালন অনুষ্ঠান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।

একুশ ফেব্রুয়ারিতে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে নড়াইলবাসী অপেক্ষায় থাকে সন্ধ্যার এই মোমবাতি প্রজ্বালনের দৃশ্য দেখতে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ভিক্টোরিয়া কলেজের কুড়িরডোব মাঠ প্রাঙ্গণ আলোকিত হয়ে ওঠে মোমবাতির আলোয়। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয় বিভিন্ন বর্ণমালা, শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, জাতীয় সংসদ ভবন, শাপলা ফুলসহ বাংলাদেশের ইতিহাসের নানা বিষয়। এরই মধ্যে মাঠের পাশে তৈরি মঞ্চে শুরু হয় ভাষার গান আর কবিতা আবৃত্তি।

প্রায় দুই ঘণ্টার এই অনুষ্ঠান একুশে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ৬টা ১০ মিনিটে শুরু হয় মোমবাতি জ্বালানোর মধ্য দিয়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আলোকিত হয়ে যায় বিশাল এই মাঠ। এ সময় নড়াইলের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ১০০টি ফানুস ওড়ায়।

আরও পড়ুন:
যে ভাষায় কথা বলেন মাত্র ২০ জন
৪১ ভাষার মধ্যে পাঠ্যবই মাত্র ছয়টির
জমানো টাকায় শিশুদের অমর একুশে উদ্‌যাপন
সেই পাকিস্তানে একুশ উদযাপন
শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিএনপির এমপিকে ছাত্রলীগের ধাওয়া

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Few judges for 18 crore people Justice Naima Haider

১৮ কোটি মানুষের জন্য বিচারকের সংখ্যা কম: বিচারপতি নাইমা হায়দার

১৮ কোটি মানুষের জন্য বিচারকের সংখ্যা কম: বিচারপতি নাইমা হায়দার সিরাজগঞ্জ বিচার বিভাগের আয়োজনে শুক্রবার মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিচারপতি নাইমা হায়দার। ছবি: নিউজবাংলা
বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, ‘মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিচারক ও আইনজীবী উভয়ের ভূমিকা রয়েছে। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।’

১৮ কোটি মানুষের জন্য দেশে বিচারকের সংখ্যা কম। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার এ কথা বলেছেন।

শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জ বিচার বিভাগের আয়োজনে শহীদ সোহেল আহম্মেদ জগন্নাথ পাড়ে স্মৃতি সম্মেলনকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি ওই কথা বলেন।

বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, ‘নানা ধরনের জটিলতার কারণে বিচার দ্রুত সময়ে হয়ে থাকে না। এ ক্ষেত্রে বিচারকরা মূল ভূমিকায় নয়। অনেক মামলায় সাক্ষীর কারণে সময় পার হয়। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিচারক ও আইনজীবী উভয়ের ভূমিকা রয়েছে। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।’

বক্তব্যে তিনি সিরাজগঞ্জ আদালতে মামলা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি হচ্ছে জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজিরের সভাপতিত্বে ‘আদালতে বিচারাধীন মামলা বিশেষত পুরাতন দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাসমূহ অগ্রাধিকারভিত্তিক দ্রুত নিষ্পত্তি আইনি সহায়তা’ মতবিনিময় সভা হয়।

এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক নাসিরুল হক, ২-এর বিচারক সালমা খাতুন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আহসান হাবীব, সহকারী প্রসিকিউটর আব্দুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কায়সার আহমেদ লিটন।

এর আগে সিরাজগঞ্জ আদালত চত্বরে নির্মিত ন্যায়কুঞ্জ ভবনের উদ্বোধন করা হয়। পরে আদালত চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন বিচারপতি নাইমা হায়দার।

আরও পড়ুন:
বিচারিক ক্ষমতা হারালেন বগুড়ার সেই বিচারক
বিচারকের পা ধরলেন অভিভাবকরা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিচারক বদলির আল্টিমেটামের সময় বাড়ালেন আইনজীবীরা
বিচারককে গালির ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি নারী বিচারকদের
বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের বিচার আদালত করবে: আইনমন্ত্রী

মন্তব্য

সারা দেশ
In May 408 road deaths were highest in Dhaka division

মে মাসে সড়কে ৪০৮ প্রাণহানি, সর্বোচ্চ ঢাকা বিভাগে

মে মাসে সড়কে ৪০৮ প্রাণহানি, সর্বোচ্চ ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস। ফাইল ছবি
মে মাসে ঢাকা বিভাগে ১৩৪টি দুর্ঘটনায় ১০২ জন নিহত হন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২১টি দুর্ঘটনা ঘটে। বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ২০ জনের প্রাণহানি হয়।

চলতি বছরের মে মাসে দেশে ৪৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৮ জন নিহত ও ৬৩১ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬৭ নারী ও ৭৮ শিশু রয়েছে। ওই মাসে ১৫৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ১৪১ জন, যা মোট নিহতের ৩৪.৫৫ শতাংশ।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, দুর্ঘটনায় ১০৪ পথচারী নিহত হয়, যা মোট নিহতের ২৫.৪৯ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হন ৭২ জন, যা মোট নিহতের ১৭.৬৪ শতাংশ।

সংস্থাটি ৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করে।

সড়কের ধরন

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ অনুযাযী, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬৫টি (৩৩.৬০ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২০১টি (৪০.৯৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭৩টি (১৪.৮৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৪৮টি (৯.৭৭ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং চারটি (০.৮১ শতাংশ) অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ভোরে ৫.২৯ শতাংশ, সকালে ২৫.২৫ শতাংশ, দুপুরে ২৮.৭১ শতাংশ, বিকেলে ১২.২১ শতাংশ, সন্ধ্যায় ৮.৯৬ শতাংশ এবং রাতে ১৯.৫৫ শতাংশ ঘটে।

দুর্ঘটনার বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট দুর্ঘটনার ২৭.২৯ শতাংশ ঘটে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে প্রাণহানি মোট নিহতের ২৫ শতাংশ।

ঢাকা বিভাগে ১৩৪টি দুর্ঘটনায় ১০২ জন নিহত হন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২১টি দুর্ঘটনা ঘটে। বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ২০ জনের প্রাণহানি হয়।

একক জেলা হিসেবে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ২৯টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত হন। রাজধানীতে ২৬টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হন।

মন্তব্য

সারা দেশ
3 injured in fire at Bangabandhu Colony in Barisal

বরিশালে বঙ্গবন্ধু কলোনিতে আগুন, আহত ৩

বরিশালে বঙ্গবন্ধু কলোনিতে আগুন, আহত ৩ শুক্রবার দুপুরে লাগা এ আগুনে ৪টি বসতঘর ভস্মীভূত হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
সেলিম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বৈদ্যুতিক মিটারে শর্টসার্কিটের কারণে আগুন লাগে বলে জানালেও আগুন লাগার কারণ তদন্ত না করে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক বেল্লাল উদ্দিন।

বরিশাল নগরীর বান্দরোডস্থ বঙ্গবন্ধু কলোনিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪টি বসতঘর পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়েছে। সে সঙ্গে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৪টি বসতঘর। এতে ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে শেষে শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতে প্রেরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

বৈদ্যুতিক গোলযোগেই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে স্থানীয়দের ভাষ্য। তবে তদন্ত না করে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু কলোনির মো. কালাম হাওলাদারের বসতঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও মুহুর্তের মধ্যে তা আশপাশের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে বরিশাল সদর ও নৌ ফায়ারা স্টেশনের সদস্যরা এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হন তারা। তার আগেই কালাম হাওলাদারের বাড়ির পাশের মলি বেগম, নয়ন ফকিরসহ ৪ জনের বসতঘর পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া আরও ৪টি ঘর আংশিক পুড়ে যায়।

বরিশালে বঙ্গবন্ধু কলোনিতে আগুন, আহত ৩

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. বেল্লাল উদ্দিন বলেন, ‘বরিশাল সদর নৌ ফায়ার স্টেশনের সঙ্গে আশপাশের বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনের মোট ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে এর মধ্যে চারটি বসতঘর পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।’

তবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছানোয় ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এ ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আহতদের দ্রুত শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজনের গায়ে আগুনের তাপ লেগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

সেলিম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বৈদ্যুতিক মিটারে শর্টসার্কিটের কারণে আগুন লাগে বলে জানালেও আগুন লাগার কারণ তদন্ত না করে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বেল্লাল উদ্দিন।

আরও পড়ুন:
চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে এক পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ
হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা

মন্তব্য

সারা দেশ
The death of Sirajul Alam Khan the mystery man of politics

রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ সিরাজুল আলম খানের মৃত্যু

রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ সিরাজুল আলম খানের মৃত্যু সিরাজুল আলম খান। ছবি: সংগৃহীত
ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ রাসেল জানান, দুপুর সোয়া দুইটার দিকে ঢামেক হাসপাতালে মৃত্যু হয় সিরাজুল আলম খানের। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশের রাজনীতির রহস্য পুরুষ হিসেবে পরিচিত সিরাজুল আলম খান আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শুক্রবার এ রাজনৈতিক তাত্ত্বিকের মৃত্যু হয়।

ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ রাসেল জানান, দুপুর সোয়া দুইটার দিকে ঢামেক হাসপাতালে মৃত্যু হয় সিরাজুল আলম খানের। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছিল।

তিনি জানান, সিরাজুল আলম খানকে ২০ মে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে নেয়া হয় আইসিইউতে।

এর আগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের সভাপতি ও সিরাজুল আলম খানের ঘনিষ্ঠ শরীফ নুরুল আম্বিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিরাজুল আলম দাদা ভাইয়ের পরিবার নিশ্চিত করেছে যে, তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আজ দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।’

সিরাজুল আলম খানের ঘনিষ্ঠ ইয়াসমিন ইতি রাজনৈতিক তাত্ত্বিকের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দিয়ে ক্যাপশনে লিখেন, ‘আমার বাপি দাদা সিরাজুল আলম খান আর নেই। আমি খুব খারাপ একটা মেয়ে যে বাবার এই সময়ে পাশে থাকতে পারল না।’

রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ সিরাজুল আলম খানের মৃত্যু

রাজনৈতিক তাত্ত্বিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক সিরাজুল আলম খান বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের স্থপতি হিসেবেও পরিচিত। তিনি ১৯৬২ সালে ‘স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস’ প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৪১ সালের ৬ জানুয়ারি নোয়াখালীতে জন্ম সিরাজুল আলম খানের। তিনি ছিলেন খোরশেদ আলম খান ও সৈয়দা জাকিয়া খাতুন দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।

বাবা সরকারি চাকরিজীবী হওয়ায় তার বদলির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছে সিরাজুল আলম খানের। ১৯৫৬ সালে খুলনা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন তিনি। তিনি ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সময়কালে ঢাকা কলেজ এবং ১৯৫৮ থেকে ১৯৬২ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন।

সিরাজুল আলম খানের বাবা খোরশেদ আলম খান স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় পড়ালেখা করেন। শৈশব থেকেই বাবাকে পথপ্রদর্শক হিসেবে পেয়েছিলেন এ রাজনৈতিক তাত্ত্বিক।

মন্তব্য

সারা দেশ
A fruit trader was woken up in the middle of the night and hacked to death

মধ্যরাতে ফল ব্যবসায়ীকে ঘুম থেকে উঠিয়ে কুপিয়ে হত্যা

মধ্যরাতে ফল ব্যবসায়ীকে ঘুম থেকে উঠিয়ে কুপিয়ে হত্যা
হাসপাতালে নেয়া হয়েছে মরদেহ। ছবি: সংগৃহীত
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, হত্যার প্রকৃত কারণ জানতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে এক ফল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ধান্যঘরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত ৪৫ বছর বয়সী বাবর আলী একই গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি পেশায় ফল ব্যবসায়ী ছিলেন।

নিহতের স্ত্রী মহিমা খাতুন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত তিন ব্যক্তি আমার স্বামীকে বাড়িতে খুঁজতে আসেন। তিনি বাড়িতে না থাকায় তার মোবাইল নম্বর চান তারা। আমি মোবাইল নম্বর দিতে না পারায় চলে যান তারা।

তিনি বলেন, রাতে আমি ও আমার ছেলে ঘরের ভেতর ঘুমাচ্ছিলাম। আমার স্বামী বারান্দায় ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে ডেকে উঠানে নিয়ে যান অজ্ঞাত সেই ব্যক্তিরা। এ সময় ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপাতে থাকেন তারা।

মহিমা খাতুন বলেন, পরে আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে পালিয়ে যান তারা। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আল ইমরান জুয়েল জানান, বাবর আলীর বাম কাঁধ ও গলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, হত্যার প্রকৃত কারণ জানতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Waterlogging in Sylhet City is a major challenge

সিলেট সিটিতে জলাবদ্ধতা নিরসনই বড় চ্যালেঞ্জ

সিলেট সিটিতে জলাবদ্ধতা নিরসনই বড় চ্যালেঞ্জ সিলেট নগরীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মেয়র প্রার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
সুশাসনের জন্য নাগরিক সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প নিয়েছে নিয়েছে সিটি করপোরেশন। এখানে বিপুল ব্যয় করা হয়েছে, কিন্তু নগরবাসী তেমন সুফল পায়নি। তাই আগামী দিনে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তাদের জন্য জলাবদ্ধতা নিরসন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।’

সিলেট নগরবাসীর দুর্ভোগের অপর নাম জলাবদ্ধতা। বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায় নগরের রাস্তাঘাট। বাসাবাড়ি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ঢুকে পড়ে পানি। নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে এ পর্যন্ত হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। এরপরও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাননি নগরবাসী।

এবার সিটি নির্বাচনের আগেও আলোচনায় নগরের জলবদ্ধতার বিষয়টি। এ সমস্যাটি সমাধানই নির্বাচিত মেয়র কাউন্সিলরদের বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।

নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতামুক্ত নগর গড়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া নগরকে বন্যামুক্ত রাখতে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ এবং সুরমা নদী খননেরও আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

সিলেট নগরের জলাবদ্ধতা সমস্যা দীর্ঘদিনের, তবে একাধিক বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের পর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলাবদ্ধতা অনেকটাই কমে আসে, কিন্তু গত বছরের জুনে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পর থেকেই বৃষ্টি হলেই জলবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে নগরে। সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাচ্ছে নগরের বেশির ভাগ এলাকা।

সুশাসনের জন্য নাগরিক সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প নিয়েছে নিয়েছে সিটি করপোরেশন। এখানে বিপুল ব্যয় করা হয়েছে, কিন্তু নগরবাসী তেমন সুফল পায়নি। তাই আগামী দিনে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তাদের জন্য জলাবদ্ধতা নিরসন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।’

ফারুক মাহমুদ বলেন, ‘নগরের ছড়া, খালগুলো অনেক দিন ধরেই বেদখল হয়ে আছে। প্রভাবশালীরা এগুলো দখল করে রেখেছেন। বেদখল হওয়া ছড়া-খালের পুরোটা উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব। এ ছাড়া যেগুলো এখনও দখল হয়নি, সেগুলোও ময়লা- আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে।’

জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য নগরবাসীকে সচেতন করার পাশাপাশি প্রকল্প গ্রহণের আগে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন ফারুক মাহমুদের।

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) সূত্রে জানা যায়, নগরে ছোট বড় মিলিয়ে ১১টি ছড়া প্রবাহমান। ছড়ার ১৬টি শাখা ছড়াও আছে। এসব ছড়া-খাল সুরমা নদীতে গিয়ে মিশেছে। ছড়া-খালগুলোর দৈর্ঘ্য প্রায় ১১০ কিলোমিটার। এর বাইরে নালা-নর্দমা আছে ৯৭০ কিলোমিটার। এতে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার পাকা ড্রেন আছে। ছড়া ও ড্রেন দখল এবং ভরাটের কারণেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় নগরে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা যায়, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০০৯ সালে ছড়া-খাল খনন ও রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণে ১১ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। ২০১২ সালে ২৭টি ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন নির্মাণে ব্যয় করা হয় ৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

২০১৩ সালে আরিফুল হক চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ওই বছরই জলাবদ্ধতা নিরসনে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। এরপর ২০১৪ সালে ৭৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা ও ২০১৫ সালে আরও ১১ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। সব মিলিয়ে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ২৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়।

সূত্রটি আরও জানায়, ২০১৯ সালে ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পে বরাদ্দ আসে ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যয় করা হয় ২৬৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৯৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৯৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়। প্রকল্পটির আওতায় অন্যান্য কাজের সঙ্গে ৩২৭ কিলোমিটার ড্রেন ও ৮ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়।

অপরিকল্পিত প্রকল্প গ্রহণের কারণেই বিপুল অর্থ ব্যয় সত্ত্বেও নগরের জলাবদ্ধতা দূর সম্ভব সহয়নি দাবি করে সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান মেয়রকে সরকার প্রচুর বরাদ্দ দিয়েছে, কিন্তু তিনি তা কাজে লাগাতে পারেননি। অপরিকল্পিত প্রকল্প গ্রহণ করে কসমেটিকস উন্নয়ন করেছেন। প্রচুর লুটপাট হয়েছে। সে কারণে নগরবাসীর দুর্ভোগ কমেনি।’

আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে শুরুতেই জলাবদ্ধতা নিরসনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করব। এ ছাড়া বন্যায় নগর যাতে বড় ক্ষতির শিকার না হয়, এ জন্য সুরমা নদী খনন ও শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে উদ্যোগ নেব।’

জাতীয় পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘গত চার মেয়াদে সিলেট সিটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়রকে জনগণ দেখেছে। তারা কেউই জলাবদ্ধতামুক্ত নগর ওপর দিতে পারেননি। ফলে জনগণ মনে করে এই দলের পক্ষে নগরের জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব না। তাই জনগণ এবার পরিবর্তন চায়। আমি নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবাতা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।’

দলীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে এবারের সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হননি বিএনপি নেতা ও বর্তমান সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আমি গত ১৩ বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করি। তার সুফল নগরবাসী পাচ্ছেন। এখন আর আগের মতো জলবদ্ধতা হয় না, তবে গত বন্যার পর ছড়া, খাল ও ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় কয়েক দিন জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছিল।’

আরিফ বলেন, ‘এ ছাড়া অতিবৃষ্টিতে নগরের আশপাশের টিলা ধসেও খালগুলো ভরাট হয়ে যায় এবং সুরমা নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষায় নগরের পানি নদীতে নামতে পারে না। এ জন্য জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এসব সমস্যার সমাধান কেবল সিটি করপোরেশনের দ্বারা সম্ভব নয়। সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও এ ব্যাপারে আন্তরিক হতে হবে।’

মেয়র বলেন, ‘গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটে বন্যাকবলিত এলাকা দেখতে এসেছিলেন। তখন বন্যা মোকাবিলায় তার কাছে সুরমা নদী খনন এবং শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি উত্থাপন করেছি। তিনি বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় দেখবেন বলে কথাও দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস, এর কার্যকর উদ্যোগ নিশ্চয়ই নগরবাসী দেখতে পাবেন।’

এ প্রসঙ্গে লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের প্রধান স্থপতি রাজন দাশ বলেন, ‘গত কয়েক বছরে নগরের ড্রেনগুলোর ব্যাপক সংস্কার হয়েছে, কিন্তু অনেক স্থানে দেখা যায় সড়ক থেকে ড্রেন উঁচু। ফলে সড়কের পানি ড্রেনে নামতে পারে না। তা ছাড়া সড়ক থেকে পানি ড্রেনে নামার পর্যাপ্ত ছিদ্রও নেই। আবার ড্রেন-ছড়াগুলোর মুখ আবর্জনায় বন্ধ হয়ে আছে। ফলে পানি নদীতে নামতে পারছে না।

‘বড় অঙ্কের প্রকল্প বাস্তায়নের পাশপাশি সেসব দিকও খেয়াল রাখতে হবে। নতুবা কোন সুফল মিলবে না।’

আরও পড়ুন:
স্মার্ট খুলনা গড়তে খালেকের ৪০ দফা ইশতেহার
সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় সিলেটে বিএনপির ৪৩ নেতা বহিষ্কার
লোডশেডিংয়ে খুলনায় ভোট কমার ভয় আ.লীগের
ভোটে ইসলামকে ব্যবহার করা উচিৎ নয়: ইসি হাবিব
নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে বহিষ্কৃত জাপার ভাইস চেয়ারম্যান

মন্তব্য

সারা দেশ
Bean seller beaten to death in Chittagong

চট্টগ্রামে পান বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা

চট্টগ্রামে পান বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা বৃহস্পতিবার রাতে পতেঙ্গা থানাধীন চরপাড়া সৈকত এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ছবি: নিউজবাংলা
পতেঙ্গা থানার ওসি আফতাব হোসাইন বলেন, ‘কথা কাটাকাটির জেরে এক ভাতের হোটেল মালিকের সঙ্গে নিহত আলমগীর মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি সংজ্ঞা হারালে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় খাবারের দোকানি ও তার কর্মচারীর মারধরে মো. আলমগীর নামের এক ফেরি করে পান-সিগারেট বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে পতেঙ্গার চরপাড়া সৈকত এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

নিহত ৫০ বছর বয়সী আলমগীর চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার ওসি আফতাব হোসাইন।

তিনি বলেন, ‘কথা কাটাকাটির জেরে চরপাড়া সৈকত এলাকার এক ভাতের হোটেল মালিকের সঙ্গে নিহত আলমগীর মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ওই ভাতের হোটেল মালিক ও তার কর্মচারী মিলে আলমগীরকে মারধর করেন। একপর্যায়ে তিনি সংজ্ঞা হারালে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। তখন চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
নিয়ম না মেনে তেলাপোকা মারার বিষ ব্যবহারে দুই শিশুর মৃত্যু: ডিবি
‘বিষক্রিয়ায়’ দুই ভাইয়ের মৃত্যু: বালাইনাশক কোম্পানির এমডি, চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু

মন্তব্য

p
উপরে