কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী শিবির ছেড়ে চতুর্থ দফায় ভাসানচর যাচ্ছে সাড়ে তিন হাজারের বেশি রোহিঙ্গা।
তারা কক্সবাজারের উখিয়া ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে রোববার ও সোমবার রওনা হবে।
ভাসানচরে পাঠানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গাকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়েছে।
আরও কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গাকে রোববার সকালে অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে আনার কথা রয়েছে।
সেখান থেকে রেজিস্ট্রেশন শেষ করে প্রতিবারের মতো বাসে করে তাদের চট্টগ্রামের পতেঙ্গা নৌ-ঘাঁটির অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে নৌবাহিনীর বিশেষ জাহাজে সমুদ্রপথে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে রোহিঙ্গাদের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউজবাংলাকে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছুর-দ্দৌজা নয়ন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত স্বেচ্ছায় ৬ হাজার ৭০০ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নেয়া হয়েছে। চতুর্থ দফায় যাবে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা।’
ভাসানচর যেতে নিবন্ধন করতে আসা টেকনাফ চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আই-ব্লকের বাসিন্দা ফয়েজুল হক বলেন, ‘ক্যাম্পের ঘিঞ্জি বস্তির চেয়ে ভাসানচরের জীবনমান অনেক ভালো। তাই ভাসানচর চলে যাচ্ছি।’
কথা হয় উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে ক্যাম্পে বসবাস করতে খুবই কষ্ট হয়। তা ছাড়া ছোট্ট ঝুপড়িঘরে বউ-বাচ্চা নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। একটু উন্নত পরিবেশের জীবনযাপনের জন্য ভাসানচরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম জানান, চতুর্থ ধাপে রোহিঙ্গাদের গ্রহণের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন রোহিঙ্গারা ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
নিজ দেশের সেনাবাহিনীর হাতে হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেক বছর ধরে বাংলাদেশে আসছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা। তবে রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বড় ঢল আসা শুরু হয় ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট।
ওই সময় সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসে। কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর চাপের মুখে পড়েও রোহিঙ্গাদের ফেরত নিচ্ছে না মিয়ানমার। উল্টো রোহিঙ্গাদের তাদের দেশের নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
অন্যদিকে রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে মেঘনা নদীর নোয়াখালী অংশে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।
এ জন্য নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। প্রায় ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গার বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রাম করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:শেরপুরের নকলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বসতবাড়ি ও মাঠে চাষযোগ্য জমিতে আগাম শীতকালীন শাক-সবজি আবাদের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করেন নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মুরসালিন মেহেদী বলেন, বীজ ও সার মাঠে আবাদ না করে যদি কোনো কৃষক বিক্রির উদ্দেশ্যে অসদুপায় অবলম্বন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২৩০ কৃষকের মাঝে জনপ্রতি ৯ প্যাকেট করে মোট ২ হাজার ৭০ প্যাকেট সবজির বীজ এবং ৪০৫ কৃষকের মাঝে মাঠে চাষযোগ্য ২০ শতাংশ জমির জন্য লাউ, বেগুন, শসা, মিষ্টিকুমড়াসহ যেকোনো সবজির ১ প্যাকেট করে বীজসহ ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় যৌথ অভিযানে প্রায় ১৪ কোটি টাকার অবৈধ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল জব্দ করেছে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।
গত সোমবার সন্ধ্যায় বিজিবি জানায়, গত ১১ ও ১২ অক্টোবর উপজেলার সীমান্তবর্তী আশ্রায়ণ বিওপির আওতাধীন এলাকায় অভিযানকালে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া ও মদনের ঘাট এলাকায় ৩৫ হাজার কেজি অবৈধ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা। পরে গত সোমবার দুপুরে এসব অবৈধ জাল ধ্বংস করেন পরিচালক (অপারেশন) যশোর সদর দপ্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিয়ন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান শিকদারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমেদ।
রাঙামাটির বিলাইছড়িতে নদীতে পড়ে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল নয়টায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ হওয়ার দুঘণ্টা পর স্থানয়ীরা মাছের জাল দিয়ে নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত নারী হলেন লতা মার্মা (৩৩)। তিনি কেংড়াছড়ি গ্রামের মিলন কান্তি চাকমার স্ত্রী। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিলাইছড়ি থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত মানস বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে কেংড়াছড়ি থেকে নৌকাযোগে বিলাইছড়ি বাজার আসার পথে কেরণছড়ি এলাকায় এসে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা মাছের জাল দিয়ে তল্লাশির পর বেলা সারে এগারটায় তার মরদেহ উদ্ধার হয়। নিহতের স্বামী মিলন কান্তি চাকমা জানিয়েছেন তার স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। তাদের সংসারে দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে।
টেকসই ও উন্নত বিশ্ব গঠনে মানের গুরুত্ব অনস্বীকার্য-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রংপুরে উদযাপিত হয়েছে ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস।
“সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে—মান” এই স্লোগানকে ধারণ করে দিবসটি পালন করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ও রংপুর জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম এনডিসি।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ মজিদ আলী, রংপুর ক্যাবের সভাপতি মোঃ আব্দুর রহমান, রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মোঃ রশিদুস সুলতান বাবলু, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোঃ গোলাম জাকারিয়া পিন্টু, এবং জেলা হোটেল-রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল হক মুন্না। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। স্বাগত বক্তব্য ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসটিআই রংপুর বিভাগীয় অফিসের উপপরিচালক ও অফিস প্রধান (প্রকৌশলী) মুবিন-উল-ইসলাম।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে আইএসও’র সদস্যপদ লাভের পর থেকে নিয়মিতভাবে বিশ্ব মান দিবস পালন করে আসছে। বর্তমানে আইএসও’র ১৭৭টি সদস্য দেশের সঙ্গে একযোগে বাংলাদেশও এবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করছে।
তিনি আরও জানান, গত এক বছরে রংপুর বিভাগের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় সচেতনতা বৃদ্ধি, মান নিয়ন্ত্রণ এবং শিল্পখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিএসটিআই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
বক্তারা বলেন, পণ্য ও সেবার মান বজায় রাখা শুধু শিল্পোন্নয়নের জন্য নয়, বরং ভোক্তা নিরাপত্তা ও জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতির পূর্বশর্ত।
তাঁরা মনে করেন, রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে মান সচেতনতা বিস্তার এবং উৎপাদন ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণই টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি হতে পারে।
অনুষ্ঠানে সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শিল্প উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আল্টিমেটাম ছাড়া কোনো কাজ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ। মঙ্গলবার পূর্বের আল্টিমেটাম দেওয়া দাবির অগ্রগতি জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (রুটিন ভিসি) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলীর সাথে সাক্ষাৎ এর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সাহেদ আহম্মেদ বলেন, আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসির কাছে দুই দফা দাবি দিয়েছিলাম। তার আপডেট জানতে আজ স্যারের সাথে আবারও দেখা করেছি। আমাদের দাবিগুলো হলো, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক দ্রুত সংস্কার করার ব্যবস্থা করা এবং কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা চালু করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু মৌখিক দাবি ছিল। যেমন, ক্যাম্পাসে একটি ফায়ার সার্ভিস স্থাপন এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া-শান্তিডাঙ্গা এলাকায় যে বিদ্যুৎ সমস্যা আছে তার সমাধানের উদ্যোগ নেয়া। কারণ এখানে প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ভোগান্তির শিকার হয়। আমরা আশাবাদী যে প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো দ্রুত পূরণ করবেন। তবে আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে আল্টিমেটাম ছাড়া কোনো কাজ হয় না বা বাস্তবায়ন দেখি না।
সাক্ষাৎকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (রুটিন ভিসি) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ছাত্রদল যে দাবিগুলো করেছে সেগুলো প্রায় কাজ শুরু হয়ে গেছে। কিছু কাজ চলমান। আর কিছু নীতি নির্ধারনী কাজ আছে যেগুলো মাননীয় উপাচার্য আসলে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিবেন।
“রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না থেকেও জামায়াত জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে”- এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. খায়রুল হাসান।
তিনি বলেন, “মানুষের কষ্ট লাঘব করা আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা না থাকলেও দলীয়ভাবে সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে জামায়াত একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোনপাড়ায় জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব অর্থায়নে সড়ক সংস্কার কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী এ সড়ক সংস্কার হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয়রা জানান, জামায়াতের উদ্যোগে সড়ক সংস্কার হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. আফতাব উদ্দিন, পৌর আমীর মাওলানা আমিমুল এহসান, পৌর নায়েবে আমীর মাওলানা আনোয়ার হোসেন, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, জামায়াত নেতা ও সাংবাদিক হুমায়ুন কবির, মো. আরিফ, মো. আবু তাহের, মনির হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উপস্থিত নেতারা বলেন, “জামায়াত সবসময় আর্তমানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জননেতা মো. খায়রুল হাসান সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ ও কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানান এবং শিক্ষার প্রসারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, জামায়াতের এ ধরনের অংশগ্রহণমূলক উদ্যোগ স্থানীয় উন্নয়নে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দেশবরেণ্য সাংবাদিক মরহুম মুহাম্মদ আলতাফ হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার মাদারীপুর পৌরসভার ডিজিটাল সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি শরীফ মোঃ ফায়েজুল কবীর। সঞ্চালনা করেন সংগঠনিটির জেলা শাখার সেক্রেটারী সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ও মাদারীপুর পৌরসভা প্রশাসক হাবিবুল আলম, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব, জেলা তথ্য কর্মকর্তা বেনজীর আহম্মেদ, মাদারীপুর পৌরসভা সচিব খন্দকার আবু আহম্মেদ ফিরোজ, সংস্থাটির উপদেষ্টা এবং জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুবল বিশ্বাস, নবনির্বাচিত উপদেষ্টা মিজানুর রহমান পিন্টু, সিনিয়র সাংবাদিক আহসান কাজল, জাতীয় রিপোর্টার্স ক্লাব মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি তাজুল মাতুব্বর, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, বিশিষ্ট ঠিকাদার ব্যবসায়ী শরীফ মহিউদ্দিন হাফিজ, জেলা কিন্ডারগার্টেন এর সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট এফ,এইচ কিন্ডারগার্টেন প্রধান শিক্ষক মাহাববুর রহমান রিপন মুন্সী, মানবাধিকার প্রতিনিধি ও সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট (অবঃ) আঃ কুদ্দুস পান্না হাওলাদারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সহ বিশেষ অতিথিবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা মরহুম মুহাম্মদ আলতাফ হোসেনের মতো এমন একজন দেশবরেণ্য সিনিয়র সাংবাদিকের ১ম মৃত্যু বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজনের জন্য জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, মাদারীপুর জেলা শাখার নেতারাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবন্দকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। পরে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিসহ নবনির্বাচিত উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান পিন্টুকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদানের পাশাপাশি সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
মন্তব্য