× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
এই ব্রিজ আঙ্গর জন্যি অভিশাপ
google_news print-icon

‘এই ব্রিজ আঙ্গর জন্যি অভিশাপ’

এই-ব্রিজ-আঙ্গর-জন্যি-অভিশাপ
জামালপুর সদরের কেন্দুয়ার এই ব্রিজের নেই সংযোগ সড়ক। ঝুঁকি নিয়ে এর ওপর দিয়ে যাতায়াত করে গ্রামবাসী। ছবি: নিউজবাংলা
জামালপুর সদরের কেন্দুয়া ইউনিয়নের মোহাডাঙ্গার ফিরোজ আলী শেখ জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে উপজেলা প্রশাসন সেখানকার একটি পদচারী সেতুর সংযোগ সড়ক ও গাইডওয়াল নির্মাণের জন্য এডিপির আওতায় বরাদ্দ দেয়। কাজ না করে সেই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

জামালপুর সদরের কেন্দুয়া ইউনিয়নে সংযোগ সড়ক ও গাইড ওয়াল না থাকায় ছয় বছর ধরে বেহাল একটি পদচারী সেতু। যাতায়াতের আর কোনো মাধ্যম না থাকায় এই বেহাল সেতু দিয়েই চলাফেরা করতে হয় গ্রামবাসীর। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের, অনেকে আহতও হন। বিশেষ করে কৃষিপণ্য পরিবহণে দুর্ভোগ হয় বেশি।

সেতু সংস্কারের জন্য ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা সরকারি বরাদ্দ এলেও কেন কাজ হয়নি তার উত্তর নেই স্থানীয় প্রশাসন কিংবা প্রকৌশলীর কাছে।

কেন্দুয়ার মোহাডাঙ্গা সড়কের গবাখালী খালের উপর ২০১৪ সালে নির্মাণ করা হয় ১২ মিটারের সেতুটি। পরের বছরই বন্যায় এর সংযোগ সড়কের মাটি ধসে পড়ে।

এই সেতু ব্যবহার করেন মোহাডাঙ্গা, গাজীপুর, নয়াপাড়া, কাপাসিয়া ও চরজালালীপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। মোহাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, এই ব্রিজ ছাড়া গ্রামবাসীর যাতায়াতের আর কোনো উপায় নাই।

‘এই ব্রিজ আঙ্গর জন্যি অভিশাপ’
সংযোগ সড়কহীন ব্রিজ দিয়ে এভাবেই চলাফেরা করেন গ্রামবাসী, অনেক সময় আহতও হন অনেকে। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি বলেন, ‘এডে দিয়াই যাওয়া লাগে। খুব কষ্ট কইরে এই ব্রিজ দিয়া ফসল নিয়া যাওয়া লাগে। এমনেই সব ফসল কষ্ট কইরেই নিয়ে যায়। কিন্তু ধানের সিজনে ব্রিজের নিচ দিয়া ধান নেওয়া লাগে। ব্রিজ থাকাতে আঙ্গর আরো কষ্ট হয়ছে।’

ওই গ্রামের ইউসূফ মিয়া বলেন, ‘এই ব্রিজের দুই সাইডে ৪ থেকা ৫ ফুট মাটি নাই। একবার ব্রিজে উঠবার যাইয়ে হাটুতে ব্যাথা পাইছি। হাজার হাজার টাকা দিয়ে হাটু ঠিক করলাম। আরেকজনের মাজায় সমস্যা হয়া গেসে। এই ব্রিজের কারণে অনেকেই অনেক ব্যাথা পাইছে। এই ব্রিজ আঙ্গর জন্যি একটা অভিশাপ।’

গ্রামের আরেক বাসিন্দা মারিয়া আক্তার জানান, শিশু ও বৃদ্ধদের এই ব্রিজ দিয়ে চলাচলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়। তাদের জন্য এটা ঝুঁকিপূর্ণ।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, সরকার বরাদ্দ দেয়ার পরও মেরামত করা হয়নি সেতুটি। মোহাডাঙ্গার ফিরোজ আলী শেখ জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে উপজেলা প্রশাসন এই সেতুর সংযোগ সড়ক ও গাইড ওয়াল নির্মাণের জন্য এডিপির আওতায় বরাদ্দ দেয়। কাজ না করে সেই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। একই অভিযোগ গ্রামের শাহীন শেখসহ অনেকের।

বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে জামালপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রমজান আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি কয়েক মাস আগে জামালপুর সদর উপজেলায় যোগদান করি। এই বিষয়ে আমি খোঁজ নিয়েছি। সেইসময় তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিক সংস্কার এবং পদচারী সেতুটির সংযোগ সড়ক ও গাইডওয়াল নির্মাণের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এডিপির আওতায় ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। শুধু সংযোগ সড়ক ও গাইডওয়াল নির্মাণের জন্য ৯০ হাজার ১০২ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কেন এই সেতুটির কাজ করা হলো না তা আমার আগের কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন। তবুও আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

‘এই ব্রিজ আঙ্গর জন্যি অভিশাপ’
সরকারি বরাদ্দ এলেও নির্মাণ হয়নি ব্রিজটির সংযোগ সড়ক। ছবি: নিউজবাংলা

সে সময় সদর উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন এস এম শহিদুল ইসলাম। এখন তিনি মাদারগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত। ফোনে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা তো গত চার বছর আগের কথা। এখন আমার সঠিক মনে হচ্ছে না। তবুও আমার যতটুকু মনে হয়, কাজ শেষ হওয়ার পরে আমি বিল দিয়েছিলাম বলে আমার মনে হচ্ছে।’

বরাদ্দ আসলেও কেন কাজ হয়নি, সেই টাকা-ই বা কোথায় গেল? এর উত্তরে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, ‘এডিপির অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি আমার জানা নাই। কারণ আমি দুই বছর আগে চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।’

তিনি আরও জানান, আগামী অর্থবছরে এই সেতুর সংযোগ সড়ক ও গাইড ওয়াল নির্মাণের জন্য আবারও উপজেলা প্রশাসন অর্থ বরাদ্দ দেবে।

আরও পড়ুন:
কপোতাক্ষের বুকে নড়বড়ে সাঁকো
ফেসবুক অ্যাপ দিয়ে তথ্য চুরি, ভারতে মামলা
রাঙ্গামাটিতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক পানিতে, নিহত ৩
চারটি ব্রিজেরই কোনো সংযোগ সড়ক নেই
ব্রেইলি ব্রিজ ভেঙে বন্ধ দীঘিনালা-লংগদু যোগাযোগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
I will not be in any position in the post government government in February
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমে ড. ইউনূসের নিবন্ধ

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন, পরবর্তী সরকারের কোনো পদে আমি থাকব না

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন, পরবর্তী সরকারের কোনো পদে আমি থাকব না

যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেসারাট নিউজে নিবন্ধ লিখেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে গত বছর বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান, অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ, সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার নিবন্ধটি প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি। এতে প্রফেসর ইউনূস জানিয়েছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। আর নির্বাচন শেষেই তিনি রাষ্ট্রের সব দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। নির্বাচনে যে সরকার গঠিত হবে সেটির কোনো পদেই থাকবেন না বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি।

ড. ইউনূস লিখেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করেছি : জাতীয় নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতে হবে। এরপর যে সরকার আসবে সেখানে নির্বাচিত বা নিযুক্ত করা কোনো পদে আমি থাকব না।’

তিনি বলেছেন, ‘আমার সরকারের মূল লক্ষ্য হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করা। যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো ভোটারদের সঙ্গে তাদের পরিকল্পনাগুলো বলতে পারবে। আমাদের মিশন হলো, সব বৈধ ভোটার যেন তাদের ভোট দিতে পারে, যারা প্রবাসে আছেন তারাও। এটি একটি বড় কাজ। কিন্তু আমরা কাজটি সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

প্রফেসর ইউনূসের নিবন্ধটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

এক বছর আগে, এই মাসেই বাংলাদেশের হাজার হাজার সাহসী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শিক্ষার্থী, যাদের পেছনে ছিল সমাজের সব স্তরের অগণিত মানুষের সমর্থন, আমাদের জাতির ইতিহাসে একটি অন্ধকার অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়েছিল। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ, যা শেষ পর্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে দমন করা হয়েছিল, তার মাধ্যমেই তারা একজন স্বৈরাচারকে ৫ আগস্ট দেশ ছাড়তে বাধ্য করে।

এরপর যে ক্ষমতার শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে ছাত্রনেতারা আমাকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে অনুরোধ জানায়। এই সরকারের দায়িত্ব ছিল দেশকে স্থিতিশীল করা এবং গণতন্ত্রের নতুন পথ তৈরি করা। শুরুতে আমি রাজি হইনি। কিন্তু যখন তারা জোর করল, তখন আমি তরুণদের জীবন উৎস্বর্গের কথা ভাবলাম, আমি তাদের ফিরিয়ে দিতে পারলাম না। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট, সুশীল সমাজের নেতাদের নিয়ে গঠিত একটি উপদেষ্টা পরিষেদের সঙ্গে আমি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করি।

এই গণআন্দোলন শুরু হয়েছিল সরকারি চাকরিতে ন্যায্যতা নিশ্চিত করা থেকে। এর মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম ‘জেনারেশন জেড’ বিপ্লবের সূত্রপাত হয়েছিল। এই বিপ্লব তরুণদের জন্য একটি আদর্শ হয়ে উঠেছে, যা দেখায় কীভাবে তারা মানবজাতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলো—যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং বৈষম্য—মোকাবিলার জন্য এগিয়ে আসতে পারে।

আমরা ভাগ্যবান যে তারা ‘তাদের পালা আসার জন্য’ অপেক্ষা করেনি। যখন সভ্যতা অনেক দিক থেকে ভুল পথে চালিত হচ্ছে, তখন তারা বুঝতে পেরেছিল যে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়।

স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে আমাদের উত্তরণের একটি স্পষ্ট প্রমাণ ছিল যখন দ্য ইকোনমিস্ট সাময়িকী বাংলাদেশকে তাদের ‘২০২৪ সালের সেরা দেশ’ হিসেবে ঘোষণা করে। আমরা তখন অর্থনীতি পুনর্গঠন, নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং চুরি যাওয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সম্পদ উদ্ধারে এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে, আমরা তখনো বুঝতে পারিনি বিশ্ব আমাদের এই অগ্রগতিকে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে লক্ষ্য করছে। ডেসারেট নিউজ আমাদের এই যাত্রার চমৎকার কাভারেজ দিয়েছে, যা আমরা গভীরভাবে উপলব্ধি করি।

আমাদের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার ছিল গণঅভ্যুত্থানে যারা নির্মমভাবে নিহত হয়েছিল এবং যারা গুরুতর আহত হয়েছিল—সেই হাজার হাজার পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা। এরসঙ্গে আমরা বিগত সরকার ও তার সহযোগীদের লুট করা অর্থ উদ্ধারেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে সাবেক স্বৈরাচারী সরকার বছরে ১০ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছে। এই অর্থ পুনরুদ্ধার করার জন্য যুদ্ধ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যখন আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন অব্যবস্থার মাত্রা দেখে আমি হতবাক হয়ে যাই। পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করছিল না। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছিল। অর্থনীতি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। গণতন্ত্র ভেঙে পড়েছিল।

সরকারি কর্মচারীরা, যারা ক্ষমতাসীন দলের প্রতি যথেষ্ট আনুগত্য না দেখানোর কারণে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন, তারা ন্যায়বিচার চেয়েছিলেন।

ধীরে ধীরে আমরা পুনর্গঠন শুরু করেছি। যেসব রাজনৈতিক দল স্বৈরাচারের প্রতিরোধ করেছিল, তাদের পাশাপাশি নতুন গঠিত দলগুলোও নতুন ধারণা, শক্তি এবং কর্মপ্রচেষ্টা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। সশস্ত্র বাহিনী, যারা ৫ আগস্ট বিক্ষোভকারীদের ওপর গণহত্যা চালাতে দেয়নি, তারা তাদের পেশাদারিত্ব বজায় রেখেছে এবং আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে।

আমি এটি স্পষ্ট করে দিয়েছি: আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি এরপরের সরকারের কোনো নির্বাচিত বা নিযুক্ত পদে থাকব না।

আমাদের প্রশাসনের মূল লক্ষ্য হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করা, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো ভোটারদের কাছে তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারবে। বিদেশে বসবাসকারী নাগরিকসহ সব যোগ্য নাগরিককে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া একটি বিশাল কাজ। কিন্তু আমরা এটি সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আমরা আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতেও পরিবর্তন এনেছি। যেন আমাদের প্রতিবেশী এবং বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক জোরদার করা যায়।

বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে, বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির একটি মূল কেন্দ্র হতে পারে এবং হওয়া উচিতও। আমরা বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞ।

রুবিওরে সঙ্গে সম্প্রতি আমার একটি ফলপ্রসূ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে, যা আমাদের উভয় দেশের বাণিজ্যের জন্য ইতিবাচক ছিল।

যুক্তরাজ্য, জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিশ্বব্যাংক গোষ্ঠী এবং জাতিসংঘও আমাদের সহায়তা করার জন্য এগিয়ে এসেছে। আমরা এই পথে একা নই।

নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ, রাজনৈতিক দল এবং নাগরিকদের নিয়ে একটি ব্যাপক সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছি। সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি সাংবিধানিক সংশোধনী আনা। যা এমন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে যাতে বাংলাদেশ আর কখনো স্বৈরাচারী শাসনে ফিরে না যায়।

বাংলাদেশ যদি শেষ পর্যন্ত এমন একটি দেশে পরিণত হয় যেখানে দেশের সব মানুষ নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারবে। তবে তা হবে লাখ লাখ বাংলাদেশির দৃঢ়তা, কল্পনা এবং সাহসের ফল।

এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমাদের সঙ্গে যারা আছেন তাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে। তারাই আমাদের সর্বোত্তম আশা—এবং সম্ভবত আমাদের শেষ আশা।

মন্তব্য

সারা দেশ
Conspiracy to forget the seventy one Mirza Fakhrul

একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল

একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল

দেশে ‘একাত্তরকে ভুলিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে’ বলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সম্মানে মতবিনিময় অনুষ্ঠান এই আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের কথা বারবার স্মরণ করতে চাই। এজন্য চাই যে, ১৯৭১ সাল আমাকে একটা স্বাধীন দেশ দিয়েছিল, ভূ-খণ্ড দিয়েছিল, আমাকে একটা স্বাধীন সত্ত্বা দিয়েছিল এবং সেজন্য আজকে আমার অস্তিত্ব আছে, আমি টিকে আছি। আমি স্মরণ করতে চাই, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের শহীদদের। কারণ তারা আমাদের একটা গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। এই দুইটা জিনিসই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আজকে একটা প্রচ্ছন্ন প্রচেষ্টা আছে, একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার। এটার বিরুদ্ধে দেশের নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ২৪’এর জুলাই-আগস্ট যেভাবে সত্য, ঠিক একইভাবে সত্য কিন্তু একাত্তরের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ। সেই মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন কে? শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা।’

তিনি বলেন, ‘আজকে নতুন করে একটা কথা উঠছে, ষড়যন্ত্র চলছে যে, আপনার বাংলাদেশে এখানে এক ধরনের উগ্রবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। এই উগ্রবাদকে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। তাহলে আমাদের বাংলাদেশের যে আত্মা সেই অস্তিত্ব আমাদের রক্ষা পাবে না। এই কথাটা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে। আমি কথাটা আজকে এজন্য আরও বেশি করে বলছি যে, এইখানে বিভক্তি বিভাজনের রাজনীতি কেউ করবেন না, অতীতে যা হয়েছে হয়েছে। এখন বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য, বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখার জন্য, বাংলাদেশকে সামনে নেওয়ার জন্য, বাংলাদেশকে আরও উন্নত করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর যারা আমাদের ভুল বুঝিয়ে আমাদের ভোট নিয়ে দেশ শাসন করেছে তারা ১৫ বছর আমাদের বন্ধু হিসেবে মনে করেননি। তারা মনে করেছেন প্রজা হিসেবে। আমাদের ওপর অত্যাচার করেছেন, নির্যাতন করেছেন, আমাদের দেশের সমস্ত সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি কয়েকদিন আগে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে গিয়েছিলাম। ব্যাংককে গিয়ে আমি আমার বন্ধুদের কাছে শুনলাম যে, এখন ব্যাংককে সবচাইতে যেগুলো অভিজাত এলাকা সেই এলাকাগুলোতে বাড়ি ভাড়ার ধুম পড়ে গেছে। সেই বাড়িগুলো ভাড়া করছেন আওয়ামী লীগের বিতাড়িত নেতারা। তারা যে গাড়ি কিনছেন সেই গাড়িগুলো কোনটাই ২ কোটি, ৩ কোটি টাকার কম নয়। এসব টাকা কোত্থেকে গেল? এই দেশের সম্পদকে তারা পাচার করেছেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, নতুন করে কিছু বলতে চাই না। শুধু এইটুকু বলতে চাই যে, আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সমস্ত গণতান্ত্রিক যে কাঠামো সে কাঠামো ভেঙে ধ্বংস করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ এ দেশের সম্পদকে লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। প্রায় ৮৮ লাখ কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করেছে। আমাদের সম্পদ বলতে আর কিছু নেই, সব পাচার হয়ে গেছে। আমাকে একজন অর্থনীতিবিদ জিজ্ঞেস করছিলেন, দেখে শুনে তো মনে হচ্ছে যে, এর পর তোমরাই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসবে। জনগণ তোমাদের ওপরে আস্থা রাখবে। তো তোমরা দেশ চালাবে কোত্থেকে? কারণ টাকা তো সব পাচার হয়ে গেছে অর্থাৎ আমাদের দেশের অর্থনীতির অবস্থা কী করুণ করেছে সেই জিনিসটাই শুধু আমি আপনাদের বললাম।’

মন্তব্য

সারা দেশ
Bangladesh is not suitable for elections in the PR system Tareq Rahman

বাংলাদেশ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের উপযোগী নয়: তারেক রহমান

নির্বাচনে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে নানা চেষ্টা চলছে
বাংলাদেশ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের উপযোগী নয়: তারেক রহমান

বাংলাদেশের বর্তমান আর্থসামাজিক, ভৌগোলিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধি) পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য উপযোগী নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনা সভায় তারেক রহমান এ কথাগুলো বলেন। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত এই সভায় যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিআর পদ্ধতির সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, ‘কাকে কিংবা কোন ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নিজেদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠানো হচ্ছে, অবশ্যই সেটি জনগণের জানার অধিকার রয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত যে পিআর পদ্ধতি, এই পিআর পদ্ধতিতে কোন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করা হচ্ছে, জনগণের সেটি জানার পরিষ্কার কোনো সুযোগ নেই। যে কারণে কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তি জাতীয় সংসদে বা সরকারে প্রতিনিধিত্ব করতে চাইলে অবশ্যই তাদের জনগণের মুখোমুখি হয়ে জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে জনগণের রায় অর্জন করা জরুরি।’

পিআর পদ্ধতি এবং আরও দুয়েকটি বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ভিন্নমত রয়েছে, প্রতিটি বিষয়ই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরভাবে সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘যারা আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করছেন, এর মাধ্যমে আপনারা হয়তো নিজেদের অজান্তেই গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করে তুলছেন। একই সঙ্গে পতিত পরাজিত পলাতক ফ্যাসিস্ট সরকারের পুনর্বাসনের পথও হয়তো সুগম হচ্ছে।’

আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বক্তব্য বা নিত্যনতুন শর্ত জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি করছে বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে মানুষ বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিতে পারে, এই ভয়ে পলাতক স্বৈরাচার ‘বিএনপির বিজয় ঠেকাও’– এর মতো অপরাজনীতি চালু করেছিল। স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের রাজপথের সহযোদ্ধা কিছু ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীর আচরণেও সেই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

যারা বিএনপির বিজয় ঠেকানোর জন্য নানা অপকৌশল বা শর্তের বেড়াজালের আশ্রয় নিচ্ছে, তাদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করুন। জনগণের শক্তির ওপর আস্থা রাখুন। বিএনপির বিজয় যদি জনগণ দিয়েই থাকে, সেই বিজয় ঠেকাতে গিয়ে জনগণের রায় প্রদানের পথ রুদ্ধ করবেন না।’

তারেক রহমান বলেন, প্রতিটি বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য হতে হবে, এমন নয়। তবে ফ্যাসিবাদ ঠেকানো বা দেশকে তাবেদারমুক্ত রাখার জন্য স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে অবশ্যই ঐকমত্য ও ঐক্যবদ্ধ থাকা অত্যন্ত জরুরি।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আমাদের সামনে একটি বিশাল বড় সুযোগ। সারা দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই ও বোনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আগামী নির্বাচনে বিএনপি আপনাদের সমর্থন এবং আপনাদের সক্রিয় সহযোগিতা চায়।’

হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অতীতে বিভিন্ন সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব হামলার পেছনে ছিল অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা অবৈধ লোভ। ধর্মীয় কারণে এসব হামলা হয়নি। তিনি বলেন, ‘কোনো কারণেই যেন কারও ওপর হামলা বা অবিচার না হয়, তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্ব।’

বিএনপির আয়োজনে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সারাদেশ থেকে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন।

সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।

মন্তব্য

সারা দেশ
Authorization of Visa Exemption Agreement with Pakistan

পাকিস্তানের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি অনুমোদন

পাকিস্তানের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি অনুমোদন

সরকারি এবং কূটনীতিক পাসপোর্টে পারস্পারিক ভিসা অব্যাহতি সুবিধা পেতে পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

প্রেস সচিব বলেন, ‘পাকিস্তানের মতো এ রকম চুক্তি আমরা আরও ৩১টি দেশের সঙ্গে করেছি। এই চুক্তি পাঁচ বছরের জন্য করা হবে । এর ফলে যারা অফিসিয়াল পাসপোর্ট এবং কূটনীতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন, তারা এখন বিনা ভিসায় পাকিস্তান সফর করতে পারবেন। একইভাবে পাকিস্তানের যারা অফিসিয়াল এবং কূটনীতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন— তারাও বাংলাদেশে সফর করতে পারবেন কোন ভিসা ছাড়াই। এটা একটা স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিস।’

উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের সম্মতি পাওয়া গেছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
In the explosive case 4 people including Mirzafkharul were released

বিস্ফোরক মামলায় মির্জাফখরুলসহ ৬৫ জনকে অব্যাহতি

বিস্ফোরক মামলায় মির্জাফখরুলসহ ৬৫ জনকে অব্যাহতি

রাজধানীর রমনা থানা এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৬৫ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি প্রদান করেন।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্যরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরকত উল্লাহ বুলু, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ও বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম প্রমুখ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপি’র পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা থানা এলাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দলটির নেতাকর্মীরা আসেন। এ সময় তারা যানবাহনে ক্ষতিসাধন ও পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করেন।

এ ঘটনায় একই বছরের ৩১ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে রমনা থানার এসআই আউয়াল এই মামলা করেন।

২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মামুন হাসান আদালতে পৃথক দুটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে মির্জা ফখরুলসহ ৬৫ জনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। পরবর্তীতে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তাদের অব্যাহতি দেন। একই সঙ্গে বিস্ফোরণ আইনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।

মন্তব্য

সারা দেশ
Joining the new secretary of the Ministry of Fisheries and Livestock

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিবের যোগদান

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিবের যোগদান

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব হিসেবে আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের আজ বিকেলে যোগদান করেছেন।

বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের ১৯৯৪ সালে সহকারী কমিশনার পদে চাকরিতে যোগ দেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ডস ও থাইল্যান্ডে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, চীন, ভিয়েতনাম, ডেনমার্ক, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে সরকারি কাজে ভ্রমণ করেছেন।

নতুন সচিব হিসেবে যোগদানের পর মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং কুশল বিনিময় করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (গ্রেড-১) হিসেবে দায়িত্ব পালনরত আবু তাহের মুহাম্মদ জাবেরকে ২০ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে পদায়ন করা হয়।

মন্তব্য

সারা দেশ
The Youth Voice Mechanism process launches to highlight young people in the decision making process

সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তরুণদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে ইয়ুথ ভয়েস মেকানিজম প্রক্রিয়া চালু

সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তরুণদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে ইয়ুথ ভয়েস মেকানিজম প্রক্রিয়া চালু

আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের ব্যবস্থা (UNFPA,UN Women, ILO, UNDP, UNESCO) আজ একটি ইয়ুথ ভয়েস মেকানিজম (YVM) এর ডিজাইন ফেইজ চালু করেছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাহবুব-উল-আলমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য নীতি উন্নয়ন এবং শাসন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের তরুণদের কণ্ঠস্বরকে আরও জোরদার করা, দেশের ভবিষ্যত গঠনে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। উক্ত অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ ব্যবস্থার (UNFPA, UN Women, ILO, UNDP, UNESCO) প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন "ইয়ুথ ভয়েস মেকানিজমকে সফল করার জন্য আমরা জাতিসংঘ ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের তরুণদের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ" ।"এই উদ্যোগ আমাদের তরুণদের চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষা আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে এবং নিশ্চিত করবে যে তাদের কণ্ঠস্বর আমাদের নীতি ও কর্মসূচিতে প্রতিফলিত হয়।"

সচিব বলেন, এই প্রজন্ম আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং গতিশীল একটি শক্তিশালী শক্তি যা আমাদের সমৃদ্ধির দিকে চালিত করে। বাংলাদেশী তরুণরা অসাধারণ স্থিতিস্থাপকতা এবং নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছে। আনুষ্ঠানিক শাসন কাঠামোতে তাদের প্রতিনিধিত্ব সীমিত রয়ে গেছে, বিশেষ করে তরুণী এবং প্রান্তিক, আদিবাসী, গ্রামীণ এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের জন্য। তিনি আরও বলেন, ইয়ুথ ভয়েস মেকানিজমের লক্ষ্য এই পরিবর্তন আনা। জাতিসংঘের সহায়তায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে, এটি যুব সম্পৃক্ততার জন্য একটি কাঠামোগত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এটি জরিপ, কর্মশালা, ফোকাস গ্রুপ এবং একটি যুব-নেতৃত্বাধীন স্টিয়ারিং কমিটির মাধ্যমে তরুণদের দ্বারা সহ-পরিকল্পিত।

“বাংলাদেশ যখন একটি ঐতিহাসিক ক্রান্তিলগ্নে প্রবেশ করছে, তখন যুব কণ্ঠস্বর ব্যবস্থা তরুণদের ন্যায়বিচার, সমতার জন্য তাদের কণ্ঠস্বর উত্থাপনের একটি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে, যাতে তারা আজ এবং ভবিষ্যতে তাদের প্রভাবিত করে এমন বিষয়গুলিতে তাদের মতামত ভাগ করে নিতে পারে। গত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সময় প্রধান উপদেষ্টা ড। মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে এই ব্যবস্থাটি সাড়া দেয়," বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, "শান্তিপূর্ণ এবং কাঠামোগত উপায়ে অর্থপূর্ণ সম্পৃক্ততার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে, আমরা তরুণদের তাদের অনন্য দৃষ্টিভঙ্গিতে অবদান রাখতে এবং তাদের দেশের জন্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই ভবিষ্যত গঠনের ক্ষমতায়ন করছি।"

উল্লেখ্য, YVM তরুণদের, বিশেষ করে প্রান্তিক, গ্রামীণ এবং অবহেলিত সম্প্রদায়ের, সরকারি অংশীদারদের সাথে সম্পৃক্ত হতে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অবদান রাখার জন্য একটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক চ্যানেল তৈরি করার জন্য ডিজাইন করা হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থার ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রতিক্রিয়ায় এই উদ্যোগটি এসেছে এবং বাংলাদেশ জুড়ে অগ্রগতি এবং স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধিতে তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্বীকৃতি দেয়।

নকশা পর্বে একটি মিশ্র-পদ্ধতিগত অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে, যার মধ্যে বিভাগীয় কর্মশালা, ফোকাস গ্রুপ আলোচনা, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যদাতাদের সাক্ষাৎকার এবং জাতীয় যুব জরিপ অন্তর্ভুক্ত থাকবে যাতে একটি যুব কণ্ঠস্বর ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করতে পারে তা ডিজাইন করা যায়। এই পদ্ধতিগুলি নিশ্চিত করবে যে এই ব্যবস্থাটি সারা দেশের তরুণদের বাস্তব অভিজ্ঞতা, আকাঙ্ক্ষা এবং ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি।

YVM একটি বহুমুখী পদ্ধতির মাধ্যমে কাজ করবে যা ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং অর্থপূর্ণ সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংলাপ এবং পরামর্শের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম স্থাপন, বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সংগ্রহের জন্য আঞ্চলিক কর্মশালা আয়োজন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে এই কার্যক্রমগুলির সমন্বয় করবে, সহযোগিতা সহজতর করার জন্য এবং YVM-এর ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রতি প্রতিক্রিয়াশীলতা নিশ্চিত করার জন্য যুব সংগঠন, সরকারি সংস্থা এবং জাতিসংঘের অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

মন্তব্য

p
উপরে