গাইবান্ধা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় জেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাকা।
বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাকা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অংশ নেয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আহসানুল করিম লাচু ও সদস্য ফারুক আহম্মেদকে পদ থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নিরঞ্জন কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক এমারুল ইসলাম সাবিন স্বাক্ষরিত আরেক পত্রে একই অভিযোগে গাইবান্ধা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মতলুবর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়।
আগামী ১৬ জানুয়ারি গাইবান্ধা পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর। এ ছাড়া দলটি থেকে তিন জন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে লড়বেন।
কিশোরগঞ্জে মাটির নিচ থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। যুবকের পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি শনাক্ত করলেও তার পরিচয় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের উলুহাটি এলাকায় বিলের পাড় থেকে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত ২৩ বছর বয়সী সোহান আহমেদ আলিফ পেশায় দর্জি। তিনি রশিদাবাদ ইউনিয়নের বেরুয়াইল (কলাপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বাচ্চুর ছেলে।
রশিদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলাম জানান, যুবকের মা হাওয়া বেগম মরদেহটি দেখে তার ছেলে আলিফের বলে শনাক্ত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও রশিদাবাদ ইউনিয়নের বিট কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ২০ মার্চ বিকেলে তার নিজ বাড়ি বেরুয়াইল থেকে বের হন আলিফ। পরে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। তার স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে আলিফের মা হাওয়া বেগম কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। বৃহস্পতিবার সকালে মুষলধারে বৃষ্টি হলে বিলপাড় থেকে মাটি সরে যায়। ওই স্থানে কাক ও শিয়ালের বিচরণ দেখে স্থানীয়রা সেখানে ছুটে যায়। লোকজন সেখানে মাটিচাপা দেয়া মরদেহের অংশ বিশেষ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ উদ্ধার হওয়া মরদেহটি আলিফের কি না, সে ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
তিনি জানান, পরিবারের লোকজন একেক সময় একেক কথা বলছে। এ অবস্থায় মরদেহটি আলিফের কি না, এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছেনা।
তিনি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:র্যাব হেফাজতে নওগাঁয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন হয়েছে।
নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে শহীদ মিনারের পাশে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা কমিটির আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন হয়।
মানববন্ধনে সুজন নওগাঁর সহসভাপতি অধ্যক্ষ আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলার সাধারণ সম্পাদক একে সাজু, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিনহাজুল ইসলাম এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মিজানুর রহমান।
মানববন্ধনে এক বক্তা বলেন, ‘সুলতানা জেসমিন অন্যায় করে থাকলে আইনের ধারা অনুযায়ী তার বিচার করা হবে। শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছিল, যা মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। আইনের শাসনের প্রতি তারা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন।
‘রাজশাহী বিভাগের যুগ্ম সচিব এনামুল তার ব্যক্তিগত আক্রোশ মিটাতে আইনকে ব্যবহার করেছেন। তার ন্যায্য বিচার হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অনতিবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাই।’
সুলতানা জেসমিন নওগাঁ পৌরসভা ও চণ্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত ছিলেন। তিনি শহরের জনকল্যাণ মহল্লার ভাড়া বাসায় থাকতেন। এ বাসা থেকে নিয়মিত অফিস যাতায়াত করতেন।
২২ মার্চ সকালে অফিসে যাওয়ার পথে শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব। ২২ মার্চ দুপুর ১২টার পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন সুলতানা নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।
রামেকে জেসমিন আইসিইউতে ছিলেন। ২৪ মার্চ সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ২৫ মার্চ রামেকে ময়নাতদন্ত শেষে, বিকেলে নওগাঁ সরকারি কবরস্থানে মরদেহ দাফন সম্পন্ন করা হয়। এরপরই র্যাবের বিরুদ্ধে জেসমিনকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগ তোলেন তার স্বজনরা।
আরও পড়ুন:বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) ক্যাম্পাসে নতুন শিক্ষার্থীদের নিজ দলে ভেড়ানো নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
শজিমেক ছাত্রাবাসে বুধবার রাত ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রবাসের নিচতলার অন্তত পাঁচটি কক্ষ ভাংচুর করেছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি মেডিক্যাল কলেজটিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া নবাগত ছাত্রদের নিজ গ্রুপে ভেড়ানোকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আসিফের অনুসারী দ্রুব, অনিক, শুভ ও হৃদয়। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন রনির অনুসারী ইমতিয়াজ, রেজা,ফুয়াদ ও অমিও।
বর্তমানে তারা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
শজিমেক ছাত্রবাসে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২৩ সালে মেডিক্যালে সুযোগ পাওয়া (৩২ ব্যাচের) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ভর্তি হতে এসেছে। তাদের নিজ নিজ গ্রুপে ভেড়ানোকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা থেকে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
দ্বন্দ্বে জড়ানো সবাই ভর্তি হতে আসা ৩২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ইমিডিয়েট সিনিয়র ৩১ ব্যাচের শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাত ১০টার দিকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছাত্রাবাসের নিচতলার অন্তত পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়৷
বগুড়া শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর আসিফ বলেন, ‘জুনিয়ররা ক্যাম্পাসে আসার পর তাদের থাকা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। তবে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা আমার কর্মীদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। এতে চারজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে তিনজন গুরুতর জখম হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না৷’
বগুড়া শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন রনি জানান, সভাপতির গ্রুপের নেতা-কর্মীরা প্রথম আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে শিক্ষকরা এসে আমাদের উভয় পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছেন। এই নিয়ে দ্বন্দ্বের কিছু নেই। জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এর সূত্রপাত হয়েছে। ঘটনার সময় তিনি সেখানে ছিলেন না। তার চার কর্মী আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছেন।
বগুড়া ছিলিমপুর মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আনিছার রহমান জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বুধবার রাতে সংঘর্ষ হয়েছিল। এখন ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত আছে ৷ এ ঘটনায় আহতরা শজিমেক হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:গাজীপুরের শ্রীপুরে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্ব খণ্ড এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো তিনজন হলেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চর কচ্ছপিয়া গ্রামের আজাদ হোসেনের ছেলে ২০ বছর বয়সী পিয়াস ও বেলাল সওদাগরের ছেলে ২৩ বছর বয়সী পাভেল এবং জামালপুরের ২৫ বছর বয়সী মনোয়ার।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কেওয়াপূর্ব খণ্ড এলাকায় বহুতল ভবনে কাজ করছিল নির্মাণ শ্রমিকরা। এ সময় অসাবধানতাবশত নির্মাণাধীন ভবনের রডের সঙ্গে পাশের বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শ হলে দীর্ঘ সময় আগুন জ্বলতে থাকে। এতে কয়েকজন শ্রমিক তারে আটকে পুড়ে যায়।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নিজের বোরো ক্ষেত দেখতে গিয়ে বিষাক্ত সাপরে কামড়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সাপের কামড়ের পর সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ৩৮ বছর বয়সী আয়নাল হক উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের মন্ডলিয়াপাড়া ভজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
স্বজনরা জানায়, বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে আয়নাল বাড়ির কাছে থাকা নিজের বোরো ক্ষেত দেখতে যান। এ সময় বোরো ক্ষেতে থাকা একটি বিষাক্ত সাপ তাকে ছোবল দেয়। পরে তাৎক্ষণিক বাড়িতে এসে স্বজনদের বিষয়টি জানালে স্বজনরা তাকে দ্রুত বারমারী খ্রীষ্টান মিশনারী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
এরপর তাকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানেও চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে মৃত আয়নালকে সুস্থ ও জীবিত করে তুলতে ওঁঝা ডেকে ঝাড়ফুঁক দেয়া হচ্ছিল। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওঁঝাদের ঝাড়ফুঁকেও কোনো কাজ হয়নি।
বরিশালে কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় পুলিশ কনস্টেবলকে জেলে পাঠিয়েছে আদালত।
বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে বুধবার জামিনের প্রার্থনা করেন ওই কনস্টেবল। ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইয়ারব হোসেন জামিন নামঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ন কবির জানিয়েছেন।
কারাগারে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবল হলেন ৪২ বছর বয়সী এনায়েত হোসেন।
এনায়েত হোসেন বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত অবস্থায় রয়েছেন জানিয়ে মামলার বাদী জানান, হিজলা থানায় কর্মরত ছিলেন এনায়েত। মামলার পর তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ন কবির জানান, ২০২২ সালের ১৪ জুন কিশোরী বাদী হয়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করে। মামলার পর কনস্টেবল উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়েছিল। জামিনের মেয়াদ শেষে নিম্ন আদালতে হাজির হন। আদালত তার জামিনের মেয়াদ না বাড়িয়ে তাকে জেলে পাঠিয়েছে।
মামলায় আনা অভিযোগের বরাতে বাদী কিশোরী জানান, পাশাপাশি উপজেলার বাসিন্দা হওয়ায় তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ২০২০ সালে ১ নভেম্বর তাকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় নিয়ে যান। স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে সেখানে বসবাস করেন। বিয়ের জন্য চাপ দিলে এনায়েত পালিয়ে যান। পরে আবার বিয়ে করবে জানিয়ে বরিশাল নগরীর একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
আরও পড়ুন:টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের যানজট।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানের কারণে মহাসড়কে যানবাহনের অব্যাহত চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে ঢাকামুখী লেনে মঙ্গলবার দিবাগত রাত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এ.এস.এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানের কারণে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। এতে মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে মহাসড়কটির গজারিয়া অংশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে তা দাউদকান্দি পার হয়ে আরও অনেক দূর চলে যায়।
‘বুধবার রাতভরও যানজট ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে যানবাহের চাপ কিছুটা কমলেও গজারিয়া অংশে প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট রয়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা। আশা করছি দুপুরের মধ্যে মহাসড়কে যান চলাচলের স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দের অষ্টমী স্নান শুরু হয় মঙ্গলবার। এদিন সন্ধ্যা ৭ টা ০৫ মিনিটে লগ্ন শুরু হয়। একবারের অষ্টমী স্নান উৎসব দেশ-বিদেশ মিলিয়ে ১০ লাখের বেশি পুণ্যার্থীর আগমন ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হিন্দু শাস্ত্র মতে, দেবতা পরশুরাম হিমালয়ের মানস সরোবরে স্নান করে পাপমুক্ত হন। হিমালয়ের মানস সরবরের পানি ব্রহ্মপুত্র নদে মিশেছে। প্রতি বছর চৈত্র মাসে পূণ্য লাভের আশায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা জড়ো হন নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদে। সেখানে স্নান করে নিজেদের পাপমোচন করেন। দেশের বাইরে থেকেও অনেকে আসেন এই অষ্টমী স্নানে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য