রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল ও সংগঠনের বিরোধিতার মধ্যে শেরপুর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এবার জাতির পিতার একটি ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
‘মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু’ নামে জাতির ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের টাকায়। এ জন্য জমিও কিনেছেন দলের নেতারা।
শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে ভাস্কর্যের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক।
শেরপুর শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থানার মোড়ে এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হবে।
এ সময় হুইপ আতিক বলেন, ‘একটি কুচক্রী মহলের চক্রান্তে শান্তিপ্রিয় দেশকে অশান্তির দিকে নিয়ে যেতেই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছিল। তারা জানেন না বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। কখনওই বাঙালির হৃদয় থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম মুছে ফেলা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী লীগের নাম শুনলে স্বাধীনতাবিরোধীদের গাত্রদাহ হয়। তারা জানে না কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু আছেন এবং জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও বঙ্গবন্ধুর অবমাননাকারীদের বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করা হবে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের নিজস্ব জায়গায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মিত হবে। খুব দ্রুত এর কাজ শেষ হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য একটি মহল তৎপর। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি তা নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিহত করবে।‘
অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বশিরুল ইসলাম সেলু, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির আলী সরকার, শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কাশেম জিপি, সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্তও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি ধোলাইপাড়ে জাতির জনকের একটি ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর অবস্থান ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এটি নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রথমে অবস্থান নেয় ইসলামী আন্দোলন। এটি নির্মাণ না করার দাবিতে প্রথমে গত ১৩ নভেম্বর ধূপখোলা মাঠে সমাবেশ করে দলটি। ওই সমাবেশে বলা হয়, তারা এক নং সংকেত দিয়েছেন। দাবি মানা না হলে দেয়া হবে ১০ নং সংকেত।
পরে একই দাবি জানায় ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক হুমকি দেন, ভাস্কর্য নির্মাণ হলে তারা আরেকটি ৫ মের পরিস্থিতি তৈরি করবেন। এরপর হেফাজতের আমির জুনাইদ বাবুনগরী হুমকি দেন, ভাস্কর্য নির্মাণ হলে তারা টেনেহিঁচড়ে ফেলে দেবেন।
তবে শুরুতে চুপচাপ থাকলেও পরে সরকারপন্থিরা মাঠে নামে। তাদের পাল্টা কর্মসূচির পর কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক দল ও সংগঠনের সুর পাল্টে যায়। তাদের বক্তব্য অনেকটা নরম হয়। মামুনুল হক বলেন, তারা ভাস্কর্যের বিরোধী হলেও সরকারের সঙ্গে যুদ্ধে যাবেন না।
এর মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন একটি ভাস্কর্যে ভাঙচুর চালানো হয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে স্থানীয় মাদ্রাসা ইবনি মাসউদের চার ছাত্র ও শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।
এই মাদ্রাসাটি চরমোনাইয়ের পীরের অনুসারী। আর পুলিশ জানিয়েছে, দুই ছাত্র তাদেরকে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের নেতা ফয়জুল করীম ও হেফাজত নেতা মামুনুল হকের ওয়াজ শুনে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা ভাস্কর্য ভেঙেছেন। যদিও পরে মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন ভাস্কর্য ভাঙার নিন্দা জানিয়েছে।
এসব ঘটনায় ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির ফয়জুল করীম, হেফাজত নেতা বাবুনগরী ও মামুনুলের বিরুদ্ধে হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা।
এই ইস্যুতে সারাদেশে প্রশাসন, পুলিশ এমনকি বিচারকরা একযোগে সারাদেশে সমাবেশ করে জানিয়েছে, জাতির পিতার সম্মান তারা অম্লান রাখবেন।
গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে কওমি মাদ্রাসার একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। তারা জানিয়েছেন, বৈঠক সফল হয়েছে।
পরদিন মন্ত্রী বৈঠকের ফলাফল হিসেবে বলেন, এই ইস্যুতে ধর্মভিত্তিক দলগুলো আর রাজপথে নামবে না। ভাস্কর্য নির্মাণও অব্যাহত থাকবে। সরকারের মুখপাত্র তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধ হবে না।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সংক্ষিপ্ত সফরে শুক্রবার ঢাকায় এসেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
দুপুর ২টার দিকে ৫৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি।
বিমানবন্দরে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয় আনোয়ার ইব্রাহিমকে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাকে অভ্যর্থনা জানান।
ওই সময় গান স্যালুট ও গার্ড অফ অনারের মাধ্যমে তাকে সম্মান জানানো হয়।
প্রায় এক দশক পর মালয়েশিয়ার কোনো প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করলেন। গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এটিই বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধানের প্রথম সফর।
বিমানবন্দর থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমকে সরাসরি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিয়ে যাওয়া হয়। একই হোটেলে প্রধানমন্ত্রী ইব্রাহিম ও প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, বৈঠকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রপ্তানি, উচ্চশিক্ষা সহায়তা, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট খাতগুলো তুলে ধরা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনার আগে দুই নেতার একান্ত বৈঠকও হবে।
অধ্যাপক ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে চা-নাস্তা পর্বের আয়োজন করবেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। তিনি সেখানে পরিদর্শন বইয়ে সই করবেন।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মালয়েশিয়া আসিয়ানের পরবর্তী চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছে এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হবে।
এ ছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আসিয়ানে বাংলাদেশের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার বিষয়টিও বিশেষভাবে উত্থাপন করা হবে।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, এ সফর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর করা এবং টেকসই বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৫৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্য ও বিনিয়োগমন্ত্রী, পরিবহন উপমন্ত্রী, ধর্ম উপমন্ত্রী, দুজন সংসদ সদস্য এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা আছেন।
দুই দেশের মধ্যকার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে গত আগস্টে আনোয়ার ইব্রাহিমকে শিগগিরই বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান অধ্যাপক ইউনূস।
বাংলাদেশে অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ মালয়েশিয়া।
পুরোনো বন্ধু অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত আগস্টে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ফোন করে ব্যক্তিগতভাবে তাকে অভিনন্দন জানান আনোয়ার ইব্রাহিম।
সন্ধ্যা ছয়টা ২৫ মিনিটে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
নওগাঁ সদর উপজেলার হাসাইগাড়ী ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে প্রায় এক মাস ধরে বেড়া দিয়ে ৯টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, স্থানীয় হাসান মল্লিকসহ প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির নির্দেশে এ বেড়া দিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এক মাস আগে রাস্তার পাশে বেলাল মল্লিকের লাউ-কুমড়ার গাছ খায় একটি ছাগল। সে ছাগলকে বেলাল মল্লিক মারধর করলে প্রাণীটির একটি পা জখম হয়।
ওই ঘটনা শুনে ছাগলের মালিক হাসান মল্লিক ক্ষিপ্ত হয়ে বেলালকে মারধর করেন এবং স্থানীয় কিছু মাতুব্বরের পরামর্শে বেলাল মল্লিক, তার প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজনসহ ৯টি পরিবারের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তার তিন দিকে বেড়া দেন।
এমন পরিস্থিতিতে বেলাল মল্লিক গত ৪ সেপ্টেম্বর থানায় অভিযোগ করেন, কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিদর্শন করলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই চলে যায়। এতে হাসান মল্লিক আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
বেলাল মল্লিকের অভিযোগ, তিনি এক রাতে প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে বিলের মধ্যে মাছ ধরতে গেলে সেটি টের পেয়ে যান হাসান মল্লিক। পরে হাসান, জব্বার, দুলাল এবং তাদের পরিবারের নারীদের সঙ্গে নিয়ে বেলাল মল্লিককে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা হয়। ওই রাতেই বেলালকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বেলাল মল্লিকের অভিযোগ, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক মাস ধরে পরিবার নিয়ে তিনি অবরুদ্ধ। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তার ভাষ্য, বেড়া দেয়া লোকজন বর্তমানে চাঁদা দাবিও করছেন। চাঁদার টাকা না দিলে এইবার আর বেঁচে থাকার সুযোগও দেবে না বলে হুমকি দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়িও যেতে পারছি না। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে আইনগত সহযোগিতা চাই।’
এ বিষয়ে হাসান ও জব্বারের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, মাতুব্বরের হুকুমে তারা বেড়া দিয়েছেন। তার অনুমতি ছাড়া বেড়া কখনোই সরাবেন না। তা ছাড়া ছাগলকে মারধরের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
স্থানীয় মাতুব্বর আক্কাস আলী বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেছে, যা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা সম্ভব ছিল, তবে বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করার বিষয়ে কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি।’
এ বিষয়ে নওগাঁর ভীমপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দীন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বেড়া সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল, কিন্তু আজ পর্যন্ত যে বেড়া সরিয়ে নেয়া হয়নি, তা আমার জানা নেই। পরবর্তী সময়ে কেউ আমাকে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।’
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরে (বশেমুরবিপ্রবিপি) ২০২৩-২৪ স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস আগামী ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. অলক কুমার সাহা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বশেমুরবিপ্রবিপিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্মাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে প্রথম ব্যাচে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস (প্রথম ক্লাস) আগামী ২৮ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখ, সোমবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ অবস্থান থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্মাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তি আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। ওই দিন বেলা ১১টা থেকে ১৭ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে চূড়ান্ত ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
পরবর্তী সময়ে ২০ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে ২২ অক্টোবর বিকেল চারটার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিরোজপুরের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে সশরীরে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে চূড়ান্ত ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন:দেশের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে জানিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে চারটি সমুদ্র বন্দরকে।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র শুক্রবার আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানায়।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত বার্তায় আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে বলা হয়, ‘সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।
‘এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’
সতর্কবার্তায় চার বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলেদের উদ্দেশে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
‘উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশ সফরে আসছেন শুক্রবার।
বিমানবন্দরে গার্ড অফ অনার দেয়া হবে তাকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বেলা আড়াইটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৫৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল থাকবে।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা করে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন।
পরবর্তী সময়ে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে আলোচনা করবেন, যেখানে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রাজনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম অভিবাসন, শিক্ষা, প্রযুক্তি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিস্তৃত বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈঠক বাংলাদেশ চলমান রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মালয়েশিয়ার সহায়তা কামনা করবে। পাশাপাশি আসিয়ান কাঠামোর মধ্যে একটি ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সফরসূচি অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে যৌথ বিবৃতি দেয়া হবে।
ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আনোয়ার ইব্রাহিমই প্রথম সরকারপ্রধান যিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সংক্ষিপ্ত সফর শেষে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি হবে বিদেশি কোনো সরকারপ্রধানের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর।
আরও পড়ুন:নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের মিডিয়া সমন্বয়ক ইমতিয়াজ সেলিমকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের মিডিয়া সমন্বয়ক ইমতিয়াজ সেলিমকে (৪২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ ভোরে (৪ অক্টোবর, ২০২৪) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।
‘তার বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে। এ ছাড়া পল্লবী ও খিলগাঁও থানার আরও দুটি মামলার এজাহারনামীয় আসামি সে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘উল্লেখ্য, তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তাকে বিজ্ঞ আদালতে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।’
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে চারজন নিহত ও ১০ জনের মতো আহত হয়েছেন।
উপজেলার এলেঙ্গা লিংক রোডের সামনে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় হতাহত লোকজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নান্নু খান জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এলেঙ্গা লিংক রোডের সামনে গতকাল রাত দুইটার দিকে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাসের চার যাত্রী।
তিনি আরও জানান, আহত যাত্রীদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর পাওয়া গেছে।
মন্তব্য