চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জোয়ান ওয়াগনার।
রোববার বিকেল চারটার দিকে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় বন্দরের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমোডর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল মোস্তফা আরিফ-উর রহমান খান, টার্মিনাল ম্যানেজার মো. কুদরত-ই-খুদা, সহকারী টার্মিনাল ম্যানেজার রাজিব চৌধুরী, এনসিটির টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের ক্যাপ্টেন তানভীর উপস্থিত ছিলেন।
বন্দরের বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জোয়ান ওয়াগনারকে অবহিত করেন বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম দেখেছেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জোয়ান ওয়াগনার। এর আগে তিনি বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন:চার লাখ টাকা দাদন নিয়ে নতুন ট্রলার আর জাল দিয়ে সাগরে ইলিশ ধরায় ব্যস্ত ছিলেন মো. জাকির হাওলাদার। আগামী জুন-জুলাইয়ের মধ্যে ইলিশের বিনিময়ে দাদন পরিশোধ করার পরিকল্পনা ছিল তার। এজন্য দিন-রাত পরিশ্রমও করছিলেন তিনি। কিন্তু আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যায়নি এবার। এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে আবার সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের অবরোধ।
অবরোধের জন্য এখন মহা দুশ্চিন্তায় জাকির। পটুয়াখালীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের মৃত সামু হাওলাদারের ছেলে তিনি।
কোনো প্রশ্ন করার আগেই ৫০ বছরের জাকির বলে উঠলেন, ‘তুফানের বারী খাই আমরা আর চাউল পায় আইরারা।’
অর্থাৎ ট্রলার চালাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত সাগরের ঢেউয়ের ঝাপটা সামলাতে হিমশিম খেতে হয় জেলেদের। অথচ অবরোধের সময় সরকারি খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হন তারা।’
জাকির হাওলাদার বলেন, ‘কি কমু কন। টাহার চিন্তায় রাইতে ঘুমাইতে পারি না। পাঁচজনের সংসার। মরণ ছাড়া উপায় নাই। গত কয়েকদিন কিছু ইলিশ পাইছি, হয়তো কয়দিন পরে বৃষ্টি হইলে আরও অনেক পাইতাম। কিন্তু এহন দিলো অবরোধ। সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানলেও জ্বালা, না মানলেও জ্বালা।’
জাকির মনে করেন, মাছ ধরায় সাগরে ঘন ঘন নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং প্রকৃত জেলেরা সরকারি সহযোগিতা না পেলে অনেকেই এই পেশাটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হবেন।
সম্প্রতি রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া খেয়াঘাট এলাকায় খালের পাড়ে তুলে রাখা ট্রলারের পাশে দাঁড়িয়ে কথা হয় জাকিরের সঙ্গে। এ সময় তার মতো আরও বেশ কয়েকজন জেলে নিজেদের হতাশার কথা জানান।
রাঙ্গাবালীর ভাঙ্গনকবলিত চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন। উত্তাল আগুনমুখা নদী পাড়ি দিয়ে যেতে হয় সেখানে। এই ইউনিয়নে বিবিরহাওলা গ্রামের ২০-২৫ জন জেলে সাগরে মাছ ধরেন। গ্রামের লঞ্চঘাট এলাকায় একটি গাছের নিচে বসেছিলেন তাদেরই একজন রিপন মিয়া।
নোঙ্গর করা নিজের ট্রলার দেখিয়ে রিপন বলেন, ‘তিনদিন আগে বাজার-সদাই নিয়া সাগরে গেছিলাম। খরচ হইছিল ১৭ হাজার টাহা। গতকাইল আইছি। মাছ পাইছি মাত্র আট হাজার টাহার। এহন আবার ৬৫ দিন ঘরে বইয়া থাকতে অইবে। সাত জন শ্রমিক রাখছি, অগ্রিম টাহা দিয়া। ওগোতো ছাড়তেও পারমু না।’
রিপন বলেন, ‘এইডাই মোগো জীবন। এ আর নতুন কিছু না। এইযে দেহেন নদীর ঢেউ রাস্তার পাশে আইসা পড়ে, আবার ভাডার টানে সব শুকায় যায়। মোগো জীবনও এমন। যহন মাছ পাই, তহন আল্লার নামে খালি পাইতেই থাহি। আর যহন পাই না, তহন খালি হাতেই ফিরতে হয়।’
অবরোধের সময় সরকারি খাদ্য সহায়তার বিষয়ে রিপন বলেন, ‘মোর ট্রলারে মোরা আটজন। এর মধ্যে চারজনে চাউল পাই। হেই চাউল আনতে আনতে মোগো জান শেষ। আর বাকি চাইরজনেতো হেই সুযোগও নাই।’
তবে মাছের উৎপাদন বাড়াতে সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন রিপন।
বিবিরহাওলা গ্রামের ওই লঞ্চঘাট থেকে প্রায় ১৫ কিলোমটিার দূরে চরলতা গ্রাম। সেই গ্রামেই কথা হয় আইয়ুব গাজী নামে আরেক জেলের সঙ্গে।
আইয়ুব বলেন, ‘সবে মাত্র মাছ পড়া শুরু করেছে, ঠিক সেই মুহূর্তেই সাগরে অবরোধ দিলো। এর কোনো মানে অয়? ১২ লোক মোর ট্রলারে। আগেই হেগো টাহা-টোহা দিয়া রাখছি।’
আইয়ুব জানান, গত বছর অবরোধের আগে ভালো মাছ পাওয়া গেলেও এবার তেমন পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, ‘চল্লিশ বছর ধইরা এই পেশায় আছি। ইচ্ছা করলেই ছাড়তে পারমু না। সরকারি আইন মেনেই মোরা মাছ ধরা বন্ধ রাখছি। আল্লাহ ভরসা। ৬৫ দিন যেভাবেই হোক ধারদেনা করে হলেও চালাইতে অইবে। এ ছাড়া তো আর কোনো উপায় দেহি না।’
সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা কেন?
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ জানান, মেরিন ফিশারিজ অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই মোট ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২০১৫ সালে এই নিষেধাজ্ঞা চালু হলেও ২০১৯ সাল পর্যন্ত শুধু ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলার এর আওতায় ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে ২৫ হাজার স্থানীয় ট্রলার ও নৌকাকেও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়।
মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, ‘মূলত হারিয়ে যাওয়া কিছু মাছের বংশবৃদ্ধির পাশাপাশি সামুদ্রিক ৪৭৫ প্রজাতির মাছের অবাধ প্রজননের জন্যই এই অবরোধ। এত বছর শুধু মাত্র ইলিশ মাছের নিরাপদ প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানকে অভয়শ্রাম হিসাবে চিহ্নিত করে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হতো। এতে আমরা সফলও হয়েছি। প্রতিবছরই ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে।’
তিনি জানান, অতীতের সফলতা মাথায় রেখেই মৎস্য গবেষকদের পরামর্শে গভীর সাগরে দেশীয় জলসীমায় ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গত দুই বছরে এই উদ্যোগে ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের উৎপাদনও অনেক বেড়েছে।
তিনি আরও জানান, পটুয়াখালী জেলায় বিভিন্ন নদ-নদী এবং সাগরে ৭০ থেকে ৮০ হাজার জেলে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত থাকলেও জেলা মৎস্য অফিস কর্তৃক নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা মোট ৬৭ হাজার। এর মধ্যে সমুদ্রগামী নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৮০৫ জন। অবরোধ চলার সময় সমুদ্রগামী নিবন্ধিত প্রত্যেক জেলেকে ৮৬ কেজি চাল সরকারি খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন:ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়। পরে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের সূত্রে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। সেখানে তাকে দিয়ে করানো হয় যৌন ব্যবসা।
কিছুদিন পর দেশে ফিরে বিয়ে করেন দুজন। পরে আবারও তরুণীকে কৌশলে ভারতে পাচার করে দেয়া হয়। সেখানে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে কিছুদিন পর দেশে পালিয়ে এসে পাঁচ যুবকের নামে মামলা করেন তরুণী।
হবিগঞ্জে মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান র্যাব-৯-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট নাহিদ হাসান।
তিনি জানান, মামলার পর পুলিশ লালমনিরহাট থেকে তিনজনকে এবং র্যাব হবিগঞ্জ থেকে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার সকালে প্রধান আসামি সোহেল মিয়াকে মৌলভীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা। সোহেলের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের বেতাপুর গ্রামে।
লেফটেন্যান্ট নাহিদ হাসান জানান, সোহেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ৩ বছর আগে ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে তার সঙ্গে পরিচয় হয় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ডেমরা গ্রামের এক তরুণীর। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
প্রেমিক সোহেল গত বছরের মার্চ মাসে সাতক্ষীরার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের কলকাতায় নিয়ে যান ওই তরুণীকে। এ সময় সেখানে তাকে আটকে রেখে যৌন ব্যবসা করতে বাধ্য করা হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে ফিরে সোহেল ওই তরুণীকে বিয়ে করেন। পরে তরুণীকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে কৌশলে ভারতে পাচার করে দেন সোহেল। পাচারের আগে তাকে ধর্ষণ করেন সোহেল ও চার সহযোগী।
ভারতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ১৫ মে দেশে পালিয়ে আসেন তরুণী।
২১ মে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় পাঁচ যুবকের নামে পাচার, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন তরুণী।
আরও পড়ুন:গৃহবধূ হত্যা মামলায় একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে রংপুরের একটি বিচারিক আদালত।
রায়ে আসামিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১ টার দিকে এই রায় দেন।
নিউজবাংলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন।
তিনি জানান, শংকরপুর মধ্যপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলমের মা রেহেনা বেগম ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় তার ঘরে চুরি করতে ঢোকেন লাভলু।
ঘরে মাত্র ১০০ টাকা পেয়ে রেহেনা বেগমের কানে থাকা সোনার দুল ছিনিয়ে নেন। তখন লাভলুকে চিনে ফেলেন রেহেনা।
এ কারণে তাকে হত্যা করে বাড়ির অদূরে বাঁশ ঝাড়ে ফেলে চলে যান লাভলু ।
আইনজীবী আরও বলেন, এ ঘটনায় রেহেনার ছেলে খোরশেদ আলম বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় মামলা করেন। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন লাভলু।
২০১৬ সালের ১৫ জুন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা শেষে আদালত মঙ্গলবার আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট প্রকাশ করলেও উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছে আসামিপক্ষের আইনজীবী।
আরও পড়ুন:সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন কপোতাক্ষপাড়ের মানুষ।
‘ত্রাণ চাই না, পরিত্রাণ চাই’ স্লোগানে সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সামনে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মানববন্ধন করেছেন তারা।
জেলা নাগরিক কমিটি, নারী কমিটি, আশাশুনি সদর ও শ্রীউলা ইউনিয়নবাসী এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।
জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্মসচিব আলী নুর খান বাবলুর সঞ্চালনায় মানববন্ধন হয়।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম হোসেনুজ্জামান, জাসদ নেতা অধ্যাপক ইদ্রিস আলী।
আনিসুর রহিম বলেন, ‘আমরা ত্রাণ চাই না, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই। নদনদীর ভাঙন আর দেখতে চাই না। আশাশুনির নদনদী খনন প্রয়োজন। জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের বরাদ্দের অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা জলাবদ্ধ। অনেকের ঘরের মধ্যে পানি। জলাবদ্ধতায় জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
মানববন্ধন শেষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন নাগরিক নেতারা।
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় দুই শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে র্যাব।
মানিকগঞ্জের র্যাব-৪-এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরিফ হোসেন মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ধামরাইয়ের বারোবাড়িয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
তারা হলেন, ধামরাইয়ের দক্ষিণ হাতকোড়া এলাকার আল আমিন, কৃষ্ণপুরা এলাকার পিন্টু মিয়া, বারোবাড়িয়া এলাকার আবু বকর সিদ্দিক ও চরিপাড়া এলাকার আরিফুল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার রাত ৯টার দিকে সাটুরিয়ায় কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের এক ছাত্র ও এক ছাত্রী বাড়ি ফিরছিলেন। ধামরাইয়ের বারোবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামার পর তাদের অপহরণ করা হয়। তাদের নিয়ে রাখা হয় বারোবাড়িয়া এলাকার পুরোনো একটি বাড়িতে।
সে রাতেই ওই শিক্ষার্থীদের পরিবারের কাছে ফোন করে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাড়িতে ফোন করার কথা বলে র্যাবকে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীদের একজন।
র্যাব কর্মকর্তা আরিফ জানান, ফোন পেয়ে র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। আটক করা হয় চারজনকে। তাদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল, ৩২ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
ধামরাই থানায় মামলা দিয়ে তাদের সেখানে হস্তান্তর করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে পুলিশের অভিযানে জব্দ ২৬ হাজার ৭২৪ লিটার ভোজ্যতেল খোলাবাজারে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দেয়া হয়েছে।
রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলি আদালত-২-এর বিচারক মারুফ আল্লাম মঙ্গলবার দুপুরে এ নির্দেশ দেন।
আদালত পরিদর্শক আব্দুর রফিক নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৯ মে রাতে তাহেরপুর বাজারপাড়া ও তেলিপাড়া এলাকার দুটি গুদামে অভিযান চালিয়ে ২৬ হাজার ৭২৪ লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করে পুলিশ। এর মধ্যে সয়াবিন তেল ছিল ১৯ হাজার ২২৪ লিটার এবং সরিষার তেল ৭ হাজার ৫০০ লিটার।
আদালত পরিদর্শক জানান, জব্দ করা এসব তেল আগামী ২৮ ও ২৯ মে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) স্থানীয় দুই ডিলারের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে। ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা। একজন ভোক্তার কাছে সর্বোচ্চ ২ লিটার তেল বিক্রি করা যাবে।
তিনি বলেন, ‘থানার একজন এসআই তেল বিক্রি কার্যক্রম তদারকি করবেন। এ ছাড়া প্রত্যেক ডিলার পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। তেলের বাড়তি মূল্য যেন আদায় না হয়, সেটিও নিশ্চিত করবে পুলিশ। তেল বিক্রি শেষে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।’
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অবৈধভাবে মজুত করা এসব তেল জব্দ করার পর পুলিশের পক্ষ থেকে এগুলো খোলা বাজারে সাধারণ মানুষের মাঝে বিক্রির জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আদালত অনুমতি দিয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব তেল এখন বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।’
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব তেল বাগমারা এলাকাতেই বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া আরও বেশ কিছু তেল খোলা বাজারে বিক্রির অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নানাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে পুকুরে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আলমডাঙ্গার আলীহাটনগর গ্রামে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।
মৃত শিশুটির নাম রহমান হোসেন। ৯ বছরের রহমান চিৎলা গ্রামের কৃষক জাকিরুল ইসলামের ছেলে। সে চিৎলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
জাকিরুল বলেন, ‘আমার ছেলে রহমান গত রোববার তার নানাবাড়ি আলীহাটনগরে বেড়াতে যায়। সেখানে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসলে নেমে সে ডুবে যায়। আশপাশের লোকজন তাকে তুলে সদর হাসপাতালে নেয়। সেখানকার ডাক্তার জানায় আমার ছেলে মারা গেছে।’
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাসনিম আফরিন জ্যোতি জানান, সেখানে নেয়ার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় শিশুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য