× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
নিখোঁজের দুদিন পর নারীর ঝুলন্ত মরদেহ
google_news print-icon

নিখোঁজের দুদিন পর নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নিখোঁজের-দুদিন-পর-নারীর-ঝুলন্ত-মরদেহ-উদ্ধার
প্রতিকী ছবি
ঝর্ণা রানীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যা করে গাছে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে না কি তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা নিশ্চিত নয় পুলিশ।

বরিশালে নিখোঁজের দুইদিন পর এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে জেলার উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম মশাং গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত ঝর্ণা রানী মল্লিক (৪৫) পশ্চিম মশাং গ্রামের মৃত বিশ্বনাথ মল্লিকের স্ত্রী। তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান জানান, ঝর্ণা সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার সকালে স্থানীয়রা নিহতের বাড়ির একটি জাম গাছে তার মরদেহ ঝুলতে দেখে থানায় খবর দেন।

ওসি আরও জানান, তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন:
কাউন্সিলরের বাড়ির পাশে যুবকের মরদেহ
পুকুর ও বাগানে পড়েছিল নিথর দেহ
নিখোঁজের পর বাগানে মাথাবিহীন মরদেহ
মাদ্রাসার পাশে শিশু ছাত্রের লাশ
রাস্তার পাশে যুবকের থেঁতলে যাওয়া মরদেহ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
The youth of Thakurgaon demanded the rescue of arrested weapons in the operation

ঠাকুরগাঁওয়ে অভিযানে যুবক আটক, অস্ত্র উদ্ধারের দাবি

ঠাকুরগাঁওয়ে অভিযানে যুবক আটক, অস্ত্র উদ্ধারের দাবি ঠাকুরগাঁওয়ে বিশেষ অভিযানে আটক যুবক। ছবি: নিউজবাংলা
প্রাথমিকভাবে আসামি কোনো স্বীকারোক্তি দিয়েছেন কি না কিংবা তার নামে আগে কোনো মামলা আছে কি না জানতে চাইলে এসপি বলেন, ‘তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টি আবারও জানানো হবে। তবে আগের কোনো মামলা তার বিরুদ্ধে নেই।’

ঠাকুরগাঁওয়ে বিশেষ অভিযানে সোহেল রানা (৩৩) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

সদর থানা পুলিশ পৌর শহরের গোবিন্দনগরের বিসিক এলাকা থেকে সোমবার ভোররাতে তাকে আটক করে।

পুলিশের দাবি, ওই যুবকের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

আটককৃত সোহেল রানা ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহমানপুর ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুৎ বাজারে ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে কর্মরত।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি বিশেষ টিম বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কক্ষের বিছানার নিচ থেকে বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুর রহমান বলেন, ‌‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, তার বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে তার স্বয়ং কক্ষের বিছানার নিচে একটি অস্ত্র পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে এটি বিদেশি পিস্তল মনে হয়েছে।

‘একজনকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এদিকে যুবকের আটক হওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

ঠাকুরগাঁও পুলিশের অভিযানের বিষয় তুলে ধরে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার (এসপি) শেখ জাহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, আটক যুবকের নামে অস্ত্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তার কাছ থেকে পাওয়া বন্দুকে কোনো গুলি ছিল না।

প্রাথমিকভাবে আসামি কোনো স্বীকারোক্তি দিয়েছেন কি না কিংবা তার নামে আগে কোনো মামলা আছে কি না জানতে চাইলে এসপি আরও বলেন, ‘তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টি আবারও জানানো হবে। তবে আগের কোনো মামলা তার বিরুদ্ধে নেই।’

আরও পড়ুন:
‌‌‘মিথ্যা সাক্ষী দেয়নি বলেই কি বাবা জেলে?’
নিপুণকে লন্ডন যেতে বাধা, বিমানবন্দর থেকে ফেরত
ফেনী সীমান্তে নাইজেরিয়ান নাগরিক আটক
নলডাঙ্গার বিলে যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ
ভারতে আটক বাংলাদেশের ৬ জেলেকে বেনাপোলে হস্তান্তর

মন্তব্য

সারা দেশ
Start the admission war in Jabi

জাবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু

জাবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার। ফাইল ছবি
সকাল ৯টায় শুরু হয়ে মোট পাঁচ শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে রবিবার, যা চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

সকাল ৯টায় শুরু হয়ে মোট পাঁচ শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরের দিন সোমবার প্রথম চার শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

তৃতীয় দিন মঙ্গলবার প্রথম দুই শিফটে ‘ই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফটে ছাত্রীদের এবং দ্বিতীয় শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন তৃতীয় শিফট থেকে পঞ্চম শিফট পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটের ছাত্রীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়াও বুধবার পাঁচ শিফটে ‘এ’ ইউনিটের ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর বৃহস্পতিবার ছয় শিফটে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রথম তিন শিফটে ছাত্রীদের এবং পরবর্তী তিন শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিন সোমবার প্রথম শিফটে ‘সি১’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং পরের তিন শিফটে ‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে প্রথম দুই শিফটে ছাত্রী এবং তৃতীয় শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ভর্তি পরীক্ষা শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম।

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে ভর্তি পরীক্ষা শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।’

সার্বিক নিরাপত্তা দিতে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে রোভার স্কাউট সদস্য, সার্বিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় ১৫০ জন পোশাকধারী সশস্ত্র ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ ফোর্স এবং অতিরিক্ত ৬০ জন আনসার সদস্য ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করবেন।

ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বিভিন্ন ভবনে ১২০ জন বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্য শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক (ডেইরি গেট), জয় বাংলা ফটক (প্রান্তিক গেট) ও বিশমাইল ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) চালু রাখা হয়েছে।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রাতে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
জবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর
জবি শিক্ষার্থী নিহত: রিকশাচালকের বিচার দাবিতে মশাল মিছিল
রিকশার ধাক্কায় ছাত্রী নিহত: জাবিতে অবরোধ শিক্ষার্থীদের
জাবি ক্যাম্পাসে ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় ছাত্রী নিহত
মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জানুয়ারি

মন্তব্য

সারা দেশ
APPRESS Devil Hunt Detained in Gazipur

‌‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: গাজীপুরে আটক ৪০

‌‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: গাজীপুরে আটক ৪০ গাজীপুরের একটি এলাকা। ছবি: ইউএনবি
গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী জাবের সাদেক জানান, অভিযান পরিচালনা শেষে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।

‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামের অভিযানে গাজীপুরে শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সমর্থক সন্দেহে ৪০ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী জাবের সাদেক জানান, অভিযান পরিচালনা শেষে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।

জেলায় শুক্রবার রাতে শিক্ষার্থী ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সহিংস হামলার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়।

আরও পড়ুন:
গাজীপুরসহ দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু
গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ
পাকিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ৩০
কাজী নেচার ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু ট্রেইনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের

মন্তব্য

সারা দেশ
Operation Devil Hunt started across the country including Gazipur

গাজীপুরসহ দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু

গাজীপুরসহ দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো। ফাইল ছবি
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে শনিবার একটি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গাজীপুরসহ সারা দেশে শনিবার থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে যৌথ বাহিনী, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে শনিবার একটি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শুক্রবার রাতে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এ অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সভা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনা করা হবে। শনিবার থেকেই গাজীপুর এলাকাসহ সারা দেশে এই অভিযান শুরু হবে।

এ বিষয়ে রবিবার প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে গাজীপুরে মারধরে আহত সাতজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আরও পড়ুন:
গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ
পাকিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ৩০
কাজী নেচার ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু ট্রেইনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের
বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরে সড়ক অবরোধ শ্রমিকদের

মন্তব্য

সারা দেশ
Gadkhali hopes to sell flowers worth Tk 1 crore on 7 days

৩ দিবসে গদখালীর ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা

৩ দিবসে গদখালীর ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা গদখালীর একটি জমি থেকে সংগৃহীত ফুল। ফাইল ছবি
গদখালী ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর জানান, উৎসবের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ফুলের দামও ততই বাড়ছে। বাজারদর ভালো পেয়ে ফুলচাষি, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা খুশি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, বসন্তবরণ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে ঘিরে ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বসন্তবরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী অঞ্চলের ফুলচাষিরা।

তিনটি দিবসকে সামনে রেখে নিজেদের খেতের ফুলগাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

চাষিদের আশা, সামনের দিনগুলোতে ফুলের দাম আরও বাড়বে এবং তারা লাভবান হতে পারবেন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী, নাভারণ ও পানিসারা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রয়েছে নানা জাতের ফুল। এ অঞ্চলের কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছে গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, গাঁদা, লিলিয়াম, জিপসি, চন্দ্রমল্লিকাসহ অন্তত ১৩ ধরনের ফুল।

গদখালীতে বৃহস্পতিবার সকালে ফুলের পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কাকডাকা ভোরেই চাষিরা বিভিন্ন যানবাহনে তাদের উৎপাদিত বাহারি সব ফুল নিয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বিক্রির জন্য দাঁড়িয়েছেন। হঠাৎ গরম পড়ায় ফুল ফুটে যাওয়া বাজারে ফুলের জোগানও বেশি। গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা ফুলের দাম কিছুটা কম হলেও ঊর্ধ্বমুখী গোলাপের দাম।

মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ফুলের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। যে গোলাপ আগে বিক্রি হয়েছে পাঁচ টাকা দরে, গত বৃহস্পতিবার সে গোলাপ বিক্রি হয় আট থেকে ১০ টাকা দরে।

ফুল চাষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সামনের তিন দিবসে অন্তত ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে।

গত বৃহস্পতিবার বাজারে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হয় ৮ থেকে ১০ টাকা। এ ছাড়া জারবেরা প্রতি পিস ৮ থেকে ১০ টাকা, রজনীগন্ধা স্টিক প্রতি পিস ৮ থেকে ১০ টাকা, জিপসি আঁটির প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাধা প্রতি হাজার ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, গ্লাডিওলাস রংভেদে ৮ থেকে ১২ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা প্রতি পিস ৩ থেকে ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উৎসব যত ঘনিয়ে আসছে, ফুলের দাম ততই বাড়ছে।

ফুলচাষি পলাশ হোসেন বলেন, ‘১০ কাঠা জমিতে গোলাপ চাষ করেছি। গত দুই দিন আগে গোলাপের দাম ছিল পাঁচ টাকা। আজ আট থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে।

‘আশা করছি সামনের দিনগুলোতে ফুলের দাম আরও বাড়বে এবং আমরা লাভবান হতে পারব।’

ফুলচাষি সোহান হোসেন বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে জারবেরা চাষ করেছি। এ বছর ফুলের ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। এখন ১০ থেকে ১২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

‘আসছে ১৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ফুলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সামনের দিবসগুলোতে দাম আরও বাড়বে এবং লাভবান হতে পারব।’

কুষ্টিয়া থেকে ফুল কিনতে আসা ব্যবসায়ী শাকিল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ১৫ হাজার টাকার ফুল কিনেছি। গোলাপ ফুলটা বেশি কিনেছি। অন্যান্যবারের তুলনায় এ বছর বেশি লাভ হবে বলে আশা করছি।’

গদখালী ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর জানান, সারা বছর ফুল বিক্রি হলেও মূলত বসন্তবরণ, ভালোবাসা দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘিরে ফুল বেচাকেনা বেশি হয়। তিন দিবসকে ঘিরে গদখালী বাজারে ফুলের বেচাকেনা জমে উঠেছে।

তিনি জানান, উৎসবের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ফুলের দামও ততই বাড়ছে। বাজারদর ভালো পেয়ে ফুলচাষি, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা খুশি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, বসন্তবরণ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে ঘিরে ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গদখালী অঞ্চলে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ করেন চাষিরা। প্রায় ছয় হাজার চাষি এ ফুল চাষের সঙ্গে যুক্ত।

আরও পড়ুন:
আইনজীবী সাইফুল হত্যা: সুপ্রিম কোর্টসহ সব বারে বিক্ষোভ সমাবেশ
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইসলামি বক্তা সাইফুল্লাহ
চাঁদপুরে সন্ধ্যা ৬টা, যশোরে রাত ৮টা পর্যন্ত শিথিল কারফিউ
১৮৩ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ
দুর্ঘটনায় পা হারানো জান্নাত পেয়েছে জিপিএ ফাইভ, হতে চায় চিকিৎসক 

মন্তব্য

সারা দেশ
The Dealership Agriculture Officer of the Seed Fertilizer by irregularities is a college lecturer

অনিয়ম করে বীজ, সারের ডিলারশিপ কৃষি কর্মকর্তা, কলেজ প্রভাষকের

অনিয়ম করে বীজ, সারের ডিলারশিপ কৃষি কর্মকর্তা, কলেজ প্রভাষকের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর ভবন। ছবি: নিউজবাংলা
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল বলেন, ‘ইউএনও, কৃষি অফিস যাচাই-বাছাই করে জেলা কমিটিকে প্রস্তাব পাঠাই। তারপর অনুমোদন দেওয়া হয়। সরকারি চাকরি করে বিএডিসি কিংবা বিসিআইসির ডিলারশিপ লাইসেন্স নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পূর্ব অনুমতিও নিতে পারত এ ক্ষেত্রে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’

নওগাঁয় অনিয়ম করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিইসি) বীজ ও সারের ডিলারশিপ নিয়েছেন সরকারি কলেজের প্রভাষক ও কৃষি কর্মকর্তা। তাদের স্বজনদেরও একই সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন তারা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা-২০০৯ অনুসারে, একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে অন্য কোথাও থেকে কোনো ধরনের সুযোগ- সুবিধা নেওয়ার বিধান নেই। একই সঙ্গে একজন ব্যক্তি একের অধিক ডিলারশিপ নিতে পারবেন না।

অন্যদিকে আচরণ বিধিমালার ১৭ (১) নম্বর ধারায় বলা হয়, ‘এই আইনের অন্য বিধান অনুসারে, কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যবসায় জড়াতে পারবেন না অথবা দায়িত্বের বাইরে অন্য কোনো কাজ কিংবা চাকরি নিতে পারবেন না।’

অনিয়মে যুক্তদের ভাষ্য

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ী নওগাঁতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ফজলে রাব্বি। তিনি তার স্ত্রী সম্পা বেগমের নামে বিএডিসির বীজের লাইসেন্স বাগিয়ে নিয়ে কৌশলে ডিলারশিপ বিক্রি করে খাচ্ছেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনই নওগাঁ শহরে বসবাস করলেও তারা পোরশা উপজেলায় ‘সাইফ ট্রেডার্স’ নামের ঠিকানা ব্যবহার করে লাইসেন্স নিয়ে রেখেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সম্পা বেগম তার নামে লাইসেন্স স্বীকার করে বলেন, ‌‘আমি নওগাঁ বসবাস করলেও পোরশায় আমার দোকান রয়েছে। ওখানে একটি ছেলে আছে। সে দোকান চালায়।’

দোকানের ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী রাব্বি নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে চাকরি করেন। তিনি সব বলতে পারবেন।’

সাইফ ট্রেডার্স নামের কোনো দোকান পোরশা বাজারে পাওয়া যায়নি। দোকানের সঠিক ঠিকানা কোথায় জানতে চাইলে সম্পা কোনো সদুত্তর না দিয়ে কথা না শোনার ভান করে ফোনের সংযোগ কেটে দেন। এরপর একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফজলে রাব্বির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই লাইসেন্সটা আমার স্ত্রী সম্পার নামে করা আছে।’

নিয়মিত বীজ তোলেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভাই অফিসে আসেন, চা খেয়ে যান। আপনাদের অনেক সাংবাদিক আসে; চা খেয়ে যায়।

‘সবার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। আপনি অফিসে আসেন, চা খেয়ে যান।’

ওই বক্তব্যের পর সংযোগটি কেটে দেন তিনি।

এদিকে জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার মেসার্স জিমান ট্রডার্স নামে নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক ফারুক হোসেন নিয়ে রেখেছেন বিএডিসির সার লাইসেন্সের ডিলারশিপ। প্রোপাইটারে জায়গায় রয়েছে তার নিজের নাম।

তার ছেলে জিমানের নামে নিয়ামতপুর বাজারে রয়েছে দোকান। নিয়মিত বিএডিসির সার ও বীজ তুলে বিক্রি করেন তিনি।

এ বিষয়ে নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক ফারুক হোসেন বলেন, ‘লাইসেন্সটা অনেক আগে করা ছিল। তখন আমার কলেজ সরকারি হয়নি। ২০১৮ সালে আমার কলেজ সরকারি হয়েছে।’

‘তাহলে দীর্ঘ সাত বছর ধরে সরকারি ডাবল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছেন। এটার সুযোগ রয়েছে কী?’

উল্লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই একাধিক জায়গা হতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এটা আমার অন্যায় হয়েছে। আমি তিন মাস আগে ডিসি অফিসে লাইসেন্স বাতিলের আবেদন জানিয়েছি।’

এদিকে ধারাবাহিকভাবে গত মাসেও সরকারি গুদাম থেকে সার তুলেছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লাইসেন্সটা আমার ছেলের নামে হস্তান্তর করা হবে। তার প্রক্রিয়া চলছে।’

অপরদিকে ধামইরহাট উপজেলার ধামইরহাট সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক তৌহিদুল ইসলাম তার নিজ নামে নিয়ে রেখেছেন বিসিআইসির সার ডিলারশিপ। সরকারি গুদাম থেকে নিয়মিত সার তুলে উপজেলার আমাইতাড়া বাজারে বিক্রি করছেন তিনি।

এ বিষষে জানতে ধামইরহাট সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক তৌহিদুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আসলে ওটা অনেক আগে করা হয়েছিল। পরে আমার কলেজ সরকারীকরণ হয়।

‘সরকারি একাধিক জায়গা হতে সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি বেআইনি হয়েছে। আমি লাইসেন্সটা ট্রান্সফার করে দেব।’

‘আপনি তো এখনও নিয়মিত সার তোলেন।’ এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘আসলে এখন ইরি-বোরো মৌসুম চলছে তো। তাই একটু তুলতেছি।’

যা বলছেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা

ডিলারশিপের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সরকারি চাকরি করে বিএডিসি কিংবা বিসিআইসির ডিলারশিপ লাইসেন্স নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারা এটা করতে পারে না।’

‘আপনার অধিদপ্তরে এমন অনেকে রয়েছে। তাহলে তাদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?’

এমন প্রশ্নে প্রোগ্রামের ব্যস্ততার কথা বলে ফোন লাইন কেটে দেন এ কর্মকর্তা।

বিষয়টি নিয়ে কথা হলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল বলেন, ‘ইউএনও, কৃষি অফিস যাচাই-বাছাই করে জেলা কমিটিকে প্রস্তাব পাঠাই। তারপর অনুমোদন দেওয়া হয়।

‘সরকারি চাকরি করে বিএডিসি কিংবা বিসিআইসির ডিলারশিপ লাইসেন্স নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পূর্ব অনুমতিও নিতে পারত এ ক্ষেত্রে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’

আরও পড়ুন:
নওগাঁয় হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন
নওগাঁয় ধর্মঘটে বন্ধ পেট্রল পাম্প: কী বলছেন ভুক্তভোগীরা
ঢাকা থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী নওগাঁয় উদ্ধার
মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল তিন বন্ধুর
গলা কেটে হত্যা: দাফন-কাফনে সহযোগিতা করেও হলো না রক্ষা

মন্তব্য

সারা দেশ
A press conference of the newly formed committee of anti discrimination student movement in Kishoreganj

কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটির সংবাদ সম্মেলন

কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটির সংবাদ সম্মেলন জেলা পাবলিক লাইব্রেরিতে শুক্রবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলার নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও কর্মপরিকল্পনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলন হয়। ছবি: নিউজবাংলা
সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উদ্দেশে ইকরাম হোসেন বলেন, ‘দিল্লিতে বসে আপনি যদি কোনো ধরনের চক্রান্ত করেন, ষড়যন্ত্র করেন, তাহলে আপনি ইতিমধ্যে লক্ষ করেছেন, এই তরুণ বিপ্লবীরা ঘুমিয়ে যায় নাই। আপনি যে স্পর্ধা দেখিয়েছেন ছাত্রলীগ, যুবলীগের গুন্ডা বাহিনী, তারা দুই হাজার ছাত্র-জনতাকে শহীদ করার পরও ন্যূনতম তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই, তাদের কোনো অনুশোচনা নেই।’

কিশোরগঞ্জে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটি।

এতে কমিটির কিশোরগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি, স্বৈরাচারের অন্যতম দোসর, তিনি ছিলেন ফ্যাসিস্টের ১৫ বছরের অন্যতম সহযোগী। হাজার হাজার মানুষকে গুম, খুন, হত্যা করে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেওয়া, আয়নাঘরে বন্দি করেছেন, বনবাসে পাঠিয়েছেন, পাচার করেছেন, নির্মমভাবে অত্যাচার করে হত্যা করার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার যতটুকু দায় রয়েছে, কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল)-এর সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুরও ততটুকু দায় রয়েছে।

‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী চুন্নুর বিরুদ্ধেও কিশোরগঞ্জের ছাত্রসমাজ অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবে। সে যে স্পর্ধা দেখাচ্ছে, সে যে মাঠে আসতে চাচ্ছে, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, তাকে ছাত্রসমাজ রুখে দেবে।’

দুপুরে জেলা পাবলিক লাইব্রেরিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলার নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও কর্মপরিকল্পনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলন হয়।

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ৩২১ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেন। এতে ইকরাম হোসেনকে কিশোরগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক ও ফয়সাল প্রিন্সকে সদস্য সচিব করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উদ্দেশে ইকরাম হোসেন বলেন, ‘দিল্লিতে বসে আপনি যদি কোনো ধরনের চক্রান্ত করেন, ষড়যন্ত্র করেন, তাহলে আপনি ইতিমধ্যে লক্ষ করেছেন, এই তরুণ বিপ্লবীরা ঘুমিয়ে যায় নাই। আপনি যে স্পর্ধা দেখিয়েছেন ছাত্রলীগ, যুবলীগের গুন্ডা বাহিনী, তারা দুই হাজার ছাত্র-জনতাকে শহীদ করার পরও ন্যূনতম তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই, তাদের কোনো অনুশোচনা নেই।

‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, যাদের হাতে দুই হাজার ছাত্র-জনতার রক্ত লেগে আছে, যারা ছাত্র-জনতাকে পঙ্গু করেছে, নিঃস্ব করেছে, তাদের আওয়ামী লীগের ব্যানারে কোনো রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। কিশোরগঞ্জেও আওয়ামী লীগের ব্যানারে কোনো রাজনীতি চলবে না। যারাই স্পর্ধা দেখাবে, আমরা তাদের প্রতিহত করব।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্স, মুখ্য সংগঠক শরিফুল হক জয়, মুখপাত্র সাব্বিরুল হক তন্ময়, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান রনি, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াজ ইবনে জসীম, যুগ্ম সদস্য সচিব আদিফুর রহমান, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক রহমত উল্লাহ চৌধুরী হাসিনসহ অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তাদের একজন বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় প্রকল্পের নামে শত শত কোটি টাকা লুটপাট করেছে ফ্যাসিস্টরা। এলজিইডি, রোডস এন্ড হাইওয়ে, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীরা টাকার পাহাড় গড়েছে।

‘আন্দোলনে নিহত ও আহতদের নিয়ে মামলা বাণিজ্য হয়েছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রকৃতপক্ষে যারা দোষী, তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘৬ মাস পরে কমিটি হইছে। কমিটি দরকার তাই হইছে। আমাদের দরকার দেশকে সংস্কার করা। ৫ আগস্টের পর কারা বাসস্ট্যান্ড দখল করছে, তা কি আমরা জানি না? যতদিন পর্যন্ত দেশটাকে সুন্দর করতে না পারি, ততদিন পর্যন্ত থাকব।

‘আমরা ক্ষমতার জন্য এখানে আসিনি। চাকরির বাজারও দখল করে রেখেছে। মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী হবে, এমন বাংলাদেশ আমরা চাই না।’

আরও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাসায় আগুন, গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো আওয়ামী লীগ কার্যালয়
জমিদার বাড়িতে ডাকাত আতঙ্ক
তিন দিন পর বসানো হলো নতুন মোটর, কেটেছে পানির সংকট
কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের শৌচাগারেও নেই পানি
সরকারি হাসপাতালে দুই দিন ধরে নেই পানি, ভোগান্তিতে রোগী ও স্বজন

মন্তব্য

p
উপরে