জয়পুরহাট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন বিএনপি প্যানেলের আইনজীবী প্রার্থীরা। এ নির্বাচনে সমিতির ১১ সদস্যের মধ্যে সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ৯ পদে বিএনপি প্রার্থী ও বাকি দুইটি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে ভোট গণনা করে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান জানান, বিএনপি প্যানেলের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শাহনূর রহমান শাহিন, সহসভাপতি পদে আলমগীর কবির, অর্থ সম্পাদক পদে এ কে এম আবু সুফিয়ান পলাশ, নিরীক্ষা সম্পাদক পদে আব্দুল মোমিন হামিদুল, সদস্য পদে নুরে আলম সিদ্দিক, শহিদুল ইসলাম গোলাম মওদুদ শাহরিয়া নির্বাচিত হন।
অপরদিকে আওয়ামী লীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিতরা হলেন- সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল (পিপি) আপ্যায়ন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নিগার সুলতানা রিক্তা।
বিএনপির ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তের পরও সিটি নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করার কারণ জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন। দলটির দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে তিনি তা জানিয়েছেন।
এসময় মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দকে দোষারোপ করেছেন রুপন। মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া ও প্রত্যাহারের বিষয়ে কেউ কখনও যোগাযোগ করেনি বলে অভিযোগ তার।
তিনি জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বেঁধে দেয়া সময়সীমা শুক্রবার রাত ১০টার মধ্যেই শোকজের জবাব দিয়েছেন তিনি।
নোটিশের জবাবে রুপন উল্লেখ করেন, ‘বরিশাল সিটি নির্বাচনের প্রার্থীতা ঘোষণার পর গণমাধ্যমে এই মর্মে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয় যে আমি বিএনপির কেউ নই। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় বলে উল্লেখ করা হয়। তারপরও আমি সবসময় মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়েছি, বিএনপির পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আসলে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করব।’
বর্তমানে তিনি কোনো সাংগঠনিক পদে নেই জানিয়ে বলেন, ‘এখন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। তবে দল যে সিদ্বান্ত দেবে, তা মেনে নেব।’
বরিশাল সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে মেয়র পদের রুপনসহ সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের ১৯ জনকে শোকজ দেয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি।
২৪ ঘন্টার মধ্যে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই নোটিশের জবাব দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
নোটিশের জবাবে রুপনকে দায়ী করা প্রসঙ্গে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদ বলেন, ‘সে বিএনপি পরিবারের সন্তান। সারা দেশের মানুষ জানে নিশিরাতে ভোটের এ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির কেউ অংশ নেবে না। সে যদি বিএনপিকে ভালবাসত, তাহলে নির্বাচনে অংশ নিত না।’
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্বান্ত। বিএনপির সবাই এটা জানে। ঘরে ঘরে গিয়ে তো বলার কিছু নেই।’
আরও পড়ুন:চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে এক লাখ ৪৩ হাজার ১০০ ডলার ও ১০ হাজার ইউরোসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করা হচ্ছে- এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সকাল ১০টায় সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় শেখ তপন নামে এক যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে অভিনব কায়দায় লুকানো এক লাখ ৪৩ হাজার ১০০ ইউএস ডলার ও ১০ হাজার ইউরো উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর মূল্য প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আটক তপন ঢাকার যাত্রাবাড়ী ভাঙ্গা প্রেস এলাকার শেখ জালাল উদ্দিনের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান জানান, ওই ঘটনায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের ও উদ্ধারকৃত বৈদেশিক মুদ্রা চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভাটিয়ারী থেকে এক কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। আর হেরোইন খুঁজে বের করেছে একটি কুকুর।
শনিবার সকালে ভাটিয়ারীর ওয়েল ফুড রেস্টুরেন্টের সামনে কুষ্টিয়া থেকে চট্টগ্রাম শহরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস থেকে এই হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ সময় হেরোইনের বাহককে ধরতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসটির চালক ও তার সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ওই বাসে হেরোইনের চালান পাচার হচ্ছে- এমন তথ্য ছিল বিজিবির কাছে। সকালে পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহায়তায় ওই বাসে অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি।
‘আমরাও অভিযানে ছিলাম। এ সময় বিজিবির প্রশিক্ষিত একটি কুকুরের সাহায্যে বাসে যাত্রীদের মালামাল রাখার স্থান থেকে একটি ব্যাগে থাকা পলিথিনের প্যাকেটজাত এক কেজি হেরোইন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হেরোইনের মূল্য প্রায় কোটি টাকা।’
চট্টগ্রাম-৮ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাসে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে হেরোইনের মালিক পাওয়া যায়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসের চালক ও চালকের সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।’
বরিশালে সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ভীত-সন্ত্রস্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টার পাশাপাশি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন মেয়র প্রার্থীরা। এমন কোনো ঘটনা ঘটলে কড়া আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়মী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছাড়া বাকি মেয়র প্রার্থীরা।
শনিবার নগরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগের সময় এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।
গণসংযোগকালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, ‘ভোট দিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভোটাররা। তবে বরিশালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনও নিশ্চিত হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখানে বিভিন্নভাবে ভীত-সন্ত্রস্ত পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে।
‘ছাত্রলীগের বিশেষ এক নেতা এসে নৌকার লোগো লাগিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন বরিশালে। তিনি বরিশালের সিটি নির্বাচনে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে লোক এনে একটা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন। তাদের উদ্দেশ্য, জনগণ যেন ভোটকেন্দ্রে না যায়।’
এ ধরনের অবস্থা চলতে থাকলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, তারা যেন এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডটা নিশ্চিত করেন। নাহলে সারা দেশে ভোট চুরির বিরুদ্ধে যে গণআন্দোলন শুরু হবে, সেই আন্দোলনে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে সরকার।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘বরিশালে ধীরে ধীরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হওয়ার দিকেই যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের কিছু লোককে হয়রানি করা হয়েছে।
‘টুপি-দাড়ি দেখে আমাদের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, কোথায় বাড়ি? কেন এসেছেন? অথচ, নির্বাচনী আচরণবিধির মধ্যে কোথাও লেখা নেই যে শহরের বাইরের কেউ ভোট চাইতে পারবে না বা আসতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘আশেপাশের কিছু লোক তো আসতেই পারে এবং সব প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার জন্যই তারা আসেন। আমি মনে করি নির্বাচনী আচরণবিধির মধ্যে যা আছে, সেই দিকে প্রশাসনের লক্ষ্য রাখা উচিত। এর বাইরে অতি উৎসাহিত হয়ে অন্য কিছু না করাই ভালো।
‘নির্বাচনী বিধি ছাড়া যদি আমি কোনো কাজ করি, তাহলে বলবেন। কিন্তু বিধির মধ্যে থেকে কাজ হলে অতি উৎসাহী হয়ে আমাদের বাধা দেয়ার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি করব, বরিশালের নির্বাচনের দিকে গোটা দেশ তাকিয়ে আছে। ফলে নির্বাচন যদি কোনো অবস্থায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়, যদি গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আন্দোলনের পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেবে।
ভোটারদের সমর্থনের ব্যাপারে এসময় তিনি বলেন, ‘ভোটারদের কাছ থেকে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি। তারা ইতোমধ্যে ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলছে। যে ব্যক্তির মাধ্যমে বরিশালের সব দিকের উন্নয়ন হবে, সে রকম একজন প্রার্থীকে ভোটাররা যাতে নির্বাচিত করেন, আমি সে দাবি জানাই। ফেয়ার-ফ্রি ভোট হলে হাতপাখা জয়লাভ করবে।’
জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চুও মাঠে নেমে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান। তিনি বলেন, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় ও কমিশন যদি সঠিকভাবে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করতে পারে, তাহলে আমি জয়ের আশা রাখি।’
তবে এখন পর্যন্ত অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)।
এদিকে নির্বাচনে প্রচারের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রুপনের তিন কর্মীকে আটকের অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে রুপন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে গেলেও তারা সঠিকভাবে কিছু বলছে না। বিকেল সাড়ে ৪টায় আদালতে গিয়ে জানতে পারলাম রমজান, মোনায়েম খান, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম মন্টু নামে আমার তিন কর্মীকে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ বিনা কারণে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু তাদের এখনও আদালতে তোলেনি।’
এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সন্দেহজনক কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়াও হয়েছে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল।
আরও পড়ুন:সাভারে প্রেমে বিচ্ছেদ চাওয়ায় এক নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনায় শনিবার বিকেলে ভুক্তভোগী নারী আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এর আগেও ২৬ মে ওই নারী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, ৩২ বছর বয়সী অভিযুক্তের নাম সাকিব আসলাম। দুই বছর আগে ৩৭ বছর বয়সী ভুক্তভোগী নারীর রেস্তোরাঁয় সাকিবের যাতায়াতের সুবাদে তারা প্রেমে জড়ান। ভুক্তভোগী নারী বিবাহিত এবং সন্তানের মা।
প্রেমের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী জানতে পারেন সাকিবেরও স্ত্রী আছে। এতে তিনি সম্পর্কের বিচ্ছেদ চান এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
এর মধ্যে ওই নারী অসুস্থ হয়ে ৩০ মে আশুলিয়ার বাইপাইলে একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। খবর পেয়ে শুক্রবার সাকিব হাসপাতালে গিয়ে কেবিনের দরজা বন্ধ করে ভুক্তভোগীকে মারধর করেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সাকিব আসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকির বলেন, ‘ওই নারী আগেও একটি জিডি করেছিলেন। সেটি তদন্তের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা এলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া আজও একটি অভিযোগ পেয়েছি। ওসির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:কুমিল্লার হোমনায় ট্রাকচাপায় মা-মেয়ে ও সদর দক্ষিণে ট্রেনের ধাক্কায় বাবা-ছেলে নিহত হয়েছে।
ট্রাকচাপায় নিহতরা হলেন হোমনা উপজেলার হোমনা পূর্বপাড়া গ্রামের সজল সরকারের স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার ও তার এক বছরের মেয়ে সাউদা।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে ফেরদৌসী আক্তার তার একমাত্র মেয়ে সাউদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে অটোরিকশাযোগে বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হোমনা উপজেলার শ্রীমদ্দি এলাকায় একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গেলে তাদের অটোরিকশাটি হেলে পড়ে। এ সময় ফেরদৌসী আক্তার ও তার কোলে থাকা কন্যা সন্তান সাউদা ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হোমনা থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা ও ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। দুপুরে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী সোহাত ও তার ছেলে ১২ বছর বয়সী ছেলে সোহেল প্রাণ হারান।
বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জেলার সদর দক্ষিণ থানার জেলখানা বাড়ি এলাকার রেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ট্রেন জেলখানা বাড়ি এলাকার রেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা ধাক্কা খায়। এতে অটোরিকশার যাত্রী সোহাত ও তার ছেলে সোহেল ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। তাদের বাড়ি বরুড়া উপজেলার বাতাইছড়ি এলাকায়।
আরও পড়ুন:আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান’ স্লোগান সামনে রেখে দেয়া এই ইশতেহারে ১০ খাতে ১০৫ দফার উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ অডিটরিয়ামে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও দু’বারের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিগত সময়ে তার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। তিনি শুধু রাজশাহী শহরের উন্নয়নেরই ঘোষণা দেননি। বরং রাজশাহী অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
লিটন বলেন, ‘আমি যে উন্নয়ন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছি মেয়র হিসেবে এর প্রায় অর্ধেকটাই আমার কাজের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু আমি যেহেতু আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীরও সদস্য, সে কারণে আমি মেয়র হলে এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নেই ভূমিকা রাখতে চাই। আমার বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা নিয়ে আমি এসব কাজ করতে পারব।’
নৌকার এই মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘একজন মেয়র হিসেবে আপনারা আমাকে দায়িত্ব দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর মানুষের উন্নয়নের জন্য প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। এই নগরীর সমৃদ্ধির জন্য শতাধিক উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। নগরীর সড়ক বর্ধিতকরণ, সৌন্দর্য বর্ধন, নাগরিক পরিষেবা নিশ্চিতকরণ, পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নসহ শিক্ষা, চিকিৎসা, অনগ্রসর জনসমষ্টির জন্য বিশেষ প্রণোদনা, নতুন নতুন স্থাপনা প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন নতুন ক্ষেত্র প্রস্তুত করা ইত্যাদি কার্যক্রমে সুশাসন নিশ্চিত করে আপনাদের অধিকতর সেবা প্রদানে আমি সর্বদা সচেষ্ট থেকেছি। এবার নির্বাচনে তাই আমার ঘোষণা- উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান।’
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকারসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, ক্রীড়াসহ নগরীর গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য