× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
মন্দিরের চুরি যাওয়া সেই মূর্তি উদ্ধার
google_news print-icon

মন্দিরের চুরি যাওয়া সেই মূর্তি উদ্ধার

মন্দিরের-চুরি-যাওয়া-সেই-মূর্তি-উদ্ধার
বোয়ালমারী উপজেলার কামারগ্রামের ‘শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ জিউর নিত্য সেবা অঙ্গন’ মন্দির থেকে চুরি যাওয়া রাধা মূর্তিটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কামারগ্রামের ‘শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ জিউর নিত্য সেবা অঙ্গন’ মন্দির থেকে চুরি যাওয়া রাধা মূর্তিটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কামারগ্রামের ভবেশ সাহার বাড়ির কাছে ডোবার ঝোঁপঝাড় থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।

গত ২৩ নভেম্বর গভীর রাতে ‘শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ জিউর নিত্য সেবা অঙ্গন’ থেকে মন্দিরের তিনটি তালা ভেঙে ২০ কেজি ওজনের পিতলের রাধা-গোবিন্দ ও গোপালের বিগ্রহ মূর্তি চুরি হয়। এ সময় মূর্তির শরীরে থাকা রৌপ্যালংকার ও মন্দিরের ক্যাশ থেকে আট হাজার টাকাও নিয়ে যায় চোর।

এ ঘটনায় মন্দিরের সেবায়েত সুজিত কুমার বিশ্বাস অজ্ঞাতদের আসামি করে ২৪ নভেম্বর বোয়ালমারী থানায় মামলা করেন।

মূর্তি উদ্ধারকারী বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক ওহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কামারগ্রামের ভবেশ সাহার বাড়ির কাছে ডোবার পার থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রাধা মূর্তিটি উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, ‘চুরি যাওয়া একটি মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি মূর্তি উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Send the teachers ironing board to the student in Dhaka

মাদ্রাসা শিক্ষকের ইস্ত্রির ছ্যাঁকা, শিক্ষার্থীকে ঢাকায় প্রেরণ

মাদ্রাসা শিক্ষকের ইস্ত্রির ছ্যাঁকা, শিক্ষার্থীকে ঢাকায় প্রেরণ অভিযুক্ত মুহতামিম মো. সাইফুল ইসলাম হাবিব ও আহত শিক্ষার্থী। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
খেলার সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর তার পরণের লুঙ্গি খুলে যায়। এর শাস্তি হিসেবে ওইদিন রাতে মুতামিম তাকে অফিসে নিয়ে শিক্ষক আতিকুল এবং তিন শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় তার নিতম্ব এবং পায়ের তলায় গরম ইস্ত্রি লাগিয়ে ছ্যাঁকা দিয়ে ঝলসে দেন।

গরম ইস্ত্রির ছ্যাঁকা দিয়ে হেফজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীর দুই নিতম্ব এবং পায়ের তলা পুড়িয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার হোমনায় মাদ্রাসার মুহতামিমের (প্রধান) বিরুদ্ধে। আহত ওই শিক্ষার্থীকে মঙ্গলবার রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলার নয়াকান্দি মমতাজিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে। ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোর উপজেলার চান্দেরচর গ্রামের বাসিন্দা।

এ ঘটনায় মা হাফেজা বেগম মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মো. সাইফুল ইসলাম হাবিব, সহযোগী শিক্ষক আতিকুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় মামলা করেন। মূল অভিযুক্ত মুহতামিম ও আসামি তিন শিক্ষার্থী পালিয়ে গেছেন। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

২৮ বছর বয়সী ওই মুহতামিম একই উপজেলার নয়াকন্দি গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তার শিক্ষক আতিকুল ইসলাম মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার শ্রীকাইল গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির এক বিশেষ সভায় মঙ্গলবার মুহতামিমকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, ‘দেখে মনে হয়েছে, ১০-১২ দিন আগেই পুড়েছে। দুই নিতম্বেই পুড়ে গিয়ে গভীর ঘাঁ হয়ে যাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার তাকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে।’

নির্যাতিত শিশু আবদুল কাইয়ুম জানায়, ওইদিন সে তার অন্য সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাচ্ছলে দুষ্টুমি করছিল। এক ফাঁকে তার পরণের লুঙ্গি খুলে যায়। এর শাস্তি হিসেবে ওইদিন (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মুতামিম তাকে অফিসে নিয়ে শিক্ষক আতিকুল এবং তিন শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় তার নিতম্ব এবং পায়ের তলায় গরম ইস্ত্রি লাগিয়ে ছ্যাঁকা দিয়ে ঝলসে দেন।

ভুক্তভোগীর মা হাফেজা বেগম বলেন, ‘খাবার নিয়ে মাদ্রাসায় গেলে সে আমাকে দেখে কাঁদতে থাকে। ছেলের মানসিক অবস্থা বুঝে তাক বাড়ি নিয়ে আসি। বাড়িতে এসে সে তার জখমের জায়গা দেখিয়ে পুরো ঘটনা বলে। তারা আমার ছেলের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করেছে।’

এ বিষয়ে ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, ‘সন্ধ্যায় সেখানে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। ছেলেটিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।’

হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আবদুল কাইয়ুমকে গরম ইস্ত্রির ছ্যাঁকা দিয়ে পোড়ার ঘটনায় মুহতামিম হাফেজ সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক আতিকুল ইসলামহ আরও তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মা হাফেজা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’

আরও পড়ুন:
গভীর রাতে ছাত্রীকে অফিস কক্ষে ডেকে নিপীড়ন, মুহতামিম গ্রেপ্তার
মাদ্রাসাছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
ধারাবাহিক বলাৎকার, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

মন্তব্য

সারা দেশ
In Naogaon the miscreants cut the tendons of the two legs of the teacher

নওগাঁয় শিক্ষকের দুই পায়ের রগ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা

নওগাঁয় শিক্ষকের দুই পায়ের রগ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা শিক্ষক আবুল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
আত্রাই থানার ওসি তারেকুর রহমান সরকার জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

নওগাঁর আত্রাইয়ে স্কুল থেকে ফেরার পথে আবুল হোসেন নামে এক স্কুল শিক্ষকের দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

উপজেলার পাঁচপুর মোড় এলাকায় সোমবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আবুল হোসেন আত্রাই উপজেলার বিহারীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জগদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আত্রাই থানার ওসি তারেকুর রহমান সরকার জানান, শিক্ষক আবুল হোসেন সোমবার বিকেলে উপজেলার জগদাস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ছুটির পর মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে পাঁচুপুর মোড় এলাকায় পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা তার পথ আটকিয়ে তাকে মারধর করে এবং তার দুই পায়ের গোড়ালি থেকে রগ কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে আত্রাই হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি আরও জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

শিক্ষক আবুল হোসেনের শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুল থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার সময় পথে এ ঘটনা ঘটেছে।’

আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক দোলন আক্তার বলেন, ‘শিক্ষক আবুল হোসেনের দুই পায়ের গোড়ালি শুধু একটু চামড়ার সঙ্গে লেগে আছে। তাছাড়া প্রায় পুরো গোড়ালিই কাটা। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
মু‌ক্তিযুদ্ধ মঞ্চ মাদারীপুরের সভাপ‌তিকে কুপিয়ে জখম
দুর্বৃত্তদের হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নিহত

মন্তব্য

সারা দেশ
Arrest warrant issued against BNP leader Dulu and his wife

বিএনপি নেতা দুলু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা

বিএনপি নেতা দুলু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবি। ছবি: নিউজবাংলা
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরিফুর রহমান বলেন, ‘হত্যা মামলার আসামি দুলু আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে নানা আবেদন করে দীর্ঘদিন আদালতে অনুপস্থিত। নানা কূটকৌশলে তিনি আদালতের সময় নষ্ট করছেন। এ বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’

নাটোরে হত্যা ও বিস্ফোরণ মামলায় নির্দিষ্ট তারিখে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরীফ উদ্দিন এ আদেশ দেন।

মামলার বরাতে আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর রাতে নাটোর শহরের রেল স্টেশন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে আসার পথে আলাইপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতা দুলুসহ তার সমর্থকরা পিস্তল, রিভলবার, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে বহরের পথরোধ করে হামলা চালায়। হামলার সময় গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় আওয়ামী লীগকর্মী পলাশ। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার পরের দিন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মোর্তজা আলী বাবলু বাদী হয়ে দুলুকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ১৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এছাড়া ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোর জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুমের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের শান্তিপূর্ণ একটি মিছিল জেলা বিএনপি কার্যালয় অতিক্রম করার সময় দুলুর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবির নির্দেশে মিছিলে হামলা করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। ঘটনার দিনই ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বাদী হয়ে ছবিকে প্রধান আসামি করে ৩৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনের নামে মামলা করেন।

২০১৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শহরের কানাইখালি এলাকায় বিএনপি নেতা বাবুল চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মিছিলে হামলা চালানো হয় এবং ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি শহরের তেবাড়িয়া এলাকায় আওয়ামী লীগের বিজয় র‌্যালিতে বিএনপি হামলা চালায় বলেও অভিযোগ ওঠে। সেসময় গুলি করে যুবলীগকর্মী রাকিব রায়হানকে হত্যা করা হয়।

এসব মামলায় শুনানির নির্দিষ্ট তারিখে উপস্থিত না হওয়ায় দুলু ও তার স্ত্রী ছবির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল হোসেন বলেন, ‘আসামি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু অসুস্থ থাকায় আদালতের ধার্যকৃত তারিখে হাজির হতে পারেননি। এজন্য হাসপাতালের চিকিৎসা সনদ আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আর স্বামীর অসুস্থতায় সেবাযত্ন করায় সাবিনা ইয়াসমিন ছবিও আদালতে হাজির হতে পারেনি। আদালতে সময় প্রার্থনা করেছিলাম। তবে তা নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হব।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরিফুর রহমান বলেন, ‘হত্যা মামলার আসামি দুলু আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে নানা আবেদন করে দীর্ঘদিন আদালতে অনুপস্থিত। নানা কূটকৌশলে তিনি আদালতের সময় নষ্ট করছেন। এ বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’

আরও পড়ুন:
ইয়াবা-গাঁজাসহ একই পরিবারের ৫ জন গ্রেপ্তার
পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপির মঞ্চ ভেঙে ফেলার অভিযোগ, স্থগিত সমাবেশ
ছুরিসহ ‘তোমাদের আরিফ ভাইয়া’কে ধরেছে পুলিশ
বিদেশে খালেদার চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে আইনজীবীদের পদযাত্রা
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে: ফখরুল

মন্তব্য

সারা দেশ
Awami League leader killed at midnight in Gaibandha

গাইবান্ধায় মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ নেতা খুন

গাইবান্ধায় মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ নেতা খুন বাদশা মিয়া। ফাইল ছবি
অভিযোগ উঠেছে, পাপুল নামে এক যুবক এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে খুন করেছে তাকে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ওই নেতার আরও দুই ভাই।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে চুরি ঠেকাতে নিয়োগ করা প্রহরীদের সঙ্গে বিতণ্ডার জেরে মধ্যরাতে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে খুন করা হয়েছে।

সোমবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বাদশা মিয়া ওই গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে ও বেতকাপা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য (মেম্বার) ছিলেন।

অভিযোগ উঠেছে, পাপুল নামে এক যুবক এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে খুন করেছে তাকে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ওই নেতার আরও দুই ভাই।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) দীবাকর অধিকারী নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি ওই এলাকায় রাতে আশঙ্কাজনক হারে চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় কয়েকজন যুবককে প্রহরী (পাহারাদার) নিয়োগ করা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, জরুরি কারণ ছাড়া রাত ১০টার পর অযাথা ঘোরাফেরা করা যাবে না। কেউ অযাথা ঘোরাফেরা করলে তাকে জবাবদিহিতার আওতায় নেয়া হবে।

স্থানীয়ভাবে এমন সিদ্ধান্তের পর সোমবার রাত ১২টার পর নয়নপুর গ্রামের মোসলেম আকন্দের (ভোলা) ছেলে পাপুল আকন্দকে পেয়ে খায়রুল নামে এক প্রহরী (পাহারাদার) পথরোধ করেন এবং এত রাতে বাইরে থাকার কারণ জানতে চায়। এ সময় আটকানোর বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ওয়ার্ড সদস্য বাদশা মিয়াসহ অন্যরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য সেখানে উপস্থিত হন। এতে বাদশা মিয়ার সঙ্গে পাপুলের তর্ক বাধে। পরে উভয়পক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পাপুল তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে বাদশা মিয়ার বুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। বাদশা মিয়ার ভাই স্বপন ও সবুজ এগুতে গেলে তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় পাপুল।

পরে স্থানীয়রা গুরত্বর আহত বাদশা মিয়াসহ তিনজনকেই উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদশা মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) উদয় কুমার সাহা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল মণ্ডল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ওসি (তদন্ত) দীবাকর অধিকারী বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত পাপুল আকন্দকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। আশা করছি দ্রুতই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। মামলা করা হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
No one listens to US bans Who

কোনো নিষেধাজ্ঞা শেখ হাসিনাকে থামাতে পারবে না: কাদের

কোনো নিষেধাজ্ঞা শেখ হাসিনাকে থামাতে পারবে না: কাদের কেরানীগঞ্জে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: নিউজবাংলা
‘যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়, আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় বিএনপি’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কী আশ্চর্য! মনে হয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে ভয় দেখানোর এজেন্সি দিয়েছে।’

কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা মেনে নয়, নিজেদের সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ চলবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘একাত্তরে আমাদের হারাতে পারেনি, আজও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শেখ হাসিনাকে থামানো যাবে না। আমরা কারও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না। আর তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনে না। ভেনিজুয়েলা, গ্যাবন, সুদান কেউ শোনেনি। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাও প্রথম সারির অনেক মোড়ল দেশ মানে না।।’

মঙ্গলবার রাজধানীর কেরানীগঞ্জে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

‘যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়, আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় বিএনপি’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কী আশ্চর্য! মনে হয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে ভয় দেখানোর এজেন্সি দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কারও কাছে মাথা নত করবে না। বিএনপি কীভাবে ঢাকা দখল করে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। লাল সবুজের পতাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ সারা দেশ দখল করবে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব যতদিন আছে, ততদিন আমরা লড়ে যাব। এই বীরের দেশে বীর জনতা কারও কাছে মাথা নত করবে না।’

কেরানীগঞ্জের নেতা-কর্মীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভোটের জন্য তৈরি হয়ে যান। ভোট জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। বারবার আসব না, আপনারাই শেখ হাসিনার হয়ে জনগণের কাছে যাবেন। নৌকার হয়ে শেখ হাসিনার জন্য ভোট চাইবেন। শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলবেন।’

এসময় আওয়ামী লীগের কোনো কর্মীর গায়ে আঘাত করলে এবার পাল্টা আঘাত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আঘাত করলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না। মির্জা আব্বাস ঝিনাইদহের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলছে- আজ নাকি চাঁদ রাত, চাঁদ রাতের আনন্দ।

‘কিছু লোকজন দেখে মির্জা আব্বাস আপ্লুত হয়ে চাঁদ রাতের স্বপ্ন দেখছেন। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন দেখছেন মনে মনে। মির্জা আব্বাস সাহেব, যত চাঁদ রাতই দেখুন, আপনাদের এই স্বপ্ন, রঙিন বেলুনের মতো অচিরেই চুপসে যাবে। ক্ষমতার মুখ আপনারা দেখবেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করেছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ৪৮ মিনিটের জন্য একটা আন্দোলনও করতে পারেনি।’

এ ইস্যুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কান্না প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কত মায়ের বুক খালি করে, কতজনকে স্বামীহারা, বাবাহারা করে বিএনপি এখন নিজেই কাঁদছে। ফখরুল সাহেব কাঁদতে কাঁদতে বাংলাদেশ কান্নার দরিয়া হয়ে যাবে, তবুও আপনাদের ক্ষমা নেই। পিতৃহত্যা, মাতৃহত্যার প্রতিশোধ আমরা নেব। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না।’

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিদুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানসহ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন:
ভিসা নীতি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, কারও পক্ষ নিতে নয়: ‍যুক্তরাষ্ট্র
আমাকেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে: রাঙ্গা
বিএনপিকে পাল্টা ৩৬ দিনের আল্টিমেটাম আওয়ামী লীগের

মন্তব্য

সারা দেশ
Thousands of people are trapped in the water after the dam of Atrai broke

আত্রাইয়ের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হাজারও মানুষ

আত্রাইয়ের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হাজারও মানুষ বাঁধ ভাঙা পানিতে ভাসছে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের গ্রাম। ছবি: নিউজবাংলা
টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আত্রাই নদের চারটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। প্লাবিত হয়েছে কমপক্ষে ৭টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় হাজার পরিবার। ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত।

টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আত্রাই নদের চারটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারও মানুষ। তলিয়ে গেছে এক হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধানের ক্ষেত।

এছাড়াও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের বেশকিছু এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ। এ অবস্থায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভরে বাঁধে ফেলছেন স্থানীয়রা।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আত্রাই নদের পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার পর্যন্ত নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আত্রাইয়ের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হাজারও মানুষ

মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঁধভাঙা পানিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম। এই ইউনিয়নের নুরুল্লাবাদ ও পারনুরুল্লাবাদ এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৪০০ পরিবার এবং ফকিন্নি নদীর তীরবর্তী এলাকায় আরও অন্তত ৬০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এছাড়া প্রসাদপুর ইউনিয়নের বাইবুল্যা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০০ পরিবার।

উপজেলার পারনুরুল্লাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিনের পুরনো বেড়িবাঁধটি সংস্কার না করায় প্রতিবছর বাঁধের বিভিন্ন স্থান ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে করে পরিবারের লোকজনসহ গরু-ছাগল নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যায়। তাই আমরা বেড়িবাঁধটি নতুন করে নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’

নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।’

প্রসাদপুর ইউপি’র চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, ‘সোমবার রাত ২টার দিকে বাইবুল্যা এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামের ৩০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।’

আত্রাইয়ের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হাজারও মানুষ

বিষ্ণুপুর ইউপি’র চেয়ারম্যান এস এম গোলাম আজম বলেন, ‘কয়লাবাড়ী বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া স্থানটি মেরামত না করায় সেখান দিয়ে পানি বিনা বাধায় গ্রামে ঢুকে পড়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২০০ পরিবার। একইসঙ্গে তলিয়ে গেছে অন্তত ৩০০ বিঘা জমির আমন ধানের ক্ষেত।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন এ বিষয়ে বলেন, ‘নদী-তীরবর্তী ফসলের জমি তলিয়ে গেছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এলাকা ঘুরে ক্ষতির তালিকা তৈরি করছেন। দু-একদিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পুরো তথ্য জানা যাবে।’

মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, ‘ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভর্তি করে মেরামতের কাজ চলছে। প্লাবিত এলাকা সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। ফসলের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।’

আরও পড়ুন:
আর কত ভাঙলে হবে স্থায়ী বাঁধ?
গ্রাম রক্ষায় নিকলীতে হচ্ছে ৫২ কোটি টাকার বাঁধ
যমুনার স্পার বাঁধে ধস, ঝুঁকিতে একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠান
ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের ৩১ স্থান ঝুঁকিপূর্ণ
কাজিপুর স্পার বাঁধে ধস, ঝুঁকিতে থানা, ইউনিয়ন পরিষদসহ পুরো এলাকা

মন্তব্য

সারা দেশ
Conflict over the road BNP leader broke the drivers arm and leg

রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্ব: গাড়িচালকের হাত-পা ভাঙলেন বিএনপি নেতা

রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্ব: গাড়িচালকের হাত-পা ভাঙলেন বিএনপি নেতা কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গাড়িচালক রহিম সরকার। ছবি: নিউজবাংলা
আহত রহিম সরকারের স্ত্রীর অভিযোগ, এজাহারে তিনি প্রধান আসামি হিসেবে বিএনপির দুই নেতার নাম উল্লেখ করলেও দেবিদ্বার থানার ওসি তাদের নাম বাদ দিয়ে মামলা নিয়েছেন।

কুমিল্লার দেবিদ্বারে গ্রামের চলাচলের রাস্তা নির্মাণের জের ধরে মো. রহিম সরকার নামে এক গাড়িচালককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বিএনপির দুই নেতা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।

উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বক্রিকান্দি গ্রামের মধ্যনগর বহুমুখী মাদ্রাসার পূর্ব পাশে সোমবার সকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহত রহিমকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

এই হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার আহত রহিম সরকারের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার দেবিদ্বার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে বাদী এজাহারে প্রধান আসামি হিসেবে বিএনপি নেতা কাউছার ভূইয়া ও মুমিন ভূঁইয়ার নাম উল্লেখ করলেও তাদেরকে বাদ দিয়ে মামলা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওসির বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত কাউছার আহম্মদ ভূঁইয়া দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। অপরজন মুমিন ভূঁইয়াই বিএনপি নেতা হিসেবে বেশ পরিচিত।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রহিম সরকার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘সোমবার সকাল ৬টার দিকে আমি গ্রামে রাস্তায় হাঁটতে বের হই। এ সময় বিএনপির ক্যাডার কাউছার আহাম্মদ ভূইয়ার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী মুমিন ভূইয়া, শাহাদাত ভূইয়া, আবু সাঈদ ভূইয়া, নাজিম ভূইয়াসহ আর কয়েকজন মোটর সাইকেল দিয়ে আমার গতিরোধ করে।

‘সন্ত্রাসীরা আমাকে টেনেহিঁচড়ে মধ্যনগর বহুমুখী মাদ্রাসার পূর্ব পাশে একটি কালভার্টের ওপর নিয়ে যায়। সেখানে তারা রামদা, লোহার রড, হকিস্টিক ও গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আমাকে গুরুতর আহত করে। তারা আমার দুই পা ও দুই হাত ভেঙে দেয়। আমি চিৎকার করলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে হামলাকারীরা আমাকে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে যায়।’

সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। তার পুরো শরীর রড, রামদা ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি সোমবার থানায় কাউসার ও মুমিনসহ ৮/১০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছি। কাউসার ও মুমিনেরর নাম আমি মূল এজাহারে দিলেও ওসি বলেন যে তাদের নামে মামলা নেয়া যাবে না।

‘ওসি আমাকে ধমক দিয়ে ও চাপ প্রয়োগ করে একটি কাগজে সই নেন। মঙ্গলবার জানতে পারি যে কাউছার ভূঁইয়া ও মুমিন ভূইয়াকে বাদ দিয়ে ওসির বানানো মনগড়া এজাহারে মামলা রুজু করা হয়েছে।’

দেবিদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর এ বিষয়ে বলেন, ‘এজাহার থেকে নাম বাদ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বাদীর দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করা সবার নাম মামলার এফআইআর-এ দেয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

মন্তব্য

p
উপরে